নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এ লাঞ্ছনা??

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৮

অতি সাম্প্রতি অনলাইন জগতের আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি ঘটনা হল বাংলামোটরে অদিতি নামের এক কলেজছাত্রীর লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা। ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী মিছিল থেকে তাকে হয়রানি করা হয়। ব্যপকভাবে যৌন হয়রানি করা হয় তাকে। হয়রানির পরিমান হয়ত মাত্রা থেকে অনেক বেশিই ছিল নাহলে একটি মেয়ে কখনই এভাবে হয়ত ফেসবুকে স্টাটাস দিত না। স্টাটাসটা আমি নিজে দেখেছি। স্পষ্ট ক্ষোভ এবং ব্যপক ঘৃণা ঝরে পরেছিল লেখার প্রতিটি শব্দে। জানিনা, মেয়েটি শেষ পর্যন্ত বিচার পাবে কি না। কিংবা বিচার চাইতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আরেক দফা হয়রানির স্বীকার হবে কি না।
চলতে ফিরতে একটু চোখ কান খোলা রাখলেই চোখে পরবে হাজারো ঘটনা। চলাফেরার প্রতিটি পদে পদে হয়রানির স্বীকার হতে হয় আমাদের মা-বোনদের। হয়রানিও হাজার রকম। তবে তথাকথিত আধুনিক জগৎ থেকে একটু দূরে থাকলে হয়রানি থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু জায়গা আছে যা চাইলেও এড়ানো সম্ভব নয়। আর এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হল পাবলিক পরিবহন। কেউ চাইলেই জিনিসটা এড়িয়ে যেতে পারে না। এড়ানো সম্ভবও না। অথচ, পাবলিক পরিবহনের হেলপার, সুপারভাইজার আর যাত্রীদের দ্বারা পর্দানশীল নারীদেরও যে কি পরিমান হয়রানির স্বীকার হতে হয় তা আসলেই ভয়ঙ্কর। এ জায়গাটিতে এসে নাস্তিকরা তো শেয়ালের মত হুক্কা হুয়া করে ওঠারই কথা। পর্দা করলে আবার কেন হয়রানির স্বীকার হতে হবে?? অথচ, এ খেক শেয়ালের গোষ্ঠী জানে না যে, পর্দার কাজ হল জাস্ট সৌন্দর্যকে আড়াল করা। আর যেকোন ধরনের যৌন হয়রানি এবং ব্যভিচারের শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে ইসলামী আইনে যে আইনের কাজ হল হয়রানি ঠেকানো। কিন্তু ইসলামী আইনের ব্যপারটা আমাদের আলেমসমাজও এড়িয়ে যান সূচারুভাবে। হয়ত তারা জেলের ভাত খেতে ইচ্ছুক নন।
কিন্তু কিভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?? প্রশ্নের উত্তরে আমাদের আলেম সমাজ বলবেন, “পর্দা করে চললে”। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলতে পারি, শুধু পর্দা করলেই সব রকম হয়রানি থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। সব রকমের হয়রানি থেকে শুধু সেদিনই মুক্তি পাওয়া যাবে যেদিন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামী আইন। যেদিন সিসিটিভির ফুটেজ থেকে অপরাধীকে খুজে বের করে সামান্যতম দেরি না করে জনসম্মুখ্যে বেত্রাঘাত করা হবে কেবল সেদিনই সমাজ থেকে চিরিতরে বিদায় নেবে যৌন হয়রানি।
কপালে বড় বড় টিপ পরা নারীবাদীরা প্রায়শই বলে থাকেন, “সমস্যা নারীর পোষাকে নয়; বরং সমস্যা পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে”। আমি তাদের কথার সাথে একমত। কারন পোষাকেই যদি সমস্যার সমাধান হত তাহলে বোরখা পরা বোনটি বাস থেকে নামার সময় হেলপারের আপত্তিকর স্পর্সের স্বীকার হত না। কিন্তু কপালে বড় বড় পরা ঐ নারীবাদীরা কথাটা নিয়ে আর সামনে আগান না। তারা বলেন না যে, পুরুষের এ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হলে কি করতে হবে। কারন ঐ কথা বললে আর তাদের কোন থিওরি কাজে লাগবে না। কারন, এ কথা আকাশের নীল রঙের মত স্পষ্ট যে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারবে একমাত্র ইসলামী শিক্ষা।
হ্যাঁ, একজন ধর্ষকও কোন না কোন মায়ের সন্তান। যে ছেলেটি নিজের বোনকে ভীড়ের মধ্যে আগলেই রাখে সেও হয়ত ভীড়ের সুযোগ নিয়ে অন্য মেয়ের গায়ে হাত দেয়। যে লম্পট লোকটি ধর্ষনের সেঞ্চুরি করেও মুক্তি পেয়ে যায় যেও হয়ত নিজের স্ত্রীকে অন্যের স্পর্শ থেকে বাচানোর চেষ্টা করে। তাই, “তাদের বাড়িতে কি মা বোন নেই??” এ ধরনের তাত্বিক কথায় যে কোন উপকার হয় না তা স্পষ্ট।
ফলাফল শুধু তখনই পাওয়া যাবে যখন একটি ছেলে ছোটবেলা থেকেই বুঝে উঠবে মহররম আর নন মহররম কারা। যখন বাসের হেল্পারটিও জানবে নন মহররম মেয়েদের স্পর্শ করলে কি শাস্তি পেতে হবে। আর এসব জানার পরেও যখন কেউ স্পর্শ করবে তখন জনসম্মুখ্যে তাকে করা হবে বেত্রাঘাত।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আল্লাহ কি কোন কারনে এই মেয়েকে শাস্তি দিলো; আপনি কি মনে করেন?

