নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্ট্রেলিয়ার গল্প - ১

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪


অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর এমনই ব্যস্ততায় ডুব দিতে হলো যে কারো সাথেই আর অস্ট্রেলিয়ার গল্প করা হলো না। সবাই জিগাসা করে কি করলে, কি দেখলে কি খেলে তুমি অস্ট্রেলিয়ায়? আর শপিং পাগলা এই আমি কতই না শপিং মপিং করলাম সেই চিন্তায় আশেপাশের অনেকেই অস্থির হয়ে পড়লো। বলবো বলবো করেও বলা হলো না কারণ আমি ব্যাস্ত! ব্যাস্ত মানে মহা ব্যাস্ত! একের পর এক কাজ, স্কুলের কার্নিভাল, পাপেট শো, বাচ্চাদেরকে নিয়ে এনুয়াল শো, একুশে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠান, আর্ট কম্পিটিশন, রেসিটেশন কম্পিটিশন সব জেঁকে বসলো ঘাড়ে। এসব করে করেই আমার দফারফা। যাইহোক একটু ব্যস্ততা কমতেই ভাবলাম এইবার লিখি। ওমা সাথে সাথেই ঘাড়ে চেপে বসলো ভয়ংকর ভূত নিমুনিয়া। সোজা হসপিটাল আর তারপর একটু থিতু হতেই দেখি হাঁটলেই মাথা ঘোরে, পা নড়বড় করে। হাই এন্টিবায়োটিক কখনও আমি সহ্য করতে পারি না। যাই হোক তবে এতে আবার শাপে বর হলো। বিছানায় বন্দী তাই বসে বসে ল্যাপটপ বেড টেবিলে লেখালিখিরও সুযোগ! সেই সুযোগেই ভাবলাম লিখে ফেলি এইবার আমার অস্ট্রেলিয়ার গল্প।

এবারের সফর ছিলো একেবারেই সফরসঙ্গীবিহীন একা একা। একা একা ঘুরে বেড়ানো অবশ্য আমার জন্য নতুন কিছু নহে। আমি যখন শপিং এ যাই একা একা ঘুরতেই ভালোবাসি। যা ইচ্ছে তাই কেনা যায়। বাঁধা দেবার কেউ নেই। কিন্তু এত বড় একটা জার্নীতে একা একা যাওয়া আবার একটু ভয়ের ব্যপার। স্পেশালী যখন ট্রানজিট থাকে অনলি ওয়ান আওয়ার। আর সেটা ছিলো সুবিশাল সিঙ্গাপোর এয়ারপোর্টে। সে যাই হোক বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে ঢুকেই কিছু হজ্ব বা ওমরাহ যাত্রী উনারা পা মেলে জিনিসপাতি ছড়িয়ে বসে ছিলো মেঝের উপর তাদের পায়ে বেঁধে হুড়মুড় পড়তে পড়তে সোজা হয়ে দাঁড়ালাম। হা হা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েই আবার চোখ মটকে একটু বকাও দিলাম এইভাবে পা ছড়িয়ে বসার জন্য। তারপর ছুটলাম চেক ইন ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশনের হাসিখুশি লোকটার কি যেন নাম বলেছিলো, সে বললো আপনি টিচার আর তাই কোনো চেকিংই দরকার নাই। আমি তো উৎফুল্লিত এবং চরম আনন্দিত! সে যাই হোক তারপর ওয়েটিং ফর ফ্লাইট। এমন সময় পরিচয় হলো সিঙ্গাপোর স্কুলের এক টিচারের সাথে। তার নাম দোলা এবং যার হাসব্যন্ড মেরিনার এবং তিনি তিন কন্যার মা। ১৫ বছর যাবৎ সিঙ্গাপোরে আছেন। যাইহোক তার সাথে গল্পে গল্পে কেটে গেলো সময়।

প্লেনে উঠেই আমি হাও মাও খাও মানুষের গন্ধ পাও লাগিয়ে দিলাম এয়ার হোস্টেজদের সাথে। ভাষ্য ছিলো বেহেনা, সোনার কইন্যা আমার ট্রানজিট ১ ঘন্টা আমাকে আগে আগে যেতে দিও। পৌছে দিও ! কেমনে যাবো? কোন টার্মিনালে নামবে? কোন গেইট! ম্যাডাম বললেন, ম্যাডাম ডোন্ট ওয়ারী তোমাকে ছেড়ে কোনোভাবেই আমাদের কানেক্টিং ফ্লাইট যাবেই না। রিলাক্স করো। ভয় পেওনা। বোর্ডিং পাস তো তোমাকে দেওয়াই হয়েছে। আমি তো তবুও হায় মায় খায় অব্যাহত। শেষে সে আমাকে বললো তোমাকে আমি সাথে করে নিয়ে যাবো। তবুও একটু শান্ত হয়ে বসো। যাক বাবা বাঁচলাম। আমি শান্ত হয়ে বসলাম। :)

যাইহোক এবারে নজর দিলাম পাশের সিটে। একটা স্যুইট গুল্লুমুল্লু বেবি বসে আছেন। উনি আর তার মা নাকি ব্রিসবেন থাকেন। সেখানেই যাবেন। আমি তার দিকে হাসলাম। এরপর সিটবেল্ট আটকালাম। কিন্তু তারপর কেমনে খুলে ভুলে গেলাম ভয়ে। হা হা হা ঐ বাচ্চা আমাকে আশস্ত করে আমার সিটবেল্ট খুলে দিলো। তখন তো আমি লজ্জায় শেষ। বাচ্চাটা কি ভাবলো! আমি বুঝি জীবনেও প্লেনে চড়িনি। তবে দূর দূর যা ভাবে ভাবুকগে। লক্ষী বাচ্চাটা এরপর ঘুমিয়ে গেলো। সারা ফ্লাইট উঠলোই না। কিচ্ছু খেলোই না মজার মজার খানা।

কিচ্ছু খেলোই না বাচ্চাটা এই যে এসব মজার মজার খানা।

এই ডেজার্ড আমার অনেক মজা লেগেছিলো। আমি অবশ্য এমনিতেই মিষ্টি খাই গপাগপ!
একটা কথা বলে রাখি একা একা ভ্রমনের এই বারেরটাতে নিজেকে কখনও মিঃ বীন, কখনও গোবর্ধন, কখনও কখনও টম এন্ড জেরী মনে হয়েছে আমার।

যাইহোক শান্তিতেই ছিলাম কিন্তু এরপর প্লেন ডিলে আমার ট্রানসিট ১ ঘন্টা। এখন কি হবে? প্লেন সিঙ্গাপোর এয়ারপোর্টে পৌছালো ৬টা ২৬ আর কানেক্টিং ফ্লাইটটা ছাড়বে ৭ টা ৫ এ। চিন্তায় শেষ আমি। আমাকে রেখে যদি প্লেন চলেই যায় আমার কি হবে! কোথায় যাবো আমি!! হায় তখন তো গান গাবো, কোন দেশে যে বাসা আমার কে জানে ঠিকানা... না না এটা হতে দেওয়াই যায় না কাজেই হুলুস্থুল লাগিয়ে দিলাম আবারও। বাঁচাও বাঁচাও। কেমনে যাবো কি করবো! কেবিন ক্রু বলে আমাদের প্লেন কোনোদিনও তোমাকে ছেড়ে যাবে না ভয় পেওনা রিলাক্স।আমি মনে মনে বলি রাখ বেটা তোর রিলাক্স!!! বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও!!!!!!!!!! পুরাই টম এন্ড জেরী স্টাইল। :) আমার জ্বালায় তারা তাড়াতাড়ি আমাকে গ্রাউন্ড সাপোর্ট এর হাতে তুলে গাড়ি চড়িয়ে দিয়েছে...... সেই গাড়ি স্কাইট্রেনে পৌছে দিলো ব্যাস দৌড়াতে দৌড়াতে আবার গেইট! আহ টম এন্ড জেরির মত শান্তি! বসে আছি আছি আছি প্লেইন ছাড়ে না। দূর শুধু শুধু এতক্ষন মিঃ বিন টম এন্ড জেরী কত কিছুই না হতে হলো।

আমাকে নিতে এসেছিলো রাহী। বাংলাদেশের ছেলে। ওখানে পড়ালেখা করছে পাশাপাশি উবার ইটস চালায়। নিজেই গাড়ি কিনে নিয়েছে। আমাকে সেই গাড়ি চড়িয়ে টাংকি ফুল করে নিলো আর আবার পার্কিং দিলাম ২৯ ডলার। তারপর তাকে খাওয়ালামও আবার অস্ট্রেলিয়ান বাংলা পাড়া লাকেমবাতে। রেস্টুরেন্টের নাম কি জানো? ধানসিড়ি রেস্টুরেন্ট! সে পেট পুরে মাটন আর পোলাও খেলো। কি আর করা আমাকে এত কষ্ট করে নিতে এসেছিলো। রুমে এসে মন খারাপ। হঠাৎ মনে হলো এই নির্জন উপকূল ছেড়ে এখুনি পালিয়ে যাই। এরপর সেই নিশ্চুপ নিচ্ছিদ্র রাতে ঘুমিয়ে গেলাম। মনে হয় ক্লান্তিতেই।

পরদিন ছিলো ২৫শে ডিসেম্বর। সারা দুনিয়ার সব কিছুই বন্ধ। কিন্তু আমার তো কিছু মাস্ট শপিং প্রয়োজন। ছুটলাম কি কি লাগবে মার্কেটে। সব বন্ধ!!! কোথাও কেউ নেই।
হেঁটে হেঁটে ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন শেষে ইজিমার্টে আইসক্রিম খেয়ে চেপে বসলাম মেট্রো, ট্রেইন। আবারও লাকেম্বা। বাংলাদেশ অব সিডনী। কারণ আর কোথাও শপিং মল খোলা ছিলো না।

এখানে এসে কেউ বলবে না এটা বাংলাদেশ ছাড়া আর কিছু। ইচ্ছা করেই বুঝি তারা ময়লা ঝয়লা দোকান বানিয়ে রেখেছে, দেশী ভায়েদের হাসি আর দুনিয়ার সব বঙ্গবাজার ধানসিড়ি, হাট বাজার দোকানে ভরা। সেখান থেকে কিছু শপিং করে ফিরলাম।
এই যে আমার মেট্রোরেল পরিভ্রমনের দৃশ্য! :)
আহা চারিদিকে তাকায় তাকায় দেখি! কি সৌন্দর্য্য! এমন ভদ্দরনোক ট্রেইন!!!

