নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েনকে চেনে না এমন মানুষ মনে হয় একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না এই বাংলায়। উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর লেখা এ গল্পটা যদিও কেউ না পড়েও থাকে তো প্রখ্যাত চলচিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ছোটদের জন্য বানানো সিনেমাটি কেউ দেখেনি সে কথাও বিশ্বাস করা কঠিন। ছোট্ট সন্দীপ রায় মানে সত্যজিৎ রায়ের ছেলের অনুরোধেই নাকি তিনি এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। এই গল্পকার উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন সত্যজিতেরই দাদামশাই। সত্যজিৎ রায় এই সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন। এই ছবির সবকটি গান রচনা ও সুরারোপও তারই করা। এই সব তথ্য আমি উইকিপিডিয়াসহ আরও অনেক প্রবন্ধে জেনেছি।
সে যাইহোক, প্রতিবছর বাংলা নতুন বছর উপলক্ষ্যে আমি এবং আমার পাপেটিয়ারস টিম একটা করে পাপেট শো বা পুতুল নাচ তৈরী করি। এই পুতুল নাচ বা পাপেট শো এর পাপেটিয়ার রুপে আত্মপ্রকাশ আমার সেই ২০১২ থেকে। সেটাই ছিলো আমার জীবনের নিজের হাতে পুতুল নাচের অভিজ্ঞতা। ~~তা না না না নাচো তো দেখি আমার পুতুলসোনা~~~ !!! জীবনের প্রথম পুতুল নাচের ইতিকথা!!!
সেই ছোট্টবেলায় বিটিভিতে দেখা গল্পদাদুর পুতুল দিয়ে বলা গল্পগুলি আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখে কল্পনার রাজ্যে ডানা মেলে দিতাম। বসে বসে ভাবতাম কেমন করে কথা, বলে গান গায় আর নাচে এই নিস্প্রান পুতুলগুলো। আমার জুতোর বাক্সের পুতুলগুলো তো কোনো কথা বলে না, হাঁটতে চলতেও জানে না। এমন সব ভাবনায় ভেসে যেতাম আমি আমার ছেলেবেলায়। ঠিক কিভাবে যে এই পুতুল নাচ বা পাপেট শো বানাতে হয় সেসব জানবার কোনোই সুযোগ ছিলো আমার ছেলেবেলায়।
কিন্তু আমার বড়বেলায় এসে গেলো সেই সুযোগ। তখন ২০১২ সাল। আমার স্কুলে পহেলা বৈশাখের মেলা হবে। মিটিং এ কি কি আইটেম হবে সেই নিয়ে কথা হচ্ছিলো। কে যেনো বললো পাপেট শো আনতে পারি আমরা। সেই সময় পাপেট শো আনা এক ব্যয়বহুল ব্যপার ছিলো। তো ভাবনা চিন্তা করছিলাম আমরা। চিরকালের পন্ডিৎ আমি সকল কাজের কাজী ধরেই নিলাম এটা মনে হয় আমি পারবো। কি ভেবে বলেছিলাম জানিনা। মনে হয় আমার দুঃসাহসের জোরেই। কিন্তু আমাদের প্রিন্সিপ্যাল ম্যাম আমার উপর ১০০% ভরষায় ইয়েস করে দিলেন। আমিও অকুল পাথারে কোনো কূল কিনারা না জেনেই ঝাঁপ দিলাম।
তবে হ্যাঁ ঝাঁপ দেবার পরই দেখলাম আমি একা নই, সাথে আমার প্রিয় স্কুল এবং এই স্কুলের প্রতিটি মানুষ, ইট কাঁঠ বালুকনারাও আমার সাথে, আমার পাশে। আমি আসলে নিজেও জানতাম না পুতুল নাচের পিছে যে এতকিছু থাকে। ডুব দেবার পরই জেনেছিলাম সাউন্ড মিউজিক একশন হা হা । শেষ মেষ একতাই বলের কারনেই ১০০% সফলতার সাথে শেষ হয়েছিলো সেই পুতুল নাচের আয়োজন। আমরা প্রমান করেছিলাম টিমওয়ার্কের আবশ্যকতা। এরপর এই ১১ বছরে আমরা করেছি-
১। পাপেট শো ইশপের গল্প- রাখাল ছেলে ও বাঘ -২০১২
২।পাপেট শো বাঙ্গালীর হাসির গল্প- জসীম উদ্দীনের জিদ- ২০১৪
৩। পাপেট শো গ্রামবাংলার চিরন্তনী গল্প - পান্তাবুড়ি -২০১৫
৪। পাপেট শো গ্রামবাংলার চিরন্তনী গল্প - পান্তাবুড়ি -২০১৬
৫।পাপেট শো বাঙ্গালীর হাসির গল্প- জসীম উদ্দীনের কুঁজো ও সাত ভূত-২০১৭
৬।পাপেট শো বাঙ্গালীর হাসির গল্প- জসীম উদ্দীনের আয়না ২০১৮
৭।পাপেট শো বাঙ্গালীর হাসির গল্প- জসীম উদ্দীনের বোকা জামাই - ২০১৯
৮। পাপেট শো - শায়মা হক- করোনা ভাইরাস ও হাবু -২০২১
৯। পাপেট শো শায়মা হক যাচ্ছে গাবু স্কুলেতে ২টি বছর পরে - ২০২২
১০। পাপেট শো উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী- গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েন- ২০২৩
এই গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েন করতে গিয়ে কিন্তু ভালোই হিমশিম খেয়েছি আমরা। এত্ত এত্ত পুতুল, এত রকম ভয়েস মিক্সিং, এত রকম গান, এত্ত রকম ব্যাকগ্রাউন্ড! সে এক এলাহী ব্যপার স্যাপার! কিন্তু হিম খাই আর শিমই খাই আমাদের আছে একতাই বল। আর সেই বলের জোরেই মোটমাট ২০ টা পুতুল সজ্জায় লেগে গেলো আমাদের স্বেচ্ছাসেবী টিচারেরা। সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লো রাজার পোশাক বানাতে, রাজা, মন্ত্রী সেপাহীর জুতো তলোয়ার এমনকি ভূতের ঝোলা, পোটলা সবই বানিয়ে ফেললো তারা একে একে। সে এক সাজ সাজ রব। মনে হয় যেন ছোট্টবেলার হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোই বুঝি ফিরে পেয়েছিলো বড় বেলার টিচারেরা।একটা কথা বলে রাখি আমরা বড়বেলার টিচারেরা কিন্তু আসলে ছোটবেলাতেই থাকি। যেমন স্কুলের ক্লাসরুমগুলোতে আমরাও হয়ে যাই ছোট্ট বাবুদের বন্ধু। ওদের মতই কথা বলি, ওদের মতই হাসি এবং কাঁদিও। কিন্তু যে সব দিনে স্কুল বন্ধ থাকে শুধুই টিচারেরা কোনো কাজে আসে সেসব দিনে স্কুলের মাঠেও আমরা হই হই মেতে উঠি, নিজেদের বয়স ভুলে হয়ে যাই ছোটদের মতই। কানামাছি, ছুয়াছুয়ি ছবি তোলাতুলি হা হা। আসলেই এমন আনন্দময় কর্মজীবন আমাদেরকে ভুলিয়ে দেয় সকল দুঃখ বেদনা জীবনের না পাওয়া বিষাদগুলো।
ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া মনে হয় আমার এক অন্যন্য বৈশিষ্ঠ। এত বক বক করা ছোট থেকেও অভ্যাস হলেও বাচ্চাদের টিচার হবার পর সে অভ্যাস মনে হয় বেড়ে গেছে আমার।বলছিলাম পাপেট শো এর কথা। আমাদের বড় বড় কিন্তু সব ছোট্ট বেলার পুতুল ভালো লাগার টিচারেরা নিজেদের ওড়না কেটে, দুল, মালা, চুড়ি লাগিয়ে বানিয়ে ফেললো রাজা বাদশা সেপাহী গ্রামের লোক হাড়ি কুড়ি সবই। আর রাজকন্যাদের কথা কি বলবো! তাদের রুপে আর পোশাকে আর গহনাগাটি দেখে চোখ জুড়ায় মন ভুলায়। আহা মরি মরি।
এবারের পাপেট শো গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েনের কাজ শুরু করেছিলাম সেই সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় বসে। খুব স্বল্প সময়ে গল্প কোনটা নেবো চুজ করতে করতে কিছু সময় কেটে গেলো। শেষ মেশ সাবাস্ত্য হলো গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েন।তড়িঘড়ি স্ক্রিপ্ট লিখে তারপর সেটা পড়ে পড়ে রেকর্ডিং। অন্য সময় এই রেকর্ডিং করতে হলে আমার কান্না পায়। তার কারণ আমার বাসার আশপাশে গাড়ি ঘোড়ার প্যা পো সাউন্ড। কিন্তু এবারে একটা টু শব্দও ছিলো না আশে পাশে। ঠিক যেন সাউন্ড প্রুফ রুমে রেকর্ডিং হলো। যাও বা কিচিমিচি ভেসে এসেছিলো পাখ পাখালীর তাও যেন নৈস্বর্গিক পরিবেশের প্রাকৃতিক শব্দ। যাইহোক সে সব কেটে কুটে বিভিন্ন ভয়েস বানিয়ে জোড়া দেওয়া, সেসব নিয়ে টাইমের ভেতরে নিয়ে ভেগাসপ্রো নিয়ে বসে থাকা। আমার জ্বালায় বাসার সবার মনে হয় মুখস্থ্যই হয়ে গেছে গুপী আর বাঘার ডায়ালগগুলো।
এবার পাপেট শো এর বক্স বা স্টেজটা বানানো। সেটার দায়িত্ব নিয়ে নিলো আর্ট টিচার। আমি চোখ বুজে নিশ্চিন্ত মনে তার উপর ছেড়ে দিলাম সে দায়িত্ব। সেও ঠিক আশার চাইতেও বেশি কিছু সুন্দর এক বক্স হাজির করলো। মেধা বুঝি একেই বলে তাক লাগানো চোখ ধাঁধানো মনের মত পুতুলের বাক্স। তাতে আমার আহলাদ বেড়ে গেলো আহলাদী আমির। বললাম একটু পর্দা দিলে ভালো হত না। সে বললো কোনোই ব্যাপার না হত হত ভালো হত। লাগিয়ে দিচ্ছি দু মিনিটেই। তারপর আমি বললাম এতে একটু লাইট সেট করলে ভালো হত না। সে বললো সেটাও কোনোই ব্যপার না আমার কাছে। সেটাও হলো। আমি তো করিৎকর্মা এই মেয়ের কান্ড দেখে অবাকের উপর অবাক! যাইহোক স্টেজবক্স রেডি, পুতুলগুলো সব আমাদের টিচারদের ভালোবাসার অনুরাগে সুন্দরের উপর সুন্দর হয়ে রেডি, ভয়েস রেডি রেকর্ডিং এর কাজ বাকী তখনও মানে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভূতের সাউন্ড, জঙ্গলের সাউন্ড রাজ দরবারের সাউন্ড কত শত রং ঢং আমাদের! সেটা তখনও বাকী। ভাবলাম বাসায় বসে ছুটির একটা দিনে সেরে নেবো। ওমা দুইটা দিন গেলো তবুও বসতে পারি না। আমাদের বাসায় যেন গেস্টের মেলা। তাদের জ্বালায় আমার এই কাজটাই আটকে গেলো। বললাম এই পাপেট টিমের একনিষ্ঠ সদস্য শেহরিনাকে। । সেও বললো নো চিন্তা। ব্যস আমাদের পাপেট টিম যেটাই বলে সেটাই করে ছাড়ে সেতো আমরা সবাই জানি।সব কিছু ঠিকঠাক। তারপর রিহিয়ারসেল শুরু হলো। এটা হয় তো ওটা হয় না আর সাথে হাসতে হাসতে মরি আমরা। এই বক্সে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জিং প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। আমি নিরাশ! লাগবেনা ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু আমি কষে ধরি হাল তো তারা টেনে তোলে পাল। এগিয়ে এলো একেকজন একেক বুদ্ধি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জও হলো। গাঁয়ের মেঠো পথ। জঙ্গল এবং রাজ দরবার। বাহ বাহ কোনো অংশেই কম নহে!
