নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Fahim Ahasan Al Rashid, MBBS

আমি সাজিদ

Dr Fahim Ahasan Al Rashid blog

আমি সাজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিচার- মাদকাসক্তি কি ফ্যাশন?

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮


যুগে যুগে মাদকাসক্তির পেছনের কারণগুলো জটিল ও বহুমুখী। আমরা যদি একটু পেছনের ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি, দেখতে পাই, ১৯৬০ সালে পশ্চিমা সমাজে তরুণদের মধ্যে কাউন্টার-কালচার আন্দোলন খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এটি ছিল মূলত তৎকালীন সময়ে প্রচলিত সমাজ ও সংস্কৃতি বিরোধী একটি আন্দোলন। এই আন্দোলনে প্রচলিত মূল্যবোধের বিপরীতে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে দাঁড় করানো হয়েছিল। সেসময়ের তরুণদের একটি অংশ সামাজিক স্তর-ভাগ, রাষ্ট্র,ধর্ম ও পরিবারের সংজ্ঞায়নকে তখন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। লিঙ্গভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ, সেসময়ের মানবাধিকার ও বিচারব্যবস্থাকে অস্বীকার করার পাশাপাশি ভিন্ন বাস্তবতা ও অনুভূতিকে প্রত্যক্ষ করার নিমিত্তে, মারিজুয়ানা ও এলএসডির মতন নানা ধরনের মাদকেও তখনকার তরুণরা আসক্ত হয়ে পড়ে। মাদক মানুষকে আত্ম উপলব্ধি ও সচেতন করতে সাহায্য করে এমন একটি বিশ্বাস একাংশের মধ্যে প্রচলিত ছিল। ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালে সমাজ ও সংস্কৃতিকে আমরা ব্যক্তি কেন্দ্রিক, বস্তুবাদী ও পুঁজিবাদী হিসেবে বর্ণনা করতে পারি। এই সময়ে মাদকদ্রব্য কোকেন হিরোইন প্রায় সারা পৃথিবীতে সহজলভ্য হয়ে পড়ে। নিজের স্বাধীনতাকে প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে এ সময় মাদকের ওপর অনেক তরুণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। আবার ২০০০ ও ২০১০ সালের বিশ্ব ও সমাজ ব্যবস্থায় যদি আমরা মাদকাসক্তির কারণ খুঁজতে যাই, তাহলে মানসিক চাপ উদ্বেগ ও অন্য আবেগ জনিত সমস্যা গুলোকে সামনে আনা যায়। একই সাথে প্রচলিত মাধ্যমগুলোতে মাদককে যেভাবে চিত্রায়ন করা হয়, যেমন- গান, সিনেমা, টিভি শো, তার ভূমিকা চোখে পড়ে। প্রেসক্রিপশন থেরাপিউটিক ড্রাগের অপব্যবহার এবং মাদকের সহজলভ্যটাকেও আমরা অনেকাংশে দায়ী করতে পারি। উপরের উদাহরণগুলো থেকে আমরা কিছুটা ধারনা পাই যে, সময়ের সাথে সাথে সমাজের নানাবিধ বিবর্তন নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাদককে অনেক সময় সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করেছে। কিছু বিপথগামীরা সমাজের এই বিবর্তনগুলোর বাঁকে মাদকগ্রহনকে ফ্যাশন হিসেবে নিয়েছে। মাদকাসক্তি নিয়ে আবার এটি বলাও যথার্থ নয় যে, সব মাদকসেবী ভাবেন, মাদক গ্রহণ একটি ট্রেন্ড। একজন ব্যক্তির আসক্তির পেছনে অনেকগুলো কারণই থাকতে পারে। সামাজিক সংঘের সাথে নিজেকে মানানসই করার অভিপ্রায়, মিডিয়া ও জনপ্রিয় ভিন্ন-ধারার সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হওয়া ছাড়াও, মানসিক ও আবেগীয় চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য, শৈশবের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিকে ভুলতে এবং আত্মসচেতনতার অভাবকেও মাদকাসক্তির পেছনের কারণ হিসেবে বলা যায়। গোটা পৃথিবীর পরিসংখ্যান দিকে তাকালে আমরা দেখি, অতীতে পরিবারের কারও মাদক গ্রহণের ইতিহাস যাকে ফ্যামিলি হিস্ট্রি বলে সেটা ৪০-৬০% ক্ষেত্রেই মাদকাসক্তির জন্য দায়ী। অতীতের যেকোনো শারীরিক এবং মানসিক ট্রমা ২৫-৪০% ক্ষেত্রে দায়ী, পরিবেশ ও নানাবিধ মানসিক রোগ ১৫-২০% ক্ষেত্রে একজন মানুষকে মাদকাসক্ত করে তুলতে পারে। শুধু মাত্র ৫-১০% ক্ষেত্রেই তরুণদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়া প্রবণতা, সঙ্গদোষ মাদকাসক্তির পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করে। আবার বাংলাদেশের আর্থ- সমাজিক পরিপ্রেক্ষিতে ১৫-৩০ বছর বয়সী কিশোর ও তরুনদের মধ্যে মাদক গ্রহনের হার বেশী। এখানে একজন মাদকাসক্তের গড় বয়স ২২ বছর। জার্নাল অব হেলথ, পপুলেশন এন্ড নিউট্রিশন মতে, দেশে ৬৫% মাদকসেবী অবিবাহিত, ৫৬% ছাত্র অথবা বেকার, ৯৫% ধূমপায়ী, ৮৫% সঙ্গদোষেই মাদক গ্রহন শুরু করে।

