নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাগর শরীফ কায়সার

If you donot see bangla, download: http://www.omicronlab.com/avro-keyboard-download.html

সাগরসিএসই_০৬

জীবনের এই প্রান্তে এসে, কত ভাবনার জালে জড়ালাম...

সাগরসিএসই_০৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন জাফর ইকবালঃ অন্ধ প্রেম নাকি আদর্শিক ভালোবাসা?(প্রথম পর্ব)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪

"লেখকের কথাঃ এটি কেবলই একটি গল্প, আমি খুব খুশি হব যদি এটা সত্যের সাথে ঘুণাক্ষরেও মিলে না যায়। আর কারো জীবনের কোন অংশের সাথে যদি মিলেও যায়, লেখক তার জন্য এতটুকুও দায়ী নয়।"



বৃহস্পতিবার, বিকেল চারটার দিকে পরীক্ষা শেষ হল আসিফদের। এটা সেকেন্ড মিডের শেষ এক্সাম। সবাই যার যার মত হেলেদুলে ক্লাস থেকে বের হচ্ছে, কেউ কেউ আবার প্রশ্ন নিয়ে কথাবার্তা বলছে। এমন সময় কাকলী রিশাদকে বলে উঠল,



'অ্যাই রিশাদ, ফেব্রুয়ারি তো চলে আসল। বই মেলায় যাবি না?’'



'যাওয়ার ইচ্ছা তো আছে, কিন্তু সময় করতে পারব কিনা কে জানে। নেক্সট মানথেই তো থার্ড মিড।’'



'মিড টিড যাই থাকুক, এবার আমি যাবই। সেই কত বছর আগে গিয়েছিলাম। তাছাড়া মেলায় তো জাফর ইকবাল স্যার আসবে। জানিস তো, উনি আমার প্রিয় লেখক। কত স্বপ্ন দেখেছি উনাকে নিয়ে। ইশ, একবার যদি উনার সাথে দেখা করতে পারতাম, তাহলে পা ছুঁয়ে সালাম করতাম। এবার আর দেখা করার চান্সটা একদমই মিস করতে চাই না।'’



'‘হুম, স্যার আসলেই অসাধারণ। ঠিক আছে, সময় করে একদিন যাওয়া যাবে। কিন্তু স্যার কবে আসবে সেটা জানব কিভাবে?’'



'‘সে পরে জানা যাবে। বাট দেখা এবার উনার সাথে করতেই হবে।’'

কথা শুনে এগিয়ে এল আসিফ। '‘কার সাথে দেখা করবা কাকলী? বয় ফ্রেন্ড নাকি! কবে হইল?’'-আসিফের মুখে ধূর্ত হাসি, যেন বিশাল কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছে।



'ধুর, তোমার খালি বাজে কথা। জাফর ইকবাল স্যারের কথা বলছিলাম।’'



'‘তোমরা এই জাফর ইকবাল লোকটার মধ্যে যে কি পাইছ আল্লাই জানে। এই লোকটা যে একটা ভণ্ড সেইটা জান?’'



'‘কী? তুমি জাফর ইকবাল স্যারকে ভণ্ড বল? তোমার কি মাথা টাথা ঠিক আছে?’'



'‘মাথা আমার ঠিকই আছে, বরং এই লোকটাই তোমাদের মাথা আওলায়া দিছে।’'



'‘হোয়াট ননসেন্স, এই রকম একটা ভাল মানুষের নামে এসব কথা বলার আগে নিজের দিকে একবার তাকাও। তুমি কোথাকার কে উনাকে নিয়ে কথা বলার? তুমি দেশের জন্য কি করেছ? উনি দেশকে কি দিয়েছেন তুমি জান? তুমি উনার লেখা পড়েছ একটাও? না পড়লে আগে পড় তারপর কথা বলতে আস।’'



'‘ইয়েস ম্যাডাম, আমি তার লেখা পইড়াই আপনের সাথে কথা বলতে আসছি। আপনাদের মত আমি নাম শুইনাই লাফাই না। জাফর ইকবাল কি লেখে আমার খুব ভালই জানা আছে। এই ব্যাটা যদি সাইন্স ফিকশন না লেখত তাইলে পোলাপান তো দূরে থাক, দেশের কেউই তারে চিনত না।’'



রিশাদ এতক্ষণ কথা শুনে যাচ্ছিল। এখন সেও যোগ দিল, '‘সাইন্স ফিকশন লেখায় খারাপের কি দেখলে?’'



