![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ব্যাপার আমাকে খুব ভাবায়। বিষয়টা ক্লিয়ার করেই বলি। দাড়ি রাখলে আর নিয়মিত নামাজ পড়লে যে সে একেবারে ফেরেস্তা হয়ে যাবে তা কিন্তু না। ভালো করে খেয়াল কৈরা কিন্তু।
দাড়ি জিনিসটা প্রাকৃতিক। নির্দিষ্ট বয়সে সাধারনত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল পুরুষেরই দাড়ি উঠে (ক্ষেত্রভেদে হরমোন ঘটিত জটিলতার কারনে কখনো মহিলাদের ও হয়) এবং মৃত্যু অব্দি তা বড় হতে থাকে। ধর্মীয় (বিশেষ করে ইসলাম) দৃষ্টিকোন থেকেও দাড়ি রাখার জন্য অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দাড়ি না রাখার পরিনাম ও বলে দেয়া আছে। ডাক্তারের পরামর্শে কিংবা শারীরিক অসুস্ততা ছাড়াও বিভিন্ন কারনে অনেকে দাড়ি রাখেন। একজন দার্শনিক (নাম ভুলে গেছি) তিনি একবার শেভ করছিলেন তখন তার ছেলে উনাকে জিজ্ঞেস করলো এটা তিনি কেনো করছেন? দার্শনিক ত্তখন চিন্তা করলেন আসলেই ত আমি কেনো এটা করছি? এটা তো না করলেই হয়। এর পর থেকে উনি আর শেভ করেন নি।
যাইহোক আমি যা বলছিলাম, আমাদের সমাজে একটা ব্যপার খুব প্রচলিত যে, দাড়িআলা লোক দেখলে অন্যভাবে দেখা হয়, কখনো তা আবার বেশ সম্মানের সাথে। এখানে আমি কম বয়স্ক বা মধ্যবয়সী দের কথা বুজাচ্ছি (বুড়ো হলে দাড়ি রাখা এটা মোটামুটি সবাই মেনে নিয়েছে)। অর্থাৎ যে বা যিনি দাড়ি রাখবেন তার কাছ থেকে আশা করা হয় তিনি সত থাকবেন, মিথ্যা বলবেন না, চুরি চামারি করা যাবে না, বিশেষ করে অশ্লিলতা তো ভয়ঙ্কর ভাবে নিষিদ্ধ। প্লিজ আমার কথা বুজার চেষ্টা করবেন Misinterpret করবেন না। উপরের যে খারাপ কাজ গুলোর কথা বলেছি তার সবগুলা কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক মানুষের জন্যই নিষিদ্ধ। আর দাড়িবিহিন কোন লোক যদি ঐ গর্হিত কাজ গুলো করে তখন খুব একটা খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয়না যতটুকু দেখা হয় একজন দাড়িওয়ালা লোক করলে। কোন দাড়িয়ালা মুসলিম যদি যেকোনো প্রকারের খারাপ কাজ করে ফেলে তখন তাকে সহ সকল মোল্লাহ বা আলেমদের উদ্দ্যেশে গালি দেয়া হয়। কি ভয়ঙ্কর! দাড়ি রেখে এমন কাজ কেউ করে? আরো ভয়ঙ্কর ব্যপার হলো কেউ যদি সঠিক ভাবে দাড়ি রাখে তবে সে জঙ্গি, বা মৌলবাদী। মিডিয়া এই জিনিসটা একেবারে আমাদের মগজে পাকাপোক্ত ভাবে গেড়ে দিয়েছে যে জঙ্গিদের খুব লম্বা লম্বা দাড়ি থাকে। তারা লোকালয়ের বাইরে থাকে, কাধে একটা বন্দুক, মাথায় পাগড়ি আর মুখে কালো কাপড় থাকবে। মানে তাদের কথায় বুঝা যায়, জঙ্গি ছাড়া আর কারো মুখে দাড়ি উঠেনা, আমার কথা হলো যে খারাপ কাজ করার ইচ্ছা করবে সেতো দাড়ি রেখে আবার কাজ শেষে ফেলেও দিতে পারে। এভাবে এক ঢিলে অনেক গুলা পাখি মারা যায়। এ জিনিষ কি কেউ বুজে না? ভাবটা এমন যে, দাড়ি ছাড়াদের জন্য যেকোনো পাপ জায়েজ আর দাড়িয়ালা লোকের জন্য তা বিরাট পাহাড়। শুধুমাত্র দাড়ি রাখার কারনে দুইজন কে দুইভাবে বিচার করা হচ্ছে। কি আজব আমাদের চিন্তা ভাবনা!
