নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাটি অঞ্চলে হাঁস পালন, কিশোরগঞ্জ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭


সারা বছরই পানি থৈথৈ করে দেশের সর্ববৃহৎ ভাটি অঞ্চল কিশোরগঞ্জের নিকলীর হাওড় ও বাওড় গুলোতে। আশেপাশে যে কয়টি গ্রাম বা জনবসতি আছে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয় মৎস্য আহরণ করেই। তবে বর্তমানে কিশোরগঞ্জের এই ভাটি অঞ্চলে অনেকেই হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। গ্রামের চারিপাশে হাওড়ের পানি আর ঘোড়াউতরা ও সোয়াইজানি নদীর তীর এই দুই মিলে হাস পালনের উপযুক্ত পরিবেশ হওয়ায় কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার আফিসপাড়া, মিরহাটি, নগরশিবির, মোহরকোনা, ভাটিপাড়াসহ অনেক গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ হাঁস পালন করে অর্থনৈতিকভাবে হচ্ছেন সাবলম্বী। যার যতটুকু সামর্থ আছে সেই অনুযায়ী হাওড়ের পাশে নেট বা বেড়া দিয়ে হাস চরে বেড়ানোর মত জায়গা করে দেয়। যেখানে হাসগুলো মনের সুখে হাকডাক করে আর পানিতে খেলে বেড়ায়। এই অঞ্চলের অনেকেই হাঁস পালন করে সংসার পরিচালনা করে আসছে। হাঁস পালন করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে এমন খামারীর সংখ্যাও কম নয়। হাওড়ের পানি আর গ্রামের কিনার জুড়ে হাস পালন করে লোকমান, নয়ন, সাধু, সোহাগ, মিজান, আলম, জারহান, জসিম, ইমাম, বিলস্নাল, হামিদসহ অনেকেই এখন জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। তাদের মধ্যে কাঞ্চন মাঝি অন্যতম একজন হাঁস পালনকারী।() হসি পালনকারীরা বছরের দুইবার, ভাদ্র-আশ্বিন ও চৈত্র-বৈশাখ মাসে বাচ্চা সংগ্রহ করে লালন- পালন শুরম্ন করে। ১১৫-১২০ দিনের মাথায় এই হাসগুলো ডিম দিতে শুরম্ন করে। বছরে ২-৩ মাস এই হাসগুলোকে ঘরের খাবার খাওয়াতে হয়, তারপর ৮-৯ মাস উন্মুক্ত হাওড়ে চরে বেড়ায় এবং প্রাকৃতিক খাদ্য খায়। তাতে করে হাস পালন করতে খুব বেশি খরচ করতে হয় না এই সব হাস পালনকারীদের। তবে হাঁস পালনের উপযুক্ত প্রশিৰন ও রোগ-বালাই দমনের জন্য ঔষধের ব্যবস'া পর্যাপ্ত না থাকায় বেশ ৰতির সম্মূখীন হন হাঁস খামারীরা।() দিনের শুরম্নতে হাসের বাসস'ান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে হাস বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসের চারণ জলাশয়ে। সেখানে তাদের পরিচর্যা ও খাদ্য দেওয়া হয়। হাসগুলো সারাদিন উম্মুক্ত জলাশয়ে থাকার পর সন্ধ্যায় ফিরে আসে আপন ঠিকানায়। এমনিভাবে হাঁস পালন করে সংসারের অভাব দূর করতে সৰম হয়েছেন অনেকেই।() বর্তমানে কিশোরগঞ্জের নিকলী এলাকাসহ ভাটি অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক হাসের খামার। সংগত কারণেই কেউ আবার হাস পালন করতে করতে শুরম্ন করেছেন হাঁস ও হাসের ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা।() কিশোরগঞ্জের নিকলী এলাকার এইসব হাস খামারীদের যদি প্রয়োজনীয় প্রশিৰন ও হাসের বিভিন্ন ধরনের টিকাসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ আর সরকারী পশুপালন কর্মকর্তাদের সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের লৰ্যে সরকারী ভাবে পদৰেপ নেওয়া হয় তাহলে ভাটি অঞ্চলের এই হাঁস পালন থেকে দেশের বৃহৎ অংশে হাসের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশিস্নষ্টরা।


সাঈদ হাসান আকাশ/০১৭১৬৬৭৮৪৪৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.