আসিফ ভ্রু উঁচিয়ে বলল, ‘'সাইন্স ফিকশন খারাপ তা তো বলিনাই। কিন্তু উনি যে এইগুলা বিদেশি সাইন্স ফিকশন থেকে কপি মারছে সেইটা তো গোপন না করলেও হইত। তাছাড়া সিনেমা দেখেও এই ব্যাটা গল্প লেখে, আর চালায় নিজের নামে। এগুলা চুরি না? আর উনি যে দেশ নিয়া এত লাফালাফি করে- এইটা সস্তা পপুলারিটির জন্য। তার এই নকল দেশপ্রেম দেইখাই তোমরা কিছু না বুঝে তার পিছনে লাফাও।’'



রিশাদের মেজাজ এবার চটে গেল। সে হুংকার ছেড়ে বলল, '‘জাফর ইকবাল স্যারের নামে একটা বাজে কথাও বলবানা। না জেনে অনেক কথাই বলা যায়।’'



'‘তুমি তার সম্পর্কে এত কথা বল, তুমি কতটুকু জান? বল তো উনি কোন বিষয়ে কোথা থেকে পি এইচ ডি করছে? আর এখন কোন সাবজেক্টে পড়ায়?’'



কাকলী আগ বাড়িয়ে বলল, '‘জাফর স্যার আমেরিকা থেকে পি এইচ ডি করেছেন, কম্পিউটার সাইন্সে। আর উনি শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে সি এস ই তে পড়ান।’'



'‘বাহ, এই তোমাদের জানার বহর? শোন, উনি ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনে পি এইচ ডি করছে ফিজিক্স নিয়া। আর শাহজালালে পড়াইতেছে সি এস ই। এইটা ভণ্ডামি না?’'



কাকলী আরো এক কাঠি ক্ষেপে গিয়ে বলল, ‘'তাতে তোমার এত মাথা ব্যথা কেন? উনি না পড়াইতে পারলে কি উনারে এমনি এমনি সাস্টে নিয়োগ দিছে? তাছাড়া আমার এত কিছু জানার দরকার নাই। উনি একজন ভাল মানুষ, এইটাই কথা। এসব উল্টাপাল্টা কথা দিয়া উনার কোন ক্ষতি করতে পারবা না তোমরা, বুঝছ? ভাল হয়ে যাও।’'



'‘শোন, আওয়ামীলীগ করলে আর আমেরিকা-ইন্ডিয়ার দালালি করলে সাস্টে না, ডি ইউতেও নিয়োগ পাওয়া যায়। আর ছাত্রলীগ যা শুরু করছে, বুয়েটরেও তো বাদ রাখব না মনে হইতেছে।’'



'‘তাইলে ডি ইউতে গেল না কেন উনি? আর তোমার এত্ত বড় সাহস, তুমি উনাকে দালাল বল? তুমি কি রাজাকারদের দলে নাকি? রাজাকার ছাড়া তো অন্য কারও উনাকে দালাল বলার কথা না।’'



'‘এই যে, এইবার আসল জায়গায় আসছ। ঠিক এই জিনিসটা দিয়াই উনি তোমাগো মগজ ধোলাই করেন। কারও লগে কথায় না পারলেই পাইকারি হিসাবে রাজাকার বইলা দেওয়া। শোন, আগে ভালমত জাইনা আস তারপর আমার সাথে কথা বইলো। উনি কোন সাবজেক্টে পি এইচ ডি করছে সেইটাই বলতে পারলা না। তোমার নলেজ লেভেল কোথায় আছে ভালই বুঝতে পারতেছি। শোন, আমি আজকে তোমারে একটা লিংক পাঠাব ফেসবুকে, রিশাদ তোমারেও পাঠাব। সেইখানে দেইখো তোমাদের প্রিয় জাফর ইকবালের কাণ্ড-কীর্তি। তারপর জাইনাশুইনা আমার লগে কথা কইয়ো।’'



