নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

:( :( :( স্মৃতি তুমি বেদনা :( :( :(

২৬ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩


আজকাল বাচ্চাদের শৈশব স্মৃতি বাচ্চারা নিজে বুঝবার আগেই বাবা মায়েরাই নানা রং এ নানা ঢং এ রুপকথাময় সব স্মৃতি তৈরী করে ফেলেন তাদের জন্য। সেই একদিন বয়সের বাচ্চা থেকে স্যুইট সিক্সটিন পর্যন্ত ফটোগ্রাফী দিয়ে, ভিডিও দিয়ে স্মৃতি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। হয়ত পারলে মায়ের পেটের ভেতরেও বাচ্চা কেমনে বড় হলো সেই স্মৃতিও ধরে রাখতেন তারা।

আহা কি সুন্দর সব স্মৃতিময় ছবি ছাবা আর ভিডিও! আমি দেখে মুগ্ধ হই আর মুগ্ধ হই!

আর আমার শৈশবের স্মৃতিগুলি! X(( হায় বেদনার। শুধুই বেদনার। বড়ই বেদনার! :(

আজ লিখছি আমি সে সব বেদনাময় শৈশব স্মৃতির উপাখ্যান। আমি বোধ হয় ছোট থেকেই বড়ই শিল্পপ্রেমী ছিলাম কিন্তু আমার মায়ের ভাষ্যমতে আমি ছিলাম হাড় জ্বালানী হাড়মুলি টাইপ বাচ্চা কিন্তু আমি জানি আমি আসলেই ছিলাম একজন শিল্পপ্রেমী এবং এ সব শিল্পের মাঝে ছবি আঁকার ব্যপারটাই আমাকে সবচাইতে বেশি আকৃষ্ট করেছিলো তবে ঠিক কবে কখন পৃথিবীর এই অষ্টম আশ্চর্য্যের চাইতেও বেশী অবাক করা ভালোলাগার বিষয়টাতে আগ্রহী হয়েছিলাম সে কথা মনে করবার চেষ্টা করলেই স্মৃতি বিস্মৃতির অতল গহ্বর খুড়ে প্রথম যে শিল্পীর আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছি বলে মনে পড়ে সেই শিল্পী আর কেহ নন স্বয়ং আমার মা। উফ এতক্ষন দাঁড়ি কমা বিহীন এত বড় লম্বা চওড়া কথা বলে হাফিয়ে উঠলাম। যাইহোক বলছিলাম আমার ছবি আঁকার প্রতি ভালোবাসা শুরুর শৈশবের ইতিহাস। একদিন মায়ের হিসেবের ডায়েরীর এক পাশে ছোট্ট করে আঁকা দেখলাম একটি মেয়ের মুখ। মনে হয় রোজকার বাজারের ফর্দ বা হিসেব নিকেশের যোগ বিয়োগ করতে গিয়েই, আনমনে কলমের একটানে এঁকেছিলেন তিনি সে প্রোট্রেইটখানি আর সেই ছবিই সেদিন সূচনা করে দিলো একজন সম্ভাবনাময়ী, ভবিষ্য শিল্পীর অঙ্কন চর্চার সুদূর ইতিহাসের স্বর্ণযুগের। সে ছবিটির একমাত্র মুগ্ধ দর্শক যে আমি ছিলাম সে আর কেউ জানুক না জানুক আমার মা জননী জেনে গিয়েছিলেন খুব অচীরেই।

কারন ঠিক তার এক মিনিট পর থেকেই তার হিসেবের খাতায় যেখানে সেখানে, যত্র তত্র সেই মেয়ের মুখখানি একটানে, দুইটানে, তিন, চার বা পাঁচ টানেই মনের মত করে আঁকবার ব্যর্থ প্রচেষ্টারত আমার মত অক্লান্ত পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী শিল্পীর অব্যাহত অঙ্কন চর্চার কথা তিনি কি আর না জেনে পারতেন? মায়ের ছিলো খুব অদ্ভুত রকমের সুন্দর একটা জাপানীজ কলম। এক জাপানী মেম কলমটা মাকে দিয়েছিলেন। দেখতে একদম খাপ খোলা একটা লিপস্টিক। গোলাপী লিপস্টিকটা মাথা বের করে আছে। এই কলমটার উপর আমার যে কি পরিমান দূর্বার ঝোঁক ছিলো, তা আমি বলে বুঝাতে পারবোনা। সুযোগ পেলেই মা যখন রান্নাঘরে বা পাশের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন, আমি থাকতাম তক্কে তক্কে। কলমটা খুলেই আঁকিবুকি শুরু করতাম। সেটা ছিলো ঝর্না কলম । অমন কলম আজকাল আর দেখিনা। তবে কি যে ভালো লাগে কলমটার কথা ভাবতেই। তবে মা আমার নানা রকম শখের মতন এই শখটারও মোটেই মূল্য দিতেন না। আমি তার কলম ধরলেই কি করে যেন তিনি বুঝে যেতেন। হয়ত কলমের খাপটা আমি ঠিকঠাক লাগাতেই পারতাম না আর অমন তেড়াবেকা লাগানো দেখেই বুঝে ফেলতেন মা যে এই কলম ধরেছেন কোন নিমাই দ্ত্ত!

আর তারপর পিঠের উপর দুমদাম গুড়ুম গাড়াম আর আমার ত্রাহী চিৎকারে দাদু, ফুপু, চাচা, চাচীরা কেউ এসে বাঁচাতেন আর বলতেন "আহা এমন করো কেনো? ও বড় হয়ে পাবলো পিকাসো হতে চায়। ":(

আজকালকার বাচ্চাদের যেমন বাবা মায়েরা নানা রকম রং পেন্সিল, প্যাস্টেল, ক্রেয়ন কিনে দেন আমার ছোটবেলায় মোটেও সেটা আমার ছিলো না। আমি জানতামও না এমন করেও কেউ তার আঁকা ছবি নানান রঙ্গে রাঙ্গাতে পারে। কিন্তু ঐ যে কথায় আছে না ক্রিয়েটিভ মানুষেরা যেভাবেই হোক কিছু একটা বুদ্ধি বের করেই নেবে। তো আমারও সেটাই হলো। মায়ের ড্রেসিং টেবিলটাই হলো আমার সেই রং বেরং এর ছবি রাঙ্গানোর সরঞ্জামের স্থান। মায়ের খোপকাটা কুমকুমের বাক্সটা, সে যে কি সুন্দর আরেক ভালো লাগা। আজকাল তো সেটাও আর দেখিনা। একটা গোল বক্সে ঠিক ওয়াটার কালারের মত থরে থরে সাজানো গোল গোল নানান সব লাল নীল, হলুদ কমলা মনহরনকারী রঙ। কুমকুমের বক্সটা খুলে একটা ছোট্ট সাদা প্লাস্টিকের কাঠি দিয়ে মা কপালে টিপ আঁকতেন। আমার কাছে এমন লোভনীয় জিনিস খুব কমই ছিলো। তবে তা নিজের কপালে টিপ আঁকবার জন্য নয় মোটেই। সে সব রঙে আমি চাইতাম আমার বর্ণহীন ছবিগুলো রাঙিয়ে দিতে। মায়ের কুমকুমের গোল বাক্সে কত নানা রকমের রং আর লিপিস্টিকের লাল রংটা ঠিক যেন লাল টকটকে গোলাপের পাপড়ির রং। আর মাঝে মাঝেই মা লালের উপর সেই কুমকুমের বাক্স থেকে সাদা রংটা বুলিয়ে দিলেই সেটা হয়ে উঠতো অদ্ভুত আরেক নতুন রং গোলাপী। এমন ম্যাজিকাল কারিশমা! আমি হা করে চেয়ে চেয়ে দেখতাম কিন্তু মা তো সে সব আমাকে ধরতেই দেবেন না। তাই আমিও তক্কে তক্কে থাকলাম।

যেই না মা দুপুরবেলা খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে গেলেন। বাসার অন্য সকলেরাও ভাতঘুমে বিভোর। কাজের মানুষ থেকে শুরু করে দাদীমা পর্যন্ত ঘুমুচ্ছিলেন নাক ডেকে! আমিও সেই মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগিয়ে মায়ের কুমকুমের বাক্স আর তার নতুন কেনা ম্যাডোরা লিপস্টিক আর টিবেট নেইলপলিশের বটলটা নিয়ে পা টিপে টিপে ছাঁদের ঘরে উঠে এলাম। তারপর ছাঁদে দড়িতে মেলে দেওয়া দাদীমার সাদা ঝকঝকে শাড়িটা টেনে নিয়ে ছাদের কোনের ঘরে মেঝেতে মেলে তার উপর লাল নীল হলুদ সবুজের নক্সা করতে বসে গেলাম। আচ্ছা মতন মনের সাধ মিটিয়ে রাঙিয়ে দিলাম নানান রঙে সাদা ধপধপে শাড়ীটা। লাল নীল হলুদ কমলা বেগুনী নানান সব রঙে শাড়ীটা কি যে সুন্দর লাগছিলো। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম নিজের সৃষ্টির দিকে! হঠাৎ গগণ বিদারী চিৎকারে সাড়া বাড়ী জেগে উঠলো। আমি তাকিয়ে দেখলাম আমাদের বাসার নতুন বুয়া রুখমনিয়া অতি ভয়ার্ত চোখে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার পিছে।

রুখমনিবুয়া মনে হয় ছাদে মেলে দেওয়া শুকানো কাপড় তুলতে এসে দেখেছিলো দাদীমার সাদা ধপধপে শাড়ি ক্যানভাসে আমার লাল নীল হলুদ সবুজ কুমকুম লিপস্টিক মিডিয়ার অপরুপ কারুকার্য্যময় শিল্পকর্ম। আমার এত সৌন্দর্য্য শিল্পকর্মে সে মুগ্ধ না হয়ে আমাকে অবাক করে দিয়ে আতংকিত হয়ে সে কিনা অমন এক হৃদয় বিদারক গগণ ফাটায়ক চিৎকার দিলো! সেই চিল চিৎকারে আমার পিলে চমকানোর আগেই দেখি পুরো বাড়ির লোকজন জেগে জড়ো হয়েছে আমার চার পাশে।

মা খুবই বেরসিকের মত সামনে এগিয়ে এলেন আর এসেই সাড়াশীর মত চেপে ধরলেন আমার কান আর তারপর পিঠের উপর ধুপধাপ গুড়ুম গাড়াম। আমি কাঁদতে কাঁদতে বুঝতেই পারলাম না আমার এত সুন্দর শিল্পকর্ম দেখে তারা মুগ্ধ না হয়ে রাগান্বিত হয়ে উঠলো কেনো!
এরপর মায়ের কলম, কুমকুমের বাক্স লিপস্টিক এসব চলে গেলো আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন কি কাপড় শুকুতে দেবার দড়িটাও অনেক উপরে উঠিয়ে দেওয়া হলো আমার নাগালের বাইরে। তাই বলে কি আমি পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্ম বা সৃষ্টিশীল প্রতিভা ঠেকে থাকতে পারে? আমি আবিষ্কার করে নিলাম নতুন রকম অঙ্কনের সরন্জামাদি।

ছাদে খেলতে গিয়ে একটুকরো ইট পেয়ে গেলাম মনের মত। যে ইট দিয়ে অনায়াসে ছবি আঁকা যায় ছাদের খরখরে মেঝেতেই (অনেকেই হয়ত ভাবছেন এই মহিলার সমস্যাটা কি ছাদ আর ছাদের ঘর কি এর পিছু ছাড়ে না!) সে যাইহোক বলছিলাম ইটের টুকরোয় ছাদের মেঝেতে ছবি আঁকার আবিষ্কারের কথা। ইট দিয়ে ছবি আঁকতে আঁকতেই আমি হয়ে উঠলাম ইটতুলি বিশারদ। কোনো কোনো ইটের টুকরো খুবই শক্ত টাইপ আর লাল টকটকে মোটেই ভালো ছবি হয় না তা দিয়ে আবার কোনো কোনো ইটের টুকরো মোলায়েম যেন মাখন সেগুলোর রং একটু ফ্যাকাশে কিন্তু তা দিয়ে ছবি উঠে আসে অনায়াসেই। সে যাইহোক সেবারে আমার চাচাতো ভাই তখন মনে হয় নাইন টেনে পড়তো। তার সাইন্স প্রাকটিক্যাল খাতায় সে জবাফুল এঁকেছিলো । আমাকে আদর করে আবার সে তার খাতাখানা খুলে দেখিয়েছিলো কি করে জবাফুল এঁকেছে সে। আমার প্রতি বোধ করি তার অনেক দয়া ও মায়া হয়েছিলো আমার চিত্রকর্মের প্রতি অতিশয় আগ্রহ মনোভাব দেখে। তাই দেখে আমিও শুরু করলাম ইটের টুকরোয় জবাফুল অঙ্কন প্রাকটিস আমাদের বাসার ছাদে। এর পর আবিষ্কার করলাম ইটের টুকরো পানিতে ভিজিয়ে নিলেও সে হয় আরেক মহা রঙ্গিন আবিষ্কার। :)

