![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত বাংলার ছেলে এটাই আমার পরিচয়
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট জামমুড়া গ্রামের গণকবরে শুয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত ৩০ জন শহীদ। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও কেউ তাদের খোঁজ রাখেনি। শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতি সৌধ। স্বাধীনতা বা বিজয় দিবসে কেউ তাদের কবরে ফুল দেয় না, জানায় না শ্রদ্ধাঞ্জলি। জানা যায়, জামমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আনা মিয়ার বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য শরণার্থী আশ্রয় নেয়। মে মাসের শেষের দিকে অবসর প্রাপ্ত লেঃ কর্নেল জাফর ইমামের নেতৃত্বে ওই এলাকায় টানা ১৭ দিন যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ৭০ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ জুন হাজী আনা মিয়ার বাড়ির পুকুর পাড় থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আর্টিলারি হামলা করে। এর পরের দিন রাত ১৭ জুন পাক হানাদার বাহিনী পাল্টা হামলা চালালে আনা মিয়ার বাড়িতে আর্টিলারি সেল পড়ে। এতে একই পরিবারের ১১ জন সদস্যসহ মোট ৩০ জন শহীদ হন।
ওই দিন হাজী আনা মিয়ার মৃত্যুর চতুর্থ দিন মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বহু আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আসে। আত্মীয়-স্বজন ও শরণার্থীসহ ৪০/৫০ জন পাশাপাশি দুটি বড় ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে পাকসেনারা পরপর তিনটি আর্টিলারি সেল নিক্ষেপ করলে ৩০ জনের দেহ ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিন মাহমুদের মা জমিলা খাতুন ও জেঠাতো বোনের ছেলে শহীদ উল্লা।
তারা দু'জন ওই ঘটনায় ৩০ শহীদকে কাফনের কাপড় ছাড়া ৫টি গর্তে গণকবর দেয়া হয়। সেই স্মৃৃতি আজো ভুলতে পারেনি জামমুড়া গ্রামের লোকজন।
সাইদুল ইসলাম সাগর।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন বলেছেন: অনেক শহীদের খোঁজ আমরা হারিয়ে ফেলছি ।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুযোগ সন্ধানী বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের দল ক্ষমতা থাকাকালীনও যখন এইসব শহীদের অবহেলিত করে রাখা হয় ইতিহাস থেকে ক্রমাগত মুছেদেয়া হয়
তখনিই বুজা জায়, লাল মিয়া সোনা মিয়া, মিয়া ঠিক রেখে বাকিটার অদল বদলের রুপ ধরা খায়,
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
আহলান বলেছেন: আল্লাহ তাঁদের বেহেশ্ত নছিব করুন।