![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নালন্দায় প্রাপ্ত সিল মোহর
ভুমিকাঃ আজকের দিনের অক্সফোর্ড, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারা অনেকের জন্য স্বপ্ন। পৃথিবীর সকল দেশের উচ্চ মেধা সম্পন্ন ছাত্র তাদের উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য ব্রিটেন আমেরিকা ছুটছে। কিন্তু এমন যদি হত যে ব্রিটেন আমারিকার ছাত্র ছাত্রি আমাদের দেশে প্রতিযগিতার মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে, কি খুব অবাক লাগছে? এ আবার হয় নাকি! হয় , কারন বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০০ বছর আগে গৌতম বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত। সম্রাট অশোকের হাত ধরে ছিল এর শুরু।
মনে মনে কল্পনা করুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ১০০০০ হাজার শিক্ষার্থী মুখরিত ক্যাম্পাস,আর ২০০০ শিক্ষক শেখানে শ্রেষ্ঠ পাঠ দান করছেন। যেখানে অম্রকানন ছায়া শোভিত প্রকাণ্ড সব অট্রালিকা।তার ভেতর লেক আর নীল পদ্ম সরবোর বেষ্টিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় টির নাম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।এটাকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।আজকের দিনের অক্সফোর্ড (ইংল্যান্ড),বোলঙ্গা(ইটালি) যখন কেবল শিক্ষা দান শুরু করে তখন এই বিশ্ববিদ্যাল্যের করুন মৃত্যু হয়। অক্সফোর্ডের ৮০০ বছর আগে হারভাড ইয়েল অরধেক মিলেনিয়াম বছর পূর্বে সারা বিশ্বে এই বিদ্যাপীঠ আলো ছড়িয়েছে ।
হর্ষ রজ্যের সীমা
বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি বেদ, বিতর্ক, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতিষ বিদ্যা, শিল্প কলা, চিকিৎসাশাস্ত্র সহ তৎকালীন সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থার উপযোগী আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিয়মিত পাঠ দান চলত এখানে। শিক্ষকদের পাঠ দান আর ছাত্রদের পাঠ গ্রহণে সর্বদা মুখরিত থাকত এই বিদ্যাপীঠ। নালন্দার সুশিক্ষার খ্যাতির সুবাতাস এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে অনুন্নত প্রতিকুল এবরো থেবরো যোগাযোগ ব্যবস্থাও বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি সুদূর তিব্বত, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য, গ্রীস তুরষ্ক থেকে ছুটে আসা বিদ্যা অনুরাগীদের।
নামকরনঃ
নালন্দা ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত ।প্রাচীন নালন্দা মহাবিহার বিহারের রাজধানী পাটনা শহর থেকে ৫৫ মাইল দক্ষিণ-ছিল খ্রিষ্টীয় ৪২৭ অব্দ থেকে ১১৯৭ অব্দে।
গৌতম বৌদ্ধ
কথিত আছে গৌতম বৌদ্ধ স্বয়ং এই স্থানে বিহার রাজ্যে অবস্থান করতেন। পাশা পাশি জনহিতকর উপদেশ দান করতেন অকাতরে। নালন্দা শব্দের অর্থ দানে অকৃপণ ।
চীনা তীর্থযাত্রী সন্ন্যাসী হিউয়েন সাঙ নালন্দা নামের বিবিধ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তাঁর একটি মত হল, এই নামটি স্থানীয় আম্রকুঞ্জের মধ্যবর্তী পুষ্করিণীতে বসবাসকারী একটি নাগের নাম থেকে উদ্ভুত। কিন্তু যে মতটি তিনি গ্রহণ করেছেন, সেটি হল,শাক্যমুনি বুদ্ধ একদা এখানে অবস্থান করে "অবিরত ভিক্ষাপ্রদান" করতেন; সেই থেকেই এই নামের উদ্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাঃ
ঐতিহাসিকদের মতে, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল গুপ্ত সম্রাট কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে। হিউয়েন সাঙ ও প্রজ্ঞাবর্মণ তাঁকে এই মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেছেন। মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রাপ্ত একটি সিলমোহর থেকেও একথা জানা যায়।
কয়েকটি সৌধ মৌর্য সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন। গুপ্ত সম্রাটরাও এখানকার কয়েকটি মঠের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, গুপ্ত সম্রাট শক্রাদিত্যের (অপর নাম কুমারগুপ্ত, রাজত্বকাল ৪১৫-৫৫) রাজত্বকালে নালন্দা মহাবিহারের বিকাশলাভ ঘটে। পরবর্তীকালে বৌদ্ধ সম্রাট হর্ষবর্ধন ও পাল সম্রাটগণও এই মহাবিহারের পৃষ্ঠপোষক হয়েছিলেন। ১৪ হেক্টর আয়তনের মহাবিহার চত্বরটি ছিল লাল ইঁটে নির্মিত। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকাকালীন অবস্থায় চীন, গ্রিস ও পারস্য থেকেও শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসতেন বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যযঃ
এটি ছিল সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেকালে প্রায় ২০