নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন আমরা সত্য ও ন্যায়ের কথা বলি ।

আমি আল্লাহর সৃষ্টি জগতের সকল সৃষ্টিকে ভালবাসি ।

সাইদুল ইসলাম ডুয়েট

I am student , studying in B.Sc in EEE

সাইদুল ইসলাম ডুয়েট › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধের বিচারে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসৃত না হওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের উদ্বেগ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২





জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাম্প্রতিক মাওলানা আবুল কালাম আযাদ এবং আব্দুল কাদের মোল্লার দুই রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আরো যে সব মামলা বিচারাধীন রয়েছে, সে সবের ব্যাপারেও অনুরূপ রায় দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, আসামীর অনুপস্থিতিতে প্রথম বিচারে সুষ্ঠু বিচার এবং প্রক্রিযা নিশ্চিত করা হয়নি।



জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপরচার অন এক্সট্রাজুডিশিয়াল কিলিং, সামারি অর আরবিট্রারি এক্সিকিউশনস' খ্রিস্টোফ হেইয়নস ও ‘স্পেশাল র‌্যাপরচার অন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্স অব জাজেজ অ্যান্ড লয়্যারস' গাব্রিয়েলা নউল গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, এসব বিচারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং রেফারেন্স হিসেবে এসব মৃত্যুদন্ডাদেশের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় গঠিত ট্রাইব্যুনালে সব বিবাদীর স্বচ্ছ বিচার পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।



জাতিসংঘের দুই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, অতীতের মারাত্মক অপরাধগুলোর ন্যায়বিচারে প্রাণদন্ডের মত শাস্তির ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছ বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



হেইয়নস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আযাদের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়ার বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ বিচার এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।



তিনি জোর দিয়ে বলেন, মৃত্যুদন্ড দেয়ার মামলাগুলোর ক্ষেত্রে বিচারে কঠোরভাবে স্বচ্ছতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ আন্তর্জাতিক আইনে প্রয়োজন।



হেইয়নস বলেন, বিচারে যে সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড হতে পারে, সে সব ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সম্ভব সকল ব্যবস্থা গৃহীত হওয়াসহ ‘ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিকাল রাইস' থেকে আরোপিত বিধিনিষিধ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।



বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও প্রসিকিউশনের নিরপেক্ষতা এবং নির্বাহী বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা নিয়ে যে সব প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গাব্রিয়েলা নউল। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ও ডিফেন্সের আইনজীবীরা তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন।



মিসেস কান্যুলে বলেন, আসামীদের স্বাধীনভাবে তাদের আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করা, আইনজীবীদের সাথে কথা বলা এবং তাদের পক্ষে সাক্ষী আনার ন্যূনতম সুযোগ দেয়া উচিত। আইনের বিধান অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়ার সর্ব পর্যায়ে উভয়পক্ষই সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখে।



২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে।



জাতিসংঘের এই দুই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, আপিলের সময় বিচার প্রক্রিয়ার যেকোনো ত্রুটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিবেচনায় নিতে হবে। স্বচ্ছ বিচারের নিশ্চয়তা বিধান, বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য একটি আপিল প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল যেমন অতীতের অপরাধের বিচারের জন্য একটা প্লাটফর্ম পাশাপাশি এখানে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, ট্রাইব্যুনালের বিচার যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায্য বিচারের মৌল উপাদানগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো হবে।



এর আগে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মান ও নীতি অনুযায়ী পরিচালনার আহবান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিটারী ডিটেনশন (UN Working Group On Arbitrary Detention)। আটককৃতদের মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘের Special Rapporteur on Torture কে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে ওয়াকিংর্ গ্রুপ। পাশাপাশি বিধি বহির্ভূত আটক রাখার জন্য অধ্যাপক গোলাম আযম, মীর কাশেম আলী ও এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দেয়ার আহবান জানায় তারা। এর আগে গত বছর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে আটক রাখার প্রক্রিয়া আইন সম্মত হয়নি বলে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছিল ওয়ার্কিং গ্রুপ।



ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিটারী ডিটেনশন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রেজুলেশন ১৯৯১/৪২ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়াকিংর্ গ্রুপের কার্যক্রম নিয়ে আরেকটি রেজুলেশন হয় যার নয় ১৯৯৭/৫০। ২০০৬ সালে মানবাধিকার কাউন্সিলের কার্যক্রম অনুমোদিত হয় যার নং ২০০৬/১০২। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আরো ৩ বছরের জন্য তা বাড়ানো হয়। যার রেজুলেশন নং ১৫/১৮।



বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আটককৃত গোলাম আযম, মীর কাশেম আলী ও এটিএম আজহারুল ইসলামের অবস্থা জানতে চেয়ে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিটারী ডিটেনশন এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয়া হয়। সরকার এতে কোন সাড়া দেয়নি। পরবর্তীতে ওয়ার্কিং গ্রুপ নিজস্ব উদ্যোগে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ১৪-২৩ নবেম্বর ২০১২ তারিখে গ্রুপের অধিবেশনে রিপোর্টটি চূড়ান্ত করে। ওয়ার্কিং গ্রপের মতামতের স্মারক নং হচ্ছে ৬৬/২০১২ (বাংলাদেশ)। মতামতটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বার্ষিক রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হবে। এর আগে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল কাদের মোল্লার বিষয়ে জানতে চেয়ে গত ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিটারী ডিটেনশন এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয়া হয়। সে সময়ও সরকার কোন সাড়া দেয়নি। চিঠিতে নির্দিষ্ট সময় দিয়ে বলা হয়েছিল, এর মধ্যে তথ্য না দিলে তারা নিজেরাই তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদের মতামত দিবে। সরকার সাড়া না দেয়ায় ওয়ার্কিং গ্রুপ নিজেরাই তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদের মতামত চূড়ান্ত করে। এতে তাদের আটক রাখাকে বিধি বহির্ভূত উল্লেখ করে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছিল।



ওয়াকিংর্ গ্রুপের রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলী ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আটক করা ও তাদের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, তাদেরকে খামখেয়ালীভাবে বিধিবহির্ভূত বিচার পূর্ব আটক রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ন্যায্য বিচারের ন্যূনতম মানও খেয়াল রাখা হয়নি।





source: The daily sangram (সামছুল আরেফীন )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

নায়করাজ বলেছেন: স এ সাইদুল, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।

Click This Link

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫১

পীরসাহেব বলেছেন: হয়, আইছে মাতবার ইউএন। ১৯৭১এ কোন বাল ফালাইছে তা জানি। ইটস পে ব্যাক টাইম। সুদ সমেত।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

মেঘ বালকের কথা বলেছেন: ভাগ, পিচ্চি রাজাকার...

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২২

সৌম্য বলেছেন: এই যে গিফট-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.