![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতি বছর বাজেট পেশ মানেই সিগারেট তথা তামাকের দাম বৃদ্ধি পাওয়া। এটা তো পুরোদমে নিয়ম বানিয়ে ফেলা হয়ে গেছে বলা চলে। যে সিগারেটের দাম ছিলো তিন টাকা সেই সিগারেট এখন কিনতে হচ্ছে ১২ টাকা দিয়ে। এর মানে গত দশ বছরে দাম বেড়েছে চার গুণ! কি সর্বনাশ!! আমার আয় কি বেড়েছে চার গুণ? বাড়েনি। বছর বছর এই মুল্যবৃদ্ধি সিগারেটখোরদের জন্য এক মহা-অশনি সঙ্কেত হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ এই সিগারেটখোর’রাই দেশের অর্থনীতিতে নিরবে নিভৃতে বিরাট অবদান রেখে চলছে। আর তার বিনিময়ে পাচ্ছে বছর বছর সিগারেটের দাম বৃদ্ধি। কি অমানবিক! কত বড় মানবতাহীন কাজ!!
বাংলাদেশের বাজেটের আয়ের বিরাট অংশই আশে সিগারেট তথা তামাক জাতীয় জিনিসের প্রদত্ত কর থেকে, এটা ত শুধু প্রত্যক্ষ আয়ের কথা বললাম। পরোক্ষভাবে যে কত মানুষ এই সিগারেটের থেকে উপকৃত হচ্ছে এটার পরিসখ্যান আমাদের বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান ব্যুরো ও দিতে পারবে না চ্যলেঞ্জ দিয়ে বলতে পারবো।
সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রধান কারন হিসেবে বলা হচ্ছে এতে করে নাকি দেশে ধুমপায়ীর পরিমান কমবে, আর এভাবে দাম বাড়াতে বাড়াতে একসময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।। কি হাস্যকর!
দু’চোখ বন্ধ করে একটু কল্পনা করুন, দেশে একজন ও ধুমপায়ী নেই! যত ধুমপায়ী ছিলো, সবাই বসে, দাঁড়িয়ে, হেটে চুইঙ্গাম চিবুচ্ছে। কি হতে পারে অবস্থা? ধারনা আছে? নিশ্চিত ভাবে দেশ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। যেহেতু সিগারেট নেই এর মানে সেখান থেকে কর আসাও বন্ধ। তাই বাজেটে বিরাট ঘাটতি দেখা দিবে। অর্থের অভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়বে। বেকারত্তের হার একলাফে দ্বিগুণ তিনগুন কি পাঁচ ছয় গুণ বেড়ে যাবে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে জনসংখ্যার মহা বিস্ফোরন ঘটবে। বিপুল জনসংখ্যার কারনে খাদ্যাভাব দেখা দিবে। সেই খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রচুর খাবার আমদানী করতে হবে। রেকর্ড পরিমান সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানীতে গিয়ে ঠেকবে। তামাকজাতীয় কৃষি পন্যে ভর্তুকি দেয়া হয় না কিন্তু সাধারন কৃষিজাত পন্যে যেহেতু ভর্তুকি দেয়া হয় সেক্ষেত্রে কৃষিখাতে সেচের জন্য ডিজেলে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। তেলের উপর চাপ পড়বে তেলের দাম দফায় দফায় বাড়িয়েও কোন কুল কিনারা পাওয়া যাবে না। তেলের দাম বাড়ার কারনে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে। তেল আর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম হবে আকাশছোঁয়া। যাতায়াত খরচ বেড়ে যাবার কারনে মানুষ বাই সাইকেল কিংবা হন্টন পদ্ধতি গ্রহন করবে। এতে মানুষের স্বাস্থ্য আরও ভালো হবে। রোগ বালাই হবেই না বলতে গেলে। আর এর প্রভাব পড়বে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। যে ডাক্তাররা কসাই নামে পরিচিত তারা প্রায় বেকার হয়ে পড়বে। হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক আর ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলো রোগীশুন্য দিন পার করবে। ওষধ শিল্প কারখানাগুলা উৎপাদিত ঔষধ বিক্রি করতে না পেরে লোকসানী প্রতিষ্টানে পরিনত হবে। তারা যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলো সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। ফলে ব্যাংকগুলা ও লস দিবে। সার্বিকভাবে মানুষের আয় কমে যাবে এর ফলে মানুষ পোষাক ক্রয়ের সক্ষমতা হারাবে এর প্রভাব পড়বে দেশের পোষাক শিল্পে। একনম্বর আয়ের শিল্প পরিনত হবে দেউলিয়া শিল্পে। মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারনে মানুষ কোথাও বেড়াতে যাবে না ফলসরুপ পর্যটন শিল্পেও নামবে ধসের বারিধারা ।
কল্পনা শেষ করুন, বাস্তবে কি দেখি বা কি ঘটে? পত্রিকা আর টিভি’র রিপোর্টাররা আন্তর্জাতিক তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে “তামাকের কারনে দেশ ও দশের সীমাহীন ক্ষতি ” কিংবা " তামাকের কারনে পরিবেশগত বিপর্যয়" অথবা "গ্লোবালওয়ার্মিং এবং সিগারেট" নতুবা "নিকোটিনের স্বাস্থ্যগত অপকারিতা" শীর্ষক নিবন্ধ আর প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে কাগজ আর কলমের কালির সাথে কত সিগারেটের প্যকেট যে ফুরায় তা কেবল উপরে একজন বসে আছেন উনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেস্তারাই বলতে পারবেন। বড় বড় কত আমলা আর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তামাক বিরোধী জ্বালাময়ী বক্তব্য শেষে ষ্টেজের পিছনে গিয়ে সুখটান দিয়ে নেশার জ্বালা মেটান আর উদাসীন হয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ভাবেন তামাকমুক্ত দেশ গড়ে যেভাবেই হোক মরন নেশা থেকে সাধারন জনগণকে রক্ষা করতে হবে ।
