![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পান আলু, কিশোরগঞ্জ
কৃষি প্রধান দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এই দেশের মাটি যেমন উর্বর তেমনি গবেষনার অন্যতম প্রধান বিষয়বস'। আমাদের দেশের মাটিতে বিভিন্ন রকমের, ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ফল ও ফসল উৎপাদন হয়। গবেষনার মাধ্যমে নতুন নতুন ফল ও ফসল চাষ করা হচ্ছে বর্তমানে। সেই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পান আলুর চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এই পান আলুর গাছ মেটে আলুর মতই দেখতে। লতার মত গাছগুলো পাতা দেখতে পানের মত আর সেই কারণে কৃষকেরা এই আলুর নামকরণ করেছেন পান আলু। কিশোরগঞ্জের চরকুর্শা,চরটেকি, চরপাড়াতলা, চরতেরটেকিয়া, দৰিণ চরটেকি,গুলুতয়ারচর, ঝাউগারচর, চরকাউনা, চরপরাদি, চরআলগি, জঙ্গালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে চাষ করা হচ্ছে এই পান আলু। এই এলাকার কৃষকেরা একই জমিতে প্রথমে করলা চাষ করার লৰ্যে মাচা তৈরি করে। করলা চাষ শেষ না হতেই মাচার নিচে চালকুমড়া/সীমের বীজ বপন করে একই ভাবে চালকুমড়া/সীমের চাষ শেষ পর্যায়ে আসলে একই মাচার নীচে পান আলুর বীজ বপন করে। তবে যখন পান আলুর চাষ এই অঞ্চলে ছিল না তখন অর্থাৎ চৈত্র-বৈশাখ মাসে এই জমি খালি পড়ে থাকতো। বর্তমানে কৃষকেরা এই জমি খালি ফেলে না রেখে একই মাচায় এই পান আলুর চাষ করে। আর সেই কারণে বর্তমানে এই সব এলাকার কৃষকেরা সারা বছরই ফসল ঘরে তুলতে পারে। চৈত্র বৈশাখ মাসে পান আলুর বীজ বপন করার পর ২ মাসের মধ্যে পান আলু গাছের উপরের অংশে অর্থাৎ মাচায় আলু বড় হতে থাকে আর কৃষকেরা প্রতি সপ্তাহে আলু সংগ্রহ করে। ফল দেওয়া শুরম্ন করার পর টানা ৪ মাস মাচার ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতি বিঘায় পান আলু সংগ্রহ করা হয় ১৫-২০ মন। ৫ থেকে ৬ মাসের এই পান আলু থেকে কৃষকেরা বিঘাপতি আয় করে ৭০-৮০ হাজার টাকা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান আলু চাষ করা বেশ লাভজনক। কারণ হিসেবে এই ফসলের রোগ-ব্যাধি কম হয় বলেও জানালেন কৃষকেরা। গাছ কেটে দিয়ে মাটির নীচে থেকে পান আলু গাছের গোড়া থেকে সংগ্রহ করা হয় পান আলুর মাটির নিচের ফল বা আলু। কিশোরগঞ্জের কৃষকদের মত দেশের সব কৃষকরা এই পান আলু চাষ করলে তারাও অর্থনৈতিক ভাবে সফলতা পাবে এবং সারা বছরই জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারবে বলে সংশিস্নষ্টদের ধারণা।
©somewhere in net ltd.