নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
দুইটি বছর পরে আবার খুলেছে স্কুল ভাই
সেই খুশিতে আজকে মোদের খুশির সীমা নাই.....
লিখছিলাম করোনা তথা লকডাউন পরবর্তীকালীন পাপেট শো অর্থাৎ আমার বাৎসরিক অত্যাবশ্যকীয় কাজের একটি কাজ শিশুদের জন্য পুতুলনাচের স্ক্রিপ্ট "যাচ্ছে গাবু স্কুলেতে দুইটি বছর পরে"। হ্যাঁ উদ্দেশ্য ছিলো স্কুলে গিয়ে বাচ্চারা কি কি সাবধানতা অবলম্বন করবে, দূরত্ব রেখে বসবে, মাস্ক পরবে, হাত স্যানিটাইজ করবে ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি।
মানুষ তার অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞানের উপর নির্ভর করেই জ্ঞান দিতে পারে বা লিখতে পারে বা কিছু বলতে পারে। মানুষ অবশ্য অভিজ্ঞতা ছাড়াও শুধুই কল্পনার ডানায় ভেসেও লিখতে বা বলতে পারে কাল্পনিক কাহানী। সেও আমি বেশ ভালোই পারি। কিন্তু আমার জীবনের সকল অভিজ্ঞতা, সকল কল্পনা বিলাস বা সকল কাল্পনিক সত্য মিথ্যা মিলায় গাল-গপ্প করার, বলার, লেখার বিদ্যা বা প্রতিভা সবই মাঠে মারা গেলো যখন আমি স্বশরীরে দুইটা বছর পর স্কুল চত্বরে পা রাখলাম।
আমি নার্সারীতে পড়াই। স্কুলের প্রথম ক্লাসটাই প্লে গ্রুপ আর দ্বিতীয়টা নার্সারী। কিন্তু এ বছর প্লে গ্রুপ না করা জীবনেও স্কুলে না আসা ডিসিপ্লিনের নাম গন্ধ না জানা বা মা বাবা ছেড়ে জীবনেও এক মুহুর্ত না থাকা বাচ্চাগুলোই দুই দুইটা বছর পর নার্সারীতে আসলো। তাদের কান্ড কীর্তি চালচলন কি হতে পারে এবং তারা আমাকেশুদ্ধ পুরো স্কুলকেই কি কি বিপদে ফেলতে পারে তাতে আমার এত বছরের অভিজ্ঞতা এবং কল্পনা শক্তিও বিফলে গেলো।
গাধার কান ও প্রথম দিন ক্লাসে আমি এবং বাচ্চারা
আগের দিনের পাঠশালাতে পন্ডিৎমশাইরা নাকি ছাত্রদের কান ধরে টান দিত, কান মুলে দিত, কান টেনে প্রায় ছিঁড়েই দিত। এমনই শুনেছি কত। গল্পের বই এ পড়েছিও কত। পাগলাদাশুর কান তো মনে হয় পন্ডিৎমশায়ের টানে অর্ধেক ছিড়েই গিয়েছিলো। সেসবও ঢের শুনেছি। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরাই টিচারের কান টেনে দেয় এবং কান টেনে প্রায় ছিড়েই ফেলে সে এবারে দেখলাম। তাও আবার নিজের জীবনে।
স্কুল খুলেছে দুইটা বছর পরে। এতদিন যে সব লক্ষীসোনা চাঁদের কনা নান্নে মুন্নে বাচ্চাগুলোকে মনিটরের মাঝে দেখেছি তারাই এখন চোখের সামনে। এ এক অন্য রকম এক্সাইটমেন্ট বটে। কাউকে মনিটরে মুখ বড় সড় লাগতো তাকে তো চোখের সামনে দেখে চেনাই যায় না সেই মানুষটাই যে এতটাই রোগা পটকা, নিরীহ বান্দা। আবার গুল্লু মুল্লু ছোট্টু বাবুটাও যে এত বড় সড় লম্বা চওড়া দশাসই সেও বুঝিনি ঠিকঠাক মনিটরের মাঝে এতদিনের অনলাইন ক্লাসে।
তাদেরকে দেখে আমিও চমকিত এবং আমাকে দেখেও তারাও চকমিত এবং বিস্মিত! চোখের পলক পড়ে না। শরীর নড়ে না। আমিও তাদেরকে দেখে অবাক! তবে চোখের পলক ফেলি। বারে বারে পিটিপিটি চাই। সে যাইহোক তারা অবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে আমাকে শুধু দেখেই না দেখা শেষ হতে হাত ছুঁয়ে দেখে। হাতের চুড়ি ব্রেসলেট নেড়ে দেয়। নখের নেইলপলিশ ছুঁয়ে দেয়। চুলে টান দিয়েও দেখে রিয়েল চুল না উইগ পরেছি অথবা আমি মনিটর থেকে সত্যিই বেরিয়েছি কিনা।
সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা ঘটলো তখনই যখন একটা পুচ্চি আমার কানের দুল ধরে দেখছিলো। তাই দেখে আরেকজন আরেকটু টান দিয়ে দেখলো তারপর আরেকজন কানশুদ্ধু দুল টান দিলো, এরপরের এক জন না দুইজন তো দুইদিন থেকে দুই কানই টান!!!!!!! মাগো মা ..... আমি ওদের ছোট চেয়ারেই বসে ছিলাম ওদের লেভেলেই। সেই ছোট চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে দৌড়িয়ে তাড়াতাড়ি দুল খুলে ব্যাগে ঢুকিয়ে কান বাঁচালাম। নইলে গাধার কানের মত আমার কানও সেদিন গেছিলো আর কি আর একটু হলে নিন্দুকেদের বদদোয়ায় আমার সাধের কানের ভবলীলা সাঙ্গ হত বাচ্চাদের হাতে।।
হায়রে কি কলিকালই না আসলো। সবই উল্টা দিকে ঘোরে!!!
বহুদিন পরে মনে পড়ে আজ পল্লীমায়ের কোল ওপস না না ছোটবেলার খেলা কাঁঠাল গাছ কাঁঠাল গাছ-
আমরা আজীবন বলে এসেছি আমাদের প্রিয় কলিগদেরকে মানে প্লে গ্রুপের বাচ্চাদের টিচারগুলোকে "এ্যাই তোমরা আর কি পড়াও হ্যাঁ? সারাদিন ট্যা ভ্যা বাচ্চাদেরকে নিয়ে খেলাধুলা আর বড়জোর অং বং রং করা। এসব কিছু হলো? এসব তো কিছুই না সারাদিন শুধু খেলা আর খেলা। ওরে কতই না খেলা ইনডোর গেম, আউটডোর গেম। কিচেন সেট, ব্লক সেট, ডক্টর সেট নিয়ে অভিনয়, টি সেট নিয়ে টেবিল ম্যনার ! ছ্যা ছ্যা এসব তো ছোটবেলার পুতুল খেলার বড় ভাই স্কুল খেলা আর কি বড় জোর। এসব করতে আবার স্কুলে আসা লাগে!!! ফুহ ফাহ .... আমরা নার্সারী টিচারেরাই বাচ্চাদের হাতে ধরে লেখা শিখাই, গালে ধরে পড়া শিখাই, নাচা গানা কত্ত কি শেখাই। সোজা কথায় আমরাই ওদের শিক্ষাগুরু, শিক্ষার কারিগরের শুরু হেন তেন কত কি.... "
তো এবারের বুঝলাম এই সব বড়াই এর ফল এক্কেবারে হাতে নাতে। দুইটা বছর পর আজ নার্সারীর শেষ প্রান্তে আসা বাচ্চাগুলো যখন উইদাউট এনি ডিসিপ্লিন কেমনে লাইনে দাঁড়াবে, কেমন সেল্ফে ব্যাগ রাখবে, কেমনে পেগে ওয়াটার বটল ঝুলাবে কিছুই তো জানেই না। এমনকি অবাক হয়ে দেখলাম সবগুলোকে যে জড়ো করে লাইন করে একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে মাঠ থেকে জোটবদ্ধ সুশৃংখলভাবে ক্লাসে আনবো সে উপায়ও আমার জানা নেই। তখনই মনে মনে প্লেগ্রুপ টিচারদেরকে পায়ে পূজার নৈবদ্য দিয়ে ফেললাম।
একটা যায় এই দিকে তো আরেকটা ঐ দিকে। একটা পূর্বে তো আরেকটা পশ্চিমে, উত্তরে দক্ষিনে মানে পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিনসহ যে দশ দিগন্তের নাম আছে যা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম সবই মনে করিয়ে দিলো এবারের লকডাউনের পরে স্কুলে আসা বাচ্চারা। যাইহোক অতি কষ্টে ক্লাসে ঢুকিয়ে যেই না টয়েস দিয়েছি একটু সেটেল করার জন্য। ওমা ওমনি দেখি হুমড়ি খেয়ে পড়ে সবগুলা টানাটানি ধাক্কা ধাক্কি শুরু করে দিলো। এমনকি চুল টানা বিবিয়ানা, জামা কাপড় ছিড়ে বসা কিছুই বাকী রইলো না। কেউ কাউকে দেবেইনা। সব তাদের একার একার।
এক একজন তো সারা টেবিলে ছড়ানো টয়েসগুলি দু হাতে যতটা সম্ভব আগলে নিয়ে টেবিল ও টয়েস এক সাথে করে বুকের সাথে লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো যে যতটা কেড়ে নিতে পারে আগে আগে। কাউকেই দেবে না। অর্থাৎ স্কুলের খেলনাগুলি যে তার বাড়ির না এবং সে সবের একছত্র অধিকারী যে তারা নয় সেসব তারা জানেই না। জীবনে কেউ তাদেরকে শেখায়নিও। সোজা কথা শেয়ারিং জিনিসটাই তারা এ দুবছর স্কুল মিস করায় শিখেই উঠতে পারেনি।
যাইহোক এবার নিলাম আউটডোরে। সেখানে স্যান্ডবক্স ছিলো, প্লে হাউজ ছিলো, সি সো, স্লাইড। সেসব সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছিলাম আমরা। এর মাঝে একটা বাচ্চা সে ভলিবল স্ট্যান্ড দেখে ভলিবল খেলতে চাইলো। স্ট্যান্ডটা ছিলো বড়দের কিন্তু আমি তাতে দয়া পরবশ হয়ে একটা বাচ্চাদের ভলিবল এনে দিলাম। একবার ছুড়ে দেখালাম দেখো বাচ্চারা এইভাবে। তারপর যে বলবো এইভাবে বলটা মাটিতে পড়লে যে পাবে সেই সেটা ছুড়বে। সেই কথা বলার আর অবকাশ রইলো না। তার আগেই দেখি সাত/আটজন সেই মাটিতে পড়া বলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মাটিতেই গড়াগড়ি দিচ্ছে। আমি তখন কিংকর্তব্যবিমুঢ়ঃ।
অবশেষে বহু কষ্টে ওদের থেকে বলটা উদ্ধার করে বল সমেত এক হাত উপরে উঠিয়ে দাঁড়ালাম। উদ্দেশ্য ওদেরকে রুলটা বুঝিয়ে বলবো। তার আগেই দেখি আমি কাঁঠালগাছ হয়ে গেছি। হ্যাঁ কাঁঠাল গাছ। আমি কাঁঠালগাছ আর হাতটা আমার কাঁঠালগাছের ডাল আর সেই ডালের আগায় বল আর ৭/৮ বাচ্চারা আমার হাত নামক ডালে হেইয়ো করে ঝুলে আছে। আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়েরও বড় ভাই বা বোন যদি থাকে তাই হয়ে গেলাম। সেই ভয়ংকর বেদনার কথা লিখতে গিয়ে এখনও আমার কান্না পাচ্ছে।
এমন স্বপ্ন কখনও দেখিনি আমি- লাল নীল প্রিন্টেড বেবি মাস্ক - স্কুলে রুল সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে। তাতে মরো বাঁচো দম আটকে মরো রুল ইজ রুল। আমি ভেবেছিলাম বাচ্চারা কি আর সেই রুল মেনে চলতে পারবে? জীবনেও না। ওরা মাস্ক টাস্ক কোথায় ছুড়ে ফেলবে হুহ! কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সবগুলো বাচ্চা লাল নীল জলছাপ হাতি ঘোড়া ভালুক ছাপ, লতাপাতা ফুল ছাপ দুনিয়ার যত ছাপ ছাপ প্রিন্ট আছে সব পরে পরে স্কুলে আসতে লাগলো এবং যথারীতি মাস্ক মুখেই রেখে দিলো। একজনকে দেখে তো আমি চমকেই গিয়েছিলাম এই ৪/৫ বছর বয়সে মুখ ভর্তি দাঁড়ি গোফের জঙ্গল দেখে। তারপর বুঝলাম ওটা মাস্ক। ছোট্ট বাচ্চার মুখে দাঁড়িগোফ আঁকা মাস্ক।
সে যাইহোক দাঁড়ি পরুক বাড়ি পরুক এমনকি গাড়ি মার্কাও মাস্ক পরুক আমার নো সমস্যা। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো তখনই যখন স্কুল ছুটি হতে বাচ্চার বাবা ছেলের হাত ধরে এসে মাস্ক খুলে দেখালো, এই যে মিস আমার বাচ্চার যে দাঁতে লেগে ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে মাস্কেও লেগে গেছে আপনি তো দেখেনওনি। আমার চক্ষু তো চড়কগাছ! সারাজীবনের অতি কেয়ারিং সনদপ্রাপ্ত নিজেকে বিশ্ব বিখ্যাত না হোক স্কুল বিখ্যাত টিচার ভাবা এই আমি কিনা বাচ্চার ঠোঁট তার নিজের দাঁতে লেগেই মাস্কের মাঝে রক্তারক্তি আর আমি দেখতেই পাইনি!!!!!!!!!! আমার তখন ধরনী দ্বিধা হও!!!!!!!! আর একটু হলে অজ্ঞান হয়েই পড়ে যেতাম হয়ত। আমার অবস্থা দেখে বাচ্চার বাবাই ভয় পেয়ে গেলো। না না মানে বলছিলাম কি আমার ছেলেটাও অনেক দুষ্টু। ঐ ছেলে তুই মিসকে বলবি না আমাকে বললি কেনো হ্যাঁ?
এই দিকে এসব দেখে আমাদের প্রিন্সিপ্যালও এগিয়ে এসেছে।(কই থেকে যে আসলো ঐ সময় আল্লাহ জানে) যাইহোক তারা আহা উহু করলো ওকে ওকে এখুনি ডক্টরস রুমে নিয়ে গিয়ে একটু মেডিসিন লাগায় দাও। বাচ্চা বলে না না মেডিসিন জ্বলবে, চিনি দাও, চকলেট দাও। ওরে !!! শয়তান পিচকা নিজের দাঁতে নিজে লাগায় ঠোঁট কেটেছিস। আমাকে ফাঁসিয়েছিস আবার এখন চকলেট না!!!!!!! মনে মনে বলছিলাম অবশ্য। যাইহোক ভেবেই পাচ্ছিলাম না আমি কেনো বুঝলাম না এই ঘটনা আমার ক্লাসেই আমার চোখের সামনে থাকতেও। এমন রেকর্ড তো লাইফে নাই।
শেষে বাচ্চার বাবাই সমাধান করে দিলো হে হে আসলে লাল ছোপের প্রিন্টেড মাস্ক তো মিস তাই আপনি বুঝতে পারেননি এই আর কি? কোনো সমস্যা নাই কোনো চিন্তা নাই। আমার তখন মনে মনে যত দোষ প্রিন্টেড মাস্ক ঘোষ। যত দোষ প্রিন্টেড মাস্ক কিনে দেওয়া বাপ মা ঘোষ!
স্বরে ও তে অজগর ঐ আসছে তেড়ে মনিটর হতে- আমাদের নান্নে মুন্নে বাচ্চাগুলো এতদিন মনিটরের ভেতর দিয়ে ভালোই লিখছিলো। এ বি সি ডি বা ওয়ান টু থ্রী ফোর সবাই সবাই। আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম। বাহ অনলাইন ক্লাসে তো বাচ্চাদের রেজাল্ট অফলাইন থেকেও ভালো। নিজের মনকে বুঝাতাম মায়েদের এই অবদান ভুলে যাবার নয় আহা। প্রতিটা বাচ্চাকে সময় মত কম্পুটারে বসাচ্ছেন, লেখো লেখো বলছেন আহা। আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য আমার প্যারেন্ট মায়েদের জন্য। মানে যারা সর্বদা বাচ্চাদের পাশে থাকতেন। কিছু মায়েরা যারা জব করেন তাদেরকে ছাড়া অন্য মায়েরা সব সময় বাচ্চাদের সাথেই থাকতেন।
সে যাইহোক ইন পারসন স্কুলে এসে যাই লিখতে দেই দেখি বেশিভাগ বাচ্চারাই কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং চাইনিজ এরাবিক কি সব টাইপ অক্ষর লিখে দিচ্ছে। আমার তো চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হয়ই না হ্য়ই না। এই বাচ্চাগুলাই না অনলাইনে মুক্তাক্ষরে লিখতো! পরে বুঝলাম আর কি অনলাইনে আসলেই কেমনে তারা মুক্তাক্ষরে লিখতো। তখন চোখে ভাসছিলো ছোটবেলার বর্ণমালার স্বরে অ তে অজগর ঐ আসছে তেড়ে সেই ছবিটা। তবে বই এর পাতা থেকে নয় মনিটরের বক্সটা থেকে। এখন শিখছি তাই বেদেনীর সর্প বশীকরণ মন্ত্র। এই মন্ত্র এই দু এক মাসের মাঝে এপ্লাই না করতে পারলে পরের ক্লাসে খবর আছে বাচ্চাদের আর কি।
অনেক হলো আমার আর আমার নান্নে মুন্নেদের গল্প। এবার আসি আমাদের অভিভাবকদের কথায়। দুই দুইটা বছর বাড়িতেই ছিলো বাচ্চাগুলি। যে বয়সে স্কুল মাঠে দৌড়াবে, ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠবে, একে অন্যের সাথে শেয়ারিং কেয়ারিং শিখবে সে বয়সে তো তারা ভোর পেরিয়ে সকাল গড়িয়ে দুপুরে উঠেছে। দৌড়াদৌড়ির মাঠ কোথায়? ঘরের মধ্যে ট্যাবে মোবাইলে বা স্ক্রিনে আটকে থেকেছে। বডি ফিটনেসের বারোটা। সেই বাচ্চাগুলোকেই এখন ভোরে উঠিয়ে খাইয়ে পরিয়ে ঢুলু ঢুলু চোখে জ্যাম পেরিয়ে স্কুলে আনা হচ্ছে। মা বাবাদেরও কষ্ট, বাচ্চাদেরও কষ্ট। তাদের কষ্ট দেখে বুক ফেটে যায় প্রান জ্বলে যায় বাবা মায়েদের। কথায় আছে মানুষ অভ্যাসের দাস। এই দু বছরে আমরা হয়েছি কুভ্যাসের দাস!
