![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি নগর পরযবেক্ষন করে ভয়াবহ চিত্র লক্ষ করা গেছে, প্রশাসনের নাকের ডগায় বিক্রি হচ্ছে জঙ্গীদের মারনাস্ত্র। দা, বটি, কিরিচ, ভুজালী ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্নরকম দেশীয় অস্ত্র। রাস্তায় ও মোড়ে মোড়ে এসব বিক্রি হলেও পুলিশ কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাতে কোনো বাধা প্রধান করছে না বরং কোথাও কোথাও পুলিশকেও এগুলো কিনতে দেখা গেছে। সাধারন মানুষও দেদারসে কিনছে এসব অস্ত্র। আবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে মানুষ তাদের পুরাতন অস্ত্রকে শান দিচ্ছে। এসব অস্ত্র বিক্রিতে সাধারন মানুষের কোন সমস্যা না হলেও কিছু সংখ্যক মুক্তমনাদের গা রীতিমতো চুলকাতে শুরু করেছে। চুলকাতে চুলকাতে তাদের শরীরে ফোস্কা পড়ে গেছে। শত শত বোতল ডাইল, হুইস্কি, বিয়ার, গঞ্জিকা খেয়েও এই চুলকানি কমছে না বরং দিন দিন বাড়ছে। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে বিভিন্ন ভাবে বলতে চাইছেন দেশ জঙ্গিতে ভরে যাচ্ছে, জায়গায় জায়গায় জঙ্গিস্থান (মাদ্রাসা) গড়ে উঠছে। আর একদিন পরেই বিভিন্ন জঙ্গিস্থান থেকে হাজার হাজার জংগি এসব অস্ত্র নিয়ে বেরুবে আর রাজপথকে রক্তে রঙ্গীন করে ফেলবে। তাই তারা এসব বন্ধে তাদের সত্যিকারের বাবার দেশ রেন্ডিয়ার সাহায্য কামনা করে শত শত ই-মেইল আর চিঠি প্রেরন করছেন বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে।
অনেক সুবিধাবাধী মুক্তমনা আবার যুক্তি দিচ্ছেন যে, পৃথিবী যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে, নতুন নতুন মারনাস্ত্র তৈরী হচ্ছে, যেমনঃ আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগে থেকেই এসবের ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। শুধুমাত্র এই জঙ্গিগুলোই কেবল ব্যকডেটেড রয়ে গেলো, তারা এখনো মধ্যযুগীয় কায়দায় ছুরি দিয়ে কোরবানী করে। তাদের উচিত সময়ের সাথে তাল দিয়ে নতুন নতুন অস্ত্র কিংবা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে জবাই দেয়া।
ছবি: সংগৃহীত
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
মাননীয় ব্লগার- এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্যটি কি একটু পরিষ্কার করে জানাবেন? আপনি কি এই ধরনের ব্যাপারটিকে সমর্থন করছেন? এই ধরনের কাজ কি আমাদের ইসলাম ধর্মের জন্য কোন সুবার্তা বয়ে আনছে?
আপনি যে স্যাটায়ার করেছেন, সেটা সামান্য কিছু মানুষের বিকৃত আচরনকে পুঁজি করে। ব্লগে তো আপনিও ব্লগিং করছেন, আপনার এই ধরনের লেখনীর কারনে অন্য সাধারন একজন ব্লগার যদি জেনারালাইসড হয়ে হত্যার স্বীকার হয়, আল্লাহ না করুন, কালকে আপনার সাথেও যদি এমন কিছু করা হয় তাহলে সেটার দায় কিভাবে এড়াবেন?
এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন বলেন?
