নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাছ চাষ করে কোটিপতি হতে চান? / সাঈদ হাসান আকাশ

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮


চারিপাড়া ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং কমপেস্নক্স প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে, যা চারিপাড়া মৎস্য হ্যাচারী নামে পরিচিত লাভ করেছে। মূলত চারিপাড়া মৎস্য হ্যাচারীটি প্রতিষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানার চারিপাড়া গ্রামে। ৮ একর জমির উপর ছোট ছোট সিস্টার্ন পন্ড আর অফিস নিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর যাবৎ মাছের পোনা উৎপাদনে সফলতা আর সুনাম অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, এই হ্যাচারীর আওতায় ২৪ একর জমির উপর মোট ১৮টি ছোট বড় পুকুরও রয়েছে। প্রতিবছর র্নিদিষ্ট সময়ে হালদা ও যমুনা নদী থেকে রেনু সংগ্রহ করে নিজস্ব নার্সারী পুকুরে রেনুপোনাগুলো বড় করে। তারপর জাল টেনে আকারে বড় ও স্বাস'্যবান পোনাগুলোকে গ্রেডিং করে অন্য একটি পুকুরে নিদৃষ্ট সময় প্রাকৃতিক ভাবে চাষ করে সেখান থেকে যে মাছ সবচেয়ে পুষ্ট ও স্বাস'্যবান তা ব্রম্নড ফিস হিসেবে বাছাই করা হয় । বাছাই করা এই মাছগুলো রাখা হয় ব্রম্নড পন্ডে। ব্রম্নড পন্ডে লালন-পালন করা অবস'ায় যখন মাছগুলো ডিমওয়ালা হয় তখন জাল টেনে মাদার ফিস বা ডিমওয়ালা মাছ সংগ্রহ করা হয়। অতি যত্নে এই মাদার ফিস নিয়ে আসা হয় সিস্টার্ন পন্ডে। বাছাইকৃত সবচেয়ে ভাল মাদার ফিস এই সিসটার্নে ছেড়ে দেওয়ার পর ৬ ঘন্টা রেস্ট দেওয়া হয়। এই সময়ে মাদার ফিসগুলো মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতে থাকে। ৬ ঘন্টা রেস্টের পর মাদার ফিস থেকে ডিম সংগ্রহ করার জন্য প্রথম ধামে একটি হরমোন ইনজেকশান ডোজ দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে সিসটার্ন থেকে স'ানানৱরিত করা হয় অন্য একটি নির্ধারিত পন্ডে যেখানে মাদার ফিস ও ফাদার ফিস একসাথে রাখা হয়। সেখানে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা রাখার পর অতি যত্নে মাদার ফিস ধরে ডিম সংগ্রহ করা হয় সুকৌশলে। তারপর সংগৃহীত ডিমে পুরম্নষ মাছের হরমোন...দিয়ে আলতো ভাবে মিক্স করা হয়। এই ডিম নিয়ে যাওয়া হয় ডিম থেকে রেনু ফোটানোর জারে। পানি সঞ্চালনের মাধ্যমে ১৮ ঘন্টা পর মাছের ডিম থেকে রেনু ফুটলে রেনু রাখার সিসটার্নে পাইমের মাধ্যমে স'ানানৱরিত করা হয়। তারপর এই রেনু ২৪ ঘন্টা পরিচর্যা করা হয় অতি যত্নে । ২৪ ঘন্টা পর ছাকনি বা নেট দিয়ে রেনু সংগ্রহ করে বালতিতে করে নিয়ে আসা হয় পলিব্যাগে ভরে ডেলিভারি করার জন্যে। পলিব্যাগে পরিমান মত পানি দিয়ে মাছের রেনু দেওয়া হয় এবং ফাইনাল প্যাকিং করে রেনুপোনার ব্যাগে অক্সিজেন দিয়ে ভালভাবে মুখ বেঁধে দেওয়া হয় যাতে করে প্রায় ১২ ঘন্টা এই রেনুটা পরিবহন করা যায়। এই ভাবে সারা বছর জুড়ে চারিপাড়া মৎস্য হ্যাচারী থেকে মাছের পোনা সরবরাহ করা হয় কিশোরগঞ্জসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে। চারিপাড়া মৎস্য হ্যাচারী থেকে মাছ চাষীরা পোনা সংগ্রহ করে মাছ চাষ করে সফলতা অর্জন করার ফলে দীর্ঘদিন এই হ্যাচারী থেকে রেনু পোনা সংগ্রহ করেন অনেক ব্যবসায়ী।() শুধু তাই নয় এই মৎস্য হ্যাচারীতে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকেই।() ২১ বছর যাবৎ দৰতা আর বিশ্বসৱতার সাথে এই প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথেই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানালেন চারিপাড়া ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং কমপেস্নক্স এর ম্যানেজার তপন চক্রবর্তী।() মৎস্য চাষে অগ্রণী ভূমিকা রাখা এই হ্যাচারীর মত গুরম্নত্বপূর্ন দ্বায়িত্ব পালন ও ভূমিকা রেখেছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারম্নজ্জামান।

সাঈদ হাসান আকাশ/০১৭১৬৬৭৮৪৪৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.