![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চমৎকার বোলিংয়ে ভারতের ব্যাটসম্যানদের বেধে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৪০তম ওভারের আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে রোহিত বেঁচে যাওয়ার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা পরিবর্তন হয়ে যায়। হতবাক হওয়া ক্রিকেটাদের বোলিং-ফিল্ডিং সবই এলেমেলো হয়ে যায়।বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সেই রোহিত শর্মার শতকে দ্রুত রান সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৩০২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ভারত। শেষ ১৫ ওভার ১৪৭ রান যোগ করে শিরোপাধারীরা।
তিনশ’ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। কেউই নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাই লক্ষ্যের ধারে কাছে যেতে পারেনি তারা। ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।রোহিত ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে শুরুটা ভালো হয় ভারতের। উইকেট নিতে না পারলেও ভারতের ব্যাটসম্যানদের বেধে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেই চাপ কাটানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ভাঙে শিরোপাধারীদের ৭৫ রানের জুটি।বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। তার বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি ধাওয়ান। সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্টাম্পিং করে তাকে ফেরান মুশফিকুর রহিম।
পরের ওভারেই ভারতকে বড় একটা ধাক্কা দেন রুবেল হোসেন। অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত হন বিরাট কোহলি।চার রানের মধ্যে দুই উইকেট হারানো ভারতকে এরপর প্রতিটি রানের জন্য লড়াই করতে হয়। রানের গতি বেধে রাখার সাফল্য পেতে বেশি দেরি হয়নি বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অজিঙ্কা রাহানে।রোহিতের সঙ্গে রায়নার শতরানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ভারত। রানেই ভাঙতে পারতো এই জুটি। ব্যক্তিগত ১০ রানে কোনোরকমে বেঁচে যান রায়না। মাশরাফির বলে অল্পের জন্য এলবিডব্লউ হননি তিনি।
ভাগ্যের সহায়তা আরো পেয়েছে ভারত। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বেঁচে যান রোহিত। ৯০ রানে ব্যাট করছিলেন তখন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। রুবেলের ফুলটস বলে ক্যাচ দিলেও আম্পায়ার ‘নো’ ডাকায় জীবন পান তিনি।সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি রোহিত-রায়না। ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান এই দুই জনে। মাশরাফির বলে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে রায়নার বিদায়ে ভাঙে ১৫.৫ ওভার স্থায়ী জুটি। ৬৫ রান করা রায়নার ৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও ১টি ছক্কায়।
রায়না ফিরে গেলেও ভারতকে এগিয়ে নিতে থাকেন জীবন পাওয়া রোহিত। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শতকে পৌঁছানোর পর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন তিনি। তাসকিনের বলে তার স্টাম্প এলোমেলো হওয়ার আগে ১৩৭ রান করেন তিনি। তার ১২৬ বলের ইনিংসটি ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কা সমৃদ্ধ।শেষ দিকে ১০ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস খেলে ভারতের সংগ্রহ তিনশ’ পার করেন রবিন্দ্র জাদেজা। ৪০তম ওভারের আম্পায়ারের সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর এলেমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ফিল্ডিং। ওভার থ্রো, হাত ফস্কে চার হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে এই সময়ে।প্রথম ৩৫ ওভারে ১৫৫ রান করা ভারত শেষ ১৫ ওভারে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে।
©somewhere in net ltd.