যাই হোক আবিষ্কারক আমি একদিন মহা আবিষ্কারের সুযোগ পেয়ে গেলাম আবারও। চাচাত ভাইয়া ঈমনের প্রাকটিক্যাল খাতাটা তার পড়ার টেবিলে খোলা পড়ে ছিলো। হয়তো পরীক্ষা আসন্ন হওয়ায় কিছুক্ষণ আগেই সে পড়া ছেড়ে উঠেছিলো। আমি মহা সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না। সেটা নিয়ে উঠে এলাম চুপিচুপি আবারও বাসার ছাদে। এক এক পাতা উল্টাই আর মুগ্ধ অপার বিস্ময়ে দেখি, জবাফুল, ব্যাঙ , কেঁচো আরো কত কি? আহা কোন বুদ্ধিতে, কোন যাদুর ছোঁয়ায় মানুষ এঁকে ফেলতে পারে অনায়াসে এসব? মুগ্ধতার পর মুগ্ধতা। হঠাৎ নীচ থেকে হাউকাউ চিল্লাচিল্লি। উঁকি দিয়ে দেখি ঈমন ভাইয়া উঠানের মাঝে তূর্কী নাচ নাচছেন আর বাড়ীর সবাই কার যেন নাম ধরে খুঁজাখুঁজি করছেন। ভালো করে কান পেতে শুনলাম সে আর কারো নাম নয় সে আমারই সুমধুর নাম। একেবারে কানের ভেতর দিয়া মরমে পশিলো গো! কিন্তু ভয়ে তো ছাদ থেকে নামবার কোনো উপায় খুঁজে পেলাম না। এখন খাতা নিয়ে নামলেই তো বিপদ। ভাবলাম একটা কাজ করা যাক উপর থেকেই ঈশ্বর প্রদত্ত কোনো আলৌকিক বস্তুর মত ফেলে দেইনা খাতাটা। যেই ভাবা সেই কাজ তবে বদমাশ খাতাটা নিউটনের সূত্রের যথার্থতা পালন করতে গিয়ে, আমার মত ছোট্ট অবুঝ শিশুকে মাধ্যাকর্ষন শক্তির ক্রিয়াকলাপ হাতে নাতে বুঝাতে সোজা গিয়ে পড়লো উঠানের একধারে খোলা ড্রেইনের মাঝে আর তারপর....

আমার বলার কিছু ছিলোনা.. চেয়ে চেয়ে দেখলাম খাতা ড্রেইনের মাঝে...

যেহেতু আমি অস্থিমজ্জায় শিল্পী কাজেই কেউ আমাকে শিল্প না শেখালেও শিল্পের নানান দিক আমার মাথায় খেলবেই আর তাই তখন আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট কাকে বলে না জানলেও আমার মাথায় পাবলো পিকাসোর ভূত মনে হয় চুপি চুপি বলে দিলো আর্ট ক্রাফ্ট এবং কাটিং পেস্টিং বা হয়ত ম্যুরাল শিল্পের কথাও আর তাই তো আমার মাথায় অমন সুবুদ্ধি চেপেছিলো। মায়ের নানা রকম ম্যাগাজিনে কি সুন্দর সব ছবি। সিনেমার নায়িকা থেকে শুরু করে ফুল ফল লতা পাতা কত কি? আমি কিছুদিন আগে রাস্তায় গাড়ি করে ছুটে যাবার সময় দেখেছিলাম এক বেড়ার বাড়ির দরজায় বেড়ার গায়ে খবরের কাগজ বা ম্যাগাজিনের কাটিং সিনেমার নায়িকা ববিতা শাবানা কবরীদের ছবি গ্লু দিয়ে লটকিয়ে রেখেছে। আমার মাথায় তখনই এসেছিলো মায়ের তো অমন সব ছবিওয়ালা ম্যাগাজিন আছে। সাথে সাথেই ফন্দী আটা। মা কিচেনে যেতেই আমি মায়ের সেলাইমেশিনের বক্সে রাখা ইয়া বড় কাপড় কাটার কাঁচিটা চুপি চুপি বের করে সে সব ম্যাগাজিনের ছবি কাটতে বসলাম। একই সাথে মামীর দেওয়া খুব সুন্দর একটা খেলনা টেলিভিশন যা ব্যাটিরীসেটিং না তবে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছবি চেঞ্জ করতে হয় সেটা বাড়ি দিয়ে ভাঙ্গলাম আর সেগুলোর ছবিও কাটলাম। কারন সে সবের মাঝেও ছিলো ববিতা শাবানা কবরীদের ছবি। সেসব ছবি গ্লু না থাকায় গ্লু এর বিকল্প পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভিজিয়ে সেটে দিলাম মায়ের সবচেয়ে শখের পলিশ করা কাঁঠের বইএর আলমারীতে এবং একইসাথে দেওয়ালে, দরজায় জানালায়। মা কিচেন থেকে ফিরে চারিদিকে তাকিয়ে দেখে চক্ষু চড়কগাছে তুললেন আর সব শেষে পানি লেগে বার্নিশকরা কাঠের আলমারীর চেহারা দেখে মায়ের চেহারাও এক নিমিষে পালটে গেলো আর তারপর ধুপধাপ ধুড়ুম ধাড়ুম।

তখন আমি ক্লাস টু তে পড়ি। আমার এক অতি প্রিয় টিচার আক্তার স্যার, যার নাম আমার হৃদয় আকাশে এখনও উজ্জল নক্ষত্রের মত জাজ্বল্যমান। তিনি সবাইকে বললেন পরদিন একটা করে যার যা ইচ্ছা ছবি এঁকে আনতে। আমি বাসায় ফিরে মাকে বললাম আর তারপর আমার এতদিনের অবিরল চিত্রকর্ম চর্চা করা বিষয়গুলো থেকেও কি আঁকবো কি আঁকবো করে কিছুই ভেবে পেলাম না। বরং কি আঁকবো কি আঁকবো করে মায়ের জীবন অস্থির করে তুললাম। বিরক্ত হয়ে মা একটা চিঠি লেখা প্যাডের সাদা কাগজ ছিড়ে কলসী কাঁখে নদীর ধারে গাঁয়ের বধু এঁকে দিলেন। বললেন, যা এইটা নিয়ে স্যারকে দিয়ে দে আর আমার জান বাঁচা এইবার।
আহা আমি এত বড় চিত্রশিল্পী হয়ে নিজের আঁকা ছবি না দিয়ে মায়ের আঁকা দেবো কেনো? আমার কি প্রেস্টিজ জ্ঞান নেই? আমি এরপর বসলাম নিরলস প্রচেষ্টায় মায়ের আঁকা ছবিখানি কপি করতে। শেষমেশ অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রাত ১১টা অবধি একখানা ছবি দাঁড়া করালাম। গ্রামের খড়ের ছাউনি দেয়া কুড়েঘর, পাশে কলাগাছ, আকাশে সূর্য্য, মেঘ, পাখি সেসবও জুড়ে দিতে ভুললাম না। তারপর সে ছবি বাসার একে দেখাই তাকে দেখাই। কেউ পাত্তাই দেয় না। শেষমেষ একটু পাত্তা পেলাম আমাদের বাসার বুড়ো দারোয়ান জামালভাইয়ার কাছে। পকেট হাতড়ে বের করে আনলেন তিনি হালকা সবুজ ক্রেয়নের ভাঙ্গা আধখানা টুকরা। বললেন, এটা দিয়ে কালার করো মামনি।:D
আমার কাছে তখন সেটাই সবে ধন নীলমনি। নানা নীলমনি না, সবুজমনি।:) আমি সেই ছোট্ট আধখানি হালকা সবুজ রঙ লুফে নিলাম। কিছু না হোক কলাগাছটাতো রঙ করা যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ।
শুরু করলাম কলাগাছে রঙ লাগানো। বাহ!! কি সুন্দর লাগছে কলাগাছটা এখন, ঠিক যেন কলাগাছের মতই। কলাগাছের ছেড়া ছেড়া কচি কলাপাতা রঙ করা নিজের ছবিটার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষন। তখন আবার বাসার সবাই ঘুমাতে গেছে। কোথাও কোনো সাড়া শব্দ নেই। কিছুক্ষন পর মনে হলো আরে গায়ের বঁধুর শাড়িটাও কলাপাতা রঙ হতে পারে। যেই ভাবা সেই কাজ। করে দিলাম সবুজ রঙ শাড়ি গায়ের বধু। মনটা উসখুস করতে লাগলো। ধ্যাৎ পুরো ছবিতে শুধু কলাগাছ আর শাড়িটাতেই রঙ করা গেলো। নদী, বাড়ি আকাশ, বাতাশ সেসব কে রঙ করবে এখন!! ধ্যাত দেই না হয় এবার আকাশটাকেও সবুজ রঙ করে। কি আর হবে!!!সন্ধ্যার দিকে আমি একবার সবুজ সবুজ অমন আকাশ দেখেওছিলাম কাজেই হতেই পারে আকাশ সবুজ। এর কিছুপর দিলাম বাড়িটাকেও সবুজ করে। পথে যেতে একবার সবুজ রঙ কার যেন টিনের বাড়ি দেখেছি আমি। এর পর সূর্য্য, নদী, ফুল, পাখি, পাতা, মেঘ, নৌকা, মাঝি, ঝোপ, ঝাড়, সব ঘচাঘচ সবুজ রঙ হতে লাগলো।
পরদিন স্কুলে......
আক্তার স্যার একে একে সবার ছবি হাতে নিয়ে দেখছেন। আমার পালা আসতেই আমি হাসি হাসি মুখে স্যারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এই বুঝি স্যারের অবাক মুগ্ধ দৃষ্টি ঝরে পড়বে আমার ছবিখানির দিকে। কিন্তু একি!!! তার বদলে স্যারের আৎকে ওঠা!!:-*

:এই সব কি আঁকছো!!! ফুল, পাতা, লতা, ঘাস, বাড়ি, ঘর, নদী, মেঘ, আকাশ দীন দুনিয়া সব সবুজ রঙে রঙীন!!
আর এইটাই বা কি ! খ্যান্ত বুড়ি নাকি ! খ্যাক খ্যাক খ্যাক........
আমার অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার পর অনিদ্র রাত কাঁটিয়ে আঁকা কলসী কাঁখে গায়ের তরুণী বঁধুটার মুখ ততক্ষনেই খেয়াল করে দেখলাম, আমি সেটা এঁকে ফেলেছি গাল তোবড়ানো আশী বছরের বুড়ির মত করে। :(


যাইহোক রঙতুলি ইটতুলি কাঁঠতুলি কিংবা খ্যান্তবুড়ি ছেড়ে আমার মন পড়েছিলো আগুন নিয়ে খেলায়। অবাক হয়ে দেখতাম বটে সবাই কি সুন্দর ফস করে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে আগুন বের করে। দাউ দাউ জ্বলে ওঠা কি সুন্দর রং ঐ আগুনের শিখাটার! খুব অবাক আর মুগ্ধ হতাম আমি। মোমের শিখা, চুলার আগুন, এমনকি সিগারেটের আগুনের ফুলকির সৌন্দর্য্যেও বিমোহিত ছিলাম আমি। আমিও জ্বালতে চাইতাম অমন করে বারুদের আলো। কিন্তু মা তো সেটা দেবেনই না বরং উঁচু আলমারীর মাথায় উঠিয়ে রাখলেন। তবে আমার সেই মোক্ষম সময় ঠিক দুক্কুরবেলা ভূতে মারে ঠেলা। মা ঘুমাতেই চুপি চুপি টেবিলের উপর উঠে লুকানো দিয়াশলাই হাতে নিয়ে টেবিলের উপর দাঁড়িয়েই ফস করে জ্বালিয়ে দিলাম লকলকে আগুন। ঠিক ঠিক পেরেছিলাম তবে শুধু দিয়াশলাই কাঠিতেই না বুকে লেস লাগানো ডিজাইন জামার লেসটাতেও। এমন সময় কই থেকে ছুটে এলো মা। তারপর এক নিমিষে হাতের মুঠোর লেসশুদ্ধ আগুনটাকে চেপে ধরে নিভিয়ে ফেললেন আগুনটা আর তারপর চিরায়ত ধুড়ুম ধাড়ুম গাড়ুম গুড়ুম। :(