কাকলী রাগে আগুন হয়ে বলল, ‘'তোমার মত ছেলের সাথে আমার কথা বলতে যাওয়াই ভুল হইছিল। স্টুপিড কোথাকার। তোমার ওইসব ফালতু লিংক আমার কোন দরকার নাই।’'



রিশাদ অবস্থা বেগতিক দেখে কাকলীকে একটু দূরে সরিয়ে নিয়ে বলল, ‘'কাকলী, বাদ দাও তো। ঠিক আছে আসিফ তুমি লিংক পাঠিয়ে দিও, তোমার সাথে পরে কথা হবে'-এই বলে রিশাদ কাকলীকে নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেল।



'‘তাতো পাঠাবই, শোন চিল্লাচিল্লি কইরা কোনদিন সত্যরে লুকায়া রাখতে পারবা না। সত্য একদিন সবাই জানব, তখন কি বলবা দেখব নে’'- আসিফের ঠোঁটের কোণে হাসি।



আসিফ বেশ খুশি। মনে মনে ভাবে- এমন ধরা খাইল মাইয়াডা, আহারে। জিহ্বা দিয়ে চুকচুক শব্দ করতে লাগল সে। এগুলা আসলে এই রকমই, জানে না কিছু না, আবার চিল্লায়। বাসায় এসে কাপড় বদল করেই নেটে বসে গেল সে। জাফর ইকবালকে নিয়ে সে যে পেজটা খুলেছে সেটায় ইতোমধ্যে দু হাজারের বেশি মানুষ লাইক দিয়েছে। কিছু গালাগালিও খেতে হচ্ছে। তাতে বরং ভালই হয়েছে, আসিফ কমেন্ট মডারেশন করে না। জাফর ইকবালের চামচারা কি রকম গালাগালি করতে জানে সেটা মানুষকে দেখতে দেয়া দরকার। যত পারুক গালাগালি করুক, তাতে আখেরে তারই তো লাভ। পেজ খুলে দেখে, ওর ভাইয়া নতুন একটা পোস্ট দিয়েছে। রগরগে পোস্ট, জাফর ইকবালের মেয়ের অনেকগুলো ব্যক্তিগত ছবি। আহ্ কী মজা, মাইয়ার ফেসবুক প্রোফাইলের লিংকও আছে দেখি, এইবার খেলা জমবে ভাল। এখন কই যাবা সোনার চান্দুরা? তোমাগো জাফর চান্দুর দিন শেষ- মনে মনে ভাইয়াকে বাহবা দেয় আসিফ। ভাইয়া যে এসব কোত্থেকে পায় কে জানে! এই পেজের এডমিন আসিফেরই বড় ভাই শরীফ।

আসিফরা চার ভাই বোন। বাবা ইবনে সিনা হাসপাতালের ডাক্তার, মা গৃহিনী। ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় শরীফ, ইসলামী ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখার ম্যানেজার। আর দুই বোনের মধ্যে বড় বোনের বিয়ে হয়েছে, পেশায় কলেজের শিক্ষক। ছোট বোন ডাক্তারি পড়ছে সিলেট রাবেয়া মেডিকেল কলেজে। আর আসিফ পড়ছে এক্সিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, ই. ই. ই. তে, থার্ড ইয়ারে। বাবা ভেবেছিলেন মাদ্রাসায় পড়াবেন ছেলে-মেয়েদের। কিন্তু এখনকার দিনে বেঁচে থাকতে হলে কি আর শুধু ধর্মীয় শিক্ষায় চলে? ছেলে-মেয়েরা কী খাবে, সে চিন্তা অবশ্য তাঁকে করতে হয় না- টাকার অভাব তাঁর নেই। কিন্তু ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে হলে তথ্য প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের মাধ্যমেই সেটা করতে হবে- পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া মজিদ সাহেব সেটা খুব ভাল করেই জানেন। তাই বাংলা মাধ্যমেই পড়িয়েছেন সবাইকে।