২৬শে ডিসেম্বর শপিং মলগুলো খুললো। কে মার্ট, উলসওয়ার্থ, ডেভিড জোন্সে দরকারী জিনিসপত্র শপিং শেষে ফিরলাম। এরপর এত বড় শপিং ব্যাগগুলো নিয়ে ফিরবো কেমনে! অবশেষে সেটারও সমাধান হলো।
এ রাতের বিশেষ কাজ ছিলো বাসা খোঁজা। ও হ্যাঁ আমি উঠেছিলাম একজনের ডরমিটারীতে পারমিশন নিয়ে। এখানে তো আর থাকা যাবে না। আর আমি আত্মীয় স্বজনের বাসাতেও থাকতে চাচ্ছিলাম না। কাজেই আমাকে একটা বাসা ভাড়া করতে হবে। বাসা খুঁজতে গিয়ে সেই রাতেই আমি সিডনীর প্রায় সকলস্থানের নাম জেনে ফেললাম। সিডনীতে বাসা খোঁজার জন্য মনে হয় কোনো টুলেট ঝুলানো হয় না। যা হয় সবই এজেন্টের মাধ্যমে। ওয়েব পেইজে ফর্ম ফিলাপ করে ইনসপেকশন ডেট নিতে হয়। যদিও তখন নিউ ইয়ার হলিডেজ চলছিলো তবুও আমার কাজ থেমে থাকেনি। ২৮শে ডিসেম্বর পরদিনই ইস্টউডে একটা বাসার ইনসপেকশন পেলাম আমরা!
ইস্ট উডের ঠিক এইখানেই ছিলো বাসাটা। বাসার সামনে গিয়ে তো চক্ষু চড়কগাছ। একটা বাসার পিছে এক ডজন কাপল দাঁড়িয়ে। বুঝলাম এই বাসা পাওয়া সহজ কার্য্য নহে। কি আর করা ইস্ট উড শপিং মলে এক গাদা হাবি জাবি কিনে আইসক্রিম খেয়ে বাসায় ফিরলাম।

আমার প্রিয় ক্রিস্টমাস ট্রি।

আরও একটা ক্রিস্টমাস ট্রি :)

এই যে ইস্ট উড মার্কেট। এইদিন ওখানে বসেই দুঃসংবাদ পেলাম। আমাদের এক পরমাত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ। মন ভার হয়েই রইলো।

২৯।১২।২০২২ । এটা ছিলো আমাদের অবার্ন ডে। টার্কিশ শপে কেনাকাটার প্লানিং ছিলো এবং এরাবিয়ান শপে আমরা মান্ডি খেলাম। এক বিশাল থালায় এরাবিয়ান মাটন পোলাউ। আস্ত খাসীর রান আর সবাই মিলে এক থালায় খানাপিনা। অবার্নের শিশুগুলি ঠিক দেবশিশুর মত সুন্দর! তারা রাস্তায় খেলছিলো। বাবার সাথে খেতে এসেছিলো।

৩০।১২।২০২২ আমার অস্ট্রেলিয়া সফরের কিছু উদ্দেশ্য ছিলো কিন্তু সব কিছু বন্ধ থাকায় একটু ঢিলেঢালা গতি চলছিলো। আমরা সেদিন গিয়েছিলাম টাউন হল। টাউনহলের শপিং মল দেখে আমি মুগ্ধ। ঠিক যেন এক রাজবাড়ি শপিংমল। অস্ট্রেলিয়ান অথেনটিক খানা খেতেই হবে আমাকে। তো সেখানেই পেয়ে গেলাম মিট পাই। আর ম্যাকারন।

সৌন্দর্য্য সৌন্দর্য্য দোকান পাট.... )

সৌন্দর্য্য সৌন্দর্য্য খানাপিনা :)
এরপর আমরা চললাম মিস ম্যাকুয়ারী চেয়ারস আর ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারীর উদ্দেশ্যে। মিস ম্যাকুয়ারী চেয়ারসের ওখানে সেই মনোহরনকারী সাগর আর বিশাল সব জাহাজ দেখে মন জুড়ালো। প্রাণ ভরালো।
মিস ম্যাকুয়ারী চেয়ারের একটা ইতিহাস আছে-

Major-General Lachlan Macquarie এর ওয়াইফ ছিলেন এই Mrs Macquarie, সেই লোক ছিলেন Governor of New South Wales from 1810 to 1821. মিস ম্যাকুয়ারী নাকি এই সুশীতল মনোহরনকারী সাগরের ধারে প্রস্তরস্তম্ভের উপর বসে থাকতেন। দেখতেন জাহাজের ভেসে যাওয়া। আমি তো দিব্য চক্ষুতেই দেখতে পাচ্ছিলাম হ্যাট মাথায় একজন রাজকুমারী টাইপ মেয়ে বসে আছে ঐ সাগরের ধারে। ঐ Major-General Lachlan Macquarie নাকি ঐ রাজকুমারী মার্কা ওয়াইফের জন্য পাথর কেটে কেটে বানিয়েছিলেন ঐ পথ...... যাইহোক... এরপর আমরা হেঁটে গেলাম রয়েল বোটানিক গার্ডেন দিয়ে।
এই যে এসব দৃশ্যই মিসেস ম্যাকুয়ারী প্রস্তরের চেয়ারে বসে দেখতেন-

সুনীল সাগরে বিশাল সব জাহাজের ভেসে চলা...
দূরের ব্রীজ, অপেরা হাউজ।

রয়েল বোটানিক গার্ডেন- এই অপরূপা মনোহর উদ্যানের মাঝে দিয়ে আমরা হেঁটে গেলাম অপেরা হাউজের কাছে। এরপর হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখলাম পৃথিবী বিখ্যাত অপেরা হাউজ। বর্তমান অপেরা হাউজটি বেনেলং পয়েন্টে তৈরী করা হয়েছে যা একসময় ম্যাককুইরি বন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৮১৭ সালে বন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯০১ সালে বিলুপ্ত করা হয়। ১০ আগস্ট, ১৯০২ সালে ম্যাককুইরি বন্দরে ট্রাম রক্ষণাগার তৈরী করে ১৯৫৮ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়। এই একই জায়গায় ১৯৫৯ সালে সিডনি অপেরা হাউজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বিকাল বেলার অপেরা হাউজ

সারাদিনের ক্লান্তির পর অপেরা বিবির সাথে আমি বিবির ছবি....

হু হু বাতাসে চুল উড়ে যায় মন কেমন করে আমার মন কেমন করে, কে জানে কাহার তরে!
জান আডজেন নামীয় ড্যানিশ স্থাপত্যবিদ সিডনি অপেরা হাউজের নকশা প্রণয়ন করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি অপ্রত্যাশিত ও বিতর্কিতভাবে নকশা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পুরস্কারের মূল্যমান ছিল £৫,০০০।[৪] ১৯৫৭ সালে প্রকল্পের তত্ত্বাবধান ও সহায়তার জন্য সিডনিতে আসেন।[৫] ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে তিনি সিডনিতে তার অফিস স্থানান্তরিত করেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে আডজেন প্রকল্পের কাজ ফেলে রেখে চলে যান।[৬] এর প্রধান কারণ ছিল সরকারের অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি। ২০০১ সালে আডজেন অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রিত হয়ে অবকাঠামোটির নকশাকে পরিবর্তন করে প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। ১৯৫৭ সালে অপেরা হাউজের প্রকৃত নির্মাণ ব্যয় ছিল £৩,৫০০,০০০ ($৭ মিলিয়ন)। অস্ট্রেলিয়ার রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০ অক্টোবর, ১৯৭৩ সালে আধুনিক স্থাপত্যকলার অন্যতম পদচিহ্ন সিডনি অপেরা হাউজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। বিপুলসংখ্যক আগ্রহী জনতা এতে উপস্থিত ছিলেন। ফাইন ডাইন বুক হয়ে গেছিলো সেদিন। কিন্তু ফেরবার পথে আমরা দেখলাম ওপেরার দল হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে। না জানি কোনো অজানা দেশের না জানা অপ্সরী তারা।

