নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে প্রকাশ করার জন্য ব্লগ অন্যতম উত্তম মাধ্যম

সাখাওয়াত হোসেন সজিব

আমার জীবনের সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তি আমার আম্মু । শুধু তাঁর কথার অবাধ্য আমি কখনো হই না । সবার সাথে বন্ধুত্ব করি না । ।কারণ যে সবার বন্ধু সে কারোই বন্ধু না । খেতে খুব একটা পছন্দ করি না । সবাই যে নিয়ম অনুসরণ করে শুধু সেই নিয়ম পালন করতে ভাল লাগে না । রাজনীতির প্রতি আগ্রহ কম । মানুষকে সাহায্য করতে ভাল লাগে । মানুষকে হাসাতে পছন্দ করি । দুনিয়ার অনেক ব্যক্তি ই আমাকে অনুপ্রাণিত করে । তবে জীবিত ব্যক্তির মধ্যে বিল গেটস আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা দেয়। সমালোচকদের খুব পছন্দ করি । কারণ সমালোচকের সমালোচনা একজন মানব কে যেই পরিমান উৎসাহ দিতে পারে পৃথিবীর কোন বস্তুই তা পারে না । অবসর সময় কাটে একেক দিন একেক ভাবে ।

সাখাওয়াত হোসেন সজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেবদাস + পারু = দেবদারু

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া আমার এক ছাত্রী আছে । পড়ালেখায় ভাল , স্বভাবে খুব ভাল ।
গত তিন দিন ধরে সে যখন আমার কাছে পড়তে আসে লজ্জা পেয়ে বসে । পড়াতে গেলেই অস্বস্তি বোধ করে পড়া গিলে । এইরকম অবস্থা দেখে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম – “কি হয়েছে ? তুমি এমন আচরণ করছো কেন?”
সে একটু টাইম নিয়ে জবাব দিল –“ স্যার, ২ দিন আগে যে ঘটনা টা ঘটেছে সেটা এখনো মনে পড়ছে।“
ওহ আচ্ছা আপনারা তো জানেন না ২ দিন আগের ঘটনা ।
‘ আমি তাকে শাখান্বিত কান্ডের শ্রেনী বিভাগ পড়িয়েছিলাম । এর মধ্যে একটি ছিল – “মঠ আকৃতি : কো্নো কোনো গাছে প্রধান কান্ডটি থেকে এমনভাবে শাখা প্রশাখা সৃষ্টি হয় যে পূর্ণাঙ্গ কান্ডটিকে মঠের ন্যায় দেখায় । উদাহরণঃ দেবদারু ।“ পরের দিন যখন মঠ আকৃতির কান্ডের উদাহরণ জিজ্ঞেস করলাম । সে জবাব দিলো “দেবদাস” । তারপর সে লজ্জা পেয়ে আর আমার চোখে চোখ রাখতে পারে না । এই কম বয়সেই সে দেবদাস সিনেমা দেখে ফেলেছে হয়ত এই কারণেই তার এত লজ্জা । অথবা এত সহজ পড়াটা সে পাড়ে নি – এই কারণেও লজ্জা পেতে পাড়ে ।‘


(একটি দেবদাস গাছ)


আমার স্পষ্ট মনে আছে । ক্লাস ফোরে আমি একটা যোগ অঙ্কে ভুল উত্তর দিয়েছিলাম । আমার উত্তর শুনে পুরো ক্লাস হেসে দিয়েছিল । এরপর লজ্জায় তিন দিন স্কুলে যাই নি । এখন ভার্সিটিতে পড়ছি । অথচ এখন পড়া না পারলে উলটা গর্ববোধ হয় । পড়া পারাটাই অবশ্য এখন অপমানের ( সত্যিকার অর্থে নয় )। পড়া পারলে খারাপ ছাত্ররা আঁতেল উপাধি দিয়ে দেয় । পড়ালেখা না করাটাই এখন স্বস্তির ।
তো এই অবস্থায় আমি আমার ছাত্রীকে খুব ভালভাবে বুঝিয়ে বললাম যে – “চিন্তা করো না । সব ঠিক হয়ে যাবে । ২-১ বার পড়া না পাড়াটা খুব অন্যায় না । সে আমার দিকে ভরসা নিয়েই তাকালো । আমি তার চোখে বিশ্বাসের চাহনিই দেখতে পেলাম ।
আঁতেল আর স্মার্ট ছাত্রের তুলনা টা আর তার কাছে বললাম না । কারণ আঁতেল হতে পারাটাই অনেক লাভের । রেজাল্ট ভাল থাকলে কোন ক্ষতি নাই । রেজাল্ট খারাপ হওয়াটাই ক্ষতিকর হতে পারে । রেজাল্ট ভাল করতে গিয়ে যদি কিছু জ্ঞান অর্জন হয়েই যায় ক্ষতি কি ? আর কেউ কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর না দিতে পারাটা গর্বের কিছু না । আমার ছাত্রীর লজ্জা পাওয়াটা আমার কাছে যথাযোগ্যই মনে হচ্ছে ।
( আমার সি-জি-পিএ খারাপ । তাই রেজাল্ট টা কে এত বড় করে দেখি )।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :)

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

শায়মা বলেছেন: দেবদাস + পারু = দেবদারু

হা হা হা

খুবই ইনটেলিজেন্ট আনসার ভাইয়া!!!!!:)

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

সরদার হারুন বলেছেন: ঘরের কথা পরের কাছে বলে কি লাভ আপনার ?


+++++++++++++++

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

সাখাওয়াত হোসেন সজিব বলেছেন: যেখানে ক্ষতি নেই নিশ্চিত সেখানে লাভের কথা টা চিন্তা না করলেও হয় :)

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: দেবদাস + পারু = দেবদারু [/sb


বলার কিছু নাই

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সি জি পি এ :||
ভাই ইমোশনাল করে দিলেন।


আর কইয়েন না। এসব কথা কইতে হয় না। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.