আর তাই স্কুলের বারান্দাগুলিকে আমাদের অনেক বড় বড় লাগে। হাঁটলে পা ধরে আসে। দাঁড়ালে পায়ে খিল ধরে যায়। আর স্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকে যখন বাচ্চারা এসেম্বলীর জন্য তখন বাবা মায়েরা ভুলে যান তারাও স্কুলের এসেম্বলীতে মাঠে দাঁড়াতেন। দু একটা বেতের বাড়ি খেয়ে বড় হননি এমন মা বাবারাও বিরল। সে সব তাদের বাবা মায়েরা কোনোদিন দেখতেও আসতেন না কিন্তু স্কুল গেটে ভীড় করে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা মায়েরা বাচ্চাদেরকে মাঠে এসেম্বলীর জন্য দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও বড়ই কষ্টিত হন। হাউ কাউ শুরু করে ডেন। হায়রে কলিকাল থুক্কু করোনা কাল আর এই কুভ্যাসের প্রতিফল।
এবার আসি আরেকটি অভিযোগ নিয়ে। বর্তমানে আমাদের স্কুল তথা বিশ্বের কোনো স্কুলেই বাচ্চাদের শাররিক, মানসিক, মৌখিক কোনো ভাবেই আবিউজ করা সম্ভব না। আগের দিনের কান টানা, বেতের বাড়ি এসবও গ্রামেগঞ্জেও নেই বললেই চলে। আর আমাদের স্কুল!!!!!!!!!
ও মাই গড! সেখানে তো বাচ্চাদেরকে ব্যাড বয় এই কথাটাও উচ্চারণ করা যাবে না। যাইহোক এতদিন অনলাইনে মনিটরের সামনে টিচারদের গলার ভয়েস ছিলো সর্বোচ্চ নিম্নস্তরে রঙ্গে ঢঙ্গে ভালোবাসা এবং আদরে। আর এই বাচ্চারা তো জন্মের পরে স্কুলেই যায়নি কাজেই এই মনিটরকেই স্কুল ভেবেছে আর মনিটররের মাঝে থাকা ছবিটাকেই টিচার।
তো যখন স্কুলের হলরুমে গেলো আর অবাধ আনন্দে হাউ মাউ খাউ মানুষের গন্ধ পাও বলে ঝাঁপিয়ে পড়লো ক্লাসরুমের হলরুমে। তখন তো টিচারের ভয়েসটা একটু বাড়াতেই হলো মানে মাইক দিলেও হয়ত কম শুনতো বাচ্চারা তবুও রক্ষা মাইক ছাড়াই একটু চড়া গলায় চিলড্রেন সিট ডাউন, সিট ডাউন প্লিজ বা কোয়ায়েট কোয়ায়েট বলতে হলো। আর সেটাই কাল হলো। বাড়ি ফিরতেই অনুসন্ধিৎসু কৌতুহলী ভেতরে কি হলো জানার জন্য উন্মুখ মায়েদের মুহুর্মুহু জেরার কারণে বাচ্চাদেরকে সারাদিনের ইতিবৃত্ত বলতে হলো আর তখনই মায়েদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
কি ঐ বাচ্চা ঐ বাচ্চার চুল টেনেছিলো বলে মিস স্যরি বলতে বলেছে!!! রাগ করেছে!! চুল টেনে দিলো বলে আদর করে দেয়নি উলটা না করেছে!!!!!!!! ও মাই গড আমার বাচ্চা মনে কষ্ট পেলো না?? ও যে কখনও না কথাটা শুনতেই পারে না। সহ্যই করতে পারে না!!!
কি!!! তুমি লিখবে না বলে পেনসিল ছুড়ে মেরেছো আর টিচার তোমাকে সেই পেনসিল তুলে আবার লিখতে বলেছে !!!!!!!! কেনো কেনো কেনো !!! তোমার ইচ্ছা হলে লিখবে ইচ্ছা হলে লিখবে না। টিচার বলার কে?? ????????????????
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ........ এই যে মিস হ্যালো হ্যালো!!! আপনারা কিসের টিচার হইসেন হ্যাঁ জানেন আমি মানবাধিকারে জব করি আমার বাবা নারী অধিকারে!!! আমার দাদা শিশু অধিকারে !!!!!!!!!!!! আমার নানা টিচিং দ্যা ইয়ং চাইল্ড স্পেশালিস্ট আবার নানী শিশু মনোবিজ্ঞানে ..... বাচ্চাদের মনের উপর চাপ দিতে হয় হ্যাঁ!!!!!!!! সে পেনসিল ছুড়ে ফেললো লিখবে না আপনারার ওকে আবার লিখতে বলবেন কেনো?? সেদিন দরকার পড়ে সে লিখবেই না! পরদিন লিখবে না হলে তারপর দিন না হলে তার পরের পরের দিন। আপনারা জানেন কি হ্যাঁ !!!!
ভাবখানা এমন তার বাচ্চা অন্যের বাচ্চার চুল ছিড়ে দিলে বলতে হবে, বাহ বাবু তুমি ওর চুল ছিড়ে দিয়েছো??? খুব ভালো করেছো তো??? এই বাচ্চা দেখেছো কি সুন্দর করে ও তোমার চুল ছিড়ে দিলো?? তোমার অনেক মজা লেগেছে না?? অনেক আনন্দ পেয়েছো তাই না বাবু????
অথবা
বাচ্চা লিখবো না বললে বলতে হবে। বাহ!! লেখালিখি খুবই খারাপ কাজ!! কে করে এইসব!! তুমি খুবই খুবই ভালো কথা বলেছো লিখবে না তো লিখবেই না। আজকে না কালকে না পরেরদিনও না কোনোদিনই না। কি মজা!!! তুমি শুধুই খেলবে আর খেলবে আর মনে যা আসে তাই করবে। দূর পড়ালেখা কেউ করে নাকি!! তুমি তো স্কুলে এসেছো শুধুই বেড়াতে। কত্তদিন স্কুলে বেড়াতে আসতে পারোনি আহারে বাবুটা ! ওলে কুটু কুটু!!!
আসলেই করোনা আর এই লকডাউন আমাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আচরণ ইত্যাদি ও ইত্যাদি। তবুও আমি আশাবাদী মানুষ আশা রাখি এই এফেক্ট কাটতে বেশি সময় লাগবে না। গত দু বছরের কু অভ্যাসগুলো কাটিয়ে মানুষ আবার ফিরে যাবে সু অভ্যাসগুলোতেই।
সবার জন্য ভালোবাসা......
ছবি-
https://ellenbuikema.com/young-childrens-views-on-sharing/
https://www.alamy.com/mother-teaching-her-kid-son-how-to-write-pen-concept-online-learning-quarantine-image355533282.html
https://www.google.com/search?q=printed+baby+mask&rlz=1C1CHBD_enBD905BD905&sxsrf=APq-WBsDWVhP8HtXW3JMzvMmrBbpQRErlQ:1650721290294&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=2ahUKEwjS9IWBqKr3AhUnxTgGHTRXCLIQ_AUoAXoECAEQAw&biw=1280&bih=601&dpr=1.5
আজকের কিছু ছবি নেট থেকে নেওয়া আর কিছু ছবি আমার আর আমার বাচ্চাদের কার্টুন ছবি বানালাম বসে বসে আজকে থেকে ছুটি পেয়ে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২২
শায়মা বলেছেন: কসম আপুনি আমার এত বছরের অভিজ্ঞতা ছলা কলা রং ঢং সব পানিতে গেলো। আমি তো নিত্য নতুন তাদের কান্ড কারখানা দেখে টাসকির উপর টাসকি খেতে খেতে শেষ।
বাচ্চারা না হয় ঘর বন্দী ছিলো। শেয়ারিং কেয়ারিং সোসালাইজেশন শেখেনি কিন্তু তাদের সাথে সাথে বাবা মায়েদের কি হলো!!!
তারাও কি তাদের জীবনের সকল মেমোরী হারায় ফেলললো!!!!!!!!!!
ওহ আরও এক ঘটনা শোনো-
এক ক্লাসে টিচার এবসেন্ট তো আরেকজন সাবস্টিটিউশনে গেছে। সে তো বাচ্চাদেরকে চেনেনা। তায় রেগুলার স্কুলে আসলে আমরা টিচারেরা কেমনে যেন অজ্ঞাত প্রতিভায় স্কুলের সকল ছেলেমেয়েদেরকে চিনে ফেলি। কিন্তু হঠাৎ স্কুল খোলার কয়েকদিনের মাঝে তো আর চিনি না।
তো সেই টিচার গেইটে কার্ড দেখে ঠিক ঠাক মিলিয়ে বাচ্চা দিতে দেরী করলো। ১০ মিনিটেই মা বিরক্ত হয়ে উঠে কমপ্লেইন করো দেরী হলো কেনো হেনতেন। টিচারগুলা ট্রেইনড না এফিসিয়েন্ট না কত্ত কিছু।
অথচ কার্ড মিলাতে এক ঘন্টা লাগলেও তো প্রপার কার্ড মিলিয়ে প্রপার বাচ্চাই দিতে হবে তাইনা?
যার জন্য করি চুরি সেই কয় চোর!!!!!!!!!
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: নিজে সাজুগুজু করে গেছো ভালো কথা কানকে এত্ত সাজুগুজ করালে সে তো ছিনতাই হবার সম্ভাবনাই বেশি। :p
বাচ্চার বাবা নারী অধিকারে, দাদা শিশু অধিকারে, নানা টিচিং দ্যা ইয়াং চাইল্ড……পড়ে হাসতে হাসতে শেষ আমি
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৪
শায়মা বলেছেন: আরে এটা পরিনি তো। পোস্টে দিলাম ছবিটা। পরেছিলাম একদম ঝুলঝুলানো টুলটুলানো দুল। সেই দুলের ঝুলঝুলি দেখেই তো বাচ্চারা ঝুলাঝুলি শুরু করলো আমার কান ধরে।
কয়েকদিন আগে গাধার কান কবিতাটা পড়ে হাসাহাসি করার শাস্তি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৭
শায়মা বলেছেন: কসম এমনই কিছু হয়েছে আমাদের এক সেকশনে। আজকাল মায়েরা যা জানে না তারাই টিচারদেরকে ট্রেনিং দিয়ে দিতে পারবে কিন্তু কি জানো? একটার জায়গায় দুইটা সামলাতে গেলেই নির্ঘাৎ নিজের কান নিজেই ছিড়বে।
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশিবিষে দংশেনি যারে!!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩২
শায়মা বলেছেন:
এই যে আমি এই দুল পরিয়াছিলাম বৎস!!
এক্কেবারেই কান ছেড়ার জন্য যথাপোযুক্ত!
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৮
একলব্য২১ বলেছেন: মজার একটা বিষয় নিয়ে লিখেছ। যে ব্যাপারটি জানতে আমি ভীষণ আগ্রহী। পড়ার সময়টা দারুণ কাটবে এটা বলাই বাহুল্য। আসছি কিছুক্ষণ বাদের ফ্রি হয়ে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৪
শায়মা বলেছেন: হা হা সব কি আর লিখেছি নাকি মনেই পড়েছে?
সে সব ভয়ংকর সব নিত্য নতুন আনপ্রেডিক্টেবল অভিজ্ঞতায় আমি এখনও টাস্কিত!
লিখে শেষ করা যাবে না।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
বাচ্চাদের আর দোষ কি আপু, যে জিনিস পরেছো তুমি কানে, ওদের জায়গায় আমি থাকলে আমিও কান টেনে দিয়ে দেখতাম এগুলো কি রিয়েল বাটারফ্লাই না আর্টিফিশিয়াল ।
চেয়ে চেয়ে আমাকে শুধু দেখেই না দেখা শেষ হতে হাত ছুঁয়ে দেখে। হাতের চুড়ি ব্রেসলেট নেড়ে দেয়। নখের নেইলপলিশ ছুঁয়ে দেয়। চুলে টান দিয়েও দেখে রিয়েল চুল না উইগ পরেছি অথবা আমি মনিটর থেকে সত্যিই বেরিয়েছি কিনা।
কি কিউট !!! দেখতে ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তগুলো ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৪
শায়মা বলেছেন: শুধুই কি আর কান!!!
চোখও গেছিলো আর একটু হলেই।
স্কুল গেইটে বন্দুক কপালে ঠেকায় টেমপারেচার দেখাতে হবে এবং ফুসুৎ করে গার্ড বা আয়া হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করবে। তারপর মুখে মাস্ক লাগানো আছে কিনা দেখায় গেইটের ভেতরে পা দিতে হবে।
তো আমি মহা সাজুগুজু দিয়ে গাড়ি চালায় নিয়ে মহা নায়িকা নায়িকা ভাব নিয়ে স্কুল গেইটে গিয়ে হাত বাড়ালাম স্যানিটাইজার স্প্রে করানোর জন্য। গার্ড ভাইজানও মহা হাসি হাসি মুখ নিয়ে আমার মুখে তাকিয়ে হাতে স্প্রে মেরে দিলো। ওমা স্প্রের তরলটা সোজা হাতের তালুতে বাড়ি খেয়ে আমার চোখে ছুটে এসে লাগলো!
আমি তো ওরে বাবারে মারে গেছিরে আজকেই আমার চোখ কানা করে ফেললোরে করে দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে চোখে পানি দিতে দিতে আইলাইনার মাসকারা উঠিয়ে গলিয়ে ভূত সেজে উঠে দাঁড়ালাম। ( জানি দু একজন বলছে ঠিক হয়েছিলো। চোখটা কানা হলো না কেনো?)
যাইহোক তারপর আমার নিজের চেহারা দেখে নিজেই আয়নায় দেখে রাগের বাঘ হয়ে গেলো। সেই কালি ভূত মাখা চোখ নিয়েই আমি বের হয়ে এসে বললাম কি স্প্রে দেওয়া হয়েছে তার ক্যান নিয়ে আসো। আমাকে দেখটে হবে আমার চোখে কি কি ঢুকিয়েছো?
প্যারেন্টস থেকেই সেসব শেখা! কেমনে নিজের টেনশন অন্যের ঘাড়ে ফেলে দিতে হয়। আসলে সত্যিই আমার মহা ভয় লাগছিলো। শুনেছি মেক্সিকোতে স্যানিটাইজার চোখে গিয়ে কার কার নাকি চোখ কানা হয়ে গেছে।
যাইহোক মনের দুঃখ টিচার রুমে গিয়ে বলতেই এক শয়তান টিচার বললো, নো চিন্তা শায়মামনি তোমার চোখ এখন ঝকঝকা জার্মলেস হয়ে গেছে। তুমি এখন আরও ভালো দেখতে পাবে।
এসবই করোনা লকডাউনের আফটার এফেক্ট! আন প্রেডিক্টেবল সব ইনসিডেন্ট যার সাথে আগে কখনও পরিচয় ছিলো না।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২২
জটিল ভাই বলেছেন:
অবজেকসন মিলর্ড! পোস্টে গাধার কথা অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে আনা হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করি। সেইসাথে চলমান কপিপেস্টের সাফাই গাওয়ার মতো করে অভিভাবকদের আচরণ তুলে ধরাও উদ্দেশ্যমূলক মনে হচ্ছে। তাছাড়া ব্লগে এই অবলা, শান্ত, ভদ্র শিশুগুলির গার্ডিয়ানরা যে নেই তারইবা কি প্রমাণ আছে? এখন যদি এর কাউন্টারে পোস্ট আসে, কিংবা লেখিকার কান সেই জেরে যদি কাটা যায়, তখন কান কাটা নানির নাতনির দায়িত্ব কে নিবে????? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম.....
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫২
শায়মা বলেছেন: ফুহ ফুহ!! ফাহ!!!!!!!!!!!!!!!
সেই সবের ধার ধারি!!!!!!!!!!!
গাধা কি দুনিয়ায় একটাই নাকি!!!!!!!!!
এই পোস্টে কবিতার গাধার কানের কথা বলা হয়েছে।
ওলে দুনিয়ায় শুধু ব্লগেই বুঝি গাধা থাকে???
কত্ত আল্লাদ!!!!!!!!! বনে বাঁদাড়ে চিড়িয়াখানায় গল্প কবিতায় সব গাধারা কি মরে গেছে নাকি!!!!!!!!
আর অভিভাবক!!! আসুক আসুক আমিও কি কাউন্টার পোস্ট কম জানি??? এতদিনের অভিজ্ঞ একজন মানুষের সাথে তারা কি পারবে বলো!!!
যা ভাগ! কোনো প্রশ্নের উত্তর নাই ....... জাতিরও আজ বিবেক নাই.......
করোনা পরবর্তীকালীন লকডাউন এফেক্টে সব ফকফকা হয়ে গেছে....
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
ভাবখানা এমন তার বাচ্চা অন্যের বাচ্চার চুল ছিড়ে দিলে বলতে হবে, বাহ বাবু তুমি ওর চুল ছিড়ে দিয়েছো??? খুব ভালো করেছো তো??? এই বাচ্চা দেখেছো কি সুন্দর করে ও তোমার চুল ছিড়ে দিলো?? তোমার অনেক মজা লেগেছে না?? অনেক আনন্দ পেয়েছো তাই না বাবু????
আপু কেমন করে ম্যানেজ করো, কঠিন !!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০১
শায়মা বলেছেন: এইভাবেই করি।
সত্যিই সেদিন এক মা আর বাবা এসেছিলো এমন এক কমপ্লেইন নিয়ে। টিচারকে বলছিলো আমার বাচ্চা বলছিলো মিস আমাকে বকা দিয়েছে। তাই আমি স্কুলে যাবোনা। আমরা খুবই চিন্তিত বাচ্চা যদি মনে এমন এক টেনশন কষ্ট দুঃখ নিয়ে স্কুলে আসে তো তার স্বাভাবিক বিকাশ বিলম্বিত হইবেক, বাচ্চার মনের দুঃখ মনে থাকিবেক ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঐ টিচার নতুন আর অভিজ্ঞতা কম বলে আমি তার সাথে ছিলাম। আমি বললাম আপুনি আমি একটু বলি ? মা বললো ওকে ওকে।
আমি বললাম, মিস কেনো বকা দিয়েছে সেটা কি বলেছে বেবিটা?
মা বললো হ্যাঁ বলেছে আমি আমার ফ্রেন্ডকে পুশ করেছিলাম সে ফ্লোরে পড়ে গেছিলো আর আমাকে মিস স্যরি বলতে বলেছিলো আমি বলেছি বলবোনা তখন মিস বলেছে নো বেবী এমন বলতে হয় না। স্যরি বলতে হয়। না হলে ফ্রেন্ড আপসেট হয়, টিচার আপসেট হবে রাগ করবে।
আমি বললাম এখন বলেন আপুনি টিচার কি কোনো ভুল বলেছে? টিচারের কি বলা উচিৎ ছিল বাহ তুমি ওকে পুশ করেছো ফেলে দিয়েছো ব্যথা দিয়েছো ভালো করেছো খুব? স্যরি বলতে হবে না? বলাটাও উচিৎ না?
মা আর বাবা কি আর বলবে? হ্যাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বললো না না মানে মানে ......
এরপর আরও সুন্দর করে হাসি মুখে কুচি কুচি কুচি কুচি......
