নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রাগন ফলের চাষ ও পরিচর্যা /সাঈদ হাসান আকাশ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪


ঋতু বৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতি যেন তার সকল উপাদানই এদেশকে দান করেছে উদারচিত্তে। দিয়েছে অনুকূল আবহাওয়া-জলবায়ু ও উর্বর মাটি। যা এদেশের কৃষি ৰেত্রকে করেছে সমৃদ্ধ। আর তাইতো এদেশের মাটিতে জন্মে ফুল, ফল, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের শস্য। সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশে শস্য উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদিত হচ্ছে প্রচুর পরিমানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ফল। ড্রাগন ফল তন্মধ্যে অন্যতম।
ক্যাকটাস গোত্রের এ ফল দেখে সবাই একে চিরসবুজ ক্যাকটাস বলেই মনে করে থাকেন। কিন' এটি সারাবিশ্বে ‘ড্রাগন ফ্রুট’ বা ‘ড্রাগন ফল’ নামেই অধিক সুপরিচিত। যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ঐুষড়পবৎবঁং ঁহফধঃঁং; । তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ড্রাগন ফল পিটাইয়া, টিহায়া ও অন্যান্য নামেও পরিচিত। উইফরবিয়া ক্যাকটাসের মতো দেখতে লতানো ড্রাগন গাছে লম্বাটে সাদা ও হলুদ ফুল ধরে থাকে। নাইটকুইন ফুলের মতো দেখতে ড্রাগন ফুল শুধুমাত্র রাতেই ফুটে। তাই একে রাতের রানী বলে আখ্যায়িত করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামপস্নাজম সেন্টারের প্রধান গবেষক এবং নতুন নতুন ফলের উদ্ভাবক ড. আব্দুর রহিম নতুন জাতের ড্রাগন ফল নিয়ে গবেষণা করে সার্থকতা লাভ করেছেন। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ড্রাগনের জাত থাইল্যান্ডের হলেও তিনি গবেষণা করেছেন ভিয়েতনামের জাত নিয়ে। তারই ফলশ্রম্নতিতে আমরা পেলাম নতুন জাতের ড্রাগন ফল যার স্বাদ অন্যান্য ড্রাগন ফলের চেয়ে শতগুনে বেশি। নতুন জাতের এই ড্রাগন ফলটি দেখতে যেমন মনোমুগ্ধকর তেমনি গুণেও অনন্য।
ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতিঃ ড্রাগন চাষে অন্যান্য ফলের চাষের তুলনায় কম পরিশ্রম ও পরিচর্ষা করে অধিক ফল উৎপাদন করে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
জমি নির্বাচন, চারা রোপন ও পরিচর্যাঃ পানি জমে না এমন স্বল্প উচু এবং জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দো-আঁশ মাটিতে ড্রাগন ফলের চাষ ভালো হয়। ড্রাগন ফলের চারা রোপনের জন্য প্রথমে নির্ধারিত স'ানে একটি পিলার পুতে নিয়ে তারপর পিলারের চারিপাশে মাটি খুড়ে ৫-৬ ঝুড়ি গোবর দিতে হবে। এরপর গোবরের উপর মাটি দিয়ে ভালভাবে গোবর- মাটি মিশিয়ে সমান করে দিতে হবে এবং পিলারের চারিপাশে ৩ থেকে ৪ টি ড্রাগন চারা লাগিয়ে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর সুতুলি দিয়ে পিলারের সাথে ড্রাগন চারা বেধে দিতে হবে যাতে করে চারা মাটিতে হেলে না পড়ে। ড্রাগন চাষের ৰেত্রে একটি পিলার থেকে অন্য পিলারের দুরত্ব হবে ৯ ফুট। ড্রাগন চারা বড় হলে পিলারের মাথায় টায়ার বেধে দিয়ে ড্রাগন গাছ ভালভাবে ঝুলে থাকার ব্যবস'া করতে হয়। এবং ড্রাগন ৰেতে যাতে আগাছা বা ঘাস বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ড্রাগন গাছের গোড়া সবসময় পরিস্কার রাখা ভাল।
পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণঃ এ ফলটি ডায়েটের জন্য বেশ উপযুক্ত এবং পেটের পীড়া দুর করে লিভারকে রাখে সুরৰিত। এছাড়া ডায়াবেটিক্‌ রোগ নিয়ন্ত্রনেও রয়েছে এর বিশেষ ৰমতা। ফলটিতে যুক্ত রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি, মিনারেল ও ফাইবার যা সুস্বাদু জুস তৈরীতে উপযোগি।
ড্রাগন ফলের অন্যতম গুরম্নত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এটি খুব দ্রম্নত বংশ বৃদ্ধিতে সৰম। সাধারণত বীজ ও কাটিং এই দুই পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের বংশ বিসৱার করা যায়। তবে কাটিং পদ্ধতিতেই এর বংশ বিসৱার করাই উত্তম। কেননা বীজের তুলনায় কাটিং পদ্ধতিতে ড্রাগন গাছ রোপন করা হলে তুলনামূলক কম সময়ে গাছ থেকে অধিক ফল পাওয়া যায়। একটি এক বছরের ড্রাগন গাছ ৩০ টি শাখা এবং একটি ৪ বছরের গাছ প্রায় ১৩০ টি প্রশাখা তৈরী করতে পারে। সুতরাং উন্নত প্রশিৰণ ও সঠিক ব্যবস'াপনার মাধ্যমে এসব শাখা-প্রশাখা থেকে খুব সহজেই এর বংশ বিসৱার করা সম্ভব। যা আমাদের দেশের প্রত্যনৱ অঞ্চলের কৃষকদের হাতে ড্রাগন গাছ পৌছে দিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে বৃদ্ধি পাবে ড্রাগন ফলের উৎপাদন, মিটবে পুষ্টির চাহিদা, দেশীয় চাহিদা পূরণ করে ড্রাগন ফল রপ্তানি করতে পারলে অর্জিত হবে বৈদেশিক মূদ্রা।
সাঈদ হাসান আকাশ/০১৭১৬৬৭৮৪৪৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.