আমরা যদি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মাদকাসক্তিকে বিশ্লেষণ করতে যাই, দেখি, মাদক গ্রহণ মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সেন্টারকে সক্রিয় করে। রিওয়ার্ড সেন্টার আনন্দ,উৎসাহ ও শিখন প্রক্রিয়ার সাথে দায়ী। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউরো-সায়েন্স একটি স্টাডিতে বলে, মাদকের চাহিদা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য করা আচরণ দিয়ে সৃষ্টি হয়, যেমন একজন ব্যক্তি মাদক নেন এবং এর ফলে সাময়িক অতি আনন্দ উপভোগ করেন। এটি এক ধরনের অ্যাসোসিয়েটিভ লার্নিং। যার মানে, একটি নতুন উদ্দীপনার উপর ভিত্তি করে কিছু করতে শেখা। মাদক গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের দ্রুত ক্ষরণ ও বৃদ্ধি হয়, এটি মাদক গ্রহণকারীকে সাময়িক আনন্দ ও তীব্র উচ্ছ্বাস দেয়। একই সাথে এটিও মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সেন্টারকে সক্রিয় করে যা পরবর্তীতে আবার মাদক গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে। ক্রমাগত মাদক ব্যবহারের ফলে মাদকের উপাদানের প্রতি টলারেন্স তৈরি হয়। টলারেন্সের জন্য পূর্বের মতো মাদক গ্রহণ পরবর্তী আনন্দ ও তীব্র উচ্ছ্বাস বা ইউফোরিয়া পেতে মাদকের পরিমাণ /ডোজ বাড়াতে হয়। এভাবে ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে এক পর্যায়ে মাদক গ্রহণ অভ্যাসে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন মাদক ব্যবহারকারীদের ডোপামিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের যেসব জায়গা ডোপামিনের মাধ্যমে সক্রিয় থাকে ও তথ্য আদান প্রদান করে সেই জায়গাগুলো এবং মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন হয়। দেখা যায় প্রি-ফন্ট্রাল কর্টেক্স যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী, ক্রমাগত মাদক গ্রহণের ফলে তা সঠিকভাবে কাজ করে না। মস্তিষ্কের এমিগডালা যা আবেগীয় প্রক্রিয়া,চাপ ও উদ্বেগ অনুভূতির সাথে জড়িত, ক্রমাগত মাদক গ্রহণের ফলে সেটিও সঠিকভাবে কাজ করে না। নিয়মিত মাদক গ্রহণ এমিগডালার ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, যা পুনরায় মাদক গ্রহণের ইচ্ছাকে উৎসাহিত করে। এছাড়া হিপ্পোক্যাম্পাস যা স্মৃতি তৈরি ও শিখন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত তা মাদক গ্রহণ সংক্রান্ত স্মৃতিগুলোকে তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। ক্রমাগত মাদক গ্রহণ মস্তিষ্কের ব্যাসালগ্যাংলিয়াকে অতি সক্রিয় করে। ব্যাসালগ্যাংলিয়ার অতি সক্রিয়তা মাদক গ্রহণকে একটি অভ্যাসে পরিণত করে। যে মাদক গ্রহণ শুরু হয় কৌতূহল ও মানসিক চাপ দূর করার চেষ্টার উপাদান হিসেবে, তা শেষ পর্যন্ত মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয় যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া একসময় দুরুহ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে পূর্ব থেকে প্রচলিত মারিজুয়ানা, হেরোইন, ফেন্সিডিলের সাথে সাথে বিগত দশকে মেথএম্ফেটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রনে তৈরী ইয়াবা নামের একটি মাদকও সহজলভ্য হয়েছে। এর মধ্যে ইয়াবার উত্থানে আমরা দেখি, অপেক্ষাকৃত তীব্র স্টিমুলেন্ট হিসেবে মস্তিষ্কে ইয়াবার প্রভাবকে যা শুরুতে কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর উপায় ভেবেই অনেকে গ্রহন করে। অপেক্ষাকৃত তরুন ও কর্মজীবীদের মাঝে পিয়ার প্রেশার, মেথএম্ফেটামিনের প্রভাবে ক্লান্তিহীনভাবে অবিরাম কাজ করার ক্ষমতা, এই উপাদানগুলোই ইয়াবাকে কম সময়ে পরিচিত করেছিল। একই সাথে মাদক পাচারের রুট হিসেবে প্রতিবেশী দেশগুলো ও বাংলাদেশের অবস্থানকেও বিবেচনায় আনা যায়।

