শিরোনামহীন গল্প

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

গল্প-১

শাহেদ আজকে খুব বিষণ্ণ। রিনার সাথে খুব কথা কাটা কাটি হয়েছে আজ। অথচ আজকে সবকিছু খুব আনন্দদায়ক হবার কথা ছিলো। বরাবর শাহেদ জন্মদিন পালন করে না কিন্ত রিনা করে। এবার রিনা রাতে কেক নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু অফিস থেকে বাসায় পৌঁছাতে শাহেদের অনেক দেরি হয়ে যায়। রিনা বাচ্চাদেরকে নিয়ে গুমিয়ে পরে। জন্মদিনের সকালে শাহেদ একটি অনুষ্ঠানে চলে যায় ওখান থেকে সোজা অফসিএ। মাঝে রিনার সাথে কথা হয় কয়েকবার। আজকে একটু আগে আসার তাগিদ দেয় রিনা বার বার। শায়েদ মনে মনে ঠিক করে আজকে একটু আগে বাসায় যাবে। কিন্তু ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম তা হতে দেয় না। বাসায় পৌঁছাতে সেই রাত ১০ টা। রিনা বাচ্চারা কেক কাটার জন্য টেবিল এর কাছে দাঁড়ায়। শাহেদ কাপর ছাড়তে ছাড়তে রিনাকে সংসারের কিছু কথা বলতে থাকে। রিনা সেটা মানতে পারে না। এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি , যার ফলে কেক কাটা হয় না। দুজনের কথা বন্দ হয়ে যায়। এই ৮ বছরে কতবার কথা বন্দ হলো চিন্তা করে শাহেদ। না গুনতে পারে না। অনেক বার.... এতটুকু মনে করতে পারে। রিনাকে বুজতে পারে না শাহেদ। তবে কি তাদের মধ্যে ভালোবাসা নেই ? কেউ কাওকে বুজতে পারে না ? কেন ? এই উত্তর খুঁজে পায়না শাহেদ। নিজেকে খুব ছোট লাগে। নিজের উপর ঘৃন্না হয়। তবে কি তারা শুধু বাচ্চাদের জন্য সমঝোতা করে সংসার করছে? কোনো ভালোবাসা নেই, কোনো সন্মান নেই।তবে কি জীবন টা এভাবেই যাবে ? তার সব কিছু আছে , কিন্তু রিনার ভালোবাসা নাই। তাহলে কোনো কিছুর মূল্য কি আছে ?

রিনার মনটা খুবই খারাপ। এতো কিছু করে শেষ পর্যন্ত কি হলো এটা ? শাহেদ এটা কি করলো ? তাকে এভাবে অবহেলা করলো ? সে শাহেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক এনে রাখলো , কিন্তু শাহেদ সময় মতো বাসায় আসলো না আবার আসার পর এটা কি করলো সে ? কেক না কেটে ঝগড়া করলো ? এই ৮ বছরে সে কি শাহেদকে বুজতে পেরেছে ? এখন কি শুধুই সমঝোতা ? আসলে কি ভালোবাসা কোনো দিন ছিল ? না কি ছিল না ? তবে কি আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো ছিল ? সে তো অনেক আগেই শাহেদ কে বলেছিলো আলাদা হবার কথা। এখন বাচ্চাদের কথা চিন্তা করলে আর কিছু চিন্তা করতে পারে না সে। তবে কি এভাবেই চলবে তার জীবন ? কোনো ভালোবাসা নাই শুধুই সমঝোতা।

https://www.youtube.com/watch?v=aPw1M_Ehg94

১ টি +০/-০