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: যেহেতু অপরাধের সাথে মেয়েটা জড়িত না তাই মেয়েটা শাস্তি পাবে না। বাট প্রেমিক প্রেমিকা যখন ঝোপের আড়ালে টেপাটেপি করে তখন সে অপরাধের জন্য দুজনেই শাস্তি পাবে।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

শিখণ্ডী বলেছেন: মেয়েটির উচিত ছিল ঘরের মধ্যে পর্দার সাথে বসবাস করা। তা না....যত্তসব

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: না। বরং উচিত ছিল ঐ নরপশুদের জনসম্মুখ্যে বেত্রাঘাত করা। কারন এটাই ইসলামী আইন। দয়া করে লেখাটি পুরোপুরি পড়বেন। আমি কি কোথাও বলেছি যে পর্দা করলেই এ থেকে রক্ষা পাওয়া যেত?? চোখে কি টিনের চশমা পরেন??

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০২

বারিধারা ২ বলেছেন: ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে, বিরোধী দল আর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পেটাতে গিয়ে মাঝে মাঝে পুলিশের কাছেও 'ধমক' খায়। এদের তো একটু আধটু বিনোদনের দরকার নয়, নাকি? রাস্তায় একটা মেয়েকে একা পেয়ে একটু আধটু হাতিয়েছে, ধর্ষণ তো আর করেনি, বা বাসা থেকে টেনে নামায়নি। স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরীদের এইটুকু অত্যাচার সহ্য করতে না পারলে আপনার চেতনায় সমস্যা আছে।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বারিধারা ২ বলেছেন: ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে, বিরোধী দল আর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পেটাতে গিয়ে মাঝে মাঝে পুলিশের কাছেও 'ধমক' খায়। এদের তো একটু আধটু বিনোদনের দরকার নয়, নাকি? রাস্তায় একটা মেয়েকে একা পেয়ে একটু আধটু হাতিয়েছে, ধর্ষণ তো আর করেনি, বা বাসা থেকে টেনে নামায়নি। স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরীদের এইটুকু অত্যাচার সহ্য করতে না পারলে আপনার চেতনায় সমস্যা আছে।


ভালো মন্তব্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.