| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাকঘর সাহিত্য পত্রিকা
আমি হাজার বছর বাঁচিতে চাই মানুষের মাঝে কি সকাল কি দুপুর কি বিকেল কি তমিস্রার সাঁঝে।
সুবেদার, কেন আঁখি ছলছলে
কেন বাক্ রুদ্ধ নিশিদিন যাপন,
কেন মাথা নুয়ে ভিক্ষের ঝুঁড়ি হাতে
কেন নিরুত্তর অবনত মস্তকে
কেন নির্বাক আলাপন।
স্বাধীনতা-
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা!
রক্তগঙ্গা স্নাতকরে, ইজ্জতভ্রষ্টে
তোমাকে ছিনিয়ে এনেছিলাম।
সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেয়েছিলাম
উষার আকাশপানে উদিত
লাল সবুজের পতাকায়
আমিও পতপত করে উড়বো।
ঐ সুনীল গগনতলে
চির হাস্যোজ্জ্বল ভোরের
সোনালী সূর্যের আলোয়
উদ্ভাসিত হবো।
পল্লবঘন আম্রকাননে, ফসলের মাঠে
তরতর করে ছুটে চলা স্রোতস্বিনীর বোকে
গা ভাঁসিয়ে আমিও ছূটবো।
স্বাধীনতা-
তোর ছাপ্পান্ন বছর পরও
ভেবেছিলাম হয়তো কালো মেঘের অবসান ঘটবে
চাতকের ন্যায় অপেক্ষা-অপেক্ষা, অপেক্ষা!
ক্ষুধার জ্বালায় রক্তের শিরায় শিরায় নিশান উড়ে
কাঁধের রাইফেলটা আবারো লাশের গন্ধ বিকিয়ে যায়
গ্রেনেডের বিকট আওয়াজ হিংস্র
মৃত্যুর দামামা শোনায়।
জ্বালা-জ্বালা, জ্বালা
এ তার চেয়েওতো অধিক যখন
পিতার চোঁখের সামনে
কন্যার ইজ্জত হরণ
এ তার চেয়েও অধিক বেদনাদায়ক
যখন মা আর মেয়েকে
পৈশাচিক নির্যাতনের পরও হত্যা।
মাইন, কামান ফের রাইফেলটা আমার
চোঁখেতে টগবগিয়ে উঠে।
বৈষম্য-বৈষম্য- বৈষম্য!
বীভৎস বৈষম্য আজ তোর খেলাঘরে
যে বৈষম্য চাকার পিষ্ট থেকে মুক্তির প্রয়াসে
সমস্ত বাংগালী জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেম জীবন যুদ্ধে,
আর আজ তারই রন্দ্রে রন্দ্রে বৈষম্য।
আজ পাড়া মহল্লা গ্রাম ইউনিয়ন
লুন্ঠনের নামে শাসন নীতি
অবরুদ্ধ অনাহারী ক্ষুধার্ত মানুষের
আত্ম চীৎকারে ভু-প্রকম্পিত।
উদয়ের আকাশে তুষের অনল
দাও দাও করে জ্বলছে।
শতাব্দীর বীরত্বগাথা শ্রেষ্ঠ বীর বাংগালীর
ছিন্ন, বীভৎস, বঞ্চিত, অনাহারী মানুষের
আত্মচীৎকার শুনতে শুনতে,
মৃত্যুর মিছিলে মিছিলে অসংখ্যযোদ্ধাহতের
নীরব কান্নায়আমি সত্যে এক
নির্বাক মুক্তিযোদ্ধা! 
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পাবেন। অপেক্ষা করুন। মনে রাখবেন। দেরী হোক, যায় নি সময়।