উড়োচিঠি: মায়াপরি (পর্ব-চার)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

… খুব বেশি অনুভব করি সকালে ঘুম ভাঙ্গলে, দিনের ক্লান্তির ফাঁকে, রাতের অবসারে। তখন চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহে পিপাসিত কুকুরের মতো মরুময় হয়ে উঠে হৃদয়। কেন জানি, কষ্টগুলো জমাট বাধঁতে বাধঁতে শুকনো হয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে চোখের পাপড়ী। প্রিয় তোমাকে আজও আবার লিখছি। সুখের মোহে কতটুকু সুখ খুঁজে নিয়েছ, জানার আগ্রহ কিন্ত নেই। আগেই বলি রাখি।
মায়াপরি, এখন অনেক কিছুই তোমাকে বলা হয় না। অনেক কথাই নিজের সাথে নিজে বলা-বলি করি। তুমি ভাববে, এই অল্প সময়েই তোমাকে নিয়ে এতো গভীরতা কেন ? তার সহজ উত্তরটা শুনে তুমি হেসে দিবে। যাক, আর বললাম না। তবে তোমাকে দীর্ঘদিন মনে রাখতেই হবে। ভুলে গেলে আমি আমার সত্ত্বার কাছে হেরে যাবো।
এখন তোমার সাথে কথা হয়ই না। ভাবছো, আবির অন্যদের মতোই। ভুলে গেছে, কিন্তু তুমি বিশ্বাস করো। প্রতিটি মুর্হুতে তোমার অস্তিত্ব আমাকে হানা দেয়। শূণ্যতা ভর করে রাখে। মুর্হুতের মধ্যেই চোখে-মুখে অন্ধকার নেমে আসে। কিন্তু তোমার সাথে যোগাযোগ করতে ভয় হয়। ভিশন ভয়। ভয়টা কি জানো। জানো না। তোমাকে অসম্মানের। কত দিন তোমাকে বলেছি, সম্মান করি, মর্যাদা দেই। তার একটি কথাও তো রাখিনি। এবার রাখছি। তোমার মানবিকতাকে গভীর সম্মান দিয়ে। তুমি তোমার (জু... পুরো নাম বললাম না, অবশ্য বলতে হবে না) মানবিকতা, উদারসতা, বিশ্বাস্ততা, দায়িত্বশীলতা...রক্ষা কর। এখানে আমি আর অসম্মান দেখাতে পারি না।
মায়াপরী, তুমি এক সময় অনেক বার আমাকে তোমাকে ভুলে যেতে বলেছো। কিন্তু পারিনি। অসম্মান করেছি। এবার তো সেটি পারছি। এখন তো অন্তত তোমাকে অসম্মান করি, সেটি আর বলতে পারবে না। এখন একটু হাসো। গর্বিত হাসি আমার খুবই পছন্দের। তোমার হাসি ভরা মুখ খুব একটি দেখিনি। তবে অনুভব করেছি। সেই অনুভব থেকে হাসির শব্দ উপলব্ধি করতে পারবো।

তোমার প্রিয়দের তালিকায় সাবেক হয়ে যাওয়া একজন ‘আবির রায়হান’।

০ টি +০/-০