![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে কিছু একটা বলতে হবে। ভাবছি কি বলা যায়। কিছু একটা তো বলতে হবে। ঠিক আছে বলছি, প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র, আমি আমার মত আর তুমি তোমার মত। তারপরও কারো কারো সাথে আমাদের চেনা জানা হয়ে যায়, একে অপরকে ভাল লাগে, বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
ওঁরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়
ওঁরা কথায় কথায়,
শিকল পরায় আমার হাতে পায়......
১৯৫২, বাঙালি জেগে উঠলো। জেগে উঠলো দল-বল, জাতি-গুষ্ঠি, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা, কামার-কুমার-জেলে-তাতি-কৃষক নির্বিশেষে। মায়ের ভাষাকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল রাজপথে। যারা আমাদের মায়ের ভাষা ছিনিয়ে নিতে চাইল তাঁদের আমারা প্রতিহত করলাম। সোনার ছেলেদের জীবনের বিনিময়ে মায়ের ভাষা রক্ষা হলো। বাঙালি জেগে উঠেছিল, বিজয় ছিনিয়ে আনার আগ পর্যন্ত কেউ দমাতে পারেনি। আমার সোনার দেশের সোনার ছেলেরা ভাষার যুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরেছে।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি ||
যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদী জল ফুলে-ফলে মোর স্বপ্ন আঁকা
যে দেশের নিলো অম্বরে মন মেলেছে পাখা
সারাটি জীবন যে মাটির গানে বক্ষ ভরি ||
১৯৭১, আবার বাঙালি জেগে উঠলো। জেগে উঠলো দল-বল, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে। আমাদের সোনার ছেলেরা আমার হুংকার দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল সোনার দেশটাকে শত্রু মুক্ত করতে। দীর্ঘ নয়-মাস গোলামীর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে মূল্য দিতে হয়েছে ৩০ লক্ষ ভাই-বোনের। আরও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। আমরা স্বাধীন, আমরা বাংলাদেশী।
২০১৩, জাগো বাংলাদেশ, জাগো। ঘুমিয়ে থাকার সময় ফুরিয়ে এসেছে। দল-বল নির্বিশেষে আমাদের এই সোনার দেশের সম্ভ্রম রক্ষা করার দায়িত্ব কাঁধে এসে পরেছে। ঘরে বসে থাকার সময় নেই।
জাগো জাগো তরুণ বণিতা
দেশ আমার মহাপ্রলয়ে
আবার হাতে হাত রেখে গড়ব দেশ
মুক্ত হবে ঘরের শত্রু আহা বেশ বেশ বেশ,
নাই নাই ভাববার সময় নাই
কে বিজয়ী কে বিজিতা।।
যে সকল হায়েনারা ৭১-এ ছোবল দিয়েছিল, তাঁরা এখনও বেঁচে আছে, বারবার ছোবল দিচ্ছে মায়ের বুকে। ওঁদের অট্টহাসি আর রক্তচক্ষু ছোবলে আবারও কুলশিত হচ্ছে মায়ের বুক, রাক্ষসী, রাজনৈতিক পতিতাদের দিয়ে ওঁদের বিচার করা সম্ভব নয়। ওঁরা আছে ব্যবসা নিয়ে। ওঁরা আছে স্বামী আর পিতার আড়ালে দেশটাকে লুটেপুটে খেতে। আর রক্ত পিয়াসুরা হায়েনার কালো হাত দেখাচ্ছে। তাই ওঁদের বিচার আমাদের আদালতেই হবে। ১৯৫২ সালে প্রমাণ করেছি, প্রমাণ করেছি ১৯৭১-এ। এবার আবার প্রমাণ করার সময় এসেছে। বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করতে জানে, জীবন দিতে জানে। আমরা প্রহসনের বিচার চাইনা।
রাজাকার, আলবদর, আলশামস সহ সকল হায়েনার বিচার করবো আমাদের রাজপথের আদালতে। যেভাবে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বিচার করেছে, জীবন বাজি রেখে ছিনিয়ে এনেছে ভোরের সূর্য। তেমনি আবার দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে জেগে উঠো। আবারও মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। ওঁদের বিচার না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
জেগে উঠ ভাই আমার বোন যত ঘুমে
থেকোনা নীরবে বদ্ধ অন্ধকারে
পাশে এসে দাঁড়িয়ে কাঁধে হাতে হাত
বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলি সবে আজ
জাগো দেশ আমার বাংলাদেশ।।
©somewhere in net ltd.