রাত দশটার দিকে কাকলী ফেসবুকে ঢুকল। ঢুকেই দেখল আসিফের একটি মেসেজ। তাকে একটা পেজের লিংক দিয়েছে। সেখানে গিয়ে তো কাকলী হতভম্ব! একি! পেজটার নাম '‘জাফর ইকবালকে জানো’'!! আসিফ না বলেছিল জাফর ইকবালের কুকীর্তির কথা আছে ওই পেজে? কিন্তু লিংকে ক্লিক করতেই কাকলী দেখতে পেল ভেতরকার অবস্থা। পুরো পেজ জুড়ে জাফর ইকবালের বিষোদগার, তাঁর মেয়েকেও ছাড় দেয়নি ওরা। আর পেজটায় দেখা যাচ্ছে লাইকও করেছে দু হাজার মানুষ। এখনো দেশে এত রাজাকার আছে- মনে মনে ভাবল কাকলী। কাকলী একটা একটা করে পোস্ট পড়তে লাগল আর মাথায় চুল টানতে লাগল। এ কী করে সম্ভব? জাফর ইকবাল স্যার এমন কাজ করতেই পারেন না। স্যারের হিন্দী আইটেম সং এর সাথে মেয়েদের হাত ধরে নাচের ভিডিও, স্যারের মেয়ের বিদেশি ছেলেদের সাথে ছবি, তাও আবার মদের বোতল হাতে। নিশ্চই এগুলো সব মিথ্যে, রাজাকাররা তো সব সময় উনার পেছনে লেগেই থাকে। কাকলী পারলে ওদের টুটি ছিঁড়ে ফেলত। আপাতত সেটা যেহেতু করা যাচ্ছে না, তাই সে ঠিক করল পোস্টে গিয়ে আচ্ছামত ঝাড়ি দিয়ে আসবে। যে কথা সেই কাজ, কিন্তু কমেন্ট করা যাচ্ছে না কেন? ও আচ্ছা, পেজ লাইক না করলে তো কমেন্ট করা যাবে না। তাই পেজ লাইক করে সে কমেন্ট করা শুরু করল। কমেন্টের প্রতিউত্তরে আরো কমেন্ট। একটা কমেন্টের চেয়ে আরেকটা বেশি ঝাঁঝালো। যেভাবেই হোক, জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতেই হবে। এই মানুষটার নামে রাজাকাররা এসব উল্টোপাল্টা বলে বেড়াবে আর কাকলীকেও তা মুখ বুজে সহ্য করতে হবে? তবে কমেন্ট করতে গিয়ে লক্ষ্য করল যে, বেশির ভাগ মানুষই কাকলীর মতই স্যারের পক্ষে, কেউ কেউ ইনিয়ে বিনিয়ে স্যারের পক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। কাকলী তাদের উদ্দেশ্যে কমেন্ট করল, ভাই এদেরকে নরমভাবে বললে হবে না, এই কুকুরগুলোকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। এরা সমাজের জঞ্জাল। কেউ কেউ আবার তীব্র ভাষায় পোস্টগুলোতে গালিগালাজও করল। কাকলী তাদের কমেন্টে লাইক করল। যদিও কাকলীর এসব আপত্তিজনক ভাষা পছন্দ নয়, কিন্তু স্যারের জন্য সে সবকিছু করতে রাজি আছে।



