![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আভাময় জীবন
Sayem Sagor
আভা খুব রেগে বসে আছে একা, রিশান কাছে এসেই বুঝতে পারলো মেয়েটা আজ অনেক রেগে আছে, কিছু উল্টাপাল্টা হয়েছে নিশ্চই,তাই খুব সাবধানে পাশে বসলো,আল্লাহই ভালো জানেন, আজ কপালে কি আছে, সামান্য কিছু হলেই কিল ঘুষির বৃস্টি হতে পারে,
-আভা,এই আভা
-ডাকছ কেন আমায়?
-আর এমন হবে না
--কি আর হবে না?কত কিছু নিয়ে গল্প লিখতে পারো,আর আমায় নিয়ে পারো না,তাই না?
--সরি আভা,কালকেই লিখব,না আজ রাতেই,
--অনেক বার বলছ এই কথা,
--এটাই শেষবার,আচ্ছা কাল সকালে যদি না লিখে দেই তবে যাও আমার সাথে আর কথা বলবে না,
-ঢং কত,জানোই তুমি,তোমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না,তাই এমন বলছ,
--আচ্ছা তাহলে কাল না দিলে তোমায়,,তুমি যা বলবা আমি তাই করবো সারা দিন।
--মনে যেন থাকে,
--আর লিখে যদি দেই,এবং তোমার যদি অনেক ভালো লাগে তাহলে?
--তাহলে তুমি যা চাইবে তাই দিব,
-- মনে যেন থাকে, যা চাইবো তাই,
পাশ দিয়ে ফুস্কা আর চটপটি যাচ্ছিল,আভা ফুস্কা খেতে অনেক ভালো বাসে, তাই রিশান ডাক দিল,,দুজনেই ফুস্কা খাচ্ছে,বাইরে থেকে কেউ এদের দেখে ভাবতেই পারবে না যে এরা শুধুই বন্ধু,এদের দেখে মনে হয় এরা প্রেমিক-প্রেমিকা,,,,,,,,ফুস্কা খেয়ে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে এলো।
রাত একটা বাজে, ,,রিশান ভাবতেছে কি গল্প লেখা যায় মেয়েটাকে নিয়ে,,
একটা ছেলের জীবন নস্ট করার জন্য যেমন একটা মেয়েই দায়ী থাকে,তেমনি একটা ছেলের জীবনকে সুন্দর করেও দিতে পারে একটা মেয়ে,,,,,
জীবনের শুরুর দিকে অনেক ছেলে মেয়েই ধাক্কা খায়,এক টা সময় তাদের কাছে মনে হয় এই জীবনের কোন মুল্য নেই, অনেকে আবার সুইসাইড ও করতে যায়,কিন্তু এই সময় এ যদি কেউ একজন তার পাশে এসে দাড়ায় তবে ছেলে বা মেয়েটার জন্য অনেক ভালো হয়, অতীত ভুলতে সাহায্য করে জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে দিতে পারে।এমন একটা সময়ে রিশানের সাথে আভার পরিচয়।অনেকটাই নস্ট হয়ে গেছিল রিশান,কিন্তু বেশি দুর যেতে পারে নি,আভা এসে তাকে টেনে ধরেছে,আবার নতুন করে জীবনে আলো এনে দিয়েছে।কিন্তু সবাই তো আর রিশানের মত ভাগ্যবান না যে তাদের জন্যও আভারা আসবে,,,,রিশান এসব ভেবে যাচ্ছে আপন মনে,,
কয়েকমাস আগেও যার বেচে থাকার ইচ্ছা ছিল না,আজ সেই রিশান অনেক বছর বাঁচতে চায় আরো।এসব ই সম্ভব হয়েছে আভা নামে মেয়েটির জন্য,,,
কোন ছেলে নস্ট হয়ে যেতে থাকলে প্রয়োজন পড়ে একটা মেয়ের কেয়ারের,এমন একজনকে প্রয়োজন হয় যে জোর করেই সব কিছু করাবে,জোর করে পাশে থাকতে চাইবে।এই সময় অন্য ছেলেদের মতই রিশান ও চায়নি অন্য কেউ পাশে আসুক,তাই প্রথম দিকে আভার সাথে তেমন কথা বলতো না,আভা জোর করেই কাছে আসতে চাইতো।হয়ত আভা রিশানের মাঝে কিছু পেয়েছিল ,তাই সব সময় থাকতো জোর করেই।
সারাটা দিন রাত কেয়ার নিতো খুব,নিয়মিত খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে,সব কাজেই শ্বাসন করতে লাগলো।কিন্তু রিশানের এসব ভালো লাগতো না,,,,,,
একদিন হঠাত রিশান বুঝতে পারলো ওর কেয়ার নিয়ে আভার কি লাভ?আভা এসব তো রিশানের ভালোর জন্যই করতেছে „„„তাহলে রিশান নিজের ভালো বুঝবে না কেন?
এভাবে ধীরে ধীরে আভার জন্য নতুন জীবনে ফিরে এসেছে এখন রিশান। আর এই জীবনটার জন্য আভার অবদান সবচেয়ে বেশি, ,আভা না থাকলে রিশান আজ কোথায় থাকতো তা,ভাবতেই পারা যায় না,,,,,
অনেকে বলে আভা আর রিশানের মাঝে নাকি বন্ধুত্ব এর চেয়েও বেশি কিছু আছে, কিন্তু তারা নিজেরা এসব নিয়ে ভাবে না,,,,,,,বন্ধুত্বের যে ভালোবাসা তাদের মাঝে আছে তা অন্য যে কোন ভালোবাসাকে হার বানাবে,,এক জীবনে যতটা ভালোবাসা প্রয়োজন,যতটা কেয়ার,,শ্বাসন প্রয়োজন সব ই তো আভার কাছ থেকেই পাচ্ছে, ,,তাই রিশান অন্য কিছু আভাকে নিয়ে ভাবে না,,,,,
আভাও হয়ত এমন ই রিশানের মতই ভাবে,,,,,,,
এসব ভাবতে ভাবতেই রিশানের গল্প লেখা শেষ হয়ে গেল,,,রাত চারটা বাজে,,,আভা যদি জানে ঘুমাতে না গিয়ে গল্প লিখছে রাত জেগে তাহলে রিশানের কপালে দুঃখ আছে,,,,,,,,,,,,,
সত্যিই আভারা একটা ছেলের জীবন সুন্দর করে দিতে পারে,,,,,,,,,
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০০
এম এ সাঈম সাগর বলেছেন: গল্প আকারেই লিখতে চেয়েছিলাম,,,প্রবন্ধ এর মত হয়ে গেছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রবন্ধটায় গল্পের টাচ আছে