সারাবিকেল এখানেই বসে ফায়ার ওয়ার্কের জন্য অপেক্ষা....
৩১।১২।২০২২ অস্ট্রেলিয়া এসেছি আর তাদের বিশ্ব বিখ্যাত ফায়ার ওয়ার্কস দেখবো না! তাই কি হয়! সে উদ্দেশ্যে ফেরী করে আমরা পৌছালাম ম্যানলী বিচ। উদ্দেশ্য এই ভিউ পয়েন্ট থেকে ফায়ার ওয়ার্কস দেখা।বিকাল ৪ টা থেকে বসে ছিলো লোকজন। তারা সবাই শীতের কাপড়, কাঁথা কম্বল নিয়ে হাজির। কিন্তু আমরা জানতাম না সূর্য্য ডোবার পরেই ঐ সুউচ্চ পাহাড়ের উপর নামবে এমন হাঁড় কাঁপানো শীত। কোনোমতে উহু উহু করে বসে রইলাম আমরা। রাত ৯ টায় শুরু হলো সেই অপরূপা ফায়ার ওয়ার্কস। শেষ হতেই মানুষের ঢল নামলো। সকলে উঠেই পাড়ি জমালো বাড়ির পথে। কিন্তু ঐ নির্জন পাহাড়ী পথ আর দু দিকে ঘন বন আমার আত্মা উড়িয়ে দিচ্ছিলো। প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছিলো ভূত পেত্নী দৈত্য দানো লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসবে বনের মধ্যে থেকে। সে যাই হোক শেষ মেশ উবার করে ফিরে এসে এললোরা রিসার্ভ থেকে সামনা সামনি ফায়ার ওয়ার্রকস ২০২৩ দেখা। সে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো। বাড়ি ফেরার সময় কোনো বাসই খালি ছিলো না। রাত ২:৩০ তে ফিরলাম আমরা। আমাদের এই যাত্রায় গাইড ছিলো বিভান। একজন চটপটে এবং ইনটেলিজেন্ট বয়।
অনেক কষ্ট করে ভিডিও থেকে কাট করলাম! :
সে কি অপরুপ আলোর খেলা!! ছবি বা ভিডিওতে কখনই আসবে না! :(
সারাদিন আনন্দেই কেঁটেছিলো। কিন্তু রাতে নেমে আসলো মহা বিপদ। আমার রুমের সামনে এক গিরগিটির বাচ্চা। এ্যশ কালারের কার্পেটের রং হয়ে বসে আছে। আমি তো চিল্লায় মিল্লায় বাড়ি মাথায়! এই গিরিগিটি কুমীরের নাতি বাড়ি থেকে না বের হলে আমি ঘুমাবোই না। সবাই বলে কিচ্ছু হবে না। ও রুমেও ঢুকবে না তোমার গায়েও উঠবেনা। আমি তো অবাক! কি করে গ্যারান্টি দিচ্ছে তারা! ওরা কি গিরগিটির মনের ভাব জানে? যাইহোক রাত দুপুরে হই হই করে সেই টিকটিকির দাদা মহা পরদাদা গিরগিটির বাচ্চা গিরগিটি দূর করা হলো ঘর থেকে। তারপর আমার শান্তি হলো।

এই ছিলো প্রথম সাত দিনের অস্ট্রেলিয়ার গল্প। বাকী গল্প পরে বলছি। ধীরে ধীরে ...... :)


ওয়াটার লু পার্কের সামনে বাসের জন্য ওয়েট করছিলাম তখনি ক্লিক ক্লিক! শুধু শুধুই এই ছবি দিলাম। ছবি বড় করে দেওয়া যাচ্ছে না এবং সব ছবিই ঘোলাটে আসছে। কি আর করা তবুও এই আমাদের সামু। যেখানে লিখি মনের কথা!

চলবে....

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:



এখন কেমন আছো তুমি?
বাইরে যাচ্ছি, ফিরে এসে তোমার পোষ্ট পড়বো।


১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

শায়মা বলেছেন: এখন অনেকটাই ভালো।
আচ্ছা যাও ফিরে এসে পড়ো। এ শুধু প্রথম সাত দিনের গল্প!

পরের গুলো এখনও বাকী! :)

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে পাঁঁচ তারা। আপাতত ছবি দেখলাম। পরে আবার আসুম :`>

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

শায়মা বলেছেন: কই এক তারাও তো দেখতে পাচ্ছি না।
কই তারা দিলে!!!!!!!!! :((

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ডল আপুর সাথে দেখা হয়েছে?

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

শায়মা বলেছেন: হয়েছে তো!!!!! :)

কিন্তু বলা যাবে না। ছবিও দেওয়া যাবেনা বুঝছো মিররমনির নিষেধ! :)

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গিরগিটি একটা সাথে করে নিয়ে আসতে পারতেন। আপনাকে ভালোবেসেই তো রুমের বাইরে দাড়িয়ে ছিল। :)

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শায়মা বলেছেন: এই গিরগিটি টিকটিকি আমাকে ছাড়ে না। যেখানে যাবো সেখানেই আছে এই শয়তানগুলা। কয়েক বছর আগে রাঙ্গামাটি গেছিলাম সেখানেও বিশাল সাইজের টিকটিকির দাদা তক্ষক। ঘরের মধ্যে রাত দুপুরে টিকটক টিক টক । ও মাই গড!!!! :(

সেই পোস্টও আছে আমার ব্লগে......

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপু তোমার নিউমোনিয়ার কি অবস্থা? আজকের একটিভিটি দেখে মনে হচ্ছে অপেক্ষেকৃত ভাল ফিল করসো।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

শায়মা বলেছেন: এখন অবস্থা অনেকটাই ভালো। আসলে নিউমোনিয়ার অবস্থার চাইতেও ইনজেকশন রিয়াকশনে অবস্থা খারাপ হয়েছিলো বেশি। :(

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


দারুণ সব ছবি আর বর্ণনা!!!

শেষর ছবিটা দারুণ হয়েছে!!!

স্পেস অপারেশনস-এ পড়ার জন্যে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। পরে, আমার এক ভাতিজা ভয় দেখাল যে ঘরের ভিতরে সাপ ঢুঁকে যায়, উঠোনে কুমির/ভালুক এসে বসে থাকে!!!

আমি আর অস্ট্রেলিয়া না গিয়ে ইউকে চলে গেলাম!

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শায়মা বলেছেন: একটা ছবিও পরিষ্কার করে দিতে পারিনি। সব ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে।

না সিডনীতে সাপ নেই। সাপ আছে ব্রিসবেনে। একটা মশা মাছি পোকা মাকড় কিছুই নেই। মাকড়াসা আছে। ছোট্ট ছোট্ট।

চারিদিকে কি সুন্দর সব পাখি। মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। কোনো ভয় নেই তাদের।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: পড়ছি ---------- পরের কিস্তির অপেক্ষায় -------------------

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শায়মা বলেছেন: ওকে ভাইয়া। পরের কিস্তি খুব তাড়াতাড়ি আনবো! :)

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মাথায় একটা হ্যাট থাকলে ট্রেনের বসা ছবিটি আরো চমৎকার হতো!

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৯

শায়মা বলেছেন: হ্যাট ওয়ালা ছবিটা পরের পর্বে দেবো। :)

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পোষ্ট পড়তে পড়তে অনেক হাসলাম, চমৎকার হাস্যরসাত্মক হয়েছে লেখাটা। অস্ট্রেলিয়া নিয়ে অনেক লম্বা এক গল্প আছে জীবনে, যদিও নিজে অস্ট্রেলিয়া যাই নাই। আর হ্যাঁ, ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে; বিশেষ করে খাবারের ছবিগুলো।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সে সব আসলে হাসির কান্ডই ছিলো! গিরগিটি কথন তো ডিটেইলস লিখিওনি । লিখলে হাসতে হাসতে মরতে!

