নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরন করা নয়।

সজীববুরী

স্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরন করা নয়।

সজীববুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোংরা জলে ডুব

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

ঘোলা জলে মাছ শিকার বলতে একটি কথা আমরা প্রায় শুনে থাকি। এ ঘোলা জল মাঝে মাঝে নোংরা জলেও রূপান্তরিত হয়। ফারুকীর যৌথ প্রযোজনার ছবি “ডুব” যেন এখন সেই নোংরা ঘোলা জলের ডুবে পরিণত হয়েছে।



প্রথমত ফারুকীর ভাষ্যমতে এটা হুমায়ুন আহমেদের জীবনী নিয়ে কোন ছবি নয়। এর পক্ষে ছাফাই গাইতে গিয়ে ফারুকীকে কোন এক টিভি চ্যানেলে বলতে শুনলাম ছবিটির কেন্দ্রিয় চরিত্রের নাম জাবেদ না কি যেন। এখানে “হুমায়ুন আহমেদ” নামের কোন চরিত্রই নাকি নেই। এমন বক্তব্য শোনার পরে মনে হল তিনি ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী নিজের নামে ছাপিয়ে বলতেই পারেন এখানে লেখকের নাম তো ফারুকী! এটা রবীন্দ্রনাথের হয় কি করে? যেমনটা শোনা কথায় জানা যায় যে ডুব ছবির সকল চরিত্র হুমায়ুন আহমেদের জীবনের প্রতিটা চরিত্রের সাথে মিলে যায়। তাই ফারুকীর মত একজন পরিচালক যখন শুধু মাত্র নামের দোহাই দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ এবং তার জীবনীকে বিভক্ত করে ফেলেন তখন সেটা নোংরা জলের ডুব বলেই মনে হয়।

টিভি বক্তব্যর এক পর্যায়ে ফারুকিকে বলতে শুনলাম মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করা টাইপের কিছু বলতে। মনে হল ইচ্ছাকৃত ভাবেই পরিষ্কার পানিতে নোংরা ঢালার চেষ্টা করলেন। অন্যদিকে লেখকের স্ত্রী শাওন নানা জনের শোনা কথায় ব্যাক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা নষ্টসহ নানান অভিযোগ তুলেছেন। প্রয়াত লেখক তার মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন বিষয়টা খুব সম্ভবত দেশের মানুষ ভালো ভাবেই জানেন। আর যে বিষয়টা সারা দেশের মানুষ জানেন সেটা ব্যাক্তিগত জীবনের ঠিক কতটা গোপনীয়তা সেটা আবার নতুন করেই আমাদের শেখা উচিৎ শাওনের কাছ থেকে। লেখকের সাথে তার বিয়ে সংক্রান্ত ঘটনাটি যদি লজ্জার হয় তাহলে প্রশ্ন চলেই আসে যে, তিনি লজ্জার কাজটি করতে পারলে সেটা নিয়ে অন্য কেও কাজে লাগাতে পারবেন না এ আবার কেমন ঘোলা জল!

লেখক হুমায়ুন আহমেদ এ দেশের। তাকে নিয়ে যে কোন কাজেই যদি তার ব্যাক্তি জীবনের তথ্য জড়িত হয় তাহলে সে তথ্যর সাথে শাওনের নাম এমনিতেই চলে আসবে। আর লেখক হুমায়ুন আহমেদের জীবনে শাওন যে কোন সুখকর অধ্যায় নয় তাই শাওন নামটির সাথে ভবিষ্যতেও চটকদার উপস্থাপনা চলে আসতেই পারে এমন বিষয়টা যে শাওন বোঝেন না তা মানতে কষ্ট হয়। বরং মনে হতেই পারে সম্পূর্ণ সিনেমার বাহিরে বসেই শাওন ঘোলা জলে ডুব দিয়ে সিনেমার একটি অংশ হয়ে আছেন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা বাঙালীরা শালা কাউকে কোন কাজতো করতে দিবই না, উঠতেও দিবনা

