নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং বাংলাদেশের নারী

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩


শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী!
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
কত বর্ণ, কত গন্ধ, ভূষণ কত-না –
সিন্ধু হতে মুক্তা আসে, খনি হতে সোনা,
বসন্তের বন হতে আসে পুষ্পভার,
চরণ রাঙাতে কীট দেয় প্রাণ তার।
লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তমার ‘পরে প্রদীপ্ত বাসনা –
অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা

কবির কবিতায় ঠিক যেভাবে রয়েছে নারীর বর্ণন, সেভাবেই বুঝি নারী যুগে যুগে চির রহস্যের আঁধার, পুরুষের পূজোনীয়। প্রেমে, কল্পনায়, মোহে জড়িয়ে রয়েছে নারী। এই নারীকে সাজাতে, ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গ হতে শুরু করে পাহাড়, পর্বত, আকাশ, বাতাস, তরুলতা সকলই যেন চির উন্মুখ। কবির ভাষায় বিধাতা শুধু নারীকে সৃষ্টিই করেছেন কিন্তু পুরুষেরা দিয়েছেন তাকে দেবী মর্যাদা। এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ড তার সেবায়, তার পদতলে রয়েছে শায়িত। এ কবিতা পড়ে আমার কিশোরীকালে আমিও এমনটাই ভাবতাম। বড় হতে হতে আমার বেদবাক্যতুল্য কবিগুরুর এই কবিতার বাণীতে বাণীতে, চরণে চরণে কোথাও কোথাও যেন ছেদ পড়া শুরু হলো, স্বপ্ন ভঙ্গ হতে শুরু করলো।

আমি তখনও ছিলেম মগন গহন ঘুমের ঘোরে- প্রথম স্বপ্নভঙ্গঃ-
আমি তখনও বিভোর কবিতায়, গানে, মোহময় স্বপনে। একদিন অনেক রাতে তখন রাত প্রায় ১২টা হবে। আমাদের বাড়িতে ঠিকা কাজ করতেন একজন মহিলা। সে আসলো হাউ মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে। তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। সারা গায়ে চাকা চাকা দাগ। অবিরাম কেঁদে যাচ্ছিলেন তিনি। তার স্বামী তাকে মেরে এই হাল করেছে। সারাদিনের কর্মক্লান্তিতে নাকি সন্ধ্যার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন উনি আর বেড়ে রাখা তরকারী ভাত বেড়াল খেয়ে গেছে। তাই সে অপরাধে রাতে বাড়ি ফিরে এইভাবে মেরেছেন কর্তামশাই তার স্ত্রীকে। রাতে আমাদের এখানেই থাকলেন উনি। আমি অবাক হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে মাকে জিগাসা করেছিলাম, কিন্তু মা উত্তর দিলেন ওদের মাঝে মানে নীচু সমাজে এটাই নাকি স্বাভাবিক। সেদিন ভেবেছিলাম, কবিগুরুর এই কবিতা শুধু উঁচু তলার জন্য অথবা সত্যিই নারী বুঝি অর্ধেক কল্পনারই বিষয়।

কেউ কখনও খুঁজে কি পায় স্বপ্নলোকের চাবি!- ২য় স্বপ্নভঙ্গঃ-
আমার এক আত্মীয়া। অনেক খুঁজে পেতে, ভেবে চিন্তে সমাজের মাথা স্থানীয় এক সুপ্রতিষ্ঠিত সুপাত্রের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো তাকে। এক সকালে সে অনেক কষ্টে ফোন দিয়ে জানালো, তার স্বামী তাকে একটা রুমে আটকে রেখেছে। তার আগে নাকি তার উপরে চালিয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। আত্মীয় স্বজনেরা যখন তাকে নিয়ে আসলো তার অবস্থা ছিলো খুবই সঙ্গিন। তার অপরাধ ছিলো সে নাকি স্বামীর ফোনে হাত দিয়েছিলো। এবারে আমি মাকে আর কোনো প্রশ্ন না করে নিজেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলাম। কাদের জন্য তাহলে এই নারী প্রেম, সৌন্দর্য্য বা গুণ কীর্তনের কবিতা, গান? একটাই উত্তর তখন ক্ষুদ্র মস্তিস্কে এসেছিলো, এসব কবিতা, গান, কথকথা হয়তোবা শুধুই পুরুষের চোখে সাজানো নারী পুতুলদের জন্য। বাস্তবে তা শতভাগ সত্য নয়। এখানে সমাজের উঁচুতলা, নীচুতলা বলে কোনোই কথা নেই আর তাই ইয়াসমিন বা শাজনীন বা অন্য যে কোনো নারীই যে কোনো সময় ভিক্টিম হয়ে যেতে পারে।

সৌন্দর্য্য, প্রেম ও পুত্তলিকা পূজা ছাড়াও কবিদের কবিতায় বার বার উঠে আসতে দেখেছি সাম্যের নারীঃ-
সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
কিংবা
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে
সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে
সংকটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে
সহায় হতে,
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
শুধু নারীর প্রেম, সৌন্দর্য্য বা পূজা ছাড়া এ কবিতাগুলি সমাজের আরও কিছু লুক্কায়িত সত্যের কথা খুব বেশি প্রকাশিত করেই বলেছে। নারী পুরুষের সমতা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অধিকার বা ঘরের কোনে মুখ লুকিয়ে পড়ে থাকা সমাজের হত দরিদ্র কিশোরীটির দুঃখ। কিন্তু কেনো? সৃষ্টিকর্তা তো নারী পুরুষকে একই মনুষ্যজনম দিয়েছিলেন। শুধুই পার্থক্য শাররীক গড়নে আর তাতেই কি এত বিভেদ?

সে প্রশ্নের জবাবগুলো খুঁজে পেতেই হয়তো ১৯১০ সালের ৮ মার্চ "নারী দিবসের" সূচনা হয়েছিলো। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তার মানে নারী শুধু আমাদের দেশেই নয় পুরো বিশ্বেই অসাম্যতা, বৈষম্য বা নির্যাতনের শিকার। উন্নত দেশগুলোতে নারীর যাও বা স্বাধীনতা, মতের মূল্য কিছুটা হলেও আছে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে নারী শুধুই পেছনে পড়ে থাকবারই জন্য।

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা ফুসে উঠেছিলেন একদিন। মজুরি বৈষম্য, কাজের অমানবিক পরিবেশ এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন তারা। নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসেন মিছিল নিয়ে। সেই মিছিলে চলে সরকার বাহিনীর পীড়ন। তবুও থেমে থাকেননি তারা।

৮ মার্চ এ দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবসঃ-
অবশেষে অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে ১৯১০ সালের ৮ মার্চ এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। কোপেনহেগেন শহরে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে সেদিন জার্মানির নারী নেত্রী ক্লারা জেটকিন এই দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস-ইতিহাস

কে এই ক্লারা জেটকিন ?
১৮৫৭ সালের ৫ জুলাই জার্মানির স্যাক্সোনি প্রদেশে জন্মেছিলেন ক্লারা জেটকিন। তখনকার দিনে জার্মান মেয়েদের লেখাপড়ার তেমন সুযোগ ছিলো না। প্রখর বুদ্ধিমত্তা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও চিন্তাভাবনার দিক থেকে গভীর বিশ্লেষণী এবং প্রচণ্ড সাহসী ক্লারা ১৮৭৪ সালের দিকে জার্মানির নারী আন্দোলন ও শ্রম আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আর তারপর....
ক্লারা জেটকিনের জীবনের কথা

এই ক্লারা জেটকিনের কারণেই মূলত ১৯৭৫ এর ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হয় দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের দাবী নিয়ে। আমাদের দেশের সূর্য্যদয় হতে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বা কখনও কখনও গভীর রাত্রী পর্যন্ত খেঁটে যাওয়া বউটি বা ইট ভাঙ্গা শ্রমিকটি হয়তো জানেননা কে এই ক্লারা জেটকিন। সে হোক না শহর কিংবা গাঁয়ের নারী। কোথায় কবে কোন দিবস নারীদের জন্য হলো বা কেই বা তার জন্য সংগ্রাম করে গেলো তাতে তাদের একটুও মাথা ব্যাথা নেই। সমাজের চাঁপিয়ে দেওয়া নিয়মেই তারা ভাবে বা মেনেই নেয়, নারী সে তো পিছিয়ে থাকার জন্যই। সম অধিকার তার প্রাপ্য নয়।
কিন্তু সে যুগ হয়েছে বাসী,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিলোনা নারীরা আছিল দাসী।

নারীদের জন্য এই একটি দিবসের বিশেষ কোনো তাৎপর্য্য আছে কি?
প্রশ্ন যদি হয় এটা তো উত্তর অবশ্যই, হ্যাঁ আছে। একটি বিশেষ দিন মানেই শুধু সেই দিনটিই নয়। বিশেষ করে বিশেষ দিনটিতে সারাবছরের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার দিন। স্মরণ করে রাখবার দিন।

১৯৯৬ হতে ২০১৫- নারী দিবসে জাতি সংঘের প্রতিপাদ্যগুলিঃ-
১৯৯৬ অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা (Celebrating the Past, Planning for the Future)
১৯৯৭ নারী এবং শান্তি (Women and the Peace Table)
১৯৯৮ নারী এবং মানবাধিকার (Women and Human Rights)
১৯৯৯ নারী প্রতি সহিংসতামুক্ত পৃথিবী (World Free of Violence Against Women)
২০০০ শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী (Women Uniting for Peace)
২০০১ নারী ও শান্তি : সংঘাতের সময় নারীর অবস্থান (Women and Peace: Women Managing Conflicts)
২০০২ আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যৎ (Afghan Women Today: Realities and Opportunities)
২০০৩ লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Gender Equality and the Millennium Development Goals)
২০০৪ নারী এবং এইহ আই ভি/ এইডস (Women and HIV/AIDS)
২০০৫ লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যত (Gender Equality Beyond 2005; Building a More Secure Future)
২০০৬ সিদ্ধান্ত গ্রহনে নারী (Women in Decision-making)
২০০৭ নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি (Ending Impunity for Violence Against Women and Girls)
২০০৮ নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ(Investing in Women and Girls)
২০০৯ নারী ও কিশোরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের একতা (Women and Men United to End Violence Against Women and Girls)
২০১০ সমান অধিকার, সমান সুযোগ- সকলের অগ্রগতি (Equal Rights, Equal Opportunities: Progress for All)
২০১১ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ (Equal Access to Education, Training, and Science and Technology: Pathway to Decent Work for Women)
২০১২ গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমাপ্তি (Empower Rural Women, End Poverty and Hunger)
২০১৩ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময় (A Promise is a Promise: Time for Action to End Violence Against Women)
২০১৪ নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা (Equality for Women is Progress for All)
২০১৫ নারীর ক্ষমতায়ন ও মানবতার উন্নয়ন (Empowering Women, Empowering Humanity: Picture it!)
নারী দিবসে জাতি সংঘের প্রতিপাদ্য

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও কিছু ভাবনা ও কিছু প্রশ্ন-
সেই কবে থেকেই সারা বিশ্বে চলছে সোচ্চার লড়াই। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ। তবুও আজও কি কন্যা শিশুর আগমন প্রতিটা বাড়িতেই খুব সমাদৃত?

অপ্রত্যাশিত কন্যা শিশুর জন্মঃ-
একটা সময় আরব দেশে কন্যা শিশুর জন্ম এতটাই অপ্রত্যাশিত ছিলো যে কন্যা শিশু জন্মের সাথে সাথে তাকে মাটি চাঁপা দেওয়া হত। ভারতের নানা অঞ্চলে আজও কাঁদে শত কলাবতীরা।ভারতে কন্যাভ্রূণ হত্যা আজও অব্যাহত
কলাবতী আজও কেঁদে চলে সারারাত
অনন্ত ঘুমে আছে তার সন্তান
রোগে শোকে নয় সমাজ মেরেছে তাকে
কন্যা হয়েছে এই তার অপরাধ
যদি কোনোদিন হারাও পর্যটনে
সন্ধানী চোখে অনুভব নিয়ে খোঁজো
দেখবে সেখানে নেই কোনো কন্যা
বিষন্নতার আলো গাঁয়ে মেখে
আজ আমি নিদ্রাহীন ।
অবাক চোখে তাকিয়ে আছি
সোনালী ভোরের দিকে
একদিন ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে আলো
অন্ধকার কেটে বেরিয়ে আসবে সোনালী ভোর
হয়তো সেদিন আমার কান্না বৃ্ষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে
আমার কন্যার সমাধির পাশে
অন্ধকার তারাভরা রাতে
আমি আকাশ হতে দেখবো আমার গ্রাম আমার প্রিয় জন্মভূমি।
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত !!!
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত !!!
আর আমাদের দেশ। আমাদের দেশেও কি কন্যা সন্তানের আগমন খুব বেশি প্রত্যাশিত? আজও পরিবারের প্রথম সন্তানটি ছেলে হোক এমনই হয় অধিকাংশ মানুষের চাওয়া। এই সব মানষিকতা কি আইন করে বা কোন জোর জবরদস্তিতে বদলানো যাবে? যতদিন আমাদের মানষিকতা না বদলাবে? তবে অবশ্যই যুগ যুগ ধরে কন্যা শিশু জন্মের প্রতি এই বিরূপ মানষিকতার পিছে কিছু কারণ রয়েছে। বংশ রক্ষা, সমাজ প্রথা, সম্পত্তি বন্টনের বিভেদ বৈষম্য নানা বিষয়ই জড়িয়ে রয়েছে এই মানষিকতা বা বৈষম্যের পিছনে।
কন্যা সন্তান একটি অভিশাপ?


আজও কি নির্মুল হয়েছে বাল্য বিবাহ?
বাল্য বিবাহ ও অশিক্ষাঃ-
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমাদের দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরতলীর দরিদ্র পরিবারের অধিকাংশ মেয়েদেরকে ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে বিবাহ দেওয়া হয়। অশিক্ষিত হওয়ায় ও সচেনতার অভাবে বিবাহের ১৩ মাসের মধ্যেই ৮০ শতাংশ মেয়ে সন্তান ধারন করে। মায়ের কম বয়স হওয়ায় মৃত্যু ঝুকিও বাড়ে তুলনা মুলক ভাবে বেশি। ঝুকিপূর্ন মাতৃত্ব ও প্রসব কালীন নানা জটিলতার শিকার হয় কিশোরী মেয়েরা।বাল্য বিবাহ ও সামাজিক অন্যায় কাজেই একজন নারীর মানষিক, শাররীক বা সামাজিক ঝুঁকির জন্য বাল্যবিবাহ অবশ্য প্রতিরোধ্য। নারীদের জন্য কি চিরতরে বন্ধ করা যায় না বাল্যবিবাহ?


নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে কিন্তু তার প্রসারতার পরিমান কতখানি?
নারী শিক্ষাঃ-
শিক্ষার জন্য নারীকে কম লড়তে হয়নি। হাইপেশিয়া হতে শুরু করে আমাদের বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রদূত, লেখিকা, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকেও কম দূর্ভোগ পোহাতে হয়নি। যুগে যুগে বুদ্ধিমান জ্ঞানী নারীরা হয়েছে সমাজের চক্ষুশূল।তাই খনার মত বুদ্ধিমতী নারীটিকেও অকাতরে দিতে হয় প্রাণ। আজও আমাদের দেশেই বাড়ির একটি ছেলের জন্য যে পরিমান শিক্ষার সুব্যাবস্থা বা অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়া হয় একটি মেয়েকে শিক্ষার চাইতে ভালো পাত্রস্থ করবার দিকেই অভিভাবকদের থাকে বেশি নজর। অথচ একটি সমাজের উন্নতির জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই শিক্ষার প্রয়োজন।


শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় পরিবারের একটি ছেলের সমান মূল্য কি একজন নারী পায়?
নারী শিক্ষার অবমূল্যায়নঃ-
অধিকাংশ সময়ই পুরুষের মত নারীর শিক্ষাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। তাই এখনও একজন উচ্চ শিক্ষিত পুরুষ চাকুরীর না করলে তা হয় অপরাধ অথচ সংসারের প্রয়োজনে অনেক উচ্চ শিক্ষিত নারীকেই থেকে যেতে হয় চার দেওয়ালের মাঝে।


পুরুষ শ্রমিক ও নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিকে কেনো এই বিভেদ, বৈষম্য?
নারী শ্রমের অমর্যাদাঃ-
পুরুষ শ্রমিকের সমান, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি শ্রম দিয়েও নারী শ্রমিকেরা পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ।
বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের হিসাবে, গত এক দশকে শ্রমবাজারে নারী শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি। যার ৭৭ শতাংশই গ্রামীণ নারী শ্রমিক। আর এদের অধিকাংশই মজুরি বৈষম্যের শিকার।
জানা যায়, ইটভাটা, পোশাক শিল্প, কৃষিকাজ, গৃহশ্রম, নির্মাণ কাজ ও চাতালের কাজসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাজেই নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পান ন। ঢাকার বাইরে এ বিভেদ আরও প্রকট। পুরুষদের তুলনায় নারীরা ১০০ থেকে ৫০ টাকা কম মজুরি পান। বাংলাদেশে নারী শ্রমিকেরা মজুরি বৈষম্যের শিকার
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থায় নারীর শ্রম


ফতোয়াবাজী বা অপবাদে নারীদেরকেই কেন মূল লক্ষ হতে হয়?
ফতোয়াবাজী ও অপবাদঃ-
গ্রাম্য সালিশ, ফতোয়াবাজী , দোররা মারা এসবের মধ্যে দিয়ে চলে নারীর প্রতি অমানুষিক নির্যাতন। ফতোয়াবাজী লালসালুর জমিলাকে মনে পড়ে। মনে হয় এ সমাজে আসলে তাকে বড় বেশি প্রয়োজন।

পরিবার ও সমাজে কি শিশুকাল থেকেই নারীকে পিছিয়ে থাকতে শেখানো হয় না?
সামাজের চাপিয়ে দেওয়া বৈষম্যঃ-
শিশুকাল হতে শিখিয়ে দেওয়া তুমি নারী। তোমার চারিদিকে প্রতিবন্ধকতা। তোমাকে পুতুল নিয়ে খেলতে হবে। ফ্রক পরতে হবে। বন্দুক পিস্তল গাড়ি নয়, গাছে ওঠা নয়। একটু বড় হলে একা একা কোথাও যাওয়া নয়।তোমাকে হতে হবে নম্র ভদ্র, শান্ত, শিষ্ঠ। এই বৈষম্য অনেকটাই তাকে স্বাবলম্বী হতে বাঁধা গ্রস্থ করে। বাবা, স্বামী বা ভাই মোট কথা সংসারে একজন পুরুষের অবর্তমানে নারী হয়ে পড়তে পারেন অসহায়। কাজেই এই সব নারী বিষয়ক সীমাবদ্ধতা থেকে একজন কন্যাকে ছোটবেলা থেকেই মুক্ত রাখতে হবে।

লৈঙ্গিক বৈষম্যতার জন্য দায়ী কে?
বাংলাদেশের লৈঙ্গিক বৈষম্যঃ-
বাংলাদেশের লৈঙ্গিক বৈষম্য.....


কেনো এই নারী নির্যাতন?
নারী নির্যাতন ও বিশ্ব জরীপঃ-
জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ নারী তাদের জীবনে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
কারণগুলো-
১) পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা।
২) যৌতুক
৩) ভালোবাসার ডাকে সাড়া না দিলেও নারীকে হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত।
৪) স্কুল ও কলেজগামী মেয়েরা ইভ টিজিং
৫) ধর্ষন
৬) অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশে দেখা যায়, নারী নির্যাতনের মূল হোতা আরেকজন নারী। যেমন বলা যায়, একজন মেয়ের বিয়ের পর সর্বপ্রথম শাশুড়ি-ননদ বা কাছের মানুষের কাছেও অনেক সময় তারা নিগৃহীত হয়।
৭) এ ছাড়া গৃহকর্ত্রীর হাতে মেয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের কথাও সবার জানা।
আমাদেরকে-
১) সামাজিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
২) নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ও রাষ্ট্রকে এ ক্ষেত্রে অধিকতর আন্তরিক হতে হবে।
৩) সাধারণ নিরাপত্তা জোরদার করাটা জরুরি
৪) রাজনীতি থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দূর করতে হবে।
৫) সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনয়ন করা প্রয়োজন।
৬) নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আমাদের আরো দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হবে। এই সহিংসতা বন্ধে আমি থেকে শুরু করতে হবে। আমি, আমার পরিবার, তারপর সমাজ।
সর্বোপরি-
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা



নারী ক্ষমতায়নের প্রতিবন্ধকতাগুলি কি কি ?

নারী ক্ষমতায়নঃ-
বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষমতায়ন শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ১৮৬০-এর সমসাময়িক সময়ে। অত্যন্ত সংকীর্ণ অর্থে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন বোঝাতে। আশির দশকে তা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বেসরকারি উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নারীর সামগ্রিক অধিকার অর্জনের দাবি বোঝাতে। ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ উইথ উইমেন ফর নিউ ইরা নারীর ক্ষমতায়নের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করেছে এভাবে- এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে জেন্টার বৈষম্যবিহীন এক পৃথিবী গড়ে তোলা। যেখানে পৃথিবীতে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নারী তার নিজের জীবনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।আজকের পত্রিকা » অন্যপক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট


উত্তরাধিকারী কি নারী নন? পরিবারের একজন পুরুষের চাইতে কিসে কম তিনি? তিনি কি মানুষ নন?
পিতার সম্পত্তিতে নারী অধিকারঃ-
পৈতৃক সম্পত্তিতে মুসলিম মেয়েদের সমান অধিকার না পাওয়ার পক্ষে একটি যুক্তি শোনা যায়, তাহলো মেয়েরা পিতার কাছ থেকেও পায় আবার স্বামীর কাছ থেকেও পায়, আবার বিয়ের সময় মোহরানার টাকা পায়। এভাবে কার্যত একজন নারীর সম্পত্তি একজন পুরুষেরই সমান হয়ে যায়। এখন মেয়েরা যদি পিতার সম্পত্তিতে সমান ভাগ পায় তাহলে তো একজন নারীর সম্পত্তি একজন পুরুষের থেকে অনেক বেশি হয়ে যাবে। কিন' স্বামী কি স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তি পায় না? পায়, একজন স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে যতটুকু পায়, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সম্পত্তি থেকে তার দ্বিগুণ পায়। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ ভাগ পায়, আর স্বামী পায় স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ভাগ অর্থাৎ স্বামী পায় দ্বিগুণ। অথচ স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী সম্পত্তি পায় এটা যত বেশি শোনা যায়, স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী সম্পত্তি পায় এটা আমরা খুব একটা শুনতে পাই না।
উত্তরাধিকার আইনে সম্পত্তিতে মেয়েদের সমান অধিকার না থাকার পেছনে একটি বড় ধরনের প্রচলিত যুক্তি হলো, মেয়েদের তো বাবা-মার দায়িত্ব নিতে হয় না, মেয়েদের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছেলেদের ইত্যাদি। মেয়েদের শ্রমকে কেন্দ্র করে যে গার্মেন্টস শিল্প আমাদের গড়ে উঠেছে- সেই গার্মেন্টসের সিংহ ভাগ মেয়েই তাদের উপার্জিত অর্থ পরিবারের হাতে তুলে দেন। তাদের আয়ে কত পরিবার টিকে আছে সেই পরিসংখ্যান আমরা চাইলেই জানতে পারব। এমন মেয়েদের সংখ্যাও অনেক আছে যারা পরিবারের দায়িত্ব পালনের জন্য, ভাইবোনের পড়ালেখার জন্য অনেকদিন বিয়ে পর্যন- করেননি। এমন মেয়েও আছেন যারা পরিবারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে নিজের সংসার ভেঙেছেন। শুধু মা-বাবা, ভাইবোন নয়, মেয়েরা উপার্জন করে নিজের সংসার এবং সন-ানের খরচ চালাচ্ছেন। কিন' পরিবারে একজন ছেলের এই ভূমিকাগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠিত, অথচ একজন মেয়ের এই ভূমিকা সমাজে স্বীকৃত নয়। প্রসঙ্গ নারী উন্নয়ন নীতি


কে বানালো তাকে অচ্ছুৎ, অস্পৃশ্যা?
সমাজের অচ্ছুৎ নারীঃ-
কে তোমায় বলে বারাঙ্গনা মা, কে দেয় থুতু ও-গায়ে?
হয়ত তোমায় স-ন্য দিয়াছে সীতা-সম সতী মায়ে।
না-ই হ’লে সতী, তবু তো তোমরা মাতা-ভগিনীরই জাতি;
তোমাদের ছেলে আমাদেরই মতো, তারা আমাদের জ্ঞাতি;
আমাদেরই মতো খ্যাতি যশ মান তারাও লভিতে পারে,
তাহাদের সাধনা হানা দিতে পারে সদর স্বর্গ-দ্বারে।-
কে বানালো তাকে বারাঙ্গনা? কাদের প্রয়োজনে এ ঘৃন্য পথে পরিভ্রমন তার? এসব প্রশ্ন কি করি আমরা নিজেদেরকে? এ সমাজ দেয়নি তাকে নিশ্চিৎ মৌলিক অধিকার ভোগ করবার ভাগ্য। দুবেলা দু মুঠো পেট ভরে খাবার নিশ্চয়তা পায়নি সে। তাই সে আজ সমাজ পতিত। পতিতা ওদের নাম। সেও নারী। তারও ছিলো সুখী একটি সংসার পাবার কথা। সন্মানিত স্থান সন্তানের কাছে, পরিবারের কাছে। বাংলাদেশের যৌনকর্মীরা


মাথায় অনেক প্রশ্ন আসে তবুও-----
নারী দিবস ও আমাদের চাওয়াঃ-
১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাধর মন্ত্রী নারী । অথচ এই দেশেই নারী পূর্ণ নিরাপদ নয় । কোথাও কোথাও শোনা যায়, মা তার মেয়েকে পূর্ণ অধিকার দিতে নারাজ । সমাজের এই যদি অবস্থা হয় তবে ঘটা করে বছরে একদিন নারী দিবস পালন খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না । ‘ দস্তার চেয়েও সস্তা সে যে, বস্তার চেয়েও ভারী/মানুষ হয়েও সঙ্গের পুতুল, বঙ্গ দেশের নারী’। নারী পুরুষ সম অধিকার কথাটা বাদ রেখে মানুষের পূর্ণ অধিকার প্রাপ্তিই হোক আমাদের আজকের চাওয়া।
সমঅধিকার নয়, নারী অধিকার নিশ্চিত করা জরুরী

আজকের দিনে স্মরণ করি সকল বীরঙ্গনাদেরকেঃ-
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যে নারীরা রণাঙ্গনের যুদ্ধ করতে গিয়ে কিংবা অন্যকোনভাবে সতীত্ব হারিয়েছিলেন তাদেরকে ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বীরঙ্গনা উপাধি দেয়া হয়েছিল । বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বাঁধ নির্মানের কাজ উদ্ভোধনের জন্য পাবনায় গিয়েছিলেন । বাঁধ উদ্ভোধনের পর শুরু হয় জনসভা ।বীরঙ্গনাদের কেবল স্বীকৃতিই নয় রাষ্ট্রকে দায়িত্বও নিতে হবে
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শত শত শহীদ জননী, স্ত্রী, পুত্র কন্যাদের কথা আসলেও এই সকল বীরঙ্গনারার যারা নিজেদের সকল সত্বার বিনিময়ে এই মুক্তিযুদ্ধের অংশ হয়েছেন তাদের অবদানের কাছে সকল অবদানই বুঝি ম্লান হয়ে যায়। এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি সেই সকল বীরঙ্গনাদেরকে। নীলিমা ইব্রাহীম আর একাত্তরের বীরাঙ্গনা: বাঙালির নিভৃত নিরঞ্জনা

নারী বিষয়ক কিছু ভালো লাগার লেখঃ-
নারীদের নিয়ে কিছু প্রবাদ এবং বাঙলার নারীদের একাল-সেকাল
লিঙ্গ ও নারী
নারী অধিকার ও কয়েকটি আইন
নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা)
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল সমূহ, ঢাকা
‘নারী বাঁচুক তার অধিকার নিয়ে, সম্মানের সাথে'
সামাজিক লিঙ্গ
নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়
নারীদের নিয়ে কিছু প্রবাদ এবং বাঙলার নারীদের একাল-সেকাল
টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে জেন্ডার অসংবেদনশীলতা ও ছাঁচিকরণ

নারী বিষয়ক গ্রন্থাবলীঃ-
দ্বিতীয় লিঙ্গ – সিমোন দ্য বোভোয়ার (অনুবাদক-হুমায়ুন আজাদ)
The Feminine Mystique.pdf
a vindication of the rights of women pdf
The Woman's Bible as PDF


পরিশিষ্ঠঃ-
** নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নারী জন্মের পূর্ণ সার্থকতা ও সফলতাটুকু নিয়ে।

আমাকে কোটিবার জন্মাতে বললেও আমি নারী হয়েই জন্মাতে চাই। আপনার স্নেহময়ী মা, প্রিয়তমা স্ত্রী বা কন্যা, অতি আদরের বোন, ভাবী, আত্মীয়া যাদের জন্য আজকের এই দিনটি বিশেষভাবে স্বীকৃত তাদেরকে নিয়ে সকলেই ভালো থাকুন। এই আগামী বয়ে আনুক সকলের জীবনে সুখ, শান্তি আর সমৃদ্ধতা!

~~~~~~~ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ সফল হোক ~~~~~~~

মন্তব্য ৩৩০ টি রেটিং +৪৬/-০

মন্তব্য (৩৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

বিজন রয় বলেছেন: অনেকদিন পর পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

শায়মা বলেছেন: অনেকদিন ঝামেলাই ছিলাম।:(

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

বিজন রয় বলেছেন: আর বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে পোস্ট দেওয়ার জন্য আর একবার ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

জেন রসি বলেছেন: শায়মা আপু, বহুদিন পর পোস্ট দিলেন। :) এখনো পড়িনাই। পোস্ট দেখেই চলে এসেছি। :P

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। যাই বলো আর নাই বলো এই পোস্ট লেখার পিছে তোমার কিছু কথার গুরুত্ব আছে আমার কাছে। যা আমার কাছে অতি মূল্যবান ছিলো।

কোথায় কেমনে সে কথা জিগাসা করো না। কিন্তু আসলেই তোমার মত মানুষের প্রয়োজন আছে এই জগতে। পোস্ট পড়ে তোমার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য দেবে সে জানি। আর এও জানি তুমি যা বলবে ভেবেই বলবে। নারী দিবস মানে শুধু নারীদের দিবসই না নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই মিলেই একটু ভেবে দেখবার বিশেষ দিন।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টের বিষয়ে সময় নিয়ে কথা বলা যাবে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা। অনেক অনেক থ্যাংকস আবারও।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

মহা সমন্বয় বলেছেন: বরাবরের মত আরেকটি মেগা পোষ্ট (Y)

সমঅধিকার নয়, নারী অধিকার নিশ্চিত করা জরুরী ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

শায়মা বলেছেন: শুধু তাই না নারী তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে তার প্রাপ্য অধিকার নিয়ে বাঁচুক এই হোক আমাদের চাওয়া।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: বড় লেখা দেখে সবাই না পড়েই মন্তব্য করে যাচ্ছে!
আমি কী করবো? আগে পড়বো না মন্তব্য করবো? সিদ্ধান্ত নিতে পারতেছি না #:-S

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ সফল হোক।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

শায়মা বলেছেন: আগে পড়ো ভাইয়া। মন্তব্যও অবশ্য দিয়েই ফেলেছো।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ সফল হোক। বিশ্বের সকল নারী সুখী ও সুন্দর জীবন যাপন করুন।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন:
** নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নারী জন্মের পূর্ণ
সার্থকতা ও সফলতাটুকু নিয়ে।

এটাই কাম্য।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: ** নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।

এটাই চাই....

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

শায়মা বলেছেন: এটাই হোক চাওয়া।:)

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

কল্লোল পথিক বলেছেন:






শতভাগ নারীবান্ধব পোস্ট।
ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

অনুস্বর বলেছেন: অসাধারণ একটি নিবন্ধ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: স্বামীও যে স্ত্রীর সম্পত্তিতে ভাগ পায় আগে জানা ছিল না।

মহা সমন্বয় বলেছেন: বরাবরের মত আরেকটি মেগা পোষ্ট।
সমঅধিকার নয়, নারী অধিকার নিশ্চিত করা জরুরী ।

ধন্যবাদ আপু। নারী দিবসে নারীময় একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য।:)

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!
সেদিন গুলশান ২ এর ৮৪ রোড দিয়ে যাবার সময় সাত সকালে দেখলাম একটি বহুতল ভবনের গেইটের সামনে এক মহিলাকে একজন চাবুক দিয়ে মারছে। চাবুক দিয়ে মানুষ মানুষকে মারে আমি শুধু সিনেমাতেই দেখেছি। চোখের সামনে কখনও দেখিনি। যদিও আমার মাথা ঘুরতে শুরু করেছিলো তবুও সেই আর্ত চিৎকার শুনে না থেমে পারা যায় না।

অনেকেই জড়ো হয়ে গেছিলো কিন্তু সেই বাসার দারোয়ানেরা বলছিলো সাহেব ম্যাডামকে মারছেন আপনারা জড়ো হচ্ছেন কেনো? সরে যান। আমি এত অবাক হয়েছি! এই মহিলাটার কষ্টের কথা, অপমানের কথা ভেবে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাইনি সেই বেশি। সে যাই হোক এই শতাব্দীতে এসেও এই দৃশ্য দেখতে হবে এমন ধনী একটি পরিবারে ভাবাই যায় না। লোকটা বলছিলো তার স্ত্রী নাকি সংসারের দিকে মন দেয় না তাই সে এই চাবুক কিনেছে এবং তাকে লজ্জা দিতে বাড়িতে নামেরে সবার সামনেই রাস্তায় টেনে নামিয়েছে সে।

এই দুঃসাহসী বোকা অমানুষকে কি বলবো! পরে পুলিশকে ফোন করা হলো। কিন্তু ফেরার সময় জেনেছি পুলিশ এসেছিলো বটে তবে তার বাড়িতেও নাকি ঢুকতে পারেনি। গেইট থেকেই বিদায় নিয়েছে।



নারীর জন্য সবার আগে চাই একটি সুখী জীবনের নিশ্চয়তা।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: নারী দিবসের শুভেচ্ছা । নারী সম্পর্কিত চমৎকার আলোচনা করেছেন । নারী অধিকার নিয়ে যুগে যুগে অনেকেই লড়াই করেছেন এবং করছেন । দিন দিন এগিয়েও যাচ্ছে । আশাকরি নারী তাঁদের প্রাপ্য সন্মান পেয়ে নিজেকে অধিষ্ঠিত করবে । নারীরা বস্তুগত অধিকারের চেয়ে যথাযোগ্য সন্মানটাই বেশি আশা করে। একজন মাকে খুশি করার জন্য সন্তানকে দামী শাড়ি দেয়া লাগে না, জড়িয়ে একটা চুমো দিলেই পুরো বুক উজাড় করে দেয়, একজন স্ত্রীকে স্বামী খুশি করার জন্য হিরা জহরত এনে দেয়া লাগে না- প্রাপ্য ভালোবাসা দিয়ে সহযোগীতার হাতটা এগিয়ে দিলেই যথেষ্ট । একজন কন্যাকে খুশি করতে বাবা পুরো সম্পত্তি লিখে দিতে হয় না, শুধু বুকে জড়িয়ে বললে 'তোর কেউ না থাকলেও এই বাবা আছে' তাহলেই হয় । একজন বোনকে খুশি করার জন্য ভাইয়ের এমন কিছু দেয়ার দরকার পড়ে না, শুধু একটু নিঃস্বার্থ সান্নিধ্য পেলেই হয়।


জীবনকে হিসেব নিকেশের খাতায় না বেঁধে বরঞ্চ বাঁধতে হবে মায়া মমতায়, মূল্যবোধের অধ্যায় । জীবনটা প্রতিযোগীতার নয়, সহযোগীতার।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। অনেক সুন্দর করে বলার জন্য।

জীবনকে হিসেব নিকেশের খাতায় না বেঁধে বরঞ্চ বাঁধতে হবে মায়া মমতায়, মূল্যবোধের অধ্যায় । জীবনটা প্রতিযোগীতার নয়, সহযোগীতার।


নারীর চেয়ে মমতাময়ী কি কিছু আছে এই পৃথিবীতে? তবুও হিসেব নিকেশের খাতায় তাকেই একটু বঞ্চিত করা হয়। মায়া মমতায় নারী কিন্তু বঞ্চিত করে না তার সন্তানকে, স্বামীকে বা পরিবারের যে কোনো একজন মানুষকেও।

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

সুমন কর বলেছেন: বড় পোস্ট। পড়িনি। শুধু দেখে গেলাম............. ;)

+।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা। পরে সময় করে পড়ো ভাইয়া।

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

ধূলো জমা চিঠি বলেছেন: নারীর চেয়ে মমতাময়ী কি কিছু আছে এই পৃথিবীতে? তবুও হিসেব নিকেশের খাতায় তাকেই একটু বঞ্চিত করা হয়। মায়া মমতায় নারী কিন্তু বঞ্চিত করে না তার সন্তানকে, স্বামীকে বা পরিবারের যে কোনো একজন মানুষকেও।

আপনার এই উত্তরটির সাথে একমত আপু। পড়তে বেশ সময় লেগেছে, তবে অন্য রকম ভালো লাগা। শুভ কামনা।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

শায়মা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
খুব অবাক লাগে মায়া মমতাহীন এই পৃথিবীর কিছু অবাক করা নিষ্ঠুরতা দেখে। একদিন যেই প্রেমিক প্রেমিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করে । একটা সময় সেই পরিনত হয় ঘোর শত্রুতে। ছোট ভাইটিকে যেই বড় বোনটি মমতা দিয়ে বড় করে তোলে সেই বোনটিই সামান্য স্বার্থের কারণে ভাই এর মুখ আর কখনও দেখতে পায় না।

এই পৃথিবীতে মনুষ্যত্ব বৃদ্ধি পাক । নারী পুরুষ নির্বিশেষে বোধ বুদ্ধিতে উন্নত হোক। নারীর উপর স্বামীত্বের অধিকার বলেই সব কৃত অপরাধ সিদ্ধ হয়ে যায় না । নারীর উপর অসহায়ত্বের সুযোগেই সব সুযোগ সিদ্ধ হয়ে যায় না।

অনেকেই বলবেন শুধুই কি পুরুষেরাই এসবের জন্য দায়ী? নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা শুধু কি পুরুষেরই কাজ? কিছুদিন আগে কি এক মা তার সন্তানদের উপর দেখাননি চরম কুৎসিতা?

হ্যাঁ আবারও বলছি নারী বা পুরুষ নয় মানষিকতা, মনুষত্বে, বোধ ও বুদ্ধিতে সকলেই উন্নত হোক।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হুম, ত্যাগেই সুখ তার মানে এই নয় যে একপক্ষ শুধু ত্যাগ করে যাবে অপরপক্ষ শুধু ভোগ করে যাবে । সবাইকে সমভাবে ত্যাগ এবং ভোগ করতে হবে । যদি ত্যাগ করতে হয় তবে মায়া মমতা এবং ভালোবাসাকে অগ্রাধিকার দিতে স্বার্থকে করতে হবে ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

শায়মা বলেছেন: মায়া মমতা ভালোবাসা বা শাররীক, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াও উত্তরাধিকার আইনে কেনো এই বৈষম্য ভাইয়া? পারিশ্রমিকে একই কাজ করে কেনো নারীরা কম মজুরী পায়?

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

আবু শাকিল বলেছেন: আপাতত পোষ্টে চোখ বুলিয়ে চলে গেলাম।
পোষ্টে সময় নিয়ে আসব।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা!

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

রিকি বলেছেন: আমি কিন্তু পুরো পড়েই কমেন্ট করতে এসেছি। প্রথমটুকু পড়তে গিয়ে কবিতা দুটো মনে পড়লো তাই লিঙ্ক দিলাম।

আমিই সে মেয়ে

তেজ (পুরুলিয়ার সাঁওতালিদের ভাষায় এটা)

:) :) :) :) :)

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

শায়মা বলেছেন: আমিই সেই মেয়ে
আমিই সেই মেয়ে।
বাসে ট্রেনে রাস্তায় আপনি যাকে রোজ দেখেন
যার শাড়ি, কপালের টিপ কানের দুল আর পায়ের গোড়ালি
আপনি রোজ দেখেন।
আর
আরও অনেক কিছু দেখতে পাবার স্বপ্ন দেখেন।
স্বপ্নে যাকে ইচ্ছে মতন দেখেন।
আমিই সেই মেয়ে।


রিকিমনি অন্তঃপুরবাসিনী আপুর মন্তব্যের ঘটনাতেও আমার ঠিক এমনই মনে হয়েছিলো। ঐ মেয়েটা ও না সেটা আমি!:( আমার মনে হয়েছিলো ওর অপমানটাই আমার অপমান। সেই সকালে অনেক মেয়েরাই ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে একটা মেয়েই ঐ লোকের হাত থেকে চাবুকটা কেড়ে নিয়েছিলো। আর অন্য মানুষেরা ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছিলো না তারা সরে যাচ্ছিলো। খুব কম মানুষই সেই ঘটনায় ইনভল্ভ হয়েছিলো।:(

আসলেই তোমার কবিতাটা খুব সুন্দর।

আমিই সেই মেয়ে.....
বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে দিনের আলোয় যার ছায়া মাড়ানো
আপনার ধর্মে নিষিদ্ধ, আর রাতের গভীরে যাকে বস্তি থেকে
তুলে আনতে পাইক বরকন্দাজ পাঠান আপনি
আর সুসজ্জিত বিছানায় যার জন্য অপেক্ষায় অধীন হয়
আপনার রাজকীয় লাম্পট্য
আমিই সেই মেয়ে।

আমিই সেই মেয়ে- আসামের চাবাগানে ঝুপড়ি কামিন বস্তি থেকে
যাকে আপনি নিয়ে যেতে চান সাহেবি বাংলোয় মধ্যরাতে
ফায়ার প্লেসের ঝলসে ওঠা আলোয় মদির চোখে দেখতে চান


রিকিমনি

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

শায়মা বলেছেন: সেদিন তেজটা শোনা হয়নি। কেবলি শুনলাম!

অনেক অনেক থ্যাংকস রিকিমনি!! নিউ আইডিয়ার জন্য!:)

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

আরজু পনি বলেছেন: Reply den ar na den, apnar ei post dekhe ami moha khushi. :D
pc theke onek dure achi, mobile diye blogging parina, tobuo kosto kore login korlam.
Asha kori ei post sticky hobe.
Dhaka fire pc theke abar asbo like ar priote nite.

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শায়মা বলেছেন: আসলেও আমি আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিতে চাচ্ছিলাম না। কারণ আপনি অলরেডি আমার বিরুদ্ধে ইনডাইরেক্টলি অনেক উস্কানী দিয়েছেন। ব্লগে কিছুদিন আগে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিলো এবং তার পরবর্তীতে সেই অস্থিরতা যখন থেমে যাবার কথা ছিলো তখন আপনার সেসব উস্কানীমূলক কথা বার্তা বা পোস্ট ব্লগে আরও কিছু অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। যা কিছু নব্য জেগে ওঠা নিকের পোস্ট ও মন্তব্যে এবং আপনার কথাবার্তায় সুস্পষ্ট প্রমান রেখে গেছে।

আপনাকে আমি অন্যরকম ভাবতাম। একজন ওপেন মাইন্ডেড এবং প্রগতীশীল নারী। আমার কোনো কিছু আপনার পছন্দ না হলে আপনি আমাকে বলতে পারতেন। এইখানে বা ফেসবুকেও। তা না করে আপনি অকারণ যেই উস্কানী দিয়েছেন তার কোনো দরকার ছিলো বলে আমি মনে করিনা।

যাইহোক, নারী অধিকারের জন্য যুগ যুগ ধরে অন্যদের ভাবনা আঁকড়ে ধরে থাকার চাইতে বা সেসব বা সে ভাবনাগুলোরই পুণঃ পুণঃ প্রচারের চাইতে বা অন্যদেরকে দোষারোপের চাইতে নারীদের নিজেদের চলার পথে বয়ে চলা সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

তাই একজন নারীর বেড়ে ওঠায় নিজেদের অনুভুতিগুলো, সমস্যাগুলো নিজের মত করে ব্যাখা করাটাই জরুরী। যেমন নারী বিষয়ক লেখাগুলোতে ধ্যান ধারণার বিবর্তনের কথা বা এভাবে গৎবাঁধা লেখা কিংবা পোস্টের চাইতেও আমরা নিজেরা আসলে কি ভাবছি, নিজেরা কতটুকু পরিবর্তনে সামিল হতে পারছি সেটা ভাবাটাই এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: ওই সব অমানুষদের গণধোলাই এর দরকার!! X(

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩০

শায়মা বলেছেন: গণধোলাই কি বলছো আপু? পুলিশ পর্যন্ত নাকি ঢুকতে পারেনি। পরে ফেরবার পথে আমি জিগাসা করেছি গার্ডদেরকে। :(

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

আরাফআহনাফ বলেছেন: " ** নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নারী জন্মের পূর্ণ সার্থকতা ও সফলতাটুকু নিয়ে। "
একদম সহমত।

আপনার এই লেখার কিছু অংশবিশেষ আমার প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতি চাইছি। দয়া করে অনুমতি দিয়ে বাধিত করবেন।
কষ্টসাধ্য এবং একই সাথে তথ্যমূলক এ লেখার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন - শুভ কামনা রইলো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: কোথায় ব্যাবহার করবে ভাইয়া?
যাইহোক আমার এই দীর্ঘ লেখাটার কোথাও কিন্তু কপি পেস্ট নেই। যা লিখেছি নিজেরই ভাবনা। আর লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করলে রেফারেন্স লেখা পাবে। ওকে তুমি এই লেখা থেকে কোনো অংশ চাইলে ব্যবহার করতে পারো।
অনেক ভালো থেকো।

২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: তাইতো বললাম ত্যাগ এবং ভোগে সমধিকার থাকতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের স্বার্থ রক্ষিত হতে হবে । নারীর নিগ্রহের ইতিহাস অনেক বড় তাই তা মুছতে হলেও সময়ের প্রয়োজন । আমরা আস্তে আস্তে সেদিকে এগুচ্ছি ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই আমার ধারণা আমরা আসলেই এগুচ্ছি এবং অনেকটাই এগিয়েছি। সেদিনও আমার এটাই মনে হয়েছিলো। এখন অনেক মানুষই এগিয়ে আসছে।

অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। :)

২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:



ব্যস্ততার ভূত অসময়ে পিঠে চেপেছে। :(
সময় করে আসবো আপু।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা। সময় করে এসো পিচ্চি রাজপুত্র।

২৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা
পুরুষের দৃষ্টিকোণ হতে এক লাইনে নারীকে এত সুন্দরভাবে কেউ বলতে পেরেছেন কিনা জানা নাই ।

নারীর নিগ্রহের ইতিহাস অনেক বড় তাই তা মুছতে হলেও সময়ের প্রয়োজন । কথাকথিকেথিকথন সাথে আমিও একমত । তবে চেষ্টা সংগ্রাম থাকতে হবে।

পোষ্টে ভাল লাগা রইল ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

শায়মা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

রবিঠাকুরের এই কবিতা আমার বিশেষ প্রিয় ছিলো। পরে এই কবিতা আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। গল্প কবিতায় যে সব নারীরা আছে বাস্তবে তাদের সাথে কবিতার মিল কি আছে? নাকি সেই দামটাও তারা পায়? এসব ভেবে ভেবে অনেক উত্তর পাওয়া যায়, আবার কোনো কোনোটার যায়না।

তবে আসলেও আমরা এগুচ্ছি অনেকটাই এগিয়েছিও।:)

২৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।

অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন।

নারী যদি নিজের অধিকার সম্পর্কে নিজে সচেতন না হয় কেউ কিছুই করতে পারবেনা।

আমি নিজে দেখেছি অনেক নারী নিজেদের শুধু বাচ্চা পয়দা করার মেশিন, আর স্বামীর দাসী বান্দি ছাড়া নিজেকে কিছুই মনে করেনা।
তারা জানেই না এর বাইরেও অনেক কিছু আছে। আর না জানার একটাই কারন অশিক্ষা।
আবার অনেক পুরুষ নারীকে জুতার তলার সাথেও তুলনা করে। এসব আমার নিজে দেখা। একমাত্র শিক্ষা আর সচেতনাই পারে এসব থেকে মুক্তি দিতে।
বাড়ি বাড়ি , মহল্লা মহল্লায় গিয়ে নারী অধিকার নিয়ে আলোচনা করলে অনেক সুফল পাওয়া যেত। কারন যারা নির্যাতনের স্বীকার তারা জানেই না কি তাদের অধিকার।

আমি আমার অধিকার সম্পর্কে সচেতন। আমি গর্বিত, আমি নারী।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১০

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই। যুগ যুগ ধরে অনেকে মেয়েরাই ধরেই নিয়েছে এমনই হবে বা এমনটাই হবার কথা আর তাই অনেক অন্যায় অত্যাচারও মেনে নিয়েছে নির্দ্বিধায়।
যেমন অনেক ছেলেরাই মনে করে বিয়ে করা বউ তাই যা ইচ্ছা বলা যাবে বা অনেকেই বলে দেবে মেয়েটারও দোষ ছিলো বেশি বাড় বেড়েছিলো তাই এমনটা হয়েছে। কিন্তু বিয়ে করা বউ হলেও যে যা খুশি তাই করা যাবেনা। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ শুধু না প্রতিহত করা যাবে তা অনেকেই জানেনা আজও। শুধু চাই মানষিক শক্তিটুকু।

আমিও কোটিবার জন্ম নিলেও নারী হয়েই জন্মাতে চাই। তবে আমি চাই পৃথিবীর সব নারীরাই সুন্দর সুখী জীবন পাক।

২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: লেখাটা পড়ার সাথে সাথে অনেক লিংক পেলাম যা হতো পড়া হয়নি। খুব ভাল লাগলো আপু লেখাটা পড়ে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১২

শায়মা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

২৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

জেন রসি বলেছেন: অনেকগুলো ব্যাপার একসাথে তুলে ধরেছেন। প্রথমেই একটি কবিতা দিয়ে শুরু করেছেন। এই কবিতাটি বিশ্লেষণ করলেও পুরুষশাসিত সামন্তবাদি সমাজের ভাবনা খুব স্পষ্ট ভাবেই ধরে ফেলা যায়। অর্থাৎ সভ্যতার প্রথম থেকেই পুরুষ ঠিক যেভাবে নারীকে দেখতে চেয়েছে সেভাবেই নারীর উপর বিধান আরোপ করেছে। ধর্মের নামে, সামাজিক প্রথার নামে তারাই নারীকে বলে দিয়েছে এভাবে চলাটা ঠিক, এভাবে ঠিক না। এভাবেই যুগের পর যুগ নারীকে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। যেমন দেখবেন, বিভিন্ন পুরাণে, ধর্মীয় মিথে যেসব চরিত্রকে নারীদের সামনে আদর্শ চরিত্র হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেখানে আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ধ্যান ধারনাই প্রতিফলিত হয়েছে। সীতার চরিত্রটির কথা ভেবে দেখুন। বলা হয় এই চরিত্রটি নারীদের আদর্শ। কিন্তু কেন এমন অযৌক্তিভাবে অন্যায় মেনে নেয়া চরিত্রকে আদর্শ চরিত্র হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে? কারন পুরুষরা সব সময় চেয়েছে নারীরা তাদের অন্যায়গুলো এভাবেই মেনে নিক। এই আধুনিক সভ্যতায় এসে দেখবেন নারীকে বাণিজ্যিক ভাবে উপস্থাপন করার আয়োজন। সেটাও সেই একই মনোভাবের ফল। অনেকেই আবার ভাবেন আধুনিক হতে হলেই খোলামেলা হতে হবে। কিন্তু মূল সমস্যাটা অন্য যায়গায়। নারী কি করবে আর কি করবেনা সেটা পুরুষরা ঠিক করে দিলে এসব সমস্যা থেকেই যাবে। বরং সেসব কিছুকে নির্ধারণ করতে হবে যুক্তির নিরিখে। একজন পুরুষ খুন করলে যেমন সে খুনি, আবার নারী খুন করলেও সে খুনি। অর্থাৎ সামাজিক বিধানগুলো সবার জন্য একই হতে হবে। কিন্তু যদি তা ভিন্ন হয় তবে বৈষম্য থেকেই যাবে। যেমন সহজ উদাহরন হিসাবে বলা যায়, ছেলে হলে সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বেড় হওয়া যাবে, মেয়ে হলে যাবেনা! মেয়েদের পর্দা প্রথা মেনে চলতে হবে! মেয়েদের স্বামীর নির্দেশ মানতে হবে! এমন আরো অনেক ব্যাপার আছে যা আমাদের দেশের পরিবারগুলো থেকেই কন্যা শিশুর মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। খুব কমই পারে এই সামাজিক সম্মোহনের চক্র থেকে বেড় হয়ে আসতে। আর যারা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, তাদের উপর শুরু হয় অন্যরকম আক্রমন। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।
পরে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। আলোচনা চলুক।

আপনি শুধুই মনিষীদের ভাবনা না তুলে ধরে নিজের স্বপ্নের কথা, স্বপ্ন ভঙ্গের কথা এবং আশার কথা বলেছেন। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এভাবেই আলোচনা করাটা যৌক্তিক। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১০

শায়মা বলেছেন: আপনি শুধুই মনিষীদের ভাবনা না তুলে ধরে নিজের স্বপ্নের কথা, স্বপ্ন ভঙ্গের কথা এবং আশার কথা বলেছেন। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এভাবেই আলোচনা করাটা যৌক্তিক। ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রথমেই এই কথাটা দেখে মুগ্ধ হলাম ভাইয়া। মনিষীরা অনেক কিছুই বলেছেন তবে আমাদের নিজেদেরকেও তো ভাবতে হবে নিজেদের মত করে। আর সেভাবেই একে অন্যের চিন্তা ভাবনা আর কাজে কর্মে আসবে পজিটিভ পরিবর্তনগুলো।

কবিতা, গল্প বা মিথে যেভাবে নারীরা উঠে এসেছে সেভাবে পথ চলাটাই নারীর আদর্শ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে আর এই আদর্শে জড়িয়ে আছে কতখানি নিপীড়ন বা অধিকার বঞ্চনার ইতিহাস তা নারীরা নিজেরাও হয়তো জানেনি। তবে সময় এসেছে এসব বদ্ধমূল সংস্কার প্রথা প্রতিহত করে সামনে এগিয়ে যাবার এবং আশার কথা সেটা অনেকটাই হচ্ছেও।

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া আবারও।

২৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
Sticky

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩১

শায়মা বলেছেন: স্টিকি!

ইমরাজভাইয়া কেমন আছো?

২৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০২

তার আর পর নেই… বলেছেন: প্রথমেই বলি, অনেক তথ্যবহুল সাথে জীবন সম্পৃক্ত পোস্ট। +++

এখানে ছোট্ট করে কয়েকটা ঘটনার কথা বলেছ। আমার ছোটবেলা, বড়বেলা সব একটা মফস্বলে, আমি আমার চারপাশে দেখছি … মেয়েরা কেমন জীবন কাটায়, কাটাচ্ছে, তাদের চিন্তার পরিধি … অনেকে এখন বলছে, মেয়েরা এগিয়েছে। সত্যি বলছি, তখন আমার হাসি পায়। শতকরা দু একজনকে দিয়ে কি নারী এগিয়েছে বলা যায়!!
বাংলাদেশের কটা মেয়ে মোহরানা, তার সম্পত্তির অংশ সম্পর্কে জানে! রাতে যে নারী পুরুষের মনোরঞ্জন করে দিনে সে হয় ঘৃণ্য পতিতা …

খুব ভালো লিখেছ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

শায়মা বলেছেন: তারপরও আগের তুলনায় এগিয়েছে তো কিছু বটে....
মোহরানা, সম্পত্তির অংশ এসব অধিকার চাওয়া যেন মেয়েদের জন্য পাপ, নির্লজ্জতার অংশ এমনি ধারনায় ছোট থেকে বড় করা হয় মেয়েদেরকে। অধিকার যে শুধু কারো একছত্র অংশ নয় এ ব্যাপারটা নিয়ে পুরো সমাজই যেন অন্ধ হয়ে থাকে।

অনেক অনেক থ্যাংকস তার আর পর নেই।

৩০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯

তার আর পর নেই… বলেছেন: জেন রসি চমৎকার বলেছে।
কমেন্টে লাইক।

সন্ধ্যার পর একটা মেয়ে বেরুবে কি বেরুবে না এ সিদ্ধান্ত একটা মেয়েই নিলো … ঠিক আছে … কিন্তু তারপর সে কোন দুর্ঘটনার শিকার হবে না সে নিরাপত্তা কে দেবে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

শায়মা বলেছেন: এই নিরাপত্তা দিতে গেলে পুরো সমাজকেই স্বশিক্ষিত হতে হবে। সেই দিনের আশায় বসে থাকতে হবে যদিও আরও কিছুদিন।
যদিও সেই দিন আশা করি বেশি দূরে নয় !

জিনিভাইয়ার কমেন্টে আমিও কোটি কোটি লাইক দিলাম। তোমার কমেন্টেও ।:)

৩১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ লেখা , সুন্দর পরিমার্জিত ভাষা এবং দারুণ অর্গানাইজ । প্রিয়তে রেখে দিলাম, আবার ভালো ভাবে পড়বো ।
অনেক অনেক শুভকামনা । :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনি! অনেক ভালো থেকো!:)

৩২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

জেন রসি বলেছেন: তার আর পর নেই… বলেছেন: জেন রসি চমৎকার বলেছে।
কমেন্টে লাইক।

সন্ধ্যার পর একটা মেয়ে বেরুবে কি বেরুবে না এ সিদ্ধান্ত একটা মেয়েই নিলো … ঠিক আছে … কিন্তু তারপর সে কোন দুর্ঘটনার শিকার হবে না সে নিরাপত্তা কে দেবে?


একসময় মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হত না। কারন ধারনা করা হত মেয়েদের পড়ালেখার কোন দরকার নেই। বরং পড়ালেখা জানা মেয়েদের কেউ বিয়ে করতে চাইবেনা। কিন্তু কেউ কেউ সেসব নিয়ে ভাবেনি। তারা জানতে চেয়েছিল। পড়তে চেয়েছিল। প্রথমে যেসব মেয়েরা জ্ঞান চর্চা করত তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু এখন কিন্তু তেমন একটা হয়না। এদেশের সব পরিবারই নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু কেন? কারন একসময় দেখা গেল নারীরা শিক্ষিত হলে পরিবারের জন্য ভালো। তাই এখন পুরুষরা পড়ালেখা জানা মেয়েদেরই বিয়ে করতে চায়। সত্য কথা বলতে অনেক পরিবার মেয়েদেরকে পড়ায় যেন একটা ভালো বিয়ে দিতে পারে! এখন এই পরিবর্তনটাকে আমরা কি বলব? কিভাবে বিশ্লেষণ করব? আমরা বলতে পারিনা যে, যেহেতু পরিবারের মনোভাব একই থেকে গেছে অনেকাংশে তাই আসলে কোন লাভই হয়নি! আবার এটাও লতে পারিনা যেহেতু মেয়েদের স্কুল কলেজে পাঠানো হচ্ছে তাই সবকিছু অর্জিত হয়ে গেছে। সমাজ কখনোই সহজ সরলভাবে বিবর্তিত হয়না। যেসব নারী একসময় জ্ঞানের চর্চা করত, তাদের মধ্যযুগে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। অনেককেই বরন করে নিতে হয়েছে অনেক রকম নিষ্ঠুর আচরন। কিন্তু তাদের হার না মানা লড়াইয়ের জন্য কিছু পরিবর্তন কিন্তু এসেছে। এখন আমাদের ভেবে দেখতে হবে আরেকটি ব্যাপার। ধরেন বেগম রোকেয়ার সময় মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না করাটা সমস্যা ছিল। তিনি সেই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেকটাই সফল হয়েছেন যার সুফল এখন অনেকেই পাচ্ছে। কিন্তু তার মানে কিন্তু এই না যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। সমস্যা সব যুগেই থাকবে। সেসব সমস্যা দূর করাটাই তখন মুখ্য ব্যাপার। এভাবেই সমাজ প্রগতির পথে যেতে থাকে। এটা একটা বিকাশমান ধারা। তাই আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সন্ধ্যার পর বাইরে বেড় হলে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বেড় হলে পুরুষ আক্রমন করতে পারে। কিন্তু এই পুরুষই কিন্তু একসময় জ্ঞান চর্চার অভিযোগে নারীদের আগুনে পুড়িয়ে মারত। তা করেও কিন্তু সেটা থামিয়ে রাখা যায়নি! আমরা কেউ ইউটোপিয়ান সমাজে বাস করিনা। তাই কিছু আদায় করে নিতে হলে লড়াই করেই নিতে হবে। বাঁধাও আসবে। অনেক কঠিন বাঁধাও আসতে পারে। কিন্তু তাই বলে বসে থাকা মানেই হচ্ছে পরাজয়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

শায়মা বলেছেন: যে কোনো কিছুর পরিবর্তনেও বাঁধা আসবে তাই বলে থেমে যাওয়া যাবেনা। ঠিক বলেছো জিনি ভাইয়া।

৩৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

এস কাজী বলেছেন: আম্মাজান ব্যাক আগেইন ওয়িথ ক্লাস।

অনেক কিছু লিখব ভাবছিলাম। কিন্তু রসি মামা উপরে যা লিখসে মাশাআল্লাহ। হেহেহেহে

ওহ দ্বিতীয় লিঙ্গ কিন্তু আমি পড়েছি ;)

নারী দিবস নিয়ে আমার এক খান মজার অভিজ্ঞতা আছে। এখনো ভাবছি শেয়ার করব কিনা। তবে আমার লেখা তো আবার স্যাটায়ার হয়ে যায়। তাই ভয় পাচ্ছি আবার আক্রমনের না শিকার হই B-)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৪

শায়মা বলেছেন: শেয়ার করো ভাইয়া( জামাই বাবা)। স্যাটায়ার সাবধান নারীদের মাইর খেতে পারো। :(

৩৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৮

জেন রসি বলেছেন: এস কাজী বলেছেন: আম্মাজান ব্যাক আগেইন ওয়িথ ক্লাস।

অনেক কিছু লিখব ভাবছিলাম। কিন্তু রসি মামা উপরে যা লিখসে মাশাআল্লাহ। হেহেহেহে

ওহ দ্বিতীয় লিঙ্গ কিন্তু আমি পড়েছি ;)

নারী দিবস নিয়ে আমার এক খান মজার অভিজ্ঞতা আছে। এখনো ভাবছি শেয়ার করব কিনা। তবে আমার লেখা তো আবার স্যাটায়ার হয়ে যায়। তাই ভয় পাচ্ছি আবার আক্রমনের না শিকার হই B-)

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। স্যাটায়ার হলে আরো ভালো। আক্রমণ, প্রতিআক্রমন না হলে বিকাশ হবে কেমনে! ;)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিকই বলেছো জিনি ভাইয়া । আক্রমন প্রতি আক্রমন, লড়াই , পাল্টা লড়াই ছাড় জয় আসবে কেমনে? মানুষ কেমেন শিখবে???

কাজেই হোক স্যাটায়ার, দেখি কি আসে আগামীতে? :)

৩৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: আপনার লেখা এই প্রথমবার পড়ার সুজোগ হলো আমার। লেখায় অনেক যত্ন, অনেক তথ্য তুলে ধরা। প্রতিটি মানুষ তাঁর নিজের মত করে ভাবে। কেউ হয়তো কঞ্চির উত্তর বাঁশে দেয় আবার কেউ দেয় সুরে। আপনি সুরে বাজিয়েছেন। ধারাটা ভালো লেগেছে। যে যেভাবেই বলুক, মোদ্দা কথা হলো "এগিয়ে নিয়ে যাওয়া"।

স্ত্রীকে চাবুক পেটার বর্ননাটা মর্মান্তিক লেগেছে। কিন্তু এই দৃশ্য খুবই সাধারন। বস্তি ঘরের মেয়েটি প্রতিদিন এর স্বীকার। আপনার মত একটিও সবল হাত এগিয়ে যায় না তার দিকে। চারিদিকে শুধু কান্না, কান্না। আর সয়না।

সুন্দর লেখার জন্য অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকুন অনেক।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

শায়মা বলেছেন: তাসলিমা আপুনি।
অনেক অনেক থ্যাংকস আমার লেখার সুরটা দেখার জন্য। সে যাইহোক আমিও সেটাই বলি, গৎবাঁধা ভাবে নারীদের এই হলো সেই হলো বা কেনো কেনো না করে যদি আমরা নিজেরাই সেসবের সমাধান ভাবি, নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাই তাহলে মনে হয় না সেদিন বেশী দূরে।

আমরা কিন্তু শুধু সমস্যাগুলো বলি তার সমাধান ভাবি না। আমরা অধিকাংশ সময় পুরুষকে দোষারোপ করি কিন্তু পুরুষদের সেই দোষগুলোকে প্রতিহত করতে নিজেদেরকে কি করতে হবে সেটাও ভেবে দেখি না। মোদ্দা কথা আসলে সেটাই। অন্যের ঘাড়ে দোষগুলো চাপিয়ে বসে বসে কান্না করলে তো চলবেনা আমাদেরকেই ভাবতে হবে এই কান্না প্রতিরোধে আমাদের কি কি করা উচিৎ। একটা সময় কিন্তু এই ক্লারা জেটকিনও এভাবেই এগিয়ে এসেছিলো। সে বসে থাকেনি পুরাতন, সনাতনকে আঁকড়ে ধরে।

স্ত্রীকে চাবুক পেটানোর সেই অপমানজনক সময়টা আসলেই ভুলে যাবার নয়। তবে সেদিন কিন্তু পুরুষেরা একটু দূরেই ছিলো এক বিষম সাহসী মহিলাই এগিয়ে গিয়ে চাবুকটা কেড়ে নিয়েছিলো। আর তখনই লোকটার নাকি কান্না শুরু হয়েছিলো। বউ এর এই দোষ, সেই দোষ বলা।

তবুও দুঃখ বিকালে ফেরার সময় শুনেছি পুলিশ নাকি সেই বাসাতে ঢুকতেও পারেনি। ক্ষমতার কাছেও অনেক অন্যায় হেরে যায় অনেক সময়।

তারপরও নারী পুরুষ হেন তেন না বলে আসল উন্নয়ন প্রয়োজন সমাজের। আর এই সমাজটাকে নারীদেরই পরিবর্তন করে দেখাতে হবে। নারী পুরুষ বৈষম্য নয়। মানবিকতার উন্নয়ন সবার আগে প্রয়োজন সে হোক না নারী কিংবা পুরুষ।

৩৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একদিন ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে আলো
অন্ধকার কেটে বেরিয়ে আসবে সোনালী ভোর


আসবে দিনটা!
তেতুল হুজুরদের দোররা মারা লাগবে, তাইলেই হবে।
পড়ার পর ভাবলাম, একটা সেইরকম গম্ভীর মন্তব্য করবো কিন্তু খুঁজে পাচ্ছি না বলার কিছু।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: এই কলাবতী কবিতাটা পড়লে সমাজের একটা চিত্র একদম চোখের সামনে ভেসে ওঠে।:(

৩৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪০

জুন বলেছেন: আমার অবস্থাও আরন্যক রাখালের মত। অনেক কিছু বলবো ভেবেছি কিন্ত কিছুই বলা হলো না। এক কথায় অসাধারন শায়মা । ষ্টিকি হোক।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ জুন আপুনি। স্টিকির দরকার নেই। তবে ভালো লাগছে এতদিনে ব্লগের গৎ বাঁধা স্টিকি সিস্টেমের টনক নড়েছে। এ্যাট লিস্ট এই ম্যুভমেন্টটার দরকার ছিলো।

কাভা ভাইয়া দেখলাম গৎবাঁধা শব্দটাও আজকের স্টিকি পোস্টে উল্লেখ করেছেন। খুব ভালো লাগছে নতুন নতুন ভাবনায় ব্লগারেরা উদ্ভাসিত হবে।:)

৩৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

আরাফআহনাফ বলেছেন: বোন শায়মা,
এখানকার একটা সেমিনারে (আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে) প্রবন্ধ পাঠের প্রয়োজনে অনুমতি নিলাম।
রেফারেন্স লেখাগুলোও পড়েছি। আসলে আপনার লেখা অনেক গোছালো আর তথ্যমূলক, যা আমি আগেই বলেছি।
অনেক ধন্যবাদ অনুমতি দেয়ার জন্য।

ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

শুভ রাত্রি।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ। অনেক ভালো থেকো এবং নির্দ্বিধায় আমার লেখা থেকে ব্যবহার করো ভাইয়া। :)

৩৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,



বলতেই হবে , তথ্য ও তত্ত্ব সহকারে বেশ ওজনদার লেখা ।

বিষয়বস্তুর প্রসঙ্গে বলি , অপ্রিয় হলেও সত্য এটাই যে জগৎটা পুরুষ শাসিত । হবেনা কেন ? প্রথম মানুষ তো " আদম"ই, যে কিনা একজন পুরুষ । বিভেদটা তো ওখান থেকেই লেগেছে । তাই পুরুষকে খুব একটা দোষ দেয়া যাবেনা নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টিতে । কিন্তু সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছে কি তাই ? মনে হয় না । হলে, পুরুষের বাম পাঁজরের হাড় দিয়ে তার স্ত্রী ( অর্ধাঙ্গিনী ) কে বানাতেন না । এই "পাঁজরের হাড়" যে কি জিনিষ, পুরুষ আজো তা বুঝে উঠলোনা । বোঝেনি সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকেই । এটাকে কথার কথা ধরে নিয়েছে । তলিয়ে দেখেনি ভেতরে কি কথা বলা হয়েছে । বুঝলে আজ যে বৈষম্যের কথা আমরা বলছি সে প্রসঙ্গ উঠতোনা মোটেও ।

খোলাসা করি ---- বাম পাঁজরের হাড় কেন বলা হয়েছে ? ডান পাঁজরের হাড় নয় কেন ? কারন, বাম পাঁজরের হাড় আপনার বুকের ভেতরের হৃদয়টাকে ( হার্টকে ) সুরক্ষা দেয় । আপনার হার্ট ছাড়া আপনি যে অচল, মৃত তাকে যে সুরক্ষা দেয় সে তো আপনার জীবন রক্ষাকারী । পাঁজরের হাড় তাই আপনার হার্টকে সুরক্ষা দিয়ে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখছে । এই পাঁজরের হাড়কে কি আপনি অবহেলা করবেন নাকি সবলে আগলে রেখে তাকে যোগ্য মর্যাদা দেবেন ? সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকেই যদি পুরুষ এর অর্ন্তনিহিত অর্থ বুঝতো তাহলে সাম্য বিরাজিত হতো মানুষের মাঝে ।

যাকগে .. একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বললুম "স্ত্রী" নামটির ভেতরে দিয়ে সকল নারীর মাহাত্যটি তুলে ধরতে ।

আপনি ঠিকই বলেছেন - নারী পুরুষ সম অধিকার কথাটা বাদ রেখে মানুষের পূর্ণ অধিকার প্রাপ্তিই হোক আমাদের আজকের চাওয়া।

নারীদিবসের দিনে আমার প্রার্থনাও তাই ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ভালো বলেছো। প্রথম মানুষ আদম আর সে একজন পুরুষই ছিলো।

তবে
খোলাসা করি ---- বাম পাঁজরের হাড় কেন বলা হয়েছে ? ডান পাঁজরের হাড় নয় কেন ? কারন, বাম পাঁজরের হাড় আপনার বুকের ভেতরের হৃদয়টাকে ( হার্টকে ) সুরক্ষা দেয় । আপনার হার্ট ছাড়া আপনি যে অচল, মৃত তাকে যে সুরক্ষা দেয় সে তো আপনার জীবন রক্ষাকারী । পাঁজরের হাড় তাই আপনার হার্টকে সুরক্ষা দিয়ে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখছে । এই পাঁজরের হাড়কে কি আপনি অবহেলা করবেন নাকি সবলে আগলে রেখে তাকে যোগ্য মর্যাদা দেবেন ? সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকেই যদি পুরুষ এর অর্ন্তনিহিত অর্থ বুঝতো তাহলে সাম্য বিরাজিত হতো মানুষের মাঝে ।
খুব সুন্দর । কবিতার চাইতেও কোনো অংশেই কম না। :)

আর নারী নারী করার চাইতে আসলেই মানুষ হিসাবে মানুষের পূর্ণ অধিকার প্রাপ্তিটাই আমাদের চাওয়া।

অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

৪০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: খুব ভালো!!

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

শায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর, সুচিন্তিত, well articulated post. যদিও লিঙ্ক এর ভারে লেখাটাকে বেশ ন্যুব্জ মনে হয়েছে আমার কাছে। যুক্তিও অধিকাংশ জায়্গায় জোড়ালো। তবে লেখাটির কিছু কিছু অংশ নিয়ে আমার দ্বিমত আছে, শুধু এটুকু জানিয়ে গেলাম। এখানে বিশদ আলোচনায় যেতে ইচ্ছুক নই।
"An injustice anywhere is a threat to justice everywhere" -- মূল কথা হলো সবার প্রতি ন্যায়বিচার, যেটা পরিবার থেকেই শুরু হওয়া উচিত। আমাদের পরিবারে কন্যা সন্তানের প্রতি প্রথম অবিচারটি সাধারণতঃ করে থাকেন তার মা। ছেলে আর মেয়ের অধিকার যে সমান নয়, তা সাধারণতঃ তিনিই প্রথম মেয়েকে বুঝিয়ে দেন। বিয়ের পর মেয়েদের জীবন দূুর্বিষহ করে তোলেন শাশুড়ী আর ননদ, শশুর আর দেবর নয়। এগুলো সবই জেনারেল অভ্জারভেশন, উজ্জ্বল ব্যতিক্রমও নিশ্চয়ই আছে।
তারপরেও আমার মনে হয়, যতই বৈষম্য থাক, The hands that rock the cradle rule the world. নারীগণ অন্নদাত্রী, তাদের ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষ কোন টুলস এর প্রয়োজন নেই। তারা সহজাতভাবেই ক্ষমতাবান।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আগেই বলেছি আমি সব সময় দেখি মানুষ এক গাদা লেখা এখান ওখান থেকে তুলে এনে পোস্টে জুড়ে দেয়। আমি সেটাই না করতে চেয়েছিলাম আর তাই আমি কিন্তু নিজের ভাষাতেই লিখেছি যা মাথায় আসে। তবে ইতিহাস তো আর আমি বানাতে পারবো না তাই লিঙ্কগুলোই শুধু জুড়ে দিলাম ।

ভাইয়ামনি তুমি ভাবছো বিশদ আলোচনায় বিবাদ লেগে যাবে। সে যুগ হয়েছে বাসী। :) বিশদ আলোচনা অবশ্যই হতে পারে এতে রাগ করার কিছু নেই বরং অনেক কিছুই বিশদ আলোচনায় উপলদ্ধ হতে পারে আগে হয়তো যা বুঝা হয়নি বা জানা হয়নি।

আর পরিবার থেকে সবার প্রতি শুরু হওয়া ন্যায় বিচারের কথাটা অবশ্য সঠিক। আমরা তো পরিবার থেকেই শিখতে শুরু করি নারী হলে এই এই কাজ করা চলবে না । নারীরা থাকবে লক্ষীবতী, নম্র শম্র ঘরের আড়ালে। বিয়ের পর একজন শ্বাশুড়ির অনেক সময় মনে থাকেন না তিনিও একদিন বঁধু ছিলেন বা তিনিও যে নির্মমতার শিকার হয়েছেন সেটাই তিনি অন্য আরেক নারীর উপর করছেন। এই ব্যাপারগুলো অনেকটাই কমে এসেছে এবং খুব কাছেই হয়তো সেই দিন যেদিন নারীরা এসব থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। যেমন আমি হবো একজন খুব ভালো শ্বাশুড়ি যে আরেক নারী বা পুত্রবঁধুর সকল সমস্যাকে বন্ধুর মত দৃষ্টিতেই দেখবে। :)

তারপরেও আমার মনে হয়, যতই বৈষম্য থাক, The hands that rock the cradle rule the world. নারীগণ অন্নদাত্রী, তাদের ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষ কোন টুলস এর প্রয়োজন নেই। তারা সহজাতভাবেই ক্ষমতাবান।

এ কথাটিও ভুল নয় আর তাই আমি কোটি কোটিবার জন্মালেও নারী হয়েই জন্মাতে চাই। :)

৪২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
অনেক পরিশ্রমের ফসল এই লেখা। প্রয়াসের জন্য অজস্র ধন্যবাদ।

আমাদের দেশে, প্রায় পশুত্বের পর্যায়ে যে নারী নির্যাতন তা উন্নত বিশ্বে অনেকটাই নেই। তবে আপনিও নিশ্চয়ই অনেক দেশই ঘুরেছেন। নানা ভাবে এক্সপ্লয়টেশানটাও এক ধরণের নির্যাতন বৈকী, অন্তত আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কতো তাই বলে।

"ফতোয়াবাজী বা অপবাদে নারীদেরকেই কেন মূল লক্ষ হতে হয়?" আমার কাছে পুরো ব্যাপারটাকে একদল গর্দভের চরম গর্দভায়নের পরিণতি মনে হয়। ঐ ফতোয়া প্রদানকারী মসজিদের ঈমাম সাহেবও অনেক ক্ষেত্রে গ্রামের অলিখিত মালিকের গোলাম। তাই বলে আমি তাদের কাজ সমর্থন করছিনা বা জাস্টিফাই করছিনা। আমিও মনে প্রাণে চাই এ জিনিস বিদুরিত হোক।

আপনার লেখা আরো উন্নত হোক, এই কামনা রইলো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া

তবে
এ নিউজটি দেখে ভয় লাগে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সুইডেন ও ইংল্যান্ডে নারী নির্যাতনের চিত্র বেশ ভয়াবহ। উন্নত বিশ্বের নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়, সম-অধিকারের কথা বলে তারা, কিন্তু নারীর প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, শারীরিক অপমান এবং লাঞ্ছনার কোনো সুষ্ঠু বিচার নেই।

সারা বিশ্বের শতকরা ৩৬ ভাগ নারী নানা রকম নির্যাতনের শিকার হয়। এ কথা শুনে, যে কেউ অবাক হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের শতকরা ৮৩ ভাগ নারী স্কুলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়, অনেকে ধর্ষণের শিকার হয়। ইংল্যান্ডে প্রতি ৫ জনে ১ জন নারী (বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছর) যৌন হয়রানির শিকার হয়।

দেশে দেশে নারী নির্যাতন

৪৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অলস হাতে মাউস স্ক্রলে
একি দেখি বাপু!!
টাটকা তরতাজা পোষ্ট
লিখেছেন আপু!!!

ফের চোখ রগরাই
হলো নাকি ভুল;
আরি দেখি ঠিকি আছে
ভুল নয় এক চুল।

এমন-ই দিলে পোষ্টখানি
মতামতে লাগে সংকোচ;
বিদ্যেতে ছোট অতি
মনে লাগে খচ খচ।

এতো যেনো পোষ্ট নয়
পিএইচডি থিসিস এক;
কি যে লিখি আমি ছাই
নিজেরেই লাগে ফেক।

কমেন্ট কি দেব হে
লাজে হই ম্রিয়;
স্রেফ বলি ভালোবাসি
বড় বেশি প্রিয়।

জ্ঞানের ভারেতে বাপু
ডরে করি মিউ মিউ;
প্রাউড অফ ইউ আপু
সো ভেরি ভেরি লাভিউ। :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

শায়মা বলেছেন: এত লাজ পেয়ো নাতো
জানো তুমি কে?
ছড়াকার সেরা সেরা
এই ব্লগেতে!!!!!!!!!

মাথা ভরা গিজ গিজ
বুদ্ধিতে ঠাসা,
অন্তরে স্নেহ মায়া আর
ভালোবাসা।

যুগে যুগে সারা দেশে
এমন এক ভাই।
পৃথিবীর সব বোন
তোমার মত পায়।

নো শেইম ফিলি ফিলি
নো ঢং ঢুং!
ইউ নো আমিও যে
লাভ ইউ টু!!!!!!:)

৪৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ** নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নারী জন্মের পূর্ণ সার্থকতা ও সফলতাটুকু নিয়ে।

তোমার অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ আপুনি । সহমত তোমার সাতে । ভাল থেকু ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। ভালো থেকো তুমিও।:)

৪৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ সফল হোক

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

সফল হোক সকল নারীরাও।

৪৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইচ্ছে করলে গত বছরের পহেলা জানুয়ারীতে নারীদের প্রতি উৎসর্গিত আমার একটা কবিতা পড়তে পারেন এখানেঃ Womb

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

শায়মা বলেছেন: অবশ্যই পড়বো ভাইয়া। থ্যাংকস আ লট!

৪৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে আপুনি, কিন্তু লেখার মত ধৈর্য্য নাই!! দুইটা কথা লিখি, "নারীর কোনো আপন বাড়ি নাই, আছে বাপের বাড়ি, স্বামীর বাড়ি আর ছেলের বাড়ি "- আমি ঠিক করছি জীবনে কিছু করি আর না করি নিজের টাকা দিয়ে আগে বাড়ি বানাবো, তারপর নেমপ্লেটে লিখব "আমার বাড়ি"।
"লক্ষী আর অলক্ষী"- সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে আর অসুখের হয় নারীর দোষে! ~~~ তাহলে সংসারে পুরুষের কাজ কি? মাথার মধ্যে ঢুকে না! অথচ সংসারের সব যশ খ্যাতি পুরুষের!!! হাসি পায়। সংসারটাও নাকি তার!!
জানো আপুনি, আমি না চাই না আমার কখনো কোনো মেয়ে হোক, কারণ মেয়েদের আমার মানুষ হয় না। রাস্তায় হাটলে মনে হয় আমি তেঁতুল!! :( প্রতিদিন রাস্তায় হাটার সময় মনে মনে কুংফু ক্যারাটের স্টেপ মনে করতে করতে যাই। কখন কাজে লাগে। এই সমাজে যেখানে আমি ভয়ে রাস্তায় হাটি, গঞ্জনার ভয়ে মানুষের সাথে কথাও বলি মেপে, যেখানে আমি বন্দী- আরেকটা পাখিকে কিভাবে সেখানে বন্দী হওয়ার কথা মাথাতে আনতে পারি বলো তো? আহা যদি প্রকতি একদিন রাগ করে মেয়েদের জন্ম বন্ধ করে দিত!! তখন এই সমাজের বুঝি শান্তি হত- এটাই ভাবি মাঝে মাঝে!!!

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

শায়মা বলেছেন: মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে আপুনি, কিন্তু লেখার মত ধৈর্য্য নাই!! দুইটা কথা লিখি, "নারীর কোনো আপন বাড়ি নাই, আছে বাপের বাড়ি, স্বামীর বাড়ি আর ছেলের বাড়ি "- আমি ঠিক করছি জীবনে কিছু করি আর না করি নিজের টাকা দিয়ে আগে বাড়ি বানাবো, তারপর নেমপ্লেটে লিখব "আমার বাড়ি"।

ভেরি গুড! এমন ডিসিশন বা কনফিডেন্স কিন্তু দরকার আছে আপুনি। ছেলেরাও বাবার বাড়িটা পেলেও নিজেরাই বাড়ি বানাবার কথা ভাবে । ঠিক তেমনি মেয়েরাও ভাববে তাতেই একজন ছেলে বা মেয়ে না কিংবা নারী বা পুরুষ না একজন মানুষের মত মানুষের ভাবনা হবে।

সংসারটা তার মানে পুরুষের এই কথা সমাজ সৃষ্টি করেছে তবে সংসার তো দুজন ছাড়া হবেনা। :)

না না মেয়েদের জন্ম বন্ধ বা এমন কিছু আক্ষেপ রেখোনা আপুনি। সমাজের পরিবর্তনে কিন্তু তোমারও ভুমিকা আছে। :)

৪৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনার লেখা পড়লাম। ফাটাফাটি লেখা। প্রিয়তে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

শায়মা বলেছেন: হুম। এই বছরের শুরু থেকেই খুব বিজি ছিলাম ভাইয়া। :(

৪৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: এই পোস্ট পড়মু না !

B-))

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে পুরুষ দিবসের পোস্ট পড়ো ভাইয়া।

তবে একটা কথা এই পোস্ট না পড়লে নারীদের নিয়ে এত গল্প লিখবে কিভাবে? :(

৫০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট আপুনি।পুরোটা পড়া শুরু করব এখনই।আপাতত প্রিয়তে রাখলাম

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:)

৫১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৮

দ্য লায়ন বলেছেন: পড়ার মত পোস্ট না আমার জন্যে।ইগ্নোর করার পোস্ট তবুও কমেন্ট করলাম।


কিছু মানুষ আছে দুনিয়ার কাবজাব নিয়ে লিখে ভেবেও দেখে না কেউ এসব পড়ে নাকি?এই টাইপ পোস্ট।

ডেস্ক্রেমিনেশ্যান থেকে বের হয়ে আসুন।নিজেকে মানুষ হিসেবে ভাবুন।

প্রথম শ্রেনীর ফালতু পোস্ট।মাইনাস থাকলে মাইনাস দিতাম।ওয়েস্ট অফ টাইম।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

শায়মা বলেছেন: ইগ্নোর করাটা বা না পড়াটাই উচিৎ ছিলো। আসলেই এই পোস্ট কোনো বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য না যারা কোনো প্রগতীশীল চিন্তা ভাবনাকে কাবজাব ভাবে।
ডিসক্রেমিনেশন কথাটা লেখার আগে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন হয়তো আপনিই সেই পুরুষ যার গায়ে এই পোস্ট খুব লেগেছে।

৫২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৪

মানসী বলেছেন: পোস্ট সময়োচিত ও যথাযোগ্য। নিজের আলোয় নিজেকে দেখা। আসলে নিজের সঙ্গে নিজের দেখা। রক্তের গ্রুপ বিভিন্ন রকমের হয়। তবে পুরুষ মানুষের রক্ত কিম্বা নারীর রক্ত এমন বিভাগ তো আর হয় না। এটুকু মনে রাখলেই চলে। পুরুষ -নারী পাশাপাশিই চলতে হবে না হলে কোনোমতেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
৪১ নং কমেন্টে খায়রুল আহসানের বক্তব্য আমি পূর্ণমাত্রায় সমর্থন করছি -আমাদের পরিবারে কন্যা সন্তানের প্রতি প্রথম অবিচারটি সাধারণতঃ করে থাকেন তার মা। ছেলে আর মেয়ের অধিকার যে সমান নয়, তা সাধারণতঃ তিনিই প্রথম মেয়েকে বুঝিয়ে দেন। বিয়ের পর মেয়েদের জীবন দূুর্বিষহ করে তোলেন শাশুড়ী আর ননদ, শশুর আর দেবর নয়। এগুলো সবই জেনারেল অভ্জারভেশন, উজ্জ্বল ব্যতিক্রমও নিশ্চয়ই আছে।

পোস্টে +++++++

এবং প্রিয়তে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপু। হুম পুরুষ নারী একসাথে না চলে দুজনে দুজনার শত্রু মনোভাবাপন্ন হলে কোনোই লাভ হবেনা।

আর খায়রুলভাইয়াও ঠিকই বলেছেন মাই মেয়েকে শিখায় তোমাকে এভাবে একটু পিছিয়ে চলতে হবে। আর শ্বশুরবাড়িতে তো কত কিছুই হতে হয়।

তবে দিন বদলেছে। আগের সনাতনী চিন্তাভাবনায় অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে।

৫৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বিড়ালের গলায় ঘন্টা তোমাদেরই বাঁধতে হবে ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা।

৫৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: নারী নিয়ে চমৎকার একটি পোষ্ট। পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস প্রামানিকভাইয়া।

৫৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নারী আর পুরুষ শব্দটাই কেমন বৈষম্যমূলক । আমরা তো মানুষ । স্রষ্টা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলেছেন । নারীদিবস ব্যাপারটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন । শুধু এই দিনটি নারীদিবস হবে কেন । আর বাকী সব দিন কি? সব পুরুষ দিবস?? আবার অনেক পুরুষ বলে থাকেন পুরুষ দিবস কোনটি বা নেই কেন?

আমি আর কি বলবো ? প্রতিটি দিন মানুষ দিবস হোক।
অবশ্য মানবাধিকার দিবস বলে একটা দিবস আছে ।

আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়ে জাহেল লোকগুলো একেক দিন একেক মূর্তির পূজা করতো ।৩৬০ দিন ৩৬০টা মূর্তি । তারপরও সেটা ছিল অন্ধকারের সময় !! অথচ মানুষ পাপাচার যৌনাচারে লিপ্ত থাকতো !!! সব খারাপ কাজ করতো ।

এখন আমরাও একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি পুজো করার মত ।

তারপর আর সেগুলো মনে থাকে না । নারী নিগৃহীত অত্যাচারিত হতে থাকে বঞ্চিত হতে থাকে দিনের পর দিন ।

কবিরা কবিতা লিখেছেন নারীদের নিয়ে । তাদের প্রতিমার সঙ্গে তুলনা করেছেন । সাধনা বা আরাধ্য ভেবেছেন ।
আবার কটাক্ষ করেছেন তাদের ভালবাসা পাবার জন্য । ইভ টিজার ব্যাপারটা কি সেটা স্রষ্টাই ভাল জানে ।


যদি একজন পুরুষ প্রচন্ড ভালবাসা থেকে সো কল্ড টিজ করে অথচ হৃদয়ে তার নারীটির জন্য একটা বিরাট সিংহাসন থাকে তাকে কি বলবে? সেই হৃদয় কিন্তু মসজিদ আর মন্দিরের মত পবিত্র বলতে গেলে উপসনালয় ।


নারী নিয়ে সুন্দর পোস্ট ।

অনেক তথ্যের সন্নিবেশ করেছো । অসাধারণই বললাম ।

সবগুলো পড়বো না ।

কষ্ট করে লিখেছো সাধুবাদ জানাই ।

আমার অনেক কাজ আছে ।তারপরও তোমার পোস্টে সময় দিই । ভালো থাকবে ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:) পরে তোমার জবাবে আসছি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: স্যরি ভাইয়া কালকে তোমার মন্তব্যের জবাব দেবার আগেই নীচের মন্তব্যে চলে গিয়েছিলাম।


কবিরা কবিতা লিখবে, প্রেমিকেরা ভালোবাসবে, সন্তানেরা মাকে সবচেয়ে সন্মান দেবে , বাবা তার কন্যাকে বুকে জড়িয়ে রাখবে এই তো হয় , এটাই হবার কথাও তবে কিছু কিছু সময় যে ব্যাতিক্রম ঘটে বা ঘটেই চলেছে তা বন্ধ হওয়া উচিৎ।

যাইহোক অনেক অনেক থ্যাংকস এন্ড স্যরি দেরি করে রিপলাই এর জন্য।

৫৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

কুয়াশা অথবা আমি বলেছেন: গতকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নারী দিবস নিয়ে অনেক লেখা চোখে পড়েছে। সেখানে যেমন রয়েছে নারীদের লেখা তেমনি রয়েছে পুরুষদের লেখা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মানুষ হিসেবে আমি একজনকে সম্মান দিব। হোক সে নারী বা পুরুষ। নারীদের উপর এত নিগ্রহ আর অপমান, বঞ্চনা থেকেই এসব দিবস পালিত হয় বলেই এখন নারী দিবসের ব্যানার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিন্তু শিক্ষার ফলে যে মনুষ্যত্ব বোধের জন্ম সেটা যদি নারী এবং পুরুষ উভয়ের মাঝে জেগে উঠে তাহলে হয়ত নাজুক পরিস্থিতির ভয়াবহতা কমে আসবে। আলাদা করে দিবসের প্রয়োজন হবে না। আমি নিজে অনেক ভেবেছি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে কি নারী দিবস নিয়ে আমিও কিছু লিখব? আমারও কি কিছু লেখা উচিত? আমি ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে সম্মান দিতে পছন্দ করি তাই সে হিসেবে দায়বদ্ধতার ব্যাপার আমার কাঁধে চেপে কখনই বসে না।

গতকাল বাসে করে বাড়ি ফিরছিলাম। একটা স্টপেজে এসে পৌঁছাবার কিছু আগেই একজন নারী পেছনের সিট থেকে দাড়িয়ে বললেন # এই যে ড্রাইভার গাড়ি থামান। মহিলা মানুষ নামবে। বাস না থামালে কারোই বাস থেকে নামা সম্ভব না। কিন্তু উনি বারবার বলছিলেন মহিলা মানুষ নামবে। সাবধানে নামান। আমার মনে হচ্ছিল নারীরাই বিভিন্ন ভাবে নিজেরা নারী এবং একটু বাড়তি সুবিধা নেয়ার আশা ভুলতে পারেননা। লাইনে দাঁড়ালে মহিলাদের আগে যেতে দিতে হবে, দাড়িয়ে থাকলে উনাদের বসতে দেয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করতেও দেখেছি। নারী বলে সুবিধা নেয়ার আশাটা সাথে সাথে বন্ধ হওয়া উচিত।

পুরুষরাও নির্যাতিত হচ্ছে নিজ স্ত্রী দ্বারা, নিজের বন্ধু দ্বারা - মানসিক অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে। পুরুষ হিসেবে আমার বাজে কিছু অভিজ্ঞতার কথা লেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু নিজের অবস্থান আর অধিকারটা নিজে তৈরি করে নেয়াটাই আমার কাছে যৌক্তিক কাজ বলে মনে করি। আমার অধিকার আমাকে দাও এটা বলে আমি কারও কাছেই প্রাপ্য জিনিসটা পাব না।

সাধারণ কৌতূহল থেকে বলছি - ধরুন এই সামু ব্লগেই তো অনেক নারী ব্লগাররাই আছেন। এখানে নারী ব্লগারদের প্রতি আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন আপনি? কোন বৈষম্য কি নিজের মাঝে দেখতে পান অন্য নারী ব্লগারদের প্রতি?

আমি ব্লগ পড়ি দীরঘদিন থেকেই। এই ব্লগ ছাড়াও অন্যান্য ব্লগ। এই ব্লগের অনেক ব্লগারের লেখা এবং লেখনী শক্তি, চিন্তাশক্তির সাথেও আমার পরিচয় আছে। সে হিসেবে বলছি ব্লগার আরজুপনিকে আপনি যে ধরণের আচরণ উপহার দিয়েছেন সেটা আরেকজন ব্লগার হিসেবে আমার মনে হয়েছে দৃষ্টিকটু। কাউকে মন্তব্যের প্রতিউত্তর না দেয়া, আপনাকে ছয় বছর পুর্তির শুভেচ্ছা জানানো মন্তব্য মুছে দেয়া এসব হিংস্রাত্মক মনোভাব মনে হয়েছে। আর যে কথাটি বলেছেন উনি বিভিন্ন ধরণের উস্কানি মন্তব্য এবং উস্কানি পোস্ট দিয়েছেন সেটাও মনে হয় ঠিক না। উনি যা করেছেন নিজের অরিজিনাল আইডি থেকেই করেছেন সাবধান করতে। আপনি যে ধরণের ফ্লাডিং মন্তব্য করছিলেন, অতীতেও করছেন আপনার বন্ধুস্থানীয়দের পোস্টে গিয়ে এবং কতিপয় সহব্লগারদের নিয়ে তাতে আপনাকে ভদ্র ভাষায় ব্লগের পরিস্থিতি ঠিক রাখার রোধেই মনে হয় আরজুপনি পোস্ট করেছিলেন।

আপনার বর্তমান যে ওয়েট ব্লগে আর যে চেহারা তৈরি করে নিজেকে খেলো করে ফেলেছিলেন সে হিসেবে এই ধরণের সিরিয়াস এবং সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সম্পন্ন পোস্ট দিয়ে নিজের অজান্তে হলেও নিজের সম্মান পুনুরুদ্ধারমুলক একটি কাজ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। এতে আপনি প্রশংসার দাবিদার। আপনার ব্লগিং বয়স ৬ বছর প্লাস হলেও আপনার ব্লগিয় আচরণ সেরকম লাগে না। মেগা পোস্ট লিখে সেই পোস্ট স্টিকি বা নির্বাচিত হবার চেয়ে যা লিখেছেন সেই সাম্যবাদ আপনি নিজেই বিশ্বাস করুন আগে। শুধু লেখার জন্য যেন সেটা লেখা না হয়।

সবশেষে বলি নারী পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবার উপরে বর্তমান নারী সমাজের বৈষম্য অনেকটা পরিবর্তন করা সম্ভব। প্রকৃতিগত কিছু ব্যাপার ছাড়া নারী যেন নিজেকে নিজের দুর্বলতা উপস্থাপন করে "নারী" হিসেবে সমাজে আবির্ভূত না হয়। নারী একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাবতে শেখে এটাই হোক প্রত্যাশা। আগে নিজেকে ভাবতে হবে আমিও মানুষ; নারী নয়।

আমার কোন কথাকে আক্রমন হিসেবে না নেয়ার অনুরোধ রইল। আপনার মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা কামনা করি।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৮

শায়মা বলেছেন:

আরজু আপু যখন মালটিনামা লিখেন তখন আমি সেখানে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আমার কমেন্ট মুছে দেন।
কিন্তু যে সব মাল্টিনিকস আমাকে সেখানে বাজে ভাবে আক্রমনের চেষ্টা করছিলো তাদেরকে তিনি তার উস্কানী পোস্টের মতই মন্তব্যে ও তাদের পোস্টগুলোতে উস্কানী দেন। এমনকি তাদের জবাবও এমনভাবে দেন যেন তারা ঠিকই বলছে।
কেউ যদি নারীকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে থাকেন তবে তিনিই তা করেছেন, সেসব নারী অবমাননাকারী টিজারদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে।
যৌক্তিক সমালোচনা আমি গ্রহন করবো। যদি কেউ তা করতে চায় আমি আলোচনাও করবো। কিন্তু আরজুপনি আমার সাথে সেই প্রক্রিয়ায় না গিয়ে যারা অশালীনভাবে আমাকর টিজ করার চেষ্টা করছিলো তাদেরকেই উৎসাহিত করেছে।
তাই আমিও আমার কাছে যা ঠিক মনে হয়েছে তা করেছি।
আরজুপনিকে আমি একজন নারী ব্লগার হিসাবে দূর্বলভাবে দেখি না। তাকে একজন গুরুত্বপূর্ন ব্লগার হিসাবেই দেখেছি।
আমি ইচ্ছা করলে উস্কানী মনে করে আরজু আপুর মত আপনার মন্তব্যও মুছে দিতে পারতাম। এবং যারা শুধুই আমকাে সাপোর্ট করেছে তাদেরটা রেখে বাকী সব মুছে দিতে পারতাম ওদের মত।
কিন্তু তা আমি করিনি।


আপনি লিখেছেন
(আমি ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে সম্মান দিতে পছন্দ করি তাই সে হিসেবে দায়বদ্ধতার ব্যাপার আমার কাঁধে চেপে কখনই বসে না।)
আরও লিখেছেন
(সাধারণ কৌতূহল থেকে বলছি - ধরুন এই সামু ব্লগেই তো অনেক নারী ব্লগাররাই আছেন। এখানে নারী ব্লগারদের প্রতি আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন আপনি? কোন বৈষম্য কি নিজের মাঝে দেখতে পান অন্য নারী ব্লগারদের প্রতি? )

আপনার এই একজন নারীর প্রতি আরেকজনের ব্যবহার কেমন হওয়া উচিৎ কথাটির প্ররিপ্রেক্ষিতে উপরের কথাগুলি বললাম।


আমাকে ইঙ্গিত করে যখন একজন নারী ব্লগার এমন একটি পোস্ট দেন এবং সেখানে কিছু নব্য মালটি নিককেই তীন উৎসাহিত করেন বাজে মন্তব্যের জন্য তখন কোথায় ছিলো এ প্রশ্ন? বলবেন কি?

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

শায়মা বলেছেন:
(আমি ব্লগ পড়ি দীর্ঘদিন থেকেই। এই ব্লগ ছাড়াও অন্যান্য ব্লগ। এই ব্লগের অনেক ব্লগারের লেখা এবং লেখনী শক্তি, চিন্তাশক্তির সাথেও আমার পরিচয় আছে। সে হিসেবে বলছি ব্লগার আরজুপনিকে আপনি যে ধরণের আচরণ উপহার দিয়েছেন সেটা আরেকজন ব্লগার হিসেবে আমার মনে হয়েছে দৃষ্টিকটু। কাউকে মন্তব্যের প্রতিউত্তর না দেয়া, আপনাকে ছয় বছর পুর্তির শুভেচ্ছা জানানো মন্তব্য মুছে দেয়া এসব হিংস্রাত্মক মনোভাব মনে হয়েছে। আর যে কথাটি বলেছেন উনি বিভিন্ন ধরণের উস্কানি মন্তব্য এবং উস্কানি পোস্ট দিয়েছেন সেটাও মনে হয় ঠিক না। উনি যা করেছেন নিজের অরিজিনাল আইডি থেকেই করেছেন সাবধান করতে। আপনি যে ধরণের ফ্লাডিং মন্তব্য করছিলেন, অতীতেও করছেন আপনার বন্ধুস্থানীয়দের পোস্টে গিয়ে এবং কতিপয় সহব্লগারদের নিয়ে তাতে আপনাকে ভদ্র ভাষায় ব্লগের পরিস্থিতি ঠিক রাখার রোধেই মনে হয় আরজুপনি পোস্ট করেছিলেন। )


আপনি দীর্ঘদিন ব্লগ পড়েন, নানা ব্লগারের চিন্তা শক্তির সাথে আপনার পরিচয় আছে হেন তেন নানা কথাই বলেছেন। কিন্তু কালরাতেই এই মন্তব্য দেখে ছুটে আসবেন আর দৃষ্টিকটু মনে হওয়ায় এত বড় মন্তব্য করবেন সেটা নিশ্চয় আমার মত একজন অভিজ্ঞ ব্লগারের বিশ্বাস করার কথা নয়। আপনার আগে ও পরে আরও অনেক ব্লগারই এসেছেন এই পোস্টে কিন্তু অভিজ্ঞ দৃষ্টি থেকে বুঝা যায় আপনিও একটি মালটি এবং কার মালটি সেটাও বুঝা বেশি কষ্টের কিছু না।


(কাউকে মন্তব্যের প্রতিউত্তর না দেয়া, আপনাকে ছয় বছর পুর্তির শুভেচ্ছা জানানো মন্তব্য মুছে দেয়া এসব হিংস্রাত্মক মনোভাব মনে হয়েছে।)

এসব আমি করিনা কখনও করিও নি। এসব উনি আমার সাথে করেছিলেন বলেই আমিও করেছি। কারণ অযথা যে নিজেই মালটি নিয়ে লিখে মজা নিচ্ছিলেন তিনিই আবার মালটিদেরকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন আমার মন্তব্যও মুছেছিলেন কি করে তিনি আশা করেন আমিও তার উত্তর দিয়ে যাবো? যদিও আমি মন্তব্য মুছিনি শুধুই উত্তর দিয়েছিলাম না বিরক্তি থেকে।

( আর যে কথাটি বলেছেন উনি বিভিন্ন ধরণের উস্কানি মন্তব্য এবং উস্কানি পোস্ট দিয়েছেন সেটাও মনে হয় ঠিক না। উনি যা করেছেন নিজের অরিজিনাল আইডি থেকেই করেছেন সাবধান করতে। )

এটা কি আপনার নিজেকেই সাপোর্ট করা মাল্টির মত কথা হয়ে গেলো না? নিজের অরিজিনাল আই ডি থেকে উনি করেছেন আমিও নিজের আইডি থেকেই উনাকে বললাম কিন্তু আপনি কেনো মালটি নিয়ে এলেন ?

(আপনি যে ধরণের ফ্লাডিং মন্তব্য করছিলেন, অতীতেও করছেন আপনার বন্ধুস্থানীয়দের পোস্টে গিয়ে এবং কতিপয় সহব্লগারদের নিয়ে তাতে আপনাকে ভদ্র ভাষায় ব্লগের পরিস্থিতি ঠিক রাখার রোধেই মনে হয় আরজুপনি পোস্ট করেছিলেন। )

আমার বন্ধুস্থানীয়দের পোস্টে কমেন্ট ফ্লাডিং করলে আপনার বা উনারই বা সমস্যা কোথায়? বন্ধু কি ব্লগে শুধু আপনারই থাকবে? সহ ব্লগাররা কি শুধু আপনাকেই নিয়ে থাকবে? হা হা হাসালেন। আর ব্লগের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে উনি ভদ্র ভাষায় মালটিনামা দিলেন তাইনা? আবার সেই পোস্টে নব্য মালটিদের উস্কানীমূলক পোস্টে উস্কানী দিয়ে বেড়ালেন তাইনা? তাতে ব্লগ পরিবেশ খুব ভালো হয়ে গেলো এটা বলতে চাচ্ছেন?

দেখেন নিজে মাল্টি না নিয়ে এসে কথা বললে আপনার কথার গুরুত্ব ছিলো কিন্তু আপনি মালটি বলেই এইখানে কিছু অশালীন ও ব্যাক্তি আক্রমনাত্ব , বিদ্বেষমূলক কথা বলতে পেরেছেন সৎ সাহস থাকলে নিজের নিক নিয়েই আসবেন । আপনাকে স্বাগত জানাবো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১১

শায়মা বলেছেন: আপনার বর্তমান যে ওয়েট ব্লগে আর যে চেহারা তৈরি করে নিজেকে খেলো করে ফেলেছিলেন সে হিসেবে এই ধরণের সিরিয়াস এবং সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সম্পন্ন পোস্ট দিয়ে নিজের অজান্তে হলেও নিজের সম্মান পুনুরুদ্ধারমুলক একটি কাজ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। এতে আপনি প্রশংসার দাবিদার। আপনার ব্লগিং বয়স ৬ বছর প্লাস হলেও আপনার ব্লগিয় আচরণ সেরকম লাগে না। মেগা পোস্ট লিখে সেই পোস্ট স্টিকি বা নির্বাচিত হবার চেয়ে যা লিখেছেন সেই সাম্যবাদ আপনি নিজেই বিশ্বাস করুন আগে। শুধু লেখার জন্য যেন সেটা লেখা না হয়।)

বুঝতে পারছিলাম লেখাটা দেখে আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি একটা কথা বলি আপনিও পারবেন যতক্ষন এই সব এক নিকে উস্কানী আরেক নিকে মালটি দিয়ে পাগলামীগুলো না করবেন। গঠন মূলক লেখার চর্চা করুন। আপনিও পারবেন তখন আর কষ্ট করে মালটি দিয়ে এসে কাউকে খেলো মেলো বলে খেলো করতে হবেনা। আপনি কি ভাবছেন আপনার মত মালটি কি বলে গেলো সেই নিয়ে আমি বসে থাকবো? আমার ব্লগিং বয়স ৬ বাট আপনার তো মালটির বয়স দুদিন।আমিও মালটি দিয়ে নানামূখী লেখার চর্চা করেছি, অনেক পোস্ট স্টিকিও হয়েছে তবে সেসব নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমি লেখার আনন্দে লিখি কিন্তু আপনার মত মালটিবাজী কাজ করিনি ।আপনার আচরণ তো পুরাই হিংসা বিদ্বেষমুলক। হিংসা করে জীবনে কিচ্ছু হবেনা । আর মালটি দিয়ে এসব বলে তো শুধু হাসিরই পাত্র হবেন।


(সবশেষে বলি নারী পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবার উপরে বর্তমান নারী সমাজের বৈষম্য অনেকটা পরিবর্তন করা সম্ভব। প্রকৃতিগত কিছু ব্যাপার ছাড়া নারী যেন নিজেকে নিজের দুর্বলতা উপস্থাপন করে "নারী" হিসেবে সমাজে আবির্ভূত না হয়। নারী একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাবতে শেখে এটাই হোক প্রত্যাশা। আগে নিজেকে ভাবতে হবে আমিও মানুষ; নারী নয়।

আমার কোন কথাকে আক্রমন হিসেবে না নেয়ার অনুরোধ রইল। আপনার মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা কামনা করি। )

খুব ভালো বলেছেন উপরের কথা গুলো আর শেষ লাইনে যা বললেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বলছি আপনার কথাকে আমি অন্য কিছু না একজন মালটির ব্যাক্তিগত আক্রোশমূলক উক্তি হিসেবেই নিয়েছি। smile emoticon আপনার মালটি জীবন সুখময় হোক।:)

৫৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে লগিন করলাম মনে হয়! প্লাস দিয়ে ভাগলাম।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৩

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া তবুও তো লগ ইন করলে।:)

থ্যাংকস আ লট!!!:)

৫৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

সায়ান তানভি বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল পোস্ট অনেক পরিশ্রমসাধ্য কাজ চমৎকার লেখাটির জন্য অভিনন্দন শুভ কামনা

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া!

৫৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

বৃতি বলেছেন: বাপ্রে! শায়মাপুর মেগাপোস্ট। একটানা পড়া আমার পক্ষে সম্ভব না, অনেকবারে পড়তে হবে। প্রিয়তে রাখলাম, পড়ে মন্তব্য করতে চাই :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩২

শায়মা বলেছেন: স্যরি আপুনি তোমার কমেন্ট স্কিপ করে নীচের কমেন্টে চলে গেছিলাম!

তুমি আমাকে এই কমেন্ট দিলে !!!!!
আমি ধন্য হলাম আপুনিমনি!:)

৬০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

কাবিল বলেছেন: শুধু নারী পুরুষই না, নারী নারীর প্রতিও কিছু হিংসে বিদ্বেষ অথবা ভুল বোঝাবুঝি থাকে সেটাও নিষ্পত্তি হোক।
সফল হোক নারী দিবস।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই।

থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:)

৬১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কুয়াশা এবং আমি এর মন্তব্যটা পড়লাম । অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি । আমি আরজু পনিকে দেয়া প্রতিউত্তরতটি পড়িনি প্রথমে , এখন পড়লাম । তখন সময় ছিল না বলে ছোট্ট করে মন্তব্য করে চলে গিয়েছিলাম । আমি জানিনা কি হয়েছিলো আপনার সাথে আরজু পনির , তবে যেটাই হোক এভাবে প্রতিউত্তর করাটা দৃষ্টিকটু । আমি জানি না অন্যরা কি ভাবছেন , কিন্তু আমার কাছে মন্তব্যটির উত্তরটা ভালো লাগে নি ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২০

শায়মা বলেছেন: আপু তোমার কাছে ভালো লাগেনি আমি বুঝতে পারছি। এমনভাবে কাউকে বলাটা আমার কাছেও ভালো লাগেনা। আমি মানুষকে ভালোবাসতেই চাই। তবে ব্লগে কিছুদিন যাবৎ যে মালটিনামা উস্কানীনামার খেলা চলছিলো সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলতে বাধ্য হয়েছি আমি।

যেই মালটি নিয়ে, ফ্লাডিং নিয়ে মানে কেনো আমার পোস্ট বা আমার পুরান বন্ধুদের পোস্টে আমি একের অধিক কমেন্ট করবো, কেনো আমি তাদের সাথে ছড়া বা কবিতার খেলা খেলবো এসব নিয়ে হিংসামূলক কমেন্টগুলো এই ব্লগেরই নানা নতুন মাল্টিদের পোস্টে ছড়িয়ে আছে তাতে একের পর এক কমেন্ট ফ্লাডিং করে গেছেন তারাই। এই হিংসামূলক মন্তব্য গুলোতে মালটিদের সাথেই নানা রকম কথপোকথন চলছিলো তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি এমনটা বলেছি। তুমি কুয়াশা এবং আমিকে আমার দেওয়া উত্তরগুলো পড়লেই কিছুটা হয়তো বুঝবে।



৬২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নারীদের নিয়ে অনেক অনেক ভাল পোষ্ট!

লাইক ও প্রিয়তে নিলাম!

ভাল থাকবেন শায়মা আপু।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:)

৬৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পুরোটা পড়তে পারি নাই।


হাজিরা দিয়া গেলাম আবার আসব। :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া। পরে পড়ো!:)

৬৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এমন এক পাঞ্চ দিলে
লায়ন হলো বিলাই;
সুঁই দিয়ে থোতা মুখে
দিলে করে সেলাই। :D

পড়িসনা ভালো না হলে
কে করেছে মানা;
খেয়ে তুলে হেচকি
কয় হয়নি ভালো খানা। :D

আজব এই দুনিয়াতে
আছে বাপু কত চীজ;
পারবেনা কভু বদলাতে
রুচি হলো নিজ নিজ। B:-/

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

শায়মা বলেছেন: রুচি চানাচুর খাবে?
কাঁচা আম কুঁচি?
ছোট ছোট বেলনায়
ফুলো ফুলো লুচি!:)


৬৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

মাহমুদ আল ইমরোজ বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা...

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

৬৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৪

ধূলো জমা চিঠি বলেছেন: ১৯. ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮ ৩
আরজু পনি বলেছেন: Reply den ar na den, apnar ei post dekhe ami moha khushi. :D
pc theke onek dure achi, mobile diye blogging parina, tobuo kosto kore login korlam.
Asha kori ei post sticky hobe.
Dhaka fire pc theke abar asbo like ar priote nite.

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩ ০
লেখক বলেছেন: আসলেও আমি আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিতে চাচ্ছিলাম না। কারণ আপনি অলরেডি আমার বিরুদ্ধে ইনডাইরেক্টলি অনেক উস্কানী দিয়েছেন। ব্লগে কিছুদিন আগে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিলো এবং তার পরবর্তীতে সেই অস্থিরতা যখন থেমে যাবার কথা ছিলো তখন আপনার সেসব উস্কানীমূলক কথা বার্তা বা পোস্ট ব্লগে আরও কিছু অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। যা কিছু নব্য জেগে ওঠা নিকের পোস্ট ও মন্তব্যে এবং আপনার কথাবার্তায় সুস্পষ্ট প্রমান রেখে গেছে।

আপনাকে আমি অন্যরকম ভাবতাম। একজন ওপেন মাইন্ডেড এবং প্রগতীশীল নারী। আমার কোনো কিছু আপনার পছন্দ না হলে আপনি আমাকে বলতে পারতেন। এইখানে বা ফেসবুকেও। তা না করে আপনি অকারণ যেই উস্কানী দিয়েছেন তার কোনো দরকার ছিলো বলে আমি মনে করিনা।

যাইহোক, নারী অধিকারের জন্য যুগ যুগ ধরে অন্যদের ভাবনা আঁকড়ে ধরে থাকার চাইতে বা সেসব বা সে ভাবনাগুলোরই পুণঃ পুণঃ প্রচারের চাইতে বা অন্যদেরকে দোষারোপের চাইতে নারীদের নিজেদের চলার পথে বয়ে চলা সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ

তাই একজন নারীর বেড়ে ওঠায় নিজেদের অনুভুতিগুলো, সমস্যাগুলো নিজের মত করে ব্যাখা করাটাই জরুরী। যেমন নারী বিষয়ক লেখাগুলোতে ধ্যান ধারণার বিবর্তনের কথা বা এভাবে গৎবাঁধা লেখা কিংবা পোস্টের চাইতেও আমরা নিজেরা আসলে কি ভাবছি, নিজেরা কতটুকু পরিবর্তনে সামিল হতে পারছি সেটা ভাবাটাই এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


৬১. ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯ ০
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কুয়াশা এবং আমি এর মন্তব্যটা পড়লাম । অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি । আমি আরজু পনিকে দেয়া প্রতিউত্তরতটি পড়িনি প্রথমে , এখন পড়লাম । তখন সময় ছিল না বলে ছোট্ট করে মন্তব্য করে চলে গিয়েছিলাম । আমি জানিনা কি হয়েছিলো আপনার সাথে আরজু পনির , তবে যেটাই হোক এভাবে প্রতিউত্তর করাটা দৃষ্টিকটু । আমি জানি না অন্যরা কি ভাবছেন , কিন্তু আমার কাছে মন্তব্যটির উত্তরটা ভালো লাগে নি ।



হায় হায় বইন শায়মা, আপনি নারী নিয়ে লিখে ফাটিয়ে পোস্ট দিলেন, সেই আপনিই দেখি নারী কে অসন্মান করে উত্তর দিচ্ছেন।
আমরা পুরুষরা এখন তা হলে কি ভেবে নিবো আসলে এই লেখা আপনার মন থেকে নয়, ওই মুখে মধু অন্তরে বিষের মত।

আপনার নারী বিষয়ক পোস্ট পড়ে প্রথম যে মন্তব্য করেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে ভুল জায়গাতে সুনাম করেছি। আমার মনে হয় আগে আপনি নিজে সঠিক নারী হন তারপর অন্য নারী নিয়ে লিখুন, কসুলিত মন নিয়ে ভালো কথা লিখতে এসেন না। আপনি বলেছিলেন এই ব্লগে আপনার প্রায় ৮৩ টি আইডি খোলা আছে, নতুন কেউ আসলেই ঘ্যাচং করে দিবেন, মনে আছে কথা গুলি, নাকি আরও মনে করিয়ে দিতে হবে গো আমার মহারাণী সাহেবা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

শায়মা বলেছেন: হায় হায় বইন শায়মা, আপনি নারী নিয়ে লিখে ফাটিয়ে পোস্ট দিলেন, সেই আপনিই দেখি নারী কে অসন্মান করে উত্তর দিচ্ছেন।
আমরা পুরুষরা এখন তা হলে কি ভেবে নিবো আসলে এই লেখা আপনার মন থেকে নয়, ওই মুখে মধু অন্তরে বিষের মত।

ঠিক তাই ! সবচেয়ে বেশি মালটি নিয়ে আমাকেই এ্যটাক করা হয়। তার কারণ কি ? আমার পোস্টে কমেন্ট কেনো? আমি কেনো অন্যের পোস্টে কমেন্ট করবো? আমার কেনো সহ ব্লগার বা বন্ধুস্থানীয় মানুষেরা থাকবে? আমি কেনো তাদের সাথে ছড়িতা কবিতা লেখালিখি করবো? হা হা হা সেই সব মালটির সাথে কিন্তু এই দু একজন নারীদেরই সখ্যতা দেখেছি। তারাই মালটি নিয়ে বলেন তারাই মালটি নিয়েও আসেন এবং উস্কানীমূলক মালটি গুলিকে উস্কানী দিয়ে আবার মালটির চর্চা রোধ অভিযান চালান। তারাই একের পর এক এই মালটিগুলির পোস্টে উস্কানী মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করেন আবার তারাই নাকি ব্লগ উদ্ধার করবেন আমাকে তাড়িয়ে।

তাদের মনে হয় অন্তরে মধু মুখে বিষ! হা হা হা আর আপনিও তো আরেক মালটি তো কেনো আসলেন হঠাৎ খেপে মেপে?



আপনার নারী বিষয়ক পোস্ট পড়ে প্রথম যে মন্তব্য করেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে ভুল জায়গাতে সুনাম করেছি। আমার মনে হয় আগে আপনি নিজে সঠিক নারী হন তারপর অন্য নারী নিয়ে লিখুন, কসুলিত মন নিয়ে ভালো কথা লিখতে এসেন না। আপনি বলেছিলেন এই ব্লগে আপনার প্রায় ৮৩ টি আইডি খোলা আছে, নতুন কেউ আসলেই ঘ্যাচং করে দিবেন, মনে আছে কথা গুলি, নাকি আরও মনে করিয়ে দিতে হবে গো আমার মহারাণী সাহেবা।

সবচেয়ে মজাটাই এখানে আপনি নিজেই এক মালটি। মালটি নিয়ে এসেছেন কারণ মালটি নিয়ে যুদ্ধে নেমে নিজেরাই মালটির খপ্পরে পড়ে গেলেন । হা হা হা এই দৃশ্য দেখে হাসছি। আগে নিজেরাই শুদ্ধ হয়ে আসেন তখন না হয় আলোচনা করা যাবে।

৬৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
imraj vaia saradin ghumer moddhe achen :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৪

শায়মা বলেছেন: কেনো?
এত ঘুম কেনো ভাইয়া? কি হয়েছে?

৬৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

মেহবুবা বলেছেন: থিসিস হয়ে গেল দেখছি ।পারো তুমি বটে । সাইনের কপাল যে তোমার মত এক জনকে পেয়েছে।
দরকারী কথা বলতে ভুলে যেতাম -- তুমি মেয়েমানুষ হয়ে এতসব বিষয়ে কেন মাথা ঘামাও? রাঁধবে, বাড়বে আর সবার কথা মাথা নত করে মেনে নেবে ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৩

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!

লাভ ইউ!!!!!!!!!!!

কতদিন পর তোমাকে দেখলাম!!!!!!!!!:)

ঠিক তাই ! ঠিকই বলেছো তুমি!!!!!!!!! সবকিছু সবার কি সহ্য হয় বলো ?? :(

৬৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আজ সারাটা দিন এই পোস্টে আটকা পড়ে আছি , এমন পোস্ট শায়মা'কে দিয়েই সম্ভব ।

আজকের দিনের প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় পোস্টটি স্টীকি করা যেতো ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩০

শায়মা বলেছেন: স্টিকি! :P


স্টিকি ছাড়া কি পোস্টের মূল্য থাকেনা ভাইয়া?:(


যাইহোক অনেক অনেক থ্যাংকস তোমাকে ভাইয়ামনি!

উপরে একজন মালটি বলে গেছেন আমার পুরোনো ব্লগ বন্ধুদের সাথে একটার বেশি কথা না বলতে।:( তাতে নাকি ব্লগের পরিবেশ নষ্ট হয়।:(

৭০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৫

দইজ্জার তুআন বলেছেন: বেশী গম লাইগ্গে..............বালা অইয়ে

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: হা হা

ওকে থ্যাংকস!:)

৭১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

দইজ্জার তুআন বলেছেন: কেন আছন?
গম আছন্নে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া।:)

৭২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: চমৎকার লেখা আপু। নারী দিবসে আমিও একটা লেখা লিখেছি। আমার বল্গে পড়বার আমন্ত্রণ। তোমাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও শুভেচ্ছা আপুনি! আমি এখুনি তোমার লেখাটা পড়বো!:)

৭৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তোমাকে উপদেশ দেয়ার মানুষ বেড়ে গেছে দেখছি !

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৬

শায়মা বলেছেন: বেশি মানুষ বাড়েনি ভাইয়া।

মানুষ ঐ এক দুজনই।

তবে মালটি মালটি করে নিজেরাই মালটি নিয়ে ঝাঁপাই পড়েছে। হা হা হা

সবচেয়ে মজা হলো মালটিরাই এখন মালটিদের খপ্পরে। কি আর বলবো?

৭৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: প্লাস

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপু!:)

৭৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৮

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: মোটামুটিভাবে পড়লাম।খুশি হলাম,অতপর চলে গেলাম-- অচেতন নারীদের জাগার আশায় এবং নারী ঘেষাদের লাথি খাওয়ার দৃশ্য দেখার স্বপ্ন বুকে নিয়ে। আগামীতে সকল পুরুষের যেন প্রধান কাজ হয় মাতৃভক্তি নয়,টিনএজ নারী তোষন----এই কামনায়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এমন কামনা কেনো?

একটু ব্যাখা করবে প্লিজ!

৭৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

জেন রসি বলেছেন: কিছু কমেন্ট দেখে মজা পেলাম। হুমায়ুন আজাদের একটি উক্তি মনে পড়ে যাচ্ছে!

আমি এতো শক্তিমান আগে জানা ছিলো না। আজকাল মিত্র নয়, শত্রুদের সংখ্যা
দেখে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই।


আপনারও আনন্দিত হওয়া উচিৎ। এমন আঘাত করেছেন যে, সব এক দুইদিনের মাল্টি নিয়ে আক্রমন করতে চলে আসছে। এরাই আবার মাল্টি নিয়ে কিছুদিন আগেও খুব সরব ছিলেন। কিন্তু এখন নিজেরাই মাল্টি দিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! এরশাদ সাহেব মনে হয় এই জন্যই বলেছিলেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নাই! ;)

আপনার এক পোস্টে লায়ন নামক এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি যখন আরজুপনি আপুকে আক্রমন করেছিল, আপনি তাকে প্রশ্রয় দেন নাই। এই ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। আরজুপনি আপুর কাছেও অবশ্যই এমন কিছুই আশা করব।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

শায়মা বলেছেন: আমি এতো শক্তিমান আগে জানা ছিলো না। আজকাল মিত্র নয়, শত্রুদের সংখ্যা
দেখে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই।

ঠিক ঠিক
শত্রু না থাকলে কি করে বুঝতাম ....

যেই মালটি নিয়ে এত কিছু। এত ব্লগ উদ্ধার। এখন ঢাক ঢোল নিয়ে দৌড়ায় আসতে সেই মালটিই আনতে হলো! এর চেয়ে হাস্যকর আর কি আছে? :P

৭৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘটনা কি?

আবার সামু ব্লগাোরিয়ার চলছে.... :)

আপনার পোষ্টে ধন্যবাদ। অনেক বিষয়কে চমৎকার নিপুর গাথূনিতে বেঁধেছেন এক সূতায়..

++++++++++++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। তবে সামু ব্লগোরিয়ায় তোমার অবদানও কম না। বিশেষ করে তোমার পোস্টের কনটেন্টগুলি। নিজের সুচিন্তিত মতামত ও ভাবনা যৌক্তিকতার বিশ্লেষনের তোমার পোস্টগুলিও দশজনের একজন।:)

৭৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: এসেছিলাম পোস্টের বিষয় নিয়ে কথা বলতে। কিন্তু দুই সিনিয়র ব্লগের বিষয়টি খারাপ লাগল। তাই এখন কিছু বললাম না।

আমি ন্যায়ের পক্ষে আর অন্যায়ের বিপক্ষে।
জয়তু সামু।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ন্যায় অন্যায় থাকবে এবং তোমার মত কিছু মানুষ অবশ্যই ন্যায়ের পক্ষে থাকবে কিছু থাকবে অন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু ইনডাইরেক্টলি কাউকে দিনের পর দিন অপমান করার চেষ্টা বা মালটি নিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে সেই মালটিনিকদেরকেই এইসব কাজে উৎসাহিত করা এসব দেখেও চুপ করে থাকা যায় হয়তো। কিন্তু চুপ থাকলেও রক্ষা নেই আবার এসে বলা হয় কেনো কথা বলছি না?

কিছু মালটি আছে যাদের দুদিন বয়স যেমন কুয়াশা এবং আমি ৫৬ নং দ্রষ্টব্য কিংবা ধুলো জমা চিঠি ৬৬ নং এরা কি রিয়েল আইডি? আরও আছে কিছু মদদদাতা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ছাগীমা, ছান্তিনিকেতনী এদের কমেন্টগুলিকে কিভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে দুইজন নারী ব্লগার দ্বারা তা যে কেউ দেখলেই বুঝতে কিছু বাকী থাকবে না।

যাইহোক অনেকেরই অনেক কিছু খারাপ লাগলেও ইনডাইরেক্ট বলা হয় যখন চুপ থাকেন তারা কিন্তু ডাইরেক্ট বললেই জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়!

ব্লগের মেইন চালিকা শক্তি লেখনী। এই সব হিংসামী বা বিদ্বেষমূলক আচরণ, মালটি দিয়ে মালটি অভিযান, মালটিদের আজেবাজে কমেন্ট উৎসাহিত করার মাঝে কোনো কৃতিত্ব নেই।

এইসব করে কোনোদিন কিছু হয়নি , কিছু হবেও না হয়তো। তুমি জানোনা হয়তো কিছুদিন আগে আমার পোস্টে পর্ন পিকচার ফ্লাডিং করা হয়েছিলো সেও ছিলো এইসব মহান মালটিদেরই কাজ।

মালটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য যদি ব্লগের লেখনীকে উৎসাহিত করা হয় তবে মালটি দিয়ে এইসব এটাকিং এর উদ্দেশ্য কি জানা নেই আমার। :(

৭৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: প্রতিউত্তর পড়তে এসে আগে পরের মন্তব্যগুলো পড়লাম। খারাপ লাগলো, এরকম কেন হবে। মন্তব্য এবং প্রতিউত্তর দেখে মনে হল, খুন কা বদলা খুন নীতিতে বিশ্বাসি। আরজু পনির প্রতি প্রতিউত্তরটা অপমান জনক মনে হয়েছে। সে এসেছিলো উইশ করতে, আগে যাই ঘটে থাকুক(আমি কিছুই জানিনা)। এর পরবর্তী মন্তব্যগুলোও সেই জন্য এসেছে। শায়মা, (আমি সবাইকে নাম ধরেই ডাকি) আপনি অনেক অনেক ভালো পোস্ট লিখেছেন কিন্তু আরজু পনিকে দেয়া উত্তরে সেটা ম্লান হয়েছে।

দয়া করে ভাববেন না কারো পক্ষ নিচ্ছি। আমি কাউকেই ব্যাক্তিগত ভাবে চিনিনা। শুধু "ঠিক নয়" মনে হয়েছে বলে মতামত জানিয়েছি।

মাল্টি নিকের ব্যাপারটিও খারাপ লেগেছে। নিজের লেখায় লাইক কমেন্ট হিট বাড়ানোর জন্যে? তাইলে কি নিজের লেখার প্রতি আত্ম বিশ্বাস নেই? এটা এক ধরনের অসুস্থতা মনে হয়েছে আমার কাছে। এই লিখাগুলো আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়। যারাই এই কাজ করে তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলা।

মনে কস্ট পেলে আমায় ক্ষমা করবেন শায়মা। আপনার লেখা আমার খুব ভালো লেগেছে বলেই পোস্টে এসেছিলাম। আমি নারীর জয়গান গাই, কিন্তু শর্ষেতেই ভূত দেখলে কস্ট পাই। ভালো থাকুন। অনেক শুভ কামনা।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: আপুনি আমিও তোমার লেখা পড়ছিলাম আর অবাক হচ্ছিলাম। তুমি অনেক স্পস্টবাদী এবং ভালো লেখিকা সে বুঝাই যায়। আমারও খারাপ লেগেছে এমন কেনো হবে? এমন তো হবার কথা ছিলো না।

খুন কা বদলা খুন বলতে কি বুঝিয়েছো জানিনা তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। এর মাঝে মালটিনামা দিয়ে আরজুপনি আপু যখন আমার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করা কিছু মালটিদেরকেই উৎসাহিত শুরু করলো খুব অবাক হয়েছিলাম। আমি সেখানে আলোচনা করতে গেলেও আরজুআপু সেটা মুছে দেয় অথচ সেসব মালটিনিকগুলির বাজে মন্তব্যগুলো রাখেন এবং তাতে এমনভাবে জবাব দেন যে তারাই ঠিক।

এসব ইনডাইরেক্টলি করে উইশ করাটা কি জুতো মেরে গরু দান নয়? আর উইশ করতে এসে উনি কি বললেন উত্তর দেই বা না দেই কারণ উনি বুঝালেন আমি উনার উত্তর দেই না। কিন্তু কেন দেইনা? সেটা কিন্তু বললেন না উনি যে আমার ভালো করে বলা মন্তব্যও মুছে দিয়েছিলেন।

আমি তো মুছে দিতে পারতাম । দেইনি কারণ আমি চেয়েছিলাম উনি উনার ভুল বুঝুক। আমি খুবই ঝামেলা এড়িয়ে চলা মানুষ। কিন্তু ইদানিংকালের গায়ে পড়ে আসা ব্যাপারগুলোতে এড়িয়ে চলা গেলো না । আরজুপনি আপু যে মালটিনামা লিখে মজা নিলেন সেই মালটিদেরকে নিয়েই কি উনি তার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছিলেন না?

একটা জিনিস ভালো দেখলাম কাল সেটা বলার পর আজ তুমি এসেছো। যদিও তোমাকে আমি খুব ভালো করে চিনিনা যা দেখেছি উনাদের সাথেই তবু ( আশা করছি তুমিও তাদের কারো মালটি না)।

জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে সব সময় মুখ বুজে থাকলে চলবে ? বলো এতে কারো কিছু না হোক আরজু আপু অন্তত তার ভুল বুঝতে পারবে যা আমি স্পষ্ট করেই বলতে চেয়েছিলাম।

(মাল্টি নিকের ব্যাপারটিও খারাপ লেগেছে। নিজের লেখায় লাইক কমেন্ট হিট বাড়ানোর জন্যে? তাইলে কি নিজের লেখার প্রতি আত্ম বিশ্বাস নেই? এটা এক ধরনের অসুস্থতা মনে হয়েছে আমার কাছে। এই লিখাগুলো আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়। যারাই এই কাজ করে তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলা। )

এই কথাগুলিও আরজু আপু তার মালটি নামায় বলেছে। তারপর আমি উনার কিছু পোস্টও চেক করে দেখলাম উনি নিজেই যা বলেন তা নিজেই করে এসেছেন। উনার পুরোন পোস্টগুলোতে উনার নিজের মালটির দেওয়া লাইক দেখে যেমন (কাউন্সেলর) অবাক ও হলাম, আবার হালে ঘোষনা দিয়ে মালটি বা নিজের আরেক নিক প্রডিউস করেছেন। এতে কি মহত্ব দেখানো হলো বা উস্কানী দেওয়া হলো আমই জানিনা। তাহলে কি আমাদের কথা আর কাজে এতই তফাৎ? তাহলে কি মালটি বানাতে দিয়ে ব্লগ আমাদের সবাইকেই অসুস্থ করে ফেলেছে?

তাহলে এই অসুস্থ্য চর্চা বন্ধে তো সামুকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।


নারীর জয়গান গাবেন একজন নারী এটা গরবেরই কথা তবে নারী অবমাননা যদি বলেন সেই নারীই করেন যিনি কোনো পুরুষ মালটিকে কোনো নারীর বিরুদ্ধে বাজে কমেন্ট করাকে উৎসাহিত করেন। যেটা আরজুপনি রবিন্দ্রনাথসহ আরও কিছু মালটিকে আমার বিরুদ্ধে করা বাজে কমেন্টকে উৎসাহিত করে করেছেন। আমি কিন্তু লায়নের তার বিরুদ্ধে করা বাজে কমেন্ট উৎসাহিত করিনি বরং মুছে দিয়েছি।

ভালো থেকো আপু আমি জানি অনেক কিছুই অজানা থেকে গেলে যেমনি ভুল বুঝাবুঝি জিয়ে থাকবে তেমনি যারা ভুল করছে তারাও বুঝবেনা।

৮০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

কুয়াশা অথবা আমি বলেছেন: আপনাকে কিছু বলা আর না বলা সমান। আপনি আমার মন্তব্যের বিপরিতে প্রথম যে প্রতি মন্তব্য দিয়েছিলেন তাতে খুশিই হয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আপনি স্বাভাবিক উত্তর দিচ্ছেন। কিন্তু এরপর এসে আরও দুইটি প্রতি মন্তব্য দিলেন ক্ষেপে গিয়ে। যদিও এত বেশি কথা বলার মানেই আপনার সাথে নেই।

ব্লগার আরজুপনি নিশ্চই আপনার মন্তব্য গুলি দেখেছেন বা দেখে থাকবেন। উনার বিরুদ্ধে আপনার যা অভিযোগ সেটা উনিই খন্ডাতে পারবেন ভালো। কিন্তু মাল্টিনামা পোস্ট উনি আপনাকে উদ্দেশ্য করেই দিয়েছেন এটা আপনার অনুমান মাত্র। উনি আপনার নাম ধরে কিছুই বলেননি সে পোস্টে। মন্তব্য উনি মুছে দিয়ে থাকলে সেটা উনি নিশ্চই জেনে থাকবেন কি কি মুছেছেন, কেন মুছেছেন আর কার কার মন্তব্য মুছেছেন। আমার আসলে মনে পরছেনা ওখানে কোন মাল্টি নিকের মন্তব্য উনি সক্রিয়ভাবে রেখে দিয়েছেন। আর এই মাল্টিনামা পোস্ট আর কারো গায়ে লাগলোনা অথচ আপনার গায়েই এত লাগলো কেন সেটা ভাবতেই হচ্ছে। তাহলে তো মনে হচ্ছে আসলেই আঙুর ফল টক। আর আপনি যেভাবে বলছেন উনি যেসব উস্কানিমুলক মন্তব্য মাল্টিদের সাথে বিনিময় করেছেন তাতে পরিবেশ খারাপ হয়েছে। কিন্তু আপনিও কি খুচিয়ে খুচিয়ে আঙুর ফল টক নাকি মিষ্টি এসব নিয়ে আপনার সঙ্গিদের সাথে তাদের পোস্টে কমেন্ট করে মজা নেননি? আপনি কার পোস্টে গিয়ে ফ্লাডিং করবেন, কার এখানে একটার জায়গায় দশটা মন্তব্য করবেন অথবা মজা নিবেন পুরোটাই আপনার ব্যাপার। কিন্তু ব্লগার আরজুপনির দিকে আঙ্গুল তোলার আগে নিজের অতীত আর বর্তমান কাজগুলো রিভিউ করে নেবেন।

আমার নিকের বয়স দুই বছর না হয়ে দুই দিন বা তিন দিন বলে যে কটাক্ষ করলেন কিন্তু দইজ্জার তুয়ান নিকের বয়স কত ভাই শায়মা? তার সাথে হাসিমুখে মন্তব্য বিনিময়ে সমস্যা হচ্ছে না আপনার বা সেই নিকের বয়সের দিকে খেয়াল নেই তাইনা? কার সাথে আপনি হাসিমুখে কথা বলবেন সেটাও আপনার ব্যাক্তিগত বিষয় তবে যে অভিযোগ আরেক জনকে করবেন সে কাজ আপনি আপনার পরিচিত মাল্টিদের সাথে করার সময়ও ন্যায় অন্যায় ভেবে নেবেন।

আপনি নিজেই আপনার ট্রেড মার্ক এড্রেসিং করা ভাইয়ুমনি ভাইয়ুমনি, আপুনি আপুনি করে অন্যকে বিরক্ত করবেন কি করবেন না সেটাও আপনার বিষয় কিন্তু অন দুই একজন ব্লগার আছে যাদের ট্যালেন্ট আছে তাদেরকেও সাথে নিয়ে তাদের ব্লগিং ক্যারিয়ারটাকে স্পয়েল্ড করার আগে ভাববেন। তারা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আপনার সব কাজে সমর্থন দিয়ে নিজেদের চেহারাটাও খারাপ করছে। তাদের উদ্দেশ্য যদি হয় আপনার গুনগান করা ব্লগিং বাদ দিয়ে তাহলে কারো কিছু বলার থাকে না এখানে। কিন্তু রিসেন্ট মন্তব্যের ঘরে আপনাদের ছড়িতা ছড়িতা খেলার ছলে করা উস্কানি মন্তব্যগুলো ব্লগের অনেক ব্লগারের জন্য বিরক্তিকরও।

আপনাকে আক্রমন করতে আসিনি। যাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন উনি মাল্টি পাঠিয়ে আপনাকে আক্রমন করতে এসেছে সেটাও ভুল ধারনা। কার এত বুকের পাটা আপনাকে আক্রমন করবে। আপনি হলেন ব্লগের সেরা ব্লগার যে কোন পোস্ট দেয়ার আগেই টার্গেট নিয়ে থাকেন স্টিকি হবে আপনার লেখা। আপনার তো অনেক গুন। গান,নাচ জানেন, ভালো লিখতে জানেন। কিন্তু হিট সিকিং মানসিকতা দিয়ে ব্লগে কতটা কি পাবেন জানিনা ভাই কিন্তু এটুকু বুঝি মানুশের কাছে সম্মানটা হারাচ্ছেন। নিজেকেই নিজে সেরা বলে আপনার পোস্টের শুরুতেই স্পর্শিয়া নিককে উচুতে রেখে দিয়েছেন অথচ এটা আপনারই মাল্টি। কি করবেন সেটাও আপনার ব্যাপার। অন্যকে মাল্টি নিয়ে কথা বলার আগে কয়েকবার ভেবে নেবেন একই সমস্যা আপনার মাঝেও আছে কিনা।

আপনার বয়স আর ব্লগিয় বয়স অনুযায়ি আপনার মাঝে এত ন্যাকামি ভাব আসলে যায় না। সব জায়গায় আপনি আপনার ভক্ত, গুনমুগ্ধ খুজেন সেটাও হাস্যকর। ভার্চুয়াল প্রশংসা আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে কতটা উন্নত করবে আর কতটা ক্ষতি করবে আপনার সৃষ্টিশীলতাকে সেটা পুরোটাই ভোগ বা উপভোগ করবেন আপনি।

নান্দনিক নন্দিনী নামক এক ব্লগার যিনি আপনার আর আপনার সঙ্গিদের ব্লগিং নিয়ে কিছু কথা বলাতে আপনারা তাকে আক্রমন করেছেন, তাকে নিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। অথচ আপনাদের সম্পর্কে উনি যা বলেছেন সেটা সঠিক ছিল। সত্যি কিছু বলা মানে আপনার এবং আপনাদের কাছে উস্কানি, ব্যক্তি আক্রমন। নিজেদের গায়ে কতটা ময়লা সেটা নিয়ে আপনারা সচেতন না বরং আরেকজনের ঘারে দোষ চাপানোটাই আপনারা ক্রেডিট মনে করেন।

জিবনের পুরোটাই ভাই ছলাকলা দিয়ে চলবেনা। আমার কথা গুলো পরে রাগ না করে মন দিয়ে নিজেই নিজের সাথে আলোচনা করে দেখবেন। ভালো থাকবেন এই কামনা করি যদিও আপনার সেটা দরকার নাই কারণ আপনার জীবনধারণ পদ্ধতি,আপ্নার আনন্দ আর ইচ্ছা সব আপনার কাছেই সেটা ভুল হোক বা শুদ্ধ হোক।

নারী দিবস নিয়ে লেখা কথা গুলো শুধু লেখার জন্য না ভাই, মনের মধ্যেও ধারণ করবেন। আপনার মানসিক আর শারীরিক সুস্থতা কামনায় বিদায়। এতে আপনি যতই আপনার মাল্টি আনান, কমেন্ট করেন, মন্তব্য আর পোস্টে যতই লাইক দেননা কেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

শায়মা বলেছেন: আবারও মালটি আনলেন?

হা হা হা


কথাগুলি কিন্তু মালটির পিছের মানুষের কমেন্ট ও পোস্টির সাথে মিলগুলি এড়াতে পারলেন না। যাইহোক আমি আসছি আবারও আপনাকে জবাব দিতে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

শায়মা বলেছেন: হাসি পাচ্ছে কত কষ্ট আর সময়ই না ব্যায় করছেন এই হিংসা বিদ্বেষমূলক কর্মকান্ড জিইয়ে রাখতে। :P

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

শায়মা বলেছেন:

প্রথমত আমার ক্ষেপা ক্ষেপি খুঁজতে গিয়ে নিজেই ক্ষেপা পাগল হয়ে গেলেন। হা হা হা মালটিদের বিশেষ করে যেই মালটিগুলির ব্লগে কোনো লেখা নেই পোস্ট নেই , যাদের মালটিগুলি খোলাই হয় কেচাল মন্তব্য দেবার জন্য তারা এভাবেই খেপেন। :P ঠিক আপনি যা করছেন। মালটি কিন্তু ব্লগে সুযোগ দেওয়া হয় লেখার জন্য আপনার মত কেচাল উসকানী দেবার জন্য নয়।


(ব্লগার আরজুপনি নিশ্চই আপনার মন্তব্য গুলি দেখেছেন বা দেখে থাকবেন। উনার বিরুদ্ধে আপনার যা অভিযোগ সেটা উনিই খন্ডাতে পারবেন ভালো।)

আসলে উনি না এসে আপনার বার বার আসাটা খুব বোকামী হচ্ছে । আপনার মালটিকে আমি চিনিনা কাজেই আপনি এখন গালি দিয়ে গেলেও আপনার মান সন্মানের কিছু যাবে আসবেনা কারণ আপনি ধরেই নেবেন আপনাকে তো কেউ চিনলো না। কিন্তু নিজের কাছে আপনি কি হেরে গেলেন না? বা বোকা হলেন না?


(কিন্তু মাল্টিনামা পোস্ট উনি আপনাকে উদ্দেশ্য করেই দিয়েছেন এটা আপনার অনুমান মাত্র। উনি আপনার নাম ধরে কিছুই বলেননি সে পোস্টে। মন্তব্য উনি মুছে দিয়ে থাকলে সেটা উনি নিশ্চই জেনে থাকবেন কি কি মুছেছেন, কেন মুছেছেন আর কার কার মন্তব্য মুছেছেন। )

উনি আমাকে নিয়ে লিখেছেন কিনা তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা ছিলো আর আপনি তাকে নিয়ে যখন মালটি দিয়ে মাথা ব্যাথা দেখতে এলেন তখনও আমার কিছু অনুমান এসেই যাচ্ছে। আর উনি মুছেছেন কি মুছেন নি না জেনে আপনি মালটি কোথা থেকে আসলেন আপা?


( আমার আসলে মনে পরছেনা ওখানে কোন মাল্টি নিকের মন্তব্য উনি সক্রিয়ভাবে রেখে দিয়েছেন। )

আপনার তো মনে পড়বেই না। আপনার মনে না পড়াটাই উত্তম।:)

(আর এই মাল্টিনামা পোস্ট আর কারো গায়ে লাগলোনা অথচ আপনার গায়েই এত লাগলো কেন সেটা ভাবতেই হচ্ছে।)

আসলেই আপনি যদি জানতেন এইভাবে ধরা খাবেন তাইলে কি আর এখন ভাবতেন? আগেই ভাবতেন। আপনি ভেবেছিলেন আমার ব্লগ পপুলারিটি হারানোর ভয়ে আমি চুপ থাকবো। ভুল একেবারেই ভুল আপা। :)


(তাহলে তো মনে হচ্ছে আসলেই আঙুর ফল টক।)

হা হা হা এটাও তো সেই পোস্টেরই চর্বিত চর্বন আপা। দয়া করে একটু শান্ত হয়ে নতুন কিছু ভোকাবুলারী শিখে আসুন। একি কথা রিপিটেশন হয়ে যাচ্ছে ঐ পোস্টের মত।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

শায়মা বলেছেন: (আর আপনি যেভাবে বলছেন উনি যেসব উস্কানিমুলক মন্তব্য মাল্টিদের সাথে বিনিময় করেছেন তাতে পরিবেশ খারাপ হয়েছে। কিন্তু আপনিও কি খুচিয়ে খুচিয়ে আঙুর ফল টক নাকি মিষ্টি এসব নিয়ে আপনার সঙ্গিদের সাথে তাদের পোস্টে কমেন্ট করে মজা নেননি? আপনি কার পোস্টে গিয়ে ফ্লাডিং করবেন, কার এখানে একটার জায়গায় দশটা মন্তব্য করবেন অথবা মজা নিবেন পুরোটাই আপনার ব্যাপার। কিন্তু ব্লগার আরজুপনির দিকে আঙ্গুল তোলার আগে নিজের অতীত আর বর্তমান কাজগুলো রিভিউ করে নেবেন। )

এইবার আপনার রাগান্বিত কথাগুলির পয়েন্টে আসি। আপনি আমার যুক্তিগুলো এড়িয়ে গেছেন। কারণ আপনি ঠিক করে রেখেছেন আপনি এক চক্ষু বন্ধ করে রাখবেন। আর তাই আরজুআপু যখন আমাকে মালটিগুলি দিয়ে বাজে কথা বলা তার পোস্টে মালটিগুলিকে রাখলেন এবং উনি তা প্রশ্রয় দিলেন তখন আপনিও দেখেছেন তবে চুপ থেকেছেন এক চোখ বুজে। কারণ আপনি ঠিক করেছেন এক চোখ বুজে থাকবেন। কাজেই আপনাকে উত্তর দিয়ে সময় নষ্ট করাটা আমারও সময় নষ্ট মনে হয় তবুও আমি আপনার মন্তব্য মুছে দেইনি। কারণ ব্লগারদের চিন্তাভাবনার প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ আমার সব সময় ছিলো এবং আছে আর তাই আমি সব সময় কারো মনে আঘাত না দিয়েই কথা বলার চেষ্টা করেছি আমার সারাটা ব্লগিং লাইফে। তাই বলে নারী হিসাবে একজন নারীরই উসকানী বা অবমাননা আমি চুপ করে মেনে নেবো তা তো হয়না।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: আমার নিকের বয়স দুই বছর না হয়ে দুই দিন বা তিন দিন বলে যে কটাক্ষ করলেন কিন্তু দইজ্জার তুয়ান নিকের বয়স কত ভাই শায়মা? তার সাথে হাসিমুখে মন্তব্য বিনিময়ে সমস্যা হচ্ছে না আপনার বা সেই নিকের বয়সের দিকে খেয়াল নেই তাইনা? কার সাথে আপনি হাসিমুখে কথা বলবেন সেটাও আপনার ব্যাক্তিগত বিষয় তবে যে অভিযোগ আরেক জনকে করবেন সে কাজ আপনি আপনার পরিচিত মাল্টিদের সাথে করার সময়ও ন্যায় অন্যায় ভেবে নেবেন।

দইজ্জার তুয়ানও কি তাহলে আপনাদের পাঠানো মাল্টিই ছিলো নাকি ! :P বুঝিনি আসলে মালটি নিয়ে যেহেতু আমি লেখালিখির চর্চাই করেছি কাজেই কে মালটি কে বালটি এসব নিয়ে মালটিনামা লিখে ফেলার কথাও মাথায় আসেনি বরং মালটিদের কেচালবাজি বা হিংসাত্বক কমেন্টগুলি দেখে মজাই পেয়েছি। যেমন রবিন্দ্রনাথ, ছাগীমা, ছান্তি নিকেতন বাউন্টি ধুলো চিঠি। :P

তবে আপনি যে দইজ্জার তুফানের কথা বললেন সে কি কাউকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিলো রবিন্দ্রনাথের মত? যা আরজুপনির পোস্টে রবিন্দ্রনাথ করেছে?
আপনার রাগটা কি মালটির পিছে নাকি মালটি দিয়ে ভালো লেখাগুলির পিছে নাকি কেচালবাজি কমেন্ট প্রমোটিং এর পিছে? বুঝতে পারছি না। :(

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: (আপনি নিজেই আপনার ট্রেড মার্ক এড্রেসিং করা ভাইয়ুমনি ভাইয়ুমনি, আপুনি আপুনি করে অন্যকে বিরক্ত করবেন কি করবেন না সেটাও আপনার বিষয় কিন্তু অন দুই একজন ব্লগার আছে যাদের ট্যালেন্ট আছে তাদেরকেও সাথে নিয়ে তাদের ব্লগিং ক্যারিয়ারটাকে স্পয়েল্ড করার আগে ভাববেন।


হা হা হা আসলেই আমার ব্যাপারে কেনো যে এত মাথা ঘামাও তোমরা বুঝিনা। :P

আর ট্যালেন্ট কি শুধু দুই একজনের আছে এখানে!:( এইটা কি বললেন!!!!!! ছি ছি এ দেখছি পুরাই বোকামী করলেন এইখানে হাজার হাজার ট্যালেন্ট আছেন

তবে আমার লাস্ট ইয়ারে পাওয়া সেরা তিনজন ট্যালেন্ট
শতদ্রু, জেন রসি ভাইয়া আর রিকিমনির মত ট্যালেন্টের বারোটা তেরোটা চোদ্দটাও কেউ বাজাতে পারবেনা । আসলে দেখেন কেউ কারো কেরিয়ার নষ্ট করতে পারেনা। আপনি কি ভাবছেন এই সব লিখে আপনিও তা পারবেন? :(

(তারা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আপনার সব কাজে সমর্থন দিয়ে নিজেদের চেহারাটাও খারাপ করছে। তাদের উদ্দেশ্য যদি হয় আপনার গুনগান করা ব্লগিং বাদ দিয়ে তাহলে কারো কিছু বলার থাকে না এখানে।)

কারা তারা বলবেন কি একটু? আপনি তো মালটিতে আছেন ভয় কি বলে ফেলেন কেউ তো চিনবেনা আমি চিনলেও বলবো না কাউকেই। এতক্ষনে বুঝলাম আপনার অন্তর্দাহটা কোথায়! আমার গুনগান!:( কি করবো বলেন সেসব তাহলে তাদেরকেই বলেন যেন তারা আমার কোনো গুন গান না করেন। আমাকে কেনো বলছেন? নিজের গুন গান করতে তাদেরকে আমি নিজেই নিষেধ করে দেবো তাই কি চাচ্ছেন?

তবে আমার মনে হয়না গুনীরা কখনও কারো কথায় গুনাবলী ভুলে যান। যেমন গত বছরের সেরা তিন আমার চোখে ব্লগারেরা যে যেখানে থাকবে সেরাই হবে সে আমার গুন গান করুক আর না করুক!:) কেউ তাদেরকে দমাতে পারবেনা । :)


(কিন্তু রিসেন্ট মন্তব্যের ঘরে আপনাদের ছড়িতা ছড়িতা খেলার ছলে করা উস্কানি মন্তব্যগুলো ব্লগের অনেক ব্লগারের জন্য বিরক্তিকরও।)

তাই নাকি? নানা এই ছড়িতা কবিতা খেলা আমার আনন্দ! সেসবে যদি রফিকভাইয়া, খলিলভাইয়া বা কি করি ভাইয়া নিজেরা না আপত্তি করেন তো আমার খেলা চলবেই। কেউ আমাকে স্টপ করাতে পারবেনা কারণ সামুতে এমন কোনো নীতি নাই আমি ভাইয়ু বলতে পারবোনা। আমি ছড়া ছড়া লিখতে পারবোনা আমি কাউকে বন্ধু ভাবতে পারবোনা আমার গুন গান কেউ করতে পারবেনা ।:)

এসব বলবেন না আর বোকাদের মত। আপনি বিরক্ত হয়েছেন বলেছেন এখন আমি বলি রিসেন্ট ঘরে বার বার আমার নামটা এসেই গেলে আপনি চোখ বুঝে থাকবেন ওকে? :) তাহলেও আর কষ্ট পাবেন না।:)

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২০

শায়মা বলেছেন: আপনাকে আক্রমন করতে আসিনি। যাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন উনি মাল্টি পাঠিয়ে আপনাকে আক্রমন করতে এসেছে সেটাও ভুল ধারনা। কার এত বুকের পাটা আপনাকে আক্রমন করবে।

হা হা তাই নাকি? সত্যিই হাসছি! অনেক হাসছি! :P


আপনি হলেন ব্লগের সেরা ব্লগার যে কোন পোস্ট দেয়ার আগেই টার্গেট নিয়ে থাকেন স্টিকি হবে আপনার লেখা।

(তাই নাকি!!!!!! তবে এই নিকে না আপা। এটা আমার বিনোদন গুড টাইম পাস নিক।:( )

আপনার তো অনেক গুন। গান,নাচ জানেন, ভালো লিখতে জানেন। কিন্তু হিট সিকিং মানসিকতা দিয়ে ব্লগে কতটা কি পাবেন জানিনা ভাই কিন্তু এটুকু বুঝি মানুশের কাছে সম্মানটা হারাচ্ছেন।

(দেখলেন তো ! অনেকটাি পেয়েছি বলে কি আপনার মনে হচ্ছে না? আপনার কি ধারণা আমাকে টার্গেট করে হিংসা করে পোস্ট দিয়ে আমাকেই হিট করা হচ্ছে না? :P এটা অবশ্য বোকাদের মত! আর ভালোবাসা সে অনেক পেয়েছি তার তুলনায় দু একজন মালটির ঘেন্না কিছুই না আপুনি:))


(নিজেকেই নিজে সেরা বলে আপনার পোস্টের শুরুতেই স্পর্শিয়া নিককে উচুতে রেখে দিয়েছেন অথচ এটা আপনারই মাল্টি। কি করবেন সেটাও আপনার ব্যাপার। অন্যকে মাল্টি নিয়ে কথা বলার আগে কয়েকবার ভেবে নেবেন একই সমস্যা আপনার মাঝেও আছে কিনা। )

আহারে আবারও সেই স্টিকি পোস্টের মালটির দুঃখ, আবারও স্পর্শিয়ার দুঃখ করলেন। আগেও বলেছি এখনও বলছি সেটা ছিলো আমার একজন প্রিয় বন্ধুর জন্য লেখা। আর তার কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতেই এবং সার্বিক পাঠকদের মতামত থেকেই সেই নিকটাকে উঁচুতে রাখা। তবে আমি কোন নিকে লিখবো এবং কি লিখবো কি করবো তার কৈফিয়ৎ আপনার মত মালটিকে দিতে হবে নাকি!!!
আর ভুল বললেন মালটি নিয়ে আমি লাফাইনি। লাফিয়েছেন আপনি। আমি মালটি দিয়ে কাউকে আক্রমন করিনি, কোথাও বাজে পোস্ট কমেন্ট করিনি। আমি আমার মত লিখেছি শুধু আমার নিকের আড়ালটা প্রকাশ করেছি কিছু পরে তাতে এত কষ্ট বেড়ে গেলো? আমি মালটি বানিয়েছি সামুর কোনো রুল না ভেঙ্গে আমি মালটি দিয়ে লিখেছি আমার মত করেই তাতে এত কষ্ট পাচ্ছেন কেনো?

আপনিও এইসব না করে লিখুন না স্পর্শিয়ার মত। এই পোস্টির মত । সময়ের অপচয় এভাবে অন্যের পিছে না করে বরং নিজেরই কিছু ভালো চর্চা হোক।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

শায়মা বলেছেন: আপনার বয়স আর ব্লগিয় বয়স অনুযায়ি আপনার মাঝে এত ন্যাকামি ভাব আসলে যায় না।


আমার বয়স কত? আপনি কি সত্যই জানেন? যদি বলি ১২ সেটাই মানতে হবে যদি বলি ৫০ সেটাও মানতে হবে? আপনি কি আমাকে চিনেন? তায় আপনি আমার মালটি নাম্বার ওয়ান। তবুও জ্ঞান দিতে এসেছেন তাও আবার মালটি দিয়ে। হা হা হা


সব জায়গায় আপনি আপনার ভক্ত, গুনমুগ্ধ খুজেন সেটাও হাস্যকর। ভার্চুয়াল প্রশংসা আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে কতটা উন্নত করবে আর কতটা ক্ষতি করবে আপনার সৃষ্টিশীলতাকে সেটা পুরোটাই ভোগ বা উপভোগ করবেন আপনি।

আহালে এইবাল তত্যিই কত্ত লাগছে। আমি ছাড়া কি আপনি করবেন নাকি! কি আশ্চর্য্য। কি সব মাথা মুন্ডুহীন কথা বলেন আপনি!


নান্দনিক নন্দিনী নামক এক ব্লগার যিনি আপনার আর আপনার সঙ্গিদের ব্লগিং নিয়ে কিছু কথা বলাতে আপনারা তাকে আক্রমন করেছেন, তাকে নিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। অথচ আপনাদের সম্পর্কে উনি যা বলেছেন সেটা সঠিক ছিল। সত্যি কিছু বলা মানে আপনার এবং আপনাদের কাছে উস্কানি, ব্যক্তি আক্রমন। নিজেদের গায়ে কতটা ময়লা সেটা নিয়ে আপনারা সচেতন না বরং আরেকজনের ঘারে দোষ চাপানোটাই আপনারা ক্রেডিট মনে করেন।

ওহ একটু আগে না বললেন আরজুপনি আমাকে ইঙ্গিত করে পোস্টে বলেছেন সেটা আমার অনুমান। এখন আপনি এমন অনুমান নন্দিনীর পোস্ট নিয়ে কেমনে করলেন আপা!!!! সে কি আমার নাম বলেছিলো! নাহ আগেই জানতাম আপনার বক্তব্য কখনও পরিষ্কার হয় না। এখন আবার আমি থেকে আমাদের আপনি থেকে আপনাদেরও ! হা হা হা কিছু আগে আপনাদের আরেক মালটি বাউন্টি হান্টাররে পোস্টে দেখলাম জুন আপু থেকে হামা সচলয়াতন আরও কি কি টানতে। আপনি আবার কাকে কাকে টানতে চাচ্ছেন? কই নন্দিনী তো কিছু বলেননি আপনি আপনার দল ভারী করছেন কেনো? ঠিক ঠিক এমন কিছু সত্যি মন গড়া নিজেদের হিংসামী আমার কমেন্ট পোস্ট কেনো বার বার রিসেন্ট তালিকায় যাবে আমার গুনমুগ্ধ কেনো থাকবে আমার কেনো বন্ধুদের সাথে ইন্টারেকশন হবে এসব তো বড়ই সত্য ভাষন আপনার কাছে আর আমার কাছে উসকানী! ভালোই ক্রেডির দিচ্ছেন নিজেকেই একখানা মালটি নিয়ে। হা হা হা ।


জিবনের পুরোটাই ভাই ছলাকলা দিয়ে চলবেনা। আমার কথা গুলো পরে রাগ না করে মন দিয়ে নিজেই নিজের সাথে আলোচনা করে দেখবেন। ভালো থাকবেন এই কামনা করি যদিও আপনার সেটা দরকার নাই কারণ আপনার জীবনধারণ পদ্ধতি,আপ্নার আনন্দ আর ইচ্ছা সব আপনার কাছেই সেটা ভুল হোক বা শুদ্ধ হোক।


তাই নাকি আপা! :( খুব ভয় পেলাম আর আপনার উপদেশ মনে রাখবো । নো মোর ছলাকলা! এরপর থেক কেউ যদি আমার সাথে ছলাকলা দেখতে আসে সোজা আপনার কাছে পাঠায় দেবো। :(

নারী দিবস নিয়ে লেখা কথা গুলো শুধু লেখার জন্য না ভাই, মনের মধ্যেও ধারণ করবেন। আপনার মানসিক আর শারীরিক সুস্থতা কামনায় বিদায়। এতে আপনি যতই আপনার মাল্টি আনান, কমেন্ট করেন, মন্তব্য আর পোস্টে যতই লাইক দেননা কেন।

বার বার আমার মানষিক শাররিক সুস্থ্যতার কামনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এট লিস্ট ব্যাপারটা আপনার মাথায় ঘুরে কারন আপনি নিজেই হয়তো মানষিক অসুস্থ্য হিংসা বিদ্বেষ এবং নিজের অপরগতায় ভুগছেন এক চোখ বন্ধ করে। আপনার মালটি জীবনের শুভকামনা আগেও করেছি এবার কামনা করি আপনি ভালো কিছু মালটি দিয়ে লিখতেও শিখুন। শুধু এই হিংসা বিদ্বেষ মূলক কমেন্ট দিলে আর যাকেই এখন মজা দিন না কেনো নিজের কোনো গুরুত্বই পাবেন না ! :(

৮১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লেগেছে। বেশ তথ্য বহুল ও গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা। ‘এই’ বিষয়টা আরো অনেক বিষয়ের মতো মানুষ মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারে না, এজন্যই এতো এতো সমস্য।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এতক্ষন অপ্রাসঙ্গিক একটি কমেন্টের জের ধরে এক গাঁদা লেকচারের পর একটি সস্তিদায়ক কমেন্ট পাওয়া গেলো।:)

তাই তোমাকে থ্যাংকস!

এবারের ‘নারীপক্ষ’ দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে ‘উৎসবে পার্বণে, নারী থাকবে সবখানে’।

এই বিষয়টি আমার দারুন ভালো লেগেছে। আসলে উৎসব পার্বন মানেই তো নারী! নারী ছাড়া কি কোনো উৎসব পার্বন হয় বলো? ঈদ বলো, পূজো বলো বাড়ির পূরুষ থেকে শুরু করে সকলেই নারীকেই সাজাতে ব্যাস্ত হয়ে ওঠেন। নারীদের ছাড়া কোনো উৎসবের একটা কর্মকান্ডও সম্ভব না।
বাড়ির বিয়ে গায়ে হলুদ বা ধর্মীয় যে কোনো অনুষ্ঠান সে ঈদের সেমাই বা সন্ধ্যার উলুধ্বনী কোথায় নেই নারী? শুধু চাই একটু পুরুষের সাথেই কাঁধ মিলিয়ে পরিবারের বিষয়গুলোতে মতামত দানের গুরুত্বপূর্ন অধিকারটি। আজও অনেক পরিবারেই আছে পুরুষের পাশাপাশি নারীর মতামতের সমমূল্য কিন্তু আজও আমাদের দেশের কিছু পরিবারে নারী মতামতের কোনো মূল্যই হয়তো দেওয়া হয়না। এমনকি তাদের পরণের কাপড়টির জন্য বা উৎসবের খাদ্যের আইটেমটির জন্যও বাড়ির পুরুষের মতামতের দায়িত্ব নিতে হয়।

সেসব ক্ষেত্রে নারী অধিকার পাক তার সুষ্ঠ মতামত দানের। বাড়ির সকলের সহযোগীতায় ও সমাজের সকলের ভালোবাসায় নারী পাক একটি সুন্দর সুখী জীবন।:)

৮২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: এই পোস্টে মহত্বটাই নষ্ট হয়ে যাবার জোগাড়।

দয়াকরে এবার থামুন শায়মা। শুধু শুধু সময়ের অপচয় করছেন। পোস্টের বিষয়ে কেউ কথা বললে উত্তর করুন না হলে এড়িয়ে যান। সব মন্তব্যের উত্তর করতে হবে এমন কোন কথা নেই।

পোস্টের বিষয়ে থাকেন সবাই।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

শায়মা বলেছেন: একদম ১০০% ঠিক বলেছো ভাইয়া।

আসলেই এই পোস্ট দেখার পর থেকেই শুরু হয়েছে অন্তর্দহন!

এই কারণেই আমি এই নিক থেকে এমন কিছু লিখি না।
জানি এই নিকে লিখলেই শুরু হয়ে যাবে মনো কষ্ট! :(

আমি তোমার কথা শুনছি মানে পোস্টের বাইরে কিছু বললে সোজা খাঁচায় পুরে দেবো! :P

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য উৎসবে পার্বনে নারী। নারী ছাড়া কি কোনো উৎসব পার্বন হয়? বিপনী বিতান হতে শুরু করে বাড়ির নানা খাদ্য আইটেম সাজসজ্জায় তো নারীকে প্রয়োজন তাহলে কোথায় রয়েছে নারীর ঘাটতিটুকু?

তোমার মতামত বলবে?

৮৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

বিজন রয় বলেছেন: তাহলে কোথায় রয়েছে নারীর ঘাটতিটুকু? এই বিষয়ে আমার মতামত জানতে চেয়েছেন।
বেশি কথায় যাবো না। ছোট্ট করে বলছি.........

নারীর গর্ভ আছে বলেই আমরা পুরুষরা জন্ম নিতে পারি, নারী আছে বলেই আমরা পুরুষরা এই সুন্দর পৃথিবীর মুখ দেখতে পারি। যে পুরুরা নারীদেরকে সবসময় দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে সেই পুরুষদের জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো নারীদের পেট হয়ে তাদের জন্মাতে হয়, পৃথিবীর মুখ দেখতে হয়।

তাই বলতে পারি, কোথাও ঘাটতি থাকলে পুরুষদের আছে, কারণ তারা নিজেদের শরীরে সন্তান ধারন করতে পারে না, আর নারীদের কোন ঘাটতি নেই, নারীরা সম্পূর্ণা।

আপনি নারী। আপনি ভাগ্যবতী। আপনি সুখি হন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

শায়মা বলেছেন: তোমার কমেন্টে মুগ্ধ হলাম ভাইয়া।
শাররীক বৈষম্যের মাঝেও যে নারী অসহায়ত্বতার কথা আছে তার মাঝেও এই মাতৃত্বের গরবে গরবীনী নারী।
তবে উৎসবে, পার্বনে নারীদের সম মতামত ও নিরাপত্তা । বিশেষ করে বাড়ির বাইরে সে নিরাপত্তা সে আশ্বাস সমাজকেই দিতে হবে।
তাই না???
নইলে তো সব উৎসব পার্বনে গৃহ বন্দী হয়েই নারীকে থাকতে হবে!:(

৮৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

বিজন রয় বলেছেন: অফট.........
গতকাল থেকে এই পোস্টে অনেকের মন্তব্যের জন্য আপনার নিশ্চয়ই অনেক মানসিক অশান্তি হয়েছে। এখন ওসব ভুলে যান। কেউ যদি আপনার কোন কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন তো পারলে দুঃখপ্রকাশ করে নিয়েন, তাতে আপনার শারীরিক, মানসিক, অার্থিক কোন ক্ষতি হবে না। এতে আপনার সন্মান কমবে না বরং বাড়বে, আপনি সুখ পাবেন, শান্তি পাবেন।

যাদের সাথে হয়তো কোনকালে মুখ দেখাদেখি হবে না তাদের সাথে তর্ক করে কোন লাভ আছে বলে আমি মনে করি না। তাই ওসব বাদ দেন। সামনের দিকে তাকান। ভবিষ্যতে এই নিক থেকেই যাবতীয় পোস্ট দিবেন বলে আশারাখি।

ভাল থাকেন, শুভব্লগিং।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

শায়মা বলেছেন: না মানষিক অশান্তি হয়নি। বরং এতদিন যা হচ্ছিলো ইনডাইরেক্টলি, আমি চাচ্ছিলাম তা স্পষ্টভাবে আলোচনা করে যার ভুলই হোক না কেনো অবসান হোক। এবং এটা চক্ষু লজ্জা কাটিয়ে আমি আপুকে বলতে পেরে ভালো বোধ করছি।

আমি আরজুপনিকে স্পস্ট করে উত্তর দিয়েছি কেনো আমি তার আগের কমেন্টগুলোর উত্তর দেইনি। এতে তো অভদ্রভাবে আমি কিছু বলিনি ভাইয়া। আমি শুধু বলেছি আমার দেখা মতে আপু নতুন কিছু মালটির সাথে আমার নামে ইনডাইরেক্টলি করা মন্তব্য গুলোতে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। যা দেখে আমি কষ্ট পেয়েছিলাম বটে তবুও কিছুই বলতাম না বরং তার ব্লগে আমি যখন ভদ্রভাষায় তার মালটিনামায় আলোচনা করতে যাই আপু সেটা মুছে দেন। কেনো মুছেছিলেন জানিনা তখন আমার মনে হয়েছে সেটাও উস্কানী পোস্টখানার মতই আরও একটি উসকানী কাজ।

আপনি যদি বলেন আপু আমার কথায় কষ্ট পেয়েছে তাহলে আমি বলবো আমি তার কথায় ও কাজে তার আগেই কষ্ট পেয়েছিলাম।
তখন কেউ আসেনি। এখনও না । এমনকি এইসব ঘটনা সবাই চোখ বুজেই থাকে । কখনও কেউ আসেনা একমাত্র তার নিজের মাল্টিগুলি বা কিছু কেচাল পছন্দকারী নিক তাও মালটির আড়ালে।

যাইহোক আপু অনেক খানেই বলেন কিছু অপছন্দ হলে তাকে সরাসরি বলতে। এমনকি এমন অনেকেই বলেন সরাসরি বলতে। কিন্তু সারাসরি বললেই তখন শুরু হয় এই সব কাজ! অথচ সরাসরি বলাটাতে আমি কি অভদ্রতা করেছি ভাইয়া বলতে পারো?
আমি শুধু তাকে এটাই বলেছি আমার টার এই কাজগুলোকে উসকানী মনে হয়েছে এবং আমার কমেন্ট মুছে দেবার পর উনি যখন আমার পোস্টে কমেন্ট করেছেন আমি তার জবাব দেইনি। আমি তো তারই মত তার কমেন্টও মুছে দিতে পারতাম তাইনা?

দেইনি। কারণ আমি চাচ্ছিলাম না এসব বাজে পরিস্থিতি হোক তার বদলে আমি উনার সাথেই এই পোস্টে সরাসরি বলি কারণগুলো। এখন এটা বলার পরেও সেই একই কাঁদুনি গাইছেন কুয়াশা এবং আমি যে কিনা একখন সাক্ষাৎ মালটি।

আরও আসছেন দুইজন = এক ধুলো জমা চিঠি যে কিনা বাউন্টি হান্টারের পোস্টে পুরাই মাতলামী মার্কা কথা বার্তা বলে নিজের বোকামীত্ব প্রকাশ করেছে আরেকজন এই বাউন্টি হান্টার। এরা তিনজন মালটিই আজে বাজে কাজ করে যাচ্ছে আরো কিছু খারাপ নিক ছাগীমা চান্তিনিকেতন আরও কি কি দিয়ে।

ভাইয়া তাদের মনোকষ্ট কি দেখলে না?

আমার পোস্টে এত কমেন্ট কেনো?
আমি কেনো ভাইয়ু আপুনি ডাকবো?
আমার কেনো বেশি বেশি ব্লগীয় বন্ধু হবে?
আমি কেনো আমার পুরান ব্লগারদের সাথে ছড়া ছড়া খেলবো?
আমি কেনো এত কমেন্ট দেবো?
আমার নিক কেনো বার বার রিসেন্ট ব্লগে আসবেন।

সবার পরে আমি কেনো স্পর্শিয়ার মত পোস্ট লিখবো? আমি কেনো এই পোস্টটির মত পোস্ট লিখবো । এত হতে পারেনা।

তুমি দেখো আবারও এই টাইপ পোস্ট দিলেই কিছু মালটির মনো কষ্ট উথলে উঠবে এবং নাানাভাবে ঘায়েল করার জন্য উঠে পড়ে লেগে নিজেরাই ঘায়েল হয়ে বসে থাকবেন।

ভাইয়া লেখালিখির চর্চা না করে এমন সময় নষ্টের কারণ কি জানা নেই।

যেই মালটিনামা লিখে এত কিছু বলা হলো । সেই মালটি নামাতেই মালটিদের ছড়াছড়ি ছিলো এবং তারা ছিলো উৎসাহিত। এবং এখনও আরজু আপুর সাথে আমি সোজাসোজি কিন্তু ভদ্র ভাষায় ওপেনলি যা বলেছি তার উত্তর আপু দেবার প্রয়োজন বোধ না করলেও আসছেন দুই/তিনটা মালটি।

যে মালটি ম্যুভমেন্ট করতে চাইলেন উনি সেই মালটিদের খপ্পরেই মালটিরা নিজেরাি পড়ে গেলেন। এর চাইতে ফানি আর কি আছে বলো?

যাইহোক তোমার কথাই হবে এই নিকেই আমি আমার সব টাইপ পোস্ট লিখবো আর তুমিও দেখো মালটিদের মালটিবাজি! :)

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!

সব সময় ভালো থেকো এইভাবে।

৮৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কিছু কিছু কমেন্ট পড়ে ব্যাপারটাকে অসুস্থ মনে হচ্ছে।


দুইটা সিনিয়র ব্লগারের মাঝে সমস্যা নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তিদের এত মাথা ব্যাথা কেন? তাদের সমস্যা তারা মিটাক না - বাকিদের কেন এখানে নাক গলাতে হবে?


কোন যুক্তি তো মিলছে না।

তবে কিছু ব্যাপার তো সার্টেইনলি বুঝা যাচ্ছে, এখনের মাল্টিগুল সেই আগের ঝামেলার মানুষগুলোরই। নয়তো স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে ঝামেলায় নিয়ে যাওয়ার মানেটা কী???


অন্য কেউ তো কিছুই বলছে না, পোষ্ট নিয়ে মন্তব্য করে সরে যাচ্ছে। আর এখন এই ধরণের অসুস্থ মন্তব্যের মেলা দেখে বলতে বাধ্যও হচ্ছে।

পনি আপুকে কে কী রিপ্লাই দিল সেটার জবাব দিবে পনি আপু। উনি নিজেও তো পারেন। (এইতো মাসখানেক আগেই আমি কড়া জবাব দেওয়াতে উনি ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন)
তো উনারটা উনিই দিবেন।

বাকীদের কেন এখানে আসা??


এই কথাটা খুব একটা মধুর শোনাবে না, তবুও বলতে হচ্ছে - বাকিরা কি পনি আপুর পোষা কুকুর?
নাকি পনি আপু নিজে থেকে এতটা অসুস্থ কমেন্ট করে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করতে চান না?


বেজড অন দ্য কমেন্টস, এই দুটোই মনে হচ্ছে। কারণ, পনি আপু কমেন্ট না করলে এসব কিছুই হত না। উনার কমেন্টের আগ পর্যন্ত কিছু হয়ও নি।


আর শায়মাপু খারাপ, ক্যাচাল করে - এইটা যারা বলছে, তাদের বলি - মেয়ে মানুষ মানেই ওভার রিয়েক্ট করবে, ক্যাচালে এমনিই আসবে যাবে তারা - এইটা নিয়ে ঢোল পিটানোর কিছু নাই। এভাবেই চলছে। (নো অফেন্স টু দ্য লেডিস)

৮৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কিছু কিছু কমেন্ট পড়ে ব্যাপারটাকে অসুস্থ মনে হচ্ছে।


দুইটা সিনিয়র ব্লগারের মাঝে সমস্যা নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তিদের এত মাথা ব্যাথা কেন? তাদের সমস্যা তারা মিটাক না - বাকিদের কেন এখানে নাক গলাতে হবে?


কোন যুক্তি তো মিলছে না।

তবে কিছু ব্যাপার তো সার্টেইনলি বুঝা যাচ্ছে, এখনের মাল্টিগুল সেই আগের ঝামেলার মানুষগুলোরই। নয়তো স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে ঝামেলায় নিয়ে যাওয়ার মানেটা কী???


অন্য কেউ তো কিছুই বলছে না, পোষ্ট নিয়ে মন্তব্য করে সরে যাচ্ছে। আর এখন এই ধরণের অসুস্থ মন্তব্যের মেলা দেখে বলতে বাধ্যও হচ্ছে।

পনি আপুকে কে কী রিপ্লাই দিল সেটার জবাব দিবে পনি আপু। উনি নিজেও তো পারেন। (এইতো মাসখানেক আগেই আমি কড়া জবাব দেওয়াতে উনি ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন)
তো উনারটা উনিই দিবেন।

বাকীদের কেন এখানে আসা??


এই কথাটা খুব একটা মধুর শোনাবে না, তবুও বলতে হচ্ছে - বাকিরা কি পনি আপুর পোষা কুকুর?
নাকি পনি আপু নিজে থেকে এতটা অসুস্থ কমেন্ট করে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করতে চান না?


বেজড অন দ্য কমেন্টস, এই দুটোই মনে হচ্ছে। কারণ, পনি আপু কমেন্ট না করলে এসব কিছুই হত না। উনার কমেন্টের আগ পর্যন্ত কিছু হয়ও নি।


আর শায়মাপু খারাপ, ক্যাচাল করে - এইটা যারা বলছে, তাদের বলি - মেয়ে মানুষ মানেই ওভার রিয়েক্ট করবে, ক্যাচালে এমনিই আসবে যাবে তারা - এইটা নিয়ে ঢোল পিটানোর কিছু নাই। এভাবেই চলছে। (নো অফেন্স টু দ্য লেডিস)

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

শায়মা বলেছেন: আমিও আপুকে সরাসরিই বলতে চেয়েছিলাম । কিন্তু আপু না এসে আসলেন দুই মালটি।

তোমার নিকটি মালটি না বলে এই কমেন্ট রেখে দিলাম।

তোমার কমেন্টে মালটিগুলোকে পোষা কুকুর বলার সমর্থন আমি দিচ্ছি না। কারণ মালটিদের কাজ কারবার নিয়ে বলার কিছু নেই। এমন অনেকেই আসতে পারে আকাশ থেকে উড়ে। শুধুই মজা নিতে।

আর মেয়েরা ওভার রিয়েক্ট করে ঠিক আছে, তবে ক্যাচালে কখনও আসতে দেখিনি আমি। এটা কেচাল হত না সরাসরি আলোচনাই হত যদি না ঐ দুদিন আর একদিন বয়সী মালটিরা না আসতো।


৮৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

পোস্ট এখনো পড়তে পারছি না কারন আগে মন্তব্য গুলো পড়া গুরুত্বপূর্ন। :)

দেখা যাক মন্তব্য থেকে কি কি জানা যায়। অনেক দিন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম। অনেক কিছুই জাানিন। তবে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। :(

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

শায়মা বলেছেন: মন্তব্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিলো তবে পোস্টটিকে নষ্ট করতে যতখন দুই মালটির উপস্থিতি ঘটেনি।

তবে মালটিরা জানেনা তাদের জীবনের কোনো মূল্য নেই যদি না তারা ভালো লিখতে না জানে।

৮৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

উধাও ভাবুক বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে। গ্রাফিক্স আরও ভাল হয়েছে।
অনেক দিন পরে লিখলা।

শুভকামনা রইল।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস উধাও ভাবুক।

উৎসবে পার্বনে নারী...... এ বছরের এ প্রতিপাদ্যটি নিয়ে কিছু বলো ভাইয়ু!!!!!!:)

৮৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নারী দিবসের উপর চমৎকার একখানি পোস্টের অবতারণা করে শায়মা নিজেকে আবার প্রমান করলেন কতটা পরিশ্রমী এবং মেধাবী ব্লগার ।
এখানে দুজন গ্রেট ব্লগার আরজুপনি এবং শায়মার পারস্পরিক কমেন্ট নিয়ে বেশ সরগরম তৃতীয় বা চতুর্থ পক্ষ বা মাল্টি পক্ষ । তাঁরা দুইজন নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট

নারী দিবসের দারুন একটি পোস্টে শায়মার উপর আক্রমন খুব নেতিবাচক । আমরা অসুন্দর অতীত ভুলে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারলে ব্যাপারটি সুরাহা হয় । শায়মাকে উত্তেজিত করা নিশ্চয় ভাল কাজ নয় । শায়মাকে তর্কের মধ্যে ফেলে দিয়ে তর্ক যুদ্ধ করে দমানো বা থামানো শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় হতে পারে না ।

গঠনমূলক কমেন্ট অল্পই যথেষ্ট । ক্যাচাল কমেন্ট ব্লগের সৌন্দর্য হানি ঘটায় ।

শায়মা আরজুপনি সহ সব ব্লগার শান্তিতে থাকুক ভাল থাকুক ।

শান্তির সাদা পায়রা উড়ুক সামহুয়ারইন ব্লগে । এই পোস্টে আরজুপনি আপুর কমেন্ট পজিটিভ তিনিই হয়তো ট্রামকার্ড হিসেবে এগিয়ে আসবেন ।

ভাল থেকো শায়মা । :)

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ সফল হোক । বন্ধ হোক বিড়ম্বনা ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

শায়মা বলেছেন: আরজুআপু সরাসরি কথা পছন্দ করেন উনি সেটা আগেও বলেছিলেন। আর তাই আমিও যখন উনি মালটি নামা লিখেন ও কিছু মালটিকে আমার বিরুদ্ধে করা উসকানী মন্তব্যগুলোকে উৎসাহ দেন সেটা দেখে আমিও কষ্ট পেয়েছি। এমন কি আমি কিছু বলতে গেলে যদিও তা ভদ্র ভাষায় ছিলো তা আরজু আপু মুছে দেন।

তাই আমি পরবর্তীতে তার করা আমার পোস্টে দুইটি মন্তব্যের জবাব দেইনি। এটারও দিতাম না । আমি সেইফ সাইডার মানুষ। ঝামেলা এড়িয়ে চলি। কিন্তু উনি আবারও বললেন উত্তর দেন আর নাই দেন মানে উনি উদারতার পরিচয় দিয়ে আমাকে কমেন্ট করলেন আমি উত্তর দিলাম না ব্যাপারটা আবারও আমার উসকানী মনে হয়েছিলো।

তাই আমি ভদ্র ভাষাতেই যা বলার বলেছি। আমি কোনো বাজে ওয়ার্ড ইউজ করিনি বা তাকেও ছোট করিনি। আমি শুধুই আমার কমেন্ট না দেবার কারন ও আমার কি মনে হয়েছিলো সেটাই সরাসরি উনাকে বলেছি । এটা আরজু আপু নিজেই এসে খোলাসা করতে পারতেন । বলতে পারতেন যে সেই লেখাটি আমাকে উদ্দেশ্য করে নয় বা উনি কাউকে ইচ্ছা প্রনোদিতভাবে উৎসাহ দেন নি। উনি তো যথেষ্ঠ ওপেন মাইন্ডেড বলে আমি মনে করি। তা না করে আসলো একজন দুদিনের মালটি কুয়াশা এবং আমি।
আর কুয়াশা এবং আমির ভাষ্যও ঠিক আরজু আপুর পোস্ট ও কমেন্টের কথাগুলি ফোটোকপি।

যাইহোক আমি কোনো অভদ্রতা করিনি । আমি শুধুই সরাসরি বলতে চেয়েছিলাম আমার কথাটাই।আর এটার সুযোগ নিলো ২ টি মালটি। মালটি নামার মালটি যদি এখন নিজেদের খপ্পরে নিজেরাই গড়াগড়ি খায় কি বলার আছে বলো ?


এই পোস্টটি লেখার পর থেকেই কেমন করে এই পোস্টের মোড় ঘুরানো হবে এই ছিলো দুটি মালটির কাজ।

৯০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গবেষণার ব্যাপারে আপনি খুবই সিদ্ধহস্ত, তা আর নতুন করে বলার দরকার পড়ে না। আর্টিকেল্টি খুব সমৃদ্ধ। শুভেচ্ছা আপু।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। :)

তবে এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য উৎসবে পার্বনে নারী। এ ব্যাপারে কিছু বলো। আমার নেক্সট গবেষনায় একটু যেন কাজে লাগে। বার বার বলেছি আবারও বলছি তোমার কথার বা তোমার উপদেশ বা মতের বিশেষ গুরুত্ব আছে আমার কাছে।

আমার মতে উৎসব, পার্বন ব্যাপারটাই ভাবলে চোখে ফুটে ওঠে নারী। সে ছোট্ট কন্যাটি হতে শুরু করে বাড়ির বয়জ্যেষ্ঠা নারীটির হাসিখুশী উৎসব মুখর পদচারনা। আমার তো মনে হয় সকল উৎসন ঈদ পূজো পার্বন বা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলও হেসে ওঠে নারীকে ঘিরেই।

তবুও নারী বাড়ির বাইরে নয় নিরাপদ। সে তো দেখাই যায় পহেলা বৈশাখ বা ভীড়ের মাঝে নানা ঘটনায়। তুমি কি বলবে ভাইয়া? তবে কি উৎসব অনুষ্ঠান শুধু নারীদের জন্য ঘরের অন্দরেই আটকে থাকবে? নারী কি পাবেনা সবার সাথেই সন্মান ও নিরাপত্তায় উৎসবে অংশ নিতে?

৯১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নারীর ক্ষমতায়ন অার সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ এক কথা নয় । নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার মানসিকতা থাকতে হবে অাগে ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

শায়মা বলেছেন:


বাংলাদেশে নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইদানিংকালে বেশ শক্ত অবস্থান দেখে গেলেও সমাজের এখনও কিছু অন্ধকার দিক রয়েই গেছে। তাই তো দেখা যায় আজও পহেলা বৈশাখে সকলের সাথে আনন্দ উৎসবে সামিল হতে নারী নিরাপদ নয়।
এখনও একজন গৃহবঁধুর প্রাত্যহিক অামনুষিক সকাল সন্ধ্যা খাটুনিগুলোর কোনো মূল্যায়ন নেই।

আসলে দেশের উন্নয়নে বা সমাজের উন্নয়নে শুধু নারী পুরুষ নয় প্রতিটি মানুষেরই অবদান রয়েছে। নারী পুরুষ উভয়ের দক্ষতা ও কর্মকান্ডের যোগফলই রাষ্ট্রীয় অগ্রগতির মূল কথা। তাই রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য প্রথমেই বিবেচনা করতে হবে সুযোগ ও অধিকার বন্চিত অর্ধেক জনসংখ্যা, নারীর উন্নয়নের।

আর এর জন্য প্রয়োজন প্রাইমারী থেকে উচ্চ শিক্ষার প্রতিটি স্তরে নারীর সম অধিকার নিশ্চিতকরণ। এছাড়াও শিক্ষা পরবর্তী নারীর কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা । অফিস-আদালতে পুরুষের সাথে একত্রে কাজ করার অধিকার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি কাজের বিনিময়ে ন্যায্য হিস্যা পাবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের ব্যাপারটিও অনস্বীকার্য্য।
নারীর গৃহকর্মকে রাষ্ট্রীয় ভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসাবে মূল্যায়ন করা উচিৎ। নারীর ভোটদানের অধিকার, সম্পত্তি লাভের অধিকার সব কিছুতেই বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন।

আর এভাবেই সম্ভব নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।

৯২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা চমৎকার, উজ্জ্বল পোস্ট কিভাবে মলিন, কালিমালিপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তা চোখের সামনে ঘটতে দেখে ব্যথিত বোধ করছি। আরজুপনি এ আসরের একজন অন্যতম প্রিয় ব্লগার আমার কাছে, যেমন আপনিও। ওনার মাল্টিনামা পড়িনি, আর এসব বিষয়ে পড়তেও আমার তেমন ভালো লাগেনা। একটি ছদ্মনাম ব্যবহারে আমার তেমন আপত্তি নেই, অনেকেই অনেক ধরণের কারণে ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকেন, বা বলা যায় করতে বাধ্য হন। কিন্তু একাধিক ছদ্মনামে লিখে যাওয়াটা আমার পছন্দের বাইরে। এটাকে আমি কিছুটা অনৈতিকও মনে করি, বিশেষ করে এ ধরণের নাম যখন কাউকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। আরজু পনির উত্তরে দেয়া আপনার মন্তব্যটা পড়ে আমিও প্রথমে চমকে উঠেছিলাম, কারণ আমার কাছে তা বেশ রূঢ় মনে হয়েছিলো। আপনার মন্তব্যে এর আগে আমি কখনো রূঢ়তা বা অভদ্রজনোচিত কোন কিছু দেখিনি (অবশ্য আমি আপনার খুব বেশী লেখা পড়িনি, তবে যতগুলো পড়েছি, সবগুলো মন্তব্যসহই পড়েছি, মন্তব্যের সংখ্যা হাজার পেরিয়ে গেলেও)। তাই এবারের মন্তব্যটা পড়ে মনে হয়েছিলো অচেনা কোন শায়মার মন্তব্য পড়লাম। পরে এ ব্যাপারে আপনার অনেকগুলো ব্যাখ্যা পড়েও মনে এই অনুভূতি রয়ে গেল যে ব্যাপারটার এখানেই ইতি হওয়া উচিত। আরজু পনির সাথে আপনার যদি কোন কমিউনিকেশন চ্যানেল এখনো খোলা থাকে, তবে অনুরোধ করবো, প্রথম উদ্যোগটা আপনিই নিন। এতে আপনি কিছু হারাবেন না, বা ছোট হবেন না। দুজনে আলাপ করে ঠিক করে নিন, কে কার মন্তব্যগুলো রাখবেন আর কোনগুলো মুছে দেবেন। যদিও জানি, মন্তব্য মুছে দিলেই মনের দাগগুলো অচিরেই মুছে যাবে না।
এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য উৎসবে পার্বনে নারী -- এ বিষয়ে আমার ছোট্ট মন্তব্য, যে উৎসবে প্রকাশ্যে আর পেছন থেকে নারীর হাতের ছোঁয়া থাকেনা, সেটা পরিপূর্ণ উৎসব হয়ে ওঠে না। আর এসব উৎসবে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার আর সমাজের দায়িত্ব।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া উজ্বল পোস্টকে এভাবেই কালিমালিপ্ত করা হয়। এটাই ব্লগাতিহাসে দেখা গেছে।
যাই হোক, মালটিনামা পড়নি তাই আমার দেওয়া আরজু আপুকে সরাসরি জবাবটাও অন্যরকম লেগেছে। তবে সব সময় সবকিছু এড়িয়ে যাওয়া যায়না ভাইয়া আর আরজু আপু সরাসরি কথা পছন্দ করেন বলেছিলেন তাই আগের কমেন্টগুলো এড়িয়ে গেলেও এখানে তাকে সরাসরি বলতে চেয়েছিলাম কারণ তিনি বার বার আমাকে কমেন্ট দিচ্ছিলেন মালটিনামার পর ও আমার কমেন্ট তার পোস্টে মুছে দেবার পরেও।

যাইহোক, তোমার মত আমিও একটা সময় এড়িয়ে যাওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করতাম, আমাদেরকে আসলে সেটাই শেখানো হয়েছে। আমরা সেটাই করি। পরে দেখলাম এড়িয়ে যাওয়াটাও সমস্যা এড়ানোর একটি পন্থা বটে তবে আমার ভেতরে জন্ম নেওয়া কষ্ট বা কনফিউশনটাকে আমি আসলে ফেস করতে পারি যদি আমি ভদ্রভাবে তার মুখোমুখি হই। ভাইয়া আমি কিন্তু আরজুআপুকে কোনো বাজে কথা বলিনি।উনাকে সরাসরি বলেছিলাম কেনো আমি তাকে কমেন্ট রিপলাই দিচ্ছিলাম না। এটাও কিন্তু উনার কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতেই এসেছিলো।

আর সারাজীবন শিখিয়ে দেওয়া এড়িয়ে যাওয়া বা সরাসরি না বলাটাকেই আমরা শিখেছি তাই তোমার কাছে অন্যরকম লেগেছে। আর এই সরাসরি বলাটাতে তোমার মনে হয়েছে না বললেই তো হত। এরপর হয়তো আরজুআপু আসতেন, বুঝিয়ে বলতেন আমি অকারনেই তার আচরণে কষ্ট পেয়েছি কিনা বা তিনিও এড়িয়ে যেতেন এ দুটোর একটাই হবার কথা ছিলো কিন্তু তা না করে আসলেন একটি মালটি। আর মালটি যে সব ব্যাক্তি বিদ্বেষমূলক কথাগুলো বললে তার দিকে কেউ তাকাচ্ছেনা কারণ সেটি একটি মালটি তার কোনো আলাদা গুরুত্ব নেই। কিন্তু আমি একটু শক্ত কথা বললে তাকেই বলেছি কারণ সে অসভ্য আক্রমন করার চেষ্টা করছিলো। তার কাছে অনুমতি নিয়ে আমাকে কাউকে ভাইয়া ডাকতে হবেনা। তার কাছে অনুমতী নিয়ে আমি কারো সাথে কবিতা লিখবো না। তার কাছে অনুমতী নিয়ে আমি কাউকে কমেন্টও দেবোনা। সে জাস্ট তার মনের হিংসাটাই চরিতার্থ করছিলো।

একটি বা অনেকগুলি মালটি থেকে লেখা ততখনই ঠিক আছে যতখন কাউকে আক্রমন না করা হয় বা বাজে পোস্ট না দেওয়া হয়। আমি আমার মালটি দিয়ে শুধুমাত্র নানামুখি লেখা ছাড়া কখনও সেটা করিনি যা তারা করছে।

অনেকেরই মনে হবে এই ব্যাপারটার এখানেই ইতি হওয়া উচিৎ হয়তো হয়েও যেত কিন্তু কিছু মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে সেটা আর হচ্ছে না। আমি উপরে নানা কমেন্টে বার বার বলেছি কেনো আমি আরজুআপুকে সরাসরি বলেছিলাম এবং একটা কথা আছে সরাসরি কথা সকলেই শুনতে চান কিন্তু শুনতে গেলে আসলেও একরু রুঢ় লাগে কারন এই সত্যটার সাথে আসলে আমরা বেশি পরিচিত নই।


এ বছরের ‘নারীপক্ষ’ নারী দিবসের প্রতিপাদ্যে তোমার বলা কথাটাতে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
(এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য উৎসবে পার্বনে নারী -- এ বিষয়ে আমার ছোট্ট মন্তব্য, যে উৎসবে প্রকাশ্যে আর পেছন থেকে নারীর হাতের ছোঁয়া থাকেনা, সেটা পরিপূর্ণ উৎসব হয়ে ওঠে না। আর এসব উৎসবে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার আর সমাজের দায়িত্ব। )
তবে এই ব্যাখ্যাটাই আরও বড় হলে বেশি কাজে আসতো আমার। আমার এ বছরের প্রতিপাদ্যটি নিয়ে আরও কিছু কাজ আছে। আর আমার প্রফেশনটাও এই উৎসব পার্বনের সাথেই জড়িত।

অনেক ভালো থেকো ভাইয়া। পারলে এই প্রতিপাদ্যটা নিয়েই আরও কিছু শেয়ার করো ।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

শায়মা বলেছেন: আর একটা ব্যাপার বলতে হচ্ছে, আশাকরি এরপর থেকে মালটিদের নেতিবাচক কার্য্যক্রমও বন্ধ হবে বা তারা প্রশ্রয় পাবে না। কারণ মালটি কে আর নিক কোনটি আমরা কিন্তু এত বেছে বেছে দেখিনা যখন তারা পোস্ট দেয় বা কমেন্ট দেয় আমাদেরকে। আমাদের এই ব্লগ যথেষ্ঠ পরিমান বন্ধু সুলভ আচরণ ও কমেন্ট সাপোর্ট করে আর তাই পরবর্তীতে দেখা যায় এই বন্ধুত্বের উল্টো পিঠে ব্যাক্তি বিদ্বেষ বা অকারণ শত্রুতা।

মালটিগুলি থেকে কমেন্ট আসলে আশা করি আমরা যেমনি সাবধান হবো তেমনি তাদের পোস্টের উদ্দেশ্য না বুঝে আর তাদেরকে প্রশ্রয়ও দেবোনা। সরাসরি না বলে এসব কথা এড়িয়ে গেলে হয়তো এমন অনেক কিছুই অজান্তেই ভাবনার অন্তরালে থেকে যেত।

৯৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

জেন রসি বলেছেন: এদেশের পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দিক থেকে ভাবলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর। আর এই সেক্টরেটিকে বাঁচিয়েই রেখেছে এ দেশের নারী শ্রমিকরা। কিন্তু আমরা প্রায়ই দেখতে পাই তাদের ঠিক মত মজুরি দেওয়া হচ্ছেনা। মজুরির জন্য যখন আন্দোলন করতে বাধ্য হয়, তখন আবার পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাদের উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। তার সাথে তেতুল হুজুরদের ফতোয়াবাজিও আছে। কিন্তু যারা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার সংগ্রাম করছে তাদের অধিকার নিয়ে আমরা কি সচেতন? আমরা কি সক্রিয় ভাবে তাদের নৈতিক চাওয়া পাওয়ার আন্দোলনে সক্রিয় হতে পারছি?

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪২

শায়মা বলেছেন: সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নিতে একদমই পারছিনা তাই নয় আর তাই বলে যে কখনও পারবোনাও না তাও নয়। আমার মনে হয় অতীতের দিকে তাকালে নারী শ্রমিকের অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশে পোষাক শিল্পে পুরুষের চাইতে নারীদের অংশগ্রহনই বেশি তবুও নারী বৈষম্যের শিকার। সবচেয়ে হাস্যকর তেতুল হুজুর মতবাদ। নারীকে কেন রাতের আধারে পোষাক শিল্পে কাজ করতে হবে, নারী সামলাবে ঘর দূয়ার, বাচ্চাকে দেখা-শোনা করবে মোটকথা তার ভাষ্য নারী সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম ছাড়া কিছুই নয় ।

তবু এসবে কোনো কাজ হবেনা নারী তার সকল বাঁধা অতিক্রম করে আজ ঘরের বাইরে কাজ করছে আর এতে পরিবার ও রাষ্ট্রকে কতখানি সহায়তা করছে বা সচল রাখছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । নারী শুধু বাড়ির বাইরে কাজ করেন না সে একই সাথে সামলায় তার পরিবার , ছেলেমেয়ে , পরিবারের অন্যন্য মানুষগুলোকেও । নারী আর এসব তেতুল হুজুরের কথায় ভয় পায়না। সে যথেষ্ঠ সক্ষম আজ পুরুষের পাশাপাশি কাজ করতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্পটাই পোষাক শিল্প। আর এতে নারীদের অংশগ্রহনও অনেক বেশি।

যাই বলো না কেনো আমাদের সমাজ পুরুষ শাসিত আর তাই সময় এসেছে এই মানষিকতা পরিহারের। বরং উন্নত মানষিকতা দিয়ে নারীর অগ্রগতির পথে বাঁধা না হয়ে তাকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে । এটা শুরু হতে হবে পরিবার থেকে।

৯৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ওরে আল্লাহ!
এ দেখি একের ভিতর অসংখ্য!!
শায়মা আপু! আপনার লেখা পড়ে আমি সবসময় মুগ্ধ হই।
অনেক ভালো লাগলো।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ মিসিভাইয়া।

এইবার এ বছরে "নারীপক্ষ" এর নির্ধারিত প্রতিপাদ্য উৎসবে পার্বনে নারী এই বিষয়ক কিছু বলে যাও। আমার এক্সপেরিমেন্টে কাজে লাগাই। আমিও উৎসব পার্বনের লোক তো।

৯৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩১

পিঙ্ক ফ্লয়েড বলেছেন: মাল্টির সংজ্ঞা কি আপনার কাছে?আপনি মাল্টি নাকি রিয়াল নিক?আপনি কি নিজের নামে ব্লগিং করছেন?আপনি কি নিজের সঠিক পরিচয় দিয়ে ব্লগিং করছেন?

ব্লগিং করতে নিজের পরিচয় কেনো দিতে হবে?

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৮

শায়মা বলেছেন: না ব্লগিং করতে নিজের পরিচয় দিতেই হবে এমন কোন রুল নেই। তবে যে কোনো নিকেই উদ্দেশ্য প্রনোদিত বা ব্যাক্তি আক্রমন বা উস্কানী মূলক কর্মকান্ড পরিত্যাজ্য।

তবে এটি মালটি নিয়ে কোনো পোস্ট নয়। এ পোস্ট বিষয়ক মন্তব্য করলে খুশী হবো। উপরে মালটিদেরকে ও এবং তাদের নিয়ে অনেক কথা বলেছি। সারাদিনে এখন আমি বিরক্ত। পোস্ট বিষয়ক ছাড়া আর এসব নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিনা। অলরেডি সবই বলা হয়ে গেছে।

৯৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৮

পিঙ্ক ফ্লয়েড বলেছেন: মাল্টি নিয়ে কথা হচ্ছিলো কমেন্টে তাই মাল্টি বিষয়ক কমেন্ট করতেই হলো।আপ্নার নিজের ও নাকি ৮৩টা মাল্টি আছে উপরে কমেন্ট থেকে জানলাম।এই নিক গুলো দিয়ে কি করেন?কেনোই বা এত নিক বানালেন?

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৩

শায়মা বলেছেন: এটা কি বাউন্টি হান্টারের আরেক মালটি? আমি এটা ব্লক করে দিচ্ছি। এমন বিরক্তিকর বোকামী আর দেখতে চাচ্ছি না।

৯৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৯

তাসজিদ বলেছেন: অফ টপিকঃ

নারী দিবস মানেই কি পুরুষ কে ব্লেম করা?

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

শায়মা বলেছেন: না ভাইয়া। নারী দিবস মানে শুধু পুরুষকে ব্লেম করা না। তবে নারী পুরুষ দুই এরই কিছু মানষিকতার পরিবর্তন ভাবনার প্রয়োজন।

এবারের নারী দিবসের "নারীপক্ষের" প্রতিপাদ্য- উৎসবে পার্বনে নারী। আমার অনেক ভালো লেগেছে।

তোমার কি মনে হয় নারীরা উৎসবে পার্বনে ঘরের বাইরে সবসময় নিরাপদ?

৯৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

অসাধারণ সুন্দর সংকলিত পোষ্ট। বলা চলে নারী এনসাইক্লোপিডিয়া। বাল্য বিবাহ, ইভ টিজিং, বেতন বৈষম্য, নারীদের ক্ষমতায়ন, সমস্যা সহ প্রায় ডজন খানেক বিষয় উঠে এসেছে আপনার পোষ্টে।

আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া এই সমস্যা গুলোর সমাধান সম্ভব না। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বৈষম্য গুলোর প্রতিবাদ করতে হবে। বিপদে পড়ব না আমার বোন বা মা তো এই সমস্যায় পড়ে নি আমি এটা নিয়ে কেন চিন্তা করবো এই ভাবনা ত্যাগ করতে হবে। এই সমস্যা গুলো এক প্রজন্মেই শেষ হয়ে যাবে না। ইউরোপ বা আমেরিকার সমাজ ব্যবস্হা আজকের এই পর্যায়ে এক যুগে পৌছায় নি।

আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে মায়েদের দায়িত্ব সর্বজ্ঞে। প্রতিটি মাকে তার ছেলে ও মেয়েকে একি মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে হবে। মা যদি বড় ছেলেটিকে সঠিক মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে পারে তবে ভাইটি তার ছোট বোনের বিপদে সব সময় এগিয়ে আসবে। নইলে বড় ছেলেটির মুখে শোনা যাবে ওকে পড়া-লেখা করিয়ে কি হবে? বিয়ে দিলে শশুর বাড়িতে চলে যাবে। বাবা কোন চাকুরীজীবী ছেলে পেলে ছোট বোনের পড়া লেখার শেষ করার পূর্বে বিয়ে দিতে চাইলে বড় ভাইটি খুশি হয়ে উঠবে অথবা চুপ করে থাকবে।

আমার নিজের ছোট বোনের বিয়ের কথা উঠলে আম্মা বা আব্বাকে সোজা বলে দেই তার বিয়ে নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। মাস্টার্স পাস করে চাকুরীতে ঢুকে ২ বছর চাকুরী করবে এর পর বিয়ে। তার আগে না। ছোট ভাই ও ছোট বোন যখন অনার্স পড়ত তখন আব্বা ছোট ভাইকে যে টাকা দিত তার চেয়ে বেশি দিত ছোট বোনকে। কারণ ছোট বোনের রেজাল্ট ভালো ছিলো। যদিও দুই জনই একই বিষয়ে অনার্স পড়ত। কোন ঘটক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলে তাকে চা-নাস্তা খাওয়াইয়া আব্বা বলে দেয় তার বিয়ের ব্যাপারে ওর বড় ভাই সিদ্ধান্ত নিবে আমার কোন মত নাই।

আমার মা আমাদের ৪ ভাই বোনকে কোন দিনও সামান্য কম বেশি যত্ন খাতির করে নাই বা কারো অন্যায়ে প্রশ্রয় দেয় নাই। সব সময়ই এই শিক্ষা দিয়েছে তোদের ৪ জনকেই ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধরে জন্ম দিয়েছি। ৪ জনের শরীরে আমার রক্ত। তোরা নিজেরা কোন দিন একে অন্যকে ঠকানোর চেষ্টা করিস না। এতে করে মা হিসাবে আমি কষ্ট পাবো।

আপা, পোষ্ট প্রিয় লিস্টে রাখলাম।







১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার কমেন্ট পড়ে মুগ্ধ হলাম! আমি নারী দিবস নিয়ে লেখাটা লিখতে গিয়ে চোখের সামনে আমাদের দেশেরই কিছু সুখী পরিবার বা সুখী নারী যেমন দেখতে পেয়েছি তেমনি চোখে ভেসেছে সমাজের কিছু অবহেলিত অপমানিত নারীর মুখও। তাই নিজে ভাবনা চিন্তা থেকেই যা মনে এসেছিলো তাই লেখায় উঠিয়ে এসেছি। লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছিলো বলে শেষে থামাতেই হয়েছিলো।

ঠিকই বলেছো ভাইয়া, প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া এই সমস্যা গুলোর সমাধান কখনই সম্ভব না। এই সব বৈষম্য গুলোর প্রতিবাদ করতে হলে প্রথমেই নিজেকেই জানতে হবে কোনটা উচিৎ আর কোনটা অনুচিৎ। আমার পরিবারের এখটি মেয়ে লাঞ্চিত হয়নি বলে সেসব আমি চোখ বন্ধ করে রাখবো আসলেই এই মনোভাবনা দূর করতে হবে। আজকে না হোক আগামী হয়তোবা খুব নিকট আগামীতেই আমরা শিখতে পারবো আসলেই বৈষম্য আমাদের কাম্য হতে পারেনা।

পরিবার তথা মা তিনিই প্রথমে এ বৈষম্য ভেঙ্গে দেবেন তার বাড়িতেই। শেখাবেন ছেলে মেয়েদের মধ্যে দুজনেই সমান অধিকারে অধিকারী। সমাজ বলেছে ছেলে সন্তান বেশি পাবে ধর্ম বলেছে ছেলে সন্তান বেশি দাবীদার। আমি যদি একজন মা হিসাবে শিখাই দুজনই মানুষ এবং আমার সন্তান দুজনের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নেই আমার চোখে সমাজ বা পারিপার্শ্বিকতা তখন কোথায় বাঁধা দেেবে?
ভাই এবং বোন জানবে আমরা দুজনই আমাদের প্রিয় বাবা মায়ের প্রিয় সন্তান। বাবা মায়ের ভালোবাসা হতে সকল কিছুতেই আমাদের সমান অধিকার আছে। একটি শিশু যখন এখানে পরিবার থেকেই মনোস্তত্বে বড় হয়ে উঠবে তখনই সে সমাজের অন্যন্য স্থানে রাস্তা ঘাটে অফিস আদালতে অন্য নারীদেরকেও সমান মর্যাদা দিতে শিখবে।

ভাইয়া অনেক অনেক ভালো বলেছো। এমনটাই তো হবার কথা।

তোমাদের পরিবার ও বোনের কথা জেনে খুব ভালো লাগলো। আর আমার পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস । অনেক ভালো থেকো ভাইয়া। :)

৯৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম !!
তুমি তো অনেক ভাল মেয়ে । তোমার বিরাট একটা মন আছে । আমার চেয়ে তোমাকে বেশি চেনে এমনকি কেউ আছে???

জানি নেই ।

তোমার পোস্ট প্রিয়তে নিলাম ।

আমরা অনেক সময় ভুল ধারনা পোষণ করি ।মিথ্যে সন্দেহ করি । ধারণার বশবর্তী হয়ে ভুল করে বসি । যখন সত্যটা বুঝে ফেলি খুব লজ্জায় পড়ে যাই!! কিন্তু সেই লজ্জাজনক দাগ সেটা কি আর মুছা যায় !!! খারাপ মানুষ সেই সুযোগ নেয় ।

মানুষ সম্পর্কে ভাল ধারনা পোষণ করা অনেক বড় মানবিক গুণ ।

মানুষকে ক্ষমা করা । ভালবাসা সেটাও অনেক বড় গুণ । এসব তো মানবিক গুণাবলী ।

আমরা মরে গেলেও কমেন্টগুলো থেকে যাবে । এগুলো মানুষ পড়বে। আর পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে কমেন্টগুলো জাজ করবে । পোস্ট দাতা সম্পর্কে ধারণা নিবে ?

দুঃখজনক হলো দারুন একটি পোস্ট অথচ সেটার ওপর বিষ ফোড়ার মত বাজে কমেন্ট তার অবয়বে কালিমা লেপন করবে !!!!

এতটুকু বলতে পারি শান্তির পথে তুমি আর আরজুপনি আপু দুজনের মধ্যে যে আগে উদ্যোগ নিবে সেই অন্তত এই ঘটনায় মানবিকতার দিক দিয়ে বেটার প্রমান হবে ।

দুজনই অনেক ভাল , প্রখ্যাত ব্লগার । মনের দিক দিয়ে দুজনের মধ্যে কে বড় সেটা কিন্তু বুঝা যাবে ।

আরজুপনি আপু আমার সবসময়ের শুভাকাঙ্খি । আমার কাছে তার অনেক দাম আছে ।


১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩১

শায়মা বলেছেন: তুমি এবং আরও কয়েকজন বলছো দারুন একটি পোস্টে বিষফোড়ার মত কিছু বাজে কমেন্ট কালিমা দিয়ে গেলো। এটা একটা পাবলিক ব্লগ। এখানে নানা মানুষ আসবে এবং কিছু মালটিও আসবে। এই বিষফোঁড়া বা কালিমা যারাই দেবে তারা শুধুই সেই সব মালটিই যারা কেচালের উদ্দেশ্যেই মালটি বানায়।

আমার মতে তাতে পোস্টে কালিমা পড়ে না । পোস্ট পোস্টের জায়গায় থাকবে, গঠনমুলক মন্তব্য, সমালোচনা, আলোচনা বা হিংস্বা বিদ্বেষমূলক কেচালবাজীও সেই জায়গাতেই থাকবে।

যাই হোক তুমি এবং আরও কয়েকজন দুঃখ পেয়েছো বা কষ্ট পেয়েছও বা ভালো লাগেনি যাই বলো না কেনো। আমার মনে হয়েছে একদিক থেকে কিছু পজিটিভ ব্যাপারও হয়েছে এবং হবে।

১। হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে যে যব মালটি বানানো হয় তারা আর কারো কাছে প্রশ্রয় পাবে না বা তাদেরকে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

২। আশা করছি মালটিরাও এখন থেকে মালটিমি করার আগে দুই সেকেন্ড ভেবে দেখবে।

৩। সোজা কথা কোনো কিছু নিয়ে মনোমালিন্য থাকলে বা মনে মনে খারাপ ফিল হলে ভদ্রভাবেই তা সরাসরি বলার চর্চা চলবে।

৪। এবং সেসব নিয়ে কোনো মালটিবাদীদের টালটিবাজীকেও পাত্তা দেওয়া হবে না। মালটি যদি কোনো আলোচনার মাঝে ফোঁড়ন কাটে তাকে সপাটে চপেটাঘাত করে খাঁচায় পুরে দেওয়া হবে।

আরও আছে । পরে বলবো।

১০০| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৩

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: আস্তে আস্তে পড়বো___অনেক বড় লেখা তো সেইজন্যই... আপাতত শুভকামনা

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা । :)

পরে পড়ো।

১০১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ

সব দোষ পুরুষের

নারীরা সব ফেরেশতা.. এদের ওপর ওহী নাযিল হইছে

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪০

শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া।

কোথায় বললাম পুরুষের দোষ!!!!!!!!!!!

আমি কোথাও বলিনি!!!!!!!!

ভালো করে পড়ো!!!!!!!


আমি তো কোটিবার জন্মালেও নারী হয়েই জন্মাতে চাই।

১০২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: না সেইটা বলেননাই

কিন্তু নারীদের ওপর বৈষম্য আর তাদের ওপর নির্যাতন নিয়াই লেখছেন, যেখানে পুরুষতান্ত্রিক সামাজিকতার কথাটা উহ্য থেকেও স্পস্ট

কিন্তু পুরোনো যুগে যখন একজন নারী শ্বাশুড়ি হয় তার হাত ধরেই পুরুষতান্ত্রিকতার চর্চা আরো বেগবান হয়। কেন যেনো মনে হয় আমাদের সামগ্রিক নৈতিক অসচেতনতা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ভুল প্রয়োগ সাথে দারিদ্রতা থেকে বাঁচার একমাত্র হাতিয়ার মূলক চিন্তা ভাবনা থেকেই এই বৈষম্য আর অপকর্মের সৃস্টি। পুরুষের দোষ আছে কিন্তু অনেক অগ্রগামী কাজ কিন্তু পুরুষ রাও করেছে। শরৎচন্দ্রের কথাটা আসতে পারতো। ক্লারা জেটকিন পশ্চিমা নারী স্বাধীনতার পথিকৃত কিন্তু আমাদের উপমহাদেশের কনসেপ্টে শরৎবাবু, কেদারনাথ, হরিশঙ্কররা কেন যেন অবহেলিত

তবে এটা ঠিক এতো লেখতে গেলে পোস্ট আর লোড হইতো না বিশালত্বের কারনে। জেন্ডার স্টাডিজের জন্য নির্ভুল লেখা বৈকি

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থাটা আসলে উহ্য রাখলেও না এসেই যায় ভাইয়া। :( কি করবো বলো আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাটাই তো এমন।
নারী তার শাররীক বৈষম্য থেকে শুরু করে প্রতি পদক্ষেপে যে বৈষম্যের স্বীকার হয় তার শুরুটা শ্বশুরবাড়ি যাবার অনেক আগেই শুরু নিজের পরিবারেই। মা তাকে নারী হতে এবং বৈষম্য রক্ষা করতেই শেখান। শ্বশুরবাড়িতেও নারী এই বৈষম্য তন্ত্রই পালন করে চলে। তারপর সে নিজেই একদিন শ্বাশুড়ি হয় ও সেই বৈষম্য তন্ত্রকেই কনটিনিউ করে।

কেন যেনো মনে হয় আমাদের সামগ্রিক নৈতিক অসচেতনতা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ভুল প্রয়োগ সাথে দারিদ্রতা থেকে বাঁচার একমাত্র হাতিয়ার মূলক চিন্তা ভাবনা থেকেই এই বৈষম্য আর অপকর্মের সৃস্টি।


শুধু মনে হওয়া না। আসলেই তাই । তবে নারী পুরুষের ভেদাভেদ নিয়ে আমি লিখিনি তবে সম অধিকার নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম।

পুরুষের দোষ আছে কিন্তু অনেক অগ্রগামী কাজ কিন্তু পুরুষ রাও করেছে। শরৎচন্দ্রের কথাটা আসতে পারতো। ক্লারা জেটকিন পশ্চিমা নারী স্বাধীনতার পথিকৃত কিন্তু আমাদের উপমহাদেশের কনসেপ্টে শরৎবাবু, কেদারনাথ, হরিশঙ্কররা কেন যেন অবহেলিত

এই না হলে আমার জ্ঞানী ভাইয়া তুমি!:) আমাদের উপমহাদেশের সেই নারীর প্রতি হওয়া সনাতনী বহু অনাচার, অত্যাচারের প্রতিবাদে, বিরুদ্ধে কাজ করে যাওয়ায় আমাদের পুরুষদেরও অনেক ভুমিকা রয়েছে। তুমি ঠিকি বলেছো, শরৎবাবু, কেদারনাথ, হরিশঙ্কররা এদের কথাও আমাদের ভুললে চলবে না। নেক্সট কোনো পোস্টে অবশ্য তারা আসবেন।

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

১০৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

তার আর পর নেই… বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন, হ্যাঁ, হ্যাঁ, সব দোষ পুরুষের। :P
আমি কিন্তু নতুন করে জন্মানোর অপশন পাইলে পুরুষ হয়েই জন্ম নিতাম। মেয়েদের জ্বালায়ে এরা কি মজা পায় সেটা বুঝার চেষ্টা করতাম।

অনলাইনে এখন যারা আছেন তাদের সবাইকে একবার করে ঘুরে দেখবো (আইডিয়া ফ্রম আরজুপনি)
বুঝতে পারছি না শেষ করতে পারবো কি না!
চোখ জুড়ে নেমে আসছে রাজ্যের ঘুম
বাইর থেকে ধেয়ে আসছে …… সরি, মেলাতে পারছি না :P

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫

শায়মা বলেছেন: পুরুষ হয়ে জন্ম নিতে ! পুরুষ হয় কি শুধু মানুষ মেয়েদেরকে জ্বালাতে? আমাদের পরিবারে কি আমাদের প্রিয় পুরুষেরা নেই আপু?

আমাদের প্রিয় বাবা, ভাই, পুত্র তারা কি আমাদের অনেক অনেক ভালোবাসার না? নাহ সব পুরুষকেই এক কাতারে ফেলা যাবে না মনে হচ্ছে। তবে কিছু কিছু পুরুষ। পুরুষ নহে কাপুরুষ !

তাদেরকেই উন্নত সমাজ ব্যাবস্থার শিক্ষা দিতে হবে।

১০৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @তার আর পর নেই…

এটা ফান করে বলা। আমার কিছু কমেন্ট থাকে যেগুলাতে ফানই বেশী। তবে কারন আছে যেটা আমি পরের কমেন্টে বলেছি। আমার এক্স ছিলেন জেন্ডার স্টাডিজের। তার বিভিন্ন ভার্সিটির পেপার বানানোর জন্য তার এই বিষয়ে ব হু প্রবন্ধ আমি লিখেছিলাম এছাড়া একজনের মাস্টার্সের থিসিসও লিখে দিয়েছিলাম এই বিষয়ে। আমার পরবর্তি কমেন্টে যে কথা গুলো শেয়ার করেছি সেগুলো গুলাটির একটা প্রবন্ধে পেয়েছিলাম। সেটাই টুকে দিলাম কারন প্রাগৈতিহাসিক সবাজ ব্যাবস্থার যে ধারা গুলাটির চিন্তার সাথে আমার চিন্তা ভাবনাগুলো বেশ মিলে গিয়েছিলো!

আর আপনি যদি পরবর্তী জন্মে পুরুষ হয়ে জন্মাতে চান তাহলে বলটে হয় আপনি একজন ভালো পিতা পেয়েছেন যিনি একাধারে ভালো স্বামীও ছিলেন। আপনার শৈশব এবং কৈশোর নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কেটেছে!

হ্যাপী ব্লগীং!

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: আর আপনি যদি পরবর্তী জন্মে পুরুষ হয়ে জন্মাতে চান তাহলে বলটে হয় আপনি একজন ভালো পিতা পেয়েছেন যিনি একাধারে ভালো স্বামীও ছিলেন। আপনার শৈশব এবং কৈশোর নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কেটেছে!

হ্যাপী ব্লগীং!

এই কথাটাই কোটি কোটি লাইক দিলাম ভাইয়া।

১০৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৪

তার আর পর নেই… বলেছেন: আমিও মজা করেই বলেছি, দেখেন শেষে একটা ভেংচি আছে।

আমি আমার জীবনে এত এত ঘৃণা পুষে রেখেছি পুরুষের জন্য যে বলেও হয়তো শেষ হবে না। কিন্তু একটা কথা আছে না, যাই বলি না কেন, পরিবারে এমন কেউ থাকেই যার জন্যই ঘৃণা ছড়াতে পারি না।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: তাই তো বলি।

ভেংচিটা খেয়াল করিনি তাই একটু চিন্তায় পড়েছিলাম।

আসলে নারী পুরুষ তো আসল সমস্যা না। সমস্যাটা দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক কিছু প্রথার। নেতিবাচক প্রথাগুলো ভাঙ্গতে গেলে বা উন্নতি করতে গেলে তো এক দিনে হবে না। অতীতের দিকে তাকালেও এমনটাই দেখা গেছে। সতীদাহ, বিধবা বিবাহ এমন অনেক কিছুর পরেই আজকের এই এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে নারীরা।

এখনও যা কিছু দেখা যায়, নারীর প্রতি অন্যায়, অবিচার বা বৈষম্য তাও হয়তো কোনো না কোনো দিন নির্মূল হবে। তখন হয়তো তুমি বা আমি থাকবোনা তবুও এই হোক আশা।

১০৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: গতরাতে পড়েছিলাম।

প্রিয়তে রাখার মতো যেহেতু, তাই প্রিয়তেই রাখছি।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

অনেক অনেক থ্যাংকস !!!!!!

প্রিয়তে রাখার জন্য।

১০৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অসাধারণ , শুভকামনা অনিঃশেষ

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস রাবেয়া আপুনি!!! তোমার জন্যও রইলো এক রাশ শুভকামনা।

১০৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রতি বৈষম্যের বীজ পুরুষদের আগে প্রথমে মেয়েরাই শুরু করে। পরিবারের মেয়ে সন্তানকে একজন মাই প্রথমেই বুঝিয়ে দেয় সে ছেলেদের থেকে আলাদা তার গুরুত্ব কম। সেই মেযেটা যখন শ্বশুর বাড়ি যায় তখন সবার আগে শ্বাশুরীর হাতে নিগৃহীত হয় আগে। প্রত্যেক পরিবারেই দেখি বংশ রক্ষার জন্য ছেলে শিশু প্রার্থনা করে আর মেয়ে হলে মনে তাদের মতো দুর্ভাগা আর নেই। মেযে শিশুটিকেই ভাবে তাদের দুর্ভাগ্যের কারণ।

অবশেষে আপনার সাথে ঠোট মিলিয়ে বলছি নারী পুরুষ সম অধিকার কথাটা বাদ রেখে মানুষের পূর্ণ অধিকার প্রাপ্তিই হোক আমাদের আজকের চাওয়া।

এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় যে "উৎসবে পার্বনে নারী" জানা ছিলনা আপনার মন্তব্যে জানতে পারলাম।

আরেকটা কথা আরজুপনি আপু আর আপনি দুজনেই জনপ্রিয় ব্লগার। আপনাদের এক জনকে অন্য জনের কাছে প্রমান করার কিছুই নেই। আপনাদের বিরোধ আপনাদেরকে সরাসরি কথা বলে সমাধান করতে হবে। এখানে তৃতীয় পক্ষ এসে বা মাল্টি নিয়ে লেদানোর কোন প্রয়োজন নাই। আপনাদের মধ্যে যদি কোন দুর্বলতা না থাকে তাহলে আপনারা দুজনে সরাসরি আলোচনা করেন।


আশা করি আপনাদের মধ্যকার ভূলবুঝাবুঝির দ্রুত অবসান হবে। :)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

শায়মা বলেছেন: খুব সত্যি কথা ভাইয়া। আমরা মেয়েরাই মেয়েদেরকে প্রথম বৈষম্য শেখাই পরিবারেই। নারী পুরুষ এই দুই এর মাঝে বৈষম্য বিভেদটিই মনুষত্ব বিরোধী। আর তাই নারী পুরুষ না করে আসলে মানুষেরই পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা কাম্য।

"উৎসবে পার্বনে নারী সবখানে" এ বছরের "নারীপক্ষে"র প্রতিপাদ্য ছিলো এটি। বিশ্ব প্রতিপাদ্যটির সাথে "Planet 50-50 by 2030: Step It up for Gender Equality ". বা অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান এর সাথে এই প্রতিপাদ্যটির এতটুকু ভিন্নতার কারণ দেশভেদে নারী দিবসের নিজস্ব কিছু প্রতিপাদ্য হতে পারে। আর আমাদের দেশে বিশেষ করে উৎসবগুলোতে নারীর অনিরাপত্তার ঘটনাগুলি বিবেচনা করেই এই প্রতিপাদ্যটি "নারীপক্ষ" বিবেচনা করেছে।
আর এটি আমার কাছে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বড় প্রয়োজন বলেই মনে হয়েছে। আসলেই সম অধিকার প্রতিষ্ঠারও আগে নারীকে তো সবখানেই সম নিরাপদও হতে হবে। সেই শিক্ষা, পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

আরেকটা কথা আরজুপনি আপু আর আপনি দুজনেই জনপ্রিয় ব্লগার। আপনাদের এক জনকে অন্য জনের কাছে প্রমান করার কিছুই নেই। আপনাদের বিরোধ আপনাদেরকে সরাসরি কথা বলে সমাধান করতে হবে। এখানে তৃতীয় পক্ষ এসে বা মাল্টি নিয়ে লেদানোর কোন প্রয়োজন নাই। আপনাদের মধ্যে যদি কোন দুর্বলতা না থাকে তাহলে আপনারা দুজনে সরাসরি আলোচনা করেন।

আমিও সেটাই চেয়েছিলাম। তাই আরজুআপুকে সরাসরিই আমার আগের পোস্টগুলোতে তার কমেন্টের জবাব না দেবার কারণ বলেছিলাম। দেখেছি উনি বলে থাকেন, পছন্দ করা হোক বা না হোক সরাসরি বলাটাই তিনি আশা করেন, পছন্দও করেন। ব্যাপারটা সেখানেই সমাপ্ত হতে পারতো বা ভুল বুঝাবুঝিরও অবকাশ হতে পারতো যদি না মালটিগুলি এসে অযথা নিজেদের ভেতরের হিংসা দ্বেষ উগরাতে না আসতো।


অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। অনেক ভালো থেকো।


১০৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



মহাকাব্যিক পোস্ট। তবে আপনি আরও গুছিয়ে লেখতে পারেন ;)
দীর্ঘ পোস্ট হলে গুছানোর প্রশ্নটি বেশি করে আসে।

কিন্তু এতে পোস্টের মর্যাদা একটুও ক্ষুণ্ন হয় নি। সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী একটি লেখা।

অভিনন্দন জানবেন... প্রিয় সহব্লগার :)

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া এত রাত দুপুরে এই দীর্ঘ পোস্ট পড়ার জন্য আর এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য শ্রদ্ধা.......:)

১১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

উপপাদ্য বলেছেন: "সেদিন গুলশান ২ এর ৮৪ রোড দিয়ে যাবার সময় সাত সকালে দেখলাম একটি বহুতল ভবনের গেইটের সামনে এক মহিলাকে একজন চাবুক দিয়ে মারছে। চাবুক দিয়ে মানুষ মানুষকে মারে আমি শুধু সিনেমাতেই দেখেছি। চোখের সামনে কখনও দেখিনি। যদিও আমার মাথা ঘুরতে শুরু করেছিলো তবুও সেই আর্ত চিৎকার শুনে না থেমে পারা যায় না।

অনেকেই জড়ো হয়ে গেছিলো কিন্তু সেই বাসার দারোয়ানেরা বলছিলো সাহেব ম্যাডামকে মারছেন আপনারা জড়ো হচ্ছেন কেনো? সরে যান। আমি এত অবাক হয়েছি! এই মহিলাটার কষ্টের কথা, অপমানের কথা ভেবে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাইনি সেই বেশি। সে যাই হোক এই শতাব্দীতে এসেও এই দৃশ্য দেখতে হবে এমন ধনী একটি পরিবারে ভাবাই যায় না। লোকটা বলছিলো তার স্ত্রী নাকি সংসারের দিকে মন দেয় না তাই সে এই চাবুক কিনেছে এবং তাকে লজ্জা দিতে বাড়িতে নামেরে সবার সামনেই রাস্তায় টেনে নামিয়েছে সে।

এই দুঃসাহসী বোকা অমানুষকে কি বলবো! পরে পুলিশকে ফোন করা হলো। কিন্তু ফেরার সময় জেনেছি পুলিশ এসেছিলো বটে তবে তার বাড়িতেও নাকি ঢুকতে পারেনি। গেইট থেকেই বিদায় নিয়েছে।
সেদিন গুলশান ২ এর ৮৪ রোড দিয়ে যাবার সময় সাত সকালে দেখলাম একটি বহুতল ভবনের গেইটের সামনে এক মহিলাকে একজন চাবুক দিয়ে মারছে। চাবুক দিয়ে মানুষ মানুষকে মারে আমি শুধু সিনেমাতেই দেখেছি। চোখের সামনে কখনও দেখিনি। যদিও আমার মাথা ঘুরতে শুরু করেছিলো তবুও সেই আর্ত চিৎকার শুনে না থেমে পারা যায় না।

অনেকেই জড়ো হয়ে গেছিলো কিন্তু সেই বাসার দারোয়ানেরা বলছিলো সাহেব ম্যাডামকে মারছেন আপনারা জড়ো হচ্ছেন কেনো? সরে যান। আমি এত অবাক হয়েছি! এই মহিলাটার কষ্টের কথা, অপমানের কথা ভেবে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাইনি সেই বেশি। সে যাই হোক এই শতাব্দীতে এসেও এই দৃশ্য দেখতে হবে এমন ধনী একটি পরিবারে ভাবাই যায় না। লোকটা বলছিলো তার স্ত্রী নাকি সংসারের দিকে মন দেয় না তাই সে এই চাবুক কিনেছে এবং তাকে লজ্জা দিতে বাড়িতে নামেরে সবার সামনেই রাস্তায় টেনে নামিয়েছে সে।

এই দুঃসাহসী বোকা অমানুষকে কি বলবো! পরে পুলিশকে ফোন করা হলো। কিন্তু ফেরার সময় জেনেছি পুলিশ এসেছিলো বটে তবে তার বাড়িতেও নাকি ঢুকতে পারেনি। গেইট থেকেই বিদায় নিয়েছে"


এটুকু পড়ে রীতিমতো শিউরে উঠেছি। কল্পনার ধারে কাছেও কোনভাবে আনতে পারছিনা দৃশ্যটা। আহারে স্বদেশ..
তোমার পুলিশ শুধুমাত্র জামাত-শিবির-বিএনপিদের দেখা মাত্র হত্যা করার নির্দেশ পায়.......

১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া শুধু সেদিন নয়, এর পরে দু তিনদিন আমার মাথায় শুধু সেই দৃশ্য ঘুরেছে। আমি চাইছিলাম ঐ বাড়ির নাম্বারটাও আমার মন্তব্যে তুলে দিতে। পরে সাত পাঁচ ভেবে আর দিলাম না।

এই অমানবিকতা শুধু নারীদের উপরেই ঘটছে তাই নয়। এ থেকে নারী পুরুষ, শিশু কেউই নিরাপদ না। কারনতাই মনুষত্ব, বিবেক, শিক্ষা দীক্ষা বা সমাজ ব্যাবস্থার অবক্ষয়।

ঐ লোকের বাড়িতে পুলিশও ঢুকলো না কেনো সেটাই অবাক হলাম।:(

১১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

বিদগ্ধ বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা। আমি বলতে চাই, পৃথিবীর সকল নারী তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোক। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

শায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। নারীদের সাথে সাথে সমগ্র জাতি। দেশ কাল ভেদে সকল মানুষের মাঝে এই সচেতনতা ছড়িয়ে যাক।

১১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: খুব লম্বা সুন্দর পোষ্ট।
আজ সব জায়গায় নারীদের জয়।
অফিসের ইনক্রিমেন্টের দিকে নারীরা এগিয়ে।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

শায়মা বলেছেন: নারীদের ইনক্রিমেন্ট বেশি!!!!!!!!!

কোন অফিস! ঠিকানা দাও ! আমিও যাবো সেখানে।:)

১১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: হমমম

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

শায়মা বলেছেন: :)

এত গুরু গম্ভীর কেনো ভাইয়া? মন খারাপ?

১১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৫

বিজন রয় বলেছেন: দারুন সব আলোচনা চলছে।
++++

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮

শায়মা বলেছেন: আরও কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এখুনি শুরু করবো নাকি একটু দম নেবো ভাবছি।

১১৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৯

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: Ignore some people, some comments !

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

কেমন আছো ভাইয়ামনি?

আর ইগনোরের কথা বলছো..... সে আমার থেকে কে ভালো পারে!!!!!!!! :)

১১৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১২

বিজন রয় বলেছেন: একটু দম নেন, একটু ভেবে নেন।
তারপর করুন সেসব আলোচনা।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: হা হা ওকে তাই হোক।

আপাতত তুমিই বলো একটা ব্যাপারে----
একজন নারী ঘরে ও বাইরে যে কাজ করেন, পরিবারে তার অর্থনৈতিক স্বীকৃতি কি আছে? যেমন ধরো মাঠে একজন কৃষকের পাশাপাশি তার পরিবারের নারী সদস্য বা কিষানীর শ্রমের মূল্যও কম নয় কিন্তু নারী কিষানীটি পায় কি তার যোগ্য মর্যাদা?

ইটভাঙ্গা নারী শ্রমিকের মজুরির ক্ষেত্রেও দেখা যায় একই কাজ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি কাজ করেও তারা কম পারিশ্রমিক পান।- এ প্রসঙ্গে কি বলবে??

উপযুক্ড় পারিশ্রমিক পেলেই কি নারীর 'আর্থিক ক্ষমতায়ন' ঘটে?

সাম্প্রতিককালে গার্মেন্ট শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিক অনেক বেড়েছে কিন্তু উদয়াস্ত পরিশ্রম করে এবং নানা সামাজিক বৈষম্য ও জটিলতার মধ্য দিয়ে অর্জিত সেই অর্থের 'মালিকানা' কি তার? নাকি এর খরচ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপচয়ের মালিক পরিবারের পুরুষ সদস্যটি?

আজও নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন এবং তার মজুরির আর্থিক স্বীকৃতি এখনও বহুলাংশে কি অধরা নয়?

১১৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

যুগল শব্দ বলেছেন:

মানবতা আর সুন্দরের জয় হোক

পোস্টে অনেক ভালোলাগা +

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১০

শায়মা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থেকো।

১১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৯

রিপি বলেছেন: চমৎকার। সাথে অনেক কিছুই জানা হলো। অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম আপু। :)

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪২

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস রিপিমনি।:)

১১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লিখবো ছড়া,খেলবো ছড়া
আমার ইচ্ছে খুশী;
সামনে পেলে নির্ঘাত আপু
দিতই চর বা ঘুষি। :-B

বললো কে কি,হলো কি বা
এত্ত কেনো সুড়সুড়ি?
তাদের কথায় নাচছো তুমি
উঠলো মেজাজ তরতরি। X((

হাসিও পায় কান্ড দেখে
মাথায় কি নাই ঘিলু?
ছুড়ো এবার সব কটাকে
এইতো আছি........ইলু।:)

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শায়মা বলেছেন: ঠিক বলেছো লেখার সময়
ছড়া কিংবা বড়া
কেউ যদি জ্বালায় কভু
দিতে ইচ্ছা করে চড়া! ( চড়ের প্রতিশব্দ:))

যদিও তার সময়ও নেই
কিবা এলো গেলো
দৌড়াবো কি গাধার পিছে
চিলে কানটা নিয়ে গেলো!

মরুক ছুটে গোবর ঘুটে
হরু কিংবা গরু
তারপরেতে হড়বড়িয়ে পড়ুক
ঠ্যাংটা নিয়ে সরু!:)

মালটি নিয়ে টালটিবাজি
করতে এলো মালটিরাই
পড়ুক এবার নিজের খাদেই
দিলাম একটা বালতি তাই।

বালতি কেনো?
ভাবছো বুঝি?
ভরুক বসে বসে
দুঃখ, ব্যাথা, কুটনামীটা
যা ছিলো ক্ষোভে রোষে।

ইলু ভাইয়া কিলু ভাইয়া
নিয়ে আসো কিল
তারপর দাও দুপুশ ধাপুস
দিয়ে দিচ্ছি বিল!!!!!!!!!!!!!! :P







১২০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপুটা এত্ত পরিশ্রম করে কি ভাবে আমি ভেবে পাইনা।
এতো সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে কি ভাবে যে আপু ট্রেনের মতো লম্বা পোষ্ট করে মাথায় ধরেনা আমার।
আপুনি আপনাকে এবং আপনার পরিশ্রমকে ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থেকো অনেক অনেক!:)

১২১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো আমার নিকট অনেক প্রশ্ন রেখেছেন প্রতিউত্তরে।

কিন্তু আমাকে উত্তর করতে হলে তো অনেক সময় লাগবে।
অন্য কোন সময়ে কথা বলবো।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৪

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে।

১২২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মেগা পোষ্ট শায়মা
অনেক অনেক তথ্য চমৎকার ভাবে উঠে এসছে ।
শুভ কামনা :)

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ মনিরা আপুনি! :)

১২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: মনে হয় এ সমাজে আসলে তাকে বড় বেশি প্রয়োজন। - সহমত।
আগুন পোস্ট।
তবে আমি স্বপ্ন দেখি যেদিন আর নারীদের জন্য কোন দিবসের প্রয়োজন হবেনা। মানুষের কাতারে তারাও এসে সমভাবে উপস্থিত হবেন।
অঃটঃ ফেসবুক একাউন্ট কি জাকারবার্গে বন্ধ কইর‍্যা দিসে?

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই। নারী পুরুষের বৈষম্য পরের কথা, আগে সকলকেই মানুষ হিসাবে উন্নীতকরণ প্রয়োজন তখন তারা একে অপরের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা বা পূর্ণ অধিকারের বিষয়ে সচেতন হবে ও সেই মোতাবেক নিজেকে গড়ে তুলবে, এগিয়ে যাবে।

তখন দিবস হিসাবে কোনো নারী পুরুষের প্রয়োজন হবে না । সকল দিবস হবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের।

ফেসবুক এ্যাকাউন্ট আছে তো। জাকারবার্গ এখনও বন্ধ করেনি। :)

১২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

রাবার বলেছেন: ঠিক বলছো আপু নারী পুরুষের বৈষম্য দূর হোক।
+++++

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। শুধু বৈষম্য না। মানুষ বাঁচুক তার পূর্ণ অধিকার নিয়ে।

১২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

রাত্রি২০১০ বলেছেন: দারুন দারুন!! খুব ভাল লাগল আপু। হতভাগীদের কপাল যে ক বে ফিরবে!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

শায়মা বলেছেন: আপুনি কই ছিলে এতদিন???

কত কত দিন তোমার ব্লগে তোমাকে খুঁজেছি।:(

অনেক ভালো লাগছে তোমাকে দেখে।

আর পালাবেনা !:)

আর পোস্ট পড়ার জন্য অনেক থ্যাংকস।

হতভাগী আবার কি !!!!!! কপাল নিজেকেই ফেরাতে হবে। আর ফিরেনি কি?? সেই একশো বছরের পিছে ফিরে দেখো, সতীদাহ, বিধবা বিবাহ হতে আজকের নারী!!!!!!!! ফিরেছে আরও ফিরবেই।:)

১২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য সব পড়া হইছে।
শক্তিশালী পোষ্ট ।
নারী বেঁচে থাকুক তার কর্মে ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

শায়মা বলেছেন: এত কষ্ট করে এত বড় পোস্ট আর মন্তব্যগুলো পড়ার জন্য থ্যাংকস!

১২৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৭

জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা ওকে তাই হোক।

আপাতত তুমিই বলো একটা ব্যাপারে----
একজন নারী ঘরে ও বাইরে যে কাজ করেন, পরিবারে তার অর্থনৈতিক স্বীকৃতি কি আছে? যেমন ধরো মাঠে একজন কৃষকের পাশাপাশি তার পরিবারের নারী সদস্য বা কিষানীর শ্রমের মূল্যও কম নয় কিন্তু নারী কিষানীটি পায় কি তার যোগ্য মর্যাদা?

ইটভাঙ্গা নারী শ্রমিকের মজুরির ক্ষেত্রেও দেখা যায় একই কাজ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি কাজ করেও তারা কম পারিশ্রমিক পান।- এ প্রসঙ্গে কি বলবে??

উপযুক্ড় পারিশ্রমিক পেলেই কি নারীর 'আর্থিক ক্ষমতায়ন' ঘটে?

সাম্প্রতিককালে গার্মেন্ট শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিক অনেক বেড়েছে কিন্তু উদয়াস্ত পরিশ্রম করে এবং নানা সামাজিক বৈষম্য ও জটিলতার মধ্য দিয়ে অর্জিত সেই অর্থের 'মালিকানা' কি তার? নাকি এর খরচ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপচয়ের মালিক পরিবারের পুরুষ সদস্যটি?

আজও নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন এবং তার মজুরির আর্থিক স্বীকৃতি এখনও বহুলাংশে কি অধরা নয়

এই বিষয়ে আমি কি কিছু বলতে পারি? :P

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা বলো!

১২৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



দুর্দান্ত পোষ্ট আপু। এত্তগুলা প্লাস দিলাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!!!

অনেক অনেক থ্যাংকস!:)

১২৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৭

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: ফেইসবুক থেকে খবর পেয়ে আসলাম যে এই পোষ্টে ক্যাচাল হচ্ছে। ক্যাচাল না হলে আসলেই ব্লগকে ব্লগ বলে মনে হয়না। :)
যাই হোক দুর্দান্ত পোষ্ট। পোষ্ট পড়তে গিয়ে ক্যাচালমূলক কমেন্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।
অনেক শুভকামনা।
এত বড় পোষ্ট লেখার ধৈর্য রাখেন কিভাবে আপু? শেখা দরকার =p~

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

শায়মা বলেছেন: তেলাপোকাভাইয়া

থ্যাংকস আ লট কষ্ট করে আসার জন্য।

আর পোস্ট পড়তে গিয়ে কেচাল কমেন্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়েছো এটা শুনে হাসলাম আর আবার খুশিও হলাম।

যদিও হিংসুটে মালটা/কমলারা জানেনা কি করে তারা আমার হিট নিজেরাই বাড়িয়ে দেয়।

অনেক অনেক থ্যাংকস আবারও ভাইয়া।

এটা ধৈর্য্য কিনা জানিনা তবে গৎবাঁধা ইতিহাস/সমস্যা/প্রয়োজন/ চাই চাই আর কত তাই ইতিহাস বা সমস্যাগুলোর আলোকে আমার নিজের ভাবনাগুলোই লিখতে চেয়েছিলাম বা অন্যেরাও কে কি ভাবছে জানতে চেয়েছিলাম।

সবচেয়ে অবাক লাগে যখন আজও দেখি এই পরিবারে কন্যা শিশুর চাইতে পু্ত্রসন্তানটিই বেশি কাম্য। অবাক লাগে যখন দেখি মেয়ে বলে মেয়েটি যত কিছু সুবিধা বঞ্চিত হয়, একটি ছেলে বলেই ছেলেটি পরিবার তথা সমাজের অনেকখানেই সেই সুবিধা উপভোগ করে।

১৩০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

ডট কম ০০৯ বলেছেন: অসাধারন লেখনী। এই লেখা যেন কোন দিন যেন না থামে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

অনেক বেশি শুভকামনা আর ভালোবাসা।
নারী পুরুষ দু পক্ষই এগিয়ে যাক এক সাথে। কারো থেকে কেউ বেশি ক্ষমতায়ন না, সমতায়ন নীতিতেই বিশ্বাসী হয়ে উঠুক।

১৩১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আমার অ্যাগেইন টেস্ট পোস্ট নামের পোস্টটিতে একটু ঘুরে এসো সময় পেলে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া।

অবশ্যই যাবো। :)

১৩২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ১ টা পোস্ট যেন একটা বইয়ের পরিধি, তাও আবার শক্তিশালী ভাষা। আপু এভাবে হলে তো আপনার ব্লগেই পড়ে থাকতে হবে পাঠককে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: না না আমার ব্লগেই শুধু পড়ে থাকার দরকার নেই ভাইয়া। তবে এই লেখা পড়ার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস আর শুভকামনা। অনেক ভালো থেকো।

১৩৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: এরকম একটা পোস্ট লিখতে গেলে কতো খাটুনি দিতে হয়ে, কতো সময় ব্যয় করতে হয়...তথ্য উপাত্তগুলোকে সাজাতে হয়, কতো কষ্ট করতে হয়, অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য যারা করে তারা কি এগুলো চিন্তা করে? পোস্ট পুরোটা পড়েছি আমি। তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
ভাইয়া ব্লগে সব সময় এই টাইপ ব্লগারেরা ছিলো এবং থাকবেই। যাদের কাজই অন্যের পিছে সময় নষ্ট করা। তারা বিশেষ কিছু নিক চিনে রাখে তাদের টার্গেট বা হিংসামী মনোবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য।

যাইহোক তাতে কি কিছুই যাই আসে বলো???:)

ভাইয়া অনেক অনেক অনেক থ্যাংকস আবারও আর চাই তুমি আগের মত লেখালিখি করো এইখানে। হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরকে আবার ফেরাতে গিয়ে তো নিজেই হারিয়ে গেছিলে ভাইয়া। :(

১৩৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: দারুন পোস্ট।
++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

শায়মা বলেছেন: হায় হায় এতদিন পরে আবার বললে!

ভাইয়া!!!!!!!!! B:-)

১৩৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০০

নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: আমি ব্লগে এসেছি খুব বেশীদিন হয় নি। লেখাটি চোখে পড়তেও দেরী হয়ে গেলো। তবে এখন পর্যন্ত আমার চোখে এটিই সবচে পরিশ্রমী পোস্ট। শুভেচ্ছা নেবেন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২১

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

পরিশ্রমী বলতে আমি গৎবাঁধা কপি পেস্ট চালিয়ে দেইনি। আমি শুধু লিঙ্ক দিয়েছিলাম আর শেয়ার করেছি নিজস্ব ভাবনাগুলোই!

১৩৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২

নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: কপি পেস্ট মিন করিনি। পুরো সমন্বয়টা মিন করেছি। গদ্য তো খুবই পরিশ্রমের ব্যাপার। এ জন্য সবাই পারে না। আপনি পেরেছেন দেখে আনন্দিত বোধ করেছি। আর কিছু না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১

শায়মা বলেছেন: বুঝেছি ভাইয়া।:)

আমি বললাম আর কি আমার কথা।

পুরো সমন্বয় বা গদ্য নিয়ে লিখলে একটু সময় লাগে বটে তবে তোমার মত কেউ যখন একটু প্রশংসা করে তখন সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।

আবারও থ্যাংকস ভাইয়ামনি।:)

অনেক ভালো থেকো।

১৩৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

সুলতানা রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট শায়মা। +++

কেমন আছেন?

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: আপুনি!

অনেক ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? অনেকদিন পর আসলে মানে সেই যে গেলে আর আজ এলে। মাঝে মাঝে দেখে যেও নয়তো থেকেই যেও।

১৩৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

আবু শাকিল বলেছেন: আফা - ভালা আছেন নি।
আমি ভালা আছি।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

শায়মা বলেছেন: তুমি ভালা আছো?

কিন্তু.......

তোমার তো ভালা থাকার কথা না!:(

১৩৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

আবু শাকিল বলেছেন: ওহ!!! ভালা না থাকার কারন তাইলে বোচ্চেন।
ভদ্রলোক আপনার অনুপ্রেরণা পাইয়া কবি হইয়া হইছেন।ইহা তিনি নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন। জানতে পারলাম সম্প্রতি কবি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছে ।
আপনার কি কোন অনুভূতি নাই??

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন:

ওহ ঠিকই ধরেছি তাইলে। আমি জানতাম তুমি খারাপ আছো কারণ এইবার তুমি কবি হতে চলেছো। :) :) :)


তবে এতক্ষনে ইহাও বুঝিলাম, কবির বিবাহ বন্ধনে তুমি এত উলসিত তটিনী কেনো ???

১৪০| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

আবু শাকিল বলেছেন: আপ্নে এক্টু ফাক ফোকর পাইলেই হান্ধাই দ্যান :)
আমি দিলাম বাশঁ।সুযোগে আপ্নে গাছ সহ দিলেন।

কবির মনে অনেক আশা ছিল :)
দেখিছ আমরাও একদিন!!!!

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শায়মা বলেছেন: হা হা

তাইলে সাবধান ! বাঁশ গাছ নিয়ে খাঁটিয়া বানাও ভাইয়ু!:)

কবির বিদেহী আশা নিয়ে সগ্গে যাও! :P

১৪১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার মনে দয়া ও মায়া ও নাই।
পাথরের খনি -

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

শায়মা বলেছেন: কোন পাথর?

হীরক পাথর নিশ্চয়!!!!!!!!:) :) :)


যাইহোক নারী বিষয়ক পোস্টে তুমি কবি বিষয়ক কমেন্ট তুললে কেনো? তোমরা না অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য অপ্রদান সমিতিতে যোগ দিয়াছো!!!!!!!!! B:-)


"এখন নারীর মন পাথরের বন"
এ বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করিয়া মূল্যবান মতামত ব্যাক্ত করো। :)

১৪২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মহিলার ভাব দেখ
যেনো আমি সৎ ভাই;
উড়ে যান হেথা সেথা
মোর ব্লগে খোঁজ নাই...................হুহহ X( X((

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

শায়মা বলেছেন: সৎ বোন ওড়ে নাকি
এ বিশ্ব ভূবনে!
এই হেন ফেইক কথা
শুনেছো কি জনমে! B:-)

নাহ ভায়া মাথাটাও
গেলো বুঝি টসকে!
তাই বলো আলুঝালু
এ মুখটা ফোসকে!!! :-/

উড়ি আমি জানো নাকি
আমি পরী রাণী যে:)
সৎ ভাই টার্মটা কে শেখালো
কোন কানী যে!!!!!!!! X((

১৪৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জানি জানি কি বলবে
বিজি কি বা অসুস্থ;
মিছে কথা শুনে শুনে
হয়ে গেছে মুখস্থ।

একি গুল আর কত
শুনে কান ঝালাপালা;
সামুতে সকলে জানে
নানী দাদী ফুফু খালা।

মানুষের তিন হাত
ডান বাম অজুহাত;

কাহিনী নতুন বলো
পুরনো বহুত হলো। /:)

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

শায়মা বলেছেন: নতুন কাহিনী হলো
নিউ নিউ থিংকিং
এই মাথা ঐ মাথা
বুনছি যে রাত দিন!:)


বুনে তাতে রং দেবো
নক্সায় চড়িয়ে,
বক্সায় ভরে দেবো
কাঁথা কানি চড়িয়ে। :)

গ্রীস্ম কি বরষায়
কিংবা তা ফাগুনে
জ্বলজ্বল জ্বলবে
দাউ দাউ আগুনে। :P

১৪৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩০

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কি আমার ওখানে আর আসবেন না?

কি জানি!!!

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২১

শায়মা বলেছেন: আসবো তো ভাইয়া!

আসবো না কেনো!!!!!

কালকের অনুষ্ঠান শেষ হলেই আবার সবখানে যাবো !:)

১৪৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

কালীদাস বলেছেন: শুনলাম লেজ কাইট্টা ফালাইছেন :) অভিনন্দন :)

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!!!

কি আর করা কিছু লেজবিশিষ্ঠ জীবের লেজ কাটতেই হলো !!!!!কাটতাম না হয়তো কিন্তু কাটাতে আমাকে বাধ্য করা হলো !!!!!:)


তুমি এতদিন পর পর কই থেকে আসো?

কই থাকো আজকাল ভাইয়ামনি!!!!

১৪৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

কালীদাস বলেছেন: সময় পাই না আপা, একেবারেই না। আজকে থেকে ৫দিনের একটা বন্ধ পেলাম, ঠিক করেছি আজকে কোন কাজ করবনা। তাই বিনোদনের জন্য আসা :)

আমার লেজটা কাটার জন্য কতজন মুরব্বী আমারে ধাওয়া করতাছে, সংখ্যাটা মনে হলেই আতংকে হাতপা....

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

শায়মা বলেছেন: হা হা তুমি যেই লেজের কথা বলেছো আগেই বুঝেছিলাম তবুও একটু ঢং করলাম আর কি! জানোই তো আমি একটু না অনেক অনেক ঢঙী। :P


তবে সেই লেজ কাটবে আমার কার সাধ্য আছে ভাইয়ু!!!!!!! জানোনা আমার লেজ নেই আমার আছে পাখা!!!!!!! :P


আমারও তিনদিন ছুটি। আমিও আর সময় পাইনা আগের মত ভাইয়ু!!!!! :(

তবুও সামু খুলে রাখি। মাঝে মাঝে একটু উঁকি ঝুকি দেই। আবার মাঝে মাঝে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকি যদিও টাইম নষ্ট করি না আর একদম!!!!!!!:)

১৪৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

বিদগ্ধ বলেছেন: হাই!! শায়মা... কেমন আছেন?
বিশাল বড় গবেষণা করেছেন। নারীর অগ্রগতি কেউ আর থামাতে পারবে না।
কালক্রমে পুরুষেরা বিরোধীদলে চলে যাবে, সেখানে থাকবে আমৃত্য।
অনেকেই ইতোমধ্যে চলেও গেছে, স্বীকার করে না। পৌরুষত্ব যায় যায়!

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

শায়মা বলেছেন: না না বিরোধী দলে যাবে কেনো?

পৃথিবীতে কি শুধুই অত্যাচারী পুরুষই আছে!!!!!!!!
আমাদের কি নেই অনেক অনেক ভালোবাসার এক জন বাবা?
নেই আদরের বা শ্রদ্ধার ছোট বা বড় ভাই?

নেই কি প্রেমময় প্রেমিক?

সবাই কি খড়গ নিয়ে বসে থাকি নাকি!!!!!


কি বলো ভাইয়া!!!!!!!!:(

আমি কি সবাইকেই জেনেরালাইজ করেছি!!!!!!!:(


ভুল ভুল ভুল!!!!!!!!!!

১৪৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

বিদগ্ধ বলেছেন: লেখক হিসেবে আপনাকে যা বলার তা প্রথম দু'লাইনেই বলেছি। বাকিটুকু পাঠকের ভবিষ্যদ্বাণী। আপনার লেখাকে দায়ি করছি না। অনেক ভালো লেখেছেন। প্রতিটি ছত্রে আমি একমত। ব্যাপারটি হলো যে, নারীর ক্ষমতায়ন একটি অনিবার্য পরিণতির দিকে যাচ্ছে। একে আর কেউ থামাতে পারবে না। এখানে ভালো পুরুষ, বা খারাপ পুরুষ বলে কিছু নেই। বরং জেনারেলাইজ করেছি আমি। করার কারণও বলেছি। ভালো থাকবেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া। অনেক অনেক থ্যাংকস আবারও এসে মন্তব্য দেবার জন্য!:)


একটা গান শুনছি। তুমিও শোনো।:)

https://www.youtube.com/watch?v=BcEPCaZzaWg

১৪৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নারী জন্মের পূর্ণ সার্থকতা ও সফলতাটুকু নিয়ে।

---সহমত পোষণ করছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংকস ভাইয়া।

১৫০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

বার্তা বাহক বলেছেন: অসাধারণ! ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, “মানব দেহে যেমন দুই চোখ, দুই হাত, দুই পা, সমাজ দেহে তেমনি নর-নারী। যে দেহে এক চোখ কানা, এক হাত লুলা, এক পা খোঁড়া, সে দেহ বিকলাঙ্গ। নারী জাতির সুষ্ঠু উন্নয়ন ব্যতীত সমাজকে সমুন্নত বলা যাবে না।” ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

শায়মা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থেকো।

১৫১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

ফারিহা নোভা বলেছেন: অসাধারণ লেখা আপনার আপু। বিনম্র শ্রদ্ধা জানবেন ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনিমনি!

অনেক ভালো থেকো!!!!!!:)

১৫২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

এহসান সাবির বলেছেন: কোথায় যেন লিখেছিলেন এই বছর আর পোস্ট নয় এই রকম কিছু.... নাকি আমার ভুল হচ্ছে..!! যাই হোক পোস্ট দেখে ভালো লাগছে আপু।
শুভেচ্ছা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪০

শায়মা বলেছেন: হুম! এ বছর অনেক ব্যাস্ততায় কাটবে বলেই বলেছিলাম এ বছরে নো মোর পোস্টস। বাট জানোই তো সময়ের প্রয়োজনে চয়েস বদলে যায় মাঝে মাঝে!

থ্যাংক ইউ ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থেকো।

১৫৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

জীবন সাগর বলেছেন: নারীকুল ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত আন্তরিকভাবে।

নারী বৈষম্য দূর হোক প্রতিটি সমাজ থেকে, এই প্রত্যাশা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!

নারীদের জন্য তোমার শুভকামনা অক্ষয় হোক। :)

১৫৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তারচে বরং কালের আয়না বলি।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮

শায়মা বলেছেন: কি বলো ভাইয়া!!!!!!

কালের আয়না আবার কি?

১৫৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ব্লগার শায়মা
শায়মাতে সারি সরি ‘ছড়া’ ছড়াছড়ি
নারী নিয়ে কত কথা কত কথকতা
ভাবনায় নেই তার নেই অলসতা
অপসরা তাকে ভেবে খায় গড়াপড়ি
দু’জনার মিলতাল কি যে জড়াজড়ি
পলাশের লেখনিতে ঝরে আকুলতা
যেন তিনি মুক্তা ঝরা রত্ন অবারিতা
কথা তার ঝরা ফুল, ঝরে কুড়ি কুড়ি।
শায়মাপি শায়মাপি আহা কি যে তার
জনে জনে জানা জানি, জানি মনে মনে
লিটনের ছড়াকাব্য পেয়ে উপহার
কি মনে যে ভাবে তিনি ভাবি আনমনে।
তারে নিয়ে লিখতেই কথা ভুরি ভুরি
ঘিরে ধরে আমারে যে আহা মরি মরি!

# ছন্দঃ অমৃতাক্ষর
# অন্তমিলঃ কখখক কখখক ঘঙঘঙ চচ
# বর্ণ বিন্যাসঃ চার চার দুই চার
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৯

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা সেখানে যাচ্ছি ভাইয়া!!!!!!!! :)

১৫৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কালের আয়না হলো যে আয়নায় কালের সব অবিকল দেখা যায়। আপনার পোষ্টের মূল্যায়নে এটা লেখা হয়েছে।
আর মন্তব্যে দেওয়া সনেট দিয়ে একটা পোষ্ট করেছি প্রথমেই আপনার মন্তব্য চাই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২০

শায়মা বলেছেন: ওকে!!!!!!!! :)

১৫৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কবিতাতে কিছু ভুল হয়েছে পোষ্টে সেরেছি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া!:)

১৫৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

কাবিল বলেছেন: ১৫৮ মন্তব্যটি দেখা হলে কেটে দিও আপু।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

শায়মা বলেছেন: ওকে মুছে দিয়েছি ভাইয়া!

রকমারীতে দিলেই জানাবো! :)

১৫৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

নাজনীন১ বলেছেন: শায়মাপু, তোমার এই বিশাল লেখা দেখে আমি রীতিমত অণুপ্রাণিত। এত্তো বড় লেখা! অনেক তথ্যবহুল। প্রিয়তে!

কিছুদিন ধরে মনে মনে ভাবছিলাম নারীর ক্ষমতায়ন বা আর্থিক স্বাধীনতা নিয়ে কিছু একটা লিখবো, আরো মাথায় আছে সমাজে তৃতীয় লিঙ্গরূপী নারীদের জীবন, পারিবারিক অধিকার, নিরাপত্তা নিয়ে কিছু লিখবো। কিন্তু আজকাল ফুসরত পাই কম, মাথাও কাজ করে কম। এ নিয়ে ভাল একটা পড়াশোনা, জানাশোনা দরকার। তুমি কিছু একটা লেখ না এটা নিয়ে, আমারো একটু মাথা খোলে.।.। ম্যালাদিন ব্লগে বড় পোস্ট না লিখতে লিখতে অলস হয়ে গেছি, একটু প্রেষনা পাওয়া যাবে তোমার লেখা থেকে।

ভাল থেকো। তোমাকে সবসময়ে বহমান দেখে ভালই লাগে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি!

তুমি না পি এইচ ডি করছিলে?

তোমার সাবজেক্ট কি ছিলো?

শিশুশিক্ষা বা এমন কিছু মনে হচ্ছে।

তুমি এত দিন কোথায় ছিলে আপুনি!

যাইহোক আমি আসলেও বহমান...... সেটা দেখে মাঝে মাঝে আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই....
একটা মাথার ভূত নামাতে না নামাতেই আরেকটা চেপে বসে ......


তবে ভূতগুলো নিয়ে আমি ভালোই থাকি, আনন্দে থাকি ....

আচ্ছা লিখবো ..... তোমার কথা আমার মাথায় থাকবে আপুনি .....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.