আমাদের বাসাটার সামনে ছিলো বিশাল ফুলবাগান ও পিছনে ছিলো ফল ও সবজী বাগান। সেখানে ফুটে উঠতে দেখলাম আমের মুকুল। কি তার অদ্ভুত সুবাস। প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আমের ফুলকেই নাকি আমের মুকুল বলে আর মুকুল থেকে নাকি হয় ছোট্ট ছোট্ট বাবু আম। একরাতে ঝড়ে কিছু আম ঝরে পড়লো। মা বললেন ভালো হয়েছে এসব দিয়ে আচার করা যাবে। বুয়া বলল "আপামনি কাল তোমাকে কাঁচা আমের ভর্তা খুবই মজাদার খাওয়াবো।" জিভ দিয়ে টকাস করে এমন শব্দ করলো সে আমি ভাবলাম না জানি কি সে মজার খানা! আমি অপেক্ষা করে রইলাম পরদিনের আমভর্তার জন্য। কিন্তু পরদিন সেকথা বলতেই মা বল্লেন "এসব খেতে হবেনা এখন, দুপুরে খাবার পরে দেখা যাবে " কিন্তু দুপুরে খাবার পরে সে কথা মা বুয়া সবাই ভুলে গিয়ে দিবানিদ্রায় মগ্ন হল। কি আর করা যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। আমি তাই একলাই সেই কার্য্য হাতে তুলে নিলাম। কারণ আমার সকল ক্রিয়েটিভির সকল একলা চলার মোক্ষম সময়টাই ছিলো ঠিক দুক্কুরবেলা আর তখনই সকল ক্রিয়েটিভিটির ভূত আমার মাথায় ঢেলা মারতো। যাইহোক আমের ঝুড়ি থেকে তুলে নিলাম দুটো, তারপর চারটে তারপর পাঁচ ছয় সাত আট আম। কিচেন কাউন্টারের তখন সবাই বলতো সেল্ফ তার নীচে থেকে দুইটা বটির ছোটটা বের করে আনলাম। সেটা নাকি মাছ কাটার বটি। বড়ই ধারালো। সেটাই আমার সাইজমত পেলাম। অন্যটা ভীষন বড় টানতেই পারিনা। যাইহোক ছোট বটিটা আর কোচড় ভর্তি আম নিয়ে আর একটা আম বাম হাতে ধরে ডানহাতে আমের আরেক সাইড ধরে দিলাম ঘ্যাচ! প্রথম প্রচেস্টাতেই আমের বদলে সোজা নিজের বুড়ো আঙুল দুভাগ করে ফেল্লাম আর তারপর গলগল রক্ত! ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি সব আম মাটিতে ফেলে বটি মটি ছুড়ে দিয়ে সোজা ছুটলাম। মাথায় চিন্তা ব্যান্ডেজ করতে হবে। মা বা কাজের বুয়ারা হাত কাঁটলেই আঙ্গুলে জড়ায় কাপড়ের ফালি। আমি তেমন পাবো কই! এইদিকে রক্ত গলগল ভাসাভাসি কান্ড। তাড়াতাড়ি কোনো কূলকিনারা না পেয়ে সোজা পুতুলের বাক্সের অতি প্রিয় বউ পুতুলের লাল টকটকে শাড়িখানাই বিসর্জন দিলাম আমার ফাস্ট এইডের চিকিৎসাকার্য্যে। আমি এক হাতে কাপড়টা জড়াই আরেক হাতে খুলে যায় । মেঝেতে উলটো হয়ে নেংটু পুটু পড়ে রইলো আমার অতি অতি প্রিয় বউ পুতুলটা। :(

কোনোভাবেই রক্ত বন্ধ না করতে পেরে মায়ের বিছানার পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে রইলাম। এক হাতে আঙ্গুল চেপে ধরে। হঠাৎ ঘুমের মাঝে মা এক চোখ খুলে আমার অমন ভালোমানুষী কাতর চেহারা দেখেই বুঝে ফেললেন কিছু এক অঘটন ঘটিয়েছি আমি অঘটনঘটনপটিয়সী..... লাফ দিয়ে উঠে রক্ত দেখে নিজেই চিলচিৎকার দিলেন।আর তারপর টেনে নিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ করে সত্যিকারের ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলেন ডেটল দিয়ে কিন্তু পিঠের উপর গুড়ুম গাড়ুম বর্ষিত না হলেও অবিশ্রান্ত বাক্য বর্ষন বর্যিত হতেই লাগলো হতেই লাগলো- এমন পাঁজীর পা ঝাড়া শয়তানের লাঠি বাঁদরের হাড্ডি মেয়ে হয়েছে। নিশ্চয় একে বাঁদরের হাড্ডি দিয়েই বানানো হয়েছিলো আল্লাহ তায়ালা কোনো এক বদ বাঁদরের হাড্ডি থেকে তোকে বানাইসে বুঝছিস......... :(

তখন আমি ক্লাস থ্রীতে। মজার ব্যপারটা হল গান, নাচ, ছবি আঁকা,কবিতা আবৃতি ও যেমন খুশী সাজো এর ৫টি বিভাগে অংশগ্রহন করে আমি ক্রমান্বয়ে সব রকম পজিশনের অধিকারী হলাম। যথাক্রমে নাচে প্রথম, গান ও ছবি আঁকায় দ্বিতীয়, কবিতা আবৃতি ও যেমন খুশী তেমন সাজোতে তৃতীয়। কিন্তু এমন অদ্ভুত সব পুরষ্কার পেলাম যা শুনলে অনেকেই হয়তো হাসবে। তবে সেসব পুরষ্কারের মূল্য কতখানি ছিলো আমার কাছে সে একমাত্র এই আমিই জানতাম আর আজও জানি। নাচ করে পেলাম একটা কাঁচের গ্লাস ও প্লেট। সে গ্লাস ও প্লেট আমি এত যতন করে ক্রোকারীজের আলমারীতে তুলে রাখলাম যেন সাত রাজার ধন এক মানিক। কাউকে ছুতে দেইনা, কাউকে ধরতে দেইনা। একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি আমার এত সাধের গ্লাসটি আলমারীর মধ্যেই ভেংগে পড়ে আছে। অনেক গোয়েন্দাগিরি করেও কে ভেংগেছে বা কি হয়েছে এ রহস্য আমি বের করতে পারলাম না। মা বলেছিলেন কোনো ভাবে পড়ে গিয়ে ভেংগেছে হয়তো। আমার মন আজও বিশ্বাস করতে পারেনা, কোনো কারন ছাড়াই আমার প্রিয় সেই গ্লাস প্লেটের অকাল মৃত্যুকে। :(

একবার ছবি এঁকে পেয়েছিলাম একটা ড্রয়িং কপি ও এক বক্স ওয়াটার কালার। দুঘন্টার মধ্যে সে খাতার প্রতিটা পাতা আঁকিবুকি দিয়ে ভরে ফেললাম।ওয়াটার কালারটা একটু একটু করে খরচ করতাম কারণ এটা আমার কাছে একেবারেই একটা নতুন প্রিয় জিনিস ছিলো।
দুদিনেই খাতা তো ভরে দিয়েছিলাম নানান ছবি দিয়ে। আর এত অল্প অল্প করে খরচ করা ওয়াটার কালার বক্সটার ব্লু কালারটা একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি বেমালুম গায়েব। কাজের বুয়া ঐ কালারে পানি মিশিয়ে তার সাদা শাড়ীতে ব্লু দিয়েছিলো নাকি।এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা আমার জীবনেই ঘটবে কেনো আজো তার উত্তর পাইনা। :(

আমি লুকিয়ে বাবার সোনার নিবের পেন, মায়ের লিপস্টিক পেন দিয়ে আঁকিবুকি করে তার অবস্থা খারাপ করে ফেলতাম। এই কারণে অনেক বকা ঝকা মারধোর খেতাম তবুও সেই নেশা কাটতো না। পাঁচ বছর বয়সে বাবা আমাকে একটা খুব সুন্দর বল পয়েন্ট পেনের মত পেন্সিল দিলেন যার সারা গা প্লাসটিকের আর ঘুরালেই পেন্সিলের শীশটা বের হয়। মা পই পই করে বলে দিলেন এই পেন্সিলপেন যদি ভাঙ্গিস তো তোর খবর আছে। আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম এই পেনসিলপেন আমি কিছুতেই ভাঙ্গবো না। আমি অনেক বেশি যত্ন করে এই পেনসিলপেন টিকিয়ে রাখার প্রানপন পণ করলাম। ভাবলাম আমার এই পেন পেন্সিলভাঙ্গা বদনাম এবারে ঘোচাবো। তাই সাবধানে রেখে দিলাম স্কুল ব্যাগের নীচের চেম্বারে। কিন্তু বিঁধি বাম! পরদিন সকালেই পাশের বাড়ির রুনি এসে বসলো আমার পড়ার ঘরটায়। তারপর আমার ব্যাগে কি আছে না আছে দেখতে গিয়ে পেয়ে গেলো সেই পেন্সিলপেন। হাতে নিয়ে চকচক করে উঠলো ওর চোখ। আমি সাথে সাথেই ছোঁ দিয়ে নিয়ে নিলাম পেন্সিলটা। কিন্তু রুনিও নাছোড়বান্দা। সেও টান দিয়ে পেন্সিলটা নিয়েই মোচড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেললো পেন্সিলটা।

আমি করুন চোখে চেয়ে রইলাম পেনটার দিকে। এত চেষ্টা করেও বাঁদর বদনাম ঘোচানো গেলো না আর তার পরবর্তী ফল কি হয়েছিলো নিজেরাই ভেবে দেখো সবাই। :(

সবার শৈশবের স্মৃতিগুলি কত শত আনন্দের আর আমারগুলি? শুধুইবেদনার ..........এক্কেবারেই .......স্মৃতি তুমি বেদনা....... :(



আজ আমি অনেক রং নিয়ে বসি। এই তো সেদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত বসে ছিলাম আমার নতুন কেনা মেটালিক কালারের শ্রাদ্ধ করতে। কি সব আবোল তাবোল এঁকে চলেছিলাম। পরদিন ভোরে উঠতে হবে। স্কুল যেতে হবে কিন্তু উঠতেই পারছিলাম না। এই আমি সেই আমি যত খুশি নষ্ট করি রং আর যত খুশি নষ্ট করি খাতা। কেউ বকা দিতে আসে না, পিঠের উপর আর কেউ দুড়ুম দাড়ুম গুড়ুম গাড়ুম দিতে আসে না। তবুও তবুও আমার মন কাঁদে ফেলে আসা শৈশবের সেই মধুর দিনগুলিত....... ছুটে যায় মন যেখানে আর ফেরবার পথ নেই...... নেই ফিরে যাওয়া .......


ছেলেবেলা আমার ছেলেবেলা
মিষ্টিসূরের সেই পিছুটান,দূর-কলতান,
কেমন আছিস, কোথায় আছিস তুই?

গভীর রাতে চমকানো দুঃস্বপ্ন দেখে
হুড়মুড়িয়ে মায়ের ঘরে, জায়গা নিতে,
আজও কি তুই দৌড়ে পালাস?

বিড়বিড়িয়ে পড়িস কি তুই ভূত তাড়ানো মন্ত্রগুলো চক্ষুমুদে?

খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গানি পাখির ডাকে,
শিউলিতলা শিশিরভেজা ঘাসের পরে
নগ্নপায়ে খামখেয়ালী হাটিস কি তুই ?

বিনিসুতোয় গাঁথিস কি তুই আজও মালা জাফরাণী রং শিউলিফুলে!!!

ছুটির দিনে সবাই যখন ভাতঘুমে ঘোর,
দুপুরবেলা চিলেকোঠার আলসেঘেসে বসিস কি তুই?
গুনগুনিয়ে ভাজিস কি সূর আপনমনে?

একা একা খেলিস কি তুই আজও একা পুতুলখেলা, নিসঙ্গবেলা ?

দুইবেনীতে চুলের ফিতা সাদা কালো,
চোখের ভিতর লাল নীল রঙ কমলা হলুদ
ঘোর লাগা সব স্বপ্নগুলো দেখিস কি তুই ?

ছুটিস কি তুই ধরতে আজও ঝিলমিল রং,প্রজাপতির রঙ্গিনপাখা ....

মেঝের পরে উপুড় হয়ে, বই এর পিছের শেষ পাতাটায়,
ক্যালেন্ডারের উল্টোপিঠে,অথবা সেই চকখড়িতে
তুই কি আজও আঁকিস ছবি?

সেই যে ছিলো ক্ষ্যান্তবুড়ি, ভুতুমপেঁচা রাজকুমারী কাঁকনমালা ?


