![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am student , studying in B.Sc in EEE
রাসূল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে নাস্তিক বাম ব্লগারদের কটূক্তির প্রতিবাদে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ ও আওয়ামী ক্যাডারদের হামলায় সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক সংগঠন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ঈমানী সমাবেশে পুলিশী হামলা করে নাস্তিক মুরতাদদের পক্ষ নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শাহবাগের মঞ্চ করে তারা ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শাহবাগে রাসূল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করলেও মুসল্লিদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করছে পুলিশ। এতে করে সরকার সারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার যদি নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তৌহিদী জনতা ও ইসলামী সংগঠনগুলো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
সারা দেশে ইসলামী ঐক্যজোটের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের ন্যক্কারজনক হামলা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান জালিম সরকার ঈমানী সমাবেশে হামলা করে নাস্তিক মুরতাদদের রক্ষা করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। এই সরকার একদিকে নাস্তিক মুরতাদদের পক্ষাবলম্বন করে পুলিশ প্রহরায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় শাহবাগে মঞ্চ নির্মাণ করে দিয়ে দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে আল্লাহ, মহানবী (সাঃ) ও ইসলাম নিয়ে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন ও অবমাননার প্রতিবাদে দেশের ইসলামপ্রিয় জনগণ গতকাল বাদ জুম'আ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রতিটি মসজিদ থেকে যখন শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করার চেষ্টা করেছে তখন নির্বিচারে তাদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা সাধারণ মুসল্লীদের ওপর পৈশাচিক হামলা চালিয়ে অনেককে পঙ্গু করে দিয়েছে। সরকার আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে কোনো ঈমানদার মুসলমানের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে আল্লাহ এবং রাসূলের ইজ্জ বাঁচাতে মুরতাদদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ এটিএনের জাহিদুজ্জামান তুহিনসহ সাংবাদিকদের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মুসলমানদের ঈমানী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার কোনো শক্তি বর্তমান সরকারের নেই।
বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকীব, এডভোকেট মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ তৈয়্যেব, অধ্যাপক এহতেশাম সারোয়ার, অধ্যাপক আবদুল করীম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল প্রমুখ।
নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুর রকিব এডভোকেট ও মহাসচিব মাওলানা মোঃ আবদুল লতিফ নেজামী ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের লেখায় সর্বশক্তিমান আল্লাহ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.), ইসলাম, ঈদ, নামাজ, রোজা, হজ্ব, ঢিলা-কুলুখ, সিজদা প্রভৃতি ইসলামী অনুশাসন সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর, ব্যাঙ্গাত্মক, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, অশালীন, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, লাগামহীন ও হিংসাত্মক মন্তব্যের প্রতিবাদে ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসমূহের আহূত সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলীতে বহুসংখ্যক লোকের হতাহতের ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেছেন যে, এতে বর্তমান সরকার যে নাস্তিক-মুরতাদদের পৃষ্ঠপোষক তা আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে গুলী করে নগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুমসহ নেতৃবৃন্দের আহতের ঘটনায় ২৫ সমমনা ও ইসলামী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলী চালায়। এতে ২০ জনকে গুলী করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তাছাড়াও শতাধিক লোক আহত ৩৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার নিন্দাযোগ্য। তারা বলেন, সরকার নাস্তিক-মুরতাদদেরকে গ্রেফতার না করে উল্টো ঈমানদার জনতার ওপর গুলী ও লাঠিপেটা করে বাম-রাম ও নাস্তিক-মুরতাদদের উৎসাহিত করেছে সরকার।