![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় এক হাজার বছর আগে ইয়াহুদী দ্বারা মদিনায় রাসুলুল্লাহ সা: লাশ মোবারক চুরির চেষ্টা আল্লাহ ব্যার্থ করে দিয়েছিলেন। আজও ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। শত শত মানুষ সেখানে এতেকাফরত ছিলেন। কি হতে পারতো ভাবলেই শিউরে উঠছি। এই কাজ কখনো কোন মুসলমানদের দ্বারা সম্ভব নয় কারন কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হতে পারবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের সব কিছুর চাইতেও রাসুল সা: কে বেশী ভাল না বাসবে। আর নিজেকে মুসলিম দাবি করে মসজিদে নববীর কাছে হামলা! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? সবার সকল সন্দেহ সত্যি প্রমানিত হলো, এগুলো যে ইহুদিদেরই কাজ এবং তথাকথিত আইএস ও তাদেরই ঔরসজাত। এই ইয়াহুদীরা কখনোই নবী সা: কে স্বীকার করতে চায়নি এবং অসংখ্য নবী কে হত্যা করেছে। তারা এখনো নিজেদেরই শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে থাকে। তারা মনে করে নবী যদি আসতেই হয় তবে ঈসরাইল জাতির মধ্যেই আসতে হবে। যে কারনে তারা মুসলমানদের সবচেয়ে প্রিয় স্থানে আঘাত দিতে দ্বিধা করে না। শিয়ারাও এই সাহস করবে না। কারণ তারাও নবীজী সা: কে সর্বশেষ নবী হিসেবে মানে। সুতরাং নি:সন্দেহে এই হামলা ইয়াহুদীদেরই কাজ। এর চেয়ে বড় কি প্রমান হতে পারে? এ পর্যন্ত ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে যতগুলো আত্মগাতী হামলা হয়েছে, সেগুলো সবকটির মুলে এই অভিশপ্ত ইহুদী জাতি। এরা ব্যবসা চিনে। কোন জায়গায় গুড় লাগালে পিঁপড়া আসবে, আর শেষে কুকুর বিড়ালের মারামারি হবে। মারামারি মানেইতো অস্ত্রের ব্যাবসা আর তাদের কাছে গিয়ে ধরনা দেয়া। এতদিন আমার শুধু ধারণা ছিলো আজ থেকে তা বিশ্বাস করতে শুরু করলাম। মুসলমানদের মাঝে যত বিভক্ত সৃষ্টি করানো যাবে ততই তাদের লাভ। এই সহজ কথা সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান রা বুঝে কিন্তু নিজেদের ব্যাক্তিগত লাভের কারনে কিংবা নিজেদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কখনোই এক হতে চায় না। মাঝ থেকে মারা যায় নিরপরাধ নিরীহ মানুষ। নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেনো তাদের. জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আর ইহুদিদের সকল চক্রান্তকে ধুলিস্যাত করে দেন... আমিন
বি:দ্র:- গতকালের লেখা আজ পোস্ট দিলাম..
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আইসিস যে ইহুদীদের মদদপুষ্ট তা বহু আগেই অনুমান করা গেছে
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫
বিলিওনার বলেছেন: মুসলিমরা সবকিছুতে ইহুদীদের দেখে, এটা ভুল। আইএস হলো খারেজী, মুহাম্মদ (সঃ) জীবিত থাকলে তাকে ও কাফির ঘোষনা দিয়ে মেরে ফেলতো। কারন এরাই হযরত আলী (রঃ) কে কাফির ঘোষনা দিয়ে হত্যা করেছে।
জিজ্ঞাস করেন, আব্দুল্লাহ্কে কে হত্যা করেছে? জবাবে তারা- আমরা সবাই মিলে হত্যা করেছি- স্লোগান দিতে থাকে। এরপর আলী (রা
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। নাহরওয়ান অঞ্চলে তাদের সাথে মুসলমানদের তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে খারেজীরা পরাজিত হয় খারেজি সম্প্রদায়ের ফেতনাও সাময়িক ভাবে খতম হয়ে যায়। এরপর এরা আলী (রঃ) কে হত্যা করে।
জেনে নিন, খারেজী কারা,
