নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

!!২৬শে মার্চ- বাংলাদেশের স্বাধীনতা- কেউ কখনও খুঁজে কি পায় সেই স্বপ্নলোকের চাবি!!

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৯


স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,
কে বাঁচিতে চায়,
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে,
কে পরিবে পায়!
আমার এ ক্ষুদ্র জীবনে বুদ্ধি হবার পর থেকেই যখনই "স্বাধীনতা" এ শব্দটি আমার কানে বেঁজেছে, সাথে সাথে প্রাণে বেঁজেছে রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত "পদ্মিনী" উপাখ্যানে এই উক্তিটি। শুনেছি যুগে যুগে সকল স্বাধীনতাকামী স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র হিসেবে কাজ করেছিলো রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বাক্যগুলি।

আমরাও বাঁচতে চাইনি স্বাধীনতাহীনতায়, থাকতে চাইনি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আব্দ্ধ হয়ে আর তাই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রারম্ভে পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে শুরু হয়েছিলো স্বাধীন সূর্য্যপানে আমাদের পদযাত্রা, মুক্তির সংগ্রাম। নয় নয়টি মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ই ডিসেম্বরে এসেছিলো বিজয়। আমরা হয়েছিলাম প্রকৃত স্বাধীন। স্বাধীন বা স্বাধীনতার তকমা এটে নিয়েছিলাম আমরা প্রতি বাঙ্গালীর গায়ে কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা আসলেই কি? আমরা কি তা জানি? কি তার মূল্য? এই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব কার? স্বাধীন হয়েও পরাধীনতার দায়ভার কে নেবে? এসব কি ভেবেছি আমরা এই এতগুলো বছরে একটাবারও?

২০১৬ এর ২৬ শে মার্চ। এ দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। যদি এ দিনটিকে বাংলাদেশের জন্মদিন বলে ধরে নেই তবে বাংলাদেশের বয়স হলো ৪৫ বছর। পয়তাল্লিশ বছর খুব কম সময় নয়। এ বয়সে একটি মানুষ তার জীবনের সাফল্যমন্ডিত সময়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকেন। মেধা, মনন, জ্ঞানে গরীমায় থাকেন ক্ষুরধার মহীয়ান।

এ বয়সে একজন মানুষ নিজের কৃত কর্মগুলি আত্মপোলদ্ধি করতে পারেন, করতে পারেন আত্মসমালোচনাও। একটি দেশ, তথা জাতিরও আসলে এ বয়সে এসে আত্ম সমালোচনার প্রয়োজন। প্রয়োজন আত্মপোলদ্ধির। পেছনে ফিরে তাকানোর বড় প্রয়োজন তার প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি বা হিসেব নিকেশের খতিয়ানের দিকে। প্রতি বছর আসে স্বাধীনতা দিবস। স্মৃতিসৌধগুলি ভরে যায় ফুলে ফুলে। আমরা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি বীর অকুতোভয়, আত্মত্যাগী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে, যারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে দিয়ে গেছেন আমাদের এই স্বাধীনতা। এই দিন আসে, আবার চলেও যায়।

কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কি অধরাই থেকে যায় না? এ বোধ শক্তি কি আমাদের আছে? আমাদের কর্ণধারেরা, আমাদের জন সাধারণ তারা কি আসলেই ভাবেন সত্যিকারের স্বাধীনতা নিয়ে? এ দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে ক'জনে আলোচনা করি আমরা? আজ বাংলাদেশের এই ৪৫ বছর বয়সে আত্মসমালোচনার বড় প্রয়োজন। জাতি হিসাবে আমাদেরও প্রয়োজন আত্মপোলদ্ধির। কিন্তু কারা করবে সেসব?

আমরা কি কখনও ফিরে তাকাই আমাদের দিকে? একবারও কি তাকিয়েছি? আমরা কি তাকিয়ে দেখি আমাদের স্বাধীনতার বয়সের কাছাকাছি আরও কিছু দেশের দিকে? তাদের উন্নতির সোপান আজ অনেক উঁচুতে। তাদের অবস্থান আজ বাংলাদেশের অবস্থানের সাথে অনেকটাই বৈষম্যমূলক নয় কি? তারা এগিয়ে গেছে যে গতীতে আমরা কি তা পেরেছি?

তাহলে আমাদের বাঁধা আসলেই কোথায়? কি আমাদের প্রতিবন্ধকতা! কে আমাদের সামনে দেওয়াল তুলে রেখেছে? কি নেই আমাদের? আমাদের আসলেই কিসের অভাব? এসব নিয়ে ক'জনে ভেবেছি?

বিশ্বের অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় আমাদের মত প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যতায় অনেক কম হবার পরেও কৃত্রিমভাবে হলেও পর্যটকদের জন্য কিভাবে তা আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।
কিন্তু আমরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের অধিকারী, আমাদের রয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার,আমাদের রয়েছে সুবিস্তৃত সী-বিচ কক্সেস বাজার, অপরূপা সেইন্ট মার্টিন,আমাদের রয়েছে সীতাকুন্ড, মাধবকুন্ড সহ আরও নানা প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য, বান্দরবান, বগালেক, মহাস্থান গড়,কান্তজীর মন্দিরসহ আরও আরও প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। আমরা কি তা সঠিকভাবে অন্তত সংরক্ষনও করতে পারছি? আমাদের স্বাধীনতার পর হতে পাওয়া সকল প্রাপ্তি কি প্রত্যাশার তুলনায় খুবই নগন্য নয়?



স্বাধীনতার এতগুলো দিন পরেও এখনও আমরা তর্ক করি স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মূলভিত্তি নিয়ে। এতে কি তরুন প্রজন্মরা হচ্ছে না বিভ্রান্ত? এভাবেই কি ভবিষ্যৎ বংশধররা হবে না আরও বেশী বিভ্রান্ত?

যদি আমরা স্বাধীনতার চার মূলনীতির দিকে তাকাই, দেখবো-

১ - গনতন্ত্র
২ - সমাজ তন্ত্র
৩ - ধর্ম নিরপেক্ষতা
৪ - বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ

১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর মাত্র ১ বছরের মাথায় মহান জাতীয় সংসদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়, যেখানে মূল নীতি হিসেবে ছিলো এই বিশেষ ৪ টি নীতি। আমাদের ১৯৭২ এর সংবিধান এর চার মূলনীতি, বাংগালী জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকেই বুঝি। সময়ের সাথে সাথে এই চেতনার বৈষম্য, যথার্থতা নিয়ে নানা প্রশ্ন এসেছে । আসলে মুক্তিযুদ্ধকালীন চেতনার প্রথমটি ছিলো সকল মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা। সেই সময়ে মুক্তিকামী প্রত্যেকেই পাকিস্তান নামক দেশটির প্রভুত্ব চালানোর বিরোধী ছিলো।

এর পরবর্তী সেকেন্ড স্টেপ বা বিস্তারিত চেতনা ছিলো গনতন্ত্র। মুক্তিকামী লোকদের অধিকাংশই মনে করতো এই দেশ জনগনের আর জনগনই এই দেশের ভাগ্য নিয়ন্তা। এই দুটি প্রাথমিক চেতনার স্তরের পরেই ছিলো অন্যান্য বিষয়গুলি, বৈষম্যহীন সমাজ, বাংগালী সংস্কৃতি এরকম অন্যান্য ব্যাপারগুলো। গনতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম প্রধান অংশ। কিন্তু আজ এই চেতনা সেই গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে নিজেকেই একটি চরম বৈপরীত্যমূলক ধারনার সৃষ্টি করেছে। এই ধারণাটির দ্রুত নিরাময় প্রয়োজন।

বইয়ের ভাষায়, গণতন্ত্র কোন জাতিরাষ্ট্রের এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতি নির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহনের সমান সু্যোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। যদিও শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় তবে অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

ধনী, গরীব নির্বিশেষে, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সাধারণ জনতার জন্য সমান ভাবে এই গণতন্ত্র, শাসন ব্যাবস্থা কি সত্যিই আছে আমাদের দেশে? হ্যাঁ আছে তা গুটিকয় মানুষের জন্য তবে তা অবশ্যই সকলের জন্য নয়। সাধারণ মানুষ থানায় একটা জিডি নিয়ে গেলে নানা ছুঁতোয় তাকে ঘোরানো হয়, জিডি নেওয়া হয় না। ক্ষমতাবান মানুষের সবই আছে অথচ সাধারন জনগণের জন্য কিছুই নেই।

সত্য কথা প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, মুক্ত চিন্তা প্রকাশ করলে তাকে হতে হয় হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতার স্বীকার। জ্ঞানীজনের জ্ঞান প্রকাশের ক্ষমতা নেই। সত্যবাদীর জন্য সন্মুখে প্রস্তুত খড়গ। সত্য বললেই তা নেমে আসবে ঘাড়ে। তবে কি গনতন্ত্রের পূর্ন স্বাধীনতা আমরা কখনই ভোগ করবো না? বাড়ির বাইরে পা বাড়ালেই নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা। কে দেবে আজ জীবনের নিরাপত্তা!

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গেলে কতগুলো বিষয় উন্নয়ন অতীব জরুরী। শিক্ষার অগ্রগতী, মানবিকতার সুষ্ঠ শিক্ষা, নিজস্ব মত প্রকাশের অকুতভয় হবার দীক্ষা। আমাদের দেশে শিক্ষার হার এখনো অনেক কম বর্তমানে যদিও আগের তুলনায় শিক্ষার হার বেড়েছে তবে প্রতিটা মানুষকেই শিক্ষিত করা বা হওয়া সম্ভব হয়নি। দেশকে মেধাশূন্য করবার জন্য বরং সদা প্রস্তুত কিছু ড্রাকুলা গোত্রীয় শোসক শ্রেণী।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য সম্পদ-স্বাধীনতা মূল দলিল। পৃথিবীতে খুব কম দেশ বা জাতি আছে যাদের এ ধরনের মহামূল্যবান দলিল বা সম্পদ আছে যার ভিত্তিতে স্বাধীনতা লাভ করেছে। আমাদের ঘোষণাপত্রটি ঘাটলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে আরও পাওয়া যাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এসব অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি।

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এসব চেতনার সাথে কে দ্বিমত করবে? এই চেতনাগুলোর মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে জাতীয় ঐক্যমত হতে পারে। মৌলিক বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত ছাড়া জাতি সামনে এগুতে পারে না।

আর কিছুদিন পর পার করবো আমরা স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমরা কি এখনও জানতে পারবো? মুক্তিযুদ্ধে সঠিক কতজন লোক শহীদ হয়েছেন? প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যা কত? রাজাকারদের সঠিক সংখ্যাইবা কত? এগুলোর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা মোটেই কঠিন ছিল না। শুধু দরকার ছিল সদিচ্ছার। এগুলো ছিলো অতি আবশ্যকীয় কাজ। এই কাজগুলি সুচারূরূপে করা হলে আর আজ থাকতো না এত দ্বিধা দ্বন্দ, মতভেদ। কিভাবে দূর হবে এই সব বাঁধা? কিভাবে গড়ে তুলবো আমরা ইউনিটি বা ঐক্যবদ্ধতা ? এসব নিয়ে কি আজও ভাবনার সময় আসেনি?

মোরা বন্ধনহীন, জন্ম স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল
আবারও আসি- স্বাধীনতা মানে কি? এক কথায় স্বাধীনতা মানে আমার চোখে নজরুলের এই লাইনটি- বন্ধনহীন, জন্ম স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল। স্বাধীনতা মানে স্বাধীন চেতনায় বাস করা । এই চেতনা বাস করে একজন মানুষের চিন্তা, চেতনা ও মগজের ভেতরে। সূর্যসেন, তীতুমীর, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা কিংবা রবীন্দ্র-নজরুল ছিলেন স্বাধীন চিন্তা, চেতনা ও বোধের অধিকারী। তারা ছিলেন চিন্তায়, মেধায়, মননে বন্ধনহীন, জন্ম স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল।

আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বা স্বাধীনতার সংগ্রামে সেই সাত কোটি বাঙ্গালিই হয়ে উঠেছিলেন সেই তীতুমীর , সূর্যসেন, প্রীতিলতা। এমন স্বপ্ন বাঙ্গালী আগে কখনও দেখেনি একই সাথে, একই চেতনায় আর কখনও উদ্ভুদ্ধ হয়নি তারা। চিন্তায়-বোধে-চেতনে, মননে এমন বোধন বাঙ্গালির আগে আর আসে নি, হাজার বছরের ইতিহাসে আর কখনো সেই অকুতভয় সাত কোটি বাঙ্গালিকে মনে হয়নি এতখানি সংকল্পবদ্ধ, দৃঢ় মনোবল। আর তাই বাঙালি জাতি স্বাধীন হয়েছিল সত্যিই সেই একাত্তরের ২৬ শে মার্চেই। স্বাধীন বাঙালি জাতিকে লড়তে হয়েছিল স্বাধীনতার শত্রুদের সাথে নয় নয়টি মাস, ডিসেম্বরে ঘটেছিল যেই লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়।

কিন্তু স্বাধীনতা কি চিরস্থায়ী হয়েছে?
হয়তো আজ দেশটা স্বাধীন, কিন্তু আমরা কি পরাধীন নই? সাম্প্রদায়িকতা থেকে শুরু করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস- প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পরাধীনতার বেড়ি আমাদের পায়ে কিন্তু এর দায় কি আমাদেরই না?

আমাদের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতার শপথের কাছে-

আমাদের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ বাক স্বাধীনতা দানের আশ্বাসের কাছে-

আমাদের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ নারী পুরুষ নির্বিশেষে নিরাপত্তার কাছে-

আমাদের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ আমাদের বিবেকের কাছে-

আমরা কি চিন্তা ও মননে আবার হতে পারি না স্বাধীন? সবাই মিলে হতে পারি না একতাবদ্ধ? আমাদের গলায় যদি থাকে একই গান এবং লড়াই করতে পারি একই সাথে, এই সাম্প্রদায়িকতা থেকে শুরু করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস,স্বাধীনতার সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে, একাত্তরের সেই সময়ের মত করে, পরাধীনতা থেকে তাহলেই হবে মুক্তি।

মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রান হলো বলিদান লেখা আছে অশ্রুজলে....
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন লাখো বাঙ্গালী। তবে মুক্তিকামী স্বাধীনতাকামী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী অগ্রজদের কথাও অবিস্মরণীয়। তাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েও ঘটেছিলো পরবর্তী বিপ্লবগুলো।
মুক্তিকামী অগ্রদূতেরা----

সূর্য সেন
সুভাষচন্দ্র বসু যে বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দল গঠন করেছিলেন, তার আদলে মাস্টারদার চট্টগ্রামের দলে তিনি জিওসি হন। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসে নির্বাচিত হওয়ার পর সূর্য সেন যে ‘বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেছিলেন, গণেষ ঘোষ ছিলেন তার পাঁচ সদস্যের অন্যতম সদস্য। অপর সদস্যেরা হলেন মাস্টারদা নিজে, অম্বিকা চক্রবর্তী, নির্মল সেন ও অনন্ত সিং। পরে পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের নাম পালটে ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা’ রাখা হয়।
পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই প্রয়োজনীয় অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বিভিন্ন অস্ত্রাগার দখলের কর্মসূচি গ্রহণ করেন বিপ্লবীরা। গণেশ ঘোষ ছিলেন এই অভিযানের ফিল্ড মার্শাল। রাত দশটা পনের মিনিটে বিপ্লবীরা সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করেন। বিপ্লবীরা একের পর এক অতর্কিত আক্রমণ করে সরকারি অস্ত্রাগার, টেলিফোন কেন্দ্র, টেলিগ্রাফ ভবনসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নেন, যা ছিল দেড়শত বছরের ইতিহাসে ইংরেজদের জন্য খুবই অপমানজনক ঘটনা। এটি ছিল সরাসরি ইংরেজ বাহিনীর প্রথম পরাজয়।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ, অগ্নিকন্যা খ্যাত বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে ১৯৩২ সালে ডিসটিঙ্কশনসহ বিএ পাস করেন।
বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে অস্ত্রলুট, রেললাইন উপড়ে ফেলা, টেলিগ্রাম-টেলিফোন বিকল করে দেওয়াসহ ব্যাপক আক্রমণ হয়। এই আন্দোলন সারাদেশের ছাত্র সমাজকে উদ্দীপ্ত করে। এই আক্রমণ চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ নামে পরিচিতি পায়। চাঁদপুরে হামলার ঘটনায় বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির আদেশ হয়। তিনি যখন আলীপুর জেলে বন্দি তখন প্রীতিলতা রামকৃষ্ণের বোন পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতেন। রামকৃষ্ণের প্রেরণায় প্রীতিলতা বিপ্লবী কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৩১ সালে ৪ আগস্ট রামকৃষ্ণের ফাঁসি হবার পর প্রীতিলতা আরও বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন।
ঠিক ঐ সময়েই তখনকার আরেক বিপ্লবী কন্যা কল্পনা দত্তের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রীতিলতার। বিপ্লবী কল্পনাদত্তের মাধ্যমে মাস্টার দার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন প্রীতিলতা। ১৯৩২ সালের মে মাসে প্রীতিলতার দেখা হয় মাস্টারদা ও বিপ্লবী নির্মলসেন এর সঙ্গে। তাদের কাছ থেকিই অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ লাভ করেন তিনি।
১৯৩২ সালে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। ওই বছর ১০ আগস্ট আক্রমণের দিন ধার্য করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে নারী বিপ্লবীদের নেতৃত্বে আক্রমণ হবার কথা হয়। আর নেতৃত্বে থাকে কল্পনাদত্ত। কিন্তু আক্রমণের আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কল্পনাদত্ত। তাই নেতৃত্ব দেয়া হয় প্রীতিলতাকে। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে সফল হন বিপ্লবীরা। প্রীতিলতা সে দিন পুরুষের বেশে আক্রমণ যোগ দেন। জয়ী হয়ে নিরাপদ আশ্রায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন প্রীতিলতা। এই অবস্থায় ধরা পড়ার আগেই সঙ্গে থাকা সায়ানাইড খেয়ে আত্মহুতি দেন তিনি।

ক্ষুদিরাম
ক্ষুদিরাম। বিপ্লবীদের অন্যতম আদর্শ। তার এই আত্মত্যাগ এক সময় এই অঞ্চলের মানুষকে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলো। তার জন্য হৃদয় হতে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। এই দূর্লভ ছবিটি ক্ষুদিরামের; তাকে ফাঁসির জন্য যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো সেই সময়ের।

বাঘা যতীন
বাঘা যতীনের জন্ম আমাদেরই বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে। ভারতবর্ষে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে যাঁরা সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, এই সংগ্রামে যাঁদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, দুশ’ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তিমূলে আঘাত হেনে স্বাধীনতা অনিবার্য করে তুলেছে- তাঁদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৭৯-১৯১৫), যিনি ‘বাঘা যতীন’ নামে সমধিক পরিচিত। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস ও শৌর্যবীর্য তাঁকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম পংক্তিতে স্থান দিয়েছে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উড়িষ্যার বালাশোরের কপ্তিপোদায় ইংরেজ বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছিলেন তিনি। অন্তিম নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে এই মহাবীর বলেছিলেন- “আমরা মরব দেশ জাগবে”।

মওলানা ভাসানী
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক, আফ্রো-এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকার নিপীড়িত দেশ, জাতি ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামের অন্যতম পথপ্রদর্শক, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যান মওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি আজীবন শোষিত মানুষের পক্ষে নিয়ে শাসকগোষ্ঠীকে দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব সময় থেকেছেন আপসহীন নেতৃত্বের ভূমিকায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন কেবলমাত্র নয় মাস সময়সীমার ভেতর আবদ্ধ ছিল না। ঔপনিবেশিক বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয় বলে অধুনা ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে। তবে তারপর বৃটিশরা বিদায় নিলেও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সামরিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির জন্য বাঙালিকে আরও দুই যুগ সংগ্রাম করতে হয়েছে, যার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে স্বাধীন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনন্যসাধারণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় কণ্ঠ, প্রিয় মুখ, প্রিয় নাম-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙ্গালি বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন, তার আত্মপরিচয়ের ঠিকানা, অহঙ্কারের সাতকাহন, আত্ম মর্যাদার প্রতীক-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
নেতার আদেশে হাজার হাজার নিরস্ত্র জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর ট্যাংকের সামনে, অবুঝ কিশোর তাজা রক্তের আখরে লিখে যায় মাতৃভূমির রক্তঋণ শোধ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, অশ্রু সজল জননী প্রাণপ্রতিম সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়ে দেন অবলীলায়, আবালবৃদ্ধ-বণিতা লিপ্ত হয়ে পড়ে সর্বাত্মক এক জনযুদ্ধে।

বৃটিশ ভারতে বাঙালিসহ ভারতকর্ষের সকল জাতিসত্ত্বার সংগ্রাম ছিল একসূত্রে গাঁথা- প্রধান লক্ষ্য ছিল ইংরেজ বিতাড়ন। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম যা কখনও সশস্ত্র অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল- অনুপ্রাণিত করেছে ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। তবে স্বাধীনতার বেদিমূলে বাঙালির মত এত রক্ত অন্য কোনও জাতিকে দিতে হয়নি।
বৃটিশ ভারতে ক্ষুদিরাম, বাঘা যতীন, প্রফুল্ল চাকী, সূর্য সেন, প্রীতিলতাদের অপরিসীম দেশপ্রেম, সাহস ও আত্মদান শুধু ভারতবর্ষ নয়, ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামরত যে কোনও জাতির অনুপ্রেরণার উৎস। আর আমাদের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার সংগ্রামে বাঙ্গালী দিয়েছিলো নির্দ্বিধায় জীবন।

কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙ্গা, বন্দীশালার ঐ শিকলভাঙ্গা
তারা কি ফিরবে আর!
তারা কি ফিরবে এই সুপ্রভাতে
যত তরুন অরুণ গেছে অস্তাচলে!

তারা হয়তো আজকের এই সুপ্রভাতে ফিরবে না। তবু স্বর্গ থেকে ঠিকই দেখবেন তারা। তাদের সেই অশ্রুজলের লেখা কিছুটা শান্তি পাবে। যদি সবাই মিলে রক্ষা করি আজ আমরা তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। যে জীবন স্বাধীনতার জন্য, স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য নিবেদিত হয়েছিলো, সে জীবনের এতটুকু প্রশান্তি রক্ষার দায়ীত্ব তো আমাদেরই।

আমরা সমাজের দোষ দেই, দোষ দেই রাজনৈতিক হানাহানি, ক্ষমতার লড়াই বা সমাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়সহ নানা নিয়ামকের। দোষ দেই একতাবদ্ধতার। তবে একটা কথা ভুললে চলবেনা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলিকনা থেকেই গড়ে ওঠে মহাদেশ, বিন্দু বিন্দু জলেই গড়ে ওঠে মহাসাগর।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে....
তবে একলা চলো রে.....
হ্যাঁ আমাদের হাতেই আসলে রয়েছে সেই স্বপ্নলোকের সোনার চাবিটি। যা কিছু আজ অধরা মনে হচ্ছে আমরা চাইলেই তা হয়ে উঠতে পারে অতি সহজ। প্রয়োজন শুধু প্রতিটা নাগরিকের হাতের সেই সোনার চাবিটিকে ঘোরানোর। চিন্তা মনন, মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ উন্নয়নের সে চেতনায় যদি এক এক করে এগিয়ে আসি আমরা, ঘুরিয়ে দেই সোনার চাবিটি। তাতেই খুলে যাবে সেই স্বপ্নলোকের দ্বার। আমরা হবো প্রকৃত স্বাধীন।

আর তাই স্বাধীনতা দিবসে আমার একটাই চাওয়া, চিন্তা, চেতনা ও মননে স্বাধীন হোক বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক।

পড়ছিলাম-
‘বাস্তবতার নিরিখে সমকালীন প্রসঙ্গ’- ব্যারিস্টার নাজির আহমদ

স্বাধীনতা কি?

ভাবছিলাম- তনুর মর্মান্তিক পরিনতির কথা-
এই তো দুদিন আগেও মেয়েটা বেঁচে ছিলো এই আমাদের বাংলাদেশের মাটিতে। নাট্যগোষ্ঠির সদস্যও ছিলো সে। প্রানোচ্ছল সেই জীবনটা আজ আর নেই। তাকে ধর্ষন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি নরপশুরা। তাকে হত্যাও করা হয়েছে। ঘটনাটি আবার খুব সুরক্ষিত সেইফ একটা জায়গায়। একটি সেনানিবাসের ভিতরে, এত নিরাপত্তায় যেখানে বিনা অনুমতীতে একটা মাছিও গলতে পারে না সেখানে কিভাবে ঘটে এমন একটি পৈচাশিক ঘটনা? তাহলে স্বাধীনতা কোথায়? কোথায় একটি স্বাধীন দেশের নিরাপত্তা?

তানভীর জোহার হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া-
জলজ্যান্ত মানুষ হারিয়ে যায়! স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে হাঁটতে পারেনা মানুষ! মায়ের আহাজারীতে আকাশ কাঁপে। তবুও কেউ জানেনা। কেউ দিতে পারে না সঠিক আশ্বাস! শুধুই অপেক্ষা করতে হয় নিয়তির উপর। উদ্বেগ, আশঙ্কা এবং দূর্বিসহ প্রহর শেষে অবশেষে সে ফেরে। কিন্তু তাকে থাকতে হয় বাকহীন, মুঢ়। হয়তো টগবগে উদ্দিপ্ততায় ছুটে চলার প্রেরনা হারায় সে। হারায় স্বাধীনতা।

মনে পড়ে-
টি এস সিতে উৎসবে একদল নরপশুর নারীদেহের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। আনন্দ উৎসবে এখনও রয়ে গেছে এই বৈষম্য, এই স্বাধীনতা হরণের কুৎসিৎ প্রমান চিত্র। মানুষ বিশেষ করে নারীরা এখনও পায়নি সে স্বাধীনতা যে স্বাধীনতায় নিশঙ্কোচে, দৃপ্ত চিত্তে ভয় ও দ্বিধাহীন ভাবে সেও আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। এখনও সুশিক্ষিত হয়নি সমাজের বিবেক। দিতে শেখেনি মানুষের স্বাধীনতার মূল্য।

কষ্ট পাই-
যখন দেখি কিছু অসুস্থ্য বিকলাঙ্গ মানুষের দ্বারা ধর্ষিত হতে আমাদেরই বোনদেরকে। শাজনীন থেকে তনু সমাজের কোথাও নিরাপদ নয় কেউই তারা। রমরমা সংবাদ হয়, গনমাধ্যমে ঝড় ওঠে। ধর্ষিতার বিকৃত দেহের ছবি মিলি সেকেন্ডে ছড়াতে থাকে সারা বিশ্বে। ভীষন কষ্ট লাগে জীবিত এবং মৃত কোথাও কি পাবোনা আমরা এতটুকু সন্মান ? মৃত্যুর পরেও পরাধীনতার শেকলে বন্দীই থেকে যাই আমরা। যে দেহ লালসার চক্ষু থেকে বাঁচাতে হিজাব নেকাব পরেছিলো মেয়েটি। মৃত্যুর পরেও রেহাই পায়না সে। সেই দেহটিকেই অনাবৃত করে ছিড়ে খুড়ে খায় কিছু বিকৃত মানুষের দল।


স্মরণ করি-

অভিজিৎ রায়, নিলয়দেরকে, -স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতাহীনতায় প্রাণ দিতে হয়েছিলো যাদেরকে। সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজাল ভাঙ্গতে পারেননি তারা।

আবারও বলছি-
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে....
তবে একলা চলো রে.....
আমাদের হাতেই আসলে রয়েছে সেই স্বপ্নলোকের সোনার চাবিটি। প্রয়োজন শুধু সেই চাবিটিকে ঘুরিয়ে দেবার।


মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা হোক একজন সুস্থ্য স্বাধীন নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার। চিন্তা, চেতনা ও মননে প্রতিটি বাঙ্গালী হয়ে উঠুক মুক্ত স্বাধীন। স্বাধীন বাংলার মৃত্তিকায় আনন্দ ও স্বাধীনতায় বাঁচুক প্রতিটি বাংগালী।

মন্তব্য ২৭৩ টি রেটিং +৩৬/-০

মন্তব্য (২৭৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ!:)

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৬

বিজন রয় বলেছেন: মার্চ মাস অর্থাৎ স্বাধীনতার মাস নিয়ে সামু তেমন কিছু করল না।
সামুর লোগো বা প্রথম পেজে কিছু একটি দেখাতে পারত।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৯

শায়মা বলেছেন: করবে।

স্বাধীনতা দিবস তো কালকে। আর আমরা কি সামু না? আমাদের পোস্ট কি কিছু করা মনে হচ্ছে না ভাইয়া?:(

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮

বিজন রয় বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সন্মান দেখিয়ে
এটি আজ রাতেই স্টিকি করা হোক।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২

শায়মা বলেছেন: আবারও থ্যাংক ইউ । তবে এই লেখায় আমার মাথায় কিছু প্রশ্ন এসেছে। তার জবাবগুলো জানতে চাই।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

জেন রসি বলেছেন: কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙ্গা, বন্দীশালার ঐ শিকলভাঙ্গা
তারা কি ফিরবে আর!
তারা কি ফিরবে এই সুপ্রভাতে
যত তরুন অরুণ গেছে অস্তাচলে!

অসাধারন পোস্ট। ছোট পরিসরে অনেক কিছু উঠে এসেছে। আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার জন্য পরে আসছি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

শায়মা বলেছেন: এই গানটা শুনলেই আমার সারা গায়ে কাঁটা দেয়।:(

মুক্তির জন্য যারা এই ভাবে আত্মত্যাগ করে গেছেন তারা হয়তো মানুষ ছিলেন না। তারা দেবতাদের চাইতেও ছিলেন বেশী কিছু।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্টে ক্যাচাল কখনো লাগে সেইটা দেখার বিষয়। কারন মেজর জিয়া নাই। আর ব্লগে ইদানিং ছাগুদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশী। এরা পারে না তো গোলাম আজমের না কইতে।

যদি আমরা স্বাধীনতার চার মূলনীতির দিকে তাকাই, দেখবো-
১ - গনতন্ত্র
২ - সমাজ তন্ত্র
৩ - ধর্ম নিরপেক্ষতা
৪ - বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ


তবে এই কথাটা দারুন একটা সময়ে বলছেন। শুনলাম হেফাজত নাকি রাস্ট্রধর্ম নিয়া শো ডাউন করতেছে। ব্লগে তো দেখি ঘিলু ছাড়া পোলাপান এইটা নিয়া লেখা লেখি করে। আসলে কুশাসন, দুর্নীতি এসব আমাদের জাতীকে পঙ্গু করছে সেটা এসব বলদ ছাগু ব্লগারদের লেখা পড়লেই বোঝা যায়।

তার ওপর ইয়ো ইয়ো জেনারেশন তো বলেই বসে ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমরা ভাষার জন্য যুদ্ধ দিছি!

তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ভালো কথা উইকিপিডিয়ায় দ্রুত লেখা লেখি শুরু করেন!

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩১

শায়মা বলেছেন: কেচাল করলে আমিও পিছু হটবো নাকি! দেখি কে আসে আসুক।

তবে তুমি ঠিকই বলেছো ভাইয়া কুশাসন, দূর্নীতি এসবের খেয়াল নেই, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, মূলনীতির জ্ঞান নেই অথচ বলে ফেলে এক একজন একেক কথা।

কয়েকদিনের ঘটনাগুলিই দেখো। তনু হত্যা, জোহার গায়েব হওয়া আবার ফিরে আসা, ব্লগার হত্যা, সাম্প্রদায়িকতার উত্থান এসবের সাথে কোথায় পালালো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগুলি!

মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা কি বাংলার মানুষ এ জন্যই চেয়েছিলো!



৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০০

সুমন কর বলেছেন: মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা হোক একজন সুস্থ্য স্বাধীন নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার। চিন্তা, চেতনা ও মননে প্রতিটি বাঙ্গালী হয়ে উঠুক মুক্ত স্বাধীন। স্বাধীন বাংলার মৃত্তিকায় আনন্দ ও স্বাধীনতায় বাঁচুক প্রতিটি বাংগালী।

+।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:)

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
১মে পড়ে মনে হয়নাই এটা আপনার লিখা।কিউটনেস এর বদলে একরাশ বিষন্নতা।
অর্ধ শতাব্দী পার করা অব্দি অস্তিত্ব টিকে থাকলে হয় আর কি।
স্বাধীনতার শুভেচ্ছা!

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪২

শায়মা বলেছেন: শুভেচ্ছা ভাইয়া।

তবে বিষন্নতার কারণগুলো শুনবে?

স্বাধীনতার মাসেই তনু হত্যা, স্বাধীনতার মাসেই মানুষ গুম, ধর্মান্তরিত হওয়ার করুণ পরিনতি। এসব দেখে দেখে স্বাধীনতা না পরাধীনতা কনফিউস হয়ে যাই।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
শিকলটা এখনো অনুভব করছি। যার থেকে মুক্তিও আমাদের হাতেই। কিন্তু তীব্র আবেগী আমরা শিকলকে ভালোবেসে ফেলেছি। ভাঙতে তাই ইচ্ছে হয় না।

গনতন্ত্র জাতীয়তাবাদ সমাজতন্ত্র ভেসে যায় তনু অভিজিৎদের সাথে। আমরা ৫ বছর পর পর মনিব পাল্টাই। নিজেরা পাল্টাবো না। উহু। না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

শায়মা বলেছেন: শিকল ভাঙ্গতে হবে ভাইয়া। শিকল ভাঙ্গার হাতুড়ি কিন্তু তোমার হাতেই।


গনতন্ত্র জাতীয়তাবাদ সমাজতন্ত্র ভেসে যায় তনু অভিজিৎদের সাথে। আমরা ৫ বছর পর পর মনিব পাল্টাই। নিজেরা পাল্টাবো না। উহু। না।


নিজেকেই সবার আগে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। চিন্তা চেতনায় হতে হবে স্বাধীন ।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো খুব। এটি শুধু স্বাধীনতা দিবস নয় "স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস"।
http://www.somewhereinblog.net/blog/KAMAL5648/30120521

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া এখুনি দেখছি।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নিজেরা পাল্টাবো না। উহু। না।

আপু,
ওটা আক্ষেপ। স্বভাব নয়।

হাজার হাতুড়ি দিয়ে পেটালেও শিকলের কিছু হবে না। সবাই মিলে একবার ছুঁয়ে দিলেই মিলিয়ে যাবে। কিন্তু ঐ ঐক্যের বড়ো অভাব।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই শিকল ভাঙ্গাটা খুব একটা কঠিন কিছু না। এ শিকল শুধু মুখ বুজে সহ্য করে নেওয়ার জন্যই যুগে যুগে পরতে পরতে পড়ে চলেছে।

একবার ছুঁয়ে দিলেই ভেঙ্গে গুড়িয়ে পড়বে ঝুর ঝুর করে।

কবির ভাষায় তাই জাগে

এই শিকল পরা ছল মোদের এই শিকল পরা ছল।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৮

মোহাম্মদ আবদুর রহমান রুবেল বলেছেন: ২৬ই মার্চ হল আমাদের জীবনের রাষ্ট্রীয় বড় ত্যাগ

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩২

শায়মা বলেছেন: সেই মহান আত্মত্যাগীদের অবদান কোনোদিন শোধ হবে না।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৮

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: অম্বিকা চক্রবর্তী আমাদের আত্বীয় ।মানে তার বংশধরেরা এখনো আমাদের দেশের বাড়িতে থাকেন ।শান্তিপুর ,নাদিয়া ,পশ্চিম বঙ্গ ।

উনি আমাদের গর্ব । সবাইকে গর্ব করে বলি ।আপনার পোস্টে এসেও জানান দিয়ে গেলাম । :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪১

শায়মা বলেছেন: Click This Link

অম্বিকা চক্রবর্তীকে সবাই জানুক। অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্বাধীনতার সুফল ভোগ করার কথা সাধারণ জনগণের। অথচ রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের হাতে স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জনগণ যাতে স্বাধীনতার অর্থ বুঝতে পারে সেজন্য বাস্তবমুখি শিক্ষা অপরিহার্য।
আমাদের সরকারগুলো সাধারণত ব্যক্তিস্বার্থপর লোকেরাই গঠন করে। সো, আমাদের চোখের আড়ালে তারা টাকা পয়সা বাইরের দেশে হাতিয়ে নিয়ে যায় যেটা আন্তর্জাতিক অর্থ পরিচালনা সংস্থাগুলোই বলছে।
সরকারের বেশিরভাগ লোকেরাই দুর্নিতিপরায়ণ হয়। তারা "নিজে বাঁচলে বাপের নাম" নীতিতে দেশের বারোটা বাজাতে কোন দ্বিধাবোধ করে না।
প্রশাসন, আইন, বিচার থেকে শুরু করে দেশের জনগণের যত প্রতিষ্টান আছে সবখানেই অনিয়ম আর দুর্নিতির সয়লাব দেখতে পাওয়া যায়। আর সাধারণ মানুষ হয় ভুক্তভোগি যা স্বাধীন দেশে অকল্পনীয় ব্যাপার।
আসলে হয়েছে কি, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তবে সেটা কেবল প্রভাবশালী/ভিআইপি/বড় কর্তাদের জন্য প্রযোজ্য। খাতায় যে স্বাধীনতা লেখা আছে সেটা কেবলই বিমূর্ত একটি ধারণা মাত্র।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৮

শায়মা বলেছেন: খুব সত্যি কথা---


তবে

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে....
তবে একলা চলো রে.....
আমাদের হাতেই আসলে রয়েছে সেই স্বপ্নলোকের সোনার চাবিটি। প্রয়োজন শুধু সেই চাবিটিকে ঘুরিয়ে দেবার।

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্বাধীনতার চেতনা আজ দলীয় চেতনায় পরিনত।। গনতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ দলীয় মতবাদ।। বাকী রইলো স্বপ্নের সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা !! চলছে দড়ি টানাটানির খেলা।। যে কারন শিকল ভাঙ্গতে যেয়ে এত প্রান, তাই তো আজো পেলাম না।। উল্টে পুরষ্কার হিসাবে মুখ ও হাতেও শিকল পড়ানো হচ্ছে।। তাহলে কি বলতে পারি না শিকল ভাঙ্গার গান শুধুই উজ্জিবিত করার, বাস্তবতার নয়??
আর একলা প্রতিবাদের অর্থ হাত,পা,মাথা ভেঙ্গে হসপিটালে।। বাড়াবাড়ি করলে কোনও জলাভূভি বা ড্রেন ঠাই পাওয়া।। তাই তো আজ হারিয়ে যেতে বসছে প্রতিবাদের ভাষা।। তবুও আশার কথা সামান্য হলেও আছে ব্লগ আর ফেসবুকে।।


















১১

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

শায়মা বলেছেন: আর একলা প্রতিবাদের অর্থ হাত,পা,মাথা ভেঙ্গে হসপিটালে।। বাড়াবাড়ি করলে কোনও জলাভূভি বা ড্রেন ঠাই পাওয়া।। তাই তো আজ হারিয়ে যেতে বসছে প্রতিবাদের ভাষা।। তবুও আশার কথা সামান্য হলেও আছে ব্লগ আর ফেসবুকে।।

প্রতিবাদের ভাষা ভুললে চলবেনা ভাইয়া আর তা কেউই ভোলেওনি একেবারেই। তবুও এই স্বাধীনতার বেড়াজালে পরাধীনতার শেকল ভাঙ্গতে চাই প্রতিটা মানুষের নিজ নিজ মনস্কের চেতনা। প্রতিবাদ করতে হবে কেনো? সবাইকে কেনো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে?

তার চাইতে তার আগেই কি প্রতিটা মানুষকেই চিন্তা, চেতন, মননে, বিবেকে উন্নত করে তোলার ব্রত নেওয়া যায় না? প্রতিটা পরিবারেই সুশিক্ষার চর্চা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিবেকের উন্নয়নে আমরা যেন আরও আরও সুস্থ্য সুন্দর মানুষ হিসেবে সবাই মিলে স্বাধীন চেতনায়, অত্যন্ত আনন্দ ও নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

মশার কয়েল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ৷ ভালো লাগলো ৷ সত্যি বলতে আমি এক দুর্ভাগা ৷ স্বাধীনতার অর্থ আজও বুঝতে পারলাম না ৷ স্বাধীন হব কীভাবে?

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

শায়মা বলেছেন: এক কথায় স্বাধীনতা মানে আমার চোখে নজরুলের এই লাইনটি- বন্ধনহীন, জন্ম স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল। স্বাধীনতা মানে স্বাধীন চেতনায় বাস করা । এই চেতনা বাস করে একজন মানুষের চিন্তা, চেতনা ও মগজের ভেতরে। সূর্যসেন, তীতুমীর, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা কিংবা রবীন্দ্র-নজরুল ছিলেন স্বাধীন চিন্তা, চেতনা ও বোধের অধিকারী। তারা ছিলেন চিন্তায়, মেধায়, মননে বন্ধনহীন, জন্ম স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল।

ভাইয়া আমরা প্রতিটি মানুষের মাঝেই যদি স্বাধীন চেতনা ধারণ করতে পারি তবেই হবো প্রকৃত স্বাধীন।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লিখনির ক্রিটিসাইজ!!
নেই সেই ধৃষ্টতা;
স্বীকারে লজ্জা নেই
অধমের অজ্ঞতা।

যা লিখেছো,আরো এক
পিএইচডি থিসিস;
গর্বেতে সিনা টান
দিস,সাচ এ মাস্টারপিস।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভায়ামনি
পড়েছি তোমার পোস্ট
জবাবের সময়াভাব
এসেছে বাসায় ঘোস্ট।

ভুতগুলো তাড়িয়ে
ফের ফিরে আসছি
তারপর ফের ফের
ঝেঁড়ে আমি কাঁশছি।

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বলবো আৈ আলসে মেয়ে
ঘুমিয়ে তুমি থাকো;
লিন্ক দিয়েছি কোন সকালে
খবর-ই হলো নাকো।(হুহহ.........)
ক্লিক ক্লিক ক্লিক/খিক খিক খিক

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

শায়মা বলেছেন: পড়েছি পড়েছি আমি
জবাবটা রেডি নেই
একটু ওয়েট করো
তারপর দিয়ে দেই।:)

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০০

তার আর পর নেই… বলেছেন: শুধু চোখ বুলিয়ে গেলাম, আবার আসতেছি।

দাওয়াতপত্রের কথা এইজন্য বলছিলা বোধ হয়!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

শায়মা বলেছেন: ওকে !!! অনেক অনেক থ্যাংকস।

তোমার দাওয়াৎ সব সময় মানে তোমার জন্য আমার দূয়ার সর্বদাই খোলা।

২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: তিতুমীর,শরিয়তউল্লাহ,দুদু মিয়া,শেরে বাংলা,ফজলুল হক এনাদের কথাও উল্লেখ করা দরকার ছিল

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: আমার মাথায় যারা এসেছিলো বা আমার জানামতে যারা যারা আসেন তাদেরকে নিয়েই লিখেছি ভাইয়া। তুমি এবার এদের কথা লেখো প্লিজ!

অনেক অনেক থ্যাংকস তোমাকে। নেক্সট টাইম অবশ্যই এই সাজেশনটাও মনে রাখবো।

২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা কি চিন্তা ও মননে আবার হতে পারি না স্বাধীন? সবাই মিলে হতে পারি না একতাবদ্ধ? আমাদের গলায় যদি থাকে একই গান এবং লড়াই করতে পারি একই সাথে, এই সাম্প্রদায়িকতা থেকে শুরু করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস,স্বাধীনতার সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে, একাত্তরের সেই সময়ের মত করে, পরাধীনতা থেকে তাহলেই হবে মুক্তি।

++++++++++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

শায়মা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। সবাইকেই আগে নিজের ভেতরে ভেতরে স্বাধীন হতে হবে। ধারণ করতে হবে স্বাধীন চেতনাগুলি।

২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উপরের মন্তব্যে লেখিকার নাম ভুল লেখার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ধন্যবাদ বোন শায়মা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

শায়মা বলেছেন: নো প্রবলেম ভাইয়া।

আমি বুঝতে পেরেছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্টটি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম একটা দীর্ঘ কমেন্ট করবো , এখন দেখি পড়তে পড়তেই এনার্জি শেষ !!!
আমাদেরতো বটেই ! রবার্ট ব্রুশেরও শায়মার কাছে শিক্ষা নেয়ার বিষয় আছে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

শায়মা বলেছেন: রবার্ট ব্রুশের সম্পর্কে একটা জানোনীয় মানে গিয়ানী পোস্ট দাও ভাইয়া। আমি যেন তাকে আরও ভালো করে জানতে পারি।

২৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: তথ্য সম্বলিত লেখা। পড়তে পড়তে মন হেসে উঠে কেঁদে উঠে। জানা কথাগুলোই আবার নতুন করে আসে ঘুরেফিরে। আসবেই, আসতেই থাকবে।

সোনার বাংলা আজ বারো ভূতে লুটেপুটে খায়। সম্মিলিত চেস্টাই হোক ঐক্য। বিজয় যেমন এসেছে, নিপিড়ন থেকে মুক্তি একদিন মিলবেই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: হাল ছাড়া চলবেনা আপু। আসলেই আশা হারানো যাবেনা।

বিজয় এসেছে, স্বাধীনতা বজিয়ে রাখতেই হবে।

২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

মুসাফির নামা বলেছেন: সময়পোযোগী লেখা,কিন্তু ইতিহাস টানার ক্ষেত্রে বড্ড বেশী অযোক্তিক ব্যাক্তিদের নিয়ে এসেছেন ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

শায়মা বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে সূর্যসেন, প্রীতিলতারাই প্রথমে বাঙ্গালীর চোখে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগিয়েছিলো, জ্বালিয়েছিলো আলোর মশাল আর তাই তাদের কথাটাই স্মরণ করা অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত।

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

২৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

তার আর পর নেই… বলেছেন: আবার পড়লাম।
খুব ভাল্লাগছে!
স্বাধীনতা বলে গলা ফাটাতে আমার কুন্ঠাবোধ হয়। সত্যিকারের স্বাধীনতা এখনো অনেক দুরে।
এইভাবে সত্য বলাতে ভালো লাগাটা বেড়েছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: যারা স্বর্গগত তারা এখনও জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি।


এই গানের কথাগুলিতেই বুঝা যায় একদিন কি ভালোবাসায়, কি ব্রত নিয়ে লড়েছিলেন তারা। যে স্বাধীনতা জন্য তাদের এই লড়াই, এ আত্মত্যাগ আর আমরা কি পারবো না সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে?

২৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

কালনী নদী বলেছেন: প্রচুর তথ্যবহুল সামসাময়িক পোস্ট। আপতত সংগ্রহে রাখলাম পরে ভালো করে পড়ে মতামত জানাব বোন, সে পর্যন্ত ভালো থাকেন। আর হে আপনার লেখনি দেশের উকিপিডিয়াকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। সে ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন।
শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
উদাসী ভাইয়াও আমাকে উইকিতে লেখা দিতে বলেছেন। আমি তোমাদের কথা মাথায় রেখেছি। অনেক অনেক থ্যাংকস তোমাকে আবারও ভাইয়ামনি।

২৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

মেহবুবা বলেছেন: এটার মন্তব্য করতে প্রস্তুতি প্রয়োজন । একটু সময় নিয়ে বলতে হবে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

শায়মা বলেছেন: আপু অনেক অনেক থ্যাংকস আমার লেখাটা পড়তে আসার জন্য। আর অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য। তোমাকে খুব খুব মিস করি।

২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বন্দীই থেকে যাই আমরা। যে দেহ লালসার চক্ষু থেকে বাঁচাতে হিজাব নেকাব পরেছিলো মেয়েটি। মৃত্যুর পরেও রেহাই পায়না সে। সেই দেহটিকেই অনাবৃত করে ছিড়ে খুড়ে খায় কিছু বিকৃত মানুষের দল।"

* সহমত তোমার সাথে।

* অসাধারণ পোষ্ট। ভাষা নেই সাধুবাদ জানাব। তবে প্রিয়ব্লগারদের একজন বলে কথা ।

স্বাধীনতার অর্থ হয়তো খুঁজে পাবনা কোন কালেই কেননা বিব্রত নর্দমার কিটে কেটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত বিবেক! তবে এইটুকু আশা রেখে জীবন যাচ্ছে কেটে, প্রতিবছর দিবসটি দেখে যাচ্ছি কত কবিতা আর গল্পের রংগে সাজতে। তনুরা না উচ্ছিষ্ট খেকু কুকুরদে লালসার নিবারনে জীবন দিয়ে গেল ।চোখে জলত তাদের যারা এই দেশকে ভাল বাসে ,তাদের যারা এখনো আঁলো আর আঁধারের তফাৎ বুঝে। নরপশুদের কি আরেক দিন হয়তো রেনু বলে কেহ হবে শিকার !
এখনি দূর্বার আন্দোলন চাই , সবাই মিলে করা চাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

শায়মা বলেছেন: আশা ছাড়লে চলবে না ভাইয়া। স্বাধীনতার অর্থ খুঁজে পেতেই হবে। আর এটা পেতে হলে নিজেকেই সচেতন হতে হবে সবার আগে।

সবাই আরও একটি বার একই সুরে গাই স্বাধীনতার গান ।

৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

জেন রসি বলেছেন: যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি তবে অনেক কথাই বলতে হবে। যেমন গনতন্ত্রের কথা বললে গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার কথা চলে আসে । তখন কি ছিল সেই গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যা বলেছিলেন তাই আসলে সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় নবগঠিত একটি রাষ্ট্রিকে নিয়ে নানা রকমের ষড়যন্ত্র। সেই জিও পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে যায় এদেশের শাসকগোষ্ঠী। যার ধারাবাহিকতায় আমারা দেখি গণতন্ত্র হয়ে যায় পরিবারতন্ত্র আর আম্লাতন্ত্রের কাছে জিম্মি। সমাজতন্ত্রের বোধ অনেক দূরে সরে গিয়ে বরং বাড়তে থাকে ধনী গরিবের বৈষম্য। যে বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় এ দেশের কৃষক শ্রমিক যুদ্ধ করেছিল। স্বাধীন দেশেও তাদের সেই অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়না। ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন। পাহাড়ে চলে সেনাবাহিনীর বর্বর হামলা। জাতীয়তাবাদ নির্বাসিত হয়ে রাজাকারদের দৌরাত্ম সবই একের পর এক ঘটেছে এ দেশে। এই পোস্টে এসব কিছুই খুব সহজ স্পষ্টতায় উঠে এসেছে। তবে যাইহোক, আশা কখনোই ছাড়া যাবে। বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে লড়াই করতে হবে।

লড়াই লড়াই লড়াই চাই
লড়াই করে বাঁচতে চাই
বাঁধা আসবে যেখানে
লড়াই হবে সেখানে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

শায়মা বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি তবে অনেক কথাই বলতে হবে। যেমন গনতন্ত্রের কথা বললে গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার কথা চলে আসে । তখন কি ছিল সেই গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা।

খুব সত্যি কথা
লাঞ্ছিত নিপীড়িত জনতার জয়,
শোষিত মানুষের একতার জয়

এই একতা বা একই ইচ্ছে বা আকাঙ্খাই তো নিয়ে গিয়েছিলো সেই গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার দিকে।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যা বলেছিলেন তাই আসলে সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল।
শোনো, একটি মুজিবরের থেকে
লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।।
এই একটি কন্ঠের ধ্বনীই সেদিন লক্ষ লক্ষ কন্ঠে ছড়িয়ে গিয়েছিলো। একই ইচ্ছে, একই আকাঙ্খা বা একই প্রতিবাদে ফুসে উঠেছিলো লক্ষ, কোটি মানুষ।

কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় নবগঠিত একটি রাষ্ট্রিকে নিয়ে নানা রকমের ষড়যন্ত্র। সেই জিও পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে যায় এদেশের শাসকগোষ্ঠী। যার ধারাবাহিকতায় আমারা দেখি গণতন্ত্র হয়ে যায় পরিবারতন্ত্র আর আম্লাতন্ত্রের কাছে জিম্মি। সমাজতন্ত্রের বোধ অনেক দূরে সরে গিয়ে বরং বাড়তে থাকে ধনী গরিবের বৈষম্য। যে বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় এ দেশের কৃষক শ্রমিক যুদ্ধ করেছিল। স্বাধীন দেশেও তাদের সেই অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়না। ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন। পাহাড়ে চলে সেনাবাহিনীর বর্বর হামলা। জাতীয়তাবাদ নির্বাসিত হয়ে রাজাকারদের দৌরাত্ম সবই একের পর এক ঘটেছে এ দেশে।


এ বৈষম্য, সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন রুখে দিতে প্রতিটি বাঙ্গালীকেই তো চিন্তা ও মননে হতে হবে একতাবদ্ধ!

এই পোস্টে এসব কিছুই খুব সহজ স্পষ্টতায় উঠে এসেছে। তবে যাইহোক, আশা কখনোই ছাড়া যাবে। বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে লড়াই করতে হবে।

লড়াই লড়াই লড়াই চাই
লড়াই করে বাঁচতে চাই
বাঁধা আসবে যেখানে
লড়াই হবে সেখানে।

অনেক থ্যাংকস জিনিভাইয়া। এত সুন্দর মন্তব্য আর প্রশংসার জন্য।:)

৩১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

জেন রসি বলেছেন: আশা কখনোই ছাড়া যাবে এর বদলে আশা কখনোই ছাড়া যাবেনা হবে। :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

শায়মা বলেছেন: বুঝেছি ভাইয়া।:)

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) বলেছেন: প্যাচাল

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

শায়মা বলেছেন: তবুও ভালো! ভাগ্যিস প এর জায়গায় বলোনি ক মানে ক্যাচাল!!!!! আর শুরুও করোনি সেটা আর তাই থ্যাচাল মানে থ্যাংক ইউ !:)

৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

জেন রসি বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্টে ক্যাচাল কখনো লাগে সেইটা দেখার বিষয়। কারন মেজর জিয়া নাই। আর ব্লগে ইদানিং ছাগুদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশী। এরা পারে না তো গোলাম আজমের না কইতে।

আসলেই এমন অনেক কিছুই চোখে পড়ছে আজকাল। এই পোস্টও তাদের পছন্দ হবে না স্বাভাবিক। ;)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

শায়মা বলেছেন: যার যা পছন্দ তাই নিয়ে লিখবে। আবার কেচাল কেনো?

আচ্ছা দেখাই যাক। :)

৩৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

কালীদাস বলেছেন: আমাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেমের সিরিয়াস ল্যাকিং আছে। আমরা কথায় কথায় যেভাবে অন্যদেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাই; এইটা আমার পছন্দ না। আমাদের নিজেদের ব্রেনগুলারে আমরা ইউটিলাইজ করিনা, তুচ্ছ কাজ করার জন্য বাইরের নাম না শোনা লোকদের কনসালটেন্ট বানাই।

কালচার! প্রতিটা চ্যানেলে ইন্ডিয়ান নাটক সিনেমার কপি দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে টিভি দেখা ছেড়েছি অন্তত ১২ বছর হয়। কপির কপি। কেন আমরা পারিনা নিজেদের প্রোডাক্টকে ফোকাস করতে? অনেক বাসায় সারাদিন বস্তাপঁচা ইন্ডিয়ান সিরিয়াল চলে বলে আমরা মহিলাদের নিয়ে হাসাহাসি করে পোস্ট দেই ব্লগে, দোষ কি পুরাপুরি সিরিয়াল ভিউয়ারদের? আমাদের ক্রিয়েটিভিট কেন আমরা জোর করে ইমপোজ করছি না? কেন সেগুলোর মান বেটার করার চেষ্টা করছিনা।

জানেন, বেশকিছু দেশে আমার সাথে ফাকিস্তানি এবং ইন্ডিয়ানরা আমার সাথে উর্দু/হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমি ঐ লোকদের সাথে ইংলিশেও না বাংলায় আন্সার দেই এবং প্রায়ই নোংরা বাংলা গালি দেই। অথচ দোষ পুরাপুরি ওদের না। কারণ, ওরা আগে দেখেছে আমরা ঐসব ভাষায় কথা বলতে পারা নিজেদের সফলতা মনে করি। একটা আত্মসম্মান আছে এরকম লোক এই কাজ কিভাবে করে? হ্যাঁ, অনেক ভাষা আছে যাদের মধ্যে মিল থাকায় নিজেরা অন্য ভাষায় কথা বলে প্রয়োজনে। ইন্ডিয়ান বা কোন ফাকিস্তানিকে কখনও দেখেছি বলে মনে করতে অনেক স্মৃতি হাতড়াতে হয়।

গতকাল থেকে নতুন একটা তামশা দেখছি ব্লগে, তনু হত্যার বিচার সৌদিতে করতে হবে। লজ্জা লাগে এই পোস্টগুলো দেখলে। সৌদির নিজেদেরই বিচার ব্যবস্হা বায়াসড, রাজপরিবার বা রাজপরিবারের চামচা টাকাওয়ালা হলে সব মাফ। এরা জন্মলগ্ন থেকে আমার দেশকে ফকির মিসকিন হিসাবে কাউন্ট করে আসছে। ইরান হলেও মানতাম, কারণ ওখানে চুরি করলে খোমেনির হাতও কাটা হয়। আমাদের দেশে কি আইন/বিচার একেবারেই নেই? পুলিশ করাপ্টেড, সেটা তো বিচার ব্যবস্হাকে ভেঙে ফেলেনি। আমরা নিজেদের ঠিক না করে বারবার মানুষের কাছে কতদিন হাত পাতব? আমাদের সিসটেমের গলদ না সারিয়ে কতবছর বাইরের দিকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াব? আমাদের করাপশনকে বাইরের দেশগুলোতে এভাবে ফোকাস করাটা আমাদের জন্য কতটা সম্মানজনক, একবারও কি আমরা ভেবে দেখি?

পারসোনাল একটা জিনিষ শেয়ার করি। আমি যে ফিল্ডে কাজ করি, তার রেজাল্ট কিছু কিছু রেজাল্ট আমি বিবিএসে পাঠাই আমার এক সোর্সের মাধ্যমে। কিছু কিছু মিটিং-এ সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হয় প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে। মজার ব্যাপার কি জানেন? তারপরও এরা সেইম কাজ করার জন্য টেন্ডার ডেকে ফরেন কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয় যাদের সেইম ফিল্ডে একাডেমিকালি আমরা ডেড ধরি এবং দুই পয়সার দামও দেই না। আর কত?

স্বনির্ভরতা, আত্মসম্মানবোধ, জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, সততা; এই জিনিষগুলা না থাকলে একটা দেশ জীবনে কোনদিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। আমাদের এই সবকয়টাতেই অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর।


পিএস: লাস্ট বা আদৌ কোনদিন আপনার কোন পোস্টে সিরিয়াস কমেন্ট করেছি কিনা কিছুতেই মনে করতে পারলাম না :D

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

শায়মা বলেছেন: জীবনে প্রথমবারের মত আমার পোস্টে সিরিয়াস কমেন্ট দেবার জন্য থ্যাংকস ভাইয়া।

আমাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেমের সিরিয়াস ল্যাকিং আছে। আমরা কথায় কথায় যেভাবে অন্যদেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাই; এইটা আমার পছন্দ না। আমাদের নিজেদের ব্রেনগুলারে আমরা ইউটিলাইজ করিনা, তুচ্ছ কাজ করার জন্য বাইরের নাম না শোনা লোকদের কনসালটেন্ট বানাই।

একদম ঠিক কথা নিজেদের দেশ, নিজেদের জাতী অথচ অন্যদেরকে মাথায় তুলে নিজেদেরকেই ছোট করে ফেলি। অথচ আমাদের দেশেই রয়েছে যথেষ্ঠ প্রতিভাবান মানুষেরা। কিন্তু নিজেদের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। নিজেদের মতের প্রতি, জ্ঞানের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল হতে পারিনা। নিজেদেরকেই এভাবে যুগে যুগে পরাধীন করে রেখেছি। উন্নত দেশ থেকে এক্সপার্ট আসছে শুনলেই কুকড়ে যাই না যেনো কত জানেন তারা। এভাবেই অচর্চায় অশ্রদ্ধায় ছোট করে রাখি নিজেদেরকে। নিজেদেরকেই পরাধীনতার শেকলে বন্দী করে রেখে স্বাধীনতার চেতনাকে খর্ব করে ফেলি।
নিজেদের মননে মস্তিস্কে বা জ্ঞানে কখনই সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখিনা।

যেটাই প্রয়োজন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

শায়মা বলেছেন: কালচার! প্রতিটা চ্যানেলে ইন্ডিয়ান নাটক সিনেমার কপি দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে টিভি দেখা ছেড়েছি অন্তত ১২ বছর হয়। কপির কপি। কেন আমরা পারিনা নিজেদের প্রোডাক্টকে ফোকাস করতে? অনেক বাসায় সারাদিন বস্তাপঁচা ইন্ডিয়ান সিরিয়াল চলে বলে আমরা মহিলাদের নিয়ে হাসাহাসি করে পোস্ট দেই ব্লগে, দোষ কি পুরাপুরি সিরিয়াল ভিউয়ারদের? আমাদের ক্রিয়েটিভিট কেন আমরা জোর করে ইমপোজ করছি না? কেন সেগুলোর মান বেটার করার চেষ্টা করছিনা।

নিজেদের ক্রিয়েটিভির চাইতে যে অন্যের অং বং কোনো কিছুই কপি পেস্ট করায় আনন্দ নেই এই কথা কবে যে মানুষ বুঝবে। বরং নিজস্ব স্বকীয়তায় সৃষ্টি করতে করতেই যে মানুষ নিজের সৃজনশীলতার উন্নতি সাধন করে, সে কথাটা মনে হয় অনেকেই জানেনা। অথচ আমাদের দেশে কি একটা সময় হয়নি বরফ গলা নদী, হয়নি কি সারেং বউ? সেসব নাটক বা সিমেনা কি আজকের এই কপি পেস্ট নাটক সিনেমা বা সিরিয়াল থেকে কোনো অংশে কম ছিলো ? বরং সেই আমলের আমাদের সূর্য্য দীঘল বাড়ি সাথে যদি আজকের ইন্ডিয়ান নাটক সিরিয়াল( নামও জানিনা) তুলনা করি তাহলে মনে হয় একজন শিশুও বুঝবে কতখানি ফারাক রয়েছে মানে ও গুণে।

আমার একটা কথা বলি ভাইয়া। আমি বাচ্চাদেরকে গান শেখাই, নাচ শেখাই, শেখাই অভিনয় বা আবৃত্তি। বেশ কয়েক বছর হলো অন্যের করা কোনো কিছুই কপি করতে আমার ভালোই লাগেনা। নিজে থেকে সৃষ্টির যে আনন্দ বা নিজেদের প্রয়োজনে আমরা যা সৃষ্টি করবো তাই মনে হয় শিশুদের জন্য বেশী উপকারী হবে। এমনটাি মনে হয় আমার।

একই ভাবে যারা কালচার নিয়ে কাজ করে তারা সবাই অনুকরনপ্রিয় তা বলছি না । আমাদের দেশে বহু বহু সৃষ্টিশীল মানুষ রয়েছে কিন্তু তবুও কালচার কিভাবে যেন বদলে গিয়ে ঐ সোজা ভাষায় অপসংস্ক্বতির দিকেই ঝুঁকে চলেছে। যার থেকে আশু মুক্তির আমাদের আসলেই প্রয়োজন।:(

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

শায়মা বলেছেন: জানেন, বেশকিছু দেশে আমার সাথে ফাকিস্তানি এবং ইন্ডিয়ানরা আমার সাথে উর্দু/হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমি ঐ লোকদের সাথে ইংলিশেও না বাংলায় আন্সার দেই এবং প্রায়ই নোংরা বাংলা গালি দেই। অথচ দোষ পুরাপুরি ওদের না। কারণ, ওরা আগে দেখেছে আমরা ঐসব ভাষায় কথা বলতে পারা নিজেদের সফলতা মনে করি। একটা আত্মসম্মান আছে এরকম লোক এই কাজ কিভাবে করে? হ্যাঁ, অনেক ভাষা আছে যাদের মধ্যে মিল থাকায় নিজেরা অন্য ভাষায় কথা বলে প্রয়োজনে। ইন্ডিয়ান বা কোন ফাকিস্তানিকে কখনও দেখেছি বলে মনে করতে অনেক স্মৃতি হাতড়াতে হয়।

ঠিক একই ভাবে অনেক ইন্ডিয়ান বা পাকি টিচার আসে আমাদের এখানেও। কিছু বাংলাদেশী টিচারকে দেখেছি যেঁচে পড়ে হিন্দীতে কথা বলাকে খুব এক ক্রেডিটের কাজ মনে করে এবং তাই বলে, হিন্দী সিনেমার ফ্যান হওয়া থেকেই মূলত সেই ক্রেডিট দেখাবার চেষ্টা বা অন্য কিছু যেমন অন্যের ভাষা তাড়াতাড়ি রপ্ত করে ফেলার মত ট্যালেন্ট। আমি মরলেও হিন্দী, মিন্দী বা সিন্ধী ( জীবনে অবশ্য ক্লাস নাইনে থাকতে একটা সিন্ধী গান - দামাদাম মাস্ত কালান্দর গাইবার চেষ্টা করেছিলাম একবার) কিন্তু বলার চেষ্টা করি না। কেনো জানিনা । আত্ম সন্মানে লাগে। আমার আবার একটু ইগো প্রবলেমও আছে।:(

যাইহোক আমি হিন্দী জানিনা দেখে তারা আকাশ থেকে পড়ে! ভাবতেই কষ্ট তাদের একজন বাংলাদেশী হিন্দী জানেনা! অথচ তারা কিন্তু বাংলা জানেনা। :(

আর একটা কথা ভাইয়া আজকাল রেডিও ফূর্তী বা এই টাইপ রেডিও চ্যানেল গুলাতে তরুণ প্রজন্মের কথা/ভাষা বা উচ্চারণের স্টাইল নিয়ে কি বলবে!

এটা কি জিনিস! ভেবে ভেবে আমি মাঝে মাঝে নিজের নামও ভুলে যাই।:(

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

শায়মা বলেছেন: গতকাল থেকে নতুন একটা তামশা দেখছি ব্লগে, তনু হত্যার বিচার সৌদিতে করতে হবে। লজ্জা লাগে এই পোস্টগুলো দেখলে। সৌদির নিজেদেরই বিচার ব্যবস্হা বায়াসড, রাজপরিবার বা রাজপরিবারের চামচা টাকাওয়ালা হলে সব মাফ। এরা জন্মলগ্ন থেকে আমার দেশকে ফকির মিসকিন হিসাবে কাউন্ট করে আসছে। ইরান হলেও মানতাম, কারণ ওখানে চুরি করলে খোমেনির হাতও কাটা হয়। আমাদের দেশে কি আইন/বিচার একেবারেই নেই? পুলিশ করাপ্টেড, সেটা তো বিচার ব্যবস্হাকে ভেঙে ফেলেনি। আমরা নিজেদের ঠিক না করে বারবার মানুষের কাছে কতদিন হাত পাতব? আমাদের সিসটেমের গলদ না সারিয়ে কতবছর বাইরের দিকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াব? আমাদের করাপশনকে বাইরের দেশগুলোতে এভাবে ফোকাস করাটা আমাদের জন্য কতটা সম্মানজনক, একবারও কি আমরা ভেবে দেখি?


তনু হত্যার বিচার সৌদিতে করতে হবে এটা কি আসলেই কারো চাওয়া নাকি! আমি তো ভেবেছিলাম ব্যাঙ্গ করে বলা হয়েছে। তবে হ্যাঁ আমিও শুনেছিলাম সৌদিতে জানের বদলে জান, চুরির বদলে হাত এমন সব বিভৎস্য বিচার ব্যাবস্থার প্রচলন রয়েছে। যদিও এমন বিচার ব্যাবস্থায় প্রতি আমার এক বিন্দু শ্রদ্ধা নেই । কেনো এবং কারণ কি এখন সেটা ডিসকাস করারও ইচ্ছা নেই। তবে হ্যাঁ যে সৌদি আরাবে সব পাপাচার হারাম বলে কিছু মূর্খ মনে করে এবং তারা খুবই সুবিচারক বলেও যারা ভাবে তাদের আসলে সত্যিকারের সৌদি আরাব সম্পর্কে গিয়ান নাই।

তবে সবচেয়ে বড় কথা আমাদের কি আছে এবং কি করে আমরা তা মেইনটেইন করবো। সুন্দর একটা সমাজ বা জাতি গড়ার কাজে আমাদের সবারই যে অবদান অন্য দেশের কাছে হাত পেতে বসে থাকার চাইতে অনেক বেশি সেই আত্মপোলদ্ধি আসতেই হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

শায়মা বলেছেন: পারসোনাল একটা জিনিষ শেয়ার করি। আমি যে ফিল্ডে কাজ করি, তার রেজাল্ট কিছু কিছু রেজাল্ট আমি বিবিএসে পাঠাই আমার এক সোর্সের মাধ্যমে। কিছু কিছু মিটিং-এ সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হয় প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে। মজার ব্যাপার কি জানেন? তারপরও এরা সেইম কাজ করার জন্য টেন্ডার ডেকে ফরেন কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয় যাদের সেইম ফিল্ডে একাডেমিকালি আমরা ডেড ধরি এবং দুই পয়সার দামও দেই না। আর কত?

কি সাংঘাতিক! অন্য দেশের মরা গরু লাখ টাকায় কিনে আনার দশা দেখছি!:( এই জন্যই পঁচা মাংসে বদহজম হয়!:(


স্বনির্ভরতা, আত্মসম্মানবোধ, জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, সততা; এই জিনিষগুলোর অগ্রগতী নিয়ে আমাদেরকে ভাবতেই হবে।

৩৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব শ্রমসাধ্য লেখা। এত ডিটেইলে এই ধরণের লেখা সাধারণত প্রিন্ট মিডিয়ায় দেখা যায়। পড়ে অনেক ভালো লাগলো আর সত্যি কথা বলতে কী অনেক কিছু জানতেও পারলাম।

অসংখ্য ধন্যবাদ বোন শায়মা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
তোমার গল্প শুনতে চেয়েছিলাম। মুক্তি যুদ্ধের গল্প। তাড়াতাড়ি আমাদেরকে শুনিও ভাইয়ামনি!:)

৩৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

আবু শাকিল বলেছেন: আলোচনা কোথা থেকে শুরু করি বোঝতে পারছি না।
২০১৬ এর ২৬ শে মার্চ। এ দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। যদি এ দিনটিকে বাংলাদেশের জন্মদিন বলে ধরে নেই তবে বাংলাদেশের বয়স হলো ৪৫ বছর। পয়তাল্লিশ বছর খুব কম সময় নয়। এ বয়সে একটি মানুষ তার জীবনের সাফল্যমন্ডিত সময়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকেন। মেধা, মনন, জ্ঞানে গরীমায় থাকেন ক্ষুরধার মহীয়ান।

তরুণ তরুণীরা দেশ এগিয়ে যাবার প্রধান অনুপ্রেরনা।আমরা সেই অনুপ্রেরনা পেয়েছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে।সেই অনুপ্রেরনার পরাজয় নেই, মৃত্যু নেই। তাই ত
আমরা লিখছি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপু।স্বাধীনতার মাসে দারুন একটি লেখার জন্য।
পোষ্টে অনেক কিছুই এসেছে ।সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোও এসেছে।
ব্লগে যারা আলোচনা করেন তারাই ব্লগ থেকে দূরে আছেন ।যারা দেশকে কিছু দিতে পারবেন তারা এখন আর আগের মত পোষ্টে আসেন না। সবাই নিজেদের গণ্ডির ভিতরেই রাখছে।
আশা করি সামু ব্লগের সকলেই আলোচনায় আসবেন ।
আমি মনে করি আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানা যায় এবং অনেক সমস্যার সমাধান হয় ।
লেখার সমালোচনা অথবা দেশের সমালোচনা সবাই করতে পারে ।
দেশে সমস্যার সমাধান দেবার মত লোকের অভাব ।

আমাদের কোন কিছুর অভাব ছিল না। আমাদের মূল প্রতিবন্ধকতা! রাজনীতিক প্রতিহিংসা ।
দেশ থেকে যতদিন রাজনীতি প্রতিহিংসা দূর না হবে ।
আমরা প্রতি পদেই বিপদে পড়ব ।

যদি আমরা স্বাধীনতার চার মূলনীতির দিকে তাকাই, দেখবো-
১ - গনতন্ত্র
২ - সমাজ তন্ত্র
৩ - ধর্ম নিরপেক্ষতা
৪ - বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ


আমাদের দেশে চার মূলনীতির কোন টাই প্রয়োগ নাই ।
স্বাধীনতার মাসে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ই প্রমাণ করে ।

পোষ্টে আরো অনেক কিছু শেয়ার করতে আবার আসব।
আবারো ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

শায়মা বলেছেন: ২০১৬ এর ২৬ শে মার্চ। এ দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। যদি এ দিনটিকে বাংলাদেশের জন্মদিন বলে ধরে নেই তবে বাংলাদেশের বয়স হলো ৪৫ বছর। পয়তাল্লিশ বছর খুব কম সময় নয়। এ বয়সে একটি মানুষ তার জীবনের সাফল্যমন্ডিত সময়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকেন। মেধা, মনন, জ্ঞানে গরীমায় থাকেন ক্ষুরধার মহীয়ান।

তরুণ তরুণীরা দেশ এগিয়ে যাবার প্রধান অনুপ্রেরনা।আমরা সেই অনুপ্রেরনা পেয়েছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে।সেই অনুপ্রেরনার পরাজয় নেই, মৃত্যু নেই। তাই ত
আমরা লিখছি ।

খুব সত্যি আর মনের কথা বলেছো ভাইয়া।:) নাই নাই করে কিছুই নাই বা হয়নি সেটাও ঠিক না। অবশ্যই চেতনা, অনুপ্রেরনার বীজ প্রোথিত রয়েছে আমাদের অন্তরে আর তাই আজও বেঁচে আছি আমরা। সমাজের গুটিকয় পাশবিক মানষিকতাকেও সমূলে উৎপাটন সম্ভব। শুধু দরকার একটু ইনিশিয়াল স্টেপ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শায়মা বলেছেন: পোষ্টে অনেক কিছুই এসেছে ।সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোও এসেছে।
ব্লগে যারা আলোচনা করেন তারাই ব্লগ থেকে দূরে আছেন ।যারা দেশকে কিছু দিতে পারবেন তারা এখন আর আগের মত পোষ্টে আসেন না। সবাই নিজেদের গণ্ডির ভিতরেই রাখছে।
আশা করি সামু ব্লগের সকলেই আলোচনায় আসবেন ।
আমি মনে করি আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানা যায় এবং অনেক সমস্যার সমাধান হয় ।
লেখার সমালোচনা অথবা দেশের সমালোচনা সবাই করতে পারে ।
দেশে সমস্যার সমাধান দেবার মত লোকের অভাব ।


আলোচনা বা সমালোচনার মানুষ একেবারেই নেই তাও নয়। আগে ছিলো এখন নেই তাও নয়। সকল সময় তার নিজের নিয়মেই চলে। তাই বলে যা নেই তা নিয়ে বসে থাকলে চলবেনা

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
তবে একলা চলো রে........

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শায়মা বলেছেন: যদি আমরা স্বাধীনতার চার মূলনীতির দিকে তাকাই, দেখবো-
১ - গনতন্ত্র
২ - সমাজ তন্ত্র
৩ - ধর্ম নিরপেক্ষতা
৪ - বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ

আমাদের দেশে চার মূলনীতির কোন টাই প্রয়োগ নাই ।
স্বাধীনতার মাসে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ই প্রমাণ করে ।


স্বাধীনতার মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সত্যিই দুঃখজনক!

এসব নিয়ে শুধু ভাবনারই না উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহনের সময় এসেছে।

৩৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

উপপাদ্য বলেছেন: আমি এসেছি ক্যাচাল করতে।

ব্লগার শায়মা অসাধরন লেখেন নিঃসন্দহে
তবে কবি শয়ামা অনবদ্য, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায় কবিতাগুলো।
কিন্তু এই পোস্টে তীতুমীর, শরীয়তুল্লাহর নাম নাই দেখে একটু অবাক হয়েছি বৈকি। মনে হচ্ছে সতর্কভাবেই আপনি মিস করে গেছেন এই নাম গুলো। সেটা হয়তো এই জাতির প্রতিরোধের প্রতীক তীতুমীরের বাঁশেরকেল্লা নিয়ে একটা রাজনৈতিক দল ব্যবসা করছে বলে??

তীতুমীর সম্ভবত সর্বপ্রথম অর্গেনাইজলি একটি জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করে তার চেয়েও বেশী ওরগ্যানাইজলি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিতুমীরের প্রতিরোধ যুদ্ধ ও প্রধান সেনাপতি শেখ মাসুমের ফাঁসীর মঞ্চে গেয়ে যাওয়া বাংলার জয়গান হয়তো জাতি ভুলে গেছে কিন্তু ব্লগার শায়মার মতো মানুষদের ভুলে গেলে চলবেনা যে।

পো্স্ট বরাবরের মতোই দারুন রকমের প্রাঞ্জল। অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি আমা জানা চেনা ও বুঝা নিয়ে লিখেছি তুমি এইবার এদেরকে নিয়ে লেখো নইলে বলো কি তোমার বলার আছে এদেরকে নিয়ে।

তীতুমীরের বাঁশের কেল্লার সে খবর জানিনা তা নয় তবে ছোটবেলায় আমার একটা বই ছিলো ছোটদের তীতুমীর সেটা পড়ে খুব অবাক হয়েছিলাম এই দুঃসাহসী বীরের কথা জেনে আর নীলচাষের কথাও সে বই থেকেই প্রথম পড়া আমার।

তীতুমীর সম্ভবত সর্বপ্রথম অর্গেনাইজলি একটি জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করে তার চেয়েও বেশী ওরগ্যানাইজলি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিতুমীরের প্রতিরোধ যুদ্ধ ও প্রধান সেনাপতি শেখ মাসুমের ফাঁসীর মঞ্চে গেয়ে যাওয়া বাংলার জয়গান হয়তো জাতি ভুলে গেছে কিন্তু ব্লগার শায়মার মতো মানুষদের ভুলে গেলে চলবেনা যে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। নেক্সট টাইম এসবও ভেবে দেখবো নিশ্চয়!

৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুক্রবারের আড্ডায় একটা লিংক দিয়েছি। 'স্মৃতিচারণঃ বেঁচে আছি আজও' । পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ বোন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া। অবশ্যই পড়বো। তুমি তো নিজের চোখেই দেখেছিলে মুক্তিযুদ্ধ সেটার মূল্যও কোনো অংশে কম নয়।

৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

উদ্ধাস্ত৬১ বলেছেন: সিনিয়র সহ-ব্লগার আবু শাকিল ভাইয়া বলেছেন-
১ - গনতন্ত্র
২ - সমাজতন্ত্র
৩ - ধর্ম নিরপেক্ষতা
৪ - বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ

আমাদের দেশে চার মূলনীতির কোন টাই প্রয়োগ নাই ।


চার মূলনীতি পরষ্পর কতটা যে সাংঘর্ষিক এই লেখাটা পড়লে বুঝতে পারবেন-http://www.somewhereinblog.net/blog/akdeniz/30120779

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: অবশ্যই পড়বো।

থ্যাংকস ভাইয়া।

৪০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

উদ্ধাস্ত৬১ বলেছেন: লিংকটা আবারও দেওয়ার চেষ্টা করলাম- Click This Link

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৩

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া।

থ্যাংকস এগেইন।:)

৪১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

এস কাজী বলেছেন: এখনো পড়িনি। পরে পড়ব :(

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৩

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা পরে পড়ো।

৪২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

কালীদাস বলেছেন: থ্যাংকস, ডিটেইলড রিপ্লাইয়ের জন্য :)

কালচারের ব্যাপারে ভাল বলেছেন। নব্বই পর্যন্ত বিটিভির মান ভালই ছিল (নিউজ বাদে, ঐটা চিরকালই সার্কাজম করে বানান হয়), সত্যি বলতে কি বিটিভির নব্বই পর্যন্ত মান এখনকার কোন চ্যানেলই অর্জন করতে পারেনি, বিটিভি তো পুরাই ডেড। আমার নিজের ছোটবেলার কথা এখনও মনে আছে, মঙ্গলবার আর বৃহস্পতিবার নাটকের সময় সারা দেশ চুপ হয়ে যেত। চ্যানেলগুলো প্যাকেজ নাটক যেদিন থেকে শুরু করেছে, সেদিন থেকে অধঃপতনের শুরু। নিম্মমানের আমি/তুমি-মইড়া গেছি টাইপের কাহিনী; টেলিফিল্ম নামে অদ্ভুত একটা কনসেপ্টের আসন গেড়ে বসা....মাঝখান থেকে থিয়েটারের বারোটা। মুভির কথা চিন্তা করেন, ইন্ডিয়ার মুভিগুলো হলিউড মুভিকে পুরা কপি করে নাচগান যোগ করে বানায়, সেই বস্তাপঁচা মালকে কপি করে আমরা চালাই। ঠিকই তো, পাবলিক খাবে কেন এই কপি বুলশিটের কপি?

সৌদি ফ্যানগুষ্ঠি পুরাই নতুন জাঁনর হিসাবে দেখছি ব্লগে :D এদের মোটিভেশন কি বা গোল কি বুঝলাম না, ফাকিপ্রেমি বা ভাদাগুষ্ঠি কারও সাথেই মিল পেলাম না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া এই সব হলো কপির কপি রদ্দি কপি। তবুও রক্ষা নিউজগুলো উন্নত হয়েছে। আগে বাংলাদেশের নাটকের কাছে ওপার বাংলাও হার মানতো আর সেই ওপার বাংলাকেই নকল করতে গিয়ে নিজেদের মান সন্মান সব খুইয়েছে আমাদের দেশের নাটকগুলো আজ।:(


সৌদি ফ্যন গোষ্ঠী নিউ জেনারেশন! হা হা নো পাত্তা! :P

যাইহোক ভাইয়া অনেক অনেক থ্যাংকস!

তোমার পাঁচদিনের ছুটির দুদিন কেটে গেলো!:)

আমার আর একদিন।:(

৪৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খুব পরিশ্রমী পোষ্ট শায়মা , কথার মালায় ইতিহাস যেন প্রান বন্ত হল ।নিরন্তর শুভকামনা ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেকদিন পর তোমাকে দেখলাম। নিশ্চয় অনেক ভালো আছো।

৪৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

পার্থিব পার্থ বলেছেন: আমরা সমাজের দোষ দেই, দোষ দেই রাজনৈতিক হানাহানি, ক্ষমতার লড়াই বা সমাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়সহ নানা নিয়ামকের। দোষ দেই একতাবদ্ধতার। তবে একটা কথা ভুললে চলবেনা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলিকনা থেকেই গড়ে ওঠে মহাদেশ, বিন্দু বিন্দু জলেই গড়ে ওঠে মহাসাগর।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে....
তবে একলা চলো রে.....
হ্যাঁ আমাদের হাতেই আসলে রয়েছে সেই স্বপ্নলোকের সোনার চাবিটি। যা কিছু আজ অধরা মনে হচ্ছে আমরা চাইলেই তা হয়ে উঠতে পারে অতি সহজ। প্রয়োজন শুধু প্রতিটা নাগরিকের হাতের সেই সোনার চাবিটিকে ঘোরানোর। চিন্তা মনন, মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ উন্নয়নের সে চেতনায় যদি এক এক করে এগিয়ে আসি আমরা, ঘুরিয়ে দেই সোনার চাবিটি। তাতেই খুলে যাবে সেই স্বপ্নলোকের দ্বার। আমরা হবো প্রকৃত স্বাধীন।

আর তাই স্বাধীনতা দিবসে আমার একটাই চাওয়া, চিন্তা, চেতনা ও মননে স্বাধীন হোক বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক


সহমত।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
তোমার কবিতা পড়লাম। বিদ্রোহী ভাব। প্রেম কাব্যেও বিদ্রোহী ভাব কেনো?

যাইহোক অনেক অনেক ঝামেলায় আছি। ঝামেলা একটু কমিয়েই তোমার বিদ্রোহী কবিতা আবারও পড়তে যাবো। :)

৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বাপরে পারোও বটে
জ্ঞানের কত কপচানি;
শুনে শুনে হয়রান
ধরে গেলো মাথাখানি।:)

তত্বে কামডা কিগো
খাবো দাবো গাবো গান;
খিচুরী দৈএর পরে
চোখ মুদে খিলি পান।

আহা আহা মধু মধু
জীবনতো এরে কয়;
ক্যান বাপু অত ভেবে
ব্রেনখানা করা ক্ষয়? :P

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

শায়মা বলেছেন: কি যে বলো ভাইয়াটা
আমি জ্ঞানী!
তুমি কি!:(

বড় বড় শেল নিয়ে
তুড়ি মেরে
ভূমি কি-

দাও না উড়িয়ে তুমি
ফানি ফানি কথাতে? X((
কেউ না বুঝুক জানি
মানি মানি কথা সে। #:-S

তুমি হলে পন্ডিত
পন্ডিতি টিকিতে
হেসে হেসে পেঁচ দিয়ে
আধুলী ও সিকিতে। :||

হারিয়ে দাও যে সদা
সেই ভয়ে লাজেতে
ইদানিং থাকি আমি
টেবিলেরি তলাতে। :((

এই ছিলো তোমা মনে
জলে মাছ খেলাবে! X((
গুরু মারা বিদ্যাটা
এইভাবে ফলাবে!!!!!!!! X(




৪৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপাতত লড়াই সংগ্রামের মধ্যে আছি। পড়বার সময় পেলাম না। পরে পড়ব। শুভ কামনা জানবেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া নো প্রবলেম। তুমি লড়াই এ সফল হও। অসাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য দূর হয়ে যাক এ সমাজ থেকে। সবাই মিলে শান্তি সুখে বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালাতেই হবে এইবার।

৪৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: অনেক কষ্ট করে সবটুকু পড়ালাম । একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

শায়মা বলেছেন: এত কষ্ট করে সবটা পড়ার জন্য তোমাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। অসংখ্য অসংখ্য।:)

৪৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: আপু আমি আপনার হিপ্নোটিজম ব্লগ এ একটা মন্তব্য করেছি। কিন্তু উত্তর পাইনি ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

শায়মা বলেছেন: স্যরি ভাইয়া। আজকাল যেমনই নোটিফিকেশন দেখতে পাইনা তেমনই রিসেন্ট ভিজিটর লিস্টও দেখিনা তাই একটু মাঝে মাঝে মিস হয়ে যায়। ওকে এখুনি দেখছি।:)

৪৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


১. স্বাধীনতা একটি কালো হাতি। স্বাধীনতা যেন অন্ধের হাতের কাছে পাওয়া সেই বিশাল এক হাতি। কখনও এটি পিলার, কখনও বা দেয়াল, আবার কখনওবা হাত পাখা....

আসল বিষয়টি অধরাই থেকে গেলো...

২. স্বাধীনতা হলো একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, যা পূরণ করার জন্য দেওয়া হয় না, নির্বাচনে পাশ করার জন্য দেওয়া হয়।



আপনার দীর্ঘ লেখা পড়ে অনেক কথাই মনে আসলো, কিন্তু লেখার মেজাজ নেই।

শুধু বলি: এ লেখায় স্বাধীনতার ব্যবচ্ছেদ হয়েছে দারুণভাবে। যারা বুঝার, তারা বুঝুক।



( প্রথমে দেওয়া কবিতার চরণগুলো আবার পড়ে নিন নিজ চোখে! কিছু করার পাবেন নিশ্চয়! )

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

শায়মা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া লেখাটা পড়ার জন্য।

তবে কালোহাতিটাকেই চোখ মেলে দেখতে হবে এইবার।

৫০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১১

জেআইসিত্রস বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন কথা মালার ইতিহাস প্রান বন্ত হল ৷ ভালো লাগলো ৷

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪২

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। অনেক ভালো থেকো।

৫১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

৫২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,



আপনার এ্ই কথাটি দিয়েই শুরু করি ---প্রয়োজন আত্মপোলদ্ধির। পেছনে ফিরে তাকানোর বড় প্রয়োজন তার প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি বা হিসেব নিকেশের খতিয়ানের দিকে।
কেন শুরু করছি ?
কোনও এক মন্তব্যের উত্তরে লিখেছেন এই লাইনটি - কুশাসন, দূর্নীতি এসবের খেয়াল নেই, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, মূলনীতির জ্ঞান নেই অথচ বলে ফেলে এক একজন একেক কথা।
এই আত্মপোলদ্ধি করাতে আপনার এই "একের ভেতরে অনেক" পোষ্টটি কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে । আরো বড় একটি ভূমিকা রাখতে পারে যদি আপনি কখনও আর একটি পোষ্টে "মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস" তুলে ধরতে পারেন । খন্ড - খন্ডিত লেখা নয় , শুরু করতে হবে ব্রিটিশ আমল থেকে । কংগ্রেসের জন্ম , মুসলিম লীগের জন্মকথা ; বাঙালী দমনে পাঞ্জাবীদের রাজনীতির পাশা খেলায় নেতাজী সুভাস বসুর কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়া , গান্ধীর আগমন , ভারতের স্বাধীনতার নামে অগ্রগামী বাঙালীদের পেছনের কাতারে ঠেলে রাখার রাজনৈতিক কূটচাল , জিন্নার আবির্ভাব , ছলেবলে অগ্রসর বাঙালীদের হটিয়ে পাঞ্জাবী ও সমমনাদের সামনের কাতারে চলে আসা, বাঙলাকে বাদ দিয়ে পাকিস্থান গঠনের পায়তারার রাজনীতি , বঙ ভঙ , পাকিস্তানের জন্ম , পূর্ব ও পশ্চিমের অর্থনৈতিক বৈসাম্য, পশ্চিম কর্তৃক পূর্বকে শোষন ও পেষন , ভাষা নিয়ে মাতব্বরী , সত্তর এর ভোটের ফলাফলকে মেনে নিতে টালবাহানা ইত্যাকার বিষয় নিয়ে লিখতে হবে । যাতে অনেক বেপথু নতুন প্রজন্ম জানতে পারে, কেন মুক্তিযুদ্ধ । যেন শুনে শুনে এক একজন একেক কথা না বলতে পারে ।
এতে হয়তো আত্মপোলব্ধির বিশাল ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে । আমরা প্রায় সবাই সত্তর থেকে বা বড়জোর বায়ান্নো থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের কথা বলি যা ঠিক নয় মোটেও । এর পত্তন হয়েছে বৃটিশ ভারতের আমল থেকে । বাঙালীদের বঞ্চনার কাহিনী থেকে ।
বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনার লেখা পোষ্টগুলো সমৃদ্ধ হয় বলেই আপনাকে লিখতে বলা । ব্লগে হয়তো আপনিই একমাত্র সে সামর্থ্য রাখেন । এসব বিষয়ে গবেষকদের অনেক লেখা আছে খন্ডিত ভাবে, তবে তা ব্লগের উপযোগী নয় । বিচ্ছিন্ন ভাবে বই পড়ে একাত্মতা প্রকাশ বা আন্দোলন করা যায়না যেটা সামাজিক এই মাধ্যমটিই পারে ।
খুব বেশী কঠিন আশা করিনি বোধহয় । ভেবে দেখতে পারেন । সবার সঠিক আত্মপোলব্ধি সবাইকেই একাট্টা করতে পারে আর তাতে আপনার পোষ্টের ছবিতে তালাবদ্ধ মুখের তালাটি খোলার আয়োজন সমাপ্ত হতে পারে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
এই মন্তব্যের পরে অনেক কিছুই ভাবলাম। এই গুরু দায়িত্ব বা চ্যালেঞ্জ যেটাই বলো আমি অনায়াসেই নিতে পারি, সেই স্বভাবটা খুব বাজে ভাবেই আমার ভেতরে আছে কিন্তু এই "মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস" তুলে ধরতে গেলে যে নিজেকেই অনেক বেশি গবেষনায় লিপ্ত হতে হবে কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক সে সত্য বের করতে গেলে তো এক জীবনে হবেনা বলে মনে হয়। এত এত ভুলে ভরে গেছে ইতিহাস। এত এত বিকৃতি কে দেবে সত্যের নিশ্চয়তা?


এখানে অনেকেই বলেছেন আমি কেনো সুর্য্যসেন প্রীতিলতাদের কথা এনেছি। এটার কোনো দরকারই ছিলোনা। আসলে আমার মনে হয়েছে এই শ্রদ্ধেয় মানুষগুলিই আমাদেরকে দেখিয়েছিলো মুক্তির স্বপ্ন, জন্মভূমির প্রতি কৃতজ্ঞতার দায়। খুব বেশি এর কিছু জবাব দিতে পারিনি আমি তবে আজ এই মন্তব্যের পরে মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তির চেতনার শুরু আসলেই অনেক অনেক আগেই হয়েছিলো সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই । কংগ্রেসের জন্ম , মুসলিম লীগের জন্মকথা ; বাঙালী দমনে পাঞ্জাবীদের রাজনীতির খেলায় নেতাজী সুভাস বসুর কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়া , গান্ধীর আগমন , ভারতের স্বাধীনতার নামে অগ্রগামী বাঙালীদের পেছনের কাতারে ঠেলে রাখার রাজনৈতিক কূটচাল , জিন্নার আবির্ভাব , ছলেবলে অগ্রসর বাঙালীদের হটিয়ে পাঞ্জাবী ও সমমনাদের সামনের কাতারে চলে আসা, বাঙলাকে বাদ দিয়ে পাকিস্থান গঠনের পায়তারার রাজনীতি , বঙ ভঙ , পাকিস্তানের জন্ম , পূর্ব ও পশ্চিমের অর্থনৈতিক বৈসাম্য, পশ্চিম কর্তৃক পূর্বকে শোষন ও পেষন , ভাষা নিয়ে মাতব্বরী , সত্তর এর ভোটের ফলাফলকে মেনে নিতে টালবাহানা ইত্যাকার বিষয়ই আমাদেরকে বহু আগেই জানিয়েছিলো মুক্তির বড় প্রয়োজন শোসক গোষ্ঠির থেকে।

আমরা প্রায় সবাই সত্তর থেকে বা বড়জোর বায়ান্নো থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের কথা বলি শুধু না নতুন প্রজন্ম এমনটাই ভাবিও। এর পত্তন বা বৃটিশ ভারতের আমলের সে সব মুক্তিকামী ইতিহাস ক জনে আর জানে? এই মন্তব্য আমি মনে রাখবো আর অবশ্যই চেষ্টা করবো যতখানি সাধ্য আছে লিখবার। অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।


বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনার লেখা পোষ্টগুলো সমৃদ্ধ হয় বলেই আপনাকে লিখতে বলা । ব্লগে হয়তো আপনিই একমাত্র সে সামর্থ্য রাখেন । এসব বিষয়ে গবেষকদের অনেক লেখা আছে খন্ডিত ভাবে, তবে তা ব্লগের উপযোগী নয় । বিচ্ছিন্ন ভাবে বই পড়ে একাত্মতা প্রকাশ বা আন্দোলন করা যায়না যেটা সামাজিক এই মাধ্যমটিই পারে ।
খুব বেশী কঠিন আশা করিনি বোধহয় । ভেবে দেখতে পারেন । সবার সঠিক আত্মপোলব্ধি সবাইকেই একাট্টা করতে পারে আর তাতে আপনার পোষ্টের ছবিতে তালাবদ্ধ মুখের তালাটি খোলার আয়োজন সমাপ্ত হতে পারে ।


কমেন্টের এই অংশে এসে আমি লজ্জা পেয়েছি ভাইয়া তবে অনেক অনেক খুশীও হয়েছি এমন একটি প্রশংসার বাণী শুনে। অনেক অনেক থ্যাংকস আর ভালোবাসা ভাইয়া। অনেক ভালো থেকো।

৫৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১০

বাঘ মামা বলেছেন: আমি বরাবরি সব কিছুতে কাঁচা।ইতিহাস আমাকে টানেনা একদমি।আমি গত দিনটাকে গতএর তালিকায় রেখে আগামীতে পা বাড়াই,পিছনকে পিছনে ফেলে চলা বলা আমার অভ্যাস।

বড় বড় ব্লগারদের ব্লগে বড়দের আগমন এবং তাদের মুল্যবান মন্তব্যের মাঝে আমার মন্তব্য মুল্যহীন অর্থহীন হয়ে যায় বলে কখনো কখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে মন্তব্য এড়িয়ে যাই। এই ব্লগ পোস্ট তার মধ্যে একটা।তবুও নিজের দেশ দশ ভাবনা হতাশা ভরা পোস্ট দেখে নিজের বিবেক বিবেচনায় সঞ্চিত কিছু আশার বাণী নিয়ে হাজির হলাম।

চরম অন্ধাকারেই আলোর বাহাদুরি। দেশ নিয়ে মানুষ যতই হতাশাগ্রস্থ হোক না কেন আমি দেখি সেই আলো যা বদলে দিবে সবকিছু, সহসাই হারিয়ে যাবে সকল আঁধার।খুব বেশিদিন সময় নিবেনা এই পরিবর্তন,অন্ধকারের ওপারে আলোর গতিতে আলো ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে।সেই নয়ন রাঙ্গা আলো পড়বে আমার তোমার সকলের চোখে।

এই পরিবর্তনের আরো গতি বাড়াতে আমাদের ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু জরুরী বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।
গুনী জনদের সন্মান করা,
প্রতিটা পদ কে সন্মান করা,
সব ধরনের মানুষকে মানুষ মনে করা,
সকল কাজকে কাজ মনে করা,
সামান্যতম অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা,
সকল প্রকার সফলতাকে উৎসাহ দেয়া,
প্রয়োজনে নিজেকে থামিয়ে অন্যকে আগে চলতে দেয়া,
অন্যের বিরক্তির কারণ হয় এমন অযাচিৎ শব্দ না করা,
এমন কথা না বলা যা অন্যকে আহত করে,
ভালোবাসা গুলোকে ঠিক মত ভালোবাসা হলো কিনা তা ভালো ভাবে ভেবে দেখা,
কারো সম্পদের উপর লোভ না করা,
নিজের দায়িত্বটুকু ঠিক ভাবে পালন করা,
হেরে যাওয়ার পরে চিন্তা হোক পরের বার জয়ী হবার কঠোর পরিশ্রম,
প্রতিশোধের আগুনে না জ্বলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে ভালোবেসে জয় করা।

উপরের সব গুলো কাজ যদি নিজের মধ্যে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি একটা শুদ্ধ আত্মা বহন করছেন আপনার অস্তীত্বে ,আপনি নিশ্চিৎ হতে পারেন আপনার একটি মুল্যবান মস্তিষ্ক আছে ,এবং সেই মস্তিষ্কই বিধাতা চান তার সামনে নত হোক পার্থনায় যার যার ধর্ম বিশ্বাস রীতিনীতি অনুযায়ী।যদি উপরের যে কোন একটি আপনি হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনি পার্থনার যোগ্য ব্যক্তি নন।ধর্ম আপনার জন্য না।বিধাতা আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন,নিবেন আপনার দেশ থেকে।

কোন কিছুতেই কোন লাভ নেই শায়মা,গোল টেবিল লম্বা টেবিল,সভা সেমিনার, বক্তিতা বক্তব্যে,টিবিতে কিংবা ঢিবিতে দাড়িয়ে অথবা পাহাড় চুড়ায় ,ব্লগ কিংবা কাগজের পাতায় পাতায়,হাত বাড়িয়ে বা কাঁধ মিলিয়ে, বুক বিছিয়ে বা হাত নাছিয়ে,গলা বাজি বা কারসাজি,ইতিহাস কিংবা পাতিহাস,কয়জন মরেছে আর কয়জন লড়েছে, কোন কিছুতেই মানব দেশ উন্নয়ন হবেনা যদিনা প্রতিটা একক মানুষ বর্তমানের উপর নিজের বোধ জাগ্রত না করে।

শেষ কথা- বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে সকল হতাশা নিরাশাকে বগল দাবা করে,শুধু পার্থক্য যারা দেখেনা তারা কোনদিন তা দেখবেনা।যারা এখন মানেনা তারা কখনো মানবেনা,যারা জানতে চায়না তারা কোনদিন জানবেনা।শুধু ওদের গত হতে হবে এই যা।

(একটা ব্যক্তিগত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি বলে সম্ভবত তার প্রভাব মন্তব্যে পড়েছে,কিছু ভুল হলে শোধরে নেওয়ার মানসিকতা সব সময় আমার আছে)

সে যাই হোক ,ধন্যবাদ পোস্টের জন্য

শুভ কামনা সব সময়

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

শায়মা বলেছেন: বাঘ মামা বলেছেন: আমি বরাবরি সব কিছুতে কাঁচা।ইতিহাস আমাকে টানেনা একদমি।আমি গত দিনটাকে গতএর তালিকায় রেখে আগামীতে পা বাড়াই,পিছনকে পিছনে ফেলে চলা বলা আমার অভ্যাস।

বড় বড় ব্লগারদের ব্লগে বড়দের আগমন এবং তাদের মুল্যবান মন্তব্যের মাঝে আমার মন্তব্য মুল্যহীন অর্থহীন হয়ে যায় বলে কখনো কখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে মন্তব্য এড়িয়ে যাই। এই ব্লগ পোস্ট তার মধ্যে একটা।তবুও নিজের দেশ দশ ভাবনা হতাশা ভরা পোস্ট দেখে নিজের বিবেক বিবেচনায় সঞ্চিত কিছু আশার বাণী নিয়ে হাজির হলাম।

আমি জানি বাঘমামা অনেক বেশি বিনয়ী তাই অজ্ঞতা বা জানিনা বুঝিনার বাণী দিয়ে শুরু করেছে। তবুও এই বাঘমামার মতামত বা কমেন্টের মূল্য এই ব্লগের জন্য বা অনলাইনের বাইরে মানুষদের জন্যও কতখানি দরকারী বা প্রয়োজনীয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এই কমেন্টের জবাবগুলো নিয়েও একটু ভাবতে হবে। তরিৎ জবাব দেওয়াটা আমার অভ্যাস আর সেটাই করতে পারতামও এখুনি কিন্তু আসলেই অনেক কথা বলার আছে এ মন্তব্যে। এ কমেন্টের এক এক করে জবাব নিয়ে তাই পরে আসছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫২

শায়মা বলেছেন: চরম অন্ধাকারেই আলোর বাহাদুরি। দেশ নিয়ে মানুষ যতই হতাশাগ্রস্থ হোক না কেন আমি দেখি সেই আলো যা বদলে দিবে সবকিছু, সহসাই হারিয়ে যাবে সকল আঁধার।খুব বেশিদিন সময় নিবেনা এই পরিবর্তন,অন্ধকারের ওপারে আলোর গতিতে আলো ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে।সেই নয়ন রাঙ্গা আলো পড়বে আমার তোমার সকলের চোখে।

দেশ নিয়ে শুধুই হতাশা!:( আর আলোর দিক আমরা দেখি না তাও না। :)
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য স্বাধীনতার বিরোধী চক্র রাজাকারের বিচার। এছাড়াও কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি, কাঠামোগত উন্নয়ন অবশ্য অবশ্য আরও বড় বিজয়। কিন্তু এই কাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও কিছু উন্নয়ন যা প্রয়োজন ছিলো তা পিছিয়েই আছে । বিশেষ করে সাধারণ জন সাধারণ যার ভুক্তভুগী। সেসবের কথাই পোস্টে বলেছি।

যখন ঢাকার কিছু রাজপথে তাকিয়ে দেখি। অন্ধকার সন্ধ্যাতেও বেগুনী, গোলাপী আলো ছড়িয়ে মায়াবী রাজপথও যেন রুপকথার দেশে বাস করছি এমনই ভাব সঞ্চার করে তখন কি মনে পড়ে এই দেশে আরও অনেকগুলো শহর রয়েছে বা অনেক খানেই যোগাযোগ ব্যাবস্থা নড়বড়ে ভাঙ্গাচুরা বা দূর্গম আজও।

এমন আরও অনেক বৈষম্য পড়ে থাকে আসে পাশে। বড় বড় শপিং মল, হাইফাই রেস্টুরেন্ট যেমনই উন্নয়ন তেমনি তার পাশেই থালা হাতে ক্ষুধার্থ ভিখারী, ছিন্নবস্ত্র পথ শিশু। যাদের দিকে তাকানোর আমাদের সময় নেই।




স্যরি
জবাবগুলো একে একে দিয়ে যাবো বললেও অনেক বেশি দেরী হয়ে গেলো কারণ অনেক অনেক বিজি ছিলাম। যদিও ইজি কাজে বিজি থাকাটাি আমার কাজ।:(

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১৮

শায়মা বলেছেন: এই পরিবর্তনের আরো গতি বাড়াতে আমাদের ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু জরুরী বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।
গুনী জনদের সন্মান করা,

অতি সত্য কথন যা অনেকটাই কমে গেছে বলে মনে হয় আজকাল.......

প্রতিটা পদ কে সন্মান করা,
সব ধরনের মানুষকে মানুষ মনে করা,
সকল কাজকে কাজ মনে করা,

এ চর্চারও উন্নতি প্রয়োজন।


সামান্যতম অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা,

সকল প্রকার সফলতাকে উৎসাহ দেয়া,
প্রয়োজনে নিজেকে থামিয়ে অন্যকে আগে চলতে দেয়া,

এসবই খুব খুব প্রয়োজন এবং সবাইকেই সচেতন হতে হবে।


অন্যের বিরক্তির কারণ হয় এমন অযাচিৎ শব্দ না করা,
এমন কথা না বলা যা অন্যকে আহত করে,

ঠিক তাই তবে একটু না অনেক বেশীই কঠিন এই শর্ত মনে রাখা। বিশেষ করে যখন কেউ কাজগুলো করে থাকে।

ভালোবাসা গুলোকে ঠিক মত ভালোবাসা হলো কিনা তা ভালো ভাবে ভেবে দেখা,

খুব কঠিন ব্যাপার।

কারো সম্পদের উপর লোভ না করা,
নিজের দায়িত্বটুকু ঠিক ভাবে পালন করা,

খুব সঠিক।

হেরে যাওয়ার পরে চিন্তা হোক পরের বার জয়ী হবার কঠোর পরিশ্রম,
প্রতিশোধের আগুনে না জ্বলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে ভালোবেসে জয় করা।

প্রতিশ্রুতি বলতে কি বুঝানো হয়েছে বুঝিনি। :(

সব কথাগুলোই অনেক ভাবালো। আর এত বড় সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস!!!!:)

৫৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

আরইউ বলেছেন: অসাধারণ!!

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। :)

৫৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

জেন রসি বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাইয়ের কিছু মতামতের সাথে সহমত পোষণ করছি। আপনি আসলেই সেই সামর্থ্য রাখেন। তাই আমাদের আরো আলোকিত করবেন সেই অপেক্ষায় থাকলাম। :)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

শায়মা বলেছেন: এইবারে সত্যিই একটু ভয় পাচ্ছি।:(

৫৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

কাবিল বলেছেন: নয় মাস যুদ্ধে দেশ স্বাধীনতা হয়েছে, কিন্তু ব্যাক্তি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ এখনো চলছে। এটা শেষ হবে কবে?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

শায়মা বলেছেন: জানা নেই ভাইয়া। আমাদেরকেই তা শেষ করতে হবে।

৫৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

এরশাদ বাদশা বলেছেন: তোমার মতো করে আমিও ভেবেছি অনেক। তবে ভাবনাগুলোকে একসূতোয় এতো সুন্দর করে গেঁথেছো যে, এতোবড়ো পোস্ট আমি চোখের পলকে পড়ে গেছি মন্ত্রমুগ্ধের মতো।
আমার বড়ো ভাই(বর্তমান এলাকার চেয়ারম্যান) যুবা বয়স থেকেই ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার কল্যানেই মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার এই মহান মানুষগুলো জানতে পারি। তার কাছ থেকে পাওয়া একটা বই (বইটার নাম মনে করতে পারছিনা) পড়েই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ এই মানুষগুলোর প্রতি অপার শ্রদ্ধা জন্ম নেয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাঙালী জাতি দু"ভাগে ভাগ হয়ে আছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষ এবং বিপক্ষ। এইখানেই বাঙালী জাতির উন্নতির সোপানটা বন্ধ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। যখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, গুটিকয় জারজ বাঙালী ছাড়া পুরো দেশটাই তো ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো যুদ্ধে। এই গুটিকয় জারজেরা পরবর্তীতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। ভাগ হয়ে যায় বাঙালী। আজো মাঝে মাঝে ভয়ংকর তর্ক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, আমার দেশ আর আমার নেতা(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) কে নিয়ে কটুক্তি করলে তার টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করি। ভেবে অবাক হয়ে যাই, যে মানুষটি এতো কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলেন, কি অবলীলায় বাঙালী তাকে হত্যা করলো!!!
কি অপরাধ ছিলো তার? বাকশাল কায়েম করেছিলেন বলে?? আরে যুদ্ধ পরবর্তী একটি দেশের পূণর্গঠন প্রক্রিয়া যে কতোট দূরুহ সেটা তারচে ভালো আর কে জানতো। সবার হাতে হাতে তখন অস্ত্র। এমন একটা দেশকে পরিষ্কার করতে গেলে তো বাকশাল কায়েম করতেই হবে।
বঙ্গবন্ধু শহীদ হবার পরেই বাঙালী জাতি পশ্চাৎে যেতে থাকে। এর পরের সরকারগুলো বারবার নিজেদের স্বার্থে ক্ষতবিক্ষত করেছে সোনার বাংলাকে। মালয়েশিয়ার মতো একজন মাহাথির মোহাম্মদ আর আসেনি বাংলার মাটিতে।
বাঙালী জাতি আমার মনে হয় কোনদিনই এক হতে পারবেনা। যারা এখনো পাকিস্থানের দালালী করে, ধর্মকে পুঁজি করে নিজেদের ব্যবসা(রাজনীতি) ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিতে চায়, তাদের কারণেই দেশ রসাতলে।
এ জন্য দরকার তরুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শেখানো। বাংলাদেশের শিকড়ের সন্ধান দেওয়া। তরুনরাই পারবে এদেশকে সোনার বাংলা করতে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

শায়মা বলেছেন:

যে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে একসময় দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই চেতনা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে এসেছি। কেন, কিভাবে এসেছি তা নতুন করে বলার কিছু নাই। কারন এ দেশের শাসকগোষ্ঠী বারবার একই ভুল করেছে। কিন্তু তারা ভুলগুলো করেছে নিজের ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করে রাখার জন্য। এখন আমরা যদি দলের স্বার্থের কথা না ভেবে দেশের স্বার্থের কথা ভাবতে পারি এবং সেভাবেই কাজ করতে পারি তবে আসলেই পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে বলে মনে করি।

থ্যাংকস আ লট ভাইয়ামনি! অনেক অনেক ভালো থেকো!!:)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

শায়মা বলেছেন: আমার বড়ো ভাই(বর্তমান এলাকার চেয়ারম্যান) যুবা বয়স থেকেই ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার কল্যানেই মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার এই মহান মানুষগুলো জানতে পারি। তার কাছ থেকে পাওয়া একটা বই (বইটার নাম মনে করতে পারছিনা) পড়েই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ এই মানুষগুলোর প্রতি অপার শ্রদ্ধা জন্ম নেয়।

আমার ছোটবেলায় আমি খুব ছোট থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছিলাম। সত্যি বলতে দেশপ্রেম, দেশের গান কবিতা থেকেই আমার দেশকে চেনা। বই বলো বা ইতিহাস বলো তার পরের পর্ব। কিন্তু খুব ছোট থেকেও যখন শুনতাম গান বা নাচের স্কুলে বড় আপুরা বা ভাইয়া গাইতো ......
মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান
লেখা আছে অশ্রু জলে.....

গান বা নাচের সাথে তার ভাবগাম্ভীর্য্য বা তাৎপর্য্য বুঝাতে সেসব আলাপ আলোচনাও করতো টিচারেরা। কেউ কেউ তাদের মধ্যে ছাত্র রাজনীতেও জড়িত ছিলো। তাদের থেকেই শুনে শুনে বা গান বা কবিতার মাঝেই এমন এক আবেগের সৃষ্টি হত......
তাই এখনও বিমোহিত বা আপ্লুত হই যখন গাই---

ও আমার দেশের মাটি
তোমার পরে ঠেকাই মাথা ....
তোমাতে বিশ্বময়ীর আঁচল পাতা.....

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাঙালী জাতি দু"ভাগে ভাগ হয়ে আছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষ এবং বিপক্ষ। এইখানেই বাঙালী জাতির উন্নতির সোপানটা বন্ধ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। যখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, গুটিকয় জারজ বাঙালী ছাড়া পুরো দেশটাই তো ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো যুদ্ধে। এই গুটিকয় জারজেরা পরবর্তীতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। ভাগ হয়ে যায় বাঙালী। আজো মাঝে মাঝে ভয়ংকর তর্ক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, আমার দেশ আর আমার নেতা(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) কে নিয়ে কটুক্তি করলে তার টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করি। ভেবে অবাক হয়ে যাই, যে মানুষটি এতো কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলেন, কি অবলীলায় বাঙালী তাকে হত্যা করলো!!!
কি অপরাধ ছিলো তার? বাকশাল কায়েম করেছিলেন বলে?? আরে যুদ্ধ পরবর্তী একটি দেশের পূণর্গঠন প্রক্রিয়া যে কতোট দূরুহ সেটা তারচে ভালো আর কে জানতো। সবার হাতে হাতে তখন অস্ত্র। এমন একটা দেশকে পরিষ্কার করতে গেলে তো বাকশাল কায়েম করতেই হবে।


অবশ্যই এই দু'টি ভাগই উন্নতির সোপানকে মন্থরগতীর চলনের পিছে দায়ী। এক দল যখনই উঠতে যায় আরেক দল তখন পিছন থেকে টেনে ধরে। বিশেষ করে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি এই স্বাধীন দেশে বাস করেও যখন স্বাধীনতার বিরোধিতা করে আসলেই টুঁটি চেপে ধরা ছাড়া আর কিছুই হয়তো করার থাকেনা। তবুও আমরা অপেক্ষায় থাকি কবে শুভবুদ্ধির উদয় হবে তাদের। কিন্তু গোবর মাটিতে ভালো ফলন হলেও গোবর মস্তিস্কে ভালো কিছুই জন্মায় না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০০

শায়মা বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শহীদ হবার পরেই বাঙালী জাতি পশ্চাৎে যেতে থাকে। এর পরের সরকারগুলো বারবার নিজেদের স্বার্থে ক্ষতবিক্ষত করেছে সোনার বাংলাকে। মালয়েশিয়ার মতো একজন মাহাথির মোহাম্মদ আর আসেনি বাংলার মাটিতে।
বাঙালী জাতি আমার মনে হয় কোনদিনই এক হতে পারবেনা। যারা এখনো পাকিস্থানের দালালী করে, ধর্মকে পুঁজি করে নিজেদের ব্যবসা(রাজনীতি) ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিতে চায়, তাদের কারণেই দেশ রসাতলে।
এ জন্য দরকার তরুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শেখানো। বাংলাদেশের শিকড়ের সন্ধান দেওয়া। তরুনরাই পারবে এদেশকে সোনার বাংলা করতে।


অবশ্যই তরুণ প্রজন্মে জানতে হবে সঠিক ইতিহাস তবেই জন্ম নেবে একজন নয় আরও শত শত বঙ্গবন্ধু, শত শত মাহাথির।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০১

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এক এক করে সব উত্তর দেবো বলেছিলাম। কিন্তু জানোই ইজি কাজে বিজি হওয়া আমার চিরায়ত শখ আর অভ্যাস। অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়ামনি।:)

৫৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৮

নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: 'প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তরও তো জানা।'

যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন, ভেবেছেন তা আমরা সবাই'ই ভাবি। না ভাবলেও প্রতিনিয়ত ভাবাতে বাধ্য করা হয়। তাছাড়া আমাদের শিক্ষিত করা হচ্ছে, কিন্তু স্বশিক্ষিত হওয়াটা আরও অনেক বেশি জরুরী। রাজনীতি এখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক অনেকটা, স্বার্থের জন্য আরেকজনকে অস্বীকার করা নিয়মিত আচরণ। এই ক্ষুদ্রতাগুলো ঘুচে গেলে মুক্তি আসবে, এমনটা প্রত্যাশা করছি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

শায়মা বলেছেন: শিক্ষিতের চাইতে স্বশিক্ষিত হওয়াটা অনেক বেশি জরুরী। ক্ষুদ্রতাগুলো অবশ্যই ঘুচে যাবে। আশা ছাড়া চলবেনা ভাইয়া।

৫৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কি অধরাই থেকে যায় না? এ বোধ শক্তি কি আমাদের আছে? আমাদের কর্ণধারেরা, আমাদের জন সাধারণ তারা কি আসলেই ভাবেন সত্যিকারের স্বাধীনতা নিয়ে? এ দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে ক'জনে আলোচনা করি আমরা? আজ বাংলাদেশের এই ৪৫ বছর বয়সে আত্মসমালোচনার বড় প্রয়োজন। জাতি হিসাবে আমাদেরও প্রয়োজন আত্মপোলদ্ধির। কিন্তু কারা করবে সেসব? --------------

ধন্যবাদ আপু, সুদীর্ঘ পোষ্টে সুনিপুণ হাতে লিখেছেন স্বাধীনতার সংজ্ঞা, স্বাধীনতার প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি।
চাই শুধু স্বাধীনতা উপভোগ করতে!!

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস বীথিমনি!

অনেক ভালো থেকো!!!!

৬০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

এরশাদ বাদশা দ্যা ওয়ারিয়র বলেছেন: আমার এই নিকটা সেইফ হয়েছে। :#)

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

শায়মা বলেছেন: গুড গুড ভেরী গুড এ্যান্ড কংগ্রাচুলেশন!!:)

৬১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: সবাই এত্ত এত্ত কিছু বলে ফেলেছে !!!!! :|

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: :P


হা হা আপুনি!!!!!!!

৬২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: স্বাধীনতা নিযে চমৎকার একটি। প্রীতি লতা, মাস্টার দা, ক্ষুদিরাম, ভাসানী, শেখ মুজিবসহ অনেকের অবদান তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিকভাইয়া।

৬৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

দিয়া আলম বলেছেন: আপু তোমরা হলে ব্লগার, তোমার এই পোস্ট দেখে আমার লেখার দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেয়েছি, :(

স্যালুট তোমাকে

ভালো থেকো

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

শায়মা বলেছেন: আর তুমি আমাদের দিয়ামনি। তুমিও ব্লগার। :)

লেখার দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেতে হয় না!!!!! :):)

যাই লিখবা তাই আনন্দের!!!:)

আমাকে দেখো না!!!!!!!!!!!!

৬৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে বর্তমান সরকারের অপশাসনে পিষ্ট হয়ে অতিষ্ট জনগনের কাছে মুক্তিযুদ্ধের এসব চেতনামূলক কথা হাস্যকর এবং বিরক্তিকর বিষয়ে পরিণত হয়ে গেছে। তাই দেখা যায় স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন ছল ছুতোয় জন গনের স্রোতে মিশে একাট্টা হয়ে যায় আর স্বাধীনতা পক্ষের সরকার হয়ে যায় জন গনের শত্রু।

এরকম পৌনঃপুনিক অভদ্র অনুশীলনে আমরা বার বার পিছিয়ে পড়ি!

উইকি তে লেখা শুরু করেছেন?

দেরী কেন? শুরু করে দিন!

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৮

শায়মা বলেছেন: পিছিয়ে পড়া চলবে না। নিজেদেরকেই জাগতে হবে।


হ্যাঁ উইকিতে দেওয়া শুরু করেছি তো!

থ্যাংকস আ লট ভাইয়া।:)

৬৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বিস্তর লেখা । বিপ্লবীদের সফলগাঁথা বিজয় যেন আজ মলিন ।

ডাক শুনি শুধু আঁধারের,
সূর্য তুমি কোথায় লুকিয়েছো ?
ভোরের আলোয় স্নান কী হবে না তবে ?

সূর্য বলে, তাকাও তবে নিজেতে
সেথায় তো রয়েছি আমি !
তোমার ঘুম ইতিহাসে আমি নির্মম বন্দি।


০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৩

শায়মা বলেছেন: মেঘের আড়ালে আছে সূর্য্যের গান....
আঁধারের ডাক চিরে দেবে সে সাড়া....
ভোরের আলোক স্নানে সুচীতায় সব
শুদ্ধ হবে........
স্তব্ধ হোক হীন কলরব।


অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনিমনি!!!!!!!:)

৬৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমরা কি এখনও জানতে পারবো? মুক্তিযুদ্ধে সঠিক কতজন লোক শহীদ হয়েছেন? প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যা কত? রাজাকারদের সঠিক সংখ্যাইবা কত? এগুলোর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা মোটেই কঠিন ছিল না। শুধু দরকার ছিল সদিচ্ছার। "

-মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি; ২২ হাজার প্রাণ দিয়েছেন; রাজাকার ছিল ৫৫ হাজার; এই তথ্য জানতে পারছেন না কেন?

আপনি কম বুঝে, তালগোল পাকিয়ে অনেক কিছু লেখে ফেলেন, আপনি হয়তো সার্বজনীন রচনা-লেখক!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

শায়মা বলেছেন: হা হা

বেশি বুঝাটা জানিনা ভাইয়ু!!!!!!

তুমি তো সব কিছুই বেশি বেশি বুঝো আর জানো.......:)

প্লিজ বলে দাও।

অথবা যা যা বেঠিক মনে হয় ঠিক করে দাও.......প্লিজ প্লিজ :)

৬৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

" তুমি তো সব কিছুই বেশি বেশি বুঝো আর জানো.......:)

প্লিজ বলে দাও।

অথবা যা যা বেঠিক মনে হয় ঠিক করে দাও.......প্লিজ প্লিজ :) "

-সব তালগাছ দেখতে একই রকম; কিন্তু কিছু তালগাছে ফল ধরে না; এখানে 'ঠিক করার' কিছু নেই; গাছ অনেক বড় হয়ে গেছে; এখন যেভাবে আছে, গাছ সেইভাবেই থাকবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২১

শায়মা বলেছেন: তাল গাছ!!!!!

রবীন্দ্রনাথের সেই তাল গাছ!!!!!!

নাকি অন্য কোনোটা!!!!!!!!!!!
কোনটার কথা বললে ভাইয়ামনি????:(


বুঝলাম না !

আমি শুধু একটা তালগাছই চিনি......:)


তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে......

এই তালগাছটাও অনেক বড় ছিলো ......আকাশ ছোঁয়া!!!!!!!!:)


কিন্তু তুমি যে কোনটার কথা বললে ভাবছি!!!!!!! #:-S

চিন্তায় পড়লাম তো!!!!!!!!

৬৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারেরা হচ্ছেন আমাদের শক্টিশালী লেখক; আমি চাই, উনারা যেন বুঝে লেখেন, জেনে লেখেন, এটুকুই, আর কিছু না।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

শায়মা বলেছেন: কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য বা আমার মত অনেকেরই দূর্ভাগ্য তারা তোমার কমেন্ট বুঝেনা ভাইয়া!!!!!!!:(

তাই কমেন্টে আর একটু শিখিয়ে পড়িয়ে দিও এখন থেকে ওকে ভাইয়ামনি!!!!!!!:)

৬৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

জেন রসি বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


"এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমরা কি এখনও জানতে পারবো? মুক্তিযুদ্ধে সঠিক কতজন লোক শহীদ হয়েছেন? প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যা কত? রাজাকারদের সঠিক সংখ্যাইবা কত? এগুলোর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা মোটেই কঠিন ছিল না। শুধু দরকার ছিল সদিচ্ছার। "

-মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি; ২২ হাজার প্রাণ দিয়েছেন; রাজাকার ছিল ৫৫ হাজার; এই তথ্য জানতে পারছেন না কেন?

ব্লগার চাঁদগাজী ভাই, এসব তথ্য দিলে সাথে তথ্যসূত্রও দিতে হয়। আপনিও দিবেন আশা করছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৪

শায়মা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়া রেফারেন্স দেবেনা। বলেছে তালগাছ নাকি বড় হয়ে গেছে!:(

৭০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"ব্লগার চাঁদগাজী ভাই, এসব তথ্য দিলে সাথে তথ্যসূত্রও দিতে হয়। আপনিও দিবেন আশা করছি। "

-এসব তথ্য আমার নিজের হিসেব থেকে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

শায়মা বলেছেন: ও তাই বলো ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!


তোমার লেখা কি কোনো ইতিহাস বই আছে?

থাকলে নেমটা একটু বলো তো!

প্লিজ!!!!!!!!!!

৭১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া! অনেক ভালো থেকো!:)

৭২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বানরের গলায় মুক্তোর মালা শোভা পায় না । অামার ধারণা, অামরা বাঙালিরা হচ্ছি বানর ।
অামাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে কত বিভ্রান্তি! উপরে যাঁদের কথা বলেছেন বিশেষত ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী; তাঁদের অনেককেই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় । বিষয়টা দুঃখজনক!
দেশের বৃহৎ একটা অংশ জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠতে পারেনি । ভারতের দালাল অার পাকিস্তানি অমানুষই রয়ে গেছে । এরা বিদেশী শাসনই বোধহয় পছন্দ করতো । পাকিপ্রীতি যেভাবে বাড়ছে দেশটা মিনি পাকিস্তান হতে বেশিদিন লাগবে না । এটা একটা জগাখিচুড়ি মন্তব্য!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

শায়মা বলেছেন: জগাখিঁচুড়ি কমেন্টে অনেক অনেক থ্যাংকস সাধুভাইয়া।:)

সাম্প্রদায়িকতা দূর হোক।
জাতীয়তাবাদে আমাদের সবাইকেই হতে হবে বাংলাদেশী।

৭৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে। আঠা লাগানোর উপযোগী। শুরুতে একটু বেশি বকেছেন, যা না থাকলেও হত।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ তানিম ভাইয়া। কষ্ট করে প্রশংসা করার জন্য। মানে জানোই তো তোমার প্রশংসা অনেক অনেক ভালুয়েবল আমার কাছে। তোমার মত কট্টর সমালোচক সহজে কারো প্রশংসা করে না সে আমি আগেই জানি।


তবে শেষে এসে বকাবকির কথা বলে আমাকেই বকা দিসো।:(

শুরুতে বেশি না বকলে আমার চলবে? জানোই আমি ইমোশনাল মানুষ আর তাই একটু ইমোশন প্রকাশ করেছি। তুমি কবি হয়ে যদি না বুঝো তো সব কবিতা লেখাই বৃথা। :P

৭৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম আপু । অনেক ভাল লাগল । যদিও নিজেই ব্লগ এর বাইরে ছিলাম ।


ধন্যবাদ ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। আমার লেখাটা পড়ার জন্য আর ব্লগে আবারো আসার জন্য। আর ব্লগের বাইরে থেকো না। আমাদের মাঝেই যেন দেখতে পাই।:)

৭৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

বৃতি বলেছেন: মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা হোক একজন সুস্থ্য স্বাধীন নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার। স্বাধীনতা দিবসে আমাদের মূল চাওয়া তো আসলে এটাই হওয়া উচিত :) সব্যসাচী শায়মাপুর আরেকটি চমৎকার পোস্ট।

শুধু মেগাপোস্ট নয়, তোমার গল্প কবিতা রান্না বান্না সাজুগুজুর পোস্টও দাও আপু :)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা তাই হবে। পহেলা বৈশাখ আসছে না!!!!! সেটা নিয়ে যা যা আয়োজন সব নিয়ে আসছি অচিরেই বৃতিমনি। খানা পিনা সাজুগুজু , গানা বাজনা সবই থাকিবেক ওকে?

৭৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: যারা স্বর্গগত তারা এখনও জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি।

+++

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

শায়মা বলেছেন: এই গানের লাইনগুলিতেই যে প্রগাঢ় স্বদেশ প্রেম লুকিয়ে আছে তা বলে দেবার অপেক্ষা রাখেনা !:)

অনেক অনেক থ্যাংকস ফয়সালভাইয়া।:)

৭৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কিছু কইতে মন চায় না ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

শায়মা বলেছেন: কেনো ভাইয়ু?

মন খারাপ?

এখনও ভালো হয়নি!:(

৭৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: পোস্টটি আমি ২৭ তারিখেই পড়ছিলাম। খুব ভালো লিখেছন দু'একটা জায়গা ছাড়া...

বিষয়টা হচ্ছে ইতিহাস টানার ক্ষেত্র আপনি বড্ড অযৌক্তিক নাম গুলো নিয়ে এসেছেন। যাদের নাম এ পোস্টের সবার উপরে থাকা উচিত তাদের নামই নেই। আর কি না কি নাম জীবন বৃত্তান্ত সহ দিলেন।

তিতুমীর,শরিয়তউল্লাহ,দুদু মিয়া,শেরে বাংলা ফজলুল হক সহ বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, এমনকি ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে, যাদের অবদানে আপনি এ পোস্টটা বাংলায় লিখতে পেরেছেন তাদের নামই হাওয়া...অস্তিতই নেই তাদের।
.
আর একটা কথা আছে, স্বাধীনতা অর্জনের ছেয়ে রক্ষা করা কঠিন। কথাটা যে কতটা বাস্তব সেটা এদের জনগণ বিশেষ করে এদেশের তনুরা হাড়ে হাড়ে বুঝছে।
স্বাধীনতার সঠিক অর্থটাই এখন হাওয়া....
.
স্বাধীনতা নিয়ে এখন চলছে রাজনীতি। চলছেই এভাবে..


আর আপনি যে শেষে কথাটা বলছেন, সেটা খুব ভাল্লাগছে,! যদিও বঙদেশে এটার কোনো বাস্তবতা নেই। মত প্রকাশ করার আগে আপনার রাজনৈতিক দলটাই দেখবে এখন। দল ঠিক ত এখানে পাগলের মন্তব্য ও গ্রহণ যোগ্য... সেটা এফেক্ট যেদিকে যায় আরকি।।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা হোক একজন সুস্থ্য স্বাধীন নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

আমার জানা মতে বা যা যা উপলদ্ধি তাই নিয়ে লিখেছি। তবে নেক্সট টাইম তোমার বলা কথাগুলোও মনে রাখবো।

স্বাধীনতা নিয়ে এখন চলছে রাজনীতি। চলছেই এভাবে..<<<<<< এর থেকে বেরিয়ে এসে যার যার জায়গা থেকেই স্বাধীনতা রক্ষায় আগুয়ান হতে হবে।

৭৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আপনি আমি আপনার থেকে বয়সে অনেক ছোট, তাই আমাকে তুই/তুমি করে বললেই খুশি হবো।
আর আপনার ধন্যবাদ পেয়ে সত্যিই আমি আনন্দিত।

ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন সব সময়!! :-)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

শায়মা বলেছেন: আমি কি তোমাকে আপনি বলেছি ভাইয়ু!!!! B:-)

কাউকেই তো বলিনা!!!!!!!:)

এই নিয়ে কেউ কেউ রাগ করে। কেউ কেউ খুশী হয়। আবার কেউ কেউ ঠাস করে আকাশ থেকেও পড়ে! :P

৮০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হে হে তাইত..! তাহলে আপুনি, তুই করেই বলেন. আমাকে :-P

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

শায়মা বলেছেন: না না আমি শুধু রেগে গেলে তুই বলি!:)

তোমার উপর রাগিনি তো ভাইয়ু!!!!!!:(

৮১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

ইমরান নিলয় বলেছেন: স্বাধীনতা! কতদূর!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১

শায়মা বলেছেন: খুব বেশি না!!! শুধু সবাই যদি ঘুম থেকে একই সাথে জাগে।

৮২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঘুরে গেলাম ! B-)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ!!!!

৮৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ফাস্টফুড খেয়ে খেয়ে
জমে গেলো পেটে মেদ;
আমি........জুনায়েদ
জুনায়েদ জুনায়েদ। =p~ =p~

কুটুকুটু পুটুপুটু
জানটুশ আপুনি;
হাজিরাটা দিয়ে গেনু
কেমন আছ জাহাপনি?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫০

শায়মা বলেছেন: ভালো নেই খুব বেশি
আশে পাশে ঝামেলা:(
তুমি তো বেশ আছো
সাথে নিয়ে পামেলা। X((

যদিও
ঝামেলাটা বাঁধানোতে
নেই মোর জুড়ি
একটার সাথে দেই
জোড়া দুই কুড়ি। :(

তবু ভাবি আছি ভালো
খাই দাই ঘুরি
এই নিয়ে খোঁটা দিলো
আজ সকালে এক ...... X((

মনটাতে তাই আজ
রঙ মেখে কালো
ভাবছি সুখেই আছি
আছি আমি ভালো!:(



৮৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

কল্লোল আবেদীন বলেছেন:






অসাধারন পোস্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

শায়মা বলেছেন:

প্রথমদিন এসেই আমার পোস্ট পড়ার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ু!!!:)

এইবার শিঘ্রী করে একটা লেখা লিখে ফেলো আর আমাদেরকে পড়াও!:)

৮৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: পয়তাল্লিশ বছর খুব কম সময় নয়। এ বয়সে একটি মানুষ তার জীবনের সাফল্যমন্ডিত সময়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকেন। মেধা, মনন, জ্ঞানে গরীমায় থাকেন ক্ষুরধার মহীয়ান।


এ বয়সে একজন মানুষ নিজের কৃত কর্মগুলি আত্মপোলদ্ধি করতে পারেন, করতে পারেন আত্মসমালোচনাও। একটি দেশ, তথা জাতিরও আসলে এ বয়সে এসে আত্ম সমালোচনার প্রয়োজন। প্রয়োজন আত্মপোলদ্ধির।

বয়সের হিসেবটাও আমরা হারিয়ে ববসেছি।
একটি শ্রমনির্ভর, গবেষণামূলক, উপলব্ধিকৃত পোস্ট।ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাইয়ামনি!!!!!!!!!

ব্লগ জীবন শুভ হোক!:)

৮৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: হায় শায়মা তোমার এই এপিক পোষ্টে দেখি আমার মন্তব্য নেই! লেখাটি পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অটো লগ আউট হয়ে যাই আর ভাবি মন্তব্য করেছি আমি :(
এমন ইতিহাস ভিত্তিক লেখা আমি ইতিহাসের ছাত্রী হয়েও হয়তো পারবো না লিখতে কখনো। অদাধারন।
+

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

শায়মা বলেছেন: আপুনি এটা ইতিহাস ভিত্তিক লেখা না ঠিক। এটা আমার স্বাধীনতা মনোভিত্তিক লেখা বলতে পারো!!!!!!!

অনেক অনেক থ্যাংকস আর ভালোবাসা আপুনি!!!!!!!!:)

৮৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মিস করে গেছি দেখছি , পড়ে আবার আসছি :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪০

শায়মা বলেছেন: ওকে আপুনি!!!!!!!!:)

৮৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০২

উর্বি বলেছেন: দারুন

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২২

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ !!!:)


কোথায় ছিলে উর্বিমনি!!

নদীতে কত জল গড়িয়ে গেলো......

কত ভূকম্পন কত শিলাবৃষ্টি......


তুমি কোথাও ছিলে না !:(

৮৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৬

উর্বি বলেছেন: ভেসে যাচ্ছিলাম কালের স্রোতে .......
বেঁচে আছি এটাই আসল খবর আপু

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

শায়মা বলেছেন: এত অল্পে ভাসতে নেই....

হাল ছেড়ো না উর্বিমনি..... হাতটা রাখো হাতে ....:)

৯০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংকস আ লট ভাইয়া!

অনেক অনেক শুভকামনা!:)

৯১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: লেখাটা খুব হৃদয়ছোঁয়া হয়েছে আপু। এত সুন্দর করে মনের কথা প্রকাশ করেন কিভাবে? আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ! :) :)


কিন্তু তোমার নাম কি আপু! তোমাকে কি মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলে ডাকবো নাকি!!!! B:-)


তোমার নিজের নামটা বলো!:) :) :)

৯২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: আমার নাম তো আমার লগইন নামেই দেখা যায় আপু; নওশেরা :)
আপনি আমাকে মেজো ডাকতে পারেন বাসার সবার মত। চাইলে "ওগো"-ও ডাকতে পারেন B-)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা

হাসতে হাসতে মরলাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

মেজো, ওগো এইসবও এখন ডাকতে হবে!!!!!!!!!!!!!!!!!! :P




১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শায়মা বলেছেন: তার থেকে নওশেরামনিই ভালো!!!!!!!!!:) :) :)


মির্জা বাড়ির বউ একটু সিনেমাটিক!!!!!!!!! তোমাদের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে কি কোনো সিনেমা হয়েছিলো আপুনিমনি!!!!!!!! :P

৯৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: তাই নাকি? জানিনা তো। কবে হয়েছিল? সিনামা নাকি নাটক?
প্রথম প্রথম আমারও আনইজি লাগত মেজো নামে কেউ ডাকলে, এখন অভ্যেস হয়ে গেছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০২

শায়মা বলেছেন: তোমার নিকটা শরৎচন্দ্রের আমলের হয়েছে কিন্তু তোমার ছবিটা একদম মর্ডান বৌমামনি!!!!!!!:) এরপর সেজো বউ আসলেও ব্লগে নিয়ে এসো। :) আর বড় বৌমাকেও দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে!:)


১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০২

শায়মা বলেছেন: ৯০. ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন:
এই মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে, মন্তব্য করার সময় ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর দিকে খেয়াল রাখুন । শর্তাবলী


এটাও কি তোমাদের বাড়ির কারো নিক ছিলো নাকি!!!

৯৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১১

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: হ্যা, বড় ভাবির নিক ছিল। ভাবীকে দেখতাম বাংলায় লিখতে, উনিই আমাকে বলেছিলেন এই ব্লগের কথা। উনি সম্ভবত আরও কয়েক জায়গায় লিখেন, আমাকে বললেন এটাই নাকি আমার জন্য ভাল হবে। আসলাম দেখতে।

হি হি, আরও দুইজন আছে বড়ভাবি ছাড়াও। সকালে একজনকে বলছিলাম আমরা সবাই বরসহ আসলে ভালই মজা হবে, পুরোই পাারিবারিক ব্লগ হয়ে যাবে 8-|

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮

শায়মা বলেছেন: সবার নিক বলো!!!!!!!!

এক এক করে চিনে রাখি!:)

৯৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২২

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: তা তো জানিনা আপু। বড় ভাবি বলেছিলেন ওনার নিক ছিল মির্জা বাড়ির বউড়া, ওটা নাকি ব্যানড হয়ে গেছে। ওনার আরও নিক আছে কিনা জানিনা। আমার ছোট দুজন আমার চেয়েও ব্যস্ত সময় পার করে, ব্লগিং করে কিনা সেটাও জানিনা।

অনেক কথা বললাম নিজের ব্যাপারে। আপনার সম্পর্কে জানি খানিকটা এখন ... আপনি কি করেন? :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: মাই গড!!!!!!!!! গেছি !!!!!!!!!!!

তার মানে উনিই তিনি মানে তোমার বড় ভাবী!!!!!!!!!! ব্যানড হয়ে তোমাকে পাঠিয়েছে!!!!!!!!!

আমি হাসবো নাকি কাঁদবো নাকি নিজের কথাই বলবো আপুনি!!!!!!:(

ভাবছি!:(

৯৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: হাসুন B-) আমাকে কেউ পাঠায়নি আপু, ভুল বুঝছেন আমাকে। আমার সামাজিক ব্লগে আসা হয়নি কখনও সেজন্যই আসা। তাছাড়া আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক, কারও কথায় চলিনা তেমন একটা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৯

শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে! গুড!:)

৯৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৩

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আপনার লেখা পাওয়ার আশায় ছিলাম।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া পহেলা বৈশাখে লেখার বাইরের একটিভিটিগুলি নিয়ে এত বিজি ছিলাম যে লেখার সময়ই ছিলো না!:(

যাই হোক নতুন বছরের শুভেচ্ছা!:)

অনেক অনেক ভালো থেকো।

৯৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: জয়তু।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

শায়মা বলেছেন: বিজনভাইয়া!!!!!!!! তোমাকেও জয়তু!:)

৯৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাবার বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপু। নতুন লেখা কই?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০

শায়মা বলেছেন: তোমার জন্যও নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাইয়া। নতুন লেখা লিখিনি। নতুন বছরের অনুষ্ঠানগুলো নিয়েই তো বিজি ছিলাম। এখনও শেষ হয়নি।:(

১০০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

তার আর পর নেই… বলেছেন: ভেবেছিলাম তোমার সাথে বকবক করে যাবো কতক্ষণ, কিন্তু তুমি তো নাই।
মাঝে মাঝে আমার শূন্য বাড়িতে ঘুরে এসো। =p~ =p~

আমার জামাই বলেছে, সবকিছু ছেড়েছুড়ে এবার ধর্মকর্ম আর স্বামীর পদসেবায় মন দাও। =p~
এবার থেকে মন দিবো তাতে। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে জামাইয়ের পা ধরে আশীর্বাদ নিবো =p~ ওগো, আমার প্রাণনাথ …………

খালি জামাইয়ের মঙ্গলকামনা করবো, তাহার পদসেবা করলেই আমার পরজনম সার্থক =p~

=p~ =p~

মৌসুমি ভৌমিকের একটা গান আছে,
এক একটা দিন এত একা লাগে ……


আজ শুধু আমি হাহাহা করে হাসব।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

শায়মা বলেছেন: কয়েকদিন তুমি নাই দেখে একটু চিন্তায় ছিলাম। আজ ফিরেই যখন তোমার নিক দেখলাম তখন তোমার বাড়ি গিয়ে দেখি সব পোস্ট হাওয়া। :(

সব পোস্ট হাওয়া করেছো কেনো?

কি হয়েছে?

আর সবচাইতে বড় কথা তোমার সাথে আমার স্পেশাল কবিতা পোস্টটাও হাওয়া করে দিয়েছো?:(

বুঝেছি নিশ্চয় কুচক্রিরা আমাদের দুলাভাই এর কানেও কিছু লাগিয়েছে। :( :( :(

তবে যে যাই লাগাক না কেনো? কুচক্রিদের কথায় যেমন নো পাত্তা তেমনি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও নো পাত্তা।


স্বাধীনতাহীনতায় কে বাচিতে চায়!

দাসত্ব শৃঙ্খল কে পরিবে পায়!!!!

১০১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

তার আর পর নেই… বলেছেন: উঁহু, মাঝখানের ওই অংশটা মজা করার জন্য লেখা। আমার স্বাধীনতা অসীম … আমাকে জোর করে কেউ কিছু করাতে পারে না, যেটা আমার মনে হয় ভালো সেটা কেউ নিষেধ করলেও আমি মানি না। যেটা খারাপ মনে হয় সেটা নিজ থেকেই করি না।

ভালো থেকো, কবিতা লিখো। তোমার এই কবিতা লেখা আমার ভালো লাগতো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

শায়মা বলেছেন: তো কেনো?

এখন কি আর কাব্য চর্চা চলিবেক না!

কে নিষেধ করলো!!!!!!!


যাইহোক এখুনি আমার সেই কবিতা পোস্ট আনড্রাফট করো।:(

নইলে আমার লেখা সেসব কবিতা গুলো পেস্ট করে দিয়ে যাও!:(

এত কষ্ট করে লেখা কবিতাগুলো তো সব হারিয়েই গেলো!!!!!:(

অবশ্য সবকিছুই একদিন হারিয়ে যায়......:(

শুরু থাকলেই থাকে তার শেষ......

যদিও শেষটাকে আর ভয় পাইনা আমি .....:)

১০২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

তার আর পর নেই… বলেছেন:

শায়মা বলেছেন: তোমার মন খারাপের একলা বেলায়
মেঘ না কাটুক, থাকুক ছায়া,
তোমার কষ্ট স্মৃতির দুঃখবেলায়
একটু থাকুক মধুর মায়া।

তোমার উড়ুক্কু ঐ মনটারে আজ
খাঁচায় বাঁধো বন্দি পাখি
বন্ধনহীন সোনার খাঁচায়
করবে কিছু সন্ধি নাকি?

দুঃখ ভোলো সোনার মেয়ে
কাজল আঁকো চোখের কোনে,
রেশমী চুড়ির সিন্জীনীতে
জলতরঙ্গ বাজুক মনে

শায়মা বলেছেন:
অভিমান ভুলে গেলে তোর সাথে একদিন,
কাটবে দুপুর কোনো মুখোমুখি সন্মুখীন।
বৃষ্টির জলগুলো আঁজলায় গল গল,
তোর মুখে দেবো ছুঁয়ে, ভেবে চোখ ছল ছল!
একা একা বিকেলের আজকের এই ক্ষন,
ভাল্লাগেনা যে আর মনে পড়ে সেই পণ।
তোর দুই খোলা হাতে কবিতার সৃষ্টি,
হোক কিছু অপরূপ, অকারণ সৃষ্টি।
পাখা মেলা তোর মনে উড়ে যাক বলাকা,
শেষ শীত বিকেলের মুহুর্ত একেলা




কোন পোস্ট ড্রাফট করিনি, মুছে দিয়েছি। আগেই ড্রাফট করা কয়েকটা ছিল।
কিছু কিছু আমি কপি করে রেখেছি, দিয়ে যাচ্ছি সেগুলো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

শায়মা বলেছেন: :(( :(( :((

মুছে দিলে কেনো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

সেই কবিতাটা কই????

ঐ যে এ শহরে তুই আমার একমাত্র পিছুটান এমন কি যেন!!!!!!


কেনো মুছলে!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১০৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

তার আর পর নেই… বলেছেন:

উনিশ বছরটা বড়ই ভয়ংকর তাইনা?
মনটা থাকে কাঁদামাটির তাল,
যে পায়ের চিহ্ন পড়ে -
ছাপ পড়ে যায়, রয়ে যায় বহুকাল!

পদচিহ্ন বুকে নিয়ে এরপর
শুরু হয় আমাদের পথচলা,
কত কাল কত না বলা কথন,
না শোনানো গান,
হৃদয়ের কানে হৃদয়ের কথা
না জানানো অভিমান।

জমে জমে পলিমাটি
হয়ে ওঠে পাহাড়
প্রস্তরীভূত শিলায় জমা
ব্যথার শিলালিপি

শায়মা বলেছেন: ভরা থাক্‌ স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি।
মিলনের উৎসবে তায় ফিরায়ে দিয়ো আনি॥
এ বিদায় লগ্ন ঘিরে থাকুক আজ শত সহস্র আনন্দ ক্ষনের মুহুর্ত স্মৃতিতে। এ বিদায় লগ্নে নহে বেদনা, নহে অশ্রু। নহে মলিন হাস্যে মুখরিত অক্ষিপল্লব ধারা। এ স্মৃতিসুধা, এ অমৃত মধুর কাল মায়া জাল ভরে থাকুক কিছু রঙ্গিন বুঁদ বুঁদ বাবলস স্বপনে। যদি কখনও ফিরে আসো, আমার পুস্প সৌরভিত পথে তোমার পদযুগলে দেবো ধান আর দূর্বার পূজো! তোমার স্মৃতিময় ঝলমলে হীরক দ্যূতি বিচ্ছুরিত স্মৃতির কৌটো তুলে রাখলাম আমার গোপন সিন্দুকের সোনালী তাকে। খুব সযতনে লোক চক্ষুর আড়ালে ......মাঝে মাঝে উঁকি দেবো, ঢাকনা খুলে নেবো ঘ্রান, হারানো স্মৃতিসুধার মর্মর সঙ্গীত বাজবে মৃদু মন্থর আমার তৃষিত হৃদয়ে......

বিষাদের অশ্রুজলে নীরবের মর্মতলে
গোপনে উঠুক ফলে হৃদয়ের নূতন বাণী॥
এ বিষাদ নয়, নয় বিষাদীয় কোনো কল্পলোকের গল্প কথা। এ নীরব মর্মতলে ফুঁটে ওঠা অমরাবতীর কলি। হৃদয়ের নতুন বাণীতে মৃত সঞ্জীবনী সুধায় জেগে উঠুক নতুন পুস্পদল। অশ্রুজলের ফোটায় ফোটায় বিকশিত হোক অশ্রুমোতীর মালা। গজমোতীর মালার সাথে এ এক অপরূপ মালাবদলের গান। প্রকৃতিতে বাঁজবে তরল কোমল গান্ধার!

যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা--
নয়নে আঁধার রবে, ধেয়ানে আলোকরেখা।
একাকী পথ চলার নিভৃত নিশুথী তমসলোকে আঁধার রহিবে ঘিরে, জর্জরিত কন্টকীর্ণ সন্মুখ। নয়নের আলোতে কিছুই হবেনা দৃষ্টিভুত, দৃশ্যমান। শুধু জেনে রেখো ধেয়ানের আলোকরেখা প্রদীপ হয়ে পথ দেখাবে তোমায়। সে পথে হয়তো তুমি একা। তবুও অদৃশ্য ছায়াসঙ্গিনীরা ঐ নভঃনীলে জ্বালাবে একশো মানিক। চুপি চুপি অভয় দিয়ে যাবে কানে কানে, নও তুমি একা।

উদ্বায়ী পদার্থের মত উবে যায় না সুখ। লুকিয়ে থাকে সে স্মৃতিসুধার ভাজে ভাজে। প্রতি পরতে পরতে মুখ গুঁজে কাঁদে।কান্না বা অসুখের মাঝেও বাস করে যায় সে পরজীবি ছত্রাকের মত। ছড়িয়ে যায় তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে


শায়মা বলেছেন: কোথায় ঝুলে থাকো তুমি?
কোথায় আছো ঝুলে!
যেমন ঝুলে থাকে তিরতির কেঁপে যাওয়া দিক চক্র জালে একটি অষ্টপদী-
তেমনি কি ঝুলো তুমি?
দ্বিধা-দ্বন্দ, অতীত-বর্তমান, সুখ আর দুখের এক ধোয়াশা জীবনে?
মুঠোয় ভরা ধুম্র জালে দেখো কার বিষ দাঁত? ঝকঝকে খঞ্জর!
অসমাপ্ত সঙ্গীতের সুরে ঝুলে থাকে তোমার বিষন্নতা?
কোন দাবানলে পোড়ে তপ্ত হৃদয়? পোড়ে একটি সবুজ বন-
ডুবে যাও তুমি দক্ষ ডুবুরী, বিভৎস্য বর্শাতে গাঁথে, একটি পান্না হৃদয় আর একটি ক্ষত মন।
ভেবে দেখো আর একটাবার, ধ্যান করো মৌনব্রত সন্যাসীর মত
আবর্তিত কক্ষপথে উল্টোরথে ঘোরো নিতো তুমি?
করনি তো কোনো ভুল?
অজান্তে কখনও!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

শায়মা বলেছেন: :(( :(( :((


ভেরী ভেরী ভেরী ব্যাড!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১০৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

তার আর পর নেই… বলেছেন: ন: আনন্দে থাকি আমি আনন্দগুলো নিয়ে....
এই আনন্দগুলো দিক বদলায়, বদলায় মতিগতী.......
বাঁধা পেয়ে ফিরে যায় অন্য কোথাও, পাহাড় যেমন ফেরায় বাতাসকে......
যেমন ফেরায় বৃহৎ শিলক খন্ড, স্রোতস্বীনি ছুটে চলা নদীকে.....

তুমিও আমার আনন্দগুলোর একটা অংশ হয়ে গেছো নিজেরই অজান্তে......
তোমার বাগানে কবিতার চারা পুঁতে আমি হয়ে গেছি কবিতার মালিনী.........

বনমালী তুমি পরজনমে হইও রাঁধা!


শায়মা বলেছেন: একদিন
আকাশ থেকে খসে পড়তে থাকা;
একটা জলন্ত শুটিং স্টারকে-
ঠিক ঠিক তালুবন্দী করে ফেলবো দেখো....

পুরোটা নিভে যাবার আগেই-
আটকে দেবো তার নিশ্বেষতা,
ঝিলমিলে হীরক দ্যুতি নিয়ে;
মিটমিট করে জ্বালবে সে আলো,
আমার মুঠোর ভাঁজে......

আমি তাকে পোষ মানাবো...
হাস্নাহেনা বন থেকে ধরে আনবো জোনাকী পোকা....
খাওয়াবো তাকে; এক বোতল ফ্রেশ জ্যোস্না......
রোজ রাত্রী গভীর হলে.....
তার চোখে বুলিয়ে দেবো......

স্বপ্ন দেখাবো লাল, নীল আর সবুজ
মায়াবী বনে বনদেবীদের ঘুঙ্গর নৃত্যে
কাঁপবে বনভূমি রুমঝুম,
আকাশ থেকে খসে পড়া তারাটাকে
আলগোছে মুঠো খুলে দেবো.....

এ আবেশিত মায়ার বেষ্টনী ছেড়ে
আর কোথাও যাওয়া হবে না তার

শায়মা বলেছেন: বাবুই পাখির মত ঘর বোনা হলো না আমার.....
অথচ বাবুই এর শিল্প চঞ্চুর মত,
আমার কিছু সুতীক্ষ্ণ ও দক্ষ আঙ্গুল ছিলো.....
তবুও আমি বাঁধিনি বাবুই ঘর.....
ঝুলিনি আমি ঝুলন ডালে,
দুলিনি আমি প্রলয় শাখে.......
এড়িয়ে গেছি অনিবার্য্য উথাল পাথাল ঝড়.....
অষ্টপদীর রেশমী জালে, ডুকরে কেঁদেছে ত্রিতাল......
ঘাঘরা, চোলী তানপুরায় ভুলেছে পথিক দল.....
নেশাগ্রস্থ পথিক হারিয়েছে পথ......
করুণা করিনি তারে.....
অষ্টপদীর হৃদয়ে করুনা অমার্জনীয় ভুল....
নহে করুনা, নহে দয়া.....
শুধুই অমার্জনীয় ভুলের হিসেব নিকেশ.....
স্থির শ্বাপদ চোখের সন্মোহনী বিকর্ষনে
আকর্ষিত হয়েছি বারবার......
আর তারপর উল্টো রথ যাত্রা.....
কৃষ্ণ গহবরের অতল আঁধার.......
চুম্বকীয় তীব্রতায় ক্রম নিমজ্জমান অধ.....
ভয় নেই বন্ধু, হাতটা ধরো.......
তারপর ডুবে যাও



শায়মা বলেছেন: এই অহংকারী নগরে তুমি ছাড়া আর কোন পিছুটান নেই
তোমাকে আমি আর খুঁজি না কোনো খানে......
ফাগুনের উদাসী দুপুর বা লেবু পাতার ঘ্রাণে.....
এ শহর ছেড়ে চলে যাবার আগে, তুমি খুব করে ......
দিব্যি দিয়েছিলে.....
খুঁজো না আমায় ........
তাই
তোমাকে আমি আর খুঁজি না কোথাও......
এখন বসন্ত নেমেছে নগরে, ঝর ঝর ঝরছে হলুদ পাতার রাশ.....
গাঢ় সজীবতায় ভরছে চারপাশ.....
বিষন্নতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায় প্রায়ই.......
তবু আমি বসে থাকি স্থবির, একাকী......
রুক্ষ উষর মাটির বুকে পড়ে আছে তোমার পদচিহ্ন......
বিছিন্ন হৃদয়ে বসে থাকি একা, তেপান্তরের মাঠে...........
আমার কোনো কিছুই আর ভালো লাগেনা আজকাল......
কাউকেই না......
কোনো কিছুই না.........
এ শহরের মত তুমিও বড় অহংকারী ছিলে ......
এ শহর কাউকে মনে রাখে না, কাউকে মনে রাখে নি কোনোদিন....
চারিদিকে কাকেদের মৃত্যুল্লাস, আমার কিছুই আর চোখে পড়ে না,
মনে লাগে না ......
আমার মন পড়ে রয় দূরে কোথাও ........
দূরে দূরে ............
যে বাঁশীতে বাতাস কাঁপে, সেই বাঁশীটির সূরে ..........

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

শায়মা বলেছেন: এই অহংকারী নগরে তুমি ছাড়া আর কোন পিছুটান নেই
তোমাকে আমি আর খুঁজি না কোনো খানে......
ফাগুনের উদাসী দুপুর বা লেবু পাতার ঘ্রাণে.....
এ শহর ছেড়ে চলে যাবার আগে, তুমি খুব করে ......
দিব্যি দিয়েছিলে.....
খুঁজো না আমায় ........
তাই
তোমাকে আমি আর খুঁজি না কোথাও......
এখন বসন্ত নেমেছে নগরে, ঝর ঝর ঝরছে হলুদ পাতার রাশ.....
গাঢ় সজীবতায় ভরছে চারপাশ.....
বিষন্নতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায় প্রায়ই.......
তবু আমি বসে থাকি স্থবির, একাকী......
রুক্ষ উষর মাটির বুকে পড়ে আছে তোমার পদচিহ্ন......
বিছিন্ন হৃদয়ে বসে থাকি একা, তেপান্তরের মাঠে...........
আমার কোনো কিছুই আর ভালো লাগেনা আজকাল......
কাউকেই না......
কোনো কিছুই না.........
এ শহরের মত তুমিও বড় অহংকারী ছিলে ......
এ শহর কাউকে মনে রাখে না, কাউকে মনে রাখে নি কোনোদিন....
চারিদিকে কাকেদের মৃত্যুল্লাস, আমার কিছুই আর চোখে পড়ে না,
মনে লাগে না ......
আমার মন পড়ে রয় দূরে কোথাও ........
দূরে দূরে ............
যে বাঁশীতে বাতাস কাঁপে, সেই বাঁশীটির সূরে ..........




এ শহর মনে রাখেনা কাউকে কখনও......
তবুও তুমি থাকবে আমার মনে......
তোমাকে আমি মনে রাখবো ..........
অনেক অনেক দিন
কিংবা সারা জীবন..............:(

১০৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

তার আর পর নেই… বলেছেন: আর নাই।


শুভকামনা …………

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

শায়মা বলেছেন: এইভাবে পোস্ট মুছে দেওয়া একদম বোকামী।


কিছুটা পরাজয়ের মত.....

তোমার আগেও অনেককেই এমন পরাজয় বরণ করে নিতে দেখেছিলাম আমি....


তুমিই সেটাই করবে জানতাম না কখনও!:(

১০৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

জেন রসি বলেছেন: নতুন পোস্ট কই? :P

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

শায়মা বলেছেন: নাই।:(

১০৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

জেন রসি বলেছেন: আমিও কিছুটা বিজি আছি। তাই ব্লগে সময় দিতে পারছিনা।

কিছুদিনের মধ্যে আবার সক্রিয় হব আশা করি। :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৯

শায়মা বলেছেন: আমার বিজি টাইম কিছুটা ইজি হয়েছে এখন তবে এখন আবার ভালো না লাগা অসুখ হয়েছে!:(

১০৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

সফদার মামা বলেছেন: ভাল লিখেছেন আপুনি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সফদার মামাভাইয়া।

১০৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বৈশাখ চলে যায় বিদুষী অাপু কোথায় ক্ষুরধার লেখা নিয়ে?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

শায়মা বলেছেন: বৈশাখ তো কেবল শুরু হলো! চলে যায় বলো কেনো ভাইয়া? আর আমার বৈশাখ জৈষ্ঠেও থাকবে।

১১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: দেরিতে হলেও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

শায়মা বলেছেন: শুভেচ্ছা ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থেকো!:)

১১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

শায়মা বলেছেন: দেবো ভাইয়া। বৈশাখ যাক তারপর।:)

১১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০২

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
কমেন্ট যেন কোবতে রচনার বিরাট খাতা !

দেশে এত কবি ক্যানোও !!!!

থিথিস ভালো লেগেছে, +++

আমি এসে গেছি কিন্তু !

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

শায়মা বলেছেন: কমেন্টে কবিতা রচনা কই দেখলে????


তার আর পর নাই তো তার ব্লগে লেখা মুছে ফেলাগুলো দিয়ে গেলো শুধু।

১১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: কেন বৈশাখ মাসে কি উপবাস থাকবেন নাকি?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

শায়মা বলেছেন: হুম!!!!:(
বৈশাখ ফাল্গুন এসব কিছু বিশেষ মাসে আমার পোস্ট দিতে মানা।:(

১১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।
পোস্টে+++++++++++++++++

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

১১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

সাইফুল বিন হানিফ বলেছেন: পড়ে অনেক কিছু আবার নতুন করে পড়লাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

শায়মা বলেছেন: এই লেখাটা পড়ে?


আর নতুন করে কি পড়লে ভাইয়া?

১১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

স্বরব্যঞ্জ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। তোমার লেখাও পড়ছিলাম। অনেক ভালো লেগেছে।

১১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

হুকুম আলী বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লেখা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:)

১১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪১

প্রীতম বলেছেন: বিশাল এবং বর্ণনামুলক লেখাগুলো পড়তে ধৈর্য্যের আকারও হতে হয় বিশাল।
.....
স্বাধীনতা বাচিয়ে রাখায় যে যার মতো চেষ্টা করায় কি আদৌ তুলনামুলক ফল ভালো হবে?
সঠিক যদি কোন দিক নির্দেশনা থাকতো, তবে কেমন হতো?

বরাবরের মতো সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০১

শায়মা বলেছেন:
সবাইকেই এ্যাকটিভ হতে হবে। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার চর্চা করতে হবে। নিজের জন্য যা কিছু মঙ্গলজনক তা যেন রাষ্ট্র ও সমাজের জন্যও মঙ্গলজনক হয় সেভাবেই কাজ করতে হবে। থ্যাংক ইউ ভাইয়া। নামের বানান ঠিক করতে পেরেছো?:)

১১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৯

প্রীতম বলেছেন: শেষ পর্যন্ত মডু বানান ঠিক করে দিয়েছে। তোমার দেখি কিছুই চোখ এড়ায়না? তোমার জন্য শুভ কমনা রইল এত্তোগুলান।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২২

শায়মা বলেছেন: হা হা না নিকের ভুল বানান নিয়ে বলেছিলে না? কি লিখতে গিয়ে কি হয়েছে তাই মনে পড়লো। তোমার জন্যও অনেক অনেক দোয়া ভাইয়া।

১২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪১

প্রীতম বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫০

শায়মা বলেছেন: তোমাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২১| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

জহিরুল ইসলাম (রেহান) বলেছেন: ভালো লেগেছে.।.।।।আপনার লেখা গুল সুন্দর

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:২১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ!:)

১২২| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: অনেককিছু জানা হল

০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ দেবজ্যোতিকাজলভাইয়া।

১২৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

সাইফুল বিন হানিফ বলেছেন: নতুন করে কিছু লিখতে গেলে
একটি ভুল পাওয়া গেছে
you are not allowed to post anything in this blog
এই লেখা আসে আমি এখন কি করবো?

০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

শায়মা বলেছেন: হায় হায় ব্যান খাইসো নাকি ভাইয়ু!!!!!! B:-)

কি দোষ করেছিলে বলোতো!!!!!!

১২৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

পবন সরকার বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা। খুব ভাল লাগল।

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।:)

১২৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনার যেখানে এতো ভক্ত, সেখানে আমাকে খুঁজে পাওয়াইতো হবে শক্ত!! অসাধারণ! এতো বিশালাকার পোস্ট পড়তে পড়তেই কাহিল! যদি ধারাবাহিক লিখতেন তবে আরো মনোযোগ দিয়ে পড়া যেতো। বিষয়বস্তুর গুরুত্বের নিরিখে ধীরে প্রকাশে আমাদের সকলের মঙ্গল হইতো। লেখাটি প্রিয়তে রাখলাম সময় করে আবার পড়বো। আবার পড়বো। ধন্যবাদ!

০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১০

শায়মা বলেছেন: হা হা


ভাইয়া মন্তব্যের প্রথম লাইনেই তোমার কবিতা দেখে হাসছি!

শুনো আমি আনন্দ ম্যুডে আছি।:) অবশ্য মাঝে মাঝেই ম্যুড চেঞ্জ হয়!!!!!!!!!:( ওকে ওকে তুমি সময় করেই পড়ো আমার এই লেখাটা। :)

১২৬| ১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

মামুন আকন বলেছেন: আজ প্রথম আপনার লেখা পড়লাম।। সত্যিই আপনার মাথা আছে বলতে হয়।। অনেক ভাল লাগলো

১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কি বলো?

সবাই রাগ করবে তো!
শুধু আমার মাথা আছে নাকি ?

আর কারো নাই ???


তবে আমি কিন্তু আসলেও বজ্রপাত নিয়ে চিন্তায় আছি। আজ তখন রাস্তায় ছিলাম। আকাশে তখন ঝিলিক ঝিলিক বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । এত ভয়ংকর ছিলো!:(


যাইহোক কি আর করা? তোমার পোস্টটা কপি করে সবাইকে পড়াবো ভাবছি। আর এত সুন্দর একটা দরকারী পোস্টের জন্য আমার বানানো টেরারিয়াম গিফ্ট দিলাম।

১২৭| ১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মামুন আকন বলেছেন: টেরারিয়াম টা গিফ্ট করার জন্য এত্তগুলা থ্যংক্স আপুটা । আর হ্যা,মানুষ কে বজ্রপাত সম্পর্কে জানানো টা আমাদের কর্তব্য

১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শায়মা বলেছেন: আসলেই গ্রামে গঞ্জেই শুধু না আজ আমি নিজেই গাড়িতে বসে বসে ভয় পাবার সময় ভাবছিলাম এখন কি করা উচিৎ! যদিও এমন জ্যামে ছিলাম আর মাথার উপরে ছিলো লোহার ওভার ব্রীজ! আমি ভয়ে আধামরা হয়ে গিয়েছিলাম ভাইয়া! এই জ্যামে গাড়ি যেমনি নাড়ানো যাচ্ছিলো না গাড়ি রেখে আমিও কোথাও দৌড়ায় পালাতে পারছিলাম না। :(

১২৮| ১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশ আমার দেশ।
বাংলাদেশ আমাদের দেশ।
বাংলাদেশ আমাদের সবার দেশ।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। অনেক ভালো থেকো!!!!

১২৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

বর্ষন হোমস বলেছেন:
একবছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু কথা গুলো সমান ভাবে প্রযোজ্য।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ভাইয়ামনি!

১৩০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: লেটে হলেও সময় নিয়ে পড়েছি। খুব সুন্দর করে লিখেন আপুমনি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!!!! :)

১৩১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৩৫ তম +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.