![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশু রাজন হত্যা নিয়ে সপ্তাহ ধরেই সারাদেশ ত বটেই বিশ্বের বাংলাদেশিদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছেই। টেলিভিশন আর পেপার পত্রিকা দেখে যতটুকু জেনেছি তাতে আমার সাহস হয়নি পুরো ভিডিওটা দেখার। ইতিমধ্যেই প্রত্যোক্ষ জড়িত প্রায় সবকটাকে ধরা হয়েছে। সত্যি বলতে পুলিশ ধরেনি বরং এলাকার সাধারন মানুষরা স্বপ্রনোদিত হয়ে আসামীদের আটক করেছে। পুলিশ এসে শুধু বেঁধে নিয়ে গেছে। কয়েকজায়গায় ত আপন মা তাঁর ছেলেকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে বরং আসামীকে টাকার বিনিময়ে দেশ থেকে পালাতে সহায়তার অকাট্য অভিযোগ আছে। অভিযোগ আর সন্দেহের তীর আছে সরকারীদলের এক গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও। তিনি তাঁর সমর্থককে বাচাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা তদবির করেছেন।
যাইহোক আমার কথা আসলে অন্য জায়গায়, আর তা হলো ছেলেটা কে খুন করার পর তারা মাইক্রোবাসে করে গুমের জন্য নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক (!) ভাবে জনতার হাতে ধরা পড়ে যায়। কেনো? গুমের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো কেন? এই প্রশ্নটা কি কারো মাথায় আসছে কখনো? First choice টাই খুন করে গুম করে ফেলো। পরিবারের মানুষ কয়েকদিন খুঁজবে থানা পুলিশ হবে তারপর সব নিস্তেজ। কিংবা লাশ ফুলে ভেসে উঠলে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন। আদালত পর্যন্ত গেলে তো বিচারের বাণী নিভৃতে কিংবা প্রকাশ্য কাঁদবে। সে পর্যন্তও যায় না। কাঁদা কিংবা হাসা ত অনেক পরে।
তো যা বলছিলাম গুমের চিন্তা আসে একটাই কারন, এখন দেশের এমন এক অবস্থায় এসেছে যে গুমটাই নিরাপদ। একেবারে ডালভাত। কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ ? আগে নিজে অথবা কাউকে দিয়ে খুন করো তারপর গুম করে হাত ধুয়ে ডিনার করো। তাতে করে পুলিশি ঝামেলায় অন্তত পড়তে হয় না। আর পুলিশ ও এতে গা করে না। পুলিশের ই বা কি করার আছে? কে কোথায় কাকে কখন গুম করলো পুলিশ কিভাবে জানবে। তাছাড়া পুলিশের অনেক কাজ! এসব ছোটখাট বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে মাথা গরম করার কুনো মানে আছে? মরছে ভালো হইছে, আরকিছু না হোক জনসংখ্যা ত কমলো।
আর সত্য বলতে কি? গুমের পথিকৃৎ ত তারাই। কত শত বিরোধীমতের (ভালো করে খেয়াল কৈরা... আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা সরকারের কথা বলছি না।) মানুষকে সাদাপোষাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তারপর দিনের পর দিন খোজ না পাওয়া অর্থাৎ পুরো ব্যপারটাই একধরনের accepted হয়ে গেছে। মানুষ ও গুমের খবর আর খুব একটা পড়ে না, এতোই সাধারন হয়ে গেছে ব্যপার টা। অথচ গুম ব্যপারটা কতো মর্মান্তিক! সাধারন মৃত্যু হলে কয়েকদিন পর সবাই মেনে নেয়, নতুন জীবন শুরু করে, সে যতই কষ্ট হোক। অথচ গুমের ক্ষেত্রে কি হয়? তাঁর পরিবার জানেনা আদৌ সে বেচে আছে কিনা। স্ত্রী জানে না, মা জানে না, সন্তান জানে না। স্বামী মারা গেলে স্ত্রী ও একটাসময় চাইলে সবকিছু মনচাপা দিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারে । কিন্তু গুম হলে? আমার জানামতে আইন বলে বারো বছর অপেক্ষা করতে হবে। তারপর মনে করতে হবে উনি আর বেচে নেই। এটা এমনই এক বিষয় যার জন্য পারিপার্শ্বিক সবকিছু থমকে যায়, স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সাথে অনেকেরই লেনদেন হয়। সবাই একধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে, কারন তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্ট স্থগিত হয়ে যায়। তাঁর ফ্যামিলির লোক কিংবা নমিনিও টাকাটা তুলতে পারে না।তাঁর সাথে অংশের জায়গা বিক্রি করতে পারে না। এককথায় একজন মানুষ গুম হউয়া মানে তাঁর আশেপাশের সবার ক্ষতি হউয়া। অথচ আমরা উট পাখির মতো, ঝড় এলে মাথা গুঁজে থাকার মতোই নির্বিকার!
আবার ফিরে আসি রাজন প্রসঙ্গে, তাঁর মৃত্যুর সাথে যারা জড়িত আমি যতটুকু জেনেছি এক অথবা দুইজন বাদে সবাই খুব গরিব। চকিদার কিংবা চা বিক্রেতা এই টাইপ, আর বিবাহিত এবং ছেলেমেয়ে আছে। সত্যি বলতে কি? আমার খুব কষ্ট হয় ঐ কুলাঙ্গারদের (আমার মনে হয় বাংলাভাষায় গালাগালি বাচক শব্দ ভান্ডার আরো সমৃদ্ধ হউয়া দরকার। সিপি গ্যাং কে এই দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। ঘুরে ফিরে কয়েকটা গালিই আসে। ভদ্রভাবে মন খুলে কয়েকটা গালি লিখবো তাও পারি না। ) পরিবারের নিস্পাপ মানুষগুলোর জন্য। ঐ খবিশদের জন্য তাদের ছেলেমেয়েকে মানুষ গালি দিবে। মেয়েগুলাকে সারাটা জীবন শ্বশুরবাড়িতে কথা শুনতে হবে। দোষ করলো বাপে আমৃত্যু কথা শুনবে ছেলে মেয়েগুলো। কত কষ্ট! আহারে।
(ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত...)
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
সাদিকনাফ বলেছেন: তা যাই হোক আপনি ত তাও বিশ্বাস করেন, উপরে একজন বসে আছেন, তিনি তাঁর সৃষ্টিকে নিয়ে যা ইচ্ছা করতে পারেন. শুধু এই বিশ্বাসের কারনেই হয়তোবা একসময় বেহেশত পেয়ে যেতে পারেন ...
কিন্তু আপনার গ্রুপের অনেকেই এটা বিশ্বাস করতে চায় না যে, উপরে একজন বসে আছেন ...
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪২
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন:
হে হে হে হে হে........................
সব দোষ ওই ব্যাটার............ যে উপর থেকে খেলা খেলতাসে।