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই জঙ্গিগুলো ব্যকডেটেড রয়ে গেলো, তারা এখনো মধ্যযুগীয় কায়দায় চুরি দিয়ে জবাই করে। তাদের উচিত সময়ের সাথে তাল দিয়ে নতুন নতুন অস্ত্র কিংবা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে জবাই দেয়া।
মাননীয় ব্লগার- এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্যটি কি একটু পরিষ্কার করে জানাবেন? আপনি কি এই ধরনের ব্যাপারটিকে সমর্থন করছেন? এই ধরনের কাজ কি আমাদের ইসলাম ধর্মের জন্য কোন সুবার্তা বয়ে আনছে?
আপনি যে স্যাটায়ার করেছেন, সেটা সামান্য কিছু মানুষের বিকৃত আচরনকে পুঁজি করে। ব্লগে তো আপনিও ব্লগিং করছেন, আপনার এই ধরনের লেখনীর কারনে অন্য সাধারন একজন ব্লগার যদি জেনারালাইসড হয়ে হত্যার স্বীকার হয়, আল্লাহ না করুন, কালকে আপনার সাথেও যদি এমন কিছু করা হয় তাহলে সেটার দায় কিভাবে এড়াবেন?
এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন বলেন?
দুঃখিত আগের মন্তব্যটি ইগনোর করুন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
সাদিকনাফ বলেছেন: আমার পুরো লেখা পড়লেই ত বুঝার কথা আমি কোন পক্ষে। আর এই লেখায় কোন ব্লগার কে ত আক্রমন করিনি বরং বলেছি কিছু সংখ্যক তথাকথিত মুক্তমনাদের কথা। যারা প্রায়ই এসময়টাতে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে কোরবানী নিয়ে সমালোচনা করে ।
আর যে লেখাগুলো বোল্ড করে দিয়েছেন সেটা আমার কথা নয় এবং আমি এতে বিশ্বাসী নই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় প্রাপ্ত লেখা থেকে মুক্তমনা নামধারি কিছু সুবিধাবাধীদের বক্তব্য Quote করেছি মাত্র।
ভালো থাকবেন... ধন্যবাদ, আপনার এই প্রশ্নের জন্য অনেকের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে এখন।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
সত্যান্বেসী বলেছেন: তাহলে আপনার বক্তব্য হলো এই অস্ত্র বিক্রিতে কারো কোনো অসুবিধা নাই শুধু মুক্তমনাদের অসুবিধা | সেত হবেই দাদা | মুক্তমনারা মানবতাবাদী | তারা ভালই বুঝতে পারছে যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাকিস্তান হবে | মানবতার জায়গা থাকবে না | তাই তাদের গা খুব চুল্কছে |
মুক্তমনাদের বাবা ভারত নয় | ভারত কিছুই করতে পারবে না তবে ভারতের মাথাব্যথার যথেষ্ট কারণ আছে |
মুক্তমনাদের সুবিধে বাদী বলছেন | দয়া করে দেখাবেন কি তারা কোন সুবিধাটা নিয়েছে ?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
সাদিকনাফ বলেছেন: জি, শুধুমাত্র স্বঘোষিত মুক্তমনারাই এসবের বিরোধিতা করেন। যদি তা না হতো, তবে তারা বিয়ে বাড়িতে যখন হাজার হাজার মুরগী কাটা হয়, শত শত ছাগল জবাই হয় তখন প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু তারা তা করেন না। তখন তাদের পশুপ্রেম ও থাকেনা মানবপ্রেম ও থাকেনা। পশু প্রেম কেবল গরুর প্রতি! (এটাকে কি সুবিধাবাদ বলবেন না?)