এদিকে রিশাদ যখন ফেসবুকে ঢুকল, তখন রাত এগারোটা হবে। কাল ছুটি, আজ সারারাত চুটিয়ে মেয়েদের সাথে চ্যাট করা যাবে- মনে মনে ভাবল সে। ঢুকেই চোখে পড়ল আসিফের স্ট্যাটাস। ওই পেজের লিংক স্ট্যাটাসে দিয়েছে সে। তাছাড়া মেসেজও করেছে রিশাদকে। পেজে গিয়ে রিশাদের তো চক্ষু চড়কগাছ! হায় খোদা, এসব কী? যতই পড়ছে, ততই রিশাদের কান গরম হয়ে যাচ্ছে। জাফর ইকবাল স্যার কি সত্যি নাস্তিক? আর তাঁর বইয়ে এরকম মুসলমান বিদ্বেষ আছে এটা তো সত্যি! এই বইগুলো তো সেও পড়েছে। এভাবে তো কখনো চিন্তা করে দেখেনি। তাহলে কি ওদের কথাই ঠিক? আর স্যার নাকি বিদেশি বই থেকে কপি করে লেখেন, এটা তো রীতিমত অপরাধ। ইশ, আজ আর কোন মেয়ের সাথে চ্যাট করা হল না। কিন্তু সেটা ভেবে রিশাদের মন যতটা খারাপ, তার চেয়ে বেশি খারাপ হল জাফর স্যারের বিরুদ্ধে এতগুলো পোস্ট দেখে। সে নিজের চোখকে সত্যি বিশ্বাস করাতে পারছে না।



কয়েকদিনের মধ্যে এই পেজটির লিংক ক্লাসের মোটামুটি সবার কাছে চলে গেল এবং সবাই ওই পেজে গিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়ে এসেছে। যে ছেলে-মেয়েগুলো স্যারের অন্ধ ভক্ত ছিল, তাদেরও অনেকেই এখন সংশয়ে ভুগছে। সত্যি তো, স্যারের কাছ থেকে বা স্যারের পরিবারের কাছ থেকে তাদের আশা যে অনেক বেশি ছিল, কিন্তু এখন এসব কী দেখছে? খোদা, এগুলো যেন সত্যি না হয়!



এদিকে আসিফ মহাখুশি। তার উদ্দেশ্য সার্থক হয়েছে, অন্তত তার ক্লাসের গাধাগুলোকে সে বোঝাতে পেরেছে যে জাফর ইকবাল একজন নব্যরাজাকারই শুধু না, সে বাংলাদেশের কলঙ্ক। আর তার পেছনে যারা ছোটে, তারা আরো মহাগাধা। জাফর ইকবালের মেয়ের অশ্লীল ছবি দিয়ে সে তার পেজ ভরিয়ে ফেলেছে। সবাই হায় হায় করছে, তারা এতদিন কি ভুল পথেই না ছিল! এই লোকটা যে ইসলামের, বোরখার, আস্তিকতার বিরোধিতা করে আসছিল, ভারতের দালালি করে আসছিল, আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কথা বলে বিদেশি সংস্কৃতিকে আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল, সেটা তো এতদিন তারা বুঝতেই পারেনি! এখন আবার আদিবাসীদের অধিকারের কথা বলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়! সংখ্যালঘুদের কথা বলে সংখ্যাগুরুদের অধিকার হরণ করতে চায়! তবে ওর কাছে সবচেয়ে মজা লেগেছে, আসিফের কিছু বন্ধু- যারা কিনা জাফর ইকবালের ডাই হার্ড ফ্যান ছিল, তাদেরই কেউ কেউ এখন তার কাছে জানতে চাইছে, জাফর ইকবালের মেয়ের কোন নগ্ন ছবি কিংবা সেক্স টেপ পাওয়া যাবে কিনা! সে তার বন্ধুদেরকে আশ্বাস দিয়েছে- ‘এখনো খোঁজ পাইনাই, তবে এসব সাদা কুত্তাগুলার সাথে তামাশা করার ছবি যখন পাইছি, তখন ন্যাংটা ছবি পাওয়াও ওয়ান টু এর ব্যাপার, শুধু কয়েকদিন ধৈর্য ধরতে হবে। আর তোগোরে লিংক দিয়া দিমু, টেনশন লইস না- আসিফ বলে আর বত্রিশ দাঁত বের করে হাসে। এভাবেই এই পেজটাকে সব ইউনিভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় আসিফ। আর খুলে দিতে চায় জাফর ইকবালের মুখোশ।

