নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়? কি হবে আর এই পরিব্রাজকের পরিচয়ে?

তালুকদার নাজমুছ সাফিন

জীবন , সে তো এক অসংখ্য সাদাকালো কিংবা রঙিন পাতায় সাজানো গল্পের বই

তালুকদার নাজমুছ সাফিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

. . .একান্ত কিছু কথা. . .

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮

মাঝে মাঝে ভাবি, নিজের একটা বোন থাকলে মন্দ হতো না ! জমা রাখা সবটুকু আদর বোনের জন্য থাকতো !!


সকালে ঘুম থেকে ডেকে দিতো , বেড থেকে না উঠলে হয়তো ঘুম তাড়ানোর হাজারটা উপায় বাতলে দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাতো । সারাদিন হয়তো খুনসুটিতেই কাটিয়ে দিতাম । কখনো ঝগড়া বা কখনো মারামারি , আবার কখনো রাগ ভাঙ্গানোর জন্য চকলেট কিনে আনা । কখনো আবার মায়ের কাছে নালিশ দেওয়া , কখনো বা বাসার বকুনি থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া । অসুস্থ হলে হয়তো সারাদিন ওষুধ আর ওষুধ করে সারা বাসা এক করে ফেলা । আমার ওষুধের প্রতি একটা বিরূপ মনোভাব আছে । হয়তো কখনো জোর করেই ওষুধ খাইয়ে দিতো । আমি হয়তো ওষুধ না খাওয়ার হাজারটা কারণ বের করে বলতাম যে ওষুধ খাবো না । আমার বোন হয়তো বলতো, ভাইয়া , তুই ওষুধ খেয়েই তারপর চুপ করবি । রাতের খাবারের জন্য হয়তো টেবিলে বসে থাকতো তার ভাইয়ার জন্য । আরো কতো কি !!! বোন নেই , তাই এতোটা বুঝি না । একটা বোনই হয়তো হতে পারে বাসায় ভাইয়ের সবচেয়ে আপন বন্ধু ।


আমরা দুই ভাই ! আমাদের দুই ভাইয়েরই সবচেয়ে আফসোসের জায়গাটা হয়তো বোন না থাকা । ছোট বলে আফসসের পরিমাণটা আমার একটু বেশি । ছোট থেকেই ভাইয়াকে কাছে পাওয়া হয়েছে অনেক কম । আমি যখন বুঝতে শিখেছি , তখন ভাইয়া ক্যাডেট কলেজের চার দেয়ালে বন্দী । দেখতে দেখতে ছয় বছর চলে গেলো । আমি বড় হতে লাগলাম , ভাইয়াকে কাছে না পাওয়া , ভাইয়ার আদর না পাওয়ার হতাশা , কস্টটাও বড় হতে থাকলো । এরপর ভাইয়া চলে গেলো বিএমএ তে , দুই বছরের ট্রেনিং । ততোদিনে আমি বুঝতে শিখে গেছি , চলতে হবে একাই । কথায় আছে , ''ব্যস্ততা দেয় না মোরে অবসর'' । দিনশেষে আমরা সবাই ব্যস্ত । ভাইয়া ব্যস্ত তার দেশসেবার মহান দায়িত্ব নিয়ে , চাকরি নিয়ে । আমরা ব্যস্ত দিনটাকে দিন করে দেখতে ।


মাঝে মাঝে বোনের শুন্য জায়গাটা বড্ড কষ্ট দেয় । সবসময় ভাবি , বোন থাকলে এটা করতাম , সেটা করতাম । অনেক আদর করতাম , আমাদের দুই ভাইয়ের রাজ্যে বোনটা আমার থাকতো আদরের একমাত্র দাবিদার ।


আল্লাহ সবাইকে সবকিছু দেয় না । কিছু অপূর্ণতা নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হয় । আমরা বেঁচেও থাকি । বেঁচে থাকাতেই দুনিয়ার যতো স্বার্থকতা ।


মাঝে মাঝে কিছু লিখতে গেলে চোখটা ভিজে যায় জলে । এটা খুব বাজে একটা জিনিস !!


শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা , পৃথিবীর সকল বোনদের জন্য...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই আপনার মত দুঃখটা আমারও ছিল অনেকদিন। এখন মামাতো, খালাতো বোনগুলো জন্ম নেওয়ায় শূণ্যস্থানটা পূরণ হয়েছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১১

তালুকদার নাজমুছ সাফিন বলেছেন: আমার মামাতো-খালাতো বোন শহবাই অনেক বেশি সিনিয়র । আর নিজের বোন তো নিজের বোনই । সেটার আসলে ব্যাপারটাই আলাদা.।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.