নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলার নেই।

সাদামাটা ভাবনা

সাদামাটা ভাবনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউরোপের ডাক্তার বনাম বাংলাদেশের ডাক্তার

০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:০৪

নিচের লেখাটার একটা বাক্যও আমার নিজের নয়। এটা লিখেছেন ইউরোপে থাকা এক বাংলাদেশি চিকিৎসক। আমি শুধু কপি করে দিলাম।



"ইউরোপ এর ডাক্তাররা কত ভাল এই নিয়ে দেশের মানুষের আক্ষেপ দেখে দেখে আমি ক্লান্ত। আমি যে দেশে থাকি সেখানে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান সরকারী। কেউ যদি ডাক্তার দেখাতে চান তাহরে তাকে ফোন করে আগে সিরিয়াল নিতে হবে। লোকাল হেলথ সেন্টারে একজন ডাক্তার দিনে ৬ জন রোগী দেখবেন। বেশি দেখার জন্য বাধ্য করতে পারবেনা তাকে সিস্টেম। আগে ফোন করলে আগে সিরিয়াল। আপনি কতটুকু মরনাপন্ন সেটা দেখার দায়িত্ব আমার না। সিরিয়াল নিয়ে আসতে পেরেছেন, আপনার সাথে কথা বলার জন্য আমার হাতে ১ ঘন্টা সময় আছে। সারা দিনে দেখবই তো ৬ জন। দেখে একটা এক্স রে প্রয়োজন মনে হল। পরামর্শ দিলাম করার জন্য। কোথায় কিভাবে কয়দিনে করে আসতে পারবেন তা সিস্টেমের ব্যাপার ৭ দিন থেকে কয়েকমাস ও লেগে যেতে পারে আপনার পরীক্ষার সিরিয়াল আসতে। এমন ও দেখেছি রিপোর্ট আসতে আসতে রোগী মরনাপন্ন। বছরে রোগী দেখার একটা কোটা থাকে। ৬ মাসেই যদি পুরোটা শেষ করি বাকি ৬ মাস রোগী না দেখলেও চলে। আয় জানতে চান? যতটুকু লিখলাম এতে আমার আয় দিয়ে দেশে একটা হেলথ কমপ্লেক্স এর সব ডাক্তার এর বেতন দিয়েও আরো থাকবে। অতিরিক্ত কাজের আয় বাদই দিলাম।

আপনার খুব বেশি খারাপ অবস্থা হলে হাসপতালের ইমারজেন্সিতে যেতে পারেন। ট্রায়াজ সিস্টেমে আপনাকে অবস্থার গুরুত্ব ভেদে আপনাকে দেখা হবে। ভাঙ্গা হাত নিয়ে ৮ ঘন্টা বসে থাকতে দেখেছি আউটডোরের চেয়ারে। আপনি কোন নেতার কর্মী বা কোন ভি,আই,পি'র স্বজন তা দেখা আমার দায়িত্ব না। সিস্টেম অনুসারে আপনাকে দেখার যখন সময় হবে তখন দেখবো।

কথায় কথায় জানিয়ে রাখি, সরকারী বা বেসরকারী, ৫ মিনিটের আলাপ আর ১ ঘন্টার, শুধু পরামর্শ দেয়া বা অপরেশন করা, যাই করি না কেন, টাকা আমার টা আমি পাবই পাব। প্রধানমন্ত্রীও ঠেকাতে পারবেনা। টাকা হয় আপনি দিবেন আর আপনি অসহায় হলে আপনার হয়ে সরকার পেমেন্ট করবে। ক্যাশ টা আমি পেয়েই যাবো।

ইউরোপের সেবার সাথে আমাদের দেশের সেবা তুলনা করা যাবে না। যে দেশের রিকশা চালক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সবাই পঁচে আছে, সেখানে আপনি ইউরোপীয় সেবা পেতে পেরেন না। এক হাত দূরের কথা, আপনারা এক আঙ্গুলে তালি বাজানোর কথা বলছেন।

