নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাকপ্রবাস

বাকপ্রবাস

সৈয়দ আহমেদ হাবিব

বাকপ্রবাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৈনন্দিন কড়চা

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫১


ছোটদের কিছু জরুরি ফোন নাম্বার মুখস্থ করিয়ে রাখা ভালো, আপদে বিপদে কাজে দেয়। কোথাও হারিয়ে গেলে সে নাম্বার বলে দেয়, সেই নাম্বারে ফোন করে জানিয়ে দেয়া যায় শিশুটি পাওয়া গেছে কিংবা মেঘ এর কথা মনে আছে? অভিভাবকরা বিপদে পড়েছে সেই সময়টাতে শিশুই ফোন করে জানিয়ে দিতে পারে স্বজনদের বিপদের ক্ষেত্রটা।

উমামাকে নতুন কেনা হ্যান্ড ব্ল্যান্ডারটা দেখিয়ে বলেছিলাম এই দেখ তোমার জন বন্দুক কিনেছি। বন্দুক এর মতো তাক করে দেখালাম। সে মুখ ভেংচিয়ে বলল, উহহহ কি জানি কি নষ্ট করে ফেলেছে এখন আমার জন্য বন্দুক কিনেছে বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

আমার যখন ইফতারী শেষ হয় তখন উমামারা ঘুমাতে যায়। ঘুমানোর আগে ইমোতে কল করে আমাকে। আমার সাথে কথা বলে তারপর ঘুমায়। তখন উমায়রা ঘুুম থাকে। উমায়রা এর সাথে দেখা হয় ভোর রাতে তখন উমামা ঘুুম থাকে। এভাবেই চলছে রমজানে বাপ বেটিদের দিনকাল।

আজকে উমায়রা ঘুমায়নি। কারন হলো উমামা দুষ্টামি করে উমায়রার সাথে জায়গা বদল করেছে। উমায়রা পুরো খাট চক্কর মেরে তার জায়টাতেই এসে থিতু হল। পুণঃদখল করেই ছাড়ল।

রাধুনি হালিম মিক্স রান্না করা খুুবই সহজ। সেখানে যে মশলাটা থাকে সেটার অর্ধেক ব্যবহার করলেই চলে। ভালো ঘ্রাণ করে। বুদ্ধিটা দিয়েছিলের পারভিন আপা। আমি ছুটিতে গেলে দুই এক প্যাক দেশ থেকেই নিয়ে আসি। মসলার বাকি অংশটা পরে যখন মাংস রান্না করি সেখানে ব্যবাহার করি। ভালো ঘ্রাণ হয়। আজ ভাবলাম যেখানে রাধুনি হালিম মিক্স থাকবেনা সেখানে কি হালিম খাওয়া হবেনা? তায় নিজেই বানানোর চেষ্টা করলাম। খুব ভালো হয়নি তবে খাওয়া চলে। প্রথমবার জাষ্ট ট্রাই করে দেখলাম কি হয় না হয়। হ্যান্ড ব্ল্যান্ডারটা আজ কাজে লাগলো। ডালগুলোর উপর দিয়ে চালিয়ে দিলাম।

উমামা পাশের বাসার আপুর কাছে পড়তে যায়। জিজ্ঞাসা করলাম আপু আজ কি পড়িয়েছে। সে চেষ্টা করে উত্তরটা একটুু ঘুরিয়ে দিতে। বলল পড়ায়নি। তাহলে কি করেছো আজকে? ঝগড়া করেছি ইত্যাদি। তবুও উত্তরটা পাওয়া গেলনা।

আপুর নাম্বার নেবে? প্রশ্নটা করলো উমামা। বললাম কার নাম্বার? আপুর নাকি আম্মুর। বলল আপুর নাম্বার। একটু ভাবলাম। অভিভাবক এর ফোন নাম্বার মুখস্থ করেছে ভেবে বললা ঠিক আছে দাও। বলেই আমার হাত লাগালাম হালিম এর দিকে। এক চামচ খেয়ে দেখা যাক কেমন হলো।

মোবইল ক্যামরাতেতো আর সবকিছু দেখা যায়না। উমামা দেখলো আমার এক হাত অন্য কাজে ব্যাস্ত। তায় প্রশ্ন করলো তুমি কি আপুর নাম্বার লিখে রাখছো নাকি?

নাম্বারটাতো দিলোইনা ওদিকে আমি পুরো মখা হয়ে বসে রইলাম............

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরের বস্তুটি কি হালিম? মিক্সড ব্যাগ লেখা। ভাল লাগল।

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম হালিম, একটু বেশী ঘন হয়ে গেছে, পানি যোগ করতে হবে।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৯

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভাল থাকুক সকল বাবারা আর ভালো থাকুক সকল দেবশিশুরা। আপনার ব্লগটা পড়ে ভালো লাগল।

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: শুকরান অশ্রুকারিগর

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার হালিম রান্না, মেয়ের টুকটাক কথা গুলি ভালো লেগেছে।

২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: খুবই ধন্যবাদ জানবেন

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল পোস্ট

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

বাকপ্রবাস বলেছেন: ধ ন্য বা দ ল ই বে ন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.