খাবারের ছবিগুলো আসলে ভিডিও থেকে নিলাম।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কাছ থেকে এ ব্লগের পাঠক হিসেবে একদিন অস্ট্রেলিয়ার গল্প শুনতে (পড়ুন পড়তে) পাবো, এরকম একটি আশা তো ছিলই, কিন্তু আগের বারের মত এবারেও ফিরে এসে যখন কিছুই লিখলেন না, তখন মনে হয়েছিল এ নিয়ে বোধহয় আর লিখবেনই না। যাক, আজকে গল্পের প্রথম পর্বটি লিখে ফেলে তা এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। Unfortunately for you but fortunately for your readers, pneumonia opened the doors for them to get a first hand account of the continent country. দেশটির ইতিহাস ভূগোল সংস্কৃতি নিয়ে ছোটখাটো আলাপচারিতা আগামীতেও পাবো বলে আশা রাখছি, যেমন এবারেও কিছুটা পেলাম NSW এর সাবেক গভর্ণর পত্নী মিস ম্যাকুয়ারী চেয়ারস কে নিয়ে। ওনার একাকী বসে বসে জাহাজের আসা যাওয়ার দৃশ্য দেখার কথা শুনে ওনার জন্য মনে মনে একটু পক্ষপাত অনুভব করলাম, কেননা আমারও দিনমান বসে এমন দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে।

লিখতে থাকুন, ছোট বড়, খুঁটি-নাটি সব বিষয় নিয়ে। আমি সিডনীতে গিয়েছিলাম সেই ২০০১ সালে। আপনার লেখার সাথে মিলিয়ে দেখবো ২১ বছর আগের আমার দেখা সেই সিডনীকে, এবং ৩ ও ১ বছর আগে দেখা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের কিছু স্মৃতিকে। যেমন আপনার ফায়ার ওয়ার্ক্স দেখার বর্ণনা পড়ে মনে পড়ে গেল আমার ২০১৯ এর নিউ ইয়ার্স ঈভ এর উৎসবমুখর ফায়ার ওয়ার্ক্স সপরিবারে দেখার স্মৃতির কথা। ফায়ার ওয়ার্ক্স এর বর্ণিল ঔজ্জ্বল্য আর দৃষ্টিনন্দন আকর্ষণের চেয়ে আমি বেশি অভিভূত হয়েছিলাম ওদের ভলান্টীয়ার্স দের মব ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা আর দর্শনার্থীদের প্রতি সহযোগিতার দৃষ্টান্ত দেখে।

চমৎকার ভ্রমণ পোস্টে প্লাস। + +

কয়েকটি ছবি 'সোহানী সিনড্রোম' এ আক্রান্ত হয়েছে। ওগুলোকে ঠিক করে দিতে হয়তো ভূয়া মফিজ, জলদস্যু কিংবা অন্য কোন টেক-হ্যান্ডকে এগিয়ে আসতে হবে। :)

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

শায়মা বলেছেন: ছবিগুলোর যে কি হলো কিছুতেই বুঝলামনা। শেষে বিরক্ত হয়ে সোহানী আপুনিমনি সিন্ড্রোমসহই দিয়ে দিলাম।

হ্যাঁ আমার শুধু কোথাও দেখলেই চলে না। সেই ইতিহাসও জানা লাগবেই। মিসেস ম্যাকুয়ারীর চেয়ারে বসে ভাবছিলাম কি সে দেখতো। মনে হলো বড় লোনলী ছিলো বউটা। সারাদিন কাজ নেই কর্ম নেই অকর্মার ঢেকিও ছিলো মনে হয়। যাইহোক তার হাসব্যান্ড যে বউ এর জন্য পাথর কেটে চেয়ার টেবল বানিয়ে দিলো সেই অনেক।

ওপেরার মেয়েগুলোর ছবি ভিডিও করে রেখেছিলাম। খুঁজে পাচ্ছি না। :(

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

শায়মা বলেছেন: সব ছবি ঠিক করে দিয়েছি! :)

আমার ছবিগুলি এখন সিন্ড্রোমমুক্ত! :)

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: অভিনন্দন নাও, এত তাড়াতাড়ি নিউমোনিয়াকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পেরেছ বলে। ফিনিক্স!!

শুভকামনা রইল, তাড়াতাড়ি সেরে ওঠো।

তোমার চোখ দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দেখা আর জানা শুরু করলাম! চমৎকার সব ছবি আর লেখা! পরের পর্বগুলোও ছবিসহ বিস্তারিত ভাবে লিখো।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: এখনও আছে আপুনি! নিমুনিয়া সোনামনি চুপচাপ বসে আছেন এখনও। তবে হ্যাঁ হসপিটাালে ভর্তির পর দুইটা এন্টিবায়োটিক পড়তেই ব্যাথা চলে গেলো হাসিমুখ হয়ে গেলো! নার্স ডাক্তার সবাই অবাক! এত কুইক রিকোভারী!

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: একা একা এতো দুরে গেলেন,আপনার কি ভয় ডর নাই।চিলে কোঠায় লোকটাকে সাথে নিতে পারতেন।বিপদ আপদেরতো কোন হাত পা নাই।
দুধের স্বাধ ঘোলে মিটালাম।ছবি দেখে এবং পড়ে অর্ধেক ভ্রমন হয়ে গেছে।সুন্দর করে লিখিছেন।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া। ভয় ডর আছে তো! কিন্তু ভয়কে জয় করাই আমার স্বভাব। ভয়ে ভয়ে হলেও সবাইকে জ্বালায় পুড়াই শেষ পর্যন্ত সব কাজে সফল হয়ে যাই। :)
আর চিলেকোঠা!! হা হা চিলেকোঠায় আমি জীবনে পাও দেইনি!!! :P


আরও ভ্রমন কাহিনী বাকী আছে ভাইয়া। এ শুধু ৭ দিনের কথা।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:
এত সুন্দর ঝরঝরে বর্ণনা, প্লাস না দিলে বেরাট অন্যায় তাই লগইন করতেই হল।

আপু পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

একখানা কথা কয়েটা ছবি দেখতে গিয়ে কিন্তু ঘাড় ব্যাঁকা হয়ে যাওয়ার দশা, হাহাহা।

শুভ কামনা নিরন্তর।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৭

শায়মা বলেছেন: হা হা আমারও ঘাড় বেঁকা হয়ে গেছে। কিন্তু কি করবো!! কিছুতেই সোজা হলো না। :(

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপু তোমার অস্ট্রেলিয়ার সফর নিয়ে একটি পোস্ট পাবো এবং সেই কবে থেকেই অপেক্ষা করছিলাম । তোমার লেখাটা পড়ে অনেক মজা পেলাম আর তোমাকে দেখলামও তুমি বেশ শুকিয়ে গিয়েছো । আপুর সুস্থতা কামনা করছি এবং অনেক ভালো থেকো ।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৯

শায়মা বলেছেন: এই শুকানো সেই শুকানো না। নিমুনিয়া হয়ে ৩ দিনে ৩ কেজি কমে গেছে।

আবার ৩ দিন খেয়ে খেয়ে গেইন করে ফেলবো ইনশা আল্লাহ! :)

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,





মরুভূমির জলদস্যুর পোস্ট, "কবিতা লেখার অপচেষ্টা"য় দেখলুম ঢাবিয়ান শায়মাকে নিয়ে "এআই"র সাহায্যে একখানা কবিতা লিখেছে। তারপরক্ষনেই শায়মার এই পোস্ট। ভাবলুম, কবিতার জবাবে শায়মাও হয়তো "এআই" দিয়ে এই অষ্ট্রেলিয়ার গল্পখানি লিখেছেন । :|
কিন্তু এই পোস্টে "এআই"র মতো বেগড়বাই বাক্যের দেখা মেলেনি বলে বুঝলুম ভেজাল বিহীন লেখা। ;) টম এ্যান্ড জেরীর মতো মিস জেরীর লাফালাফিটা পড়াদায়ক ( আরামদায়কের প্রতিশব্দ :#) ) হয়েছে। বোঝা গেলো, বঙ্গবাজারে শপিংয়ের খাসলতটা অষ্ট্রেলিয়ায় গিয়েও ছাড়তে পারেন নি!!!! :P
বিশাল একখানা জাহাজের ছবি দিয়েছেন শুধু। সুযোগ ছিলো সেই জাহাজের সামনের রেইলিঙ ধরে "কেট উইনশ্লেট" মার্কা একখানা পোজ দিয়ে ছবি তোলার। তবে শেষের ছবিটাতে মনে হলো " সে যে কেন এলোনা......."ষ্টাইলে পোজ দিয়েছেন। :-P

খায়রুল আহসান ঠিকই বলেছেন - "'সোহানী সিনড্রোম" এ পেয়ে বসেছে আপনাকেও। :( ছবির উপর নীচ ধরে টেনে টেনে লম্বা করে বর্গাকার বানিয়ে পেষ্ট করলে তো আপনাকে আর ব্লগের পাঠশালায় নীলডাউন থুড়ি.... কাইৎ হয়ে থাকতে হতোনা। :((

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৪

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া মরে গেলাম হাসতে হাসতে! আমি গত এক সপ্তাহ এত এত সিক যে কিছুই করার ক্ষমতা ছিলো না। কিন্তু ডক্টরের বেড রেস্টে কি আমার পক্ষে আর বসে থাকা সম্ভব ? তাই অস্ট্রেলিয়ার গল্প শুরু করেছিলাম। এমন সময় কবিতা লেখার অপচেষ্টা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ!

আমার তো শপিং এর খাসলত মরার পরেও মনে হয় যাবে না। :)

কিন্তু জাহাজের সামনে ছবি?????????? হা হা হা ভাইয়া শুনলে না একা একা গেলাম এত কষ্ট করে। ঐ জাহাজে দোকা দোকা পাবো কই? আর পেলেও বৈদেশি মানুষকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে? কখন আবার পোজ ছেড়ে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়।:(

আর সে যে কেনো এলোনা পোজ!!!!!! এটা ঠিকই আছে বাস যে কেনো আসে না কিছু ভালো লাগে না...... হা হা আহা নিজের দেশে জীবনেও বাসের জন্য ওয়েট করতে হয়?? পা বাড়ালেই ...... :)কিন্তু পরদেশে বাসের জন্য ওয়েট ভালো লাগে? কিন্তু বাস আসলেও আর মজা দেখাতে পারলামনা।

ভাইয়া এই বাস নিয়েও হাস্যকর কান্ড ঘটিয়েছি। বাস কেমনে থামাবো কেমনে যাবো ভেবে একদম গ্রামের মানুষ স্টাইলে লাফ দিয়ে আধা রাস্তায় পড়ে হাত দেখিয়ে থামিয়েছি। গুগল ম্যাপ ট্রান্সস্পোর্ট ম্যাপ কিছুর ধার না ধেরে। তবুও ড্রাইভার মহারাজা এতই ভদ্দরনোক - বলে ম্যাম হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ?? আমি তো তাড়াতাড়ি হাউ মাউ খাউ আমি কেমনে ঐখানে যাবো রে!!!!!!!

