উড়োচিঠি: মায়াপরি (পর্ব-এক)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

মায়াপরি
তোমাকে কিছু গোপন বিষয় জানাবো। শোনবে তো? একটা সময় মনে হতো, গোপন কিছু বিষয় বললে তুমি বেশ আগ্রহ নিয়ে শুনতে। এখন কি সেই আগের আবেগ-অনুভূতি আছে? না থাকলেও এখন একটু শোনার আগ্রহী হয়ে ওঠো, প্লিজ। তোমার মনে পড়ে, যেদিন আমি ফেইসবুকে চ্যাট করতে গিয়ে তোমাকে বেশ কিছু পছন্দের নাম লিখেছিলাম। মায়াপরি, মেঘু, বিভু, অহনা, ছোয়া, এরকম আরো কয়েকটি হয়তো। তুমি প্রথমে মায়াপরি নামটিকে রাখলে, সম্ভবত দ্বিতীয় স্থানে মেঘু বা বিভুকে রেখে ছিলে। বাকী নামগুলো বেশি পছন্দ হয়নি। ঠিক তো-আমি ভুল করছি না। ভুল হলে বিরক্তি হয়ে উঠবে না কিন্তু।
শোন, সেদিন রাতে আমার এক অদ্ভুত শিরোনামহীন ভালোলাগা কাজ করেছিল। কেনই বা হবে না, মায়াপরি নামটা আমারও যে প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল। গভীরভাবে তোমার সাথে মিলে যাওয়ায় রাতে একটুও ঘুম হয়নি। এটি কোন কারণ হলো! ভালোলাগা থাকলে আবার ঘুম হবে না কেন? এমন প্রশ্ন তো করতেই পারে। কিন্তু তুমি তো জানো, আমার ভালোলাগলে রাতে ঘুম কেটে যায়। কেমন জানি মনের ভিতর সুখ, সুখ আর সুখের একটা অনুভর ঘুম উদায় করে দেয়। তুমি সেদিন নিশ্চয় জানতে না, আমি মায়াপারিকে মনের সাথে অস্তিত্বে গেঁথে ফেলবো। হাসছো…খিল খিল করে হেসে উঠো। তোমাকে না দেখলেও হাসিটা অনুভব করতে পারবো!

মায়াপরি, তোমার অনেক ক্ষুদে বার্তা আমার মোবাইলে সংরক্ষণ করে রেখেছি। তুমি ভাবছো, সেগুলো দিয়ে আবার কি হবে? কিছুই হবে না-আমি জানি ও মানি। কিন্তু একটা মানুষের ভালোলাগা থেকে তো অনেক কিছুই করে। ভালোলাগা তো থাকতেই পারে। তবে তোমাকে নিশ্চত করতে পারি, সেগুলো সংরক্ষিত থাকবে আমার একান্ত নিজের কাছেই। একটি ক্ষুদে বার্তার কথা মনে পড়ছে। … থাক বলবো না। সেগুলো দেখবো আর তোমার সাথে মুখ মিলাবো। এটাও তো কম কথা নয়।

ও শোন, ইদানিং প্রতিটি মুর্হুত এক একটি যন্ত্রণার। তুমি সেটি কখনোই টের পাবে না। আমি জানি, তোমাকে বেশি চাপ দিচ্ছি। আর দিবো না। প্রমিজ। তুমি হয় তো এখনোই ভুলে গেছো। না হয় ভুলে যাবে। কিন্তু তোমাকে কি ভুলতে পারবো ? অনেকগুলো প্রশ্ন করবে তুমি। সব কেন’র উত্তর এক কথায় হয় না, ব্যাখ্যা থাকে। আজ আর ব্যাখ্যা করবো না। ব্যাখ্যা করতে গেলে তুমি আবারও রাগ করবে, বিরক্তি হবে। আজ আর নয়…।

ভালো থেকো, তুমি তোমার মতো করেই থাকো। আর আমি…

এতোক্ষণ কথা শুনালাম, তোমার সাবেক ভালোলাগার আবির রায়হার।

০ টি +০/-০