![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচণ্ড রাগ নিয়ে ঠিক ২০ ঘণ্টা আগে ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলা। যার সারমর্ম ছিল অনেকটা এমন; “ঘুষ খোর, দুর্নীতিবাজ, দালালদের কেন সন্ত্রাসীদের মত ক্রস ফায়ারে মারা হয়না”। যদিও সভ্য মানুষ হিসেবে বিচার বহির্ভূত হত্যা আমরা কখনই মেনে নিতে পারিনা। তারপরেও যদি এমনটা হত তাহলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান এর মত মানুষ গুলো একজন মুক্তিযোদ্ধার গলা ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেবার সাহস পেত না কখনই।
আইয়ুব খান একজন ৬২ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা ( চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার) আজ রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি আবাসিক হোটেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই কক্ষ থেকে পুলিশ চার পাতার একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে যাতে আত্মহত্যায় বাধ্য হবার কারণও উল্লেখ করে গেছেন তিনি।
চিরকুটে লেখা রয়েছে- “চট্টগ্রাম দক্ষিণ ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ঘোষণা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নানকে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়ার পরও তিনি ইউনিট কমাণ্ড ঘোষণা করেননি। সচিবকে দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে তার বাসায় গেলে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে অপমান করে বের করে দেওয়ায় আত্মহত্যা করলাম।”
সচিব এম এ হান্নান এ গলা ধাক্কা কাকে দিলেন? একজন শেখ মুজিব, একটি মুক্তি যুদ্ধ, একজন মুক্তি যোদ্ধা সবাই যদি সমান হয়ে থাকে আমাদের এই স্বাধীন দেশে, তাহলে একজন মুক্তি যোদ্ধা আইয়ুব খানের গলা ধাক্কা কি একজন মহান নেতা, একজন জাতির জনক ও একটি দেশের মুক্তি যুদ্ধ, দেশের সকল মুক্তি যোদ্ধার গলায় ধাক্কা নয়? অবশ্যই এই গলা ধাক্কা তিনি মুজিব কে দিয়েছেন, মুক্তি যুদ্ধকে দিয়েছেন, দিয়েছেন একটি স্বাধীন বাংলাদেশকে। বর্তমান সরকার মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের সরকার। এ সরকারের প্রধান মুক্তি যুদ্ধের প্রধান নেতা শেখ মুজিবের সন্তান। যে স্বাধীন দেশের মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে বসে এম এ হান্নানের মত মানুষ গুলো ক্ষমতা দেখাচ্ছেন, কাজ করে দেবার জন্য ঘুষ গ্রহন করছেন, সেই দেশ যে আইয়ুব খানের মত মুক্তি যোদ্ধাদেরই দান তা বুঝিয়ে দেবার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ সকল ব্যবস্থা সরকার গ্রহন করবে এটাই কাম্য।
একজন মুক্তি যোদ্ধা, যে কিনা যুদ্ধে গিয়েছিলেন হয় মারবেন নয়তো মরে যাবেন বলেই ধারনা নিয়ে। সেই যোদ্ধা যখন কোন কাজ করিয়ে নেবার জন্য ঘুষ দেন বা ঘুষ দিতে বাধ্য হন তখন ভাবনা গুলো ঘোলাটে হয়ে যায়। আমরা নীতি নীতি করে মরে গেলেও নীতি ধরে রাখার শেষ সুযোগ টুকুও যেন গলা ধাক্কার সাথে সাথে রাস্তায় পরে যায়। তখন অধার কালো অন্ধকারে একজন মুক্তি যোদ্ধাকে সবাইকে ফাকি দিয়ে আত্মহত্যা করতে হয় দূরের কোন হোটেল রুমে। একজন সচিবের গলা ধক্কার লজ্জায় মরার থেকে যুদ্ধে শহিদ হওয়া যে সম্মানের ছিল আইয়ুব খানের জন্য। এক জন মুক্তি যোদ্ধা আইয়ুব খানের সেই সম্মানটাই ফেরত চাইছি।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সজীববুরী ,
ছাসা ডোনার এর সাথে সহমত ।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
লেখোয়াড়. বলেছেন:
ব্যাপার না।
যে দেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা ক্ষমতায় যায় সে দেশে এমন অনেক কিছুই ঘটবে।
অনেক আগেই আমরা জাতির জনককে ধাক্কা দিয়েছি, এখতো তো শুধু দেখার পালা।
ছি ছি ছি.................
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪২
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: মুকিযোদ্ধা আর মুক্তিযুদ্ধ সবি ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার মাত্র। বাস্তবতা এভাবে আত্মহ্ত্যার পথ বেছে নিবে আসতে আসতে
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
ছাসা ডোনার বলেছেন: সত্যি খুব দু:খজনক ঘটনা! কুত্তার বাচ্চা সচিব এম এ হান্নানকে গলায় দড়ি দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়ে জনগনকে দেখানো উচিত। আর বেত দিয়ে পিটিয়ে শরীরের চামড়া তুলে ফেলার প্রয়োজন।মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী আপনি যদি আপনার বাবাকে সন্মান করেন তাহলে এই জানুয়ারের বিচার করেন, তবেই আপনি যে জনগনের কথা বলেন তাদের সমর্থ্য পাবেন।