কিন্তু কিছু মানুষ সব সময়ই ভাল কাজে বাগড়া বাধায়, এরকম একজন হচ্ছে লিজা। এই মেয়েটাকে আসিফ কিছুতেই বোঝাতে পারছে না যে, জাফর ইকবাল একজন ভণ্ড। এই মেয়েটাকে পরীক্ষাতেও কখনো হারাতে পারেনি সে। প্রতিবারই মেয়েটা কীভাবে যেন ফার্স্ট হয়ে যায়, আর আসিফ হয় সেকেন্ড কিংবা থার্ড। দুজনই ভার্সিটি ডিবেটে অংশগ্রহণ করে। ভার্সিটিতে সব সময় লিজা থাকে ওর বিপরীত পক্ষে, আর প্রতিবারই আসিফের দল হেরে যায় ওর কাছে। কথা, যুক্তি কোনকিছুতেই যেন হার মানার নয় মেয়েটা। ইন্টার ভার্সিটি ডিবেটে প্রতিবারই আসিফকে টপকে লিজাই নির্বাচিত হয়। সুতরাং, ইন্টার ভার্সিটি ডিবেট পর্যন্ত তার কখনোই যাওয়া হয় না। মেয়েটা এত পড়াশুনা করে কীভাবে কে জানে! আসিফ ভাবে, ওকে ধরে একদিন যদি একটা উচিত শিক্ষা দিতে পারত, যুক্তি ওর ইয়ে দিয়ে বের হয়ে যেত!



লিজা এবার আসিফকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে, ‘'পারলে প্রমাণ কর তোমার কথা।'’

আসিফও বলে দিয়েছে, '‘গ্রুপে এত প্রমাণ দিলাম তাও তোমার মন ভরে নাই?’'



'‘ওগুলো কোন প্রমাণ হল? মূর্খ মানুষ ছাড়া ওগুলো কেউ বিশ্বাস করবে না। আর যদি বিশ্বাসও করে, তবুও আমি বলব, আমি তো ওগুলোতে কোন সমস্যা দেখি না।’'



'‘হ, এইবার লাইনে আসছ। আসলে তোমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়ে দিলেও তোমরা বুঝবা না। তোমাদের অন্তরে সিল মাইরা দিছে আল্লাহ। এখনো সময় আছে, সত্য মাইনা নেও।’'



'‘আমি তোমার সাথে ওপেন বিতর্কে বসব। এখন কবে বসতে চাও সেটা বল। বিতর্ক ক্লাসেই হবে, এবং সবার সামনেই হবে। তারপর দেখা যাবে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা।’'



আসিফের ভেতরটা কেমন যেন ধ্বক করে উঠল। সে এক্ষুণি একটা ঢোক গেলার তাগিদ অনুভব করছে ভেতর থেকে, কিন্তু ও লিজার সামনে এটা করতে চায় না। লিজা হয়ত ভাববে সে ভয় পেয়েছে, তাই বহু কষ্টে সে ঢোকটা আটকে রাখল।



চলবে...

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২১

শ।মসীর বলেছেন: কোন বিষয়ে কোথা থেকে পি এইচ ডি করছে? আর এখন কোন সাবজেক্টে পড়ায়?’'

জাফর ইকবাল কি কি সাবজেক্টের ক্লাশ নেন সেটা কি আপনি জানেন !!!! সেগুলোর উপর ওনার দখল কতটুকু তা কি জানেন ?? ফিজিক্স আর সিএসইর যোগসূত্র কিভাবে সেটা কি জানেন ??? কি কি কোর্স সিএসই পড়তে লাগে জানেনত !!!!

অনেক কিছুই জানতে চাইলাম, দুঃখিত ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: দুঃখ পেতেই পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, পিকচার আভি বাকি হ্যায় বস...

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৪

বাল্মীকি বলেছেন: অর্ধেক পড়েই থেমে গেলাম, ওরে গাধা, কম্পিউটার সায়েন্স এর শুরু তো হইছে ফিজিএক্স আর ম্যাথ এর হাত ধরে, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ c এর আবিষ্কর্তা ডেনিস রিচি তো ফিজিক্সের, ঐ সময় পদার্থবিজ্ঞানীরাই প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছে, জাফর স্যার এই জন্য সিএসই পড়ায়, এইটাতে ভন্ডামীর কিছু নাই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি সত্যি গাধা। তবে অর্ধেক পড়ে থেমে গেলে তো হবে না ভাইয়া, পুরোটা পড়ার ধৈর্য থাকা আবশ্যক...