জুতোর বাক্সে বানাস কি ঘর পুতুলগুলোর
বিছান বালিশ, কৌট দিয়ে যতন করে
মুড়িয়ে দিস টুকরো কাপড়, লেসের ফিতায়?

আতশকাঁচে থাকিস চেয়ে মুগ্ধ চোখে ঝুম অপলক আগের মত?

বৌ পুতুলের গায়ে জড়াস লালশাড়িটা,
পুঁতির মালা, নাকের নোলক, মায়ের ফেলে দেওয়া
কোনো পুরোন দুলে, গয়নাগাঁটি পরাস কি তুই?

রান্নাবাটি পাতার ঝোল আর টুকরো ইটে চচ্চড়িমাছ হাপুস হুপুস?

কাঁচের বাক্সে হাওয়াই মিঠা, শনপাপড়ি,
আমের সবুজ কাঁচামিঠায় বোশেখ দুপুর,
মায়ের নিষেধ তেঁতুল আচার, চুম্বকটান..

এখন কি তা তেমন টানে আগের মত?

আচ্ছা এবার বলতো রে তুই......

এখনও কি কষ্টে ভুগিস?
কাঁদিস কি তুই চুপিচুপি ?
ঠিক তেমনি, একা একা যেমনি পেতিস
দুঃখগুলো, নিঝুম দুপুর মেঘেরা তোর
ব্যথার সাথী, ডাহুকপাখি গাছের ডালে।

আবার ভুলে দৌড়ে যেতিস বারান্দাতে
অবাক চাওয়া ঝুলরেলিং এ ফেরিওয়ালা কিংবা
পথের বস্তি শিশু, সঙ্গহীনা, তোরই দোসর,
ঠিক যেন তোর দুঃখ ভোলা, দমকা হাওয়া একটা ঝলক!

ছেলেবেলা, কেমন আছিস?
অনেক ভালো তাইনারে বল?
এখন তো তুই অনেক বড়, অনেক কঠিন পাথরবাটি?
আগুন পোড়া সোনার কাঁঠি, জ্বলজ্বলে কোন টুকরো হীরা,
ঝকঝকে চাকচিক্যে ভরা, রাংতামোড়া,
অভিমানী ছেলেবেলা।
কেমন আছিস? কোথায় আছিস বল?
একছুট্টে দেখে আসি একটু তোকে
বায়োস্কোপের রঙিন কাঁচের ঘুলঘুলিতে.....
চোখটা পেতে একটুখানি!
অনেক আগে লেখা একটা ছেলেবেলার কবিতা জুড়ে দিলাম
ছেলেবেলা আমার ছেলেবেলা



সবার জন্য ভালোবাসা..... :) আর বাবামায়েদেরকে বলছি ক্রিয়েটিভ বাবুদেরকে কখনও বকবেন না মারবেনও না। শুধুই মাথায় তুলে রাখবেন আদরে আদরে আর ভালোবাসায়..... :) :) :)

মন্তব্য ১৪৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: অদম্য আগ্রহের ফলে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও কী ভাবে প্রতিভার বিকাশ হয় তার জ্বলন্ত উদাহরন আমাদের শায়মাপু। আচ্ছা মা'য়েদের ঘাপুর ঘুপুর মাইর কী যুগে যুগে বদলায় না? আমিও ত অমন মাইর খেয়েছি, কম খেয়েছি তবে খেয়েছিতো! আমার আবার অত প্রতিভা ছিল না। মা চোখ বড় বড় করে বলতো "কড়া মাইর দিবো" "বাইন্ধা পিটা দিবো" বাবারে বাবা ওতেই পেটের হজম হওয়া ভাত ধান হয়ে যেতো!

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

শায়মা বলেছেন: হা হা সেই কারণেই তো বলি, কোনো রকম বিপদেই ডরে না বীর!

আর আমি বীর মহিলা বীর শিশু আছিলাম! :)

এখন খুবই ভালা হই গেছি কিন্তু!!!


তুমি কিন্তু তাই বলে তোমার বেবিদেরকে মোটেও মাইর দেবে না!!

এখনকার দিনের বাচ্চাদের অনেক প্রেস্টিজ!

তুমি আগের দিনের মা বাবার মত মাইর দিলে নিজের প্রেস্টিজ খোয়াবে কিন্তুক! :(

২| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্টের লেনথা দেইখা না পড়িয়া মন্তব্য করিলাম।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

শায়মা বলেছেন: পড়ো পড়ো শিঘ্রী পড়ো!

না পড়িলে পাশ করিবেক লাই ভাইয়ু!

৩| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

বিজন রয় বলেছেন: +++!!!+++

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

শায়মা বলেছেন: বাহা বাহা ভায়া!

খুবই সৌন্দর্য্যের নক্সা! :)

একদম ক্রিয়েটিভ নক্সা! :)

অনেক ভালোবাসা! :)

৪| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অসাধারণ শৈশব। খুব ভালো হয়েছে লেখাটা।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

শায়মা বলেছেন: আমার বেদনাময় স্মৃতি তোমার অসাধারণ লাগলো!!!!! B:-)




:((

৫| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অসাধারণ বেদনা তাই 'অসাধারণ শৈশব' বলেছি। :) আসলে যারা ছোটবেলায় মারধোর বেশী খায় তারা পরবর্তীতে সফল হয়।

আপনার মা এতো মারতো কেন? কোন মানসিক কষ্টে ছিলেন মনে হয়। নইলে এতো ছোট বাচ্চাকে মারার কথা না।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

শায়মা বলেছেন: আমার মায়ের এখনকার দিনের মায়েদের মত এত ধৈর্য্য ছিলো না। আর মা মনে হয় আমার এত ক্রিয়েটিভিটি সহ্য করতে পারতো না। আমি আবার এক্সপেরিমেন্টাল ছিলাম কিনা তাই মায়ের অত সাধের কুমকুম লিপিস্টিক ধ্বংশ করলে মাও আমাকে ধ্বংশ করে ফেলতে চাইতেন মানে আমার ক্রিয়েটিভিটির চর্চাটা মোটেও তাহার পছন্দ ছিলো না। :)

মারধোর খাওয়া খাইয়ি জানিনা আমাকে যে যে কার্য্যে বাঁধা দেবে তাহাতেই আমি সফল হবোই। এমনই আমার মাথার ভূত।

যেমন ছবি নিয়ে একজন বলেছিলো আমি অংবং আঁকি তাই সেটা নিয়ে উঠে পড়ে লাগলাম। এখন অং বং থেকে অনেককককককককককককককক খানি টং বং হয়েছে আমার বাসার সকল ওয়াল পেইন্টিং আমার নিজের আঁকা। :)

সেসব টং হোক আর সং হোক তাহার পূর্নাঙ্গ রুপ দিয়েছি আমি। মানে সুন্দর ফ্রেমে বাঁধাই করে একদম বড় বড় শিল্পীদের মত করে টাঙ্গিয়ে দিয়েছি! :)


একজন আমাকে গিটার চ্যালেঞ্জ দিয়েছে এইখানে আমি এবারের ঈদ সংখ্যায় তাহাকে গিটার বাঁজিয়ে শুনাবো আর এইখানে পোস্ট দেবো এটাই আমার নিই চ্যালেঞ্জ! :)

৬| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরেকটা মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু ইন্টারনেট চলে গেল তাই আর যায়নি। পরে যাওয়ার আগেই মুছে দিয়েছি। আপনি পড়লে রাগ করতে পারেন তাই আর দিলাম না।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

শায়মা বলেছেন: হা হা আমি কি তুমি নাকি????

রাগী বুড়ার মতন যখন তখন রাগ করবো???

https://www.youtube.com/watch?v=js9tWFuvLkI' target='_blank' >আমি তো এখন অনেক বড় বয়স আমার মাত্র ষোল হলো নেই তো আগের মতন!!!!!!

৭| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

শায়মা বলেছেন: আমি তো এখন অনেক বড় বয়স আমার মাত্র ষোল হলো নেই তো আগের মতন


উফফ বার বার ভুল হয়!!! X((

৮| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর একটা গান দিয়েছেন। ভালো লাগলো।

আপনার এই পোস্টের সাথে যায় এই গানটা;

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

শায়মা বলেছেন: হা হা ছোটবেলায় শিখেছিলাম।


হারমোনিয়াম নিয়েও আমার এমন এক মজার স্মৃতি ছিলো মানে কেমনে নিজে নিজে গান তোলা শিখেছিলাম। কারণ গানের টিচারটা শুধু ভ্যা ভ্যা সা রে গা মা শিখাতো কিছুতেই ভালো লাগতো না সেটা আমার! :(

৯| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এসএসসির ছুটিতে একটা খেলনা কি বোর্ড দিয়ে বাজানো শিখেছিলাম। এটাতে সবগুলি নোটও ছিল না।

শ্রী দেবীর মত নাচ কীভাবে শিখেছিলেন সেটা তো বললেন না। নির্বংশের মত শ্রী দেবীকেও চ্যালেঞ্জ দিয়ে নাচ শিখেছিলেন মনে হয়।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

শায়মা বলেছেন: হা হা শ্রীদেবীর মত নাচ চ্যালেঞ্জ দেবো!!!!!!!!!

পাগল নাকি!!!

তিনি তো মরিয়া ভূত হইয়া গিয়াছেন।

আহা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়া মরি আর কি। চ্যালেঞ্জ হেরে সে যদি রাগে আমার ঘাড় মটকায়!

আমি কি তখন মরিয়া ভূত হইয়া চ্যালেঞ্জ প্রমান করিবো!!!!!! #:-S



:P
এটা শোনো ভাইয়া

ছেলেবেলা আমার ছেলেবেলা

১০| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: হা হা হা মজা পেলাম আপনার দুষ্টুমি পড়ে। তবে ছোটবেলায় এসব দুষ্টুমি বোধহয় সবাই করে। আমার ও আমার ছোট ভাই এর যন্ত্রনায় মা দুধের টিন শেলফের অনেক উচুতে রাখতেন। কারন গুড়া দুধ চিনি মিশিয়ে খাওয়াটা ছিল আমাদের খুব প্রিয়। কিন্তু সেই দুধই আবার পানিতে গুলে দিলে খেতেই চাইতাম না। একেবারেই অখাদ্য লাগত। আরো কত দুষ্টুমি যে করতাম সেই সময়ে।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই! আমারও এমন হত। যেমন হরলিকস। এমনি এমনি খেতে কত মজা আর পানি দিয়ে গুলালেই ওয়াক থু!!!

কিন্তু মায়েরা গানের স্যারেরা নাচের স্যারেরা সবাই এক রকম কেনো???

তারা পুরাই নিজেরাই চিরতার রস।

আর কোনো রস কষ নেই তাদের মাঝে। :-P

১১| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতা আবৃত্তি ভালো হয়েছে। তবে আপনার জিহবায় মনে হয় সমস্যা আছে। 'ছ' সঠিকভাবে দুই এক জায়গায় উচ্চারন করতে পারেন নাই। ছবিকে চবি মনে হয়েছে। ছেলেবেলা কে চেলেবেলা মনে হয়েছে।

মুখ হা করে জিহবা ডানে বামে উপরে নীচে ১০০ বার নাড়াচাড়া করবেন দিনে দুইবার। আরও বেশীবার করতে পারলে সমস্যা আরও তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।

অবশ্য দাঁতের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। দাঁতের ছবি দিলে দ্রুত সমাধান দিতে পারতাম।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

শায়মা বলেছেন: ঐ জানোনা আমি আল্লাদী। আল্লাদীদেরকে এইভাবে ছ বলতে হয়!

আর আমার দাঁত তো মুক্তোর মত! কতবার পেপসোডেন্ট ক্লোজ আপের এড করার অফার পেলাম! :)

১২| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:

একটু পর আসছি আপু।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

শায়মা বলেছেন: আসো আসো মিররমনি!!! তাড়াতাড়ি আসো! :)

১৩| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কারণেই আপনার আম্মা তার আল্লাদি মেয়েকে হাল্কা পাতলা দিতেন পিঠের উপরে লাইনে রাখার জন্য। নইলে আবার কোন বাদাইম্মার সাথে হাঁটা দেয় বলা তো যায় না।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

শায়মা বলেছেন: এহ রে কত বাদাইম্মা এলো গেলো...... আমিই তো তাদেরকে হাটায়ে মানে হটিয়ে দিলাম মানে ছোট্টবেলা থেকে এইসব প্রাকটিস করে করেই তো আমি তাদেরকেও ...........

থাক আর বললাম না....... বেশি বলা ঠিক না......

