![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মতামতের ভিন্নতা এবং বিরুদ্ধ মতের প্রতি পারস্পরিক স্রদ্ধা থাকবে । মানুষ তার নিজের অধিকার বিষয়ে সচেতন হবে এবং অপরের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।
আলী হোসেন,পেশায় একজন কৃষক।বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার চরপারা গ্রামের বাসিন্দা । এসেছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির দাখিলা ও পর্চা সংগ্রহে। কিন্তু নিজ জমির হোল্ডিং নাম্বার ও পর্চা সংগ্রহের পদ্ধতি না জানার কারনে কাঙ্খিত সেবাটি পাচ্ছিলেন না । অফিস কর্মকর্তাও ব্যস্ত নিজ কাজে । ওদিকে সময়মত কৃষি লোণের আবেদন করতে না পারলে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে লোণের টাকা । ব্যাংক লোণের আবেদন করতে হলে আজকের মধ্যেই সংগ্রহ করতে হবে জমির দাখিলা ও পর্চা। কি করবে বুঝতে না পেরে ঘোরাঘুরি করছিলেন অফিসের আশেপাশে ।
অপরদিকে সকাল থেকেই আলী হোসেনের উপর চোখ রাখছিলেন এক সচেতন নাগরিক সাংবাদিক। সেবাটি না পেয়ে মলিন মুখে আলী হোসেন যখন বাড়ির পথে ,এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন সেই নাগরিক সাংবাদিক জানতে চান তার কাজটি হয়েছে কিনা ? আলী হোসেন থেকে বিস্তারিত শুনে নাগরিক সাংবাদিক রাজিবুর রহমান ঘটনাটি নিয়ে লিখেন বরগুনা জেলা প্রশাসন ও নাগরিকদের সমন্বয়ে পরিচালিত ফেসবুক গ্রুপ Citizen’s voice-Barguna তে ( Click This Link ) । সাথে সাথেই ফলাফল। এ যেন ম্যাজিক! রাজিবুরের পোস্টে নানা প্রান্ত থেকে সিটিজেন জার্নালিস্টরা মন্তব্য করতে শুরু করে ।বরগুনার মাননীয় জেলা প্রশাসক ডঃ মুহাঃ বশিরুল আলম লেখাটি গ্রুপে পোস্ট করার সাথে সাথেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তালতলি – কে অবহিত করেন । আলী হোসেনকে সেবাটি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তালতলি উপজেলা অফিসার গ্রুপের পোস্টে কমেন্টে আপডেট দিয়ে অবহিত করেন সবাইকে।আমিও চোখ রাখছিলাম গ্রুপে আসলে হচ্ছেটা কি? একটু পর পরই আপডেট দিচ্ছেন ইউএনও,পোস্টকারি,দেখলাম চোখ রাখছেন ডিসি,এডিসি সহ প্রশাসনের কর্তারা। জানতে পারলাম আলী হোসেন সেবাটি পেয়েই হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন।আর আমি অভিভূত !
ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব কোন স্বপ্ন নয় । এটাই তার উদাহরন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসন যদি এমনি করে সাধারন নাগরিকদের জন্য কাজ করে তবে উন্নত দেশ হতে আর বেশি সময় লাগবে না।
ধন্যবাদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এ অগ্রযাত্রাকে ।
©somewhere in net ltd.