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

নভোচারী বলেছেন: আপনি যে ঘটনাটা লিখলেন তা সত্য কিনা জানি না তবে এই ধরনের অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমার এক বন্ধু জাফর ইকবালের ভক্ত। তাতে দোষের কিছু দেখি না। আমি নিজেও অনেক লেখকের ভক্ত। জাফর ইকবালকে যে কারণে আমি শ্রদ্ধা করি তাহল আমাদের দেশে গণিত অলিম্পিয়াডের বিস্তারে তার অনেক অবদান আছে। যে গণিতকে কমবেশী সবাই ভয় পায় সে গণিতকে নিয়ে উৎসব করার কাজকে বাহবা দিই। নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ অংশ নিতে পারে না তাই আমার সুযোগ নেই। তবুও যখন উৎসব হয় তখন যাই। পরিবেশটা ভাল লাগে।

যাইহোক, যে বন্ধুর কথা বলছিলাম তাকে দেখি সেও জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে কিছু বললে বক্তব্যকে ৭১ এর গণহত্যার সাথে একাকার করে ফেলে। ৭১ এর গণহত্যা যে অপরাধ ছিল তা সন্দেহ নেই। কিন্তু জাফর ইকবাল রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বলেন বলে তার কোনো সমালোচনা করা যাবে না আর করলে যে সমালোচনা করছে সে রাজাকারদের পক্ষে এই ধারণা এদের ভেতর কোথা থেকে এল আল্লাহই জানে। রাজাকারদের বিরোধীতা করে বাংলাদেশে অসংখ্য লোক আছেন। জাফর ইকবাল তাদের ভেতর একজন। কিন্তু তারা কেউ ফেরেশতা নন। তাই ভুলের ঊর্ধ্বে নন। তবে যখন দেখি তারা অন্ধভাবে কাউকে অনুকরণ করে প্রশ্ন করতে ভয় পায় তখন আর কথা বাড়াই না। কারণ যে অন্ধ তাকে আয়না দেখিয়ে লাভ নেই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভাল লাগল। অপেক্ষা করুন। দেখা যাক, গল্প তো এখনো শেষ হয়নি!

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫

joos বলেছেন: চালায় যান...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪

মুন্তাছির রহমান বলেছেন: আমরা অবশ্যই তার ভাল দিক গুলো গ্রহন করবো আর খারাপ দিক গুলোর জন্য অবশ্যই তাকে সমালচনার সম্মুখিন হতে হবে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাইফ শামস বলেছেন: ছাগুরাও যে লেখা লেখি করছে, তা দেখে ভাল লাগল। লিখতে থাক, সমস্যা নাই। শুধু দাও হাতে খুন করতে যেও না, যেমন করেছ হুমায়ূন আজাদের সাথে, কবি শামসুর রাহমানের সাথে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ছাগু বলে কাউকে আন্ডার এস্টিমেটের ফল কিন্তু ভাল হয় না। কালসাপ বলাই উত্তম...

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: সবার উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি, ছাগু ট্যাগিং করার আগে নিজেদের একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত ছিল আপনাদের, ওখানে যে প্রথম পর্ব লেখা আছে তা কি দেখেছেন? তাছাড়া গল্পের শেষটাতেও যে চলবে... লেখা আছে তাও কি খেয়াল করার সময় হয়নি? একটা কথা মনে রাখবেন। ছাগু বলে কাউকে ছোট করে দেখলে কিন্তু আমাদেরই বিপদে পড়তে হবে। কালসাপ চেনেন? অপেক্ষা করুন, অচিরেই দেখতে পাবেন কালসাপ কী...

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: কোন ইউনি থেইক্কা সি এস সি পাশ করসো চান্দু , এখন ও সি এস সি এর বেইস কি এইটাও জানো না ছাগল একটা । এইটা কইলেই তো হয় ,আমি শাবি তে চান্স পাই নাই বইল্লা এই চুলকানি উঠসে । এতো কষ্ট করার কি দরকার ছিল , পোষ্ট রিপোর্টেড ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: ধন্যবাদ, চোখটা একটু খোলা রাইখেন ভাই...