সে বলে ঐ দিকে দেখো রাস্তার উল্টা দিক দিয়ে উল্টা দিকের বাস যায়। ঐ খানে যাও। যাক বাবা বাঁচলাম :)

বেটাকে অনেক অনেক দোয়া করে আবার গোবোর্ধন স্টাইলে রাস্তার ঐ পাশে দৌড়াদৌড়ি। ধ্যাৎ নিজের দেশের রাজকীয় জীবন ছেড়ে কেউ যায় বৈদেশে বাসে চড়তে!!!!!!!!!! :(

এরপরের পোস্টে টেনে টুনে বর্গাকার করছি ছবিগুলো! আল ভুল অবে না ! :)

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: একা একা ভ্রমন করে শান্তি পেলেন? কথায় আছে 'যে একা সে-ই সামান্য'।
আমাকে বললে, আপনার সঙ্গী হতে পারতাম। তাহলে আপনার জার্নি আরো মজার হতো।

আপনার ছবি গুলো কে তুলে দিলো? রাহী?
অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের কোনো ব্লগারের সাথে দেখা হয়নি? ব্লগার 'কবিতা কথ্য'র সাথে নিশ্চয়ই দেখা হয়েছে?

লেখাটা মনে হয় খুব তাড়াহুড়া করে লিখেছেন। বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়লো। অবশ্য আমার নিজেরই খুব বানান ভুল হয়। এজন্য আমি অন্যের বানান ভুল মেনে নিতে পারি না।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৮

শায়মা বলেছেন: তোমাকে নিয়ে যাবো!!!!!!!!! ঠিক ঠিক নেক্সট টাইম তোমাকেই নেবো ভাইয়া! দেখোনা শপিং ব্যাগগুলো একা একা টানতেই পারছিলাম না। আর যাই হোক আমার ধারণা আমি একা একা গোবোর্ধনের মত হাস্যকর কান্ড করেছিলাম তুমি গেলে ১০০ তে ১০০ হত আমি হতাম গোবোর্ধন আর তুমি হতে হর্ষবর্ধন! একদম সোনায় সোহাগা। হা হা


হ্যাঁ রাহী। না কবিতা কথ্যভাইয়ার সাথে দেখা হয়নি। আমি আসলে অন্য কিছু কাজে বিজি ছিলাম। তাড়াহুড়ো করে লিখেছি বটে তবে বানান নিয়ে এত ভাবিনি কারণ এমনিতেই আমি অনেক সিক ছিলাম। টাইম পাস করতে লিখেছি।

আচ্ছা পরের পর্ব লিখছি।

১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার এক বন্ধুর নাম হীরা। ওর ছোট মেয়ের নাম রেখেছে নিজের নাম উলটে হীরা < রাহী

- ছবি সহ চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট হয়েছে। তবে কয়েকটি ছবি ঘাঢ় তেড়া করে দেখতে হয়েছে। B:-/

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২০

শায়মা বলেছেন: হা হা ঘাড় তেড়া ছবি দিতে গিয়েও আমার ঘাড় তেড়া হয়ে গেছে। :(


কি করবো সেই ইমগুর তো আর কাজই করে না মনে হয়। :(

১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

নজসু বলেছেন:


এতো সুন্দর করে লেখেন যে এক নিমিষে শেষ করা যায়।
সুন্দর, গোছানো, ছিমছাম পরিচ্ছন্ন বর্ণনা।
ছবিগুলো দারুণ। ছবির আকার আরেকটু বড় হলে ভালো হতো।
সব মিলিয়ে আমার বেশ লেগেছে। পরের কিস্তির জন্য অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা বোন। ভালো থাকবেন।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আরও বড় করে লিখতাম ভাইয়া। শরীরটা ঠিক নেই তাই একটু ছোটই থেকে গেলো।

ছবিগুলোকে বড় করতে পারিনি। :(

অনেক ভালোবাসা ভাইয়া :)

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার, আপনার ভ্রমণ কাহিনী ভাল লাগল।

আপনার গল্প পড়ে আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণের কথা মনে পরল, আমি প্রথম বিদেশ গিয়েছিলাম আন্ডারগ্রাজুয়েট করতে কোরিয়াতে, সাথে আরেকজন স্টুডেন্ট ছিল, দুজনেরই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, ট্রানজিটে বেগ পেতে হয়েছিল বিমান ধরতে। তারপর জীবনে অনেক দেশে একা ভ্রমণ করেছি, একবার ইউরোপের কোন এক দেশে ট্রানজিট ছিল দের-ঘণ্টার মত, বিমান কিছুটা লেট করেছিল, আমার মনে আছে দৌড়িয়ে গিয়ে পরের বিমান ধরেছিলাম।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৯

শায়মা বলেছেন: আমি এর আগেও একা একা একবার সিঙ্গাপোরে গেছিলাম। তখন এয়ারপোর্ট অনেক ছোট ছিলো আর সেটা তো কোনো ট্রানজিট না কাজেই ভয়ও ছিলো না।


আর শুধু কি ট্রানজিট বিমান ভ্রমন আমার এক অপছন্দের কাজ। কখন যে এত বড় একটা জিনিস পপাৎ ধরনীতল হয়! :(

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে পরে কথা হবে, আগে বলো, এতোগুলো ছবি আপলোড দিয়েছ কিভাবে? আমার মিউনিখের পোষ্টে তো অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না............অথচ আমিও আগে এক পোষ্টে ৩০/৩৫টা ছবি আপলোড দিয়েছি। X(

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৭

শায়মা বলেছেন: আরে কেমনে দিয়েছি জানিনা। দিলাম আর হয়ে গেলো তো!

তুমিও পারবে ভাইয়া।

একবার না পারিলে দেখো শতবার.....

২১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: তোমার ছবি দেখতে আমি বাইনোকুলার নিয়ে বসেছি। ক্যামেরাম্যান এর কি করনা হইসে যে ৬ মাইল দুরে দাড়িয়ে তোমার ছবি ণিলো?

সব পর্ব দাও তারপর দেখি কি কি ভুল করেছো

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৯

শায়মা বলেছেন: থাক বাইনোমুলার লাগবে না আমি মেইল করে দেবোনে।

ক্যামেরাম্যানের কিছু হয়নি। ছবিগুলা ঠিক ঠাকই আছে শুধু সামু এগুলোকে লিলিপুট বানিয়ে দিয়েছে।

২২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঠিক কত টাকার শপিং করা হয়েছে?

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৯

শায়মা বলেছেন: শপিংই করতে পারিনি ভাইয়া।

অনেক বিজি ছিলাম।

২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

সোহানী বলেছেন: দীর্ঘ পোস্ট পড়ে, ছবি দেখে নীচে মন্তব্যের ঘরে খায়রুল ভাই আর জী ভাই এর মন্তব্য দেখে হাসতে হাসতে অজ্ঞান। শেষমেস "সোহানী সিনড্রোম"....................হাহাহাহাহা

আমার মান ইজ্জততো দেখি ব্লগের ধুলায় লুটোপুটি খাচ্ছে.... :P

বিশ্বাস করো, তোমার ছবি দেখে আমিও ভাবছিলাম, যাক এবার শায়মাকে খোঁচা দেয়া যাবে.... আমি একা না তুমিও আছো.......হাহাহা

তোমার ভ্রমণ বর্ননা অসাধারন। তবে আমিও তোমার মতো কানেকটিং ফ্লাইট এর জটিলতায় পড়েছিলাম। তখন মিউনিখ, জার্মান থেকে দুবাই ফ্লাইট ধরছিলাম। ৪৫ মিনিট ট্রানজিট ছিল। সবাই চ্যালেন্জ করেছিল আমি ফ্লাইট ধরতে পারবো না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমি ফ্লাইট ধরেছিলাম। B-))

একা একা ঘুরার অনেক মজা। এ কাজ আমি প্রায় করি। খুব ভালোলাগে ঘুরে বেড়াতে। আর কেনাকাটা......... কখনই কাউকে নেই না। তাইলে কেনাকাটাই হয় না।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি এই সিন্ড্রোমে তুমি এক্কেবারে দাগী আসামী হয়ে গেলে। হা হা হা
আমি নিজেও হাসছিলাম। সব ছবি বাঁকা বাঁকা।

আমার ভ্রমন বর্ননা ভেবে ভেবে আমি নিজেই যে কত হেসেছি। তবে হ্যাঁ আমার কোনো হেজিটেশন নেই। আমাকে যে যা ইচ্ছা ভাবুক নিজে বাঁচলে বাপের নাম! কানেক্টিং ফ্লাইটে দৌড়ে উঠতে পারবো কিনা সেই টেনশনে আমি উল্টা ফ্লাইটের লোকজনকেই দৌড়ের উপর রেখেছিলাম। হা হা হা ওরা ভেবেছে কই থেকে আইলো রে এই পাগল মানুষ! :P


একা একা সব সময় ঘুরি এমনকি একা একা আমি এর আগেও বৈদেশ ভ্রমন করেছি যদিও কানেক্টিং ফ্লাইটের ঝামেলা ছিলো না কিন্তু এবারে বলতে গেলে পুরো ভ্রমন এবং ওখানে থাকবার অভিজ্ঞতাও ছিলো একা একাই। কাজেই অনেক পাগলামী করতে হলো।


আপুনি জানো বাংলাদেশে শাড়ির দোকানে একটা নিয়ম আছে। একজন বা দুইজন গেলে তারা সাগ্রহে শাড়ি দেখায় তিনজন মেয়ে আসলে তারা বুঝে যায় শাড়ি বিক্রি হবে না।

তিন রমনী নাকি কখনও এক মতের হতে পারে না তাই তারা অনাগ্রহ দেখায়।

সবচেয়ে ভালো একা একা শপিং। কেউ বাঁধা দেবার নেই! :)

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!

