![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজবাড়ী স্নেক ফার্ম
দেশের প্রাণীবৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে কালের গর্ভে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রৰায় সবুজ অরণ্য যেমন গুরম্নত্বপূর্ণ তেমনি গুরম্নত্বপূর্ণ প্রাণীকূলের। কিন' আমরা বুঝে না বুঝে ধ্বংস করে ফেলছি প্রকৃতিতে বসবাস করা অনেক প্রাণী। তারমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ অন্যতম। এই সাপ যে শুধুই ৰতি সাধন করে তা কিন' নয়। সাপ বিভিন্ন ভাবে উপকারও করতে পারে। একসময় সাপের খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল গ্রামাঞ্চলে। সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো সাপুড়েরা। আর এই সাপ এখন অনেকটা বিলুপ্ত প্রায়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রৰা এবং বেকারত্বের কালিমা মুছে দেওয়ার জন্য সাপের খামার গড়ে তুলেছেন গ্রামের যুবকেরা। আর এই যুকবদের সংগঠিত করেছেন রবিউল ইসলাম রঞ্জু মলিস্নক।()
এই খামারে নাজা কাউথিয়া বা কাল কেউটে, রাসেল ভাইপার বা চঁন্দ্রবোড়া, কমন ক্রেট বা আইলবোড়া এবং ইন্ডিয়ান কোবরা-নাজা নাজা বা খয়া গোখরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ আছে। বিশ্বের যত মহাঔষধ তৈরি হয় তার উপাদানের মধ্যে সাপের বিষ একটি গুরম্নত্বপূর্ণ উপাদান। সাপের বিষ থেকে তৈরি ভ্যাকসিন দিয়ে সাপে কামড়ানো রোগির জীবন বাঁচানো হয়। সাপ আমাদের দেশের একটি মহামূল্যবান সম্পদ আর এই সম্পদকে রৰা করতে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার কলকলিয়ার কাশাদাহ গ্রামে সাপের খামার গড়ে তুলেছেন এলাকার কয়েকজন যুবক।() সাপের খামার গড়ে ওঠার কারণে গ্রামের মানুষ এখন আর সাপ দেখলে মেরে না ফেলে খামারে খবর দেয় এবং খামার কতৃপৰ সেই সাপ ধরে নিয়ে আসে খামারে। () এলাকাবাসীকে সচেতন করতে তারা সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পস্নাস্টিকের খাঁচা আর ইটের তৈরি ঘরের মধ্যে সাপের বাসযোগ্য স'ান করে সাপ চাষ করছেন তারা। রাজবাড়ী স্নেক ফার্মে বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি সাপ আছে। সরকারী-বেসরকারী সহযোগিতা পেলে এই সাপগুলোর লালন-পালন করে সামাজিক ভারসাম্য রৰার পাশাপাশি গুরম্নত্বপূর্ণ ভিনোম... বা ঔষধ আমদানী কমিয়ে সাপের ভিনোম রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে বলে সংশিস্নষ্টদের ধারণা।()
©somewhere in net ltd.