![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?
আমাদের দেশে এখনও বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কদর আছে। কদর পাচ্ছে না পঠিত সাবজেক্ট। তাছাড়া শিক্ষার্থীরাও
শুরুতে বুঝতে পারে না তাদের পঠিত সাবজেক্টটির প্রয়োগ কোথায়?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিষ্ফলা কতগুলো সাবজেক্ট এখনও পড়ানো হচ্ছে। সংস্কৃত, উর্দূ, পালি ইত্যাদি বিষয় থেকে পড়ার পর
অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ইন্টারভিউ কার্ড দিচ্ছে না।
দেশের বেসরকারি খাতে প্রচুর জনবল দরকার। আমি হলফ করে বলতে পারব আপনি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও উর্দূ,
পালির প্রয়োগ বেসরকারি খাতে নেই।
গার্মেন্টস শিল্পে অনেক বিদেশী ইঞ্জিনিয়ার আসে। আপনার পালির জ্ঞান
দিয়ে গার্মেন্টস এর মেশিন চলবে না। এক বেসরকারি চাকুরির ভাইভায় আমাকে বলা হয়েছিল গরু দোহন করতে পারি কিনা?
আসলে তাদের খামারীদের হাতে-কলমে শেখানোর জন্য গরু দোহন করে দেখাতে হত। আমি থাইল্যান্ডের মূদ্রার নাম
জানি কিনা জানতে চায়নি!
আবার কিছু সাবজেক্ট আছে যেগুলো পড়লে শিক্ষকতার চাকুরি মিলে যেতে পারে। না মিললেই বেকার। এমন একটা
সাবজেক্ট হচ্ছে উদ্ভিদ বিজ্ঞান। তেমন প্রয়োগ আমাদের দেশে নেই।
আমাদের দেশের বেসরকারি চাকুরিতে আবার ছেলে মেয়ের চাহিদা সমান নয়। এটাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্বে শিক্ষার্থীদের জানতে হবে। কিছু বিষয় ভাল হওয়া স্বত্বেও মেয়েদের চাকুরিতে নেয়া হয় না। দেশের বড় চাকুরির
ওয়েবসাইট ঘাটলে দেখা যায় অধিকাংশ বেসরকারি চাকুরির জন্য লেখা আছে ‘অনলি ফর মেল’।
বেকার সমস্যার সমাধানে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো জরুরি। এখন
মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিযোগাযোগ, পোষাক শিল্প, পোল্ট্রি শিল্প, খাদ্য বিজ্ঞান ইত্যাদির ব্যাপক বিস্তার লাভ করলেও
উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা তেমন নেই। এসব চাকুরিতে কিন্তু আপনার পুরোনো দিনের পঠিত সাবজেক্ট চলবে না।
পদ্মা সেতুর পিলার ৪২ টা। ৪০ টা পানিতে আর ২ টা স্থলে। এসব হাস্যকর জ্ঞানার্জনে বিসিএস হবে ঠিক কিন্তু বেকার কমবে না। কারণ বিসিএসে
সবাইকে নিবেনা।
অধিকাংশ শিক্ষার্থী পাশ করে বের
হয়ে এসবই পড়ছে! হোক সে এমবিবিএস ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার। কমপক্ষে
৮-১০ মাস হলেও তার প্রয়োজনীয় বিষয় পড়া ছেড়ে পড়ছে কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম, কোন জলপ্রপাতে কত উঁচু থেকে পানি পড়ছে ইত্যাদি।
অথচ একজন ডাক্তারের সব সময়ই তার নিজস্ব পড়াগুলো চালিয়ে যেতে হয়। তারতো পড়া উচিৎ ছিল কোন ঔষধ কোন রোগে ভাল কাজ করে, রোগের লক্ষণ, ড্রাগ ইন্টার্যাকশন ইত্যাদি হাজারো প্রয়োজনীয় বিষয়। আমি মনে করি মুরগির ঘরের তাপমাত্রা কত রাখা লাগবে সেটা জানা আমার জন্য জরুরি কিন্তু
লিবিয়ার আজিজিয়ায় এখন তাপমাত্রা কেমন তা না জানলেও আমার মুরগির কোন ক্ষতি হবে না।
কিছুদিন আগে চীনা নাগরিক নকল ব্যাংক কার্ড দিয়ে টাকা তুলে ফেলল। অসৎ কাজকে সাপোর্ট করছি না। দেখুন, সে নকল কার্ড দিয়ে টাকা বের করতে সক্ষম হল! আর আমাদের দেশের অনেক
ছেলেমেয়েকেই পাওয়া যাবে যারা আসল কার্ড দিয়েও প্রথম কয়েকদিন টাকা তুলতে হিমশিম খাবে। বুঝলেন তো তাদের আর আমাদের জ্ঞানের তফাৎ?
পরিবর্তন আসবে। এই পরিবর্তন হতেই হবে। পরিবর্তন হতে হবে আমাদের
শিক্ষায় ও মানসিকতায়। কে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে সেটা বড়
নয়, বড় হচ্ছে তার পঠিত সাবজেক্ট।
পঠিত সাবজেক্টটি কর্মজীবনে প্রয়োগ কোথায়, কেমন হবে চাকুরির সুযোগ এসব ভেবেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হবে।
তাহলে অপ্রয়োজনীয় সাবজেক্ট গুলোর কি হবে? আর ৫-১০ বছর গেলেই উত্তর
পাবেন। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪১
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার আপনার উৎসাহ প্রদানকৃত মতামতের জন্য।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
কোলড বলেছেন: Bravo! Good post.
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪২
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ সকলকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর জ্ঞান গর্ব এ ছোট্ট নিবন্ধটি পাঠে ভাল লাগল । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের জন্য ভাল হবে সিদ্ধান্ত নিতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।