নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ ১২০০ হেক্টর জমিতে পার্চিং পদ্ধতি

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

প্রতিবেদনটি দেখবেন আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬:৫ মিনিট বাংলা ভিশনে

কালিগঞ্জে ধানড়্গেতে পার্চিং পদ্ধতি
গ্রামের পথে পা বাড়ালেই শুধু সবুজ আর সবুজ। এ সবুজ বোরো ধানের। তাকালেই চোখে পড়বে ধানের ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে গাছের ডাল, কঞ্চি, আর ধৈঞ্চা গাছে পাখি বসার দৃশ্য। যে দৃশ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় অতীতের সেই চিরচেনা গ্রাম বাংলার স্মৃতি। দৃশ্যটি এ বছর বোরো মওসুমে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া গ্রামের। কয়েক মওসুম আগেও এমন দৃশ্যটি ছিল না।(কৃষক) কিন' কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ যখন কীটনাশকের ভয়াল গ্রাসে হুমকির মুখে, ঠিক সে সময় আইপিএম বা প্রাকৃতিক পোকা দমন পদ্ধতি নিয়ে মাঠে নেমেছে স'ানীয় কৃষি বিভাগ।আর পদ্ধতিটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছে এখানকার কৃষকদের। পদ্ধতিটির নাম পারচিং।(মোশাররফ ভাই) কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১২হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে এ পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। পারচিং দু ধরণের। লাইভ বা জীবনত্ম পারচিং আর অন্যটি ডেথ বা মৃত পারচিং। লাইভ বা জীবনত্ম পারচিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত ধান ক্ষেতে তিন মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ধনচে গাছ রোপন করা হয়। এ গাছ একটু বড় হলেই সেখানে পাখি এসে বসে এবং ওঁত পেতে থাকে খাবারের জন্য। এভাবে এসব পাখি ধানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা-মাকড় খেয়ে কীটপতঙ্গ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। উপরন' এ ধনচে গাছ মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে বলে তা জমিতে ইউরিয়া সারের অভাব পূরণ করে। অন্যদিকে, ডেথ বা মৃত পারচিং এর ক্ষেত্রে গাছের মরা ডাল বা বাঁশের কুঞ্চি ক্ষেতের মধ্যে একইভাবে পুঁতে দেয়া হয় এবং কাজও করে একইভাবে। এ দুই পদ্ধতিতেই বিঘা প্রতি ১০ বা ১২ টি ধনচে গাছ বা ডাল পুঁতে দিলেই হয়। পুণরায় সারা দেশে পদ্ধতিটি ছড়িয়ে দেয়া গেলে কৃষি উৎপাদন খরচ কমানোর সাথে সাথে তা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও অবদান রাখতে পারবে বলে কৃষিবিদদের বিশ্বাস।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.