মাদক গ্রহণ শরীরের স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী নানা সমস্যা করতে পারে। যেমন- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া, সাইকোসিস, উদ্বেগ জনিত সমস্যা, নিদ্রাহীনতা, অস্থিরতা, হতাশা, কর্ম-স্পৃহার অভাব, সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি, সিজোফ্রেনিয়া, হার্ট ডিজিজ, হাই ব্লাড প্রেশার, লিভার ও কিডনি ডিজিজ ইত্যাদি। মাদকাসক্তি আইনগত সমস্যা, অর্থনৈতিক ক্ষতির সাথে সাথে ব্যক্তির সামাজিক ও পেশাগত জীবনকেও দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার সূত্রের মতে, হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ১০ শতাংশের রোগী আসক্তি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বর্হিঃবিভাগগুলো পরিদর্শন করছেন।

ফ্যাশনকে মানুষের আচরণ এবং মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে দেখা যেতে পারে, কারণ এটি আমাদের নিজেদেরকে প্রকাশ করতে, অন্যদের কাছে আমাদের স্বকীয়তা পৌঁছাতে এবং আমাদের মানসিক অবস্থা এবং আত্ম-ধারণাকে প্রভাবিত করে। অন্যদিকে মাদকাসক্তির অনুঘটকগুলোর মধ্য থেকে ফ্যাশনের উপকরণ হিসেবে আচরণ, দক্ষতা, পোশাক, জ্ঞানকে বাদ দিয়ে মাদককে বেছে নেওয়াটি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অন্যতম প্রধান একটি অনুঘটক। মাদকের দীর্ঘমেয়াদী কুফলগুলো ফ্যাশনের মূলভাব- যা মানুষকে পরিপূর্ণ বিকশিত হতে সাহায্য করে, তা কখনোই ধারণ করতে পারেনা। এ জন্যই থেরাপিস্ট ডোনাল্ড লিন ফ্রস্ট বলেছেন “Drugs take you to hell disguised as heaven.”

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

তানভীর_আহম্মেদ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ। কেমন আছেন?