এরপর পাপেট শো শুরু। সকল মিডিয়া রেডি। দর্শক ক্ষুদে ক্ষুদে মানুষগুলো আর তাদের বাবা মা, দাদু দিদারা। শুরু হলো পাপেট শো। গুপী বলে সা....... তারাও সা....... গুপী বলে রে ....... তারাও রে ....... বাঘার ঢোলকের সাথে সাথে মুখ দিয়েই বাঁজে তাদের ঢোল। এর মাঝে এলো ভূত! ব্যাস আর যায় কোথা! সবগুলা উ উ উ আআআ করে এমনই চিৎকার। কারণ কিছুই না। আমাদের পাপেট ভূতেদের অসাধারণ অভিনয়। আর তার পিছে যে পাপেটিয়ার ছিলো সেই ছিলো এই শো এর সবচেয়ে ভালো অভিনেত্রী। একটা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার তার অবশ্য প্রাপ্য। আর কার কথাই বা না বলবো। গুপী গায়েন যে গানটাই না গাইলো। বাঘা বায়েন ছিলাম আমি তো আমি বাঘা বায়েন হয়ে যে নাচটাই নাচলাম। আরও ছিলো রাজা সান্ত্রী সেপাই গ্রামের মানুষ জন লোক লস্কর এবং অনন্য সুন্দরী রাজকন্যাদ্বয়। এই অসাধারণ প্রতিভাধর পুতুলগুলির পিছের পাপেটিয়ার ও রুপসজ্জাকারীদের জন্য যোগ্য উপহার কি তাই ভাবছি।
যাইহোক এই ছিলো আমার এবারের পুতুল নাচের ইতিকথা। এই গল্পের মোরাল ছিলো- একনিষ্ঠতা এবং সততা যে কোনো কাজেরই সফলতার চাবিকাঁঠি। সত্যজিৎ রায় তার গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েন নির্মাণের ১১ বছর পর এর সিকুয়াল হীরক রাজার দেশে ও ৯০-এর দশকের গোড়ায় সন্দীপ তৃতীয় পর্ব গুপী বাঘা ফিরে এলো নির্মাণ করেন। আমি নেক্সট ইয়ারেই হীরক রাজার দেশে পাপেট শো করার ইচ্ছা প্রকাশ করছি আর বেঁচে থাকলে তারপর পুত্রের নির্মিত গল্প নিয়ে তার পরের বছর।
মূল গল্প-
গুপি গাইন ও বাঘা বাইন-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
আমার স্ক্রিপ্ট-
গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েন
লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
সময়- ৮ মিনিট
১ম দৃশ্য
আনন্দ: আমি আনন্দ
খুশি: আর আমি খুশি। কেমন আছো তোমরা সবাই? নিশ্চয়ই খুব আনন্দ আর খুশিতে আছো।
আনন্দ: আমরা আনন্দে বাঁচতে চাই ও সকলকে আনন্দ ও খুশিতে রাখতে চাই।
খুশি: তাই আমাদের নাম আনন্দ আর খুশি। আজ আমরা তোমাদের সবাইকে একটা মজার গল্প বলতে চাই। মজা মানেই আনন্দ আর আনন্দ মানেই খুশি।
খুশি: আচ্ছা কোন গল্পটা বলোতো?
আনন্দ: বলছি বলছি। একটু সবুর করো। সেই মজার গল্পটা হলো গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েনের গল্প।
গুপী গায়েন স্টেজে আসবে।
ন্যারেটর- গুপী গায়েন গান গাইতে খুবই ভালোবাসতো কিন্তু সে একটা মাত্র গানই জানতো কিন্তু গুপী গায়েনের গ্রামের আর কেউ কিছু গাইতে পারত না, তাই তারা তাকে নাম দিয়েছিলো গুপি ‘গাইন’। গুপি যদিও একটা গানই জানতো তবে যখন সে গান গাইতো চারিদিকে যে যেখানে থাকতো সব ছুটে পালাতো। এমনই বিদঘুটে বিকট আর ভয়ংকর ছিলো সেই গান। শোনো তাহলে তার সেই গানটা কেমন ছিলো-
গুপী- সা আ আ আ আ আ আ আ আ আ ( বিকট স্বরে)
ন্যারেটর- তার গানে অসহ্য হয়ে গ্রামের লোকজন সবাই মিলে একদিন তাকে তাড়া করলো। গুপী ভয়ে দৌড়ে বনের মধ্যে পালালো।
গাঁয়ের লোকজন- ধর ধর মার মার বের করে দে গ্রাম থেকে...
গুপী- ওরে বাবারে মারে বাঁচাও... বাঁচাও........
দৃশ্য - ২
গুপিদের গ্রামের কাছেই আরেকটা গ্রামে একজন লোক থাকত, সে ঢোলক বাঁজাতে বড় ভালোবাসতো সকলে তাকে বলত ‘বাঘা বাইন’। শোন তাহলে বাঘা বাইন কেমন করে ঢোলক বাঁজাতো....
(ঢোলকের শব্দ)গুপী চলে যাবে ঢুকবে বাঘা বায়েন ঢোলক হাতে।
কিন্তু দিন রাত অনবরত তার ঢোলকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন গ্রামের সকলে মিলে মোটা মোটা লাঠি নিয়ে তাকেও তাড়া করলো।
গাঁয়ের লোকজন- ধর ধর মার মার বের করে দে গ্রাম থেকে...
বাঘা বায়েন দৌড়ে বনের মধ্যে ঢুকে প্রাণ বাঁচালো।
(ব্যাকগ্রাউন্ড- জঙ্গল।একদিক থেকে তাড়া খেয়ে আরেক দিক দিয়ে ঢুকবে।)
একদিন দুজনের দেখা হয়ে গেলো। ভারি আশ্চর্য হয়ে গুপি জিজ্ঞাসা কর,
-‘তুমি কে হে?’
- আমি বাঘা বায়েন।
- তুমি কে হে?
- আমি গুপী গায়েন...
বাঘা- তুমি যেমন গায়েন আমিও তেমন বায়েন,
দু'জন মিলে বাঁচবো এবার ফাইন....
সেই আনন্দে দুজনে মিলে খুব ঢোলক বাঁজাতে আর গান গাইতে লাগলো। এক ঘণ্টা দুঘণ্টা ক’রে দুপুর রাত হয়ে গেল, তবু তাদের সে গান থামলোই না। এমন সময়
গুপী- ও বাঘা দাদা চারদিকে একটা কি কাণ্ড হচ্ছে। ঝাপসা ঝাপসা কালো কালো, এই বড় বড় কি যেন সব গাছের উপর থেকে উঁকি মারতে লেগেছে??
বাঘা- ঠিক ঠিক তো। তাদের চোখগুলো জ্বলছে, যেন আগুনের ভাটা, দাঁতগুলো বেরুচ্ছে যেন মুলোর মত।
- মোটা ভূত- ঐ তোরা গান থামালি কেনো হ্যা????
গুপী - ভয়ে ভয়ে- ভূত দাদা আমরা দুঃখিত। আমরা আজই বন ছেড়ে চলে যাবো কোনোদিন আর গানও গাইবো না।
মোটা ভূত ধমক দিয়ে- চুপ!!! কেনো গাইবি না! একশোবার গাইবি! আমাদের এই গান খুব পছন্দ হয়েছে।
তারপর তারা দুজনে ঢোল নিয়ে ভূতেদের বাড়ি চলল। সেখানে গানবাজনা যা হল, সে আর বলে কাজ নেই। তারপর তাদের বিদায় করবার সময়
ভূতের রাজা - ‘তোরা কি চাস?’
গুপি - ‘আমরা এই চাই যে আমরা যেন গেয়ে বাজিয়ে সকলকে খুশি করতে পারি।’
ভূতের রাজা- ‘তাই হবে, তাদের গানবাজনা শুনলে আর সে গান শেষ হওয়াব আগে কেউ সেখান থেকে উঠে যেতে পারবে না। আর কি চাস?’
বাঘা- ‘আর এই চাই যে আমাদের যেন খাওয়া-পরার কষ্ট না হয়।’
ভূতের রাজা- এই ধর এই থলে। ‘তোরা যখন যা খেতে বা পরতে চাস,এই থলের ভিতরে হাত দিলেই তা পাবি। আর কি চাস?’
গুপি - ‘আর কি তা ত বুঝতে পারছি না!’
তখন ভূতেরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলো।
ভূতের রাজা- এই নে দুই জোড়া জুতো। ‘এই জুতো পায়ে দিয়ে তোরা যেখানে যেতে চাইবি, অমনি সেখানে গিয়ে হাজির হবি।’
গুপী- আর বাঘা- মনের আনন্দে গান গাইতে লাগলো আর ঢোলক বাঁজাতে লাগলো। ভূতের রাজা দিলো বর...
