![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট শব্দ কি জানো? সবচেয়ে ছোট শব্দ হলো মা। বাংলায় লিখতে গেলে মাত্র একটি অক্ষর লাগে। মাযে কি জিনিস তা নিয়ে গবেষনা করলে তুমি বুড়ো হয়ে চুল পেকে ওপারে চলে যাবে তবুও মাকে নিয়ে গবেষনা শেষ হবে না। এবার এক মায়ের গল্প বলি, মন দিয়ে শুনবে কিন্তু। গ্রামের নাম আচিমতলা, এই আচিমতলা গ্রামে একট পরিবার ছিল খুবই গরীব। ঘর বাড়ীর অবস্থা ছিল একেবারে যেনতেন অবষ্থা। ঐ যে আসমানীদের ভেননা পাতার ঘর পড়েছো না সেই ঘরের মত। মানে যাকে বলে কুড়ে ঘর। এই গরীব কুড়েগ ঘরে একটি চাঁদ জন্ম নিল। চাঁদ মুখের জন্ম হবার পর দুখী সংসারে সুখের আলো এনে দিলো। মা বাবা খুব আনন্দ পেল। চাঁদ মুখটির নাম রাখা হলো সুজন। সুজনের নূরানী চেহারা দেখে গ্রামের সবাই তাকে কোলে নিতো আদর করতো এক কোল থেকে অন ্য কোল এই করে সুজনের প্রতিদিন কেটে যোতো । আস্তে আস্তে বয়েসের সীমানা বেড়ে চলে। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পার হয়ে ছয় বছরের দিকে গড়ে পড়লো সুজনের বয়স। এখন তার আর মায়ের বুকের দুধে পেট ভরে না। এখন সুজনের অল্প অল্প ভাত লাগে। কিন্তু ঐ য তার বাবা মা ছিল খুব গরীব, তিন বেলা ভাত তাদের কোনদিন জুটতো না। আর এমন ছিল যে নুন আনতে পানতা ফুরায়। সুজন অভাব কি জিনিস তা বোঝে না। সকাল দুপুর রাতে খাবার সময হরেই সুজনের কান্নআ শোনা যেত। ছেলের ভাত রান্না করার জন্য কোনোদিন সময় মত রান্না ঘরে যেতে পারতো না। তার একটা কারনও ছিল। সুজন এর মা গ্রামের বগড় লোক বাড়ী কাজ করতো। কাজ করার সময় সুজনকে সঙ্গে সঙ্গেই রাখতো। আর বুকের মানিক সাত রাজার ধনকে রেখে কোন জায়গায় যেতো না। কারন যদি সুজন কান্দে অথবা যদি সুজনের কোন অসুবিধা হয় এই ভেবে সারাক্ষন কাছেই রাখতো। কাজ করে কষ্টে মায়ের মুখ লাল টকটক করতো, দম মুখের পর আসতো, প্রাণ যায় যায় অবসআথা হতো। এমন অবস্থায় সুজনের মুখের দিকে তাকাতেই মায়ের মুখে হাসি ফূটতো। বাবা, আমার মানিক আমার আদরেরর পুতলি, জান আমার কলিজার টুকরা ইত্যাদি বলে চমো খেত। বাচ্চা পাখির মুখে মা পাখি যেমন করে খাদ্য তুরে দেয় তেমনি করে সুজনের মা সুজনের মুখে মুখ লাগিয়ে খাবার খাওয়ায়। সে যে কি দৃশ্র দেখলেই মনটা ভরে যায় আনন্দে। এ যেন সরাসরি ঐ বেহেস্তের চিত্র। এত আদর করতো যা দেখলে সবাই আবার ছোট শিশু হতে চাইবে। সুজন তো বড়গ হতে থাকে। তার খাওয়া আরো বেড়ে যায় কিন্তু এখানে চিন্তার কথা হলো সুজন বেশি ভাত খায়না। আগের মত খাওয়ার ওয়াক্তে কান্নাকাটি করেনা। এর কারণ কি বলতে পারো? পারো না, আমি বরছি শোন- মায়ের আদর আর ভালবাসা সব সন্তানের পেটের ক্ষুদা মিটিয়ে দেয়। মায়ের কোল হলো বেহেস্ত। সুজন মায়ের আদর আর ভালবাসায় পৃথিবীর সব কিছু পেয়ে যায়। মা যেমন সুজনকে ছাড়া থাকতে পারে না তেমনি করে সুজনও তার মায়ের কাছে থাকে সব সময়। মা ও ছেলের এমন ভালবাসা আমাার জীবনে প্রথম দেখলাম। এই বার একদিনের ছোট একটা কহিনী বলি। মায়ের দোয়া ও আদরে সন্তানের যে কোন বিপদ থাকতে পারে নাা এই কাহিনী থেকে তাই জানতে পারবে। চৈত্রের দুপুর , খা খা রেদ। এমন রেপদ যে যদি ছাদের উপর অথবা ফাঁকা জয়গয় দাড়ানো হয় তাহলে মাথার ঘিলু গরম হয়ে যাবে। এমন গরমের দুপুরে সুজনের মা বগড় লেক বাগড়ী ধন সিদ্ধ করছিলো। সুজনকে