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



ফ্যাশনের উপকরণ হিসেবে আচরণ, দক্ষতা, পোশাক, জ্ঞানকে বাদ দিয়ে মাদককে বেছে নেওয়াটি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অন্যতম প্রধান একটি অনুঘটক।

খুবই দুঃখজনক, এতো কিছু থাকতে মাদকে ফ্যাশন :(

আমি ক্লোজলি দুটো কেইস দেখেছি।
একটা রিচ পরিবারের স্পয়েলড কিড।
যতই রিহেব করানো হোক, ঘুরে ফিরে বার বার একই পথে।
পুরোপুরি রিকভার করেনি।

আরেকটা মধ্যবিত্ত পরিবারের টিনএইজে অসৎ সঙ্গের রেজাল্ট।
দীর্ঘদিন সাফার করলেও একটা সময় সম্পূর্ণ রিকভার করেছে।

মাদক যে নেয়, তার সাথে পরিবারও ভুক্তভুগি।
এরা নিজেরাও ভালো থাকে না, পরিবারের কাউকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না।


১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: ইউনিভার্সিটি লেভেলে চোখে দেখা অনেক মানুষের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যেতে দেখেছি মাদকের কারনে। ফ্যাশনের জন্য মাদকগ্রহন তো আমাদের দেশের এখন ট্রেন্ড। এম্ফেট্যামিন তো আমাদের দেশে এখন গ্রামে গঞ্জেও পাওয়া যায়।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাডভেঞ্চার করার মন মানসিকতা থেকে সিগারেট খাওয়া বা ড্রাগস নেয়া শুরু হয়। পরে এটা অভ্যাসে পরিনত হয়। ড্রাগস খুব কম লোকই ছাড়তে পারে। একই কথা সিগারেটের ক্ষেত্রে। কিন্তু সিগারেটে শারীরিক রোগ হলেও অন্তত মানসিক কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু মাদক মানুষের ব্রেইনে প্রভাব ফেলে এবং অনেকেই পরবর্তীতে মানসিক রোগী হয়ে যায়। ড্রাগস একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।

লেখাটা ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপানাকে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের দেশে অ্যাডভেঞ্চারের মানসিকতা থেকেই বোধহয় মাদক গ্রহণ শুরু করে অনেকে, যা পরে অভ্যাসে পরিণত হয়। সিগারেট ওইভাবে সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব না ফেললেও ভেতরের রক্তনালীতে আস্তে আস্তে প্রদাহ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে যা নানা রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। হৃদয়, মস্তিষ্ক, বৃক্কের নানা রোগের কথা বাদ দিলেও, ফুসফুসের দফারফা করে দেয় এই সিগারেট। সিওপিডি ( তামাক, সিগারেটের কারণে ফুসফুসের রোগ) আক্রান্ত একজন যখন মুমূর্ষু অবস্থায় অক্সিজেনের জন্য খাবি খায়, সে দৃশ্য সহ্য করা খুব কঠিন একটি ব্যাপার। মাদক গ্রহণের কারণে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে। এক বড়ভাই, যার সাথে ইন্টার পড়ার সময় ঢাকায় পরিচয় হয়েছিলো, যে আমাদের টুকটাক ম্যাথ দেখিয়ে দিতো, বেশ ভালো গান গাইত, পরবর্তীতে মাদকের কারণে তার সিজোফ্রেনিয়া হয়। উনার লেটেস্ট আপডেট জেনে আমার খুব খারাপ লেগেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




এখানে একটা বিষয় দেখে অবাক হয়েছি, জানিনা অন্য কোথাও এরকম আছে কিনা, কিছু জায়গা যেখানে লিগ্যালি ড্রাগ নেয়া হয়।
আমার এক ফ্রেন্ড আছে ড্রাগ এন্ড এলকোহল ডিপার্টমেন্টের সাথে ইনভল্ভড, তার সাথে আমিও একবার গিয়েছি ওখানে দেখতে। ড্রাগ নিতে তারা এনকারেজ করেনা কিন্তু ভুলভাবে ড্রাগ নেয়ার কারণে অনেকসময় অনেকে মারাও যায়।
এটা একটা ওয়েলফেয়ার সেন্টার, যেখানে স্টাফরা ওয়েল-ট্রেইন্ড। তাদের কাজ হচ্ছে এডিক্টেড ছেলেমেয়েদের পাশে থেকে মনিটর করা, প্রয়োজনে তাদের হেল্প করা ঠিকভাবে নিতে। সবাইতো আর আসেনা, তবে যারা আসে তারা এই সাপোর্টটা পায়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের দেশেও আছে এমন। আমি অবশ্য জানি না ওদের স্টাফরা কিভাবে অপারেট করে বা সবাই ওয়েল ট্রেইন্ড কিনা। যার মাদক গ্রহণের লং হিস্ট্রি আছে, তাকে হঠাৎ করে মাদক গ্রহণ করতে বাঁধা দিলে তার জন্য হিতে বিপরীতই হবে। মনিটরিং এ রেখে আস্তে আস্তে মাদকের পরিমাণ টেপার করতে হয়। আমাদের দেশে এমন স্ট্যান্ডার্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার থাকাটা জরুরি।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মাদক ফ্যাশনের ডেফিনিশন বদলাতে চাচ্ছে,ভবিষ্যৎ'এ সামাজিকভাবে মাদক গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে,মনে হয়?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫১

