নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

sabbir2cool

sabbir2cool › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে মানুষ আওয়ামীলীগ হয়েই জন্মায়

০৯ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অন্যায় এক পাঁয়তারা করছে অবৈধ ইউনূস সরকার। এই লক্ষ্যে তারা মাঠে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নামিয়ে দিয়েছে। সরকারি লাঠিয়াল হিসেবে এরিমধ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ- সারজিস আলমেরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবার এই লাঠিয়াল বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে গুপ্ত সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির।

ছাত্রশিবিরের রাজনীতি মূলত দুইভাবে বিভক্ত। একদল প্রতারক। এই প্রতারক দলের কৌশল হচ্ছে নামাজ-রোজা-ইমান-আমলের নামে লোকদের আকৃষ্ট করা। অন্যদল হচ্ছে স্লিপার সেল, এবং এরা টার্গেট সহিংসতা করে থাকে। জুলাই-ষড়যন্ত্রে এরা মবের ধ্যে মিশে গিয়ে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ৭.৬২ রাইফেলের যে গুলির কথা বলেছিলেন দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই, সেটা এই জামায়াত-শিবিরের স্লিপার সেলের মাধ্যমেই হয়েছিল। সরকারের জন্যে বিব্রতকর এই সত্য প্রকাশের পর তিনি মন্ত্রণালয় হারিয়েছেন, গেছেন কম গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রণালয়ে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে কি বাংলাদেশ থেকে এই দলটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? উত্তর সহজ--হবে না। যে দেশের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেই দেশে এই দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া এত সহজ কিন্তু নয়।

ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খান, টিক্কা খান, নিয়াজিরা যা পারেনি, তাদের উত্তরসূরি মুহাম্মদ ইউনূস-জাহাঙ্গীর আলম-আসিফ নজরুল-হাসনাত-সারজিসেরা পারবে--এটা কীভাবে বিশ্বাস করা যায়?

খেয়াল করলে দেখবেন, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি সব সময় এনসিপি বিশেষ করে হাসনাত-সারজিসদের মুখ থেকে বেশি শোনা যায়। কারণ কী জানেন, এরা ছাত্রলীগের ছায়াতলে এতদিন সুযোগসুবিধা নিয়েছে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইতিহাস এদেরকে বেঈমান হিসেবে লিখে রাখবে। তারা ষড়যন্ত্র করে দেশের একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে। বাংলাদেশে একদিন তাদের বিচার করবেই।

বাংলাদেশ বিশ্বাসঘাতকদের অভয়ারণ্য হয়ে যাওয়ার নয় মাস হয়ে গেছে। লিখে রাখুন, আর বছর খানেকের মধ্যে এই হাসনাত-সারজিসদের মানুষ রাস্তায় ধরে ধরে পেটাবে। এরিমধ্যে অনেক জায়গায় হাসনাত বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া খেয়েছে। এনসিপির নেতারা যেখানে যাচ্ছে সেখানেই ধাওয়া খাচ্ছে জনতার। এখন পর্যন্ত তারা টিকে আছে কেবল সরকারি সহায়তায়।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করলে মূলত দলটির কিছুই হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম--এটা বলে গেছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশ মানুষ নতুন করে আওয়ামী লীগ হয় না; আওয়ামী লীগ হয়েই জন্মায়। মানুষের জন্মের সঙ্গে যে দলের সম্পর্ক সেই দলকে কীভাবে নিশ্চিহ্ন করে ষড়যন্ত্রকারীরা?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



৭.৬২ রাইফেলের গুলি ছাত্রলীগের কাছে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

আওয়ামী লীগের সময়ে দেশের বাইরে থেকে যদি অস্ত্র এসে থাকে, সব প্রশাসনের জানা থাকার কথা।

তাই, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর তা পাওয়া কথা না।

২| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:০৬

যামিনী সুধা বলেছেন:



নিজামী, মুজাহিদ ও মীর কাশম আলীর উত্তরসুরীরা বাংলাদেশ দখল করেছে।

৩| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আওয়ামী লীগ সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এমন অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো, যা একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

৪| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১৭

আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশের জন্ম কারা দিয়েছে?

বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিশিদ্ধ করাই সম্ভব নয় যতক্ষন না দেশের মানুষ সমর্থন দেয়া বন্ধ করতেছে। আম্লীগ কি কম চেষ্টা করেছিল বিরোধীদের শেষ করে দিতে? পারেই নাই, কেউ পারবেও না।

ক্ষমতার দম্ভে অন্যায় করলে রাস্তায় মার খাবেই, তার জ্বলন্ত প্রমান আম্লীগসহ সকল লীগ, কারন ক্ষমতা সারাজীবন থাকেনা এটা লীগেরা ভুলে গিয়েছিল। যারাই ভুলে যাবে তারাই মার খাবে এটাই সাভাবিক। হাসনাত-সারজিস হোক, টুপওয়ালারা হোক আর টেম্পু স্ট্যান্ড এর দল হোক মারা খাবেই সেটা লীগ কে দেখেও না শিখলে সাধারন জনগনের কিছুই করার নেই।

এই দেশটা ১৮ কোটি জনগনের, জনগন যা চাবে সেটাই হবে। এই বাস্তবতা আম্লীগসহ তাদের সমর্থকরা যত তারাতারি মেনে নিবে ততই দেশের জন্য উত্তম।

৫| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




ডঃ ইউনুস বিশ্বাসঘাতক নন।

ছাত্ররা তাঁকে নিয়োগ দিয়েছে। তাই, তাঁদের কথা তাঁর শোনা উচিৎ।

৬| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৮

নতুন বলেছেন: সাধারন মানুষ আয়ামীলীগ সমর্থন করে সেটা ঠিক আছে। তারা ১৯৭১ এর ভুমিকার জন্য দলটিকে ভালোবাসে।

তখন নৌকার মাঝি ছিলো তাজুদ্দিন আহমেদের মতন মাঝি।

এখন ওবাইদুর কাদের, সাদ্দাম, শামিম ওসমানের মতন মানুষ। এই সন্ত্রাসী/দূনিতিবাজ আয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর আয়ামীলীগ না।

আয়ামীলীঘকে নিষিদ্ধ করতে হবে, কারন এখনো নেতাকর্মীদের মাঝে কোন অনুসুচনা নেই। এতোগুলি মানুষ মারা গেলো, আহত হলো তাদের জন্য অনুসুচনা করতে হবে।

দলে সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে নতুন নেত্রিত্বে দল শুরু করতে হবে।

বিএনপি আয়ামীলীগের মতন দূনিতি আর সন্ত্রাস করলে জনগনই লাথি মেরে ক্ষমতা থেকে নামাবে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা আয়ামীলীগের মতন এতো মানুষ হত্যার সাহস পাবেনা।

৭| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: আওয়ামী লীগের পালানোর যায়গা ছিলো,তাদের তাও নাই।বাংলার মাটিতেই তাদের পতন হবে।

৮| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৪৬

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: দুর্নিতী সব সরকারের আমলেই হয়েছে। তার মধ্যে দেখতে হবে কে কাজ করে । দেশের বড়ো বড়ো প্রোজেক্ট সব আওয়ামীলিগের আমলেই হয়েছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.