একটু সময়যের জন্য রেখে কাট আনতে গেল। সুজন এক ছোট মানুষ। হটতে হাটতে উনুনের পাশে যেয়ে দাড়গাতেই একটাা শয়তানী বাতাস এসে আগুনের ঝাপটা নিয়ে সুজনের চেখ মুখ হাত পা সব পুড়িযে দিলেপ। সুজন চি}কর করে উঠলে, মা ্গুন। মায়ের মনতে একেবারে সাাথে সাাথে বুঝতে পারলো। কাট ফেলে ছুটে এসে ্দরের ছেলে কোল ঘেষাা করে বুকে জড়িয়ে খুব কষ্টে বাড়ী নিয়ে এলে। রাতের বেল সুজনের গায়ে দোজখের জ্বালা উঠলে। মাায়ের মনে ঝ্বলছে আরোা শতগুন। কি করে সন্তাানের ভালে করা যায়। ছটফট করে মা। একবার মুখে চুমা খায় একবার সাারাগায়ে হাত বুলই। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে- হে মাবুদ, হে দয়ালু, তুমি আমার বুকের মনিক কে ভাল করে দাও। যত রোগ বলাাই তুমি আমাকে দিয়ে আমার সুজনকে ভাল করে দাও। যেই এটই দোয়া করলো আল্লাহ মায়ের দোয়া কবুল করে সুজনের দেহটা একেবাারে শীতল করে দিলেন। পরের দিন সুজন প্রায় ভালো হয়ে গেল। কি অবস্থা থেকে কি ভালো হয়ে গেল চিন্তার বিষয়। মায়ের মুখে হাসি ফুটলো। এই বিপদের পরে সুজন আর কোন দিন অসুস্থ্য হয়নি। মা বাাবার দুখের সংসারে বাবার কাছে যতটুকু আদর স্নেহ মায়াা মমতা ভালবাসাা পেয়েছিল তারচেয়ে হাজার হাজার গুন বেশি আদর স্নেহ মায়া মমতা ভালবাসা মায়ের কাছে পেয়েছে। এতা দুখের মধ্যেও ময়ের ইচ্ছাা সুজনকে লেখাপড়া খশখাবে। স্কুলে ভর্তি করালো। মায়ের আদর মাখা ভালবাসায় সুজন লেখাপড়গা চালাতে থাকে। প্রতি ক্লাসে প্রথম হয়। স্যারেরা গ্রামের সবাই সুজনের কথা বলাবলি করতে লাগলো। এতো ভঅল ছেলে হয় কি করে? যাই হোক সুজন লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হলো। একটা ভাল চাকুরী পেয়ে মা বাবাকে নিেীয় ঢাকাায় গেল, এখন সুজনের মা আর কোন কাজ করে না। নামাজ পড়ে আর খাায় আর ঘুমাই। তাছাড়া আর কোন কাজ করতে হয়না। সুজন অফিস যাওয়ার আগে মায়ের চুমা নিয়ে যায় আবার বাসায় ফিরে মায়ের চুমা নিয়ে ঘরে ঢুকে। এই সুজন তার মা বার বাবার মুখে হসি ফুটালো। গ্রামের সুজন মাকে ছাড়া বাবাকে ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। মা বাবাাই তার সব। মা বাবাই তার জীবন তার নিঃশ্বাস।
মায়ের ইচ্ছায় আদর ভালবাসায় সন্তান হয আর্দশ সন্তান মানুষের মত মানুষ।
সাঈদ হাসান আকাশ
ধানমন্ডি, ঢাকা
০১১৯৩০৪৪৯৬৩
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:৫০
ফাইরুজ বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো ভাইয়া।
লেখার শেষে
"ধানমন্ডি,ঢাকা
০১১৯৩০৪৪৯৬৩"
এই কথাগুলো না দিলেও চলে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১১
সাঈদ হাসান আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০২
ইমন কুমার দে বলেছেন: ফাইরুজ বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো ভাইয়া।
লেখার শেষে
"ধানমন্ডি,ঢাকা
০১১৯৩০৪৪৯৬৩"
এই কথাগুলো না দিলেও চলে।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:১২
শায়েরী বলেছেন: ভাল হয়েছে
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৩
সাঈদ হাসান আকাশ বলেছেন: সেই প্রকৃত বন্ধু যে অন্যের দোষ ধরে। তাই না? আপনি কি বলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:৩৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: