![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গরু নিয়ে ভারতের বর্তমান সরকারের কিছু নেতার বক্তব্য এই রকম যে, গো হত্যা একটি হিন্দু নারীকে ধর্ষণ অথবা একটি মন্দির ভাঙ্গার সমান। (সুত্রঃ কালেরকন্ঠ ১১/৮/১৫, শিল্পবাণিজ্য পাতা) কিন্তু এত কিছুর পরেও এই ২০১৫ সালে ভারত গোমাংস রপ্তানিতে পৃথিবীর শীর্ষ দেশে পরিণত হয়েছে। তাই মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি ভারত বাসী নিজেরাই নিজের দেশের নারীদের ধর্ষণ করছেন, নিজেদের মন্দির ভাঙ্গছেন এবং সেটা বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য সকল দেশের সাথে মিলে যেখানে তারা গোমাংস রপ্তানি করেন? যদি এমনটাই হয়, তাহলে বাংলাদেশকেও সে সুযোগ দেওয়া হোক। যারা ভারতকে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র বলেন তাদের জন্য মায়া হয়। ভারতের এমন হীন রাজনীতিতে ঘৃণা জানাই। আর এই ঘৃণা থেকেই আহব্বান জানাই যে পোলট্রি, ডিম, মাছের মতই বাংলাদেশ গরুর পালনে আগ্রহী হোক এবং গরুর চাহিদা দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই মেটাতে সক্ষম হোক।
সাময়িক ভাবে বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা সমস্যায় পরতেই পারে। তবে এই সমস্যাই হতে পারে বাংলাদেশের শক্তি। ফলে এ দেশেই শুরু হবে নতুন করে গরু পালন। উৎপাদিত হবে দুধ। যোগান বাড়বে গোমাংসের। আমাদের সাময়িক আসুবিধায় আমরা ঘুরে দাড়াতে পারবো যার নজির ঐ পোলট্রি, ডিম উৎপাদন, মাছ চাষে ঘুরে দাঁড়ানো। আমার এটা ভেবে ভাল লাগে যে, শুধু মাত্র বৈধ অবৈধ পথে গরু আমদানিতে বাংলাদেশ প্রায় ৩৫০০০ কোটি টাকা খরচ করে থাকে। যার সম্পূর্ণটাই ভারতের অর্থনীতিতে শক্তি যোগাত। সেই অর্থ এখন বাংলাদেশেই থেকে যাচ্ছে। বরং যে গরু গুলো পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতের মানুষ বিক্রি করতে পারছেনা সেগুলো এখন তাদের অর্থনীতির বোঝা হয়ে যাচ্ছে। কারন এই গরু গুলোকে তো লালন পালনে অর্থ খরচ হতেই থাকবে।
এভাবে শুধু মাত্র গরু না, পিয়াজ থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল পণ্য নিয়ে ভারত বাংলাদেশের বাজার অস্থির করে রাখতে চায় বা অস্থির করে রাখে, তার প্রতিটায় বাংলাদেশের এভাবে সক্ষমতা অর্জন এক দিকে যেমন নিজের দেশের টাকা নিজের দেশেই রাখতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে ভারতের রাজনৈতিক প্রভাবও কমিয়ে দেবে। ভারতকে অন্তত একটি বিষয় শক্ত করে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে তার পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা গড়েই ওঠে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে। যেহেতু আমরা অর্থ ব্যয় করে পণ্য ক্রয় করি তাই প্রয়োজনে সেই অর্থে অন্য কোন উৎস থেকে আমরা পণ্য আমদানি করে নিতেই পারি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের যে ব্যবসা গুলো বাংলাদেশের বাজারকে কেন্দ্র করে চলছে, তারা সেই পণ্য আমাদের কাছে বিক্রি করতে না পারলে গঙ্গায় ফেলা ছাড়া তাদের আর নতুন বাজার নেই। যদিও বিষয়টা একদিনের নয় বা খুব সহজ নয়। অনেকেই হয়তো হেসে ফেলতে পারে এমন স্বপ্ন দেখায়, কিন্তু স্বপ্ন বড় না দেখলে বড় কিছু যে অর্জন হয়না। তাই এমনটা হলে দেশের স্বার্থে সাময়িক যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আমরা প্রস্তুত থাকবো বলেই আমার বিশ্বাস।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১২
বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ''গরু গুলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিক্রি করতে পারছেনা সেগুলো এখন তাদের অর্থনীতির বোঝা হয়ে যাচ্ছে। কারন এই গরু গুলোকে তো লালন পালনে অর্থ খরচ হতেই থাকবে।''
ভাই আপনাকে কে বললো এমন কথা। বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত্গরুর বেশির ভাগ আসে ওড়িষা & jarkhand থেকে। ভাই westbengal এ কি গরুর factory আছে? সেখানকার লোকরাই গোঁ মাংসের মাত্রারিক্ত দামের জন্য নাভিশাস হয়ে যাচ্ছে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
সজীববুরী বলেছেন: ভাই সারা ভারত থেকে গরু পশ্চিমবঙ্গ হয়েই বাংলাদেশে ঢুকে থাকে, আর পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে গরু জবেহ বন্ধ থাকার কারনে গোমাংসের মাত্রা অতিরিক্ত দাম। এর মানে এই নয় যে সে দেশেও গরু নাই।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: হুম...
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
হোৎকা বলেছেন: শালার খবিস জাত।গোস্ত খায় না,গোমূত্র পান করে।গোমাংসে অরুচি,নারীমাংসে লোল ঝরে।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
ছাসা ডোনার বলেছেন: আসলেই খুব ভাল লাগলো আপনার ধ্যান ধারনাটা। আমরা যদি চাই অবশ্যই গরু মহিষ ছাগল পেয়াজ রশুন সব কিছুতেই স্বয়ংসম্পুর্ন হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।সরকার থেকে একটু সাহায্যের হাত বাড়ালেই সাধারন গরীব কৃষকগুলি এইসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর উৎপাদন বাড়াতে সাহস পাবে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
রানার ব্লগ বলেছেন: কোরাবানীর আগে গরুর দাম বৃদ্ধি নিয়া আলোচনা !! চিনাতায় আছি।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
েজসমিন ০০৭ বলেছেন: Topic tar sathe pic tar kono relation khuje pelam na. naki at India's kono goru
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০২
নৈশ শিকারী বলেছেন: সহমত