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
তো আমি মহা সাজুগুজু দিয়ে গাড়ি চালায় নিয়ে মহা নায়িকা নায়িকা ভাব নিয়ে স্কুল গেইটে গিয়ে হাত বাড়ালাম স্যানিটাইজার স্প্রে করানোর জন্য। গার্ড ভাইজানও মহা হাসি হাসি মুখ নিয়ে আমার মুখে তাকিয়ে হাতে স্প্রে মেরে দিলো। ওমা স্প্রের তরলটা সোজা হাতের তালুতে বাড়ি খেয়ে আমার চোখে ছুটে এসে লাগলো!
আমি তো ওরে বাবারে মারে গেছিরে আজকেই আমার চোখ কানা করে ফেললোরে করে দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে চোখে পানি দিতে দিতে আইলাইনার মাসকারা উঠিয়ে গলিয়ে ভূত সেজে উঠে দাঁড়ালাম। ( জানি দু একজন বলছে ঠিক হয়েছিলো। চোখটা কানা হলো না কেনো?)
Hilarious !!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৫
শায়মা বলেছেন: হা হা হা সত্যিই তাই জানো??
প্রথমে ভয়!! কানা হয়ে যাবার ভয়!!!
তারপর রাগ! কানা হবার ভয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে কাজল মাসকারা গলিয়ে ভুত সেজে উঠবার রাগ!
আর সেই গার্ড আয়া লোকজন সব তো প্যারেন্টসদের পাগলামী আর কত দেখেছে আমার মাথায় ওঠা ভয় আর রাগের বাঘের দুই দুইটা ভূতের ধেই ধেই নাচ দেখে তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া অবস্থা তাদের!
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
তোমার পোষ্টে উল্লেখিত বাচ্চা ওরফে বিচ্ছুদের যে কার্যকলাপ শোনালে, আমার কিন্তু এরকম দুষ্ট বাচ্চাই ভালো লাগে ।
বাচ্চা মানে দুষ্ট হবে, অস্থির চঞ্চল হবে, এটাই নরমাল ।
যে বাচ্চা একদম চুপচাপ, দুষ্টামি করেনা , শান্ত ওদেরকে আমার মাইর দিতে ইচ্ছে করে ।
স্যরি রেসিস্টের মতো কমেন্ট করলাম
মনে হয় বাচ্চা কেনো বড়দের মতো হবে, জ্বালাবে হৈচৈ করবে দুষ্টামি করবে ।
আমি যেহেতু অডিয়েন্সের ভূমিকায় দেখে উপভোগ করি, আমাকেতো হ্যান্ডেল করতে হচ্ছে না
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৯
শায়মা বলেছেন: এই কথা আসলেও সত্য।
সবাই বলে আমার নাকি সবচেয়ে পাঁজি বাচ্চাদেরকেই সবচেয়ে পছন্দ।
তাই দুনিয়ার সব পাঁজিদেরকে পাঁজিমী ছাড়ানোর তরিকা এপলাই করানোর জন্য নানা ক্লাস থেকে আমার কাছেই পাঠানো হয়।
আমি তাদেরকে গান শুনিয়ে গল্প শুনিয়ে হাসিয়ে নাচিয়ে এক্কেবারে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত বশিভূত করে পাপেট বানিয়ে লেখাই শেখাই পরের ক্লাসে পাঠিয়ে দেই।
আসলেই কিন্তু আমাদের স্কুলে কিছু স্পেশাল চিলড্রেন গিফটেড চিলড্রেন বা অতি দুত্তু অতি আবেগী বাচ্চা আছে।
তাদের ক্রাইটেরিয়াগুলো আইডেন্টিফাই করে নানা রকম কাসটোমাইজ লেসন একটিভিটি করানো হয়।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০২
একলব্য২১ বলেছেন: চমৎকার লিখেছ শায়মা আপু। কমেন্ট আর প্রতিউওরগুলোও বেশ মজার। সব মিলিয়ে মজার একটা পোস্ট।
দুদিন আগে ক্ষুদের trimester শেষ হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন আমিই সকালে ওকে স্কুলের গেইট পর্যন্ত দিয়ে এসেছি। সাধারণত সকালে দিলে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। সেদিন দেখলাম একজন বাবা তার গুল্লু টাইপ ছেলেকে নিয়ে নিজেও সকালের দিকে স্কুলের ঢুকছে। গেইট-কিপার কারণ জানতে চাইলে উনি বললেন ব্রাদারের সাথে দেখা করবেন। গতকাল স্কুলে four এর চারজন ছেলে মিলে তার ক্লাস টুতে পড়া বাচ্চাকে মৃদু ধৌলাই করেছে। হা হা হা...
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: তুমি বাংলাদেশে চলে এসেছো?
পড়ালেখা কি শেষ নাকি আবার যাবে?
এখনও নাকি সেখানে অনলাইনেই পরীক্ষা হচ্ছে?
যাইহোক বাবা মায়েদের টেনশন থাকবেই কিন্তু আমার মনে হচ্ছে লকডাউনের পরে সেই টেনশনগুলো খুব অদ্ভুত আকার ধারণ করেছে।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১৫
কালো যাদুকর বলেছেন: এইজন্যই স্কুল টিচারদেরকে অনেকটা জাতীয় বীরের মতই আমেরিকাতে দেখা হচ্ছে আজকাল ৷ এখন আপনাদের এই বাদর ছেলেমেয়েদের "মানুষ" করতে হবে ৷ ইহা একটি অতি কঠিন কর্ম৷ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২০
শায়মা বলেছেন: অভিজ্ঞতার শেষ নেই ভাইয়া। তবে এবারে সবই নতুন নতুন আফটার শক দিচ্ছে আর কি।
সবচেয়ে বড় ব্যপারটাই হলো বাবা মা তো বটেই তবে বাবা মায়ের সাথে সাথে টিচারের ভূমিকাও যে কম নয় একটা বাচ্চার মানুষ হবার পিছে তা বোধ হয় এবারে বাবা মায়েরাও হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন।
আসল কথা বাবা মা এবং টিচারের কোঅপারেশন ছাড়া একটা বাচ্চার উন্নতি সম্ভব নয়। কোনোভাবেই দুজন দুজনের শত্রু নয় তারা অপকটে সমস্যা ও সমাধান নিয়ে শেয়ার করলে ও কাজ করলে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ উঠে আসবে।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১৭
একলব্য২১ বলেছেন: এখনও অর্ধেক কাজ পড়ে আছে। কয়েকদিনের মধ্যে আবারও বিদেশে চলে যাবো।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৭
শায়মা বলেছেন: ওহ তাই বলো। কতদিনের জন্য এসেছিলে?
তুমি কি সেমিস্টার ব্রেক নিয়েছিলে নাকি ছুটি ছিলো?
আচ্ছা তুমি কি হোম সিক ছিলে?
দেশের জন্য খানার জন্য খুব মন কেমন করতো???
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৪
কালো যাদুকর বলেছেন: অভিভাবক ও টিচার একটি বাচ্চার সাফ্যলের মুদ্রার দুই পিঠ ৷ আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত ৷
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কিন্তু অনেক সময় তারা দুজন দুজনকে ভয় পায়, শত্রু ভাবে আর তখনই সাফারার হয় বাচ্চাটাই।
তাই প্যারেন্টস টিচারের একটা সুন্দর সম্পর্ক হওয়া জরুরী।
বিল্ডিং প্যারেন্টস টিচার পার্টনারশীপ
পড়ো ভাইয়া
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৮
একলব্য২১ বলেছেন: ব্রেক নিয়ে আসছি। ভীষণ হোম সিকনেস ছিল। খাবার নিয়ে আমার কোন complain নেই। নিজে রান্না করে খাই।
view this link
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪০
শায়মা বলেছেন: হুম এটাই মনে হচ্ছিলো।
কিন্তু ঐ যে মানুষ অভ্যাসের দাস।
সবই ঠিক হয়ে যাবে।
ওকে ক্ষুদেকে নিয়ে আমার স্কুলে চলে আসো একদিন হা হা। লজ্জাবতী চাচুর লজ্জাবতী ভাস্তা কেমন দেখে ফেলি। হা হা হা
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৬
একলব্য২১ বলেছেন: এখন ক্ষুদেকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমরা ক্লাসে দুষ্টামি করলে মিস-রা কি ভাবে শাস্তি দেয়।
মিসরা বলে সবাই হেডডাইন কর।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫১
শায়মা বলেছেন: হা হা তখন তারা হেডডাউন করে কি করে জিগাসা করে দেখো তো।
আমাদেরগুলা তো হেডডাউন করে ঠিকই কিন্তু টেবিলের ডাউন দিয়ে চিমটি লাত্থি সবই চালাতে থাকে।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: প্রচুর পরিশ্রমের ফসল (এই পোস্ট )
জানা হলো অনেক কিছু (মনে থাকলেই হয় )
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই পরিশ্রম কিছুই না সেই পরিশ্রমের কাছে।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লকডাউনের পর এখন সব আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। ব্যাবসায়ীরা নিজেদের ক্ষতি আস্তে আস্তে রিকভারি করে নিচ্ছে।
পোস্ট ভালো লাগলো।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৭
শায়মা বলেছেন: হা হা গোফরানভাইয়া কি লিখলে তুমি?
পোস্ট পড়েছো তো?
যাইহোক এই পোস্ট লকডাউনের পরে বাচ্চারা স্কুলে গেলো যখন তখনই বুঝা গেলো কি ক্ষতি তারা পোষাতে পারেনি এই লকডাউনকালীন সময়টাতে।
যাইহোক পোস্টটা ভালো লাগার জন্য থ্যাংকস!
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৪
জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
গাধা কি দুনিয়ায় একটাই নাকি!!!!!!!!!
ওলে দুনিয়ায় শুধু ব্লগেই বুঝি গাধা থাকে??
হাহাহাহাহাহা........ তাইতো মনে হচ্ছে। নয়তো গাধা নিয়ে লিখলেই জনৈক তোমার স্কুলের বাচ্চাদের মত অভিযোগ শুরু করে কেন যে তাকে নিয়ে লিখা হইছে?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৮
শায়মা বলেছেন: দেখো যেভাবে গাধার কান ছেড়ে আমার কান নিয়ে টানাটানি শুরু করেছো আমি কিন্তু ভয়ে আছি।
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৭
জ্যাকেল বলেছেন: আমার এক নাতি আছে তার নাম তুহিন। সে তো বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু লিখতে চায়-ই না। কি করা যায় কোন উপদেশ?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৩
শায়মা বলেছেন: হা হা আগের দিন হলে পন্ডিৎ মশাইরা বলতেন মাইরের উপর ঔষধ নাই।
কিন্তু এখনকার দিনে তো মজাদার লিখন শিক্ষনের অভাব নাই ভাইয়া। কয়টা শুনতে চাও?
লিখতে চায়না এমন বাচ্চা আমি আমার জীবনে অনেক দেখেছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিখিয়েই ছেড়েছি।
যাইহোক-
যেই বাচ্চা লিখতে চায় না তাকে যদি বলো এক পাতা লেখো সে লেখার আগেই কুপোকাৎ হয়ে যাবে। তাই তার জন্য লেখার পরিমান কমিয়ে আনতে হবে।
আর একটা কথা রাইটিং এর আগে প্রি রাইটিং আছে। নানা রকম লাইনস সোজা বাঁকা তেরা গোল আধা গোল এসব প্রাকটিস করায় নিয়ে মজাডার মাধ্যমে যেমন বালির ট্রে সুজির ট্রে তে আঙ্গুল বুলিয়ে বা রং দিয়ে বা ব্রাশ দিয়ে লাইনগুলো যা লিখতে লাগে সেসব আনন্দের সাথে প্রাকটিস করিয়ে নিয়ে বাচ্চা লেখার সময় কোনো ঝামেলায় পড়বে না আর ঝামেলা না লাগলেই লিখেও ফেলবে তরতর!
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: করোনা সব কিছু উলটপালট করে দিয়েছিলো। এখন আবার আসতে আসতে সব আগের পথে ফিরে আসুক।
শুভকামনা রইলো।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৪
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ করোনাকালীন কু অভ্যাসগুলো ভুলে আবার আগের সু অভ্যাসগুলোতে ফিরে গেলেই জীবন হবে সুন্দর!
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২২
একলব্য২১ বলেছেন: হেডডাইন অবস্থায় ওরা নাকি গল্প করে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৫
শায়মা বলেছেন: সে কি আর বলতে। গল্প মারামারি চিমটা চিমটি লাত্থা লাত্থি সবই চলে......
বাহ বাহ বাহ!! ক্ষুদে দেখতে খুবই শান্ত শিষ্ঠ ছেলে।
২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৯
জটিল ভাই বলেছেন:
জ্যাকেল বলেছেন: আমার এক নাতি আছে তার নাম তুহিন। সে তো বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু লিখতে চায়-ই না। কি করা যায় কোন উপদেশ?
এতো টেনসনের কি আছে? ব্লগে একটা আইডি খুলে দিন। তারপর ব্লগিং শিখতে গিয়ে পন্ডিতজীর পাল্লায় পরে ব্লগিং পারেনা করতে করতে সব শিখে যাবে
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৮
শায়মা বলেছেন: হা হা না আসলেই ফান না। রাইটিং শেখানোর আগে প্রি রাইটিং শিখাতে হয় । নানা রকম লাইনস। এটা না করে আমরা ডাইরেক্ট রাইটিং এ চলে যাই অনেকেই। এটা কঠিন হয়ে যায় বাচ্চাদের জন্য।
তবে হ্যাঁ একবার এক মা আমাকে বড়ই উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন দিলো।
মিস আমার মেয়ে কিছুতেই বি লিখতে পারছে না।
আমি বললাম, পারছে না?
উনি - না না কিছুতেই পারছে না।
বলতে গেলে কেঁদেই ফেলেন টেনশনে। আমার এমন রাগ লাগছিলো। যাইহোক রাগ চেপে বললাম।
- আচ্ছা আপনি জীবনে কোনোদিন কাউকে দেখেছেন আপনার ফ্যামিলীতে যে বি লিখতে পারে না? যারা পড়ালেখা জানে না বা করেনি তাদের কথা বলছি না। যারা করেছে তারা কেউ পারে না দেখেছেন?
মা বলে না দেখিনি।
আমি বললাম তাহলে টেনশন নিয়েন না। প্রাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট। রোজ একটু করে প্রাকটিস করান। না পারলে ওরে বাবারে পারলি না কেনো রে করে বাচ্চাকেও ভয় পাইয়ে দিয়েন না। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম দুই দিনের বেশি লাগবে না।
২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৪
অধীতি বলেছেন: পড়েই তো মাথা ছিড়তে ইচ্ছে করতেছে। যাক কানটা বেঁচে গেছে, নয়ত চিলের পেছন ছুটতে ছুটতে অবস্থা খারাপ হত। এত ক্যামনে সামলানো পসিবল। আমার একটা ছাত্র আছে। বাসায় গেলে আগে সারাদিন কি কি করছে সব বলবে, তারপর বলবে মাস্ক খুলতে। ওর বাসায় নাকি করোনা নাই। আপনার যায়গায় আমি হলে অজ্ঞান হতাম।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৯
শায়মা বলেছেন: হা হা আমরা রোজ অজ্ঞান হই আবার তারপর জ্ঞান ফিরিয়ে বাসায় আসি।
হা হা আসলেই কিন্তু।
ইদানিং করোনা আফটার এফেক্টে জ্ঞান বেশি হারাচ্ছে।
২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১১
জটিল ভাই বলেছেন:
বাচ্চাদের গাইড করার আপনার প্রতিটা বিষয়কেই আমি এপ্রিসিয়েট করি। জ্যাকেল ভাইয়ের সঙ্গে একটা বুড়া বাচ্চা নিয়ে মজা করলাম যাকে আপনিও চিনেন।
বাচ্চা পড়ানো জানি অনেক কঠিন বিষয়। তবে আপনার টেকনিকগুলো সত্যি দারুণ ও সৃজনশীল। তবে একটা বিষয় কি, আপনি যে বললেন শিক্ষিতজন একদিন পারবেই এটা আল্লাহ্ প্রদত্ত বলে মানি। নয়তো আমাদের এতো অনুন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যদিয়েও প্রত্যন্ত অঞ্চলের এরা আগাতে পারতো না। অনেকে হ্যান্ড রাইটিং দেখে বাঁধিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে। যদিও টাইপের যুগে এখন এর আবেদন হারিয়ে যাচ্ছে
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৫১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ হ্যান্ড রাইটিং কে আর তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
কিন্তু আমার নিজের মতে যারা পড়ালেখায় ভালো বা পড়ালেখা ভালোবাসে তারা হ্যান্ড রাইটিং এও সচেতন হয়।
তবে মনে হয় না হ্যান্ড রাইটিং বেশি দিন টিকবে।
হ্যান্ড রাইটিং এর চেয়েও টাইপ রাইটিং এগিয়ে যাচ্ছে।
২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫৯
জগতারন বলেছেন:
মৌলিক ব্লগ লিখা ও ব্লগার ছিলেন জ্বনাব চাঁদ গাজী।
সামু কতৃপক্ষকে জানাইতে চাই;
ব্লগে ঝগড়া-ঝাটি, তক্ক-বিতক্ক, বাক-বিতন্ডা থাকবে, চলবে.....
থাকিলেও কাহারও গলা টিপিয়া ধরিয়া মারিয়া ফেলা অসমচিন মনেকরি।
তাই দয়া করিয়া জ্বনাব চাঁদ গাজী সাহেবের নিকটি ফিরাইয়া দেবার আকুল অনুরোধ করিতেছি।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।
শায়মা 'দি আপনি দয়া করে সামু কতৃপক্ষ'দের একটু অনুরোধ করিয়া বলেন,
যদি তাহার আপনার কথা রাখেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৫২
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা বলবো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৪৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই পোস্টের ২৬ নং কমেন্টে আমাদের মডারেটর ভাইয়া কাল্পনিক ভালোবাসার কমেন্টটা ভালো করে মন দিয়ে পড়ো।
আপনি কি ভূষি মালের ব্যাবসা করবেন না পোল্ট্রি ফিডের ডিলারশিপ নিবেন?
২৬. ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি বলতে সামগ্রিক ঘটনা খুবই বিরক্তিকর। এই বিষয়ে সত্যি বলতে কোন ব্যাখ্যা দিতে ইচ্ছে করছে না। তারপরও আপনার যৌক্তিক পোস্টটি আমার পছন্দ হওয়াতে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে আসলাম।
কপি পেষ্ট করা অবশ্যই অন্যায়, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আমরা এই সকল জিনিসকে উৎসাহ দিতে পারি না।
ব্লগার রাজীব নূর এবং চাঁদগাজী উভয়ই ভালো ব্লগার কি মন্দ ব্লগার আমি সেই বিচারে যাবো না, তবে ব্লগার হিসাবে তাঁরা উভয়ই ব্লগকে সম্মান দেখাতে পারেন নি। ব্লগ টিম তাদেরকে বার বার সর্তক করা স্বত্তেও তারা নিজেদেরকে সংশোধন করেন নি।
রাজীব নূর কপি পেষ্ট করেন - কোন সন্দেহ নেই। যিনি কপি পেষ্ট করবে তার ব্যাপারে অভিযোগ করা আপনার দায়িত্ব। আমাদের চোখে পড়লে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করি বা অন্য কেউ আমাদেরকে জানালে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করি। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে এই যে রাজীব নূর লেখা কপি পেষ্ট করেন সেটার ব্যাপারে কবে থেকে "সবাই" সোচ্চার?