আমি সাজিদ বলেছেন: বাংলাদেশের সমাজে কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু পেশাজীবি শ্রেণীর একটা অংশে আগের তুলনায় মাদক গ্রহণের হার বাড়ছে বলে মনেহয়।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: যারা ভাবে মানুষ মন দিয়ে চিন্তা করে মস্তিস্ক না তাদের ক্ষেত্রে ড্রাগ কি ভাবে কাজ করে।তাদের ধারনা মন একটা স্বতন্ত্র সত্তা,যেটাকে আবার দেহ থেকে আলাদা করা যায়।
অনেক কিছু জানা হলো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: মনের সংজ্ঞা বুঝার মতো জ্ঞান এখনও আমার হয়নি। তবে মাদক তো মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার করে, আর মস্তিষ্কের নানা অংশ মানুষের নানা সিদ্ধান্ত গ্রহনের সাথে জড়িত।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



- মাদকের ভয়াবহতা আমি দেখেছি চোখের সামনে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার পরিচিত সেই বড় ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। খুবই ভয়াবহ।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, মাদক ইদানিং একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি , ইদানীং মাদক এক ধরনের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পুরো বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা বাদ নেই, যেখানে মাদক পাওয়া যায় না।
খেয়াল করলে দেখবেন, নারীরা মাদক বিক্রি করে। খিলগা'তে আপন কফি হাউজের সামনে এক মহিলা তার বাচ্চা নিয়ে বসে থাকে। বেলুন আর চা সিগারেট বিক্রি করে। কিন্তু এই মহিলার আসল ব্যবসা হচ্ছে মাদক বিক্রি করা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১২

আমি সাজিদ বলেছেন: আপন কফি হাউজের এক মহিলার গল্প আপনার একটা পোস্টে পড়েছিলাম। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জেলায় মাদক সহজলভ্য এখন।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: শিষা কি ধরনের মাদক, একটি বিস্তারিত জানাবেন কি ? শুনেছি আমাদের দেশের আধুনিক তরুন তরুনীরা শিষা টানে, ভেপিং নেয়। আমরা পুরানা যুগের মানুষ মাদক বলতে খালি হেরোইন, গাঞ্জা বুঝি।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

মিরোরডডল বলেছেন:




ঢাবি, মাদক বলতে যা বোঝায় শিশা ঠিক সেরকম না। অনেকটা সিগারেটের মতো।
Even cigarette is harmful but Shisha is not.

বাংলাদেশের কথা বলতে পারছি না, কিন্তু এখানে এটা হচ্ছে জাস্ট লাইক গ্রামে যেমন বুড়োরা হুক্কা টানে, অনেকটা সেরকম।
লেবানিজ, প্যালেস্টাইন এরকম আরব বা মিডল ইস্টার্ন স্টোরগুলোতে পাওয়া যায়। ভ্যারাইটিজ ফ্লেভারে, যে যেমনটা লাইক করে। ফ্রেন্ডসদের সাথে ফান করে আমি নিজেও দুবার ট্রাই করেছি। নাথিং ব্যাড অর গুড, এভারেজ।

অবশ্য যে কোন কিছুই রেগুলার নিলে ওটা একটা হ্যাবিট অথবা নেশায় পরিনত হয়, যেমন চা, পান মশলা এগুলোও আসক্তি কিন্তু হার্মলেস। আবার একেবারে হার্মলেস তাও না। একটা সময় চা কফিও ডক্টর বারণ করে। ইট ডিপেন্ডস।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.