ডাক্তার দের বলছি, দলে দলে দেশ ছাড়ুন আর সরকার যত টাকা খরচ করে আপনাকে ডাক্তার বানিয়েছে বলে বোদ্ধারা বলে বেড়ায়, সে টাকা টা রেমিটেন্স হিসেবে পাঠিয়ে দিয়ে বা দান করে নিজেকে দায়মুক্ত করেন অতি সহজেই। পাবলিক ওই টাকায় বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসবে।

যারা ডাক্তার দের আচার আচরন আর নানা বিষয়ে বিরক্ত তারা বয়স থাকলে এখনি মেডিকেল কলেজ এ ভর্তি হয়ে যান নইলে নিজের আত্বীয় স্বজন, ছেলে মেয়েদের মেডিকেল এ ভর্তি করান। সরকারীতে না পারলে বেসরকারীকে করান। দেশের বিশিষ্ট নেতা নেত্রীরা আর সমাজ সেবী ব্যবসায়ীরা আপনাদের জন্য খুলে রেখেছে চিকিৎসক বানানোর কারখানা। দলে দলে যোগ দিন, আদর্শ ডাক্তার হোন বা বানান। মানবতার হোলসেল নেন।

টানা ৫ বছর চেষ্টা করেছিলাম দেশের দূর্নিতির মাঝেও বেঁচে থাকার। আমি পারি নি। দেশে যে পরিমান কষ্ট করে ডাক্তারী পাশ করেছি এখানে তার ১০ ভাগের এক ভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি। ভালই আছি। সম্মান নিয়ে বেঁচে আছি। ক্লাস ৫ ও পাশ না করা উপজেলা চেয়ারম্যান কে আমার কাজের কৈফিয়ত দেই না। তার সঙ্গী আর এক লোফারের রোগীকে কেন আগে দেখছিনা সেই জন্য সেই লোফারের হাতে থাপ্পর খেতে হয় না। খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে অন্যদের থাপ্পড় মারা শুরু করে মনের সাধ মেটাতে হয় না।

মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে হয়, বাংলার জনগন ভাল কিছু ডিজার্ভ করে না, করবে না ততদিন, যতদিন স্বজনপ্রীতি, দূর্নিতি আর পরিবারতন্ত্র কে লাথি মেরে দেশ থেকে বের করতে না পারবে।"

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:০০

িরয়াজ মাহমুদ বলেছেন: ভাই, আপনার পোস্টটা শেয়ার পোস্ট করে দিলাম।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:২২

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: আপনার কষ্ট বুঝলাম কিন্তু আপনার কথা শুনে সবাই যদি দেশ ছেরে চলে যায় তাহলে আমরা সাধারন মানুষেরা কোথায় যাব?
আমরা তো আর বিদেশের মানুষের মত টাকা আয়ও করিনা।
মেধাও নাই টাকাও নাই যে ডাক্তার হব।
বিদেশে যাবার ও ব্যাবস্থা নাই তাহলে?

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:৩৪

সাত সাগেরর মাঝি বলেছেন: আমার মত ডাকতর এর মনে হয় সারাজীবন সালাম সাহেবদের সেবা করে যেতে হবে ।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:৪৬

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: মাঝি ভাই আপনি আমার কথাটাকে এভাবে নিলেন কেন?
আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে আমার তাহলে করনিয় কি?
সব ডাক্তার চলে গেলে আমাদের কি হবে?

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:০৭

এবিসি১০ বলেছেন: পিওর বুলশিট। পিওর।

একটা কথা সত্যি এখানে সিরিয়াল দিলে কয়েকদিন পর পাওয়া যায়। বাট ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে সমস্যা? ইম্পসিবল!

আমি ইউরোপেই থাকিরে ভাই। পুরো চিকিৎসাব্যবস্থা ইনশিওরড।

কয়েকটা অর্গানাইজেশন আছে। আপনার অবস্থা ভালো নয়, ডাক্তার লাগবে বাসায়, ডাকুন একটাকে। রাত তিনটায়ও আসবে আপনার বাসায়। ইয়াপ!