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

এডিস ইফাজ বলেছেন: ভালই রিভার্স লেখতেসেন। দেখি কোথায় গিয়ে ঠেকে। এখনই ভাদা বা ছাগু ট্যাগিং করছিনা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকুন। আরেকটা কথা, আমি কারো ট্যাগিং বা প্রশংসার ধার ধারিনা...

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১

ইফতেখার5555 বলেছেন: ঢা বি র ইন্সটিউট অফ আই টি র প্রথম ৫/৬ জন পরিচালকদের সবাই পদার্থবিদ, সি এস ই র অধিকাংশ পুরোনো শিক্ষকই পদার্থবিজ্ঞানে পড়েছেন,

পদার্থবিদ্যা , কম্পিউটার বিজ্ঞান এগুলো আন্তসম্পর্কিত বিষয়,



আরেকটি কথা " অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী"

// জাফর ইকবাল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির অনেকদিক আমারও পছন্দ না ,
কিন্ত এই সব বিষয়ে আক্রমন করার আগে ভালো করে জেনে নেবেন ,

জাফর ইকবাল সাহেবের ক্যারিয়ার নিয়ে ভালো করে জানা থাকলে আপনি এসব লিখতেন না , আর সায়েন্স ফিকশন না লিখলেও তিনি বিখ্যাত হতেন ,
.......................................................................................................

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: ধন্যবাদ...

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৬

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলুম...দেখি কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৮

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ...

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৮

আকাশ_পাগলা বলেছেন: '‘বাহ, এই তোমাদের জানার বহর? শোন, উনি ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনে পি এইচ ডি করছে ফিজিক্স নিয়া। আর শাহজালালে পড়াইতেছে সি এস ই। এইটা ভণ্ডামি না?’'


এত টুকু পড়ে আর পড়লাম না। এটুকুই জানেননা, আবার মানুষের নামে বলতে আসেন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৮

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: না পড়লে আপনিই বা কীভাবে জানবেন? পুরোটা না পড়ে কথা বলতে যাওয়া কি ঠিক? দেখুন তো এখানে মিলছে কিনাঃ
Click This Link

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা টা সুন্দর হচ্ছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার এই পর্বের শেষ লাইন টা ভাল লাগছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৯

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: ধন্যবাদ...

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৪

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: এক হয়রান রাহী রে খুজতে খুজতে হয়রান হইয়া গেলাম হা হা হা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: খুঁজতে থাকুন, পেয়েও যেতে পারেন!!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনি আমার কমেন্টই বুঝলেন না , আর জাফর ইকবালকে বুঝে গেছেন??

উনি সিএসই পড়ায়, কিন্তু নিজে পড়ছে ফিজিক্স। এই কথায় অবজেকশন নাই। অবজেকশন হল, এটা ভন্ডামি -- এই কথায় !!

এই ভন্ডামি কেন হবে?
কেন এটা ভন্ডামি না সেইটুকু বুঝার জ্ঞান আপনার নাই, আর আপনি হাতি ঘোড়া ডুবিয়ে দিয়ে সমালোচনা করতে আসছেন??

হায়রে পাকনা। না যেনে এত লাফায় !!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৩

সাগরসিএসই_০৬ বলেছেন: আমি কোন সমালোচনা করিনি, করেছে আমার গল্পের চরিত্র। আর আপনি যদি সাবধানী পাঠক হোন তাহলে অনেক কিছুই আপনার চোখে পড়ার কথা। আর যদি তা না হোন তবে আপনাদের মত লোকদের জন্যই বিশেষত এ লেখা। দেখা যাক কি হয়...

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিশাল লেখা। পরে পড়ে কমেন্ট করব।

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২১

কামরুজ্জামান খান বলেছেন: প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা টা সুন্দর হচ্ছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার এই পর্বের শেষ লাইন টা ভাল লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.