সব সিন্ড্রোম ট্রিটমেন্ট করে ফেলাইসি!!! :)

২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: মনে মনে ভাবছিলাম এমন একটা ভ্রমণ কাহিনী আসবে আপনার কাছ থেকে। :)
আপনার লেখার স্টাইল আপনার মত দারুন উপভোগ্য!! চলতে থাকুক সাথে আছি...

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

শায়মা বলেছেন: হা হা হা আমার সাথে পরিভ্রমণও মনে হয় অনেক আনন্দের হবে। যে পাগলামী করি!!!

যাইহোক নেক্সট টাইম আমার সাথে রাজীব নূর ভাইয়া যাবে। তখন পাগলী এবং পাগলীর বড় ভাই মিলে কি হবে সে গল্প লেখা হবে। হা হা

২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: একা ভ্রমণ সবচেয়ে মজার। আমি এই বিষয়টা খুব উপভোগ করি।
ট্রেনজিট সময় কম থাকলে সমস্যা আর যদি বলে ব্যাগেজ কালেক্ট করতে হবে তাইলে আরো বেশি সমস্যা এমন ট্রেনজিট এভয়ড করা ভালো।
হাউ মাউ খাউ টম, জেরীর টানাটানেতে ভালোই ঘুরেছো শপিং করেছো।
নিউমোনিয়া বাঁধালে কেমনে। ভালো হয়ে উঠো, ভালো করে।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

শায়মা বলেছেন: আপু তুমি তো নির্ভিক অসম সাহসী মনে হয় আমার। তোমার ট্রাক্টর চালানোর ছবিটা আমার অনেককককককককক ভালো লাগে। আমি তো জীবনেও ট্রাক্টর কেনো ট্রাক চালাবার কথাও ভাবিনি। তবে হ্যাঁ নেক্সট প্রজেক্ট স্কুটি। এই পেনপেনে গাড়ি চালিয়ে আর ভালো লাগছে না। স্কুটি চালায় মিউজিক ভিডিও বানাতে হবে আমার। :)

ট্রানজিটের ভয়েই তো আমার এত আনন্দের ভ্রমন মাটি হয়ে গেলো। :( আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে আর এয়ার হোস্টেজদেরকে জ্বালাতে জ্বালাতে আমি শেষ! :(
হ্যাঁ তারপরেও হাউ মাউ করে সবই করেছি কি আর করা! :P

নিউমোনিয়া বাঁধলো কেমনে এ এক রহস্য। সানডে রাত থেকে জ্বর আর পিঠে ব্যাথা। ফ্রাইডেতে এনুয়াল শো ছিলো আমি বাচ্চাদেরকে শাড়ি কষে বেঁধে দিচ্ছিলাম নাচের জন্য এমন সময় একটা হাচ্চো করে হাচ্চি দিয়ে দিলো আমার উপরে।

:(

আই থিংক সেখান থেকেই আমি কুপোকাৎ.....

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

শায়মা বলেছেন:


এই সেই গ্রুপের ছবি ...... :)

২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার ভ্রমণ পোস্ট! এই পোস্টের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছিলাম। আশা করি আরও লিখবে। শুভ কামনা।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া। হ্যাঁ ইহা শুধু প্রথম সাত দিনের ঘটনা। আরও আছে আরও লিখবো। :)

২৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি অসুস্থ্য জেনে খারাপ লাগলো। যাক দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন সেই কামনা করি।

ছবি ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ গল্প দারুণ জমলো। চ্যাট জিপি দিয়ে আপনার এই গল্প যদি লিখেন দেখবেন যে কত হাসির শব্দ, বাক্য দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছে।

এরাবিয়ান ডিসটা মজাদারই মনে হলো। ++++

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আরোগ্য লাভ করছি। শয়তান নিমুনিয়া জে কই থেকে আসলো! :( কত্ত আনন্দে ছিলাম আমি।

হা হা চ্যাট জিপিটির কথা আর বলো না ঢাবিয়ান ভাইয়া যে কবিতা লিখেছে তাই দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ।


আরও অনেক ডিশ খেয়েছিলাম ভাইয়া। সব ছবি দেবো একে একে। :)

২৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: নিউমোনিয় কে আদর করে নিমুনিয়া লিখেছ তাতে বোঝা যাচ্ছে যে সুস্থ আছো।

সলো ট্রাভেলিং জিন্দাবাদ!

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

শায়মা বলেছেন: ওল্ড মোনিয়া নিউ মোনিয়া সব সোনামোনিয়াদের নিয়ে তুমি বসে থাকো আমি নিমুড়া নিমুড়া নিমুনিয়াকে ঝাঁটা পেটা করে দূর করছি! :)

আবারও যাবো সলো ট্রাভেলিং এ।

তুমি কোথা থেকে উদয় হলে?

আজ অফিস নাই?

২৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন: তুমি কোথা থেকে উদয় হলে?. আমিও সেটাই ভাবছি কোথা থেকে এলাম।
আছে কাজ অফিস সব কিছুই আছে। ব্লগে এলাম নিজেকে একটু খুঁজে পেতে। আর যেটা বুঝলাম যে সামুতে এসে নিজেকে খুঁজে পেতে হলে তোমাদের সব্বাইকে খুঁজে পাওয়া দরক্কার। তাই তোমার অস্ট্রেলিয়ার গল্প ক্লাসে এনরোল করলাম :)

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২২

শায়মা বলেছেন: হা হা নিজেকে খুঁজে পাওয়া কঠিন সামুতে অনিয়মিত হলে। ইহাই নিয়ম।

অস্ট্রেলিয়ার গল্প আরও আসবে এই ক্লাস। কোনো ক্লাসেই ফেইল করা চলিবেক লাই।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

শায়মা বলেছেন:


এই নাও অস্ট্রেলিয়া থেকে কেনা অস্ট্রেলিয়ান বুড়া স্যান্টা..... :)

৩০| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আরেহ ! অস্ট্রেলিয়া গেছিলা বাহ ! ওটা তো আমার মামা বাড়ি । আগে বললে আমিও এয়ারপোর্ট অবদি যেতাম বাই বাই বলতে ।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

শায়মা বলেছেন: হায় হায় এয়ারপোর্ট অবদি কেনো?? ট্রানজিট পার করেই দিয়ে আসতা!! কত ভুই পেলাম একা একা :(

৩১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আরে না কি বলো ? ট্রানজিট পার করলে সবার টানাটানিতে আমাকে প্লেনে চড়তে হতে পারতো। প্লেন ঠিক আমার জন্য না ।আজকাল আমি হাইপারলুপে যাতায়েত করি ।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

শায়মা বলেছেন: ওরে!!!

হাইপার লুপ কি স্বপ্নে আসে!!!!!!!! :-/

স্বপ্নে তার সাথে হয় দেখা ...... :)

৩২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: সাদা ড্রেসে তোমাকে দেখি বাচ্চা কন্যাদের মত লাগছে ! ;)

যাই হোক আমার জন্য না চকলেট আনতে বলেছিলাম সেইটার কী হল ? #:-S

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

শায়মা বলেছেন: আমি তো বাত্তাই!!!