ব্যাপক অসুস্থ? হসপিটালাইজড করা লাগবে? ডাকুন ফায়ার সার্ভিসকে। ধমাধম করে চলে আসবে।

ভয়াবহ অবস্থা? মরণাপন্ন? ডাকুন সামু(SAMU) কে। সামুর প্রতিটা অ্যাম্বুলেন্সে ফুল মেডিক্যাল টিম থাকে(প্যারামেডিক না)।

একটা সামু অ্যাম্বুলেন্সে একজন ডাক্তার, কয়েকজন নার্স ও সাপোর্ট অ্যাসিস্টেন্ট থাকে। ওরা রোগির চিকিৎসা অন দ্য স্পট শুরু করে। তারপর আস্তে ধীরে স্পেশালাইজড হসপিটালে নেয়। সেখানে ডাক্তার আগেই জেনে যায় কী খবর। সোজা অপারেশন থিয়েটারে!!

খালি খালি ইউরোপিয়ান হেলথ কাভারেজ পৃথিবীর সেরা নয়। ও এসব কিন্তু ফ্রি! ইনসিওরেন্স ৯৯.৫% মানুষের আছে।

১১ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫৬

সাদামাটা ভাবনা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লেখা থেকে আরো অনেক তথ্য পেলাম। এবং জানলাম যে, ইউরোপের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ভালো।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:১২

এবিসি১০ বলেছেন: এই সব আগুবাগু বলে যারা বাংলাদেশের বর্তমান বুলশিট চিকিৎসা সিস্টেমকে জাস্টিফাই করতে চায়, সেগুলারে সিম্পলি লাত্থানোর দরকার। আর কিছু না।


বাংলাদেশে একটা ডাক্তারসংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ডাক্তারদের থেকেও অবহেলা আছে। রোগিরা চরম স্কেপটিক হয়ে গেছে। হোমিওপ্যাথেও যাবে! অধিকাংশ ডাক্তার খুবই ভালো।
কিছু চামার টাইপের। আমি আমার বাংলাদেশ জীবনে তিনটি চামার ডাক্তার পেয়েছিলাম। চামার মানে: ব্যভারগত দিক থেকে।

তবে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বেশিরভাগ চামার এবিষয়ে কোন সন্দেহ থাকবার অবকাশ নেই।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:১৯

এবিসি১০ বলেছেন: আমার ইউনির মেডিক্যাল স্কুলের পোলাপানদের জিজ্ঞেস করছি এবিষয়ে আরো। দাঁড়ান।

এই লেখা যে লিখেছেন, তিনি কি এনএইচএস(ইউ কে) এর ডাক্তার? নাকি ফ্রেঞ্চ/ইটালিয়ান/ স্পেনিশ সিস্টেমের?

ইউ কে হলে সামান্য সত্য। বাট ফ্রেঞ্চ/ ইটালিয়ান হলে ৯০% ভুয়া।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:৩৭

বাংলার আগন্তুক বলেছেন: কি যে কন। ওরে আল্লাহ, ইউরোপের ডাক্তার নিয়ে তো আমার নতুন করে গবেষণা করতে হবে। আরে ভাই একটা ইউ.কে ডাক্তার আমি আমার বাসায় পেডে-ভাতে পালি। তাও এক্কেবারে বাচ্চা সহ। আরে নাহ। একটু মশকরা করলাম। তবে আমার বউ রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালের সিনিয়র হাউস অফিসার (সার্জারী - ইউরোলোজি)। সিসস