গুপী বললো- চলো জুতো আমাদেরকে রাজার সামনে নিয়ে যাও।
দৃশ্য- ৩
বলতেই অমনি সেই জুতোর গুণে, তারা তৎক্ষণাৎ রাজামশায়ের সামনে উপস্থিত হল। উপস্থিত হয়েই গান গাইতে লাগলো।
মহারাজা তোমারে সেলাম সেলাম সেলাম
আমরা বাংলাদেশের থেকে এলাম।
রাজামশাই বিষম রাগে-এ্যই এ্যই কে রে তোরা? কি চাস এখানে? সেপাহী, মন্ত্রী ধরো এদেরকে। চোর চোর ডাকাত ডাকাত।
সেপাই ধরে ফেললো গুপী আর বাঘাকে। তাদের হাত বেঁধে মারতে মারতে একটা অন্ধকার ঘরে নিয়ে ফেলে রাখল। কিন্তু তাতে কোনো সমস্যাই নেই-
বাঘা- হে হে হে থলে ভাই ‘আমাদের দুজনের রাজপোশাক চাই।’
গুপী- এবার ভূতের জুতো আমাদেরকে রাজবাড়ির সামনে বেড়াতে নিয়ে যাও।
তাদেরকে দুর থেকে তাদের আসতে দেখেই রাজার লোক ছুটে গিয়ে রাজাকে খবর দিলো।
লোকজন- ‘মহারাজ, মহারাজ দু'জন রাজা আসছেন।
রাজাও তা শুনে তাঁর ফটকের সামনে এসে দাঁড়ালেন। বাঘা আর গুপিকে সাদর আমন্ত্রনে অতিথিশালায় নিয়ে গেলেন।
এদিকে রাজামশাই সভায় ফিরে এলে পেয়াদা তার কানে কানে বললেন,
পেয়াদা- ‘মহারাজ, একটা কথা আছে, এই দু'জন লোক কোনো রাজা নয়। আমরা যাদেরকে বন্দীশালায় বন্দী করে রেখেছিলাম তারা উধাও। এরা সেই লোক। এরা কোনো মানুষ নয়। এরা ভূত।
রাজা- ভূূু ঊঊঊঊ ত! এখন কি হবে এই দুজনকে পুড়িয়ে মারতে হবে। খাওয়া দাওয়ার পর যখন তারা ঘুমাবে। অতিথিশালায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভূত দুটোকে মারতে হবে।
এই উদ্দেশ্যে তারা অতিথিশালায় আগুন লাগালো কিন্তু খাওয়া দাওয়ার পর গুপী আর বাঘা না ঘুমিয়ে বারান্দায় এসে ঢোল বাজিয়ে গান জুড়ে দিলো। তখন কারু সেখান থেকে নড়বার জো রইল না, সকলকেই পুড়ে মরতে হল। ততক্ষণে গুপি আর বাঘাও আগুন দেখতে পেয়ে, তাদের জুতোর জোরে, তাদের ঢোল আর থলেটি নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দিল। গুপি আর বাঘা সেই আগুনের ভিতর থেকে পালিয়ে বনে এসে প্রাণ খুলে গানবাজনা করতে লাগল।
দৃশ্য- ৪
গান- দেখো রে জগতের বাহার
এক দল ডাকাত আরেক দেশের রাজার ভাণ্ডার লুটে, তার ছোট ছেলে দুটিকে চুরি ক’রে পালিয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু গুপী আর বাঘার গান শুনে আর তারা নড়াচড়া করতে পারলো না। রাজা ডাকাতগুলিকে তাই সকাল বেলা গান থামতেই ধরে ফেললো। রাজা গুপি আর বাঘার উপর খুব খুশি হলো কারণ তাদের ভয়ংকর গান আর ঢোলকের বাজনা আর ভূতের দেওয়া বরের কারণে ডাকাতেরা নড়তে পারেনি সারারাত। রাজা খুশি হয়ে বললেন,
রাজা- তোমাদের কারণেই আমি আজ এই ডাকাত ধরতে পেরেছি। আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি।‘তোমরা আমার সঙ্গে চলো!’ আমার রাজ্যের অর্ধেক আর আমার দুটি কন্যা তোমাদের দুজনকে দান করলাম।’
তখন খুবই একটা ধুমধাম হল। গুপি আর বাঘা হাল্লার রাজার জামাই হয়ে পরম আনন্দে সঙ্গীত সাধনা
করতে লাগল।
আনন্দ- দেখলে তো বন্ধুরা তুমি যদি তোমার কাজে একনিষ্ঠ ও সৎ হও তবে তুমি সফল হবেই
খুশি- আর তোমার কাজে মানুষেরাও উপকৃত হবে। আনন্দিত হবে খুশি হবে।
আনন্দ- ভালো থেকো তোমরা সবাই। বিদায় বন্ধুরা।
অপরিসীম ব্যস্ততা ও সময় স্বল্পতার পরেও এই পাপেট শো পরিবেশিত হবার পর বাচ্চাদের উচ্ছাস দেখে আমরা অবাক হয়েছি, আনন্দিত হয়েছি। আর এটাই আমাদের সফলতা ও সার্থকতা।
রিহিয়ারসেল রেকর্ডিং
আমার পাপেট শো২০২৩- গুপী গায়েন ও বাঘা বায়েন
এরপর যখন তা ছোট ছোট পুচ্চিপাচ্চার সামনে পরিবেশিত হলো তখন তাদের উচ্ছাস এই ভিডিওতেই দেখো-
পাপেট শো- গুপী গায়েন ও বাঘা বায়েন
আর আমরা পাপেট শো টিমের পাপেটিয়ারেরা-
আর এই যে আমার পাপেট শো এর স্টিক পাপেটেরা-
সবাইকে বসন্তদিনের শুভেচ্ছা.....
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: কিন্তু আপুনি এই পাপেট শো করতে গিয়ে আমার এইবার তেরোটা বেঁজে গেছে।
যেমনই বড় গল্প তেমনই এত এত ক্যারেকটারস। আমি হিম শিম খেতে খেতে শেষ!
অনেক কষ্টে সাড়ে নয় মিনিটে টেনেটুনে এনেছি।
বাঙ্গালীর হাসির গল্প থেকে অনেকগুলা পাপেট শো করেছি আপুনি।
আমার প্রিয় শিবরাম থেকেও করতে হবে।
তোমারও নিশ্চয় শিবরাম প্রিয় তাই না?
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৫
মেহবুবা বলেছেন: ঘুম ঘুম চোখে ঠিকমত পড়তেও পারছি না, পরে ভাল করে পড়তে হবে। শুভরাত্রি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১১
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা ভালো করে পড়ো ঠিক আছে কিন্তু ভিডিওটাও দেখো।
একটা প্রাকটিসের সময়ের আরেকটা বাচ্চাদের কিচির মিচিরসহ অনুষ্ঠানের সময়ের।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খূব ভালো লাগলো। অনেক পরিশ্রম করেছেন। ১৯৮৬ সালে শাহিন স্কুলের মিনা বাজারে প্রথম পুতুল নাচ দেখি। ওটাতে হাতের আঙ্গুলে সুতা বেঁধে পুতুলগুলিকে নাচানো হচ্ছিল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৩
শায়মা বলেছেন: পরিশ্রম মানে শুধুই পরিশ্রম না এইবার তেরো চৌদ্দ পনেরো সবই বেঁজেছিলো।
এখন বার রাত দিন তা তা থই থই নাচছি।
৩ তারিখে তাদের নাচ।
বাচ্চারা বলে বাসায় এসেই নাকি বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ে এতই টায়ার্ড থাকে আর আমি বাসায় আসার আগেই পারলে ঘুমাই।
কিন্তু হায় কাজ রেখে কেমনে ঘুমাই!
আমার সাধের ব্লগ পড়তে লিখতেও পারিনা ।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
অষ্ট্রেলিয়ায় পূনরজ্জীবিত গায়েন আর বায়েন এবার আপনার ব্যাগেজে চড়ে বাংলাদেশে এসে আমাদের চোখের আড়ালে যে ষ্টেজ শো করে গেলো তা নিয়ে আপনি অনেক বকবক করে গেলেও পোস্টের চকচকে ভাব কিন্তু আমাদের চোখ এড়ায়নি।
ছবিতে দেখানো জ্যান্ত পাপেটগুলোই বেশী ভালা...... এরা নাচেও নি, কাঁদেও নি কেবল পোজ দিয়েছে সাজুগুজু করে !!!!!
তবে এটা ঠিক, আপনি সৃজনশীল কর্মকান্ডে প্রান ঢেলে লেগে থাকেন যা আপনাকে সদা আনন্দময়ী, লাস্যময়ী এবং প্রানবন্ত করে রাখে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২১
শায়মা বলেছেন: হা হা জ্যান্ত পাপেটগুলোর মধ্যে বেগুনী রঙ্গ জামদানীটা সবচেয়ে বেশি ভালো তাই না ভাইয়ু!!!
এরা তো নাচে কাঁদে না শুধু হাসে। কত্ত ভালো তাইনা!!!!!!!
হ্যাঁ যত কষ্টই হোক না কেনো এই সব আনন্দময় কাজের পরের সফলতা ( কোনো বিফলতা নেই এত প্রান ঢেলে দেই, বিফলতা পালিয়ে বাঁচে হা হা ) আসে যখন সেই আনন্দের সাথে কিছুর তুলনা নেই।
ভাইয়া ইউটিউবে দিয়েছি। ভিডিওটা দেখলেই বুঝবে বাচ্চারা হে হে হা হা করতে করতে শেষ।
আর ভূত আসলে তো কথাই নেই। এমনই চিৎকার জুড়েছিলো যে আমরা কথাই শুনতে পাইনা।
তবে হ্যাঁ এই আনন্দ দেখে তাদের চাইতেও আমরাই আনন্দিত।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পাপেট শো আমার খুব প্রিয়।
বাংলাদেশে মোস্তফা মোনোয়ার স্যার এটাকে পপুলার করেছিলেন।
পাপেটিয়ারদের একজনের কানের ফুল এতোটাই বড় হয়ে গিয়েছে যে মুখটা ঢেকে ফেলেছে!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া পাপেট শো আমারও অনেক অনেক ভালো লাগে সেই ছোট থেকেই।
তবে নিজে কখনই করতে পারবো জানা ছিলো না নিজেরই।
মুস্তাফা মনোয়ার স্যার আমাদের পাপেট শোও দেখেছিলেন একসময়।
এখন উনি বেশ অসুস্থ্য। তবে ঢাকা পাপেট থিয়েটারে আমরা পাপের মেকিং ওয়ার্কশপ করেছি। পরেরবার সুতার পুতুল আর ৬ আউন্স ওজনের পুতুল বানাবো।
আরেকটা কথা মুস্তাফা মনোয়ার স্যারের পুতুলনাচের সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক ইতিহাস আছে জানো?
আর ঐ কানের দুল বড় হয়ে মুখ ঢেকে যাওয়া টিচার উনি ছবি তুলেন না আর তুললেও সেটা কোথাও শেয়ার করা পছন্দ করে না তাই তার সেই কথার সন্মানার্থে ওমন করে ঢেকে দেওয়া হলো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৭
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
জ্যান্ত পাপেটগুলোর সবাই-ই ভালো তবে এক্কেবারে শেষে বসন্তদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তো, তাই উচিৎ ছিলো সবাই-ই বাসন্তী রং জামদানী আমদানী করে গায়ে চড়াবেন! তা নয়, যেমন খুশি সাজো ষ্টাইলের শাড়ীর রং!! মনে হয়, বসন্তদিনে নয় " কলেরাদিনে" এই পাপেট শো হয়েছিলো...
বসন্তের ফিরতি শুভেচ্ছা জ্যান্ত পাপেটদের সবাইকে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কলেরার রং বুঝি নানা বর্ণের !!!!!!!!!!!
তুমি রংধনু বলতে পারতে। বুঝলাম ডক্টর হয়ে মনের রং ঢং সব কলেরা রং হয়ে গেছে!
আর মনে রেখো এটা বসন্তের আগে ভাগে হয়েছে।
বসন্তের ছবিগুলি আনলে তো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে ভাইয়ুমনি!!
তখন তো ভুলভাল কলেরা না এক্কেবারে খাঁটি কলেরাই মনে হবে তোমার!!
গেছি!!!!!!!!!!!!!
যাইহোক যাচ্ছিলাম স্কুলে। তোমার এই মন্তব্য দেখে হাসতে হাসতে মরলাম।
লগ করতেই হলো!!!
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পাপেট শো এদেশের শিল্প সংস্কৃতিতে প্রাচীন ঐতিহ্য- হলেও এখন বলতে গেলে এটি
একটি মৃতপ্রায় শিল্প, । একে টিকিয়ে রেখে প্রাণ সসঞ্চালন করা একটি মহতি কর্ম বটে ।
মানুষে-পাপেটে জমজমাট হয়ে উঠছে তোমার গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েন পাপেট শো ।
নির্দেশনা, আলো প্রক্ষেপন এবং পাপেট-মাপেট সঞ্চালনা বেশ দক্ষতাপুর্ণ কাজ ।
এ কাজটি সুন্দরভাবে সমাপন করে তার একটি সচিত্র বিবরণ মুগ্ধ
করেছে আমাদের সকলকেই ।পাপেটের মতই বলি -
আই ড্যান্স দ্য ওয়ে ইউ মেক মি ড্যান্স
পাপেটকে যায় না দেয়া দুশ কোন ভাবেই
জয় হোক পাপেট গুরু ও সকল পাপেটিয়ার টিম মেট দের ।
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে নিলাম
শুভেচ্ছা ইল
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া অনেক অনেক ভালোবাসা।
এই পাপেট শো আমরা শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসাবেই পরিচালনা করছি।
এই পাপেটের মোরাল ছিলো একনিষ্ঠতা ও সততা যে কোনো কাজেরই সফলতার বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য।
তবে যত বেশি ক্যারেকটার তত বেশি ঝামেলা হয়ে ওঠে।
আর এই পাপেটশো গুলির ভয়েস সব আমি একা দিয়েছি তারপর ভয়েস চেঞ্জারে দিয়ে দিয়ে আবার সব একসাথে জোড়া দিয়ে অডিও রেডি করেছি।
আগে লাইভ করতাম। এখন রেকর্ডিং করে নেই।
এটাই সবচাইতে কষ্টের মনে হয়।
অনেক অনেক থ্যাংকস প্রি্যে নেবার জন্য ভাইয়ামনি।
নিশ্চয় তোমার শরীর ভালো আছে। এই প্রার্থনা করি।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার হীরক রাজার দেশে পাপেট শো এর জন্য অগ্রিম শুভকামনা।
বসন্ত দিনের শুভেচ্ছা তোমায়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ।
এখন থেকেই স্ক্রিপ্ট লিখে রাখবো ভাবছি!
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
বিশাল জব আপু, অনেক পরিশ্রম।
আমাদের বাসায় যেন গেস্টের মেলা। তাদের জ্বালায় আমার এই কাজটাই আটকে গেলো।
এই পোষ্ট সেই গেস্টদের কারো চোখে পড়ার সম্ভাবনা নেইতো
পাপেট শো টিমের শেষের ছবিটা ফুল দিয়ে ঢেকে রাখা দেখে মজা পেলাম।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শায়মা বলেছেন: আসলেই হিমশিম খেয়েছি এবার। কারণ অন্য সময় পহেলা বৈশাখে এই পাপেট শো হয় কিন্তু এবার রমজানের কারণে সব কিছুতেই তড়িঘড়ি হয়ে গেলো।
না গেস্টরা কেউ আমার ব্লগ পড়বে না আশা করি।
যার ছবি ফুল দিয়ে ঢাকা সে হজ্জ্ব করার পর থেকে আর কোথাও ছবি প্রকাশ করতে চায় না। তাই সেটা ঢেকে দিলাম।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: প্রথম পাপেট শো দেখি যশোর টাউন হল মাঠে।অনেক আনন্দ পেয়ে ছিলাম।কি একটা বাশি দিয়ে যেনো কথা বলে,সেটা বেশ মজার।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
শায়মা বলেছেন: সেটা পাতার বাঁশি ভাইয়া।
সেই ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচের কথা কি বলবো কি যে মজার। একজন একপাশে বসে ঢোলক বাঁজায় আরেকজন কথা বলে গান গায় কিন্তু কিছুই বুঝা যায় না যে তাদের ঠোঁট নড়ছে।
আমি এই পাপেট শো করার কারণে ঢাকা পাপেট থিয়েটারের সাথে জড়িত। প্রতি বছর ওদের নানা রকম পাপেট শো হয়। কাঁঠি
পুতুল, সুতা পুতুল, ছায়া পুতুল আরও কত কি।
তখন ওরা এনেছিলো এক অনুষ্ঠানে ওমন পাতার বাঁশি আর সুতায় ঝোলানো পুতুলগুলি।
সেই সেট আপ এক বিশাল ব্যাপার। অনেক অনেক মজারও।
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার! অসাধারন সুন্দর আর সৃজনশীল প্রয়াশ! অভিনন্দন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ফুলের মত এক রমণীর চেহারা ফুল দিয়ে ঢাকা কেন?
স্ক্রিপ্ট টা পড়ি নাই। পাপেট শো পরিবেশনের পেছনের গল্প পুরোটাই পড়া হোল। চমৎকার টিম-মেট পেয়েছেন আপনি।
সেইরকম কিছু করে দেখিয়েছেন। আমাদের সামুতে এমন একজন গুণী মানুষ আছেন ভাবতেই ভাল লাগে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শায়মা বলেছেন: কারণ উনি হজ্জ্ব করার পর থেকে কোথাও তার ছবি প্রকাশ হোক এটা চাননা। তাই এই ছবিতে তাকে ঢেকে দিলাম।
ভাইয়া আমি অনেকগুলা টিমের সাথে আছি এবং টিমলিডার হিসাবে। আমার টিমের বৈশিষ্ঠ সবাই রাজা আমাদের সেই টিমের রাজত্বে। সবাই মনের মাধুরী মিশিয়ে কাজ করে। কেউ সেটাকে কাজই ভাবে না ভাবে তাদের মজার খেলা। যখন তারা বলে এমন হবে দেখো তো তেমন হবে? আমি বলি হবে হবে......তখন তারা আশাতীত ভালো কিছু করে আনে। আর আমার পছন্দ না হলে আমি নিজেই বসে যাই। বলি, দেখি তো এমন করে হলে কেমন হয়? তেমন করলে কেমন হয়?
এই কাজ আমি অনেকদিন ধরেই করছি। এক যুগ হয়ে গেলো ভাইয়া। আরও সব পাপেট শো নিয়ে পোস্টও আছে।
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছোটবেলার ভালোবাসার নাম উপেন্দ্রকিশোর রায়।
দারুন আপনার সৃষ্টিশীলতা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শায়মা বলেছেন: আরও ভালোবাসারা পাভেল বাঝোোভ, সুকুমার রায়, শিবরাম, হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান, গোপাল ভাঁড়ও বটে।
আরও আছে বাঙ্গালীর হাসির গল্প ও ঠাকুরমার ঝুলি.....
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বেগুনী রঙ্গের শাড়ি পড়েছেন। কিন্তু কপালে টিপ পড়েন নি কেন?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
শায়মা বলেছেন: বাপরে ভাইয়া!!!!!!!!!!!
এত দূর থেকেও দেখে ফেললে টিপ পরিনি??????
আমি তো অবাক!!!!!!!!!!
আসলে টিপ আমি শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার সময় পরি আর নাচের সময়। এছাড়া আমার তেমন মনে থাকে না। আর এই পাপেট শো এর দিন খুবই তাড়াহুড়াও ছিলো।
অনেক টিভি কাভারেজে এসেছিলো কিন্তু ভাইয়া।
এই শাড়িটা আমাকে গত বছর বাচ্চারা দিয়েছে ক্লাস ছেড়ে যাবার সময় সবাই মিলে।
আমিও ওদের সবার জন্যই গিফ্ট প্যাক দিয়েছি।
এই শাড়িতে আমার বাচ্চাদের ভালোবাসা ও বাবামায়েদের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।
এতই সুন্দর শাড়িটা সবাই বলেছে আমার শাড়িটাই ফার্স্ট!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩
শায়মা বলেছেন:
টিপ পরিনি বটে তবে আমার শাড়ি নেইলপলিশ আর জ্যুসের চেহারা সবই মিলে গেলো।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: পাপেট শো আমার বেশ লাগে !!! অনেক আগে এলাকার মেলায় পুতুল নাচ দেখেছিলাম ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শায়মা বলেছেন: এবার ইউটিউবে আমারটাও দেখো ভাইয়া।
পুতুলনাচ আসলেও মজার।
আর জগৎ জুড়ে পুতুলনাচের কিছু মহৎ উদ্যোগী কারণও রয়েছে।
যেমন রয়েছে আমাদের মুস্তাফা মনোয়ার স্যারের একাত্তরে অবদান।
পুতুলনাচের মাধ্যমে শিশুশিক্ষা সমাজের নানা সচেতনতা উঠিয়ে আনা সম্ভব।
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: পুতুল নাচটা আমাদের বাংলার ঐতিহ্যের একটা অংশ কিন্তু এটা কেমন যেন আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে চট করেই । শহর অঞ্চল থেকে তো গেছেই গ্রামের মেলা গুলোতেও এখন আর সব দেখা যায় না একদম ।
এগুলো সরকারি উদ্যোগেই করা উচিৎ ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শায়মা বলেছেন: একদম তাই।
শুধু ঐতিহ্যই নয়।
এই পুতুলনাচের মাধ্যমে বিনোদন এবং শিক্ষা দুইই সম্ভব!