কোনোদিল বুলি হবো না!!!!!!!!!!! :)

চকলেট আছে। ঠিকানা দাও পাঠিয়ে দেই। এক প্যাক আমার থেকে আরেক প্যাক মিররমনির তরফ থেকে। :)

৩৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা ......অসুস্থতা নিয়েও এত বড় একটা পোস্ট দেয়ায় আপনার মানসিক শক্তির প্রশংসা করতেই হয়।

এত বড় ভ্রমণ কাহিনী শেষ করার পর যদি বলেন যে্ বাক্স প‌্যাটরায় করে একটাও ক্যাঙ্গারুর কিউট বাচ্চা আনেননি তবে কিন্তু নিরাশ হবো। =p~
আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া এই মানসিক শক্তির জোরেই এই সব অসুখ বিসুখ পাত্তা না দিয়েই তো এমন হলো। কাজেই সব সময় মানসিক শক্তি ভালো নহে এটাই বুঝলাম।

হা হা বাক্স পেটরায় কিছুই ছিলো না অং বং কিছু জিনিস আর চকলেট ছাড়া।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: অস্টেলিয়া থেকে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
প্রার্থনা করি সুস্থ হোন।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস। সুস্থ্য হচ্ছি! :)

৩৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশ আ্যডভেঞ্চারাস ভ্রমন কাহিনী। ঘুরাঘুরি, খানাপিনার ছবি, বর্ননা দারুন হয়েছে।

ভ্রমন ব্লগের কথায় মনে পড়ল আমাদের ভ্রমন ব্লগ লেখিকা জুন আপুকে বহুদিন ধরে ব্লগে দেখি না।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ জুন আপু মনে হয় মনের দুঃখে বনে আছেন। কোথায় ঘুরছেন।

আর ভ্রমন কাহিনী আ্যডভেঞ্চারাসের দেখেছো কি আ্যডভেঞ্চারাসের দাদা। হা হা

৩৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

একলব্য২১ বলেছেন: অনেকদিন যাবত ভ্রমণকাহিনী আমি আর পড়ি বললেই চলে। তোমারটা পড়লাম। বেশ ভাল লাগলো। খুঁটিনাটি বিষয়, দ্রষ্টব্য স্থানের ইতিহাস আর সুন্দর ছবি সম্বলিত চমৎকার পোস্ট। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের জন্য তোমার হোমওয়ার্ক ভালই ছিল বলে মনে হল।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শায়মা বলেছেন: আমারও সব ভ্রমনকাহিনী ভালো লাগে না তবে নিজে যে কোনো ভ্রমনে গেলে সে সব খুঁটিনাটি চোখে পড়ে মনে পড়ে। সে সব আমি মনে মনেই লিখতে থাকি। আর যে কোনো কিছু দেখলেই আমার ঘটনার পিছের ঘটনা মানে পেছনের ইতিহাস জানতেই হবে। আমার হোমওয়ার্ক কেমন ছিলো জানিনা তবে আমি সব কিছুতেই গুড প্রিপারেশন নিতে পছন্দ করি। :)

৩৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ও আল্লা কত মজা করেছো , দারুণ দারুণ সব ছবি!!!
আজকে আমার ছেলের স্কুলে অনুষ্ঠানে একজন কে দেখে ভাবলাম তুমি।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শায়মা বলেছেন: আজকে আমি স্কুলে যাইনি আপুনি। কিন্তু তোমার ছেলের স্কুলের নাম কি?



এই যে আমাদের স্কুলের অনুষ্ঠানের ছবি। লাস্ট ফ্রাইডে। এরপর তো আর স্কুল যেতেই পারলাম না। সোজা হসপিটাল চলে গেলাম। :(

৩৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি হাসপাতালে গিয়ে ফেরত আসছি। এখন ও ধুঁকছি। এই সিজন আমাকে বিছানায় ফেলে দিছে।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০০

শায়মা বলেছেন: আমার নিমুনিয়া হয়েছিলো আপু! এখনও ১০০% কিওর হয়নি। বাসায় বসে আছি। এই কি আমার চলে? কাল স্কুলে যাবো ভাবছি। এই রকম বসে থাকা আমার আর সহ্য হচ্ছে না।

চিরদিনের নীরোগ মাানুষ আমি গত বছর জানুয়ারী থে ৩ বার সিক হলাম।

কি যে হলো আমার! :(


ভাগ্যিস অস্ট্রেলিয়াতে এসব ঝামেলা হয়নি। :(

৩৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৬

একলব্য২১ বলেছেন: কি করছ শায়মা আপু। দ্বিতীয় পর্ব লিখছ।

মান্ডি কেমনে খেলে। আরবদের মত সবাই মিলে এক থালা থেকেই মানে এঁটো করে। এটা কাদের হোটেল লেবানিজদের।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এই মাত্র শেষ করলাম ২য় পর্ব। কাল পরশু পোস্ট করে দেবো।

মান্ডি খেয়ে ভাবছিলাম মানুষ যে কেনো এই মান্ডি খায়!! আল্লাহ জানে??

ঠিক বলেছো এক থালায় খাবো কেনো??

তবে এটা সত্যি এটো হয় না। এতই বড় থালা কারো সাথে কারো খানা মিশে যাবার চান্সই নেই।


এটা এরাবিয়ানদের হোটেল।

৪০| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৯

এম ডি মুসা বলেছেন: কমেন্ট লেখা পড়তে গেলো বিশ মিনিট উপরে যা পড়েছি কমেন্ট মুখাস্ত হয়ে উপরের সব ভুলে গেছি,িআমার ধৈর্য কম
গল্প ভ্রমন কাহিনি কম পড়ি ,,আলসে লোক হয়ে পড়ছি,,ভাবছি বাইর থেকে আসছে চকলেট খেতে পারবো ছবিতে যে নাই
মন খারাপ করে চলে যাওয়া হয়ে.।যাই এই পোস্ট দাতা কী পড়াশোনার জন্য অস্টেলিয়া গেছে নাকি সে দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করে এই দেশে পরিবারের টানে বেড়াতে আসলে?

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫০

শায়মা বলেছেন: ধৈর্য্য কম কিনা জানিনা তবে মেমোরী কম হতে পারে।:)

ছবিতে অনেক চকলেট দিতে পারি দেখে দেখে খেয়ে নিও।


পড়াশোনার জন্য আরও কিছু কাজের জন্য গেছিলাম। আবার যাবো। :)

আপাতত এই দেশেই আছি। :)

৪১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৬

এম ডি মুসা বলেছেন: মেমরি কম মানে কোন হিসেবে .।আপনার কথার মাঝে কেমন একটু রস পাওয়া যায়না বিষ পাওয়া যায়.। আমার মেমরি যা আছে চলবে নিজের জন্য বেশি মেমরি আবার ভাইরাস ধরে,, আমি েএকটা বড় মেমরি আমার ল্যাপটপ ইউজ করছিলাম তারপর আমার উইনডো. গেছে গা পরে নতুন করে দিতে হয়েছে সমস্যা হয়েছিলো ,,িআর আপনার কমেন্ট করতে চাইনা এই জন্য কারণ ,,করার চেয়ে না করে নিরাপদ থাকা সেফ ফিল করি,, আিই থিং দ্যাট ইউ আর আন্ডার স্টান্ড,,ইজ মাই টল্ক

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৪

শায়মা বলেছেন: হা হা .....

রস বিষ দেখে হাসছি।

কমেন্ট স্টাইল দেখেও।

অনেক কিছু বলতে গিয়ে ফান করতে গিয়েও করলাম না কারণ তুমি আমাকে ভয় পাও। অথবা নিজেই গোয়ার গোবিন্দ তুমি যে কোনো কমেন্টের নেগেটিভ মিনিং তৈরী করে তোমার উন্নত মস্তিস্ক!

এর আগেও কবিতা লেখা নিয়ে একটা পোস্টে তোমার উদ্ধত ও পাগলাটে কমেন্ট দেখে আমি বুঝেছিলাম তুমি নর্মাল বুদ্ধিমত্তার নও। তাই আমি তোমার পোস্ট আর তোমাকে এভোয়েড করি। তুমিও করেছো এবং সেটাই ভালো ছিলো।

কারণ তোমাকে আমার মনে হয়েছে নর্মাল কমেন্ট বুঝার ক্ষমতা তোমার কম বরং সব সময় হীন মন্যতায় ভোগো তোমাকে আমি অপমান করছি ভেবে।

তোমাকে আমার অপমানের কিছু নেই মুসা।

বোকার মত ভাবনা থেকে বিরত থাকো।

আমার সাথে লাগতেও এসো না। আসলেই ফল ভালো হবে না মনে হয়।

তুমি হয়ত এখনি আমি থ্রেট দিয়েছি এমন সব কমেন্ট এবং পোস্ট শুরু করবে... তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।

৪২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



যাই হোক তবে এতে আবার শাপে বর হলো। বিছানায় বন্দী তাই বসে বসে ল্যাপটপ বেড টেবিলে লেখালিখিরও সুযোগ! সেই সুযোগেই ভাবলাম লিখে ফেলি এইবার আমার অস্ট্রেলিয়ার গল্প।

নেক্সট নিউমোনিয়া কখন হবে? :)

ডেজার্ট প্যানাকটা, অনেক মজা।
একঘণ্টা ট্রানজিটই সবচেয়ে বেস্ট।

গ্রাউন্ড সাপোর্ট এর হাতে তুলে গাড়ি চড়িয়ে দিয়েছে
ওই গাড়িতে বুড়োরা, তাও সব বুড়ো না, যাদের হাঁটতে কষ্ট তারা চড়ে :)
কোথাও কেউ নেইয়ের ছবিগুলো সুন্দর।

বাংলাদেশ অব সিডনী।
বিদেশে এসে আবার বাংলাদেশ কেনো!
তুমি এখানকার লোকাল এস্পেরিয়েন্স নিবে।
এবার তুমি পারফেক্ট সময়ে এসেছিলে আপু।

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

শায়মা বলেছেন: নেক্সট নিমুনিয়া!!! নিমুনিয়ার বাচ্চাকে ঝাঁটাপেটা করে দূর কব্বো!!!!!!!!! :)

এই ডেজার্টের নাম কি পানাকটা?? কেমনে বানায়!! রেসিপি দাও.......