আমরা মানে সিগারেটখোরেরা, বিশ্বাস করি আইন কঠোর করে কিংবা কর বসিয়ে সিগারেট কিংবা তামাক সেবন বন্ধ করা যাবে না। যে সিগারেট খায় সে ঠিকই খাবে। আর যে খাবে না তাকে শত চেষ্টা করেও খাওয়ানো যাবে না। তাই.... এ অনিবার্য মহা বিপর্যয় থেকে বাঁচার উপায় একটাই, সিগারেটের মুল্য অতিসত্বর কমানোর ব্যবস্থা করা, তামাকজাতীয় পন্যে কর রেয়াত দেয়া। প্রয়োজনবোধে থোক বরাদ্ধের ব্যবস্থা করা, তামাকচাষিদের সহজ শর্তে ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদান করা, প্রয়োজনবোধে বিদেশে পাঠিয়ে হাতে কলমে উন্নতজাতের তামাক উৎপাদনের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। সল্পমুল্যে উন্নতজাতের তামাকের বীজ সরবরাহ করা। জাতীয় তামাক উৎপাদন নীতিমালার আওতায় সরকারি ভাবে তামাক সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করা। কৃষক যাতে তামাকের উপযুক্ত মুল্য পায় এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। তামাক উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রয়োজনে বিদেশে রপ্তানীর ব্যবস্থা গ্রহন করা। এতে করে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। তামাকসেবীদের অবাধে তামাকপানের সুযোগ করে দেয়া, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সম্প্রচার নীতিমালা সংশোধন করে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করা। আমি মনে করি অবিলম্বে তামাক গবেষনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্টা করে এতে কিভাবে আরও বৈচিত্রতা আনা যায় তা বের করা। তামাক সেবনে ক্ষতির পরিমান কমিয়ে কি করে তা আরও স্বাস্থ্যসম্মত করা যায় তা উদ্ভাবন করা। এতে করে তামাকশিল্পের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটবে আর জাতিও মহা বিপর্যয় থেকে মুক্ত হতে পারবে।
(বাজেট পেশের এক অথবা দুই দিন পরে লিখা হয়েছিলো.. কিন্তু পোষ্ট হচ্ছিলো না এতোদিন)
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫০
সাদিকনাফ বলেছেন: ধন্যবাদ.
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
কম্পমান বলেছেন: ভাই, আপনি বুঝলে তো হবে না যার বুঝার তাকে বুঝতে হবে। ......................... আপনার সচেতনতার জন্য ++++++++++++++++++++++++
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
সাদিকনাফ বলেছেন: এটাইতো প্রব্লেম....
যাইহোক প্লাসের জন্য ধন্যবাদ....
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:১১
সাইদুল হাসান রাজীব বলেছেন: সত্য কথার ভাত নাইরে ভাই... :p
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
সাদিকনাফ বলেছেন: সত্য কথা...
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছয় থেকে আটে গেছে| আগে ৩০ টাকায় ৫টা পেতাম| ৩২টাকায় ৪টা পাওয়া যাচ্ছে| এখন ১শ!টার দাম ৮শ আগে পেতাম ছয়শোতে| ছোটছোট বালুকনাই মহাদেশ বানায়
১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
সাদিকনাফ বলেছেন: শেষ বাক্য দিয়ে কি বুজাতে চেয়েছেন, বুজতে পারলাম না।
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় বাবুল বুখে আয়!!!
আহা বুঝদার একজন পেলাম... ! আমরা সিগারটেে আগুন দেবার আগেই কর পরিশোধের স্টীকার ছিড়ে নিই!্ এতটা দায়িত্ববান নাগরিক দায় আর কে করে বুকে হাত দিয়ে বলুন!
অথজ আমাদের উপরই জুলুম!!! ২ টাকার গোল্ডলিফ ৮ টাকা (কান্নার ইমো)
আবার আইজুদ্দিন বলল এতেও নাকি বিদেশী চক্রান্ত আছে!
দূমপায়ীদের ধূমপানতো বন্ধ হবেনা। এদিকে তামাকের উপর চাপতে চাপতে একসময় তামাক শিল্পে বন্দ হলে আপনার বণির্ত ভয়া-বহ বিপদতো বাদই দিন- আরেক শ্রেণী লাভবানও হবে!!! দেখা যাবে পাশের দেশের সীমান্তে এখন যেমন ফেন্সি কারখানা তখন হবে সীমান্ত ঘেষে সিগেরট ফ্যাক্টরি !!! আবার ইমপোর্ট লাইসেন্স ব্যবাসয়ীদের হবে পোয়াবারো!! আমদানী করে তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে!!!
আর !!!!!!ভাবতে পারছি না। যাই একটা সূখটান দিয়ে আসি
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
সাদিকনাফ বলেছেন: হা হা.... বহুত হাছা কতা
১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
সাদিকনাফ বলেছেন: আর !!!!!!ভাবতে পারছি না। যাই একটা সূখটান দিয়ে আসি.....
-সিরাম হৈছে ডায়লগটা......
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সম্পূর্ন সহমত। এই পোস্ট স্টিকি হোক।
১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
সাদিকনাফ বলেছেন: ধন্যবাদ...।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৬
রাখালছেলে বলেছেন: ভালো বলেছেন