১৪| ২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




দুয়েক জায়গায় দুরুম দারুম ছাড়া কোথাওতো বেদনার কোন ছাপ দেখতে পেলাম
না । সর্বোত্রই তো দেখি জীবন শুরুর সেই ক্ষন হতেই একজন জাত শিল্লির বিজয়
কেতন, যার প্রামান্য দলিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল মায়ের হিসাবের খাতা হতে শুরু
করে চাচাত ভাই এর আঁকার খাাতা, ঘরের দেয়াল, দরজা জানালা , কাঠের আলমারি,
ছাদে মেলানো শাড়ি কাপড় আরো কত জায়গায় । ফুটে উঠেছে সেকালের মায়েদের
সাজুগুজু বক্সের কথা , সাজুগুজুর সরঞ্জামের কিছু কথা ।এখানে আর একটি বিষয় যেটা
আমাদের কাছে বেশ করে জানা কথা, সেটা হলো তুমি শুধু আঁকাআকি নও, সাজুগুজু
পটিয়সিও বটে। এটাও নাকি আঁকাআকির মত সেই শিশুকালেই রপ্ত করেছো বিবিধভাবে ।
মায়ের কাছে থাকা সাজুগুজু সরঞ্জামের মধ্যে নানা রংগের লিপস্টিক সেতো কমন জিনিষ ,
তার প্রয়োগ হয়নি কেন সেটাইতো বিস্ময়ের ব্যাপার ,এটা দিয়ে হতে পারতো আরো কতই
না সুন্দর সুন্দর অংকন সমাচার। কারণে তার দুরুম দারুম না হয়ে হয়তবা পেতে ভিন্নতর
বিচার , তবে হলফ করে বলতে পারি তা কিছুতেই হতোনা বেদনাকার, যদি না সে অংকন
কদাকার না হয়ে হতো সুস্রিকার,তোমার মত বিদ্যাধরীর হাতে সেটা নিশ্চই ধরত দারুন আকার।

ভাল লাগল স্মৃতি কথা।

শুভেচ্ছা রইল

২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সে কথা কি বলতে!!!!!

দেখো সাজুগুজু সে নিজের মুখে হোক বা ঘরবাড়ির হোক সবই কিন্তু শিল্প মানে আঁকাআঁকিই তাই না???

বিশেষ করে লিপিত্তিক নেইলপলিশের সাজুগুজু তো পুরাই আর্ট এন্ড আর্ট।

আমার ধারনা সব মেয়েরা আঁকাআঁকি শিখলে তারা সাজুগুজুতেও এক্সপার্ট হয়ে উঠবে..... :)

২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার স্মৃতিকথাও পড়ে এলাম এখুনি।

তুমি কিন্তু স্মৃতিধর!

বাপরে কত কথাই না মনে রেখেছো!!! আমি অবাক!!!

যাইহোক আরেক শিল্প দেখো-



নেইল আর্ট!

১৫| ২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




যত বেশি মাইর, তত বেশি ভালো লেগেছে লেখাটা :)
কারণ প্রতিবার মাইরের পেছনে একটা করে মজাদার গল্প।
তোমার জন্য বেদনার কিন্তু আমরা পাঠকদের জন্য আনন্দের।

তুমিতো জানো আপু দুষ্ট বাচ্চা আমার অনেক পছন্দের।
দেখেছো, বাচ্চাকাল থেকেই তুমি আমার পছন্দের ছিলে :)

তবে আগুনের ঘটনাটা অল্পের ওপর দিয়ে গেছে।
আমি ভেবেছিলাম ঘরে আগুন লাগবে, এখানে নিরাশ হয়েছি সেরকম কিছু ঘটেনি :(

২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শায়মা বলেছেন: হা হা না না তখন তো ছোট ছিলাম

বড় হলে রেগে মেগে আগুন লাগায় দিতে পারতাম হয়ত!!!


এমনকি অনেকবার এমন মনেও হয়েছে রাগে পাগল হয়ে ...... :)


১৬| ২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:



এমনকি অনেকবার এমন মনেও হয়েছে রাগে পাগল হয়ে ......

তারপর? পাগল হয়ে কি করেছিলে? বাকিটা বল।

তোমার দেয়া লিংক দেখলাম ছেলেবেলা।
ওখানে তোমার পেইন্টিং ওয়ার্ক এতো সুন্দর।
মুগ্ধ আমি!


২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শায়মা বলেছেন: শুনো তাহলে দুইটা দুই ঘটনা-

১। রাগে পাগল হওয়া ব্যপারটা আমার বসন্তদিন উপন্যাসে আছে। রাগে পাগল হয়ে ভেবেছিলাম রাতে বাড়িতেই আগুন লাগায় দেবো। আমি একা মরবো নাকি? বাড়িশুদ্ধ পুড়িয়ে মারবো! :)


আর ঐ লিংকে মনে হয় শুধু পেন্সিল স্কেচ আছে। অবশ্য ওটা নিয়েই ঝামেলা পাকিয়েছিলো এক ইঁচড়ে পাকা পন্ডিৎ! দুনিয়ায় যে কত রকমের পাগল আছে তাদের মধ্যে সেরা পাগল দেখা হয়েছিলো আমার সেবার। তবে তার জন্য আমার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। সে অমনটা না করলে আমি এত মন লাগিয়ে আঁকাই শিখতাম না।

আর ২০২০ থেকে শুরু করেছিলাম এক্রেলিক পেইন্টিং। বাসা সাজাবার জন্য।

তবে ছবি আমি ছোটবেলায় থেকেই অং বং আঁকি অনায়াসেই। :)

২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

শায়মা বলেছেন: Click This Link
এখানে কিছু আঁকিবুকি আছে

https://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/30309745
এই পুতুলের ঘরবাড়ির কথা মনে নেই?

https://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/30206516
এই যে আমার আঁকাআঁকি পোস্ট


তখন ছবি বড় করে আসতো। :)

https://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/30180062
এই যে আমিও শিখেছি সবাইকেই শিখাতে চেয়েছিলাম।

https://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/30131919
টেরারিয়াম আর্টও আমার ভীষন প্রিয় ছিলো একটা সময়



১৭| ২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মিরোরডডল বলেছেন:



পেন্সিল স্কেচগুলো দুর্দান্ত হয়েছে।

তোমার এই লিংকটা ভালো লেগেছে।
জয়িতার কণ্ঠে প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত, তার সাথে তোমার স্টিল ছবিগুলো।
স্পেশ্যালি নীচে বা বাদিকে তাকানো ছবিতে একধরনের গ্লুমিনেস ছিলো, দৃষ্টিতে একটা বিষণ্ণতা ছিলো যা গানের সাথে যায়।




২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

শায়মা বলেছেন: হা হা কত কিছুই না ভূত চাপে মাথায় আমার!!!!!!!! :P

ছোট থেকে চেপেই আছে।

১৮| ২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: স্মৃতিকথা এতো সুন্দর করে লেখাযায় ভাবতেও অবাক লাগে।স্মৃতি কথার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে একজন শিল্পির শিল্পি হয়ে উঠার গল্প।

২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আর পিঠের উপর যে তাল পড়তো সেসব দেখলে না!!!!!!! :P

১৯| ২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: ক্রিয়েটিভিটির নামে শুধু আকাম-কুকাম আর ঝাড় খাওয়ার গল্প :)
পিটুনি আর বকা খাইতে খাইতো আপনি লড়ঝড়া হয়ে গেছেন!!!
আপনার আম্মা যদি দুপুরে আপনারে কোমড়ের সাথে বেঁধে জোর করে ঘুম পাড়াইত তবে তাঁর এত ঝক্কি পোহাতে হোত না। আপনি যেসব আকাম করছেন তাতে পিটুনি দেয়া শতভাগ জায়েজ ছিল :)
অতি উপাদেয় চমৎকার স্মৃতিগল্প। ভাল লেগেছে।

২৬ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আমারফ জ্বালায় নাকি জীবনেও শান্তিতে দুপুরে এমনকি রাতেও ঘুমাতে পারেনি....... কখন আগুন লাগায় দেই আর কখন বাসা থেকে পালায় যাই।

ছোটবেলায় নাকি আমি রাতের বেলা ঘুমের ঘোরে হাঁটতাম।

দরজা খোলা চেষ্টা করতাম। ভয়ে মা দরজার সামনে চেয়ার টেবিল দিয়ে রাখতো যেন খুলতে গেলে হুড়মুড় পড়ি।

২০| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা মজা পেলাম পড়ে। ছোট বেলায় মার খেয়েছিলেন বলেই আজ আজকে আপনি সফল এবং ব্লগে আমরা হেভি-ওয়েট ব্লগার পেয়েছি। মাইরের পিছনের গল্পগুলো মজার ছিল। আমি ছোট বেলায় কখনও মাইর খাইনি, আহা মাইর খেলে আজ আমিও ..!

তবে ছোট বেলায় ইচ্ছে ছিল মার্শাল আর্ট শিখব, মাকে একদিন বলাতে চেঁচিয়ে বলল তুই কি নায়ক রুবেল হইতে চাস! তারপর দ্বিতীয় বার আর বলি নি!

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১৪

শায়মা বলেছেন: হা হা নায়ক রুবেল!!!!


আহারে ভাইয়া আসলেই আগের দিনের মায়েরা কোনো ক্রিয়েটিভিটিই লাইক করতো না। নাটক সিনেমা অভিনয় গান গাওয়া ছবি আঁকা এসব ছিলো দু চোখের বিষ!!

তাতেই কি দমিয়ে রাখা গেছে কাউকে???

তোমার মতন কয়েকটা ভালো বাচ্চাদেরকে ছাড়া??? :)

২১| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তুমি আমাকে আমার মায়ের হাতের মারের কথা মনে করিয়ে দিলে !!

সে যাক মন খারাপ করো না । তোমাকে শাসন না করলে এতদিন তুমি শহরের দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারতে !! একবার ভাবো ব্যাপারটা কেমন হতো :P

হহেহেহেহেহেহে

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১৫

শায়মা বলেছেন: ঐ চিকা মারা কি রে??

ইয়াক থু চিকা মারবো কেনো????

আমি কি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা নাকি ইঁদুর বাঁদর চিকা ছুঁচো মেরে বেড়াবো!!!!!!!!!! থু থু থু!!!!!!!!! :-P

২২| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ও আচ্ছা আচ্ছা ।

শোন চিকা মানে ছুঁচো অর্থে বলিনি ।

তোমরা মনে হয় চিকাকে বলো গ্রাফিতি !!

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

শায়মা বলেছেন: আরে!!!!!!!!!!!!! গ্রাফিতি!!!!!!!!!!!! :)


সেটাও তো আমি অনেক আঁকতে চেয়েছিলাম কতদিন! :(

২৩| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ

খালাম্মা তোমাকে শাসন না করলে এতদিনে তুমি ঢাকার দেয়ালে দেয়ালে আঁকতে , " কষ্টে আছি রে আইজুদ্দিন ? " B-))

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

শায়মা বলেছেন: হায় হায় এই কথা বলছো !!

আবার ব্লগের আইজুদ্দিনভাইয়ু এসে পড়ে নাকি ভাবছি!!

২৪| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:



কাছের-মানুষ বলেছেন:
তবে ছোট বেলায় ইচ্ছে ছিল মার্শাল আর্ট শিখব, মাকে একদিন বলাতে চেঁচিয়ে বলল তুই কি নায়ক রুবেল হইতে চাস! তারপর দ্বিতীয় বার আর বলি নি!


এই ভদ্র ছেলেটার কমেন্ট পড়ে মজা পেলাম :)


২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা আগের দিনে মায়েরা ভাবতো সিনেমার কথা বলাই মহা পাপ আর করতে চাওয়া তো মহা মহা পাপ!
সত্যি কিন্তু আমার মা এমনই করেছিলো আমার পেপসোডেন্টের বিজ্ঞাপন করার কথা শুনে!!


দিন দিন লায়েক হইসো না!!! দুনিয়ার বদ ছদ সব বসে থাকে বিজ্ঞাপন বানায় আর সেখানে যেতে চাস!!! সাহস তো কম না!!!!!!! জীবনে যদি এই সব কথা মুখেও আনবি!

২৫| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



তোমাকেতো কিছু বাঁধা দিলে তুমি মাস্ট ওটা করো।
পেপসোডেন্টের বিজ্ঞাপনটা কি করেছিলে?

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১২

শায়মা বলেছেন: হা হা সেটা করি কিন্তু পেপসোডেন্টের বিজ্ঞাপনটা করিনি কারণ কঠোর প্রহরা পার হওয়া কঠিন ছিলো।

তবে নতুন কুঁড়িতে যেতে পেরেছিলাম আর এখন যাহা মনে যায় তাহাই করি।

মিররমনি তোমার একখানা গানা শুনাও।

আমি জানি তুমি গান শিখেছিলে তাইনা???