একই ভাবে কেউ যদি নিয়মিত নামাজ পড়ে তাতে ও তার বিড়ম্বনার যেনো শেষ নেই। ছি ছি তুমি না নামাজ পড়ো তবে কেনো ঐ কাজ করলা? অইখানে গেলা? এরকম কথা প্রায়শই আত্মীয় দের কাছ থেকে শুনতে হয়। দেশের বাইরে থেকে কেউ আসলে নামাজীদের জন্য বরাদ্ধ হলো আতর, টুপি, ইত্যাদি জিনিস যা চাইলেই যখন তখন কেনা যায় আর যে বা যারা নামাজ পড়ে না তার জন্য পারফিউম, চুলের জেল, গেঞ্জি, শেভিং ফোম সহ আরো কত জিনিস, কি আশ্চর্য! আমাদের চিন্তা গুলো এমন কেনো? ভাবতেই ক্যামন লাগে।
অনেকে ইয়াং বয়েসে হজ করেনা, কারন হলো হজ থেকে এসে কোন খারাপের কাজ করা যাবে না। নিরামিশ লাইফ লিড করতে হয়। কোন ভুল হলে মানুষের ব্যাপক কথা শুনতে হয়, কি ব্যপার হজ করে আসলা আবার এইসব করতেছো? অথচ যে হজ করে নি সে দিব্বি যেকোনো কাজ করে যাচ্ছে। আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও তা দেখেও খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেনা। কি ভুলের মধ্যেই আমরা ডুবে আছি, কোন জিনিস কে কোনটির সাথে মিলিয়ে ফেলছি। হ্যাঁ... অনেকেই হয়ত বা বলবেন এটা ত ভালো। এতে করে দাড়ির কারনে খারাপ কাজ থেকে ত বেচে থাকা যায়। আমি অস্বীকার করছি না। তা হয়তোবা ক্ষেত্রবিশেষে সঠিক। আমার কথা হচ্ছে এভাবে চিন্তা করা হবে কেনো। দীর্ঘকাল থেকেই এই রকম চলে আসছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়। বড় হলে নামাজ পড়া, বৃদ্ধ হলে হজ করা কিংবা দাড়ি রাখার এই tendency । একটা মানুষের যেকুনো সময় পদস্ফলন ঘটতে পারে। মুখে তার দাড়ি থাকুক বা নাই থাকুক, সে নামাজ পড়ুক বা নাই পড়ুক, হজ করুক বা নাই করুক। তাকে অতিরিক্ত কথা কেনো শুনতে হবে কেবল মাত্র নামাজ পড়া কিংবা দাড়ি রাখার কারনে। বেগম রোকেয়ার একটা লেখা পরেছিলাম অশিক্ষিত নারী যত ভুলই করুক তা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখা হয় বা সাধারন বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষিত নারী যদি ভুল করে তবে আর নিস্তার নেই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
সাদিকনাফ বলেছেন: না শুধু মিডিয়া দায়ী না। সত্যি বলতে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও দৃষ্টিভংগী ও দা্যী। দাড়িওয়ালা কে আমি একজন অন্য যেকোনো দুই হাত, দুই পা, দুই চোখ, এক নাক, দুই কান, আলা মানুষ ছাড়া কিছুই মনে হয় না। দাড়ি দিয়ে আমি কাউকে বিচার করি না। অনেক পুরুষ পশুদের মত হরমোন জনিত কারনেই কেবল দাড়ি বা পশম গজায়। এটা হওয়া বা না হওয়া তার ভাল বা মন্দ হওয়া নির্না্যক নয়। দাড়ি অন্য যেকোন পশমের ন্যায় পশম ব্যতিত কিছুই না।
হ্যা.. কেউ যদি আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থার ও দৃষ্টিভংগীর দুর্বলতার সুযোগে খারাপ কাজ করে অবশ্যই সেটা ব্যক্তি হিসাবে শাস্তি পাবার যোগ্য ও ঘৃনার পাত্র বলে বিবেচিত হবে কিন্তু কোনাভাবেি দাড়ি্যালা হিসাবে নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য, ভালো থাকবেন....
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আমার মনের কথাটিই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
পোষ্টে +++++++++++++
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
সাদিকনাফ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই.... আমার ও ভালো লাগলো আপনার ভালো লেগেছে বলে... ভালো থাকবেন....
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: এরকম হওয়ার কারণ কি?
কারা দায়ী এটার জন্য?
শুধু মিডিয়া?
দাঁড়িওয়ালা নিজেই বা কতটুকু দায়ী??