সহজ উত্তর হচ্ছে - ব্লগার চাঁদগাজীর পক্ষ হয়ে অতিরিক্ত সাফাই গাইবার পর "সবাই" তার এই লেখা চুরির ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। তাহলে কি এর আগে তিনি লেখা কপিপেষ্ট করতেন না? অর্থাৎ অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ করতেন না?
আমি জানি না। তবে ধারনা করা যায় হয়ত করতেন।
এবার আসুন ব্লগার চাঁদগাজীর ব্যাপারে। প্রথমে উনার কিছু ভালো দিক বলিঃ
তাঁর লেখার হাত বেশ ভালো। তাঁর যাপিত জীবন, স্মৃতিচারন বা সুক্ষ কৌতুকবোধ সম্পন্ন যে কোন লেখা পাঠক প্রিয়তা পায়। মাঝে মাঝে তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষনও ভালো করেন। সবচেয়ে বড় কথা - তিনি এমন অনেক লেখার কঠোর সমালোচনা করেন যা আমরা অনেক সময় চক্ষু লজ্জায় করতে পারি না। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তিরস্কার হলো - প্রশ্নফাঁস জেনারেশন। ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে এটা আসলে ব্যক্তি আক্রমন না। এটা এক ধরনের তিরস্কার!
উনি ব্লগারদের প্রতি মানবিক। তাঁর প্রতি ঘৃণা পোষন করে বা কট্টর সমালোচনাকারীদের কেউ কেউ কোন কারনে ব্লগে না থাকলে তিনি মেইল করে খোঁজ খবর নেন, জানতে চান, তাদের ব্যাপারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধু একবারই তাঁকে জনৈক ব্লগারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখেছি।
এবার আসি তাঁর খারাপ দিক সম্পর্কেঃ
তিনি অনেক সময় ক্ষেপে গিয়ে বা ব্যক্তিগত তরল অবস্থায় অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় সমালোচনা করেন যা মূলত ভয়াবহ ব্যক্তি আক্রমন। তিনি মনে করেন, তিনি যাকে যা ইচ্ছে যেভাবে খুশি বলতে পারেন। এটাই ব্লগিং বা বাকস্বাধীনতা। তিনি অন্যের বিপরীত চিন্তার মনভাবকে সহজে গ্রহন করতে চান না। তিনি অন্যকে অহেতুক রাগিয়ে তার সাথে অন্যায় রসিকতা করার চেষ্টা করেন। সবাই এই ধরনের রসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।
সবচেয়ে বড় খারাপ দিক - ব্লগের নীতিমালার প্রতি তাঁর নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। থাকলে তিনি অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন করা থেকে ব্যহত থাকতেন এবং নিজেকে শুধরে নিতেন। তিনি নিজেকে অপরিবর্তনশীল রেখে মূলত ব্লগটিমকে বুঝিয়েছেন - পারলে আমার কিছু করে দেখাও।
ফলে ব্লগ টিম তাঁকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। তাঁর চাঁদগাজী নিকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ব্লগে যখন অনেকেই পিঠ থাপড়াথাপড়ি ব্লগিং করে অভ্যস্ত তখন চাঁদগাজীর সমালোচনা অনেককে বিরক্ত করেছে। এর থেকে পরিত্রানের রাস্তা ব্লগার চাঁদগাজী নিজেই বাতলে দিয়েছেন - অযাচিত অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন মূলক সমালোচনা করে। যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। সম্মানিত অনেক ব্লগারদেরকে তিনি অন্যায়ভাবে নাজেহাল করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্লগারদের একটা অংশ ক্ষেপে যায়, এতে যুক্ত হয় আরো অনেকেই। শুরু হয় নানা ধরনের বিক্ষোভ, স্যাটায়ার, 'রম্যের' মাধ্যমে প্রতিবাদ। রম্যকে মার্ক করে দিলাম কারন ইদানিং ব্লগে যা রম্য হিসাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে - সেটা নিয়ে কথা বলাটাই একটা সেরা রম্য বা কৌতুক। এমনকি ব্যক্তি আমি পর্যন্ত অনেকের চক্ষুশূল হয়েছি। কিছু ব্লগাররা তো পারলে আমার কোর্ট মার্শাল করেন। আমি এখানে জেন্ডার আর আলাদা করে ভাগ করছি না। অথচ আমরা দায়িত্বের বাইরে কোন কিছুই করি নাই।
যাক ধান ভানতে শীবের গীত গাইলাম। রাজীব নূরের কপি পেষ্ট নিয়ে যেভাবে আলাদা করে পোস্ট এসেছে সেটা শতভাগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং একটি নির্দিষ্ট মানুষ কেন্দ্রিক। নইলে ব্লগে প্রতিনিয়ত যারা কপি পেষ্ট করে চলছে তাদের ব্যাপারে এত সচেতন কাউকে কেন আমরা কোন প্রতিবাদ করতে দেখি নাই?
লেখা চুরি দেখলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে, জানাতে হবে। কেউ ইগনোর করলে পোস্ট দিতে হবে। কিন্তু সেটা যখন শুধু একজনের ক্ষেত্রেই আপনি করবেন, তখন আপনার নৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং এটাই স্বাভাবিক।
আর আমার বিরক্তিটা এখানেই। এই ব্যক্তিগত রেষারেষিটা ব্লগে প্রভাব বিস্তার করছে। আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি - অনেক ব্লগার অসম্পূর্ন অহেতুক কারনে রম্য বা স্যাটায়ার দিয়ে অন্যকে খোঁচান। যাকে খোঁচানো হয় যে যখন এর বিরুদ্ধে কিছু করে বা বলে - তখন অনেকেই পোস্ট দিয়ে বা অন্যকে ডেকে বলে - দেখেন! কি করতেছে! কি অবস্থা!! এর ব্যান চাই!!
ব্লগে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় আমি দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগে আছি সেই ব্লগের প্রায় সেই শুরুর সময় থেকে। কে কোন গান গায়, আমরা সেটার তাল বহু আগে থেকেই ধরতে পারি। আমি আশা করব, সকলেই নিজের ম্যাচিউরিটিকে উন্নত করবেন।
ব্লগার আর ইউ লেখা চুরির বিরুদ্ধে বলছেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। যেহেতু রাজীবনূর কে নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে এখন তিনি অন্য ব্লগার যারা নিয়মিত কপি পেষ্ট করছে তাদের ব্যাপারে সজাগ হবেন।
নইলে এই প্রতিবাদের কোন মুল্য থাকবে না। সেটা হবে এক বালতি দুধের মধ্যে, এক ফোঁটা চনার মত।
এরপরেও কি আমার তাদেরকে অনুরোধ করা ঠিক হবে বলো?
২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:১৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্লগার জগতারন আপনাকে যেই অনুরোধটা করেছেন, আমি জগতারন সাহেবের প্রতি সন্মান রেখে আপনাকে বলবো, এই ধরণের কোন কিছু আপনি করবেন না। ব্লগার জগতারন ও আরো অনেক বাংগালী আমেরিকা ও কানাডায় থাকার ফলে, নিজেদের অজান্তে একটুখানি বদলে গেছেন। আমি আমেরিকা ও ইউরোপে থাকলেও সমপরিমাণ সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম; দেশের মানুষকে একটু সঠিকভাবে বুঝতে পারি।
চাঁদগাজীকে কেন ব্যান করা হয়েছে, সেটা সামুটিম জানে। সামুটিম থেকে ঘোলাটে কিছু ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে; কিন্তু সেগুলো আসল কারণ নয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৩৬
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া। করবো না।
তবে তোমার ভাষ্যমতে সামুটিমের ঘোলাটে ব্যাখ্যার মাঝে দুটি কথা খুব স্পষ্ট মনে হয়েছে আমার-
ব্লগার রাজীব নূর এবং চাঁদগাজী উভয়ই ভালো ব্লগার কি মন্দ ব্লগার আমি সেই বিচারে যাবো না, তবে ব্লগার হিসাবে তাঁরা উভয়ই ব্লগকে সম্মান দেখাতে পারেন নি। ব্লগ টিম তাদেরকে বার বার সর্তক করা স্বত্তেও তারা নিজেদেরকে সংশোধন করেন নি।
এটি একটি
সবচেয়ে বড় খারাপ দিক - ব্লগের নীতিমালার প্রতি তাঁর নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। থাকলে তিনি অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন করা থেকে ব্যহত থাকতেন এবং নিজেকে শুধরে নিতেন। তিনি নিজেকে অপরিবর্তনশীল রেখে মূলত ব্লগটিমকে বুঝিয়েছেন - পারলে আমার কিছু করে দেখাও।
এটি আরেকটি।
ফলে ব্লগ টিম তাঁকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। তাঁর চাঁদগাজী নিকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কাজেই মডারেটর ভাইয়ার এই স্পষ্ট বক্তব্যের পরে বুঝাই যাচ্ছে এই রকম কোনো অনুরোধ করে আসলে আর কোনো কাজ হবে না বরং এই ধরনের কাজ করলে একে অন্যের প্রতি এবং সামু টিমের নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে যেই নিকই এমন সব কাজ করবে সামুটিম তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
রাজীব নুর ভাইয়ার অবস্থা তো চরম খারাপ পর্যায়ে চলে গেছিলো। তার প্রতি আঙ্গুল তাক করা মানুষের প্রশ্নের সঠিক জবাব না দিয়ে উল্টা পাল্টা আজে বাজে গালাগালি করে পোস্ট দিয়ে অস্থির হয়ে পড়েছিলো।
এই সুস্পষ্ট উদাহরনগুলি দেখার পরেও আরও দু একজন আবোল তাবোল বলেই যাচ্ছে। অযথা আজে বাজে কাব্য রচনা করে আকারে ইঙ্গিতে সামু ব্লগের মানুষগুলোকে কুকুর বিড়াল শিয়াল বানিয়ে মনে মনে মজা পাচ্ছে।
আকারে ইঙ্গিতে করুক যতদিন ইচ্ছা কিন্তু তাতেও পাত্তা না পেয়ে রাজীব ভাইয়া বা চাঁদগাজী ভাইয়ার মত বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেললে হয়ত তাদের অবস্থাও একই হবে।
২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: দুই বছর আগে আমাদের নাতনী স্কুলে ভর্তি হয়ে এ মাস থেকে স্কুলে যাচ্ছে- সপ্তাহে দুই দিন। স্কুল নিয়ে তার সে কী মহা উচ্ছাশ! তোমার লেখায় সেই উচ্ছাশের আছ পাচ্ছি। চমতকার লিখেছ। শুভ কামনা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া দুই বছর ঘরে বন্দী থেকে স্কুলে ফিরে আসা বাচ্চাদের উচ্ছাসের জোয়ারে তো ভেসে গেলাম!!!
সেই নিয়েই তো এ লেখা !!!
২৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিচ্ছু বাচ্চাদের কেমনে পড়াও হাহাহাহাহা
এত দুষ্টু এখনকার বাচ্চা কাচ্চা।
স্কুরে পড়ানো অনেক কঠিন কাজ। ধৈর্য থাকতে হয় প্রচুর। আমি কয়েক বছর কিন্ডার গার্টেন এর বাচ্চাদের পড়াইছি। কণ্ঠের অবস্থা গুরুচরণ
আপু তুমি সর্বেগুণে গুনান্বিত মেয়ে। তোমার দ্বারা সব সম্ভব। তোমার ধৈর্য প্রচুর, তোমার সৃজনশীলতা আকাশচুম্বী মাশাআল্লাহ। আল্লাহ তোমাকে নেক হায়াত দান করুন
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ!!!
আমার গলাও বসে যায়।
২৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লেখাটি পড়ে বেশ মজা পেলাম। অনেক কষ্ট করে তথ্য সমৃদ্ধ লেখা্। যাইহোক আপনার কান যে শেষপর্যন্ত রক্ষা পেয়েছে তাতে শুকরিয়া আদায় করা দরকার।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা কান রক্ষা পেয়েছে বটে তবে এখন সামুতেই কান নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে ভাইয়া।
২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বয়স দিন দিন কমার কারণটা এবার বুঝতে পারলাম। বাচ্চাদের সাথে থাকার জন্য বয়স বাড়তে পাড়ছে না।
এই বয়সের অনেক বাচ্চা বেশ দুষ্ট হয়। আমি যখন ক্লাস নাইনে তখন আমাদের প্রতিবেশী একজোড়া জমজ ছেলে ছিল। ওদের বয়স তখন ৪ বছরের মত হবে। মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসত। একদিন বাসায় আসার পর বুয়াকে বলে ওদের কিছু নাস্তা খাওয়ালাম ( বাসায় বড় আর কেউ ছিল না)। তারপর ওদেরকে নিজেদের মত খেলতে দিয়ে নিজের কাজে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমার ছোট ভাই হঠাৎ দৌড়ে এসে আমাকে বলল যে দেখে যাও ওরা কি করছে। গিয়ে দেখি ওরা আমাদের বাসায় রাখা একটা পুরানো গাড়ির চাক্কা ঠেলতে ঠেলতে তিন তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামাচ্ছে ওদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাগ্যিস গাড়িটাকেই ওদের বাড়ি নিয়ে যাইনি ঠেলতে ঠেলতে!!
যাইহোক এই কথা সত্যি ভাইয়া। রোজ তাদের কান্ড কারখানায় এত্ত হাসি!!! আর অবাধ্য পাঁজি বাচ্চাগুলোকে ছলে বলে বশীভূত করার পর বড়ই আনন্দের হাসি হাসি আমি।
আর তাই সেই আনন্দে বয়স আমার বাড়ে না.......
৩০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩১
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বাচ্চা-কাচ্চা সামলানো বিরাট ঝামেলা।বাচ্চাদের দূর থেকে দেখতেই ভাল লাগে,বিশেষ করে অন্যের বাচ্চা।আপনি খুব ক্রিটিকাল একটা কাজ করেন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৬
শায়মা বলেছেন: হাহা সে কথা আর বলতে!
সামলাই বটে তবে কয়েক ঘন্টা।
২৪ ঘন্টার মা বাবার কথা চিন্তা করে দেখো।
৩১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ভাল লেগেছে আপু। প্রিয়তে নিলাম। মাঝে মাঝে পড়বো।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৭
শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া, তবে এমন গল্প বলে শেষ করার নহে।
৩২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা মজার তো....বাচ্চারা সত্যিই আপনার কান ধরে টানাটানি করেছে নাকি?
করোনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেলো.....এখন তা থেকে ভালো কিছু শিখলেই হয়।
অফটপিক: ব্লগে কপিপেস্ট নিয়ে অনেক লেখা দেখছি.....বিরাট মারাপিটা হয়েছে মনে হচ্ছে। মিস করলুম কী? শহীদ কয়জন? আর গাজীই বা কয়জন? লিংক টিংক থাকলে দিন। দেখি লেখাচোরদের বদনখানী। অতীতে আমি, কলাবাগান ভাইজান এ নিয়ে কাউকে কাউকে সবকও দিয়েছিলুম।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৭
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আসলেই করোনা আমাদেরকে নতুন করে অনেক কিছুই শিখাচ্ছে।
হ্যাঁ অনেক কিছুই........ সংক্ষেপে বলি-
১। চাঁদগাজী ভাইয়া ব্যান খেয়েছে সে সম্পর্কে গড়ল ভাইয়ার পোস্টে মডুভাইয়ার কমেন্টখানা পড়তে পারো।
ভাইয়া এই পোস্টের ২৬ নং কমেন্টে আমাদের মডারেটর ভাইয়া কাল্পনিক ভালোবাসার কমেন্টটা ভালো করে মন দিয়ে পড়ো।
আপনি কি ভূষি মালের ব্যাবসা করবেন না পোল্ট্রি ফিডের ডিলারশিপ নিবেন?
২৬. ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি বলতে সামগ্রিক ঘটনা খুবই বিরক্তিকর। এই বিষয়ে সত্যি বলতে কোন ব্যাখ্যা দিতে ইচ্ছে করছে না। তারপরও আপনার যৌক্তিক পোস্টটি আমার পছন্দ হওয়াতে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে আসলাম।
কপি পেষ্ট করা অবশ্যই অন্যায়, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আমরা এই সকল জিনিসকে উৎসাহ দিতে পারি না।
ব্লগার রাজীব নূর এবং চাঁদগাজী উভয়ই ভালো ব্লগার কি মন্দ ব্লগার আমি সেই বিচারে যাবো না, তবে ব্লগার হিসাবে তাঁরা উভয়ই ব্লগকে সম্মান দেখাতে পারেন নি। ব্লগ টিম তাদেরকে বার বার সর্তক করা স্বত্তেও তারা নিজেদেরকে সংশোধন করেন নি।
রাজীব নূর কপি পেষ্ট করেন - কোন সন্দেহ নেই। যিনি কপি পেষ্ট করবে তার ব্যাপারে অভিযোগ করা আপনার দায়িত্ব। আমাদের চোখে পড়লে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করি বা অন্য কেউ আমাদেরকে জানালে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করি। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে এই যে রাজীব নূর লেখা কপি পেষ্ট করেন সেটার ব্যাপারে কবে থেকে "সবাই" সোচ্চার?
সহজ উত্তর হচ্ছে - ব্লগার চাঁদগাজীর পক্ষ হয়ে অতিরিক্ত সাফাই গাইবার পর "সবাই" তার এই লেখা চুরির ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। তাহলে কি এর আগে তিনি লেখা কপিপেষ্ট করতেন না? অর্থাৎ অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ করতেন না?
আমি জানি না। তবে ধারনা করা যায় হয়ত করতেন।
এবার আসুন ব্লগার চাঁদগাজীর ব্যাপারে। প্রথমে উনার কিছু ভালো দিক বলিঃ
তাঁর লেখার হাত বেশ ভালো। তাঁর যাপিত জীবন, স্মৃতিচারন বা সুক্ষ কৌতুকবোধ সম্পন্ন যে কোন লেখা পাঠক প্রিয়তা পায়। মাঝে মাঝে তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষনও ভালো করেন। সবচেয়ে বড় কথা - তিনি এমন অনেক লেখার কঠোর সমালোচনা করেন যা আমরা অনেক সময় চক্ষু লজ্জায় করতে পারি না। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তিরস্কার হলো - প্রশ্নফাঁস জেনারেশন। ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে এটা আসলে ব্যক্তি আক্রমন না। এটা এক ধরনের তিরস্কার!