২৬| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি নিশ্চিত মিরর মণি গান জানে। তাই আমাদের শুনানো উচিত।

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০২

শায়মা বলেছেন: আমিও নিশ্চিৎ! :)

কিন্তু সে শোনাবেই না....... :(

২৭| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



আমি জানি তুমি গান শিখেছিলে তাইনা???

তার আগে বলো এই তথ্য কে দিলো!!!!
B:-) 8-|

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০২

শায়মা বলেছেন: এই তথ্য দিলো অচেনা সূর নামে তোমার এক বন্ধু! :)

২৮| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

:) :) :) :) :) বলেছেন:

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:২৩

শায়মা বলেছেন: আসছো!!!!!!!!!! :)

থ্যাংক ইউ!!!

২৯| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১২

একলব্য২১ বলেছেন: অর্ধেকটা পড়েছি। বাকীটা পরে আরামসে পড়বো। তারপর যথারীতি আবার আসবো। :)

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:২৭

শায়মা বলেছেন: কেবলই ভাবছিলাম তখন তুমি কোথায় গেছো!!!!


তারপরই তুমি আসলে........

এত বিজি কেনো তুমি???

কি করছো এখন???

৩০| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: বেশ বড় শৈশবের ইতিহাস । অর্ধেক পড়ে একটূ দম নিলাম বাকিটুকু পড়ে ফেলবো আশাকরি দোয়া করবেন যেন কামিয়াব হতে পারি ।

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

শায়মা বলেছেন: এতো শুধু এক কানাকড়ি!

শৈশবের ইতিহাস কি শেষ হবার!!!

৩১| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২২

একলব্য২১ বলেছেন: আমি বলি আরামসে। পুরাণ ঢাকায় অনেকেই বলে খাতিরজমায়। এই শব্দটা শুনলে আমার ভীষণ রাগ হয়। অশিষ্ট মনে হয়।

তোমার এই পর্বের লেখার মানও নান্দনিক।


২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪২

শায়মা বলেছেন: হা হা আমিও শুনেছি এই শব্দ!!

হা হা

পুরান ঢাকার সাথে আমাদের এক নাড়ীর যোগ আছে। সবই জানা।:)

৩২| ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,





হা…..হা…..হা…. মায়ের পেটে বড় হয়ে ঝপ্পাৎ করে এই মাটিতে পড়েই যে মায়ের পট (নট পেট) থেকে রং নিয়ে পটুয়া হয়েছে, তেমন এক মেয়ের আঁকিয়ে হওয়ার পটভূমি ! 8-|

আমারও বলার কিছু নেই , শুধু দেখে দেখে পড়ে গেলাম….

স্কুলের আক্তার স্যারের আঁকতে দেয়া ছবির আকাশে সবুজ রঙ দিতেই পারতেন। বলতেন এ ছবি উত্তর মেরুর গ্রিনল্যান্ডে বসে আঁকা। তাই আকাশ সবুজ, সব কিছুই সবুজ। যে মেয়ে কথায় কথায় লাফিয়ে ছাদে যেতে পারে সে তো লম্ফ দিয়ে উড়ে উড়ে উত্তর মেরু যেতেই পারে! আর সেখানে সব কিছুইতো একটা বিশেষ সময়ে সবুজাভ হয়ে ওঠে। যে চাপাবাজ সেই মেয়েটি, সে অনায়াসে স্যারকে এই চাপবাজীটা মারতেই পারতো। :P
আর এই মেয়েই তো বড় হয়ে “পরী” হয়েছে। ছোটকাল থেকেই সে যে ওড়ার প্রাকটিস করছে এটা তার বড় দলিল।

কে বলে ডারউইন সাহেব মানুষের জন্ম নিয়ে বকোয়াজ করেছেন ? বান্দরের হাড্ডি থেকে মানুষ আর পরে পরী হয়ে যাওয়া মেয়েটিই তো ডারউইনের থিওরীর প্রমান। :(

স্মৃতির বেদনা লেখার মেয়েটির চোখের পানিতে (শুরুর ছবিটি দ্রষ্টব্য) লেখাটি “ বাবু আম” এর মতোই টক-মিষ্টি হয়েছে। বাবু আম কাটার কথা থাকলেও পুরো লেখাতে কোথাও পেয়াজ কাটার কথা নেই । থাকলে শুরুর ছবির মতো আমরাও............ :(( :(( :((

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

শায়মা বলেছেন: বাপরে এত পট পট পটুয়া লিখলে কেমনে ভাইয়া??

ছোটবেলায় প্রিয় রাশিয়ান বই পেনসিল আর সর্বকর্মায় ঐ শিল্পীকে পটুয়া বলতো।

যাইহোক ছোটবেলায় এত চাপাবাজী শিখিনিতো। এসব বড় হতে হতে শিখেছি নইলে পুরা পৃথিবী শুদ্ধাই সবুজ বানাতাম স্যারের। :)

ডারউইন তত্বে আবারও বিশ্বাস জন্মালো ভাইয়া!! :)

পেঁয়াজ কাটা তো শৈশবে হয়নি সেটা তো শুরু হয়েছিলো চিলেকোঠার গল্পে....... :)

৩৩| ২৭ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:৪১

সোহানী বলেছেন: আরে তুমিতো দেখি সবসময়ই বিচ্ছু :P

এমন ধরনের কুকামের অভাব ছিল না পিচ্চিকালে। অনেক কিছুই মনে করিয়ে দেয় তোমাদের লিখাগুলো। আচ্ছা, কুমকুমতো মনে হয় অনেক বড়বেলায়ও ইউজ করেছিলাম। বিশেষকরে বউ সাজাতে মা ইউজ করতো। এখন কোথাও দেখি না কেন???

২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!!!!!!!!!

আমরা সেই জেনারেশন যেখানে আজকালকার মত মোবাইল এডিকশন বাচ্চারা ছিলো না।


কুমকুম মনে হয় এখন আর নেই। মানুষ তো সেই রকম রং বেরং এ বৌকে সং সাজায়ও না। হা হা

তবে কালারফুল টিপের নক্সা করতে বিউটি পারলার ডাইরেক্ট পোস্টার পেইন্ট ইউজ করে দেখেছি! হা হা

৩৪| ২৭ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কি নাম দেব?

শায়মা পিকাসো?

নাকি পাবলো হক?

দুড়ুম দারুম কিল থেকে যদি ভাল কিছু হয় তাহলে তাহলে কিলই ভাল। এমন দুড়ুম দারুম কিল না খেলে কি এমন দুদে ব্লগার ও শিল্পীকে আমরা পেতাম। যখনি তুমি দুড়ুম দারুম খাচ্ছিলে তখনই তো আমি হাসতে হাসতে মরে যাবার উপক্রম। মনে আছে আমার জানুয়ার ফেব্রুয়ার এর মাইর খাওয়ার সময় তুমি হেসেই মরে যাচ্ছিলে? এবার তোমার হাসির শানে নযুল বুঝলাম। ঘুটে যখন পুড়ে গোবর তখন হাসে এমন অবস্থা আর কি!

তবে স্মৃতি তুমি বেদনা! লেখা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে! একাধিক প্লাস দেওয়ার সুবিধা থাকলে কাজে লাগানো যেত।

শুভকামনা।

২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া তোমার জানোয়ার ফেব্রুয়ারের কথা কি বলবো আমি তো সেদিন মিটিং এর মধ্যে বসে সেই কথা ভেবে ফিক করে হেসে ফেলেছিলাম।

যাইহোক আমার প্রাইজ দিতে হবে আমি করুনাধারা আপুর লেখাটাকে ফার্স্ট বানাতাম সিরিয়াস লেখা স্মৃতি হিসাবে আর তোমারটাকে বানাতাম সেকেন্ড! থার্ড খুজছি....... নাহোল তরকারী ভাইয়ার বোকা বোকা লেখা স্মৃতিগুলিও কিন্তু অপকট আর আমাকে অনেক হাসায়!!! :P

৩৫| ২৭ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

জটিল ভাই বলেছেন:
সোহানী বলেছেন: আরে তুমিতো দেখি সবসময়ই বিচ্ছু :P
এমন ধরনের কুকামের অভাব ছিল না পিচ্চিকালে। অনেক কিছুই মনে করিয়ে দেয় তোমাদের লিখাগুলো। আচ্ছা, কুমকুমতো মনে হয় অনেক বড়বেলায়ও ইউজ করেছিলাম।


উল্লেখিত কমেন্ট পড়ার পর আর কমেন্ট করার সাহস পাচ্ছি না =p~

তবে ব্লগে যে খড়া চলছে, তোমার এই পোস্টের লাইক-কমেন্ট দেখে বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে :(

২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

শায়মা বলেছেন: ঐ কি কমেন্ট করবি রে!!!!!!!!!!!!!

যাইহোক শুনো খড়া মড়া জানিনা আমি নিজেই হাসতে হাসতে মরছিলাম লেখার সময়...... তবে এইবার প্রেম বেলার স্মৃতি লিখবো নাকি ভাবছি মানে আমি কিন্তু প্রেমে পড়িনি মানে পড়িয়েছিলাম যাদেরকে তাদেরকে নিয়ে। :P

৩৬| ২৭ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:

কাছের-মানুষ বলেছেন:
তবে ছোট বেলায় ইচ্ছে ছিল মার্শাল আর্ট শিখব, মাকে একদিন বলাতে চেঁচিয়ে বলল তুই কি নায়ক রুবেল হইতে চাস! তারপর দ্বিতীয় বার আর বলি নি!

এই ভদ্র ছেলেটার কমেন্ট পড়ে মজা পেলাম


হা হা না না অত শরিফ বা ঈমানদের যে ছিলাম তাও না! তবে আমার বাবা এবং মা অতিরিক্তই মনে সহ্য করেছেন সবকিছু!
কারো গাছে ডাব চুরি, কলা বাগানে গিয়ে কলা বাগান সাফ করা থেকে সেই বয়সের যেই যেই গুন থাকা দরকার তা ছিল মোটামুটি! তবে পরবর্তীতে হাফেজ মানে অতি ভদ্র হয়ে গিয়েছিলাম, মানুষ যাতে দেখলে ভাবে দরবেশ হয়ে গেছি।

ব্লগে এর উপর একটি স্মৃতিচারণমূলক পোষ্ট দিয়েছিলুম, চুরিবিদ্যা (লিংক)!

২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

শায়মা বলেছেন: হায় হায় ভাইয়া তুমি ক্ষুদে চোর ছিলে!!!!!!!!!!!!!! :P


যাইহোক আমিও কিন্তু ছোট্টবেলায় দুষ্টু ছিলাম এখন বড়ই ভালো হয়ে গেছি! :)

তখনও ভালো ছিলাম মানে দুষ্টু না আসলে সেটা ছিলাম ক্রিয়েটিভ। আমার ক্রিয়েটিভিটি কারো সহ্যই হত না!!!!!!! :(

৩৭| ২৭ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:



তাহলে এখন থেকে আমরা কাছের মানুষকে দরবেশ বাবা বলে ডাকতেই পারি :)
লিংক শেয়ার করার জন্য থ্যাংকস দরবেশ বাবা।
নিশ্চয়ই পড়বো।

২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

শায়মা বলেছেন: হা হা কাছের মানুষ দরবেশ বাবাভাইয়া!!!!!!!!!!! হা হা হা

৩৮| ২৭ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:



গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কি নাম দেব?
শায়মা পিকাসো?
নাকি পাবলো হক?


