নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৈকর হতে পারে টাকা আয়ের মাধ্যম

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬



পূর্নভূমি সিলেটের মাটিতে দেশীয় অনেক ফলের পাশাপাশি বিদেশী ফলও হয় প্রচুর পরিমাণে। যার ফলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনইস্টিটিউট এই সিলেটে স'াপন করে সাইট্রাস জাতীয় ফল গবেষণা কেন্দ্র। এই ফল গবেষণা কেন্দ্র প্রতিবছরই বিভিন্ন ফলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং বিলুপ্তপ্রায় ফলের চাষ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন জাতের ফল উদ্ভাবন করে আসছে সফলতার সাথে। সেই ধারাবাহিকতায় এই গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা বিলুপ্তপ্রায় ফল তৈকর কে নতুন ভাবে বারি তৈকর-১ নামে পূণরায় চাষ ও গবেষণা করে সফল হয়েছেন, যা দেশের জন্য বিপুল সম্ভাবনার দ্বার প্রশস' করতে সৰম। সিলেটের সাইট্রাস জাতীয় ফল গবেষণা কেন্দ্রে এই তৈকর ফলের গাছ রয়েছে বেশ কয়েকটি। এই গাছগুলোকে গবেষণার জন্য রেখে নতুন করে চারাও করেছেন যা কৃষক পর্যায়ে দেওয়া যাবে। তৈকর গাছ দেখতে দেশীয় ফল চালতা গাছের মত। আকারে বেশ বড় এই তৈকর গাছের পাতা বেশ বড় সবুজ রংয়ের। ফুল আসতে শুরম্ন করে আগষ্ট মাসে। বছরে দুইবার ধাপে ধাপে ফুল আসে এবং প্রায় সারা বছরই গাছে ফল থাকে। ছোট অবস'ায় ফুল বেশ লম্বাটে মনে হয় পরবর্তীতে ফুল থেকে ফল আসলে দেখা যায় ফলের বোটা বেশ লম্বা আর ফলের রং গাঢ় সবুজ। এই তৈকর ফল বড় হওয়ার সাথে সাথে রংয়ের কিছুটা পরিবর্তন আসে এবং ফল পাকার আগ মুহুর্তে হলুদ রং ধারণ করে। এই তৈকরের আদি প্রাপ্তিস'ান ভারতের আসামে হলেও আমাদের দেশের সিলেটে তৈকর প্রচুর পরিমানে জন্মে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তৈকরে আরো আছে ভেষজগুন, যা স্কার্ভি রোগ নিরাময়ে মহৌষধ হিসাবে কাজ করে। একটি তৈকর গাছ বছরে দুইবার ফল দেয় । গাছ প্রতি ফলের সংখ্যা ৩০০ থেকে শুরম্ন করে প্রায় ৫০০টি পর্যনৱ হয়। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ৬০০ গ্রাম থেকে ৭৫০ গ্রাম পর্যনৱ। বীজ থেকে চারা তেমন ভাল না হলেও কলমের মাধ্যমে চারা করা যায় সহজেই।
রোপন ব্যবস'াপনাঃ
আমাদের দেশের কৃষকরা মধ্য জৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র মাসে এই তৈকরের চারা রোপন করতে পারবে। চারা লাগানোর সময় নির্ধারিত দূরত্বে লাগানো উত্তম। সেৰেত্রে একটি গাছ থেকে অন্য গাছের দুরত্ব কমপৰে ৬ মিটার রাখা ভাল।

সার ব্যবস'াপনাঃ
একটি পূর্ণ বয়স্ক তৈকর গাছে ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ১ কেজি, এমওপি ১ কেজি এবং গোবর সার ২০ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হয়। ফল সংগ্রহের পর বছরে দুই কিসিৱতে সার প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিসিৱ বর্ষা মৌসুমের আগে এবং দ্বিতীয় কিসৱী বর্ষা মৌসুমের পরে সার প্রয়োগ করা ভাল। খরা মৌসুমে ফল গাছে ফল আসার ১৫ দিন পর ২-৩ বার সেচ দিলে ফলন ভাল হয়।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.