এক ঘন্টা বেস্ট!!!!!!!!!! আমি পারলে ওদের ঘাড়ে চেপে বসি!!!!!!!! ওরা তো বুড়িদের গাড়িতে চড়িয়ে বাঁচলো।

ছবি টবি তেমন তোলা হয়নি আসলে। আর বাংলাদেশ অব সিডনীতে কি গিয়েছি সাধে?? সব দোকান বন ছিলো শুধু ঐ র দোকানগুলি ছাড়াই। :(


আবার আসিবো ফিরে ...... তোমার বাড়ির তীরে ....... :)

৪৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



মিস ম্যাকুয়ারী চেয়ারে তোমাকে মানিয়েছে।
যাক গিরগিটির সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে তাহলে :)
ভালো লাগলো প্রথম পর্ব, লিখতে থাকো বাকি অভিজ্ঞতা।
আরও ছবি দিও।


১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

শায়মা বলেছেন: হা হা সত্যিকারের ভালো ছবিটা অনেক সুন্দর। পোস্টের মধ্যে যাচ্ছেই না ঠিকঠাক।

গিরগিটির সাথে যুদ্ধ ডিটেইলস যদি জানতে হাসতে হাসতে মরতে। ঐ টুকু গিরগিটিকে তাড়াবার জন্য আমি ইয়া বড় এক মপ নিয়েছিলাম। একদিকে গুতা দিলে শয়তান গিরগিটি সিড়ির ভাজে আটকায় থাকে। তারপর হঠাৎ তিড়িং বিড়িং নর্তন কূর্দনে সোফার নীচে চলে গেলো!


তুমি মালাকাইটের ঝাঁপি পড়েছো?

এই গিরগিটিদের নিয়েই সেই গল্প!! গিরগিটি কন্যা দেবী তান্যুশকা।

৪৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ সুন্দর পোস্ট।লেখা ও ছবিগুলো সবই সুন্দর হয়েছে আপু। ++++
আপনার ড্রেপ আপ ভারি চমৎকার হয়েছে।
যে আপনাকে রিসিভ করতে গিয়েছিলেন তাকে খেতে দিলেন নিজে খেলেন না?
মিরর মনি আপুর ছবি দিতে আপত্তি আছে যখন...
কমেন্টের মধ্যে @ রাজিব নূরের প্রথম মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য খুব ভালো হয়েছে।

তবুও বলবো একা একা ঘুরতে যাওয়া নিঃসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয়।


১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া। আরও কয়েক পর্ব লিখতে হবে। এইটুকু কেবলই প্রথম সাত দিনের কথা লিখেছি। ছবিগুলো ক্লিয়ার আসছে না ঠিকঠাক। একদম ঘোলাটে হয়ে আছে।
আর ড্রেস আপ! আমি তো সব সময় ড্রেস নিয়ে ভাবতেই থাকি মানে সাজুগুজু নিয়ে। তবুও মনের মত সাজুগুজু করতে পারিনি ঝামেলায় থাকায় আর ক্লান্তিতেও। আর তেমন কিছু না কিনলেও রকম্যান একটা দোকান ছিলো যা কিনবে ২০ ডলার। হা হা হা সেখানের যত জামা ছিলো সব কিনে ফেলেছি। যদিও এই প্রথম সাত দিনের জামাগুলো বাংলাদেশ থেকেই কেনা।


হা হা রাজীব ভাইয়া গেলে আসলেই কি হত দিব্য চোক্ষে দেখতে পাচ্ছি। আমি গোবোর্ধন আর ভাইয়া হত হর্ষবর্ধন এমনই সব পাগলামি করতাম আমরা। তোমার এই মন্তব্যের উত্তর ভালো লেগেছে কেনো আমি জানি।
সচরাচর এমন কেউ বললে মেয়েরা ঘাবড়ে যায়। কি উত্তর দেবে ভেবেই পায় না। আমি প্রতুৎমন্নমতী। :)

:P


আর সাহসীও বটে..... :)

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি!

৪৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: কেউ যখন বলে আমি তখন দেখতে পাই, ভালো লাগল।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!

৪৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দারুন পোষ্ট!পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকব।+++

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

শায়মা বলেছেন: দু এক দিনের মাঝেই লিখবো। :)

৪৭| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: যাক আপনার পোস্টের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করা হয়ে গেল। আপু আপনাকে শাড়িতে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। বাঙালী নারী বলে কথা :)

২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

শায়মা বলেছেন: এখনও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন শেষ হয়নি ভাইয়া। আরও আরও পোস্ট আসবে। আপাতত ২১ তারিখ পর্যন্ত বিজি আছি।

হ্যাঁ শাড়ি আমারও অনেক পছন্দ। আমি যে কোনো অনুষ্ঠানে শাড়িই পরি এবং সেটা দেশীয় শাড়ি। ইন্ডিয়ান বা পাকিস্থানী নহে। :)

৪৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নিমুনিয়ার কি অবস্থা।
ছবিগুলো বড় হলে আরও ভালো লাগত। ভ্রমণ কাহিনীতে লেখার সাথে সাথে ছবিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

শায়মা বলেছেন: নিমুনিয়া গেছে কিন্তু তারপর ঝামেলা বেড়েছে তাই উইকনেস আছেই।

ছবিগুলো বড় হয় না। ছোট এবং ঝাপসা আসে। :(

ইমগুরও কাজ করে না। :(


কি আর করা?

৪৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অষ্ট্রেলিয়া উন্নত রাষ্ট্র লোহা উৎপাদনে লিডিং এ আছে। তবে সুপেয় পানির স্বল্পতা আছে ওখানে। ওরা জানে কফোটো সুপেয় জল আছে ওদের। দেশটিতে বেশ কিছু পরিচিত বন্ধু শুভাকাঙ্খি আছে। একজন বন্ধু আছে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের । তার স্ত্রী মানে ভাবীর একসাথে তিনটি বেবী হলো। দুই ছেলে এক মেয়ে। ওরা এখন বড় হওয়ার কথা দশ বছরতো হবেই। আব্দুর রাজ্জাক যশোরের ছেলে। তার বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারিনি বলে আমার উপর অভিমান। আর কারো উপর নয় কিন্তু। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার জ্বালা আছে। আর একজনের কথা বলতে পারি যে বুয়েট থেকে পাশ করা প্রকৌশলি সিডনিতে থাকে মাসুদ খান তুষার। ও আমাকে বলতো ম্যান্ডি হিরো আমার অদম্য সাহসের কারণে আমি ক্লাস ক্যাপ্টিন ছিলাম। মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে কলেজে আমরা আলাদা হয়ে যাই । আমি নটরডেম কলেজ ছেড়ে ঢাকা কলেজে চলে আসি। আমার বিশ্ব বিদ্যালয়ের বেশ কিছু পরিচিত মানুষ আছে ওখানে।বিশ্ববিদ্যালয়ে তো আমি কিং অব কার্জন। আমার সেই সব রাজসিক স্মৃতি ওদের অবশ্যই মনে থাকার কথা। :)

সুন্দর পোস্ট।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

শায়মা বলেছেন: বাপরে!

কিং অব কার্জন!

কেনো এই উপাধি ভাইয়ু?

মারামারি করতে নাকি!!!

৫০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বলো কি ? মারামারি করবো কেন। রাজার সাথে মারামারি ? কার এত স্পর্ধা? :) মরবে নাকি ? :)
হয়তো বুঝতে পারতো সুনিশ্চিৎ পরাজয়। মানুষের জন্য আমার আছে ভালোবাসা।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

শায়মা বলেছেন: ওহ ভালোবাসার কিং ছিলে তুমি!!!!

তাই বলো আমি ভেবেছিলাম মারামারি টারি করতে তাই ভয়ে সবাই কিং ডাকতো।

তোমার কিং অব কার্জনের স্মৃতি নিয়ে লেখো না কেনো? সবাই জানতো.....

৫১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এ টা দেখে পরের পর্বে গেলাম ।
ছবি ও কথামালা সুন্দর হয়েছে তবে
আসল কাহিনী তথা ইউনিভার্সিটি
কাহিনীর বিস্তারিত সন্ধান পেলাম না ।

দেখি সেখানে কি মিলে ।
শুভেচ্ছা রইল

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১১

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আসল কাহিনী কানে কানে বলতে হবে তোমাকে।

এইখানে বলবো না যদি শত্তুরেরা নজর দেয়। :P

৫২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩

চাঙ্কু বলেছেন: বিদেশের সবগুলো বাঙ্গালী পাড়া এইরাম তুলনামূলক নোংরা হয় কেন!
আর ছবিগুলো কি নোকিয়া ৩৩১০ দিয়ে তুলছিলা? :-/

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

শায়মা বলেছেন: জানিনা ইচ্ছা করে মনে হয় বাংলাদেশ স্টাইল রাখতে নোংরা বানায় রাখে। :(



আর ছবিগুলো ওয়ান প্লাস ফোন দিয়ে তুলেছি। অনেক সুন্দর হয়!!!!!!!!! হয়েছেও!!!!!!!!

শুধু সামুতে দিলেই এমন হয়! X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.