হা হা হা হা হা.........
আপু, বেছে নাও :)

২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

শায়মা বলেছেন: শায়মা পিকাসো পাবলো হক :)

৩৯| ২৭ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বনি কিতা কইতাম কইনছেন দেহি। কওনের কিছু নাই ।
আপনার কিল খাওন দেইখা আমারও কিছু মিছু মনে অড়ি গেল । আর তাই খুলে দিলাম মনের জানালা বনির সাথে --------

১। মায়ের কিল :(( আহা ব্যাফোক মজার ।
যে খাইছে হেই জানে কি এর মহিমা!!!!!!!!!!!!!!!
তবে আপনাকে দেকে ভাল লাগছে যে , আপনি বনিও খাইছেন সেইরম কিল যা আমি খেয়েছিনু শৈশবে।
এত দিন মনে আক্ষেপ ছিল যে মায়ের ভালুবাসা :P খাইনি শৈশবে শুধু কিলই B-)) খেয়েছি আমি একেলা। তবে বনির লেখা পড়ে আমার আক্ষেপ ঘোচে গিয়েছে।
আহা কি মজা!!!!!!!!!!!!!!!
শুধু আমিই মায়ের কিল খাইনি।আমার বনিও খেয়েছে সেই শনপাপরি --- মজার খানা------------ :D :) :-B

২। আজকাল বাচচাদের বাবা-মা কত কিছু কিনে দিয়েও মন পায়না। আমরা কিছু চাইতেই পারিনি শুধু ভাত ছাড়া।
আর তাও সব সময় মিলবার নিশ্চিয়তা ছিলনা । কারন, সীমিত রোজগার,অসংখ্য মানুষের পরিবারে নিত্যসংগী ছিল অভাব নামক দৈত্যের। কাজেই কিছু চাওয়ার সুযোগই ছিল । আর চাইলেই কিছু মিলত । তবে তা ছিল ------- কিল ------------ কিল ---- কিল।

৩। যেহেতু ছেলে ছিলাম তাই লিপস্টিক লাগাতে পারিনি তবে অলস দুপুরে বড়রা ঘুমিয়ে গেলে চাচাত-ফুফাত বোনদের সাথে জামাই-বউ :P খেলেছিনু কত শত বার বিয়ে না করেও এবং সেই অপরিণত বয়সেই। ভাবতেই ভাল লাগে ---------------
আহা কি আনন্দ, আকাশে বাতাসে -------------------------

৪। আকা ঝোকা আমাকে টানত না । টানত খালি পড়া। আর সেটা যে কোন বই,খবরের কাগজ ম্যাগাজিন কিংবা চটি-পটি যাই হোক। আর তাইতো ৬ ক্লাসে থাকতেই পাঠ্য বইয়ের নীচে রেখে রাতে " সেলিনার গোপন কথা " নামক সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে গিয়ে মায়ের হাতে ধরা পড়ে ভয়ানক উদোম কেলানীর :( সাথে সাথে ঘর-বাড়ী ছাড়া হয়েছিলাম কিছু দিনের জন্য। দাদা-দাদীর কল্যাণে ফের ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসা নানা রকম ঘটনা দূর্ঘটনার পর।

৫। এলাকার সবার গাছের ফল ছিল আমার মত নির্মল- নির্দোষ - বিশুদ্ধ-নিরিহ আদম (বাদর) দের নিজেদেরই গাছ ও ফল এবং তাদের উপর ছিল আমাদের শতভাগ হক। আর তাইতো দিনে সে হক আদায় করতে পারলে রাতে করে দিতাম সাবাড় ও আদায় করে নিতাম সেইখক - ন্যায় অন্যায় বোধকে গামছায় বেঁধে পুকুরে ফেলে দিয়ে। আহা কি মজার দি ছিল -----------

৬। একবার বাপের ঘড়ি খুলে ফেলেছিলাম তা দেখার জন্য যে , ইডা কিভাবে চলে। খুলে ত আর লাগাতে পারিনি । আর তারপর ঘড়ি কি করুম। ইভাবেই রেকে দিয়েছিনু বাপের পকেটে । তবে ঘড়ির এ অবস্থা দেখে বাপ মেশিনগান ফায়ার (আর্মি ছিল কিনা) শুরু করে কিছু না জিজ্ঞাসা করেই ( কারন - সে জানত এর পিছনে কার হাত থাকতে পারে । আর তাই কোন কিছু জিজ্ঞাসা বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ফায়ার শুরু করে। আর তাতে আমার কি দশা হয়েছিল তা বলে বুঝানো যাবেনা বনি , শুধু অনুমান করে নিতে হবে -------তবে আশে পাশের সবাই বলেছিল শুধু ------------------------------- আহাঃ, আহারেঃ

আর আপনার লিকা পড়ে আমাকেও বলতে হচছে - আহা আহারে স্মৃতি ।
তুমি বড়ই মধুর (গান আছেনা - বেদনা মধুর হয়ে যায় ,তুমি যদি দাও)।
আর তাই বাবা-মায়ের দেয়া যাতনাও মধুর।
তাইনা বনি?

চিল্লাাইয়া কন - ঠিক কিনা ?

২৭ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

শায়মা বলেছেন: হা হা শনপাপড়ি

জামাই বউ

সেলিনার গোপন কথা!!!

বাপের ঘড়ি!!!!!!!!!!!!


হা হা হা হা মরে গেলাম হাসতে হাসতে!!!!!!!!!!!!!

মনে করে দিলে একবার জেলীর বটল ভেঙ্গে আমি কেমনে সাধু বাবা সেজে রেখে দিয়েছিলাম ভালোমানুষ সেজে । :P

৪০| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিল্পী সত্তা আপনার মধ্যে আছে।

তাছাড়া যে মেয়ের রান্নাঘর সুন্দর, তার সব সুন্দর।

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া রান্নাঘরের অনুষ্ঠানটা দেখেছো নাকি!!! :)

৪১| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:

আপু ওটা কি অনইয়ার হয়েছে?



২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ হয়েছিলো। কিন্তু বিদেশ থেকে মনে হয় এই টিভি দেখা যায় না। :(

ইউটিউবে আসলে কানে কানে লিঙ্ক দেবো ওকে???


কারণ আমার লুইজ্জা লাগে তো!!!!!!!

৪২| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:
নেক্সাস টিভির কিচেন শোর অনেকগুলো এপিসোড দেখেছিলাম কিন্তু তোমারটাতো দেখিনি।
হয়ে গেলে বলো, দেখবো।




২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: ৮ তারিখ হয়েছিলো.......

৪৩| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:



বাহ! তাহলে চলে আসবে কিছুদিনের মাঝে। দেখে জানাবো।
উপস্থাপিকা মৌসুমি মৌকে ভালো লাগে কিন্তু তোমার এখানে অন্যজন এসেছে।
ম্যাক্সিমাম এপিসোড মৌসুমি মৌ করে।

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০৮

শায়মা বলেছেন: এই মেয়ের নাম কি যেন বৃষ্টি তাকে তো আমারই ডায়ালগ উল্টা শিখায় দিতে হচ্ছিলো...... :P

২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন:


কিচেন দেখাতে গিয়ে উলটা কবিতা শুনাই দিলাম....

৪৪| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৩১

শার্দূল ২২ বলেছেন: তুমিতো দেখছি আগের জনমে বড়ই দুষ্ট ছিলা। এই জনমের বিপরীত। এত দিনের চেনা তোমাকে এমন কখনোই মনে হয়নি,

তবে একটু দুষ্ট না হলে মেধাবী হয়না।

এত বড় বড় পোষ্ট দাও কেন ? এক বসায় শেষ করা যায়না, আর আমিতো একদমি পারিনা। এখন থেকে পার্ট ১,২ করে দিবা।

উপরের ভিডিও লিংকটা দাওতো

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

শায়মা বলেছেন: হা হা আমাকে বিপরীত মানে লক্ষী সোনা চান্দের কণা কইলা!!!!!!!!!!!!!

থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ!!!!!!!!!!!!!! :) :) :)


হা হা তুমি না ভাবতে আমি কি করি চুপচাপ!!! ভুল ভাবতে মনে আছে???


পরে বড় বড় পোস্ট দেখে বুঝতে ওহ এই তাহলে এতক্ষন ধরে এইটাই করতেসিলো!!!!!!!!! #:-S



হা হা ভিডিওলিঙ্ক নাই ভাইজান!!! :)

৪৫| ২৮ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অকাজের কাজী দেখছি আপনি ;) স্মৃতি লেখা পড়ে ভাল লেগেছে।

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

শায়মা বলেছেন: কে বলেছে অকাজের কাজী!!!!!!!!!!!!!! আমি তো ক্রিয়েটিভ!!!!!!!!!!!

৪৬| ২৮ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এল্লাইজ্ঞা মানুষ এত বড় কইরা লিখে :(

২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

শায়মা বলেছেন: কিললাইগ্গা!!!!!

৪৭| ২৮ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:

আপু মেয়েটির নাম পূর্ণিমা বৃষ্টি।

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ অনেক লম্বা আর স্লিম।

আমরা সেদিন মোরগ পোলাও আর যা যা করেছিলাম সে শুধু একটু কেশ্যুনাট হালুয়া ডেজার্ট ছাড়া কিছুই খায়নি মোটা হয়ে যাবার ভয়ে।

কি দুস্কের জীবন.....

৪৮| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০২

মিরোরডডল বলেছেন:



আপু তোমার পোষ্টের ওপর থেকে সেকেন্ড যে ছবিটা, দুবছর আগে এক কলিগের বাবুকে দেখেছিলাম ঠিক এরকম করে ফটোশ্যুট করতে। পাখির বাসার মধ্যে মানুষের ছানা :)

২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১৬

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এমনই তো করে সব্বাই আজকাল।

সিনডেরেলা সেজে বড় বাবুরাও....... :)

স্নোহ্যোয়াইটও সাজে। :)

৪৯| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপুনি, কেমন আছেন?
কেমন চলছে দিনকাল?


আপডেট একটা পোষ্ট দিয়েন।

০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১:৩৫

শায়মা বলেছেন: আমি ভালো আছি। দিনকালও ভালোই যাচ্ছে।

তুমি কেমন আছো ভাইয়া?

৫০| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:



এতদিন কোথায় ছিলে?
ইউ ওকে আপু?

০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শায়মা বলেছেন: আই এ্যম নো কে!!! :(

অনেকগুলো ঝামেলায় আছি.......

১। গরমে জ্বর

২। স্কুল

৩। আর্ট হাব নিয়ে অং বং কাজ

৪। আত্মীয়ের বিয়ের হলুদ মলুদ সলুদ

৫। মাথায় কত কান্ড আসে হচ্ছে না তো সময় তার .......

৫১| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:



জ্বর হয়েছে, ছুটি নাও।
স্কুল, আর্ট সবকিছু বন্ধ রাখো, রেস্ট নাও।



০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শায়মা বলেছেন: না!!!

আমি তো ছুটি নিতেই পারি না.... :((

একদম যেমন নিউমোনিয়া হলে কুপোকাৎ হয়েছিলাম তেমনটা না হলে আমি ছুটতেই থাকি।

এটাই তো আমি আর তাই তো আমার এই অবস্থা। :(

৫২| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০২

মিরোরডডল বলেছেন:



অতোকিছু বুঝিনা, তোমাকে সামুতে দেখতে চাই।

আপু ভজঘট পোষ্টে আমার এইমাত্র দেয়া কমেন্টটা দেখো।
তোমার মন্তব্য জানাও :)


০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১১

শায়মা বলেছেন: আরে আমি তো সামু ঈঈঈঈ

সামু থাকলে আমিও থাকবো কিন্তু মাঝে মাঝে একটু ঝামেলায় থাকতে হয় আজকাল.......

দেখেছি তো আমার মন্তব্যও জানিয়েছি।


তবে

শাহ আজিজ ভাইয়া বিচারক হতে পারেন কারন তার বয়স অভিজ্ঞতা ও নান্দনিক সৃষ্টিশীল প্রতিভা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে।

নীল সাধু ভাইয়া বহু দিনের প্রকাশক ও সম্পাদক এবং নিজেই কবি এবং লেখক কাজেই ভাইয়াও হতে পারেন।


আর শুধু সৌন্দয্য ধুয়ে পানি খেলে তো চলবে না সাথে লাগবে একজন ক্রিটিসাইজার। কাজেই সোনাগাজী ভাইয়াই এই কাজটা ভালো পারবে।

যে যত ভালো ভালো দিক দেখতে পাবে ভুল করেও ভুল দেখতে পাবে না। সোনাগাজী ভাইয়া সেই ভুলগুলো ফুল থেকে টেনে বের করে আনবে এইভাবেই তাহাদের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় সঠিক রেজাল্ট আসবে।

আর সবচেয়ে বড় কথা এখানে আসলে সঠিক বেঠিকের রেজাল্টের কোনো তেমন বিশেষত্ব নেই।

একেক জনের কাছে একেক রকম লেখা ভালো লাগে।

একেকজনের কাছে একেকরকম মানুষ ভালো লাগে।

নইলে পৃথিবী চলতো না।

৫৩| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:

একদম ঠিক বলেছো।



০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৩

শায়মা বলেছেন: তুমি কিন্তু ভালোই বিচারক হতে পারতে তবে ঐ যে কাদম্বিনীর দশা হবে তারপর..... :(

৫৪| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:

মাফ চাই #:-S

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৮

শায়মা বলেছেন: হা হা যাইহোক তুমি কি জানো বাংলাদেশের গরমের খবর...... স্কুল বন্ধ করে দিচ্ছে তবুও আমরা যারা বড় বাবুরা স্কুলে যাই তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে!!!!!!!!!! :((

৫৫| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:



অবশ্যই জানি।
তোমাদের বাসা, গাড়ি, স্কুল সব জায়গায় এয়ারকন, তারপরও এ কথা বলো, তাহলে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করো,
কি ভয়ঙ্কর কষ্ট করছে তারা!