১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভালো লাগলো। অনেক পরিশ্রমের ফসল । সুন্দর আয়োজন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া।
১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০
নজসু বলেছেন:
খুব সুন্দর কাজ।
অবশ্যই প্রশংসনীয়।
ধন্যবাদ আপা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০০
শায়মা বলেছেন: অনেক ভালোবাসা তোমাকেও ভাইয়া।
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
রেজাউল৮৮ বলেছেন: সুশিক্ষার জন্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভালো শিক্ষক অতি জরুরী। কুশিক্ষিত লোকেরা গারবেজে পড়ে থাকে, গারবেজ খায় , গার্বেজ তৈরি করে- উদাহরণ আমাদের সামনে বিদ্যমান।
পোস্ট এবং ভিডিও দেখলাম। আর কয়েক বছর পর কন্যা বড় হলে তাকেও দেখাবো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০১
শায়মা বলেছেন: বাপরে!! তোমার আবার কন্যাও আছে!!!!!!!!!!!
আমি তো ভেবেছিলাম তুমি কোনো পিচ্চিপাচ্চা দুত্তু ভাইয়ু হইবেক!
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
একলব্য২১ বলেছেন: গুপী গায়েন বাঘা বায়েন এর স্রষ্টা উপেন্দ্র কিশোর রায় ছিলেন সেটা আমার জানা ছিল না। আমি সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখে ভেবেছিলাম এরা উনারই সৃষ্টি। ভ্রম ভাঙ্গল তোমার কল্যাণে। তবে সন্দেশ নামে উনাদের পারিবারিক ছাপাখানা থেকে একটি শিশুতোষ ম্যাগাজিন বের হতো উপেন্দ্র কিশোরের আমল থেকেই।
পরিশ্রমী পোস্ট। কাজের প্রতি তোমার নিষ্ঠা আমাকে উৎসাহিত করে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০২
শায়মা বলেছেন: আমিও গুপী গায়েন আর বাঘা বায়েনের মতই।
একনিষ্ঠ পরিশ্রমী........ সা আ আ আ আ আ ঢুম ঢাম দিড়িম দাড়াম! হা হা হা
যাইহোক কোথায় লুকিয়েছিলে?
এখন কোথায় আছো?
দেশে নাকি বৈদেশে?
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
শায়মা বলেছেন: আমি তো সুন্দর করেই কথা বলি!
২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি কি পারেন না সেইগুলোর একদিন ব্লগে লিস্ট দেবেন!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
শায়মা বলেছেন: আমি চাইলে সবই পারি!
না চাইলে কিছুই পারি না।
আর সবাই চাইলেই আসলে সবকিছুই পারে।
মনটা হঠাৎ খারাপ হলো ভাইয়া।
গুলশান মানারাত স্কুলের পাশের বিল্ডিং এ আগুন লেগেছে। ঐ বাসায় আমার এক স্টুডেন্ট ছিলো।
যদিও খবর পেয়েছি কেবলই বের হতে পেরেছে তারা।
তবুও মনটা খারাপ।
২৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি পড়ার ধর্য্য আর সময়ের অভাবে এই পোষ্ট শেষ করতে পারিনি গত তিন দিনে। তোমার লেখার ধর্য্য আছে। সামুর উচিৎ ধর্য্যশীল ব্লগারদের প্রতিবছর সামুভেল পুরুষ্কার দেয়া।
কেমন আছো? ব্যস্ত আছো তার উপর এত বড় পোষ্ট ।ফ্রী থাকলে কি হতো ভাবছি।
শুভ কামনা
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
শায়মা বলেছেন: আমার ধৈর্য্যের নমুনা তুমি অনেক আগে থেকেই জানো! কেউ পুরষ্কার দিলো না তুমিই দিলে পারতে!!
এখন পুরষ্কার দাও!
সেই যে হামু ভাইয়ার পোস্টটা পড়োনি!!
যার যত কাজ তার তত অবসর।!
ব্যস্ত মানুষেরাই বেশি কাজ করে আর আলসেরা কিছুই করে না!!
২৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!
২৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপু! চমৎকার কাজ! অসাধারণ ভাললাগা!!
তবে, এই পোস্ট পড়ে আর পোস্ট আর ভিডিও দেখে আমার একটা কথা মনে হচ্ছে, আমরা, মানুষেরাও কিন্তু এক একটা পাপেটই, কেউ একজন অদৃশ্য সুতোর টানে আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
শায়মা বলেছেন: একদম তাই।
অদৃশ্য সুতোর টান!!!
২৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৬
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
পরবাসে।
কি কর। কি বিষয় নিয়ে লিখ/ লিখছ/ লিখবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪
শায়মা বলেছেন: না আমি এখন নিজবাসে।
অনেক অনেক কিছু করছি।
সব বিষয় নিয়েই লিখতে চাই কোনটা ছেড়ে যে কোনটা লিখি!!!
তোমার কি খবর ভাইয়ু?
লাপাত্তা ভাব!
তোমাকে রেগুলার বানাতে তো আমার আরেকখানা সিরিজ লিখতে হবে!
২৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এক কথায় মন্তব্য করা কঠিন।
বেশ সুন্দর
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
২৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
একলব্য২১ বলেছেন: লাপাত্তা ভাব!
তুমি কি অন্তর্যামী। অনেকটা তাই।
তোমাকে রেগুলার বানাতে তো আমার আরেকখানা সিরিজ লিখতে হবে!
বিলক্ষণ।
শায়মা আপু,
পোস্টের ছবিতে তোমাকে অনেক reduced লাগছে। আর ১৪ নম্বর কমেন্টের ছবিতে কি অসাধারণ ম্যাচিং।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪
শায়মা বলেছেন: লা পাত্তা কেনো???
কি নিয়ে বিজি তুমি???
আর আমি বহুরুপী! একেক সময় একেক রকম!
মানে একই দিনেও নানা রকম!
২৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৬
সুমন কর বলেছেন: অনেকদিন পর আজ ব্লগে লগইন করলাম !! আপু, কেমন আছো?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১১
শায়মা বলেছেন: আমি ভালো আছি!
আর আসোই না কেনো ব্লগে?
লিখতে কি আর ভালো লাগেনা?
৩০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১২
একলব্য২১ বলেছেন: লা পাত্তা কেনো???
বৈরাগ্য আসছে মনে।
কি নিয়ে বিজি তুমি???
কি নিয়ে আবার। কাগজ কলম বইপত্র দেশ বিদেশ নিয়ে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
শায়মা বলেছেন: বৈরাগ্য সামুর সাথে!!!
বই পত্রের কাজ কবে কমবে?
৩১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
সুমন কর বলেছেন: সময় পাইনা।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক!
ব্যস্ত জীবন কেড়ে নিচ্ছে সময়.....
৩২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
একলব্য২১ বলেছেন: বই পত্রের কাজ কবে কমবে?
আরও দেড় বছর লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
এই তুমি আমাকে জেরা করছ কেন। ওটা তো আমার কাজ। যা তোমার লেখা পড়ে আমি সচরাচর করি।
একটা কথা বলি শায়মা আপু যারা তোমার সান্নিধ্যে থাকে তারা অনেক ভাগ্যবান। তোমার কাছ থেকে সব সময় একটা পজিটিভ ভাইবস পাওয়া যায়। সুন্দরের পূজারী লড়াকু একজন মানুষ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কথা সত্য!
আমার সান্নিধ্যে যারা থেকেছে তারা ৯৯% মানুষ বলেছে আমার কথা হাঁটা চলা কাজ কর্ম সব তাদেরকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা যোগায়।
বাকি ১% তাদের ভালোবাসার অত্যাচারে এতই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলো যে আমি শেষে ঝাঁড়ু নিয়ে ......
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৫
শায়মা বলেছেন: খুব শিঘ্রী তোমার জন্য একটা লেখা আনবো। শুধুই তোমার জন্য ভাইয়ু পিচ্চু!!
৩৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩১
একলব্য২১ বলেছেন: হ্যাঁ কথা সত্য!
আমি তো সেই কবে থেকে বলে আসছি তুমি আমার ইন্সপিরেশন।
view this link
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
শায়মা বলেছেন: অনেক ভালোবাসা ভাইয়ুমনি!!
আমার চাইতেও অনেক অনেক বড় হও আর আরও আনন্দ নিয়ে বাঁচো!
ক্ষুদের জন্যও শুভকামনা অন্তর থেকে!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
শায়মা বলেছেন: গানটা শুনলাম ভাইয়ু।
কিন্তু কি পারো না সইতে আর কি পারো না কইতে!!! এইটা বুঝলাম না......
৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৬
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
কোন মানে নেই। নিছকই একটা ভালো লাগা গান। এখন আর আগের মত এত গান শুনা হয় না। আর বাংলা গানতো খুবই কম শুনা হয়। বাংলা এই গানটা শুনছিলাম কমেন্ট লেখার সময়। ভাবলাম তোমার সাথে শেয়ার করি। তুমি তো আবার বাংলা গানের উপর বেশী নির্ভরশীল। তাই আর কি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শায়মা বলেছেন: কেনো কি হলো তোমার যে গানে বৈরাগ্য আসলো!!!
বাংলার উপরে কি গান আছে!!!!!!!!!
আমমি বাংলায় গান গাই!
আমি বাংলার গান গাই!
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই!
৩৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০১
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তোমাদের গুলশান বারিধারার স্কুলগুলোতে কি বাচ্চাদের কেরাতে শিক্ষায়। আমাদের পুরাণ ঢাকার কিছু স্কুলে শুক্র শনিবার এই দুই দিন কেরাতে শিখায়। বাচ্চাদের কেরাতে শিখাটা তোমার কাছে কেমন লাগে। এটা কতটা দরকারি বলে মনে কর।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ শেখায়। তবে এটা থাকে ক্লাসের পরে এক্স্ট্রা কারিকুলাম একটিভিটি হিসাবে। এছাড়াও কিছু ক্যারাটে স্কুল আছে। বাচ্চাদের ক্যারাটে শেখাটাও আমার কাছে নাচ গান ও ছবি আঁকার মতই একটা স্কিল এবং আর্ট যা তাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে।
৩৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
একলব্য২১ বলেছেন: অনেক সুন্দর করে প্রশ্নের উওর ও ব্যাখ্যা দিয়েছ শায়মা আপু। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
নিকট ভবিষ্যতে ক্ষুদেকে ক্যারেটে ক্লাসে ভর্তি করার ইচ্ছে আছে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভর্তি করো।
ছেলে এবং মেয়ে দুজনই শিখতে পারে ক্যারাটে।
আর হ্যাঁ দরকার পড়লেই এই আর্ট এন্ড স্কিল একদম কাজে লাগায় দিতে পারে।
হ্যাইজাকার চোর ডাকাত বদমাস এক ইয়াহুতে কুপোকাত!