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ হতে বর্ণীত ,এক লোক রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে জেরানা নামক স্থানে দেখা করেন। জেরানা নামক স্থানটি হল সেই জায়গা যেখানে রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) হুনায়নের যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মাল বণ্টন করছিলেন ।সাহাবী বেলাল (রঃ) এর কাপড়ের উপর রুপার টুকরা গুলো রাখা ছিল। নবীজি সেইখান থেকে মুষ্টি বদ্ধ ভাবে মানুষকে দান করছিলেন। তখন উপস্থিত ঐ লোক বললঃ- “হে মুহাম্মদ আপনি আল্লাহ্কে ভয় করুন ও ইনসাফ করুন”
রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ ধ্বংস তোমার জন্য ।আমি যদি ইনসাফ না করি তবে কে ইনসাফ করবে? আল্লাহর শপথ! তোমরা আমার পর এমন কোন ব্যক্তি পাবে না যে আমার চেয়ে অধিক ন্যায় পরায়ণ হবে।সাথে সাথে ওমর (রঃ) (মতান্তরে খালিদ বিন ওয়ালিদ ) বলেন হে রাসুল আপনি অনুমতি দিন আমি এই মুনাফিককে হত্যা করি। রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ না, আমি আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই । যদি এমন কর তবে মানুষ বলবে আমি আমার সাহাবীদের হত্যা করি ।ঐ লোক চলে যাওয়ার পর ,তিনি আরও বলেন, এই লোকটা ও তার কিছু সঙ্গী থাকবে যারা কোরআন পড়বে কিন্তু কোরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।[মুসলিম শরীফ][নাসায়ী শরীফ পৃষ্ঠা ৩০৮]
খারেজি নামকরণঃ খারেজী আরবি শব্দ যা এসেছে খারাজা থেকে,যার অর্থ বেরিয়ে পড়া মূলত যারা কোরআন ও হাদিসের পথ থেকে বেরিয়ে পড়ে তাদেরকে খারেজী বলা হয়।এজন্যও খারেজী বলা হয় করন তারা বেরিয়ে পড়েছে হত্যার উদ্দেশে সমকালীন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষকে।এছাড়াও যারা ( লোক বা গুষ্টি বা দল ) ইসলামের পক্ষে কাজ করে বা করার জন্য চেষ্টা করে ,কিংবা ইসলামকে পূর্ণ বা আংশিক ভাবে মেনে চলে তাদেরকে যারা কাফের মনে করে তাদের তাদের কে খারেজী বলা হয়।
এই দলটি সম্পর্কে আল্লাহ তার রাসুল (সঃ) কে আগে ভাগেই জানিয়েছিলন,এবং রাসুল (সঃ) সাহাবীদের নিকট এই দলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভবিষ্যত বাণী করে যান যাতে উম্মাতে মুহাম্মাদি (সঃ) সচেতন হতে পারে।কয়েক দশক পরেই রাসুল (সঃ) এর ভবিষ্যৎ বাণী সত্য প্রমাণিত হয় এবং খারেজিদের আত্বপ্রকাশ ঘটে।এরপর যুগ যুগ ধরে এই খারেজীরা মুসলিমদের মধ্যে ফিতনা ফাসাদ করেই যাচ্ছে।হযরত আলি (রাঃ) এর জামানা থেকে আজও পৃথিবিতে খাওরাজ বিদ্যমান।খারেজিদের হাতেই খোলাফায়ে রাশেদা শহীদ হয়।খারেজিদের হাতেই ১৪০০ বছর ধরে চলমান খিলাফার পতন হয়,খারেজীদের কারনেই বর্তমানে খিলফার যে সূর্য পুনরায় জেগে উঠেছিল তা অস্তমিত হওয়ার পথে।
মুসনাদে আহমাদের অন্য বর্ণনায় এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ বর্ণনা করেছেন যে, পূর্ব দিক থেকে আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে যারা কোরান তেলাওয়াত করবে কিন্তু কোরানের বানি তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করবে না। যত বারই তাদের কিছু অংশের প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে ততবারই তারা ধ্বংস (হত্যা করা) হয়ে যাবে। এভাবে রাসুল সাঃ দশ বার বলার পরে বলেন, 'যত বারই তাদের কিছু অংশের আবির্ভাব হবে ততবারই তারা ধ্বংস (হত্যা করা) হয়ে যাবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদেরই একটি গোষ্ঠীর মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব হয়।
এই খারেজীরা সাহাবি আব্দুল্লাহ্ বিন খাব্বাব বিন আরিত (রাঃ)-কে হত্যা করে তার অন্তসত্বা স্ত্রীর পেট ফেড়ে দু-টুকরা করে দেয়।আলী (রা