সাময়িক বিরতিতে যাও আপু অথবা কোথাও হলিডেতে।




০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: কই যাবো !!! দারজিলিং শিলং? হিল্লী দিল্লী!!!!!


কোথাও যাবার নেই, কিচ্ছু করার নেই।

গরমে বাসায় বসে বসে শীতল পাটি বোনা ছাড়া। :)


অথবা একটা সিরিজ শুরু করা যায়। সিরিজের ছেলেটার বয়স ২৫। শুধু হতাশায় ভোগে। যদিও হতাশায় ভোগাটা তার দুস্ক বিলাস। একদিন একটা মেয়ে এসে এক থাপড়ে তার হতাশা ছুটায় দিলো।

সেই থাপড়া খেয়ে ছেলেটা ভাবতে শুরু করলো - আজ আমার একি হলো সব কিছু এলোমেলো।


সামনে সামার ভ্যাকেশন শুরুই করে দেই কি বলো???

৫৬| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৪

একলব্য২১ বলেছেন: আমি ৩ পাগলের এক পাগল হইতে চাই। :`> প্লাস আমি নিরপেক্ষও। :)

কতটা নিরপেক্ষ দেখ। আমি পছন্দনীয় ৩ জন বিচারক প্যানেলেও তোমাকে রাখি নাই। অথচ আড্ডাঘর ছাড়ার পর মূলত তোমার লেখা পড়ার জন্যই আবার আমার সামুতে বিচরণ শুরু করি। মলির B-)) সাথে পরিচয়ও তোমার পোস্টের কল্যাণেই। :)

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩২

শায়মা বলেছেন: আরে তুমি হয়ে যাও!!!!!!!!!!!

তুমি আর মিররমনি তাইলে আমি জানি নিরপেক্ষ থাকিলেও মনে মনে কে ফার্স্টো!!! হি হি হি :)

৫৭| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:



অথবা একটা সিরিজ শুরু করা যায়।

গুড আইডিয়া।

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩২

শায়মা বলেছেন: কব্বো কব্বো .......


আর দেখো শুভ ভাইয়ু আবারও তোমাকে মলি বলেছে। :)

৫৮| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

একলব্য২১ বলেছেন: What's in a name? নামে কি আসে যায়। গোলাপকে যে নামেই ডাকো না কেন......

কেন যে পলি আমার উপর রাগ করে বুঝতে পারি না। যাক খত দিলাম আর এসব নামে ডাকবো না। :D

কোথায় যেন পড়েছিলাম মানুষ পণ করে পণ ভাঙ্গার জন্যই। :P

আর এই মাত্রই পড়লাম ব্লগে খোঁচাখোঁচি না থাকলে ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে। :)

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: খোঁচাখুঁচির সাথে জ্বীন ভূতের আসরও লাগে রে ভাই!!!!!!!!! :)

যখন যেই পোস্টে আসর করবে সেই পোস্ট চানাচুর....

৫৯| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মন্দ নয়। শুধু মায়ের হাতের এত পিটুনি খাওয়া একটু বেশি হয়ে গেছে। স্মৃতি মানেই বেদনা। আনন্দের যে স্মৃতি সেটা ও দুঃখই দেয়। সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি রইলো না এটা কী দুঃখের গান নয়। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম এটা কি দুঃখের নয়। তাইতো স্মৃতি তুমি বেদনা। :(

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া তোমারও বেদনার স্মৃতি দেখেছি এই ব্লগেই।
বাট তুমি আবার বেদনা টেদনায় নো পাত্তা।


পুরাই কানে তুলা পিঠে কুলা।


যাইহোক লাইক দিয়ে তো লাইক বাড়ায় দিলে!!!!!!!!!


মিররমনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! দেখে যাও!!!!!!!!!!!

৬০| ০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৮

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

বোধহয় অভিভাবকদের চাপে কারনে ৭ আর ৮ তারিখ ক্ষুদেদের স্কুল ছুটি দিয়েছে। আর তার সাথে শুক্র শনি সাপ্তাহিক ছুটি তো আছেই। এখন প্রশ্ন হল এই দাবদাহ যদি অব্যাহত থাকে তবে গরমের ছুটি কি আরও দুচার দিন বাড়তে পারে।

০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

শায়মা বলেছেন: ক্ষুদেদেরকে ছুটি দিয়েছে কিন্তু ক্ষুদেদের ফুপিআম্মাকে ছুটি দেয়নি!!! :(


আর আজকে বৃষ্টি হয়ে গেলো আর নিশ্চয় বাড়াবেনা ছুটি।

৬১| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৩

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

বিচারক প্যানেল দেখে তোমার কি মনে হচ্ছে। এই ভজকট যে এইভাবে সমাধান হবে এটা আমার চিন্তার বাহিরে ছিল। কাভা ভাইয়ের কাজ দেখে আমার একটা কথা মনে হচ্ছে ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে। :D

মিরোরডলের Happy Friday পোস্টের একটু ঢুঁ মাইরো।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

শায়মা বলেছেন: একদম ওস্তাদকে দেখে আমারও একটা গানা মনে পড়ছে....... :) :) :)



আর হ্যাপী ফ্রাইডেতেও ঢু মেরেছিলাম তো মনে হয়.....

৬২| ১৮ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

একলব্য২১ বলেছেন: আপাতত বাহাহাল করিয়া বাজানরে দোতরা নিয়ে আছি। জীবনের সর্বোচ্চ ওজন লইয়া নাচ...... লাগে হাসফাস!!! :((

view this link

১৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৫

শায়মা বলেছেন: হা হা বাহাহাল করিয়াও এক্সারসাইজ... :)

৬৩| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কোথায়? খবর নাই কেন?

২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

শায়মা বলেছেন: আমি একটার পর একটা অনুষ্ঠান নিয়ে বিজি বিজি মহা বিজি !
২০ তারিখ স্কুল ছুটি হলো তারপরদিনই ২১ অনুষ্ঠান ছিলো। নাচা গানা করে আমি শেষ (মোটি হবার যন্ত্রনা) । ২২ তারিখ একটু রেস্ট। তারপর আবার কাল সন্ধ্যাতেও অনুষ্ঠান ছিলো। শ্রীদেবী হতে চাইছিলাম কিন্তু ভাইয়া.....
তবে শ্রীদেবীর নাচটাই দেখো আমারটা দেখার দক্কাল নাই
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিলো আত্মীয়ের তাই নাচতেই হবে। ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। মোটি মোটা হলেও .......নাচে..... :P

আজকে ফ্রি কালকে আবার দুপুরে দাওয়াৎ। ঈদের দিন ঢাকার বাইরে যাচ্ছি। ফিরে এসে আবার বিয়ের অনুষ্ঠান তারপর দিন আবার সিলহেট যাচ্ছি!!!! আমি গেছি..........

এইদিকে গিটার চ্যালেঞ্জ আছে। কোনটা করি কোনটা ছাড়ি!!!!!!!!! :((

৬৪| ২৪ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: আসলে এখন সহজে বাচ্চারা কত কিছু পেয়ে যায়। আর আমরা অপেক্ষায় থাকতাম। অনেক কিছু চাওয়ার বিষয়ও জানতাম না।
ভালোলাগল স্মৃতি। নিজেরও অনেক স্মৃতি মনে পরে গেলো।

২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

শায়মা বলেছেন: হা হা সেই তো আপুনি!

আর তাছাড়া এখন তো বাচ্চাদের পিঠে দুড়ুম দাড়াম পড়েই না। বাচ্চাকে মারাটাও অমানবিক। কিন্তু আমাদের বাবা মায়েরা সেটা জানতেন না। তাই মারধোর উপহারের সাথে সাথে ক্রিয়েটিভিটি বেড়ে গেছিলো আর কি হা হা । মার ধোর থোড়াই কেয়ার করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্রতই ছিলো আমাদের আসল ব্রত। :)

৬৫| ২৬ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নাচ না দেখলেও আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনার নাচ শ্রী দেবীর মতই হবে। কারণ আপনি একজন প্রশিক্ষিত নৃত্য শিল্পী। আর তাছাড়া আপনি যা করেন মন দিয়ে করেন। আপনি হয়তো আপনার নাচ দেখতে দিবেন না। কিন্তু আমার দেখার খুব শখ আপনি কিভাবে নাচেন। যদি সম্ভব হয় কখনও দেখাবেন আশা করি। :)

২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!

একটা গান মনে এসে গেলো......
শুনো শুনো







কাজ নেই আমার আর নাচ দেখিয়ে ........

হা হা হা হা :P

৬৬| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে ৬৩ নাম্বার প্রতি মন্তব্যে শ্রী দেবীর যে গানটা দিয়েছেন সেটা আমার প্রিয় একটা গান এবং নাচ। খুব ভালো লাগে।

বুঝেছি আপনার নাচ দেখার সৌভাগ্য আমাদের হবে না। তারপরও আরেকবার অনুরোধ করলাম। :) এটার মধ্যে কোন ছলনা নাই। :) আমার একটা কৌতূহল আছে সত্যি সত্যি।

এবার তাহলে আমার এবং একলব্য২১ ভাইয়ের প্রিয় একটা গান শোনেন তাহলে। অনেক পুরানো একটা গান অবশ্য।

২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ছলনা নেই জানি সত্যিই তোমার দেখতে ইচ্ছা করে কেমনে নাচেন রাই.....
কিন্তু
তারপর নাচ দেখা হয়ে গেলেই বলবা এই কি বান্দরের নাচ না না শ্রীবান্দরের নাচ.... পেত্নীর নাচ ডাইনীর নাচ রাক্ষুসীর নাচ ....... :P

হা হা এই ছলনায় ভুলবো না বললাম!!!!!!!! :P



যদিও কিছুতেই আমার কিচ্ছুই যায় আসে না..... আমি তো মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে তা তা থই থই ...... :P

৬৭| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের পরিবারে একটা খারাপ খবর আছে। ওনার একজন আপনজন এই দুনিয়ায় আর নেই। আপনি জানেন কি না জানি না।

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৮

শায়মা বলেছেন: আমি জানতাম না। কালকেই জেনেছি আর খুবই খারাপ লাগছে। তারা কয়েকজন বোন খুব কাছাকাছি ছিলো। তারা অনেক আনন্দে কাটায় এমনই শুনেছি সব সময়।

খুব খারাপ লেগেছে শুনে। আমি কয়েকদিন অনেক বেশি বিজি ছিলাম তাই জানতে পারিনি।

৬৮| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৬

একলব্য২১ বলেছেন: My heart is my mouth. কে সাচু ভাই। কে মারা গেছে।

৬৯| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৮

একলব্য২১ বলেছেন: * in my mouth.

৭০| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ একলব্য২১ ভাই- মিরোরডডলের সিব্লিং মারা গেছেন। মিরোরডডলের শেষ পোস্টে উনি জানিয়েছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০২

শায়মা বলেছেন: মিররমনির বোন না বড় ভাই মারা গেছেন।

৭১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: যখন পোস্ট করেছিলে তখনি পড়েছিলাম, কিন্তু তখন এত দৌঁড়ের উপর ছিলাম যে একটা লাইক পর্যন্ত দিতে পারিনি। এখন আগেই দিয়ে নিলাম।

এইরকম একটা মেয়ে ঘরে থাকলে বাড়ির মানুষের যে অবস্থা হয় তাকে বলা যায় "নিদারুণ, বড় করুন"! দুচারটে দুড়ুম দাড়ুম গুড়ুম গাড়ুম দিয়ে কি আর এই ক্রিয়েটিভিটির বান থামানো যায়!! এত রকমের ক্রিয়েটিভ আইডিয়াও বা একটা মাথায় আসে কি করে ভেবে পাইনা...

ভাগ্যিস তুমি পরিবারের সাথে নরওয়েতে থাকতে না!!

ছবিগুলো খুব সুন্দর, একেবারে লেখার সাথে মেলানো দুরন্ত দস্যি মেয়ে!!


০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা নরওয়েতে থাকলে ক্রিয়েটিভিটি বের হয়ে যেত। শুনেছি সেখানকার চাইল্ডকেয়ারেরা মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ভাতা নেবার জন্য বাচ্চাদেরকে আটকে রেখে ক্রিয়েটিভিটির বারোটা বাজিয়ে দেয়।

যাই বলো আর তাই বলো আমার চোখে তোমার স্মৃতিতে সেলাই লেখাটা একদম ফার্স্ট!

৭২| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২১

একলব্য২১ বলেছেন: কেমন কাটল তোমার সিলেট ভ্রমণ, শায়মা আপু। সিলেটের কোথায় কোথায় ঘুরলে। এর আছর কি সামুতে পড়বে। :)

১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৭

শায়মা বলেছেন: এ আছর একটু পরেই পড়বে যদি লিখে শেষ করতে পারি। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.