৩৭| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২১
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
লেখা, মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে তো রাত পোহালে মনে হয় তবে তাতে আমার খুব ক্ষতি হচ্ছে না, নাইট শিফট চলছে, হাতে কাজ নেই বসে বসে আপনাদের লেখা পড়ছি।
উপন্রকিশোর রায়-সুকুমার রায়-সত্যজিৎ রায় তিন প্রজন্ম!!!!! এমন কি এ জগতে আর আছে?
একটা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উপেন্রকিশোর রায় কি বেীদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন?
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৩
শায়মা বলেছেন: তিন প্রজন্মের আরেকজনের কথা মনে পড়লো সুচিত্রা সেন মুনমুন সেন ও তার কন্যাদ্বয় রাইমা সেন, রিয়া সেন.......
নাইট শিফ্ট কেনো ভাইয়ু? তুমি কি ডক্টর?
যাইহোক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন কিনা আমি জানিনা তবে মনে হয় না আমার।
জেনে তোমাকে জানাবো ভাইয়া।
আর এই পাপেট শো এর পর আমার চলো ছোট্ট ছোট্ট পুচ্চি পাচ্চা শো।
কাল শেষ হলো।
৩৮| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
কি খবর আপু?
তুমি না বলেছো র্যান্ডম পোষ্ট দিবে।
সেগুলো কোথায়, দেখছি নাহতো!
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৭
শায়মা বলেছেন: কাল আমার পাপেট শো এর পর পুচ্চি পাচ্চা শো হলো!
এত বিজি হয়ে থাকতে হবে ভাবিনি। ভেবেছিলাম ইজি হয়ে যাবো।
কি হবে আমার!!!
কোনোভাবেই লেখার জন্য বসতেই পারছি না
৩৯| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪২
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
আমি টেক্সটাইল ল্যাবের একজন ক্ষুদ্র টেকনিশিয়ান।
০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৫৪
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা বুঝতে পারলাম ভাইয়ু!
কাজ কম থাকলে একটা পোস্টই লিখে ফেলো তাইলে।
কবিতা লিখতে পারো ভাইয়া।
৪০| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
কি হবে আমার!!!
কোনোভাবেই লেখার জন্য বসতেই পারছি না
কি আর হবে!!!
বুঝলাম তোমাকে জোর করে বসাতে হবে।
তারপর বেঁধে ফেলতে হবে।
নো নড়াচড়া।
শুধুই লেখা
পুচ্চি পাচ্চা শো আর না।
এবার রোম্যান্টিক, থ্রিলার চাই
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
শায়মা বলেছেন: আহা তাহা যদি হত কি যে খুশ হতাম মিররমনি!!!
আমারও শুধুই লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু লিখতে গেলে তো মাথা ঠান্ডা করে বসতে হয়। সেটার টাইম নাইরে। কোথায় যাই রে.....
৪১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
একলব্য২১ বলেছেন: পুচ্চি পাচ্চা শো আর না।
এবার রোম্যান্টিক, থ্রিলার চাই
মলির সাথে একমত আমি।
view this link
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে রোমান্টিক থ্রিলার লিখতে গেলে একটু রোমা্টিক ম্যুডে ফিরতে হবে।
আমি যা করি ১০০% মন দিয়ে।
পুচ্চুপাচ্চাদেরকে ১০০% মন দিয়ে ছিলাম এতদিন।
কাল থেকে ১০৪ জ্বর এসে গেলো।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
শায়মা বলেছেন: রিত্তিক তো দেখি মাধুরীর চাইতেও নাচে এক্সপার্ট!!!
৪২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
করুণাধারা বলেছেন: তোমার এইসব পোস্ট দেখলে আমি কেমন লা জওয়াব হয়ে যাই, যা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করে তা করলে আমি যে জ্ঞানের জাহাজ তা সবাই জেনে যাবে...
তবু জিজ্ঞেস করেই ফেলি, পুতুলগুলো কী দিয়ে বানানো হয়, কে বানায়, পোশাক তো বললে তোমার বাহিনী বানিয়েছে।
তোমার ছাত্ররা ভাগ্যবান, তোমার মতো দশভুজা টিচার পেয়েছে। আমি কখনো শুনিনি কোন স্কুলে এভাবে ছাত্রদের মনোরঞ্জনের জন্য শিক্ষকরা এত কষ্ট করে।
সকলের প্রিয় হয়ে থাকো, শুভকামনা।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৭
শায়মা বলেছেন: কিছু পুতুল বানানো হয়। সেসব পারফেক্ট আর মানিপুলেশনে সহজ কারণ সে সবের ওজন ৬ আউন্স। আর কিছু পুতুল আড়ং বা এখান ওখান থেকে যোগাড় করে ভেতর থেকে তুলা বের করে হাল্কা করার চেষ্টা করি। তারপর পোশাক আর পিছে স্টিক লাগিয়েছিলো। কিছু পাপেট সুতা লাগানো। সেটা বেশি ইজি।
হ্যাঁ আমাদের স্কুলটাই এমন আর আমি তো এসবকে কষ্ট ভাবি না আমি ভাবি আমার আনন্দ। নিজের কাজ মনে করি।
আমার বাচ্চারা যখন স্টেজে নাচে আমি জীবনেও ভাবিনা ওরা বাচ্চা আমি ভাবি ওরাই আমি। আমিই নাচছি। ওদের ক্রেডিন বাবা মায়েদের কো অপারেশন সব মিলে মিশে এক হয়ে যায় আমি সবগুলো ক্রেডিট নিজেই নিয়ে ফেলি। তাই আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হই।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
শায়মা বলেছেন: ক্রেডিন না ক্রেডিট......
৪৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
পিচ্চুগুলো কিউট আর তাদের সাথে যে বড় পিচ্চুটা ওটাও কিউট।
সিম্পল পোশাকেই বেশি ভালো লাগে আপু। ন্যাচারাল লুক।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬
শায়মা বলেছেন: এই প্রোগামের নাম ছিলো নদী ও বাংলাদেশ।
কাজেই পোশাকও তেমনই জেলে বৌ মাঝি বেঁদে বেঁদেনীদের রিয়েলস্টিক পোশাক!
৪৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
একলব্য২১ বলেছেন:
মলির সাথে একমত আমি।
উল্টাপাল্টা নামে ডাকতে না করেছি নাহ
শুভর কপালে কিন্তু দুঃখ আছে, আমার হাতে মাইর খায়নিতো!
খুব শখ হয়েছে সেটা খাবার।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
শায়মা বলেছেন: শুভ ভাইয়ু ভেবেছে সে তো অনেক দূরে তাই মাইর দিতে পাব্বে না।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৫৮
শায়মা বলেছেন: মিররমনি
শুয়ে আছি মানে বসে আছি হসপিটালের বেডে।
সানডে থেকে ঘুম ভাঙ্গলাম অনক জ্বর তার থেকেও বেশি পিঠে বেথা নিয়ে। ভাবলাম বুড়ি হচ্ছি। গত কিছুদিনের অক্লান্ত নাচানাচি প্রোগাম করতে গিয়ে হয়ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যা অভারলুক করায় পিঠে ব্যথা আর জ্বর। কিন্তু থার্মোমিটারে ১০৫, ১০৪। আমি ধরেই নিলাম থার্মোমিটার নষ্ট। দূর কে পাত্তা দেয়? যেচে আসা জ্বর পাত্তা না পেয়ে অপমানিত হয়ে নিজেই চলে যাবে। কিন্তু রাত বাড়তেই জ্বরের কষ্ট যত না হলো পিঠের ব্যথা অসহনীয়।
না পেরে ডক্টরের কাছে এলাম। ডক্টর জ্বর দেখে আর পিঠে স্টেথো ঠেকিয়ে সোজা এডমিট করে দিলো। বললো আপনার সেন্স মানে বোধ শক্তি না কম অথবা নাই। মানে অনেকে আছে অসুস্থ হলে সেটা স্মীকার করে না বা পারে না। রাগ লাগলো আমার। বললাম অনেকে যা পারে না আমি সে সব পারি। সে বললো কোনো কথা নহে আপনার সিভিয়ার নিমোনিয়া আর তাই এই পিঠ ব্যথা।
এখন তো আমি বিপদে। লাইট ক্যামেরা একশন শুরু হোলো। হুইল চেয়ারে জোর করে ধরে বসায় দিলো লিফটে তুলে দিলো রুমে আটকায় দিলো।
হাতে ক্যানোলা তাতে ইনজেকশন।ব্লাড নিতে আসলো আমি এ্যাই এ্যাই খবরদার আমার গায়ের চামড়া তুলতুলে বাটারফ্লাই ছাড়া কোনো নিডল ইউজ করা যাবে না।
নার্স তো মনে হয় থ। হা করে মুখের দিকে তাকায় থাকলো। এই বুড়ি ধামড়ি বলে কি বাটারফ্লাই নিডল?
কেনো ম্যাডাম প্রবলেম কি?
চুপ প্রবলেম আমি জানি। যাও বাটারফ্লাই নিডল নিয়ে আসো। কি আর করা সেটাই করলো।
ডক্টর বললো চুপ করে শুয়ে থাকবেন। ঠিক ঠাক খাবার খাবেন। এমনিতেই আমি মুটকী হয়ে গেছি আর উনি বলেন ঠিক ঠাক খাবো! যাইহোক..।
তারপর এক্সরে ব্লাড টেস্ট ঝামেলা যন্ত্রনা রং ঢং সেরে থিতু হয়ে একটু বসতেই খাবার দিয়ে গেলো। আমার খুব খিদে পেয়েছিলো। কিন্তু ঢাকনী খুলে আমি তো অবাক।
ছোট্ট এক শরপুটি না কি আল্লাহ জানে মাছ, সব্জী ডাল শশা লেবু ...... এক চামচ মুখে দিয়ে ওয়াক থু।
ডক্টর আসলো সাথে নার্স। আমার স্কুল থেকে ইতিমধ্যে এক টিচার এসে বসেছিলো। আমি তো অবাক! বললাম তোমার সাহস তো কম না? নিমোনিয়া রোগীর রুমে এসেছো? যাইহোক
ডক্টর বললো, খেয়েছেন?
আমি কিছুদিন আগে ষোল বছরের বউ একটা নাটক দেখেছিলাম সেই মেয়েটা হয়ে গেলাম.....