উনি ব্লগারদের প্রতি মানবিক। তাঁর প্রতি ঘৃণা পোষন করে বা কট্টর সমালোচনাকারীদের কেউ কেউ কোন কারনে ব্লগে না থাকলে তিনি মেইল করে খোঁজ খবর নেন, জানতে চান, তাদের ব্যাপারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধু একবারই তাঁকে জনৈক ব্লগারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখেছি।
এবার আসি তাঁর খারাপ দিক সম্পর্কেঃ
তিনি অনেক সময় ক্ষেপে গিয়ে বা ব্যক্তিগত তরল অবস্থায় অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় সমালোচনা করেন যা মূলত ভয়াবহ ব্যক্তি আক্রমন। তিনি মনে করেন, তিনি যাকে যা ইচ্ছে যেভাবে খুশি বলতে পারেন। এটাই ব্লগিং বা বাকস্বাধীনতা। তিনি অন্যের বিপরীত চিন্তার মনভাবকে সহজে গ্রহন করতে চান না। তিনি অন্যকে অহেতুক রাগিয়ে তার সাথে অন্যায় রসিকতা করার চেষ্টা করেন। সবাই এই ধরনের রসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।
সবচেয়ে বড় খারাপ দিক - ব্লগের নীতিমালার প্রতি তাঁর নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। থাকলে তিনি অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন করা থেকে ব্যহত থাকতেন এবং নিজেকে শুধরে নিতেন। তিনি নিজেকে অপরিবর্তনশীল রেখে মূলত ব্লগটিমকে বুঝিয়েছেন - পারলে আমার কিছু করে দেখাও।
ফলে ব্লগ টিম তাঁকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। তাঁর চাঁদগাজী নিকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ব্লগে যখন অনেকেই পিঠ থাপড়াথাপড়ি ব্লগিং করে অভ্যস্ত তখন চাঁদগাজীর সমালোচনা অনেককে বিরক্ত করেছে। এর থেকে পরিত্রানের রাস্তা ব্লগার চাঁদগাজী নিজেই বাতলে দিয়েছেন - অযাচিত অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন মূলক সমালোচনা করে। যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। সম্মানিত অনেক ব্লগারদেরকে তিনি অন্যায়ভাবে নাজেহাল করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্লগারদের একটা অংশ ক্ষেপে যায়, এতে যুক্ত হয় আরো অনেকেই। শুরু হয় নানা ধরনের বিক্ষোভ, স্যাটায়ার, 'রম্যের' মাধ্যমে প্রতিবাদ। রম্যকে মার্ক করে দিলাম কারন ইদানিং ব্লগে যা রম্য হিসাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে - সেটা নিয়ে কথা বলাটাই একটা সেরা রম্য বা কৌতুক। এমনকি ব্যক্তি আমি পর্যন্ত অনেকের চক্ষুশূল হয়েছি। কিছু ব্লগাররা তো পারলে আমার কোর্ট মার্শাল করেন। আমি এখানে জেন্ডার আর আলাদা করে ভাগ করছি না। অথচ আমরা দায়িত্বের বাইরে কোন কিছুই করি নাই।
যাক ধান ভানতে শীবের গীত গাইলাম। রাজীব নূরের কপি পেষ্ট নিয়ে যেভাবে আলাদা করে পোস্ট এসেছে সেটা শতভাগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং একটি নির্দিষ্ট মানুষ কেন্দ্রিক। নইলে ব্লগে প্রতিনিয়ত যারা কপি পেষ্ট করে চলছে তাদের ব্যাপারে এত সচেতন কাউকে কেন আমরা কোন প্রতিবাদ করতে দেখি নাই?
লেখা চুরি দেখলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে, জানাতে হবে। কেউ ইগনোর করলে পোস্ট দিতে হবে। কিন্তু সেটা যখন শুধু একজনের ক্ষেত্রেই আপনি করবেন, তখন আপনার নৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং এটাই স্বাভাবিক।
আর আমার বিরক্তিটা এখানেই। এই ব্যক্তিগত রেষারেষিটা ব্লগে প্রভাব বিস্তার করছে। আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি - অনেক ব্লগার অসম্পূর্ন অহেতুক কারনে রম্য বা স্যাটায়ার দিয়ে অন্যকে খোঁচান। যাকে খোঁচানো হয় যে যখন এর বিরুদ্ধে কিছু করে বা বলে - তখন অনেকেই পোস্ট দিয়ে বা অন্যকে ডেকে বলে - দেখেন! কি করতেছে! কি অবস্থা!! এর ব্যান চাই!!
ব্লগে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় আমি দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগে আছি সেই ব্লগের প্রায় সেই শুরুর সময় থেকে। কে কোন গান গায়, আমরা সেটার তাল বহু আগে থেকেই ধরতে পারি। আমি আশা করব, সকলেই নিজের ম্যাচিউরিটিকে উন্নত করবেন।
ব্লগার আর ইউ লেখা চুরির বিরুদ্ধে বলছেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। যেহেতু রাজীবনূর কে নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে এখন তিনি অন্য ব্লগার যারা নিয়মিত কপি পেষ্ট করছে তাদের ব্যাপারে সজাগ হবেন।
নইলে এই প্রতিবাদের কোন মুল্য থাকবে না। সেটা হবে এক বালতি দুধের মধ্যে, এক ফোঁটা চনার মত।
এরপরেও কি আমার তাদেরকে অনুরোধ করা ঠিক হবে বলো?
কষ্ট করে লিংকে যাও।
২। মডু ভাইয়ার এই কথায় আবার চাঁদগাজী ভাইয়ার নতুন নিক সোনাগাজী ভাইয়ার দ্বিমত। ভাইয়া ভাবে মডু ভাইয়া ঠিক ঠাক বলছে না ব্লগারদেরকে চাঁদগাজী ভাইয়ার ব্যান খাবার কারণ।
তা এত তুচ্ছ না বড় কোনো কারণের আভাস দিচ্ছে ভাইয়া।
২৫. ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:১৮০
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্লগার জগতারন আপনাকে যেই অনুরোধটা করেছেন, আমি জগতারন সাহেবের প্রতি সন্মান রেখে আপনাকে বলবো, এই ধরণের কোন কিছু আপনি করবেন না। ব্লগার জগতারন ও আরো অনেক বাংগালী আমেরিকা ও কানাডায় থাকার ফলে, নিজেদের অজান্তে একটুখানি বদলে গেছেন। আমি আমেরিকা ও ইউরোপে থাকলেও সমপরিমাণ সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম; দেশের মানুষকে একটু সঠিকভাবে বুঝতে পারি।
চাঁদগাজীকে কেন ব্যান করা হয়েছে, সেটা সামুটিম জানে। সামুটিম থেকে ঘোলাটে কিছু ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে; কিন্তু সেগুলো আসল কারণ নয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৩৬১
লেখক বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া। করবো না।
তবে তোমার ভাষ্যমতে সামুটিমের ঘোলাটে ব্যাখ্যার মাঝে দুটি কথা খুব স্পষ্ট মনে হয়েছে আমার-
ব্লগার রাজীব নূর এবং চাঁদগাজী উভয়ই ভালো ব্লগার কি মন্দ ব্লগার আমি সেই বিচারে যাবো না, তবে ব্লগার হিসাবে তাঁরা উভয়ই ব্লগকে সম্মান দেখাতে পারেন নি। ব্লগ টিম তাদেরকে বার বার সর্তক করা স্বত্তেও তারা নিজেদেরকে সংশোধন করেন নি।
এটি একটি
সবচেয়ে বড় খারাপ দিক - ব্লগের নীতিমালার প্রতি তাঁর নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। থাকলে তিনি অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন করা থেকে ব্যহত থাকতেন এবং নিজেকে শুধরে নিতেন। তিনি নিজেকে অপরিবর্তনশীল রেখে মূলত ব্লগটিমকে বুঝিয়েছেন - পারলে আমার কিছু করে দেখাও।
এটি আরেকটি।
ফলে ব্লগ টিম তাঁকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। তাঁর চাঁদগাজী নিকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কাজেই মডারেটর ভাইয়ার এই স্পষ্ট বক্তব্যের পরে বুঝাই যাচ্ছে এই রকম কোনো অনুরোধ করে আসলে আর কোনো কাজ হবে না বরং এই ধরনের কাজ করলে একে অন্যের প্রতি এবং সামু টিমের নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে যেই নিকই এমন সব কাজ করবে সামুটিম তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
রাজীব নুর ভাইয়ার অবস্থা তো চরম খারাপ পর্যায়ে চলে গেছিলো। তার প্রতি আঙ্গুল তাক করা মানুষের প্রশ্নের সঠিক জবাব না দিয়ে উল্টা পাল্টা আজে বাজে গালাগালি করে পোস্ট দিয়ে অস্থির হয়ে পড়েছিলো।
এই সুস্পষ্ট উদাহরনগুলি দেখার পরেও আরও দু একজন আবোল তাবোল বলেই যাচ্ছে। অযথা আজে বাজে কাব্য রচনা করে আকারে ইঙ্গিতে সামু ব্লগের মানুষগুলোকে কুকুর বিড়াল শিয়াল বানিয়ে মনে মনে মজা পাচ্ছে।
আকারে ইঙ্গিতে করুক যতদিন ইচ্ছা কিন্তু তাতেও পাত্তা না পেয়ে রাজীব ভাইয়া বা চাঁদগাজী ভাইয়ার মত বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেললে হয়ত তাদের অবস্থাও একই হবে।
৩। তো ভাইয়ার ব্যান খাওয়া নিয়ে রাজীব নূর ভাইয়া সোচ্চার হয়ে উঠলো সবার নামে যাতা পোস্ট শুরু করলো। কিছুটা এমন চাঁদগাজী ভাইয়া ছাড়া এই ব্লগের সব ব্লগার কিন্টার গার্টেন এর বাচ্চা কাচ্চা। সাথে আবার সাথ দিলো নুরু ভাই সত্য পথিক শ্য ভাইয়া।
উফ একটু থামি আবার আসছি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
শায়মা বলেছেন: ৪। এই রাজীব ভাইয়ার সাথে আবার নুরুভাইয়া কেনো যেন খেপে উঠলো যে চাঁদগাজী ভাইয়ার মত জ্ঞানী গুনীর কদর নাই এখহন এই ব্লগের সব গাধা গরুদেরকে কি করা যায় ভেবেই না পেয়ে নুরু ভাইয়া সেই ইতং বিতং তিতং কবিতা দিয়ে একের পর এক ঘায়েল করে চললো।
৫। হঠাৎ দেখি রাজীবন নূর ভাইয়ার উপরে সেই পুরান আণজাম নিয়ে হাজির আর ইউ ভাইয়া। এইবার রাজীব ভাইয়া শুধু পোস্ট না আস্ত আস্ত কমেন্ট নাকি অন্যদের থেকে চুরি করে এনে এনে বসিয়ে দিয়েছে এখানে শেখানে
৬। এই নিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলো। চাঁদগাজী ভাইয়া সোনাগাজী নিকে এসে বললও ঐ মিয়া আপনার ব্লগ পরিসংখ্যান ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
হা হা হা দাঁড়াও হেসে নেই। আবার আসছি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
শায়মা বলেছেন: ৭। এরপর আবার অপু ভাইয়া পোস্ট দিলো লেখাচুরি নিয়ে।
৮। মডুভাইয়া আবার বললো এত যখন পোস্ট দেওয়া দাও দেখি কালকের মধ্যে রাজীব নূর লেখা চুরি ছাড়া আরও সকলের নাম।
৯। ব্যাস কেঁচো খুড়তে বড় বড় সাপ বের হতে লাগলো।
১০। আর সেই সব সাপ দেখে ভয় না পেয়ে গোফরান ভাইয়া নুরু ভাইয়া আবদুক হাক ভাইয়া মাঝে মাঝে একটু একটু সোনাগাজী ভাইয়া সত্য পথিক ভাইয়া সেই সব সাপ নিয়ে সাপের খেলা খেলতে লাগলো এবং রাজীব নুর ভাইয়ার কপি পেস্টে অন্ধ সমরথন করতে লাগলো। ও কামরুজ্জামান ভাইয়ামনিও মেতে গেলো তার সাথে। কি বিপদ।
এর মাঝে আবার গড়লভাইয়াও জড়ায় গেলো।
হা হা হা ওকে এইবার যাই এক এক করে লিঙ্ক আনি।
ঐতিহাসিক লিঙ্ক। আমার ঈদের ছুটি আর শপিং শেষ আমি আছি। হি হি
এই সব কমেন্ট পড়ে কেউ আমাকে মাইর দিতে আসলে আমি কিন্তু নাই কইলাম।
আমি আমার মত করেই বুঝে লিখেছি।
এত কপি পেস্ট শুনতে শুনতে কপি পেস্ট ভুলে গেছি।
৩৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
শায়মা বলেছেন: Click This Link Click This Link
https://www.somewhereinblog.net/blog/bd12sh19K/30334953
https://www.somewhereinblog.net/blog/nurubrl
https://www.somewhereinblog.net/blog/kobiabdulblog/30334916
https://www.somewhereinblog.net/blog/sonagaji/30334934
https://www.somewhereinblog.net/blog/gofrancu
এই সেই বিখ্যাত পোস্ট যা থেকে শুরু হলো আন্দোলন কপি পেস্ট নিপাত যাও।
https://www.somewhereinblog.net/blog/RrUu/30334662
তারপরবর্তী অপু ভাইয়ার পোস্ট
https://www.somewhereinblog.net/blog/opuroni/30334796
তারপরবর্তী কেঁচো খুড়তে বড় বড় সাপ বের হওয়া পোস্ট
https://www.somewhereinblog.net/blog/opuroni/30334873
৩৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: ওরেব্বাস.....আমার মাথা আউলায়ে গেছে....
রাজীব নুর ভাই এ জীবনে আর শোধরাবে না মনে হচ্ছে। আমাকেও বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এ জাতীয় কাজ উনি আর করবেন না। অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া যে একটি গর্হিত কাজ, ঘৃণিত কাজ উনি কেন যেন বুঝতে চান না। কিংবা বুঝলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে মানতে চান না। হয়ত দীর্ঘদিনের অভ্যাস যা মানসিক সমস্যায় পর্যবসিত হয়েছে ফলে সহজে ছাড়তে পারছেন না। আশা করি উনি উনার ভুল বুঝতে পারবেন।
তবে অনেকেই দেখছি অন্যের লেখা কপি-পেস্ট করে নিজের নামে চালানোকে খারাপভাবে দেখছেন না। বিস্মিত হলাম। হয়ত এনারা কখনও প্লেইঝারিজম বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা জানেন না। না হলে, কখনই এ পঙ্কিল জিনিস সমর্থন করার কথা না।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৫
শায়মা বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহহাহা
ভাইয়া এতক্ষন পর এসে আমার নিজের কমেন্ট উত্তর দেখে নিজেরই মাথা আউলাই গেছে।
মাঝে মাঝে আমার মাথায় ভূত চাপে। এক্কেরেি পাগলা ভূত।
আমি এখন পাগলা ভূত ম্যুডে আছি। ভূত আমাকে যা বলবে আমি তাই করবো!!! হি হি হি হি
দেখো ভাইয়া রাজীব ভাইয়াকে তো আর আজ থেকে চিনিনা? বহু দিন আগে থেকেই চিনি। ভাইয়া কিন্তু এমন ছিলো না।
কিছুদিন যাবৎ আমার ধারনা ভাইয়া চাঁদগাজীভাইয়ার অন্ধ অনুকরন করতে গিয়ে ভাইয়ার ভালো দিকগুলো না নিয়ে বোকার মত নেগেটিভ দিকগুলো নিয়েছে।
চাঁদগাজী ভাইয়া প্লেজারিজম করে না কিন্তু নেগেটিভলী যেভাবে কথা বলে রাজীব নূরভাইয়া সেটাকে শক্তি ধরে নিয়ে ভাইয়ার মত গায়ের জোরে কিছু জিনিস ঠেলে নিতে গেছেন।
ভেবেছে চাঁদগাজী ভাইয়ার মত এসব করেও টিকে যাবে। চাঁদগাজীভাইয়ার নিক ব্যান হবার পরে রাজীবভাইয়া কোথায় সাবধান হবে তা না আরও বাড়াবাড়ি করলো। এর ওর নাম নিয়ে ঘৃনিত পোস্ট দিতে শুরু করলো। আমিও চাই ভাইয়া চুপচাপ বসে চিন্তা করুক রাগের মাথায় ঠিক ঠাক ভাবনা আসে না। পরে সেটা নিয়ে ভাবলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
অনেকেই সমর্থন করছে এর মাঝে নুরুভাইয়া আবদুল হাক ভাইয়া গোফরান ভাইয়া চাঁদগাজী ভাইয়াও একটু আধটু তবে চাঁদগাজী ভাইয়া ইনডাইরেক্টলী সমর্থন করছে তবে চাঁদগাজী ভাইয়া লেখাচুরিকে সমর্থন করেনি। কৃতজ্ঞতা স্বরুপ রাজীবভাইয়াকে সমর্থন করছে তার ব্লগে থাকা উচিৎ মনে করে।
৩৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৫
আশিকি ৪ বলেছেন: আপু আপনার সাথে মিরডোডল এর কথা হলে উনাকে ব্লগে আসতে বলবেন ♣️
২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৬
শায়মা বলেছেন: কি বলবো?
আশিকি ৪ ভাইজান তোমাকে ব্লগে আসতে বলেছে এটা??
৩৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩০
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তোমাদের স্কুলে বাচ্চাদের কোন ক্লাস পর্যন্ত পেন্সিল দিয়ে লেখানো হয়। আর কোন ক্লাস থেকে নিয়মিত কালি কলমে (ডট পেন) লিখতে হয়।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০২
শায়মা বলেছেন: নার্সারী, কেজি ওয়ান এন্ড কেজী ২ পেন্সিল।
ক্লাস ওয়ান থেকে কালির কলম মানে বল পেন।
৩৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৫
কলাবাগান১ বলেছেন: আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ছাত্র/ছাত্রীরা মজা পেয়ে গেছে অনলাইনে ক্লাশ আর পরীক্ষা দিতে দিতে..।স্বশরীরে নানা অজুহাতে আসতে চায় না....আর আমার অস্ত্র একটাই- স্বশরীরে না আসলে, ল্যাব এর কাজ করা যাবে না, আর তার নাম্বার ও পাবে না....তখন সব অজুহাত ভুলে ক্লাশে এসে যায়.....।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া বড়দের কথা আর কি বলবো?
আমাদের স্কুলের ও লেভেল এ লেভেলগুলা অনলাইনের চিটিংবাজি পরীক্ষা দিতে দিতে এমনই সুখের সাগরে ভাসছেন যে ফিজিক্যাল স্কুল শুনে মা বাবাসহ কান্নাকাটি শুরু করেছেন।
এমনকি সেকেন্ড মক এক্সামে অনেকেই আসেনি।
আমি ভাবছি এই দুবছরের এই এত বড় ক্ষতি যারাই পুষিয়ে নিক টিন এইজের এই ছেলেমেয়েরা পোষাবে কেমনে??
তারা সামাজিক মানসিক সব দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
তাদের দিকে আসলেই নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু দেবে কে??
