নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলবিরুনী

Very Good Boy.

আলবিরুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভাত দে হারামজাদা, তা-না-হ’লে মানচিত্র খাবো"

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১০

আমি আমার ওয়াল এ সাধারণত কোনো পোসট দেই না।

আজকে সাভার এর শ্রমিকদের জন্য একটা দিব।

শ্রমিকদের কণঠএ কণঠ মিলিয়ে বলতে চাই,



শাহবাগ চাই না, হেফাযত চাই না

"ভাত দে হারামজাদা, তা-না-হ’লে মানচিত্র খাবো"



‘ভাত দে হারামজাদা’

---রফিক আজাদের



ভীষণ ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শারীর বৃত্ত ব্যেপে

অনুভূত হ’তে থাকে – প্রতিপলে – সর্বগ্রাসী ক্ষুধা!

অনাবৃস্টি – যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে – জ্বেলে দ্যায়

প্রভূত দাহন – তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ।

দু’বেলা দু’মুঠো পেলে মোটে নেই অন্যকোন দাবি,

অনেকে অনেক-কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়ঃ

বাড়ি, গাড়ি, টাকাকড়ি – কারোর বা খ্যাতির লোভ আছে;

আমার সামান্য দাবিঃ পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর –

ভাত চাই – এই চাওয়া সরাসরি – ঠাণ্ডা বা গরম,

সরু বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চালে হ’লে

কোনো ক্ষতি নেই—মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাই;

দু’বেলা দু’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য সব দাবি!

অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি, নেই যৌন-ক্ষুধা-

চাইনি তোঃ নাভিনিম্নে পরা শাড়ি, শাড়ীর মালিক;

যে চায় সে নিয়ে যাক-যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও-

জেনে রাখোঃ আমার ওসবে কোনো প্রয়োজন নেই।

যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবি,

তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড ঘ’টে যাবে;

ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইস্টানিস্ট, আইন কানুন-

সন্মুখে যা-কিছু পাবো খেয়ে যাবো অবলীলাক্রমে;

থাকবে না কিছু বাকি –চ’লে যাবে হা-ভাতের গ্রাসে।

যদি বা দৈবাৎ সন্মুখে তোমাকে, ধরো , পেয়ে যাই-

রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপচার হবে।

সর্বপরিবেশগ্রাসী হ’লে সামান্য ভাতের ক্ষুধা

ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে!

দৃশ্য থেকে দ্রস্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে

অবশেষে যথাক্রমে খাবোঃ গাছপালা, নদী-নালা,

গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত,

চলাচলকারি পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী,

উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ি-

আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ।

ভাত দে হারামজাদা, তা-না-হ’লে মানচিত্র খাবো।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.