এ মা!!!!!!!!!!!!! এসব কি খাওয়া যায়!!!!!!!!!!!!!! আমি তো এসব খাই না। যাই বলেন আর তাই বলেন এসব আমি খেতে পারবো না। ডক্টর বাকরোধ, নার্স বিস্ফারিত চোখ।
ঐ টিচার তাড়া তাড়ি বলে না না মানে জ্বরের মুখ তো স্বাদ নেই।
কে বলেছে জ্বরের মুখ তাই স্বাদ নেই রান্নায় স্বাদ বিস্বাদ কিছুই নেই।
আমি জানিনা বাবা আসমাকে ফোন করে দিয়েছি একটু পর রুটি আর গরুর মাংস দিয়ে যাবে।
দেখেন আমাদের হসপিটালে রোগীদের জন্য কোনো খাবার বাইরে থেকে আনার রুল নেই এসবই খেতে হবে আর কোনো খাবার থাকা চলবে না।
ডায়েটেশিয়ান ফুড ঠিক করেছে আপনাকে এসব খেতে হবে কুইক রিকোভারীর জন্য।
কুইক রিকোভারী!!!!!!!!!!!! এসব খেলে তো রোগী উল্টা স্লো রিকোভারী হয়ে যাবে। মরেও যেতে পারে। না আমি মরতে চাইনা এখনই।
উফ বাবা আপনি যদি একেবারেই না খেতে পারেন তাহলে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। আপনাকে ক্যানটিন থেকে কিনে খেতে হবে।
কেনো !!! কেনো কিনবো?? এত টাকা নেন হসপিটালে ভরতি করে ঐ শরপুটি মাছের বাচ্চা খাওয়াতে?
ওটা শরপুটি মাছের বাচ্চা ছিলো না।
তো কিসের বাচ্চা ছিলো?
রুই মাছের বাচ্চা।
দেখেন এই সাইজ কোনোদিনও রুই মাছের বাচ্চার হতে পারে না। এটা রুই মাছের নাতি কিংবা পুতি।
ডক্টর উত্তর না দিয়ে চলে গেলো।
একটু পর ডায়েটিশিয়ান আসলো......
তারপর লিখছি.........
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:২৫
শায়মা বলেছেন: তারপর বাসায় ফোন দিলাম। বললাম-
সুফিয়া আমাকে হঠাৎ হসপিটালে ভর্তি হতে হলো। তুমি একটা ব্যাগে ফেসপাউডার, লিপিস্টিক, পারফিউম এসব পাঠিয়ে দাও আর আমার জন্য গরুর মাংস আর রুটি আর চায়ের সাথে একটু কফি মিলিয়ে বানিয়ে পাঠাও।
এসব নিয়ে আবার হসপিটাল গেটে যুদ্ধ।
যাইহোক ডায়েটিশিয়ান এসে বলে ম্যাডাম আপনি কি খাবেন বলেন।
আমি বললাম কি খাবো মানে? আমি তো কিছুই খেতে পারছি না। কি মাছের যে নাতি পুতি দিয়েছেন।
সে বলে ঠিক আছে ম্যাডাম আর আপনাকে ফিস দেওয়া হবে না। দুবারই মিট দেবো ওকে?
আমি বললাম ব্রেকফাস্টে স্যুপ দিতে পারেন জ্যুস দিতে পারেন। ফ্রুট দিতে পারেন। এসব তো আপনাদের রান্না না ...
৪৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার আশু রোগমুক্তির জন্য শুভকামনা। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলো। নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:০২
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু।
চিকিৎসকের কথা মত চলছি কিন্তু এই সব খেতে হবে এই কথা শুনবো কেমনে?
৪৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
একলব্য২১ বলেছেন: মাই গুডনেস!
সেদিন পকেট থেকে মোবাইল দিয়ে সামুতে ঢুকে একবার চোখ বুলিয়ে জেনেছি তোমার ১০৪ ডিগ্রী জ্বর। পড়ার পর আমার মনে কুডাক দিয়েছিল। ১০৪ জ্বর ইজ নট ম্যাটার অফ জোক। তখন আমার মনে হয়েছিল, জ্বর কোন রোগ নয় উপসর্গ মাত্র। তোমাকে সর্তক করবো বলে ঠিক করেছিলাম। তারপর কাজের চাপ আর ঝামেলার কারণে সামুতে একবার ঢুকেছিলাম আর সাম্প্রতিক মন্তব্যে তোমার কোন লেখায় কমেন্ট না থাকায়। আবার লিংক বের করে তোমার লেখায় ঢুকিনি। তবে আজ একবার তোমার লেখায় ঢুঁ মারবো বলে সামুতে ঢুকেই দেখি তোমার কমেন্ট। মাই গড!
তুমি অনেক কষ্টসহিষ্ণু আর লড়াকু মানুষ। তবে এই জ্বরকে আমলে নেওয়া উচিত ছিল। সিভিয়ার নিউমোনিয়া তোমাকে আরও বিপদে ফেলে দিতে পারতো।
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই মূল্যবান আর তুমি আরও আরও অনেক বেশী মূল্যবান মানুষ। তুমি ভাল থাকলে আরও অনেক অনেক লোক ভাল থাকবে তোমার কল্যাণে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
শায়মা বলেছেন: আমি তো লড়াকু!!! অন্য কেউ হলে কি ১০৬ জ্বর নিয়ে হেঁটে আসতো?
যাইহোক পিঠে ব্যথা নেই বললেই চলে। জ্বর তো একেবারেই নেই। শুধু আছে ইনফেকশন। তাও এক দিনেই প্রায় ধরাশায়ী মনে হচ্ছে।
৪৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু নিউমোনিয়া নিয়েও যে তুমি এতো এতো মজার একটা কমেন্ট করতে পারছো এটা দেখে ভালো লাগলো।
I wish you’ll get well soon.
আসবো নাকি দেখতে? সাথে স্যুপ, জুস, আর শুভকে নিয়ে
এখন কি অবস্থা?
তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠো।
যতক্ষণ হসপিটালে থাকবে, সবাইকে নিয়ে আনন্দে মেতে থাকো।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
শায়মা বলেছেন: আসো আসো তলে আতো.......
শুনো হাতে স্ট্যান্ডে বাঁধা ক্যানোলায় শুয়ে আছি করুন চোখে। ঘুম আসেনা। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো কিছুদিন আগে দেখা ভূতুড়ে প্রেম নাটকের কথা।
নায়ক এক চিটার প্রেমিক। সে প্রেমিকাকে বিয়ে না করার জন্য নানান তাল বাহানা করে।
একদিন প্রেমিকার হাত থেকে পালাতে হসপিটাল এসে সালাইন টালাইন লাগিয়ে শুয়ে আছে এমন সময় সেই মেয়ে এসেছে কাজী নিয়ে। এসেই গলায় চাকু ধরেছে। বিয়ে পড় বিয়ে পড় বলে। কাজীও অনেক হুমকী ধামকী দিচ্ছে আর ঐ ছেলে তো চ্যা ভ্যা করে চিল্লায় শেষ। এমন সময় ডাক্তার ঢুকেছে কি হচ্ছে এসব হ্যাঁ? আপনারা না বললেন আপনারা উনার কাছের লোক এত চিল্লাচিল্লি কেনো?? ডাকতারকে দেখে নায়িকা সাথে সাথে চাকু দিয়ে একটা আপেল কাটা শুরু করেছে। আর চিটার প্রেমিক কাঁদতে কাঁদতে বলে দেখেন তো স্যালাইন স্যুলাইন সব ছিইড়া ছুইড়া ফালাইছে।
হা হা হা হা হা হা হা হা হা
আমিও ঐ হাবে স্যালাইনে বন্দী হয়ে রাত দুপুরে ঐ নাটকের ঐ দৃশ্য ভেবে হাসতে হাসতে শেষ!
আসমা ছিলো আমার সাথে অঘোর ঘুমে।
ঘুম ভেঙ্গে বলে ও আফা কি হইলো কি হইলো আপনের ডাগদর ডাকমু?
তার কথা শুনে তো আমি আরও শেষ!!!
৪৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সিমিলার একটা ঘটনা আমার হয়েছিলো।
একবার হসপিটালাইজড হয়েছি।
সিরিয়াস কেইস ছিলো। মেজর সার্জারি, বেশ কয়দিন থাকতে হয়েছিলো।
সেই অবস্থায় আমি ডক্টরকে বলেছিলাম আমাকে যেনো টপ ফ্লোরে স্কাইভিউ উইন্ডো কেবিন দেয়।
এরকম রিকোয়েস্ট কখনও নাকি কেউ করেনি তাই তারা অবাক হয়েছিলো শুনে।
মজার বিষয় তারা আমাকে ঠিক সেটাই দিয়েছিলো।
যে কদিন ছিলাম, আকাশের সাথে আমার ভালো সময় কেটেছে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শায়মা বলেছেন: সেই তো কেউ করেনি বলে কি আমরা করবো না???
আমরা কি কেউ নাকি??
শুনো এত বিদ্রোহের পর সকাল বেলা তারা যে নাস্তা দিলো তা দেখে চক্ষু ছানা বড়া।
দুই পিস হাতে বানানো চাপাতি। মনে হয় রাত বারোটায় বানিয়ে ফ্রিজে রেখেছিলো।
একটা ডিমের অমলেট সেই অমলেট সাদা সাদা মানে ভালো মত ফাটেনি।
সবজী তো আমি খাবোই না। একটা আপেল। খাওয়ার যোগ্য একমাত্র আর আরেকমাত্র খাওয়ার যোগ্য এক বাটি সেমাই।
৪৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
একলব্য২১ বলেছেন: তুমি তোমার খারাপ শরীর আর জ্বর নিয়ে হেলাফেলা করেছ। যা করা একদম উচিত ছিল না। এত জ্বর তড়িৎ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। তোমার যদি ভাল মন্দ কিছু একটা হয়ে যেত, তবে আমাদের রোমান্টিক থ্রিলার গল্প কে শুনাতো। এগুলো তো চিন্তা করতে হবে!
এই দুই তিন বছরে আমি দুইবার ভীষণ বিপদ পড়েছিলাম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যাপারে। একবার ক্ষুদের বাবা খারাপ ধরনের করোনায় আক্রান্তের কারণে আর একবার ক্ষুদের ডেঙ্গুতে। আমি যে কি অসহায় অবস্থায় মধ্যে পড়েছিলাম। এক স্রষ্টাই জানেন।
এনিওয়ে তুমি ভাল আছে জেনে শান্তি পেলাম। প্রপার ট্রিটমেন্ট হয়েছে। আশু সুস্থতা কামনা করছি। তারপর ভাল হয়ে কব্জি ডুবিয়ে প্রিয় খাবারগুলো খাবে। আপাতত সংযম।
ডলি থুক্কু ডল আমি আর ক্ষুদেকে নিয়ে তোমাকে দেখতে আসবো!