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ সমমনা ও ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কবির, বাংলাদেশ মুসল্লি কমিটির সভাপতি ও ৭১ শহীদ পরিবার ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান জমীর আলী, মুসলিম লীগের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক সমাজ এবং সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাওলানা মোঃ শওকত আমীন পীর সাহেবসহ ২৫টি সংগঠন।
তওহীদি জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা ও নিহতের ঘটনায় ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার রাসূল প্রেমিক জনতার ওপর হামলা করে জঘন্য অপরাধ করেছে। তিনি ইসলাম প্রিয় জনতাকে নাস্তিক-মরতাদদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করার আহবান জানান।
এছাড়াও পুলিশী ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের হামলার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক এবং জাতীয় ওলামা পরিষদ বাংলাদেশ পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
Source: D.S
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: যারা আমাদের মহান নবী করিম (সাঃ) কে রাজনীতি করে অতিসত্বর তারা ধ্বংস হবেই ইনসআল্লাহ, এই যালিম জামায়াত ধ্বংস হোক, আমিন।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
ভোলার ডাইরী বলেছেন: শাহবাগের মুক্তিযোদ্ধারা পারলে একবার স্লোগান দেন "ম তে মখা আলমগীর, তুই রাজাকার তুই রাজাকার " ছাত্রলীগের পোলাপান ধইরা ঠ্যাং ভাইন্গা দিবো
এমনে পুলিশের নিরপাত্তায় থেকে ফ্রি খাবার খেয়ে সাংস্কৃীতিক অনুষ্ঠান করে আর ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে স্লোগান দিলে পিকনিক হয়, বিপ্লব হয়না
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
াহো বলেছেন: পাকিস্তান মসজিদে সাম্প্রদায়িক আক্রমনের কয়েকটি পরিসংখ্যান দেই... মন দিয়ে পড়ার দরকার নেই, খালি চোখ বুলান।
২০০৩ সাল-- ০৪ টি মসজিদে আক্রমণ-- ৬৫ জন নিহত
২০০৪ সাল-- ০৭ টি মসজিদে আক্রমণ-- ৮৮ জন নিহত
২০০৫ সাল-- ০৪ টি মসজিদে আক্রমণ-- ৩৫ জন নিহত
২০০৭ সাল-- ০৬ টি মসজিদে আক্রমণ-- ৮৫ জন নিহত
২০০৮ সাল-- ১২ টি মসজিদে আক্রমণ-- ১০০ জন নিহত
২০০৯ সাল-- ১৭ টি মসজিদে আক্রমণ-- ২৭৭ জন নিহত
২০১০ সাল-- ০৮ টি মসজিদে আক্রমণ-- ১৮০ জন নিহত
২০১১ সাল-- ০১ টি মসজিদে আক্রমণ-- ১০ জন নিহত
২০১২ সাল-- ০৩ টি মসজিদে আক্রমণ-- ০২ জন নিহত
টোটাল ৯ বছরে ৬২টি মসজিদে নিহত ৮৪২ জন এবং আহত ১৮৯২ জন।
পুরো পৃথিবীর না, শুধুমাত্র একটি বিশেষ দেশের পরিসংখ্যান এটা... দেশটির নাম পাকিস্তান (ওই দেশের মানুষ ছাড়া বাকিরা আদর কইরা ফাকিস্তান ডাকে।) এইবার বুঝে নিন মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের উপর এইভাবে আক্রমণ করা কোনখানের সিগনেচার মুভ।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: যারা আমাদের মহান নবী করিম (সাঃ) কে নিয়ে রাজনীতি করে , মিথ্যা কথা বলে, অতিসত্বর তারা ধ্বংস হবেই ইনসআল্লাহ, এই যালিম জামায়াত ধ্বংস হোক, আমিন।
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভোলার ডাইরী বলেছেন: শাহবাগের মুক্তিযোদ্ধারা পারলে একবার স্লোগান দেন "ম তে মখা আলমগীর, তুই রাজাকার তুই রাজাকার " ছাত্রলীগের পোলাপান ধইরা ঠ্যাং ভাইন্গা দিবো
এমনে পুলিশের নিরপাত্তায় থেকে ফ্রি খাবার খেয়ে সাংস্কৃীতিক অনুষ্ঠান করে আর ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে স্লোগান দিলে পিকনিক হয়, বিপ্লব হয়না
ওই হেডাম জীবনেও অইবে না
যার খায় তার গুন গায়-
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১
মুদ্দাকির বলেছেন: প্রতিবাদের ঝড় তুইলা লাভ নাই, নাস্তিক গুলারে ঝাটায়া সোজা করতে পারলে ভালো হইত, কিন্তু সত্যি কথা হইল জামাতিরা যেমন মানুষ হইব না এই নাস্তিক গুলাও হইবনা !!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নন্দনপুরী বলেছেন: আল্লাহ্, রাসুল (সঃ) ও কোরআন নিয়ে অশ্লীল ও বিকৃত ভাষায় কটূক্তিকরা শিবিরের চক্রান্ত।
হে আল্লাহ.........মুসোলমান জনতাকে এই ভন্ডদের হাতথেকে বাচাঁও