সিস্টেমের কথা বলা হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে বর্ণণা করা হয়েছে সেভাবে নয়। ইমারজেন্সীতে অবশ্যই চিকিৎসা পাবেন। সবার জন্য রয়েছে একজন করে জি.পি। মানে জেনারেল প্র‌্যাকটিশনার্স। সেখানে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। আপনার কোনো শারিরিক কোনো সমস্যা হলে প্রথমে জিপি আপনাকে দেখবে। যদি মনে হয় আপনাকে হাসপাতালে রেফার করবে নইলে ঐখান থেকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছেড়ে দিবে। আপনি যদি সরকারী ভাতা পেয়ে থাকেন কিংবা শিশুদের জন্য ফার্মেসীতে ফ্রি মেডিসিন পাবেন। নইলে যে কোন পরিমানের যে কোনো মেডিসিনের জন্য £৭.৫০ দিতে হবে। কিংবা অত্যন্ত জরুরী হলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে অবশ্যই সাহায্য পাবেন। তবে ভাংগা হাত নিয়ে ৮ ঘন্টা বসে থাকার কাহিনী সম্পূর্ণ বানোয়াট। কারণ এইখানে পরিস্হিতির উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে এইটা খুব বিরল। এক হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে না পারলে এরা নিজ দ্বায়িত্বে অন্য হাসপাতালে স্হানান্তর করে নেয়। প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে। কোনো চাপে বা রিলেশনে এরা আপনাকে ছাড় দিবে না। সিস্টেম মোতাবেক আপনাকে চিকিৎসা দিবে। একটা ঘটনা বলি, আমার বউ বেডফোর্ড হাসপাতালে থাকাকালে আমার কিডনীতে প্রচন্ড ব্যাথার কারণে ভর্তি হতে হয়েছিলো। ডাক্তারের স্বামী হিসেবে আমি সরাসরি হাসপাতালে যেতে পারিনি। আমাকে প্রথমে জিপিতে ফোন করে সব কথা জানাতে হয়েছে। তারা ফোন করে হাসপাতালে ইনফর্ম করছে। তারপর হাসপাতালের ইমারজেন্সীতে গেলাম তারা তাদের নিয়ম মোতাবেক আমাকে চিকিৎসা করেছে। অথচ আমার বউ ওই হাসপাতালের ডাক্তার এবং ইমারজেন্সী ডিপারটমেন্টের রেজিস্টার আমাদের প্রতিবেশী ও আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। তারপরও আমাকে সিস্টেমের ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছিলো। এইখানকার চিকিৎসা ব্যবস্হা অত্যন্ত সুন্দর। সবচেয়ে বড় কথা কোনো ডাক্তার বা ডায়গনস্টিক সেন্টার আপনার গলা কেটে দেয়ার ব্যবস্হা নাই।

তবে পোস্টের নিচের কথাগুলোর সাথে একমত।

১১ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫৭

সাদামাটা ভাবনা বলেছেন: ধন্যবাদ আরো তথ্যের জন্য।

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৪৩

সাঝেঁর পাখি বলেছেন: vai apni kon deshe asen?

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:১৮

বিডি আইডল বলেছেন: আপনে কোন দেশে আছেন ভাই একটু জানতে ইচ্ছা করতাছে....গল্প যা লিখলেন ইউরোপের....বিশ্বাসযোগ্য হইলো না

১১ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০০

সাদামাটা ভাবনা বলেছেন: এই লেখাটা যিনি লিখেছেন, তিনি উল্লেখ করেন নি তিনি কোন দেশে থাকেন। তবে উনার দু-একটা কথা ছাড়া বাকি তথ্যগুলো অবিশ্বাসযোগ্য নয়। হয়তো উনার অভিজ্ঞতা এরকম-ই।

১১| ১১ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:০৫

রিপেনডিল বলেছেন: মিজানুর রহমানের আরেক চ্যালা পাওয়া গেছে, প্রতিবাদ করার কি কেউ নেই? আসুন এই মিজানুর রহমান, মশিউল আলমদের মত নির্বোধদের চিকিৎসাসেবা দেয়া থেকে বিরত থাকি। দেখা যাক তারা কোন অমানুষের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়।
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.