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১৮
শায়মা বলেছেন: একদম তাই একের পর এক প্রোগ্রাম ছিলো বলে গাঁয়ের জোরে চলেছি তার ফল পেলাম আর কি।
হুম তোমার কথা জানি তো। টেনশন বুড়া তুমি......একটু অসুখেই ভুই পাবো সেই বান্দা আমি নহি।
নার্স বলে আপনাকে দেখে তো বুঝাই যায় না আপনি অসুস্থ্য........।
ডল আর ক্ষুদেকে নিয়ে দেখতে আসো।
৫০| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১০৪ ডিগ্রি জ্বরে মানুষ এমন খেতে পারে!!!!!!
সুস্থ অবস্থায় কি খায় আল্লাহ মালুম!!!!!!
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২১
শায়মা বলেছেন: যখন এসেছিলাম তখন ১০৪ না ১০৬ ছিলো ভাইয়ু।
৫১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক কথায় ব্রিলিয়ান্ট!!!! অসাধারণ+++++
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২২
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া...........
৫২| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১০৬ ডিগ্রি তো অনেক জ্বর। আমার কখনও ১০৪/৫ ডিগ্রির বেশী জ্বর হয়নি। আশা করি এখন ভালো আছেন। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ অনেক তো কিন্তু আমার পিঠে এমনই হৃদয়ভাঙ্গা ব্যথা ছিলো যে জ্বর কত সে হুশ ছিলো না। হেঁটে হেঁটে আহা ইহি করতে করতে চলে গেলাম ডক্টরস চেম্বারে। ডক্টরের চক্ষু ছানাবড়া। এ কি মানুষ! ( ডক্টর জানেনা আমি তো আসলেই মানুষ নহি )
যাইহোক তারপর সোজা হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিলো। হার্টবিট দেড়শোর উপরে অক্সিজেন লেভেল কমে ৯৩/৯৪।
সোজা ধরে বেঁধে আটকাই দিলো .....
তারপর ব্যথা কমতেই খানা পিনা নিয়ে যুদ্ধ!
আসলে সত্যিই গলায় চাকু ধরলেও আমি খেতে পারতাম না। ডক্টর তো পরিচিত বলে এখুনি সব খানা খাও নইলে ওষুধ দেবো না।
নার্সকেও ডেকে বলেছে, না খেলে ওষুধ না দিতে। আমার তো থোড়াই কেয়ার। খাবুই না!!!!!!!!!!!
কারণ আমি ষোল বছরের বউ নাটক দেখেছি না?
শেষে আমার সাথে না পেরে ডায়েটিশিয়ানকে পাঠাইছেন । হা হা হা
ডায়েটিশিয়ান- ম্যাডাম কি খাবেন বলেন? আমরা বানায় দেবো।
আমি- না কিছুই খাবোনা এখানের। সব খানা বাজে।
ডায়েটিশিয়ান- ম্যাডাম খেতে হবে তো। শুধু অষুধে তো কাজ হবে না। ওষুধ ও পথ্য দুই ই জরুরী।
আমি- তো আমি কি করবো বলেন? আমি যদি নাই খেতে পারি তো খাবো কেমনে সেটা বলেন?
ডায়েটিশিয়ান- ম্যাডাম আপনি বলেন কি খাবেন তাইলে?
আমি- দেখেন শরপুটির বাচ্চা তেলাপিয়ার বাচ্চা ডলফিনের বাচ্চা কোনো মাছই আমি খেতে পারবো না এখানে আর এই মাছের চেহারা স্বাদ গন্ধ দেখে বুঝে গেছি আপনাদের মুরগীর বাচ্চা খাসীর বাচ্চা গরুর বাচ্চারও কি স্বাদ হবে।
ডায়েটিশিয়ান- তাহলে কি দেবো?
আমি- এক কাজ করেন শুধু স্যুপ দেবেন। আর জ্যুস আর আর
ডায়েটিশিয়ান- ওকে দেবো কিন্তু আপনাকে তো শক্ত কিছু খেতে হবে?
আমি- ওকে ডিম দিয়েন।
ডায়েটিশিয়ান- মানে? ডিমের কারী?
আমি- হ্যাঁ নয়ত আমার মাছ মাংসের কথা ভেবেই ভুই লাগছে।
ডায়েটিশিয়ান- ওকে তাই হবে স্যুপ জ্যুস ডিমের কারী ভাত আর যা খেটে ইচ্ছে করবে আমাদেরকে বলেন আমরা দেবো......
৫৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
রেজাউল৬৩ বলেছেন: আহারে, হাসপাতালের ডাক্তার নার্স আর সব স্টাফদেরতো দেখি খুব কষ্ট হয়েছে
১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হোক শয়তান ডক্টরেরাই শুধু গলা কাটবে টাকা নিয়ে নিয়ে?
টাকা নিতে গেলে কত কষ্ট করতে হয় সেটাই বুঝাই দিলাম।
ওরে এত টাকা নিচ্ছে থাকা খানা পিনা ওষুধে আর খেতে দেবে শরপুটির বাচ্চা!!!!!!!!!
তারপর শোনো সকালে ডিম ভাজা দিয়েছে। আমি ছবি তুলে রেখেছি।
ডিমটা ফাটায়নিও ভালো করে । সাদা সাদা এবড়ো খেবড়ো ডিমের অমলেট।
আমি ডেকে বললাম এমন কেনো?
বলে অনেক মানুষের জন্য তো ভালো করে ফাটানো সম্ভব না। আমি বললাম এগ বিটার কিনতে বলো।
নার্স আর কি করবে বলে ওকে আমি জানাই রাখছি।
হা হা হা ........
এত যে ডক্টর নার্সদের কষ্টে কষ্টিত হচ্ছো তুমি গেলে কি করতে সে দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি।
আহারে ভালো মানুষটা!!!
৫৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ রেজাউল১৬৩ - আমার মতে সরপুঁটি মাছের জন্য ডাক্তার আর নার্সদের শায়মা আপুর হাতে পায়ে ধরে মাফ চাওয়া উচিত ছিল।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
শায়মা বলেছেন: হাতে পায়ে না ধরলেও প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা হয়ে গেছিলো!!! হা হা
ঠিক হয়েছে।
কেউ কিছু না বলে বলে মাথায় উঠে গেছে যা ইচ্ছা তাই খাওয়াবে নাকি!!!
৫৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
হাসপাতালে কয়দিন ছিলে। কিভাবে সময় কাটাতে। সামুতে ঢুকতে। ঘুম ভালো হতো।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
শায়মা বলেছেন: মাত্র দুদিনেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পালিয়েছি। তবে হ্যাঁ তারা আসতে দিতেই চাচ্ছিলো না। বলছিলো হেন হবে তেন হবে। আমি কিছুতেই শুনিনি। শেষে ইনজেকশনগুলো ওরাল মেডিসিন করে দিয়ে আসতে দিলো। কিভাবে আবার কাটাবো! সেকেন্ড দিনেই মেডিসিন রিয়াকশনে আমি কুপোকাৎ। সারা জীভ ফুলে ঢোল হয়ে গেলো।কথাও বলতে পারিনা কিচ্ছু খেতে পারি না। সারারাত হাতে স্যালাইনের ডান্ডি নিয়ে হেঁটে বেড়াই ভূতের মত হা হা ।
যাইহোকা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস লিখছি। ইনশা আল্লাহ কালকে পোস্ট করবো।
৫৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪০
শার্দূল ২২ বলেছেন: এক যুগ পার করে এই প্রথম শুনলাম শায়মা ও অসুস্থ্য হয়। ও কিছুনা, অুসখ মনে হয় তোমার প্রেমে পড়েছে তাই একটু দুষ্টুমি করে গেলো।
বাটারফ্লাই ক্যানোলা তো একদিনের বাবুকে দেয়। হাসপাতালের একটু সাহস করে ১.৮এমএম নিতে মরনোত্তর সাহসী খেতাব পেতে।
যাইহোক এখন কি অবস্থা? কোথায় তুমি?
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৪
শায়মা বলেছেন: এই তো এখানে আমি!
হা হা সেই আমার বাসা এবং স্কুলের সবাই আকাশ থেকে পড়েছে শুনে।
ব্যাঙ্গের আবার সর্দি!!!!!!! এমন ব্যপার যেন!!
আমাকে সত্যিই বাটারফ্লাই ক্যানোলাই দিয়েছে।
১.৮ এমএম আবার কি!!!!
তুমিই দাও সেটা। বীর পুরুষ!!!
৫৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৪
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমার রক্ত তো ভ্যক্যুয়াম দিয়ে নেয়, তোমার মত কি মৌ-মাছি দিয়ে সং্গ্রহ করে নাকি? এতবড় হয়েছি বাটারফ্লাই দিয়ে ইন্জেকশান নিসো, আমাদের বলসো আর কাউকে বলোনা। মান সন্মান আর থাকবেনা।
সুইমিংপুলে ১ ঘন্টা সাঁতার কাটলে এই জ্বর এমনিতেই চলে যেতো। অযথা হাসপাতলাের জ্বর উঠায় দিয়ে আসলে কেন?
সাবধানে থেকো। ভালো থেকো
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হইসে আর বীরপুরুষীতে কাজ নেই।
আমি ডক্টর ভুই পাই। জন্মেও যাই না। এবারেও তাই যাবো না যাবো না করেই সিরিয়াস হয়ে গেলো।
হা হা সত্যিই বাটারফ্লাই দিয়ে দিতে বাধ্য করেছি।
না না ১০৬ জ্বর ছিলো সাথে এমন ব্যাথা নড়তেই পারছিলাম না আবার সাতার কাটা না!!!
৫৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০০
একলব্য২১ বলেছেন: এই মাত্র তোমার অস্ট্রেলিয়ার ভ্রমণ কাহিনী পড়া শেষ করলাম। এত রাতে আবার অনলাইনে আসছ। ঘুম আসছে না বোধহয়। তোমার শরীর তো তা হলে এখনও খারাপ। প্রচুর বিশ্রাম নাও। আর ডাক্তারের পরামর্শে চল। লেখা বরাবরের মত ভাল হয়েছে।
১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এখনও তো পুরোপুরি সুস্থ্য হয়নি। ওষুধ চলছে। বিশ্রামে থাকতে পারি না এটাই আমার সমস্যা।
আরও লিখছি ........ এই ভ্রমন তো এত অল্পে শেষ হবার নহে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৩
মেহবুবা বলেছেন: গুপী গাইন বাঘা বাইন নাম দেখলেই খুশী হই!
বাঙালির হাসির গল্প আমাদের পরিবারের সবার প্রিয়, সেটাও আছে তোমার কাজে !