![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মধুমাস। আম, জাম, কাঠালের মৌ মৌ গন্ধে ভরে ওঠে চারিদিক। আর এই মধুমাসে মৌসুমী ফলের মধ্যে সবচেয়ে রসালো ফল লিচু। লিচু দেখলে যেমন প্রাণ জুড়িয়ে যায় তেমনি ভাল লিচ-ুমৌসুমী ফল খাওয়ার পরিপূর্ন তৃপ্তি এনে দেয়। আর এবার সেই লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে উত্তরের জেলা লিচুর রাজধানী পাবনায়। মৌসুমের শুরম্নতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। পাবনা জেলা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলায় হাজার হাজার হেক্টর জমিতে গড়ে উঠেছে রসালো ফল লিচুর বাগান। স'ানীয় জাত আঁটির পাশাপাশি বোম্বে ও চায়না এই তিন প্রকার লিচুর আবাদ হয়ে থাকে এ অঞ্চলে। লিচুর বাম্পার ফলনে লিচু চাষীরা একদিকে যেমন খুশি অন্যদিকে আশংকায় ছিল শেষ পর্যনৱ বিভিন্ন রোগবালাই ও পোকার আক্রমন থেকে রৰা করতে পারবে কিনা।() প্রচন্ড তাপদাহ বা গরমে লিচু ফেটে যায় এবং বিবর্ণ হয়ে যায়। আর সে কারণেই লিচু চাষীরা প্রতিবছর ব্যাপক ৰতির সম্মুখীন হন। তবে এ বছর কৃষকের ৰতির কথা ভেবে লিচু ফেটে যাওয়া ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়া রোগ থেকে রেহাই পেতে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর যুবক আনিসুর রহমান আবিস্কার করেছেন লিচুতে গিস্নসারিণ পদ্ধতি।() লিচু চাষে এই গিস্নসারিণ পদ্ধতি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান ঐ এলাকার লিচু চাষীরা। যার কারণে লিচু গাছে থোকায় থোকায় সুস'্য ও সুন্দর লিচু কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।() আর এই গিস্নসারিন পদ্ধতির আবিষ্কারক ঈশ্বরদীর আনিসুর রহমান বলেন গিস্নসারিন ব্যবহার করলে লিচুর ও মানুষের কোন ৰতি হয় না।() পাবনার লিচু ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স'ান ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। এ কারণে এ অঞ্চলে লিচু বাগানগুলো এখন দেশের বিভিন্ন স'ানের পাইকারদের পদচারণায় মুখরিত। প্রতিদিন হাজার হাজার ঝুড়ি লিচু পাবনা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। কৃষকদের প্রশিৰণ এবং সময় মতো সার, কীটনাশক ব্যবহার ও বৃষ্টি হওয়ার কারণে এবছর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা।() সূত্রমতে এবার পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলা সহ গোটা জেলায় ৩৫ হাজার ৪৩২ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। যা থেকে আয় হবে অনৱত ৫শ’ কোটি টাকা।
©somewhere in net ltd.