এই বয়সে মা বাবারাই কন্ট্রোল করতে পারেনা আর সমাজের তো কোনো চিন্তাই নেই।
আমার ধারনা এই বাচ্চাগুলোর জন্য কাউন্সেলিং মোটিভেশন বাধ্যতামূলক করা দরকার।
৩৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: কপি পেস্ট এর ঢামাডোলে আমি সাইড লাইনে বসে বসে দেখি....আমিই প্রায় সবসময়ই রাজীব নুর এর কপি পেস্ট নিয়ে প্রায় উনাকে ধরতাম...
তবে অন্য পক্ষ যখন ১৭৮ নিক তৈরী করে কাউকে ব্লগ থেকে বের করার জন্য, তখন আর কোন পক্ষই নিতে ইচ্ছে করে না
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০২
শায়মা বলেছেন: বেচারা রাজীব নূর ভাইয়া। ভাইয়াকে অনেক আগে থেকেই চিনি আমরা। ভাইয়া এমন ছিলো না। আমার ধারনা ভাইয়া চাঁদগাজীভাইয়ার নেগেটিভ পাবলিসিটিকে নিজের জন্য অস্ত্র হিসাবে নিতে গিয়ে এই ভুল করেছে। কপি পেস্ট করেছে আবার সেটা নিয়ে গলাবাজী! বাপরে!
চাঁদগাজী ভাইয়াকে বের করতে ১৭৮ নিক তৈরী হয়েছে মডু ভাইয়া বলেছে আমি জানি।
কিন্তু জানো আমি বড়ই খতরনাক আছি কেউ কিছু বললেই সহজে বিশ্বাস যেমন করি না তেমনই এটাও জানি না এই নিক কে বা কারা বানিয়েছে-
হতে পারে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ ( এটারই সম্ভাবনা মনে হয় ব্লগে বেশি)
কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তার থেকেও সম্ভাবনা বেশি চাঁদগাজী ভাইয়া যাদেরকে হার্ট করে কথা বলে অকারনে তাদের কাজ হতে পারে। ভাইয়া আরও একটা কাজ করে যা মনে আসে বলে দেয়। কেউ সেটার কারণ জানতে চাইলে তার কোনো জবাব নাই। যেমনটা আমারও রাগ লেগেছিলো। ভাইয়া বলছিলো ছবি প্রতিযোগীতায় আমার বলা কথা নাকি কিছু কিছু সঠিক নয়। আমি জানতে চাইলাম কি সেই সেই কথা। ভাইয়ার তখন মুখে কুলুপ। পেটে বোম মারলেও ভাইয়া স্পিকটি নট।
তো যাদের সাথে এমন করেছে তারাও রেগে গিয়ে করতে পারে।
আরেক হতে পারে ভাইয়া সমালোচনার নামে যাদেরকে মারাত্মক ব্যক্তি আক্রমন করেছে বড়াই করেছে তারা খেপে গিয়ে ভাইয়াকে শিক্ষা দিতে ।
তবে ভাইয়া কি এত মানুষকে খেপিয়েছে!!!!!!!!! ১৭৮ নিকস!!!!!!!!!!!
নাকি ভাইয়া এবং ভাইয়ার গ্রুপের যে দু একজন এক নিষ্ঠ মেম্বার আছে তাদেরই কাজ। হা হা হা
মানে ভাইয়ার যেমন নেগেটিভ পাবলিসিটির স্বভাব নিজের নামে নিজেই নিক বানিয়ে নিজেকেই আক্রমন করেছে কিনা কে জানে !!!!!!!!!! হা হা হা
যাইহোক আর যে যাই করুক সবচেয়ে বড় পজিটিভ দিক হলো যারা এই ১৭৮ নিকস বানিয়েছে তাদের অধ্যাবসায়।লেগে থাকা নিক বানানো পিছে লেগে থাকা বাপরে!!!!!!!!!!
যাইহোক এই যে যেমন নুরুভাই অক্লান্ত পরিশ্রমে রাজীবভাইয়াকে সমর্থন দিতে অনর্গল ছড়া লিখে চলেছে। এটাও অধ্যাবসায়ের জলন্ত উদাহরন।
এই অধ্যাবসায়ের দাম কিন্তু দিতেই হবে। তবে ভাইয়া আবার লিখেছেন নাই কাজ তো খই ভাঁজ টাইপ কি যেন। আমি হাসছিলাম এটা দেখে যে ভাইয়ারই আসলে কাজ নাই মনে হচ্ছে। তাই অক্লান্ত পরিশ্রমে ছড়া ভেজে যাচ্ছে হা হা হা
৩৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০২
বাংলার জাহিদুল বলেছেন: কি সুন্দর লেখা। সত্যি অভিভূত হলাম।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া।
আমার পিচ্চিদের গল্প শুনলে অভিভূতের সাথে টাস্কিতও হবে।
থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৩
শায়মা বলেছেন: জাহিদুলভাইয়াজান!!!!!!!!
মাত্র ১৩ মিনিট জয়েন করেই আমার লেখাটা পড়লা!!!!!!!!!
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ !!!
৪০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৫
শায়মা বলেছেন:
এই নাও তোমার জন্য মালটা চা।
ইফতারে খেও!!!
৪১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বর্তমানের প্রি-প্রাইমারীর বাচচারা যে সুবিধা ভোগ করে তা আমরা কখনো কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি। তার পিছনে আমার মনে হয় এটাও একটা কারন যে,প্রি-প্রাইমারীতে মূলতঃ কিছু আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের বাচচারাই যায় এবং সেই সব পরিবারে বাচচাও হয় হাতে গোনা দু-একটা এবং তারা হয় বাবা-মায়ের খুব আদরের কুট কুট। যাদের একটু অসুবিধাতেই বাবা-মায়েরা পেরেশান হয়ে পড়ে অনেক বেশী।
আর তাই বাবা-মায়ের আদরে (শুধু আদরের কারনে ও শাসনের অনুপস্থিতে ) কেউ কেউ অনেকটা বাদর হিসাবে গড়ে উঠে যাদের বাদরামী শিক্ষকের মানের সাথে কান যাবারও যোগাড়ের সাথে সাথে সহপাঠীদেরও দূর্ভোগ-ভোগান্তিতে পড়তে হয়।(এরকম এক বাদরের যন্ত্রনায় আমার ছোট জন তার সাথে সাথে পুরো ক্লাস দূর্ভোগ-ভোগান্তিতে আছে তবে সমাধান হচছেনা কিছুই)। একে মারছে, ওর কান ধরে টানছে ওকে লাথি মারছে (বাকীদের থেকে সাইজে একটু বড় এবং বিশেষ পরিবারের সেয়ানা বাচচা) । টিচাররাও প্রতিদিন বিচার করতে করতে পেরেশান,তবে পার্মানেন্ট কোন সমাধান হচছেনা এবং বাকী সবার মুক্তি মিলছেনা আধুনিক দস্যু বনহুরের মিনি ভার্সনের হাত থেকে ।
আর এসব বাচচাদের কিছু বলাও দুতরফেই বিপদ। তাদেরকে ওলে আমার আকা-পাকা-সোনা-ময়না-লুটু-পুটু-কুটু বাবু , ওরে দুষ্ট পুন-পুন,ঝুন-ঝুন সোনা - তাকে মারো , ওকে গুতো দেও , তোমার যা খুশি করো এসব বাধ্য হয়েই শিক্ষকদের বলতে হয় । কারন, এখন সবাই অধিকার সচেতন এবং সবাই এখন ওমুক - তুমুক কিছু বললে বিপদ তৈরীর / ফেলার পরিবারের।
আর শিক্ষক হিসাবে যা আপনাকে সইতে হচছে তার জন্য শুধু ব্যাথা মনে এবং আপনার জন্য সহানুভূতি । দয়াময় আপনাকে আরও ধৈর্য্য দিক আধুনিক আধুনিক দস্যু বনহুরের মিনি ভার্সনদের ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য।
যে কোন পরিশ্রমেরই দাম আছে-হয় । আর তাইতো আগুন দিনের ফাগুন হাওয়ার দাম আমাকে দিতেই হয়েছে আগুনের নিকট যাওয়ার পরিণতিতে। আমি অধম ভাইয়া লিখেছিনু " নেই কাজ তো খই বাছ" ( আসলে সময়ের অভাবে গত কিছুদিনের উতলা যে হাওয়া বইছিল ব্লগে তাতে শরীক হতে পারিনি বলে মনে হয় হাত-গলা চুলকাচছিল । আর তাই আমি লিখেছিনু এবং তা দেখে আপনি হেসেছেন ,আড়ালে আরও একজন হেসেছেন (আল্লাহ ) আর আমি ফেসেছিনু (জেনারেল হয়েছিনু)। আসলেই গতকাল কাজ একটু কম ছিল আর খই বাছতে চেয়েছি আর তাই এখন বসে বসে -------- হা হা হা
২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া
অতি আদরে বাঁদর হওয়া বাচ্চাগুলিকেও কেমনে সাদরে মানুষ বানাতে হয় সেটাই আজকালকার টিচারদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিচ্ছু করার নেই এমনিতেই আদরের বাদর ছিলো এখন সাথে লকডাউন আফ্টার শকে আছে হা হা
যাইহোক ভাইয়া,
তোমাকে আমার সব সময় সহজ সরল এবং অতি মশকরার ফাঁদে পড়া এবং অতি ভালা মানুষ মনে হয়েছে।
কারণ-
তোমার কমেন্টের স্টাইল এবং বিশাল ব্যাপ্তিতে তুমি সব সময় কেউ যেন হার্ট না হয় সে চেষ্টায় রত থাকো। এটা নিসন্দেহে একজন ভালো মানুষের লক্ষন।
অতি মশকরা করে ফেলো আর সেটা করার সময় তোমার হুশ থাকেনা সেটাও বুঝেছিলাম কবিতা আপুর পোস্টে এক কমেন্ট থেকে। আমি আবার জাঁতে মাতাল তালে ঠিক ভাইয়া। অতি মশকরা করার সময়ও সাবধান থাকি কেউ যেন হার্ট না হয় বা শালীনতার সীমা ছাড়াচ্ছে কিনা। আবার যেই মশকরা বাড়িতে করা যায় সেটা তো ব্লগে করা যাবে না তাইনা?
তবুও আমি যেহেতু জানতাম ঐ কমেন্ট তোমার অনিচ্ছাকৃত এবং অতি আবেগের ফলাফল তাই আমি সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করেছিলাম। এবং তুমিও যা বুঝার বুঝে গেছিলে। আমার ধারনা তারপর থেকে তুমি একটু সাবধানও হয়েছো। ভাইয়া তোমাকে অপমান করতে চাইনি। চেয়েছি তুমি বুঝতে পারো ঐ মন্তব্য ঠিক হয়নি। তুমি বুঝেছো। যেই ক্ষেত্রে তোমার চাইতেও আমি সফল কিন্তু তুমিও সফল।
অতি ভালো মানুষ বলে অনেক সময়ই অনেকেই যারা চিরাহত হেটারস বা যারা সব সময় অন্যকে হেয় করে কথা বলে তাদের মন্তব্যেও তুমি সুন্দরভাবে উত্তর দিয়েছো। যদিও কিছু প্রানীর লেজ কখনও সোজা হয় না তবুও তুমি সেখানে লোশন তেল মালিশ করেছো।
এটা ভুল হলেও তোমার নমনীয় মনের পরিচায়ক।
কিন্তু ভাইয়া-
যেখানে এখন কপিপেস্ট আন্দোলন চলছে এবং সেই কপি পেস্ট অমার্জনীয় অপরাধ জানার পরেও যারা সাপোর্ট দিচ্ছে তারা আসলে নিজেরাই কপিপেস্টার। সেখানে তুমিও সাপোর্ট দিয়ে লিখে ফেললে ভুলভাল একখানা পোস্ট যেখানে আরও কপিপেস্ট সমর্থনকারীরা লম্ফ ঝম্ফ শুরু করলে সেটা কি ঠিক হলো?
দেখো ভাইয়া শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়? যায় না।
আমরা সবাই কম বেশি নেট থেকে ছবি নিয়ে মনের হরষে পোস্টে লাগিয়েছি। আমি কসম জানতামও না এই অনলাইনের আমার সরকারী মাল মনে করা ছবির আবার সূত্রও দিতে হয় নাকি? এসব তো বারোয়ারী। জেনেছি এই ব্লগের কল্যানেই। আমি একটা লেখা ম্যাগাজিনে বা কোথাও পড়ে মজা পেলে নিজেও লিখে ফেলতাম এইখানে সবাইকে পড়াতে। কষ্ট করে লিখতাম বটে তবে সেসব তো আমার লেখা ছিলো না সবাই জানে। তাই ভাবতাম আরে এই লেখা আমি কই পেয়েছি সে আবার আমাকে বলটে হবে কেনো?
বলতে যে হবে এবং যোগ্য রাইটারের নামও উল্লেখ করতে হবে এই ব্লগেই আমার জানা। এমনকি সূত্র উল্লেখ করলেও নাকি হুবুহু কপি করা যাবেনা এটা কিন্তু আমি জানতাম না।
এই নিয়ে এখনও আমার সন্দেহ আছে।
সোজা কথা আমরা অনেক কিছুই না জেনে করতেই পারি। এটা স্মীকার করতে তো দোষ নেই। দেখো ই প্লেজারিজম, পাইরেসি প্রাইভেসী এসব নিয়ে আলোচনার ফলে কতই না জানা হলো। তো দোষের কি? একটা আন্দোলন চলছে যখন তখন ভেবে দেখোতো তুমি কি দোষ করেছো? আমি তো অনেক ভেবেছি। এমন তো সবারই ভাবা উচিৎ।
কেউ কিছু বললে জোর করে কি অন্যায় প্রতিষ্ঠিত করা যাবে?
যাবে না ভাইয়া।
এখন একটা কাজ করো-
যেখান থেকে শুনে জেনে পড়ে যা যা লিখেছো সব সূত্র এট লিস্ট নীচে লিখে দাও সব পোস্টের।
ছবি দিয়ে থাকলে সেসবও ।
আগেরগুলো না করো এখনকারগুলো এখন থেকে করো।
আর অযথা যারা নিজেরাই অন্যায় করে অন্যদেরকেও অন্যায়ে বিভ্রান্ত করে তাদের কথায় বিভ্রান্ত হওয়ো না ভাইয়ামনি।
ইউ আর আ গুড সৌল।
অকারণে এটা নষ্ট করো না।
৪২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। এবি সি লেভেলের বাচ্চদের পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলা লিখতে শেখানো ডিসিপ্লিনড করা কঠিন কাজ ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কঠিন বটে তবে আফটার করোনায় আরও কয়েক গুন বেশি কঠিন হয়েছে।
৪৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: করোনার প্রভাব সবখানে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এখন আর করো না ভয় করে না। করোনা অনেক কিছু স্থবির করে রেখেছে । পড়াশুনাও।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪০
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ তারই প্রতিফলে হিমশিম খাচ্ছি আমরা।
তোমার বেবি স্কুলে যায় এখন?
৪৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৫
শার্দূল ২২ বলেছেন: ভারতের একটা ভিডিও এমন ছিলো যে শিশু স্কুলের যাবেনা তাই ব্যাগ লাথি মেরে ফেলে দিলো এরপর মা শিশুটিকে পেটালো, এটা ভারতের কোন এক দামি মানুষ পোষ্ট করলো আমি দেখে অবাক চোখে বললাম, মা কিভাবে একটা শিশুকে এইভাবে মারতে পারে, এরপর আরেক গুনি মানুষ বললো আপনি মায়ের নির্মমতা দেখলেন শিশুটির কাজ দেখলেননা/? জবাবে বললাম শিশুরা ৯০ ভাগ সুন্দর তাদের দুস্টমি দিয়ে। এরপর কৈ যায় সেই টুইট গত এক মাস থেকে আমি দুস্ট ছেলে দরদি মা নিয়ে দৌড়ের উপর আছি , হাজার হাজার কমেন পক্ষে বিপক্ষে, সে যাই হোক, সত্যি বলছি শিশুর এমন কোন দুষ্টমি নেই যে আমি সহ্য করতে পারিনা, আই লাভ কিডস এ্যনড নটিনেস।
এই নিয়ে আমার শাবক আমার দুটো ল্যাপটপ ভেঙেছে আমি ল্যাপটপের জন্য লাফিয়ে উঠিনি ,উঠেছি সে আছাড় মারতে গিয়ে তার পায়ের ফেলছে কিনা সেটা দেখতে ।
তোমার অনেক ধর্য্য আছে সেটা জানি, এবং যেই প্রোপেশানে তুমি আছো সেটা থেকে অন্য কাজ করলে তোমার অমুল্য ক্ষমতার অবমুল্যায়ন হবে।
বাকি সব কাজ কেমন হলো তোমার সুন্দরী?
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
শায়মা বলেছেন: হা হা সত্যিই বাচ্চাগুলো যে সব দুষ্টামী করে সবই এতই মজার যে মাঝে মাঝে সেসব থামাতে আমাকে স্ট্রিক্টলী কথা বলতে হলেও আমি হাসতে হাসতে মরে যাই মনে মনে।
তোমার শাবকের ল্যাপটপ ভাঙ্গার কথা শুনে তোমার একটা ঘটনা মনে পড়লো। আছাড় মেরে ল্যাপটপ ভাঙ্গা। হা হা মনে আছে???
হুম আই লাভ মাই প্রফেশন।
বাকী সব কাজ ভালোই হয়েছে সুন্দরা!!!
৪৫| ০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১১
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
এবার গ্রীষ্মের ছুটি কি সরকার স্কুল ছাত্রছাত্রীদের দিবে। নাকি কোভিডের কারণে এ বছর সব বাদ। তোমাদের স্কুলে এ ব্যাপারে কি ভাবছে।
আর ৫ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের স্কুলে টীকা দেওয়া ব্যাপারে কিছু শুনেছ।
০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ দেবে তো।
আমাদের ছুটি ২০শে জুন থেকে ২০শে জুলাই। কি মজা!!
আর আমি তো তখনই সি....... হা হা হা এই ছুটি একদম কনফার্ম বলেই।
তবে ৫ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের টিকার ব্যাপারে এখনও কিছু শুনিনি তো।
আমি তো মাস্ক পরতেও আর রাজী না। যা থাকে কপালে।
৪৬| ০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৭
একলব্য২১ বলেছেন: আর আমি তো তখনই সি....... হা হা হা এই ছুটি একদম কনফার্ম বলেই।
হা হা হা হা.........। ফাজলামির মুডে আছ মনে হচ্ছে।
আমি তোমার কাজের বুড়া মঞ্জুরার কাহানী পড়ছি আর হাসছি। রসমালাই দিয়ে মুরগী মাংসের ঝোল রেঁধেছে। হা হা হা।
আমি পড়ছি আর ভাবছি কি করে তুমি এদের সামালিয়েছো। অর্ধেক পড়েছি তাতেই আমার মাথা নষ্ট। হা হা হা।
০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ হাসছিলাম এবং ফাজলামী ম্যুডেই ছিলাম।
কিন্তু বহুকালের সাক্ষী ব্লগ দাদী হয়ে যাওয়া চক্ষুতে এখন একটা কারনে আরও হাসছি।
হা হা হা ব্লগে আবার শুরু হলো নতুন হাওয়া। পিপিলিকা হাওয়া বলতে পারো। এখন শুধু বসে বসে পর্যবেক্ষনের চেরেষ্টা।
আর কেনো বলেছি পিপিলিকা হাওয়া সে আমি পরে বলবো ব্যাখ্যা করে। হা হা
হ্যাঁ মঞ্জুরার জ্বালায় আমরা কেউ বাঁচি না। ফুপী তো তাকে সহ্যই করতে পারতোনা।
তবে আই অলওয়াজ লাইক নটি চিল্ড্রেন এন্ড লাইক টু কনভিনস দেম অল!!!!!
মঞ্জুরা অবশ্য নটি ছিলো না সে ছিলো নটি চিল্ড্রেনদের মা বাবা.......
এমন এমন সব কান্ড করতো তাকে পাঠিয়ে দিয়ে এরপর আসমাকে আনা হলো।
৪৭| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১২:১২
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
ব্রিলিয়্যান্ট! দারুণ একটা লেখা পড়লাম। মঞ্জুরার প্রতি খুব মায়া লাগলো। কিন্তু বাস্তবতা হল আমার এদের প্রতি সমবেদনা থাকলেও আমি এদের সাথে থাকতে পারবো না। মানে আমার মেজাজ ঠিক রাখতে পারবো না। এনি ওয়ে বেশ অনেকদিন পর একটা দারুণ লেখা পড়লাম।
কিছুদিন আগে সামুতে মিশু মিলন নামে একজন ব্লগারের একটা গল্প পড়ে হকচকিয়ে গেছিলাম। সেই গল্পের লিংক তোমাকে দিচ্ছি পড়ে দেখতে পারো। view this link
আর আজ তোমার এই লেখা পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:০৩
শায়মা বলেছেন: হা হা মঞ্জুরা খুবই মজার ছিলো কিন্তু খুবই দুঃখী এবং বোকা মানুষ।
মিশু মিলনভাইয়ার লেখা আমি পড়েছি যদিও এই লিংকটা পড়তে পারছি না।
আর আমার লেখাটা মিররমনিকে দিয়েছিলাম সুফিয়ার কথা ওঠাতে।
আমার ওহ মাই হাসব্যান্ড পড়েছো???
সেটার লিংকও তো দিয়েছিলাম মনে হয়। হা হা
৪৮| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩১
একলব্য২১ বলেছেন: আর আমি তো তখনই সি.......
সি...... মানে কি সিয়াটল, সিডনি, সিঙ্গাপুর কই যাইবা।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:০৫
শায়মা বলেছেন: তোমার দেশের সি তে ...... হা হা হা
আচ্ছা তুমি কবে যাচ্ছো অস্ট্রেলিয়া?
৪৯| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:১০
একলব্য২১ বলেছেন: আমি যাব আর ৭/৮ দিনের মধ্যেই।
মিশু মিলনের গল্পের নাম "লাল টিপ।" এবছর ৩রা এপ্রিলে লিখেছেন।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৩
শায়মা বলেছেন: এখন কি আর অনলাইনে ক্লাস করা যাচ্ছেই না?
তুমি তো অনেকদিন হলো গেছো। কোভিডের মধ্যেই।
তখন চিলেকোঠার প্রেম লিখছিলাম মনে হয়।
আরও কতদিন থাকতে হবে?
আমি সিডনী যাবো।
৫০| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:২১
একলব্য২১ বলেছেন: হ্যা আমি কভিডের মধ্যেই গিয়েছে। এইবার সশরীরে কাজ করতে হবে। কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।
শায়মা আপু, বাস্তবতা হচ্ছে আমি পাকাপাকিভাবে থেকে যাব। এটাই আমার ভবিতব্য। আর আমিও তাই চাই।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৮
শায়মা বলেছেন: হুম বুঝেছি কোআপ টাইপ কিছু করতে হবে আর কি।
পাকাপাকিভাবে থেকে যাবে কেনো??
দেশের ছেলে দেশে ফিরে আসবে। জ্ঞানার্জনের জন্য চীনেও যাওয়া যায়। থাকবে কেনো???
যাইহোক মিশু মিলন ভাইয়ার লেখা পড়লাম।
হি ইজ জিনিয়াস।
ওমন করে লিখতে পারবোনা আমরা অনেকেই।
আর জানার ব্যাপারটাও বা অভিজ্ঞতার আলোকও অনেক বেশি থাকতে হয় লেখার ক্ষেত্রে।
ভাইয়ার লেখার সমাজের হিডেন স্টোরী আছে। পত্রিকার ছাপার যোগ্য লেখা।
বক ধার্মিকদের মুখে লাত্থি দেওয়া এই লেখাটা
৫১| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৮
একলব্য২১ বলেছেন: মাই হাসব্যান্ড পড়িনি। তবে পড়বো অচিরেই।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩১
শায়মা বলেছেন: ওক পড়ো পড়ো।
ফান করে লিখতে গিয়ে শেষে নিজেই কান্দাকাটি।
আমার হাসব্যান্ডের জন্য আমার খুব মন খারাপ হলো।
৫২| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩৩
একলব্য২১ বলেছেন: এই লেখাটা তোমাকে আয়নাপুতুলকে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাবলাম কি আবার মনে কর। তাই কিন্তু কিন্তু করে আর দিলাম না। আজ আর না দিয়ে পারলাম না।
ওকে খুব ভাল থাকো। গুড নাইট।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩৬
শায়মা বলেছেন: না ব্লগের জন্য অনেকেই বিব্রত হবে হয়ত। কিন্তু মিশু ভাইয়া আমার চোখে অনেক ভালো রাইটার।
অনেক কিছুই আমরা লিখতে পারিনা বলতে পারি নাি লজ্জা দ্বিধা দন্দে। মিশু ভাইয়া সেটা পারে......
৫৩| ২২ শে মে, ২০২২ রাত ৯:১৮
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
ক্ষুদেদেরকে নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
১. সাধারণত ক্লাস ১,২,৩,৪ এর যারা স্কুলের পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে, সাধারণত তারাই কি উপরের ক্লাসে ভাল রেজাল্ট করে বা ভাল ছাত্র হয়।
২. নাকি ক্লাস ১,২,৩, ৪ দের ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা আছে।
৩. ক্ষুদের বাংলা হাতে লেখা খারাপ। কি করে সুন্দর বাংলা হাতের লেখা করা যায়।
৪. ক্ষুদের বাংলা হাতে লেখা স্লো। তাই সব প্রশ্নের উওর পরীক্ষায় নিদিষ্ট সময়ে দিতে পারেনি। কি করলে হাতে লেখা তাড়াতাড়ি লেখার যায়। কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সময় সুযোগ মত উওর দিও। ফাস্ট ট্রাম পরীক্ষা ক্ষুদে গড়ে ৮০% মার্ক পেয়েছে। আমি মার্কস বা rank এই জাতীয় সমস্ত পদ্ধতি নিয়ে চিন্তিত না। বা এগুলোতে ঠিক বিশ্বাসও করি না। পড়াশুনা করা উচিত নিজের আনন্দে। আমি ওকে সেই আনন্দের পথে নিয়ে আসতে চাই।
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩০
শায়মা বলেছেন: ১. সাধারণত ক্লাস ১,২,৩,৪ এর যারা স্কুলের পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে, সাধারণত তারাই কি উপরের ক্লাসে ভাল রেজাল্ট করে বা ভাল ছাত্র হয়।
এইখানে উত্তর হ্যাঁ এবং না। হা হা কারণ কেউ কেউ এই ছোটবেলার স্ট্রাটেজী বা সন্মান ধরে রাখে। কেউ কেউ মুকুলেই ঝরে যায় নানা কারনে..... কিন্তু আমার মনে হয় কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাস ঠাস। ছোটবেলায় ভালো রেজাল্টের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরী। কিন্তু কিছু কিছু ইঁচড়ে পাকা আবার ছোটবেলায় হাজারও শেখালেও বড় বেলায় নিজেদেরকে বেশি পন্ডিৎ ভেবে গোল্লা পায়।
২. নাকি ক্লাস ১,২,৩, ৪ দের ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা আছে।
১ ২ ৩ ৪ এ যাই হোক নিজের রিয়ালািজেশনের উপরে কিচ্ছু নেই। একটা বাচ্চা যদি ক্লাস এইটে উঠেও সিরিয়াস হয় তো তার ডক্টর ইঞ্জীনীয়ার বিজ্ঞানী হওয়া ঠেকাি কে?
৩. ক্ষুদের বাংলা হাতে লেখা খারাপ। কি করে সুন্দর বাংলা হাতের লেখা করা যায়।
ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাচ্চাদের বাংলা লেখা খারাপ হয়। কেনো বলোতো?
বাংলা তারা কম প্রাকটিস করে তায়। বাংলা ইংলিশ যে কোনো লেখায় সুন্দর করার দুইটা শর্ত-
১- নিজের ইচ্ছা
২- প্রাকটিস এভরিডে।
৪. ক্ষুদের বাংলা হাতে লেখা স্লো। তাই সব প্রশ্নের উওর পরীক্ষায় নিদিষ্ট সময়ে দিতে পারেনি। কি করলে হাতে লেখা তাড়াতাড়ি লেখার যায়। কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রাকটিস প্রাকটিস এন্ড প্রাকটিস এন্ড মাস্ট বি রেগুলার.......
সময় সুযোগ মত উওর দিও। ফাস্ট ট্রাম পরীক্ষা ক্ষুদে গড়ে ৮০% মার্ক পেয়েছে। আমি মার্কস বা rank এই জাতীয় সমস্ত পদ্ধতি নিয়ে চিন্তিত না। বা এগুলোতে ঠিক বিশ্বাসও করি না। পড়াশুনা করা উচিত নিজের আনন্দে। আমি ওকে সেই আনন্দের পথে নিয়ে আসতে চাই।
ভেরী গুড।
আসলেই সময় খুব খারাপ যাচ্ছে। মানে বিজি বিজি এবং বিজি এবং সেটা ইজি কাজে নয় এটা কঠিক কাজে বিজি......
৫৪| ২৪ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৮
একলব্য২১ বলেছেন: আচ্ছা শায়মা আপু তুমি যদি ক্ষুদেকে মানুষ করতা তাহলে পড়াশুনার পাশাপাশি আর কি কি শিখাতে।
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩১
শায়মা বলেছেন: কন্ঠ অনুশীলন
আবৃতি
গান
ছবি আঁকা
আর লেখালিখি
নাচ শেখাতাম না।
৫৫| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৭
গরল বলেছেন: আশ্চর্য্য, এই পোষ্টটা আমার চোখে পড়েনি!.. বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার মজা আছে আবার ঝামেলাও আছে। আমার মেয়েতো স্কুলে দুইবার টয়লেট করে দিয়েছিল, তখন অবশ্য ওর চার বছর হয় নাই। ওদের অবশ্য ব্যাগে এক সেট কাপড় চোপড় দিয়ে দিতে হত। এক ছেলে নাকি এক দিনে দুই বার কাপড় নষ্ট করেছিল, একবার হাগু আর একবার হিসু, হাহাহাহাহাহ। যাই হোক ভালো এনজয় করেন মনে হচ্ছে এসব বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে। নিজের বাচ্চা হলে ওকেও সাথে করে নিয়ে যাবেন একসাথে দুই কাজ হয়ে যাবে।
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ আমাদেরও এক সেট কাপড় দিতে হয় তবে স্কুলেও নানা বয়সী কাপড় থাকে। কারন তো বুঝতেই পারছো হা হা হা
আসলেই ইহা মজার জব।
আজ বললাম একটাকে - ডু ইউ নো আই লাইক ইওর টিফিনবক্স। প্লিজ গিভ মি।
সে বলে- নো নো মিস প্লিজ ডোন্ড টেক । মাই ফাদার হ্যাজ ভেরি লেস মানি। হি কান্ট বাই ফর ইউ।
৫৬| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩১
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু, আমার প্রশ্নের উওর দেওয়ায় জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ৫৮ নং প্রশ্নের উওরের সাথে আমার মনের সাথে ২টা মিল পেয়েছি। ১. ছবি আঁকা ২. লেখালেখি। আর আমি চাই ও খেলাধুলাতেও জড়িত হোক। ও প্রত্যেকদিন স্কুলে গিয়ে অনেকটা সময় দৌড়াদৌড়ি করে বা খেলে।
আজকে গ্রেগরীয়ান পেইজে এই লেখার লিংকটা একজন প্রাক্তনই দিয়েছে। লেখাটা অর্ধেকটা পড়েছি। বাকীটা পরে আরাম করে পড়বো। পড়াকালীন সময়ে মনে হয়েছে এই লেখাটা তোমার সাথে শেয়ার করবো। এই জাতীয় লেখা আমাকে টানে ও পড়ে ভীষণ আনন্দ পাই।
view this link
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪৯
শায়মা বলেছেন: খেলাধুলা খুবই জরুরী কিন্তু আমি জীবনে এই একটা বিষয়ে একটু ফেল্টু ছিলাম।
মানে অনেক দস্যি পাঁজি উপাধী জুটলেও খেলাধুলার জন্য যেই শক্তিশালী হওয়া দরকার সেটা মনে হয় ছিলাম না। এই কারনেই খেলাধুলায় ইন্টারেস্টও নাই শিখাতে তো পারবোই না.......
লেখাটা এখনও পড়িনি। পড়ছি এখুনি।
৫৭| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩৯
একলব্য২১ বলেছেন: Ooops! লেখাটি যায়নি। অনেক বড় লেখা। লেখাটা এরকম কিছুটা দিলাম।
তিনটি গির্জা দিচ্ছে সূত্র
ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ৩ থেকে ৪ মিনিট হাঁটা দূরত্বেই তিনটি গির্জা। রোমান ক্যাথলিকদের সেন্ট গ্রেগরি পূর্ব দিকে, উত্তর দিকে অ্যাংলিকানদের সেন্ট থমাস আর দক্ষিণে ব্যাপ্টিস্ট মিশন চার্চ স্কুল। ওই গির্জা তিনটিই সূত্র দিচ্ছে হাশেম সূফীকে। সূফী ভাই বলছিলেন, ' প্রটেস্টান্ট অ্যাংলিকান চার্চ কিন্তু পোপের অধীনে নয়, চার্চ অব ইংল্যান্ড তাদের হেড কোয়ার্টার। ব্রিটিশ-ভারতীয় অ্যাংলোরা এখানে প্রার্থনা করত। আর সেন্ট গ্রেগরি চার্চ পোপের অধীন। গোয়ানিজ-পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত অ্যাংলোদের প্রার্থনাঘর ওই সেন্ট গ্রেগরিজ চার্চ।
ব্যাপ্টিস্ট চার্চ মূলত ধর্মান্তরিতদের উপাসনাঘর, আগে এটি ছিল ছোট কাটরায়। অ্যাংলিকান সেন্ট থমাস চার্চ প্রতিষ্ঠা হয় ১৮২৪ সালে, বিশপ হেপার এটি উদ্বোধন করেছিলেন।
অ্যাংলোরা সাধারণত ধার্মিক হতেন। খ্রিষ্টান হওয়া ও ইংরেজি জানা—এই দুটি বিষয় তাদের পরিচয়সংকট থেকে খানিকটা রেহাই দিত। সদরঘাট এলাকাতেই দেখুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিল দুই বাংলার প্রথম স্কুল—ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ১৯৩৫ সালে। পরের বছর হয় পাটনা কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল। আর্মেনীয় নিকি পোগোজ (পোগোজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা) ছিলেন এ স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। মানে আমি বলতে চাইছি, সদরঘাট এলাকাই ছিল শহরকেন্দ্র। উনিশ শতকের শেষ নাগাদ এখানে কয়েক শ ঘর অ্যাংলো থাকার কথা। তারা ছিল মূলত পেশাজীবী। ব্যবসা-বাণিজ্য করত সে আমলে মূলত আর্মেনীয়রা। বেকারি ব্যবসাও ছিল আর্মেনীয়দের হাতে। সেগুলোয় বেশি ছিল মুসলমান কারিগর। আবেদ অ্যান্ড কোং নামের একটি বেকারি ছিল ১৮৫৯-এর দিকে। ওয়াইজঘাটে ছিল তাদের ফ্যাক্টরি। নবাববাড়ির পৃষ্ঠপোষকতা পেত তারা।'
আমি একটু অবাক বনলাম, মুসলমান কারিগররা বেকারিতে ভালো করত! এর ইতিহাসটা কী? সূফী ভাই আবার বলতে লাগলেন, 'রুটি তো আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, পারস্যের লোকেরাই বেশি ভালো বানায়। তাই মুসলমান কারিগররাই যে ভালো বেকারি আইটেম তৈরি করতে পারবে, সেটা স্বাভাবিক। প্রিন্স অব ওয়েলস নামের যে দোকানটি এখনো টিকে আছে, সেটিরও মালিক ছিল মুসলমান। তার প্রধান কারিগর বুদ্দু বা বুদ্দিন মিস্ত্রিকে আমি দেখেছি। যা হোক হেকিম হাবিবুর রহমানের বইটার (ঢাকা পাচাস বারাস পাহ্লে) ব্যাখ্যায় আমি রুটির বিবর্তন বলেছি।' আমি আবার সূফী ভাইকে থামাই। বলি, প্রিন্স অব ওয়েলস নাম রাখার সাহস কীভাবে করলেন একজন নেটিভ বা ইংরেজ নন এমন কেউ?
প্রশ্নটায় আনন্দ পেলেন তিনি। বললেন, 'ভালো কথা বলছেন। আসলে তো নেটিভদের কিং, কুইন বা প্রিন্সদের নামে ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্রের নাম রাখা আইনত দণ্ডনীয় ছিল। সে ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এমন হতে পারে যে কোনো ইংলিশম্যান এর লাইসেন্স নিয়েছিলেন, পরে বুদ্দিন মিস্ত্রি এর মালিকানা পান।'
কেক, পেস্ট্রি, কাপকেক, বিস্কুট, ক্রিমরোল, সসেজ ইত্যাদি আইটেমগুলো কি মিলত তখনকার বেকারিগুলোতে? জানতে চাইলে সূফী ভাই আবার বলতে শুরু করেন, 'হ্যাঁ, সবই মিলত। অ্যাংলোরা বেকারি আইটেমের ওপরই নির্ভর করত বেশি। তারা রাতে ভারী খাবার খেত, দুপুরে হালকা আর সকালেও হেভি ব্রেকফাস্ট করত। একদম ইংলিশ কায়দার খাওয়াদাওয়া। ঢাকার প্রথম যে ইংলিশ রেস্টুরেন্ট, যার নাম ছিল আলেকজান্ডার, জজ কোর্টের উল্টো দিকে ছিল।
২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫০
শায়মা বলেছেন: এ রকম লেখা আমারও ভালো লাগে।
যেন দেখতে পাই সেই সব হারানো দিনের চিত্রাবলী.......
৫৮| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২৮
একলব্য২১ বলেছেন:
এবছর মার্চের দিকে তুলা। তখন ক্ষুদের শরীরে হাল্কা জ্বর ছিল ।
২৭ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:১৯
শায়মা বলেছেন: আহালে বেবিতা!!!!!!!!!!!!
দেখে বুঝা যাচ্ছে আসলেই এত্তা গুডু বয়!!!!!!!!!!!!!
অনেক অনেক দোয়া.......
৫৯| ২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
একলব্য২১ বলেছেন:
শায়মা আপু,
ক্ষুদের ইংরেজী হাতের লেখা ভাল। তোমার পরামর্শ মোতাবেক বাংলা হাতের লেখাও সুন্দর করার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।
২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
শায়মা বলেছেন: হা হা প্রাকটিস ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি টু গেইন এনি এনি এনিথিং ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড!!!
ক্ষুদের লেখা আমার থেকেও সুন্দর!!!!!!!!!!!
৬০| ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৭
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু ও মিরোরডল,
view this link
৩১ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৪
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!!!!!!
সোনাবীজ ভাইয়ুর চ্যানেল......
৬১| ৩১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
একলব্য২১ বলেছেন: ক্ষুদের স্কুলে co-curricular activities হিসাবে বেশ কিছু ক্লাব আছে। যেমন 1. Debating Club 2. Gregorian (This is the offical publication of the school.) 3. Sports (Football, Cricket, Baseball, Basketball etc. ) 4. Scout group 5. Ecology club 6. English club 7. Science club 8. Math club 9. Chess club 10 Cultural club 11. Art and Handwriting club etc. etc. করোনার কারণে এই সব activities বদ্ধ ছিল। এই বছর মার্চ থেকে আবার সব শুরু হয়েছে। তোমাদের স্কুলে এই জাতীয় activities কি হয়।
ক্ষুদে Science and Art club এর মেম্বার হয়েছে। পড়াশুনার চাপ আর ছোট বলে এখন আর অন্য ক্লাবে ভর্তি করি নি। ক্ষুদেকে আর কোন কোন ক্লাবে ভর্তি করালে ভাল হবে বলে তুমি মনে কর। বা তুমি হলে আর কোন কোন ক্লাবে ওকে ভর্তি করাতে।
হা হা হা...আমার এই জাতীয় প্রশ্ন শুনে তুমি অভ্যস্ত হয়ে গেছ এবং অনেক হাসো। তাই না শায়মা আপু।
৩১ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩৬
শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় মানুষের জীবনে এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটির অনেক মূল্য রয়েছে। এই যে আমি আমার শিক্ষাগত পড়ালেখার বিষয় বা ডিগ্রী দিয়ে যতটুকু না জয় করেছি তার থেকে বহুগুন বেশি করেছি আমার এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিগুলো দিয়েই।
আর আমাদের স্কুলে নানা রকম এসিএ ক্লাব আছে।
আমি নিজেই নানা রকম ক্লাব নিয়েছি
রেসিটেশন ক্লাব
গ্লাস পেইন্ট
গিফ্ট র্যাপিং থেকে শুরু করে জুয়েলারী মেকিং জাপানিজ ডল মেকিং কত শত মেকিং মনেও নেই আমার আজ।
হা হা
তবে সেসব শিখে এবং শিখিয়ে আমি আনন্দিত.......
৬২| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৩
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
১. করোনা কালে ২ বছর স্কুল বন্ধ থাকাতে তোমার স্কুলের ছাত্রদের বাড়ীতে লেখাপড়া করায় তাদের লেখাপড়ার মান কি পড়ে গেছে না আগে মতই ঠিকঠাক আছে।
২. সরকার যে নতুন শিক্ষা পদ্ধতি মাধ্যমিক পর্যন্ত দিয়েছে, তোমার কাছে এটা কেমন মনে হচ্ছে।
০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১২:০৭
শায়মা বলেছেন: ১। মান পড়ে গেছে। অলস ফাকিবাজ আর ম্যানারস সোসালাইজেশন তো আছেই
২। মাধ্যমিক পর্যন্ত সম্পর্কে আমার জ্ঞান নেই।
৬৩| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৮:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: ক্ষুদের স্কুলের ছাত্ররা বাড়ীতে পড়ায় আর অনলাইনে বাবামার সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় সবাই না তবে অনেক ছাত্রই দুর্বল ছাত্র হয়ে গেছে। তবে এখন মারাত্মকভাবে পড়ার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে আর কয়েকদিন পর পরই assessment test 1 , 2 নামে সব বিষয়ের উপরই নানান পরীক্ষা নিচ্ছে। ছাত্ররা ভীষণ চাপের মধ্যে আছে।
০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১২:০৮
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ নতুন করে আবার শুরু।
৬৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
ব্লগ কেমন যেন ম্রিয়মাণ নিস্তরঙ্গ হয়ে গেছে। তোমার চিলেকোঠার প্রেম পড়ার সময় কি জাঁকজমক ছিল। ব্লগ গমগম করতো।
যাই হোক একটা প্রশ্ন ছিল। তোমার স্কুলে ছাত্ররা মারামারি করলে তোমারা কি করে এই সমাধান কর। ক্ষুদের স্কুলে এক বাচ্চা অন্য বাচ্চাকে চড় মেরে চশমা ভেঙ্গে দিয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে তোমারা কি ধরনে একশন নাও।
০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১৫
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কারণ কোথাও কেউ আর নেই।
আবার আরেকটা চিলেকোঠার উপরে পিলেকোঠা বা ঢিলেকোঠা লিখতে হবে। হা হা
এমনিতে আমাদের বুলিং এর পরে বাচ্চারা নানা কোর্স করে। শিখে এবং বুঝেও।
তবুও যেমন চোরাই না মানে ধর্মের কাহিনী তেমনই বুলি না মানে কোর্সের কাহিনী।
আমাদের এমন হলে আমরা যে মারে এবং যে মার খায় দুইটারেই আলাদা করে ডেকে কিছু প্রশ্ন করি ও উত্তর লিখতে বলি।
কি হয়েছে কেনো হয়েছে যা হয়েছে তা ভালো না খারাপ ? ভালো হলে কেনো ভালো খারাপ হলে কেনো খারাপ
এই কাজের জন্য কি কি সমস্যা হতে পারে এবং তার সমাধান কি মানে কেমনে বুলি করবো না এবং কেমনে বুলিদেরকে হ্যান্ডেলিং করবো সেসব নিয়ে কিছু কাজ করা হয়।
বেশি বাড়লে মা বাবা ডাকা হয়।
আরও বাড়লে ডিটেইনশন এবং সাসপেনশন।
আরও বাড়লে কি যে করে আল্লাহ জানে ...... বাট এমনিতেই সিধা হয়ে যায়।
৬৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এখন অনেক রাত হয়ে গেছে। পরে মনযোগের সাথে পড়ে মন্তব্য করবো। কিন্তু এরকম একটি বিষয় নিয়ে লিখে সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছি।
আপনার একটি পুরনো পোস্ট, প্রিয়তম হে জাগো জাগো জাগো (মে'১২) পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া জানো একটা মজার কথা বলি হাসবা না কিন্তু।
আমি কিছুদিনের মাঝেই এই বিষয়টা নিয়ে পি এইচ ডি করতে যাচ্ছি!
হা হা হা
শুনতে হাস্যকর হলেও এটাই আমার এমবিশন! কথা বার্তা কাজ কর্ম চলছে।
সো আই এ্যাম হ্যাপী এন্ড কনফিডেন্ট!
৬৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওহ, তাই নাকি? আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভকামনা!!
হাসবো কেন, আমি জানি আপনি এ বিষয়ে পিএইচডি কোর্সে অনেক ভালো করবেন। কারণ এ বিষয়ে আপনার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা তো আছেই, তাত্ত্বিক জ্ঞানও যে যথেষ্ট আছে তা তো এই পোস্ট পড়েই বুঝা যায়।
কোথায় যাচ্ছেন পিএইচডি করতে, এবং কবে?
আপনার "অতীন্দ্রিয় অনুভুতিতে একাকী আমি ও এক রহস্যময় টেলিপ্যাথি জগৎ" - পোস্টে একটি মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া জানিনা কোথায় যাচ্ছি তবে একজন প্রস্তাব করেছে এবং আমারও ইচ্ছা ছিলো মনে মনে।
আর যা ইচ্ছা থাকে তা তো আমি করেই ছাড়ি।
আচ্ছা যাই ঐ পোস্টগুলো দেখে আসি।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া দুদিন আগে একটা এওয়ার্ড পেয়েছি।
স্মৃতি নিয়ে লেখালিখি করে হা হা মানে সেই লেখাটা একটা ক্যাম্পেইনের অংশ ছিলো।
আবোল তাবোল লিখে দিয়েছিলাম কোনো প্রিপারেশন ছাড়াই কিন্তু জানোই আমি মানুষকে স্মৃতি দিয়ে কেমন ঘোল খাইয়ে দিতে পারি আর তাই তারাও ঘোল খেয়ে ফেললো।
আর সবচেয়ে মজা লেগেছে ২০ জনের মাঝে সবাইকে ছেড়ে আমার পুরষ্কার নেবার ছবিটাই সব মিডিয়ায় এসেছে।
হা হা না দিয়ে করবে কি যে সাজুগুজু!!!!!!!!!!!
সাজুগুজুতে এত সময় কে দেবে আর আমি ছাড়া??
তবে ঐ যে যেটাই করি মন দিয়ে তাই সেখানেও ফার্সটো হয়ে গেছি হা হা হা ।
টাকা দিয়ে চুল বেঁধে আমাকে তো টুটিফোলা মুটি লাগছিলো তাই মন খারাপ ছিলো। কিন্তু এখন সেখানেও আমিই সিলেক্টেড দেখে সেই দুস্ক চলে গেছে।
আমি ভয় করবো না ভয় করবো না
দু বেলা মরার আগে মরবো না ভাই মরবো না.....
ভাইয়া কনফিডেন্স কিন্তু সাংঘাতিক এক মূল্যবান জিনিস যা অগা বগা মগাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই বুঝেছি হা হা হা নিজেকে দিয়ে .....
যা খুশি তাই লিখে দিলাম আর সিলেক্টেড হয়ে গেলাম!!!!!!!!! হায় হায় হায়
৬৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: কনফিডেন্স কিন্তু সাংঘাতিক এক মূল্যবান জিনিস যা অগা বগা মগাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই বুঝেছি
শায়মা আপু,
ইদানীং তুমি আমার ইন্সপিরেশন। যত জানছি ততই অবাক হচ্ছি। হার না মানা এই এত শক্তি কোথা থেকে পাও।
জয়াকে অনেক ভাল লাগছিল। Calm and composed. ও যে ছবিগুলো করবে বলেছে সেটা কি ও বাংলায়। তুমি হেভি একটা সাজ দিয়েছ। তোমার হাসিটা আন্তরিক ছিল।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৫
শায়মা বলেছেন: ঐ!!!!!!!!!!!!!!!
তুমি কোথায় দেখলে!!!!!!!!!!!!
হা হা হা সবচেয়ে মজা হলো সবখানে শুধু আমার ছবিটাই পেয়েছি। ২০ জনের মাঝে আর একজনও না। হা হা হা সাজুগুজু সার্থক হয়েছে।
একটা মজার কথা বলি- আমি এমন এমন জায়গায় অপ্রত্যাশিত এক্সেস পেয়েছি সেসব খানে আমি জানি আমার থেকেও যোগ্য মানুষেরা আছে কিন্তু কেমনে জানি আমি সবগুলা থেকে বেশি পাত্তা পেয়ে যাই। ইহা কি আমার কোনো নিজের অজানা ট্যাকটিস নাকি অটো অটো পাই জানিনা কিন্তু!!!!!!!! হা হা হা
তবে আমি আমার নিজের গন্ডিতে থাকতে ভালোবাসি আমি যদি গন্ডি থেকে বের হতে চাইতাম এতদিনে আকাশেই উড়তাম। হা হা হা
হ্যাঁ জয়া সেসব ছবি ইন্ডিয়ায় করবে বলছিলো। তবে স্বদেশের চাইতেও ঐ দেশের সিনেমার প্রতিই তার আস্থা বেশি মনে হয়েছে। যদিও শি ইজ আ জেন্টেল লেডি। কথা বার্তায় চলনে বলনে আমি আবার জেন্টেলদেরকে ভীষন লাইক করি।
৬৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০২
একলব্য২১ বলেছেন: জয়ায় হাত থেকে ফুলের তোড়া বা পুরষ্কার পেয়ে তুমি বেশ খুশি। বুঝাই যাচ্ছে জয়ার পারসোনালিটি তোমাকে আকৃষ্ট করেছে।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১০
শায়মা বলেছেন: না আসলে আমি খুশি আমার নিজের বিজয়ে। হা হা হা
তার পারসোনালিটি আমাকে মুগ্ধ করেছে তাও যে খুব ঠিক তাহা নহে বাট সে জেন্টেল লেডি তাই আমার ভালো লাগা।
পারসোনালিটি যদি কোনো একট্রেসের ভালো লাগে আমার সেটা ওয়ান এন্ড অনলী সূবর্ণা মুস্তাফা।
তার কাছে সবাই ম্লান। আমার চোখে অন্তত।
একলব্য২১ বলেছেন: কনফিডেন্স কিন্তু সাংঘাতিক এক মূল্যবান জিনিস যা অগা বগা মগাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই বুঝেছি
শায়মা আপু,
ইদানীং তুমি আমার ইন্সপিরেশন। যত জানছি ততই অবাক হচ্ছি। হার না মানা এই এত শক্তি কোথা থেকে পাও।
হা হা আমি তো অনেক মানুষেরই ইন্সপিরেশন। কিছুই জানোনা আমাকে আসলে। খুব অল্প জানিয়েছি তো!!!!!!! হা হা হা
আমি মাঝে আসলে ওভার কনফিডেন্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমার লাক আমাকে জিতিয়ে দেয়। হা হা
ভাইয়ু অনেক অনেক বড় হও জীবনে.....
৬৯| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:২৩
একলব্য২১ বলেছেন: হুম।
তো তোমার পুরষ্কার পাওয়া লেখাটা কি সামুতে শেয়ার করবা।
খোলা চিঠি বাংলা সাহিত্যের এই অংশটা এ নিয়ে ব্লগে লিখবে কিভাবে মাথায় আসলো। আর প্রথম খোলা চিঠি দেওয়া পর সামুর ব্লগারদের নিয়ে খোলা চিঠি দিবে এই চিন্তাটাই বা কি করে মনে হল।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৬
শায়মা বলেছেন: না করবো না।
পারসোনাল কিছু আমি ব্লগে কম শেয়ার করতে চাই।
এখন তো তবুও একটু প্রকাশিত হয়েছি আগে তো মরে গেলেও না না না না না ছিলো।
জীবনেও ছবি ফোন দেওয়া কোনো কিছুতেই আমি ছিলাম না।
একটা ঘটনা থেকে এই লকডাউনের মাঝে হঠাৎ প্রকাশিত হয়ে পড়েছিলাম। তারপর আর কি করবো একটু বের হতেই হলো।
যাইহোক খোলা চিঠি নিয়ে কেমনে মাথায় এলো মনে পড়ছে না তবে তোমাকে লেখার পর অপু ভাইয়া যখন বললো আমাকেও একটা চিঠি লিখো বা সৌরভভাইয়া যখন বললো আমাকে কেউ লিখে না বা শেরজা ভাইয়া তখনই মাথায় এলো সবাইকেই লিখবো এক এক করে। হা হা
৭০| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪১
একলব্য২১ বলেছেন: নেক্সট কে। আয়না পুতুল! আর হলে সেটা কবে।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৬
শায়মা বলেছেন: না আয়নাপুতুল তো আসবেই তবে এখন নহে।
বিলম্বে।
হা হা নেক্সট তো বলা যাবে না......
চমক থাকতে হবে না?
তুমিই ভাবো নেক্সটো কে?
৭১| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৩
একলব্য২১ বলেছেন: নেক্সট কে?
ঢুকি।
তুমি কেন খোলা চিঠি লিখলা তার কারণ আমি জানি কঙ্কা।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৬
শায়মা বলেছেন: কি কারণ বলো দেখি???
না ঢুকি না....... অন্য কেউ ......
৭২| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৯
একলব্য২১ বলেছেন: কি কারণ বলো দেখি???
তুমি কি নির্ভার হতে চেয়েছিলে।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৬
শায়মা বলেছেন: সব লেখাই আসলে এক ধরনের নির্ভার হওয়া কিন্তু নির্ভার হওয়া কি এতই সহজ। সব অনুভূতি কি কথা বা শব্দ বা বাক্যে প্রকাশ করা যায়! জীবনেও না .......
৭৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৩
একলব্য২১ বলেছেন: অন্য কেউ
খায়রুল আহসান?
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৭
শায়মা বলেছেন: হা হা না!!!!!!!!!! হয়নি!!!!!!!!!!!!
৭৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:১২
একলব্য২১ বলেছেন: হয়নি!!
শায়মা আপু,
আবার শুভ!! হা হা হা
আমাকে প্লিজ! আর পচাইয়ো না। মাফ কইরা দাও। আর কোন দিন গোস্তাকি করবো না।
আমারে একটি শান্তিতে আরামসে থাকতে দাও। আমি চিরকালই ব্যাক-বেঞ্চার ছিলাম। আর সেখানে থাকতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য পাই।
শায়মা আপু,
আবার শুভ!! হা হা হা
আমাকে প্লিজ! আর পচাইয়ো না। মাফ কইরা দাও। আর কোন দিন গোস্তাকি করবো না।
আমারে একটি শান্তিতে আরামসে থাকতে দাও। আমি চিরকালই ব্যাক-বেঞ্চার ছিলাম। আর সেখানে থাকতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য পাই।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২০
শায়মা বলেছেন: তোমাকে পঁচাতে পারি!!!!!!!!!!!!
তোমাকে তো ফ্রেশ রাখতে দরকারে শাকসব্জীর মত ফরমালিন স্প্রে করে দেবো।
তবুও পঁচতে দেবো না!!!!!!!
৭৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২১
একলব্য২১ বলেছেন: আয়নাপুতুলকে নিয়ে লেখা বেশ জমজমাট হবে। কারণ এই জন্য তুমি অনেক রিসার্চ করবে এবং সময় নিয়ে লিখবে। অপেক্ষায় থাকলাম আমার বন্ধু বোনের উপর লেখা নিয়ে।
ঠিক আছে শায়মা আপু খুব ভাল থাকো। শুভ রাত্রি।
১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৫
শায়মা বলেছেন: হা হা আয়নাপুতুল তো এই কথা শুনলে কয়েক মাস ব্লগেই আসবে না। হা হা
যাইহোক আমিও যাই ঘুমাই।
আজকাল আমি কাজের সাথে তাল মেলাতে পারছি না।
লকডাউন এফেক্ট!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............ আমি তোমার লিখা পড়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান হবার অবস্থা। এ কি অবস্থা তোমাদের। অবস্থাতো দেখি সত্যিই কেরোসিন ।
এই পুঁচকা দস্যুগুলাকে সামাল দেয়া আরো কঠিন হয় এ ছাগল মা-বাবার জন্য। আসলে এদের পৃথিবী এতো ছোট যে নিজের গন্ডী ছাড়া আর কিছু মাথাওয়ই ঢুকে না।
যাহোক, তোমার জন্য শুভ কামনা। তুমি পারবে অবশ্যই!!