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: আমি বেশ উপভোগ করছি। ছোটবেলায় একটা প্রবাদ শুনেছিলাম - গু পড়ে থাকলে শুকিয়ে যায়, ঘাঁটতে গেলে গন্ধ ছড়ায়, আর বাড়ি দিলে গায়ে ছিটে আসে। শাওনের অবস্থা হয়েছে সেরকম। আমার মনে হয় হুমায়ুন আহমেদের আগের ফ্যামিলিও ব্যাপারটা আমার মতই উপভোগ করছে।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: আমি একটা সিনেমা বানাতে চাই। নাম দিব--- বিলুপ্তপ্রায় অভিনেত্রীর অভিনয়। এটা বানাতে কার কার কাছে অনুমতি নিতে হবে জানা নাই।

অনেককেই বলতে শুনি জাস্ট বিতর্ক সৃষ্টি করে শাওন-ফারুকী দুজনেই মজা নিচ্ছে। বিতর্কীত জিনিসইতো পাবলিক বেশি খায়।

শাওনের সংবাদ সম্লেলন ওনার এক্সপ্রেশান দেখলে মনে হয় হেতি না জানি কি হয়ে গেছে। আবার কার নামে নাকি মামলা দিয়ে ফেলছে।

মনে হয় অনলি হেপি-রুবেল, সানি-নাসরিনরাই রিয়েল..........

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের জীবনে শাওন সুখকর অধ্যায় নয় আপনাকে কে বলেছে? হুমায়ুন আহমেদ যথেষ্ট সুখী ছিলেন শাওনকে নিয়ে। ২ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শাওনের সাথে দেশ বিদেশে ঘুরেছেন। শাওনের প্রশংসা করে পত্রিকায় লিখেছেন। হুদাই বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ শাওনকে ঘৃণা করে। হুমায়ুন আহমেদ যিনি কিনা নিজের স্ত্রী, সন্তানদের ব্যপারে খোলামেলা সমালোচনা করেছেন অথচ তিনি শাওনকে নিয়ে কোন সমালোচনাই করেননি। আমরা হুমায়ুন কে ভালোবাসি আবার গুলতেকিনকেও ভালোবাসি। অথচ গুলতেকিন-এর সাথে উনার সম্পর্ক শেষের দিকে ভালো ছিল না। এমনকি মৃত্যুর সময় আমেরিকা থাকার পরও গুলতেকিন হুমায়ুন আহমেদকে দেখতে যাননি। এসব ফ্যাক্ট।
আরেকটা ব্যপার শাওন অনেক আগেই পরিস্কার করেছিলো তৃতীয় মাত্রায়, শীলা কখনোই তার বান্ধবাী ছিল না। শীলা ছিল জুনিয়র এবং স্কুল ছিল ভিন্ন। নাটকে সহ অভিনেত্রী আর মেয়ের বান্ধবী - এক কথা নয়। আমরা এসবে মজা পাই। তাই সাংবাদিকরাও আমাদের গেলায়...

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দ্বিতীয় বিবাহ কইরা হুমায়ুন কোনো গোনাহ করে নাই।বরং অন্যদের মতো ইটিশ পিটিশ না কইরা বিবাহ কইরা প্রশংসাযোগ্য কাজ করছে।ছবি মুক্তির আগে বিতর্ক হইলে ছবি হিট হয়। বলিউডের মতো এখানেও এইটা শুরু হইলো কিনা চিন্তার বিষয়।শাওন হুমায়ূনের বিয়ে করা বিবি।তার জীবনী নিয়ে ছবি করলে অবস্যই পরিবারের অনুমতি নেওয়াই উচিত।না করলে বিরাট বদ কাম হইছে।পরিচালক নিজের জীবন নিয়ে ছবি করলেও কম হইতোনা ! আমরা অনেক অপ্রকাশিত ইটিশ পিটিশের খবর পাইতাম !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.