কেবল মাত্র যখন কোরবানীর ঈদ আসে আর মানুষজন গরু কোরবানি দেয় তখনই মানবতাবাদ(পশুতাবাদ) বাইয়া বাইয়া পড়ে। আরো কথা হলো এইসব কোরবানির পশুর চামড়া যেহেতু দান করে দিতে হয় সেক্ষেত্রেও তা চলে যায় বিভিন্ন মাদ্রাসা বা এতিমখানায় (লিল্লাহ বোর্ডিং)। এটাও মানবতাবাদিদের বিরাট মাথাব্যথার কারন।
ভালো থাকবেন, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০
সত্যান্বেসী বলেছেন: গরু কাটাটা কি ইসলামে বাধ্যতামূলক ? আরবেও কি মুসলমানরা গরু কাটে ? ইরাক, ইরান, তুর্কি , মরক্কো ইত্যাদি মুসলিম দেশগুলোতেও কি ঈদের সময় গরু কাটা হয় ? কোরানে কোন সুরার কোন আয়াতে ঈদের দিন গরু কাটতে বলেছে যদি দয়া করে উল্লেখ করেন তো বাধিত থাকব ।
ভালো কথা : নবীও কি ঈদের দিন গরু কেটেছিলেন ? গরু ব্যতীত অন্য কোন পশু কেটে ঈদ পালন করা যায় না ? না শুধু হিন্দুদের মনে দাগা দিতে গরু কাটতে হয় ? আমি ঠিক জানি না | দয়া করে বলবেন ?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
সাদিকনাফ বলেছেন: না গরু কাটা বাধ্যতামূলক নয়... তবে যেহেতু গরু বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং পরিমানে প্রচুর এজন্যই গরু কোরবানি দেয়া হয়... হিন্দুদের কে কষ্ট দেয়ার জন্য গরু জবাই দেয়া হয় সেটা যদি বলেন তবে সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়... তাছাড়া আমার জানামতে হিন্দু ধর্মগ্রন্থে কোথাও বলা হয়নি গরু খাওয়া নিষিদ্ধ ...
উনাদের দুর্গাপূজার প্রতিমাতে দেখা যায় মহিষ হত্যা করা হয়...
মুসলমানদের এই গরু কোরবানী আর হিন্দুদের পবিত্র প্রানী হত্যা এক না করাই উত্তম... তাছাড়া পুরো ব্যাপারটা স্ববিরোধীতা ও বটে...
আচ্ছা বলুনতো হিন্দুগন ত জানেন মুসলমান রা গরু কেটে ফেলে এর পরও উনারা মুসলমানদের কাছে গরু বিক্রি করেন কেনো? আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভালো কোরবানি সাধারণত পুরুষ গরু দেয়া হয়.. গাভী নয়... উনারা গাভিকে গো-মাতা বলেন...
পুরুষ গরু নিশ্চয়ই গো-মাতা হবে না...
এরপর ও যদি intentionally কেউ একটার সাথে অন্যটা মিলানোর চেষ্টা করেন তবে ত আসলেই কিছু করার নেই....
ধন্যবাদ. .
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫
কালীদাস বলেছেন: স্যাটায়ার খুব একটা ভাল হয় নাই, অবশ্য আমাদের সার্কাজম বুঝতে পারার ক্যাপাবিলিটিও জিওমেট্রিকালি কমছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
সাদিকনাফ বলেছেন: Thanks for your evaluation... আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি... সামনে চেষ্টা থাকপে ভালো sarcasm টাইপ লেখার...
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
সত্যান্বেসী বলেছেন: পুরুষ গরু মানে কি ষাঁড় ? ষাঁড় কোরবানী দেয়া হয় ? বলদ নয় ? এছাড়া বাংলাদেশে কি ছাগল ও ভেড়া সহজলভ্য নয় ?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
সাদিকনাফ বলেছেন: আমার মনে হয়ে আপনি শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক করছেন… তর্কের জন্য যুক্তি আর সহনশীলতার প্রয়োজন...
এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই...
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
সত্যান্বেসী বলেছেন: না শুধু তর্কের খাতিরেই তর্ক করছি না | একটা জিনিস জানার চেষ্টা করছি | আগের পোস্টে আপনি বলেছিলেন গরু কাটা হয় কারণ বাংলাদেশে গরু সহজলভ্য | আমি জানতে চাইছি ছাগল ভেড়া কি সহজলভ্য নয় ? তাহলে সেগুলো কেন কাটা হয় না ?
আর হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থের কোথায় গরু কাটার বিধান আছে তা দেখিয়ে দিলে বাধিত হব | এত বেদ বেদান্ত পড়লাম কোথাও গরু কাটার বিধান দেখলাম না | দুর্গাপূজায় মহিষ নয় মহিষাসুর নাম এক অসুর বধ করা হয় | আমরা করি না, করেন দূর্গা মা |
যেসব গরু হিন্দুরা মুসলমানকে কাটতে দেয় সেগুলো বুড়ো গরু , তাদের কোনো উপযোগিতা নেই | যদিও ব্যাপারটা অমানবিক | যে গরু মুসলমানেরা কোরবানী দেয় সেগুলো মোটেই বুড়ো নয় |
সেই জন্য মনে হয় যে শুধু হিন্দুদের উত্যক্ত করার জন্যই এই গরু কাটার বিধান | ইসলামে ছাগল ভেড়া কাটারও বিধান আছে |
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
সাদিকনাফ বলেছেন: জি, ছাগল কিংবা ভেড়াও সহজে পাওয়া যায় এবং দামে যথেষ্ট সস্তাও বটে। আর এগুলো দিয়ে কোরবানী দিলে তা গ্রহনযোগ্য... এমনকি অনেক জ্ঞানী বলেছেন ছাগল দিয়ে কোরবানী করা উত্তম (অবশ্য এ ব্যাপারে আমি কোন রেফারেন্স দেখাতে পারবো না )।
মনে করেন বাংলাদেশের সবাই ছাগল দিয়েই কোরবানী দিলো তাহলে কি হবে? এত এত গরু কি হবে? আচ্ছা গাভি না হয় দুধ দেয় আর ষাড়গুলো দিয়ে কি করবো? হাল চাষ? তাদের পিছনে যে এতো খরচ হবে সেগুলো কি হবে? তাহলে কি ষাড় গুলো জন্মের পরই মেরে ফেলতে হবে? তাহলে আবার সমস্যা, তখন বংশবৃদ্ধির জন্য ত ষাড় খুজে পাওয়া যাবে না। পুরো ইকো সিস্টেমটাই ত হুমকিতে পড়ে যাবে ভাই, তাই না?
এতো মানুষ যে এগুলো লালন পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে চলছে সেটা কি হবে? বাজেটে যে এতো ঘাটতি হবে তা পুরন হবে কিভাবে? গত কয়েক দশক ধরে শুধুমাত্র গরুর অন্ত্র নাড়ী ভুড়ি পক্রিয়াজাত করে রপ্তানী করে কয়েকশত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, এটা হাড়ের হিসাব ছাড়া, হাড়ের হিসাব করলে তা বেড়ে যাবে অনেক গুণ (সুত্র- সমকাল পত্রিকা)।
আমি বুজি না, আপনারা কেনো এই ব্যাপারটা শুধু শুধু ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের দিকে টেনে আনছেন ? ধরলাম আপনার ধর্মে এটা নিষিদ্ধ কিন্তু অন্য ধর্ম বিশেষ করে মুসলমান, খ্রিস্টান, ইহুদী ধর্মে ত এটা পালন করা যায়, তবে কি হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ বলে তারাও মানতে বাধ্য? এতোটা আশা করা মনে হয় উচিত না। যুক্তিসম্মতও না।
বিশ্বে মাংস রপ্তানিতে ব্রাজিলের পরেই ভারতের স্থান। তবে কি শুধু বাংলাদেশিদের জন্য এই আইন? অন্য যে কেউ গরু কাটলে সমস্যা নাই, শুধু বাংলাদেশের মুসল্মানেরা কাটলেই মহা ভুল হয়ে যাচ্ছে।
আরেকটা বিষয় আপনি বলেছেন হিন্দুরা বুড়ো গরু কাটতে দেয় (যদিও তথ্যটা সর্বাঙ্গে ভুল) তর্কের খাতিরে ব্যাপারটা মেনে নিলাম। এর মানে হলো বয়স্ক গরু কাটতে বাধা নেই আর থাকলেও সেটার ক্ষেত্রে ক্ষমা আছে! কি অদ্ভুত আর হাস্যকর যুক্তি আপনার! আরেকটা বিষয় হলো গরুর মাংস খেলে সমস্যা কিন্তু লক্ষ লক্ষ চামড়া যে প্রতি বছর ভারতে (বৈধ এবং চোরাই পথে)যায় সেগুলো দিয়ে জুতা সহ আরো অনেক জিনিস বানানো হয়, তখন কি কোন সমস্যা হয় না? খেলেই শুধু দোষ?
হ্যাঁ, আমি স্বীকার করছি, যদি কেউ উদ্দ্যশ্য প্রনোদিত ভাবে মন্দির বা হিন্দু কারো বাসার অতি নিকটে সেগুলো কাটে, তবে তা খুবই গর্হিত হবে, (যেহেতু হিন্দুগন সেটা পছন্দ করেন না সেজন্য গর্হিত বলছি, কারন ইসলাম ধর্ম বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে, বরং অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীল আচরন করতে আদেশ দিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেগুলো বিশেষ রাজনৈতিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য নিজেরাই করে অন্যের উপর দোষ চাপায়, এটা প্রমানিত সত্য, খোদ ভারতেই এরকম অনেক প্রমান পাওয়া গেছে) কিন্তু নিজ বাসায় যদি কেউ তা কেটে খায় আর বিলি করে তবে ত আপনাদের অসুবিধা থাকার কথা না।
হিন্দু ধর্মে গরু খাওয়া যায় এর সপক্ষে কিছু প্রমান...।
এক. ভোজনযোগ্য প্রাণী খাওয়া পাপের কিছু না । বহ্মাই খাদ্য এবং খাদক প্রাণী শৃঙ্খল তৈরি করেছেন
তথ্যসূত্র:Manusmriti Chapter 5 / Verse 30
দুই. মহাঋষি যাজ্ঞবল্ক্য শতপথ ব্রাহ্মণে বলেছেন: আমি গরুর মাংস খাই কারণ এটা নরম আর সুস্বাদু
তথ্যসূত্র:Maharishi Yagyavalkya says in Shatpath Brahmin (3/1/2/21)
তিন. অপস্তম্ভ গৃহসূত্র তে আছে: মেহমান আসলে, মৃতের শ্রাদ্ধে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের গরু কেটে খাওয়াতে হবে ।
তথ্যসূত্র:Apastamb Grihsutram (1/3/10)
চার. ঋগবেদ বলছে: মেয়েদের বিয়ের সময় ষাড় এবং গাই গরু জবাই করে খাওয়াতে হবে
তথ্যসূত্র:Rigveda (10/85/13)
পাঁচ. ঋগবেদ আরো বলছে: দেবরাজ ইন্দ্র গরু বাছুর ঘোড়া এবং মহিষের মাংস খেতে খুব ভালোবাসতেন
তথ্যসূত্র:Rigveda (6/17/1)
ছয়. বশিষ্ঠ ধর্মসূত্রে লেখা আছে: যদি কোন বাহ্মণ কোন মৃত্যের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গরুর মাংস খেতে অস্বীকার করে তবে তার প্রার্থণা কবুল হবেনা এবং মৃত ব্যাক্তি নরকে যাবে
তথ্যসূত্র:Vashistha Dharmasutra (11/34)
সাত. হিন্দুধর্মের অন্যতম সাধক স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন: প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র ও রীতি অনুযায়ী গরুর মাংস না খেলে হিন্দুত্ববাদ পূর্ণতা পায়না ।
তথ্যসূত্র:The Complete Works of Swami Vivekanand, vol.3, p. 536).
আট. আদি শংকরাচার্য বৃদ্ধারানিকাপনিষদে বলছেন: ওদান[ভাত] আর মাংস মিশিয়ে হয় মাংসদান যেটা বীর্য তৈরি কারক উপকারি খাবার এবং মাংসটা হতে হবে গরুর ।
তথ্যসূত্র:Adi Shankaracharya’ commentary on Brihdaranyakopanishad 6/4/18
নয়. ‘The History and Culture of the Indian People’, নামের বইটি যেটি ভারতীয় বিদ্যভবন, বম্বে থেকে প্রকাশিত এবং আর সি মজুমদার কর্তৃক সম্পাদিত তার দ্বিতীয় খন্ডের ৫৭৮ পৃষ্ঠায় লেখা আছে: মহাভারতে আছে রাজা রন্টিদেব প্রতিদিন দুই হাজার বিভিন্ন জন্তু এবং দুই হাজার গরু জবাই করে এর মাংস প্রজাদেরকে বিলিয়ে দিতেন
দশঃ এছাড়া রাম তো গরুর মাংস ছাড়া ভাতই খেতে পারতেন না বলে শুনেছি,
আরেকটা বিষয় হচ্ছে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা জন্মান্তরবাদে বিশ্বাস করে সেজন্য যেকোনো প্রানী হত্যাই নিষিদ্ধ, এমনকি মাছ ও। তবে কেনো শুধু গরুতে সমস্যা? বলবেন কি? এটা কি তবে বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা?
যেহেতু আমরা হিন্দু বিশেষজ্ঞ নই সেজন্য হয়তো বা ডিটেইলে কিছু বলতে পারবো না... বিভিন্ন অনুবাদ গ্রন্থ বা এধরনের বাংলা রেফারেন্স এর উপর নির্ভর করতে হবে...
পুনশ্চঃ আজকের পত্রিকাগুলো, গতকালের নিউজ চ্যানেল আর সামাজিক গনমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানলাম ভারতের উত্তর প্রদেশের (দিল্লির খুব কাছের প্রদেশ) একটি গ্রামে ৫০ বছরের বৃদ্ধকে ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে দেয়া হয়েছে, আর তাঁর ছেলে তাঁকে বাচাতে গিয়ে হয়েছেন গুরুতর আহত। তাদের ঘর কে লন্ডভন্ড করে দেয়া হয়েছে। গুজব রটানো হয়েছিলো তাদের বাসায় নাকি গরুর মাংস খাওয়া হচ্ছে। পরে পুলিশ ঐ মাংস পরিক্ষা করে দেখেছে তা ছিলো খাসির মাংস। আপনি এখন কি বলবেন? টাকা দিয়ে কি এই ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া সম্ভব? শুধু কল্পনা করতে বলবো যদি এই ব্যপারটা বাংলাদেশে ঘটতো তবে কি হতো? এতক্ষনে ধুন্ধুমার লেগে ত্রাহি ত্রাহি লেগে যেত। দয়া করে মিথ্যা পরিসংখান দিবেন না।
বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের দেশ। এখানে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি গোষ্ঠির সমান অধিকার নিশিচত করেছে আমাদের সংবিধান। কেউ সংখাগরিষ্ঠ হলেই তার দয়ায় অন্যরা বাঁচার সুযোগ নেই। একই অবস্থা তো থাকার কথা ছিলো ভারতেও। তা কি সেখানে আছে? দয়া করে নিশ্চিত হয়ে নিরপেক্ষভাবে বলবেন আশা করি, (অনুরোধ থাকলো এপিজে আবুল কালাম, আর চিত্র নায়কদের কথা বলবেন না। ) আমি সামাজিক অবস্থা, চাকরি, ব্যবসা, ইত্যাদি বুজাচ্ছি। আশা করি উত্তর পাবো। গত দশ বারো বছর আগে মুসলমানদের যে সামাজিক আর অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো বর্তমানে তা মারাত্নক (আশঙ্কাজনক ভাবে বললে কম বলা হয় এজন্য মারাত্নক বললাম।) রকম কমে প্রায় শুন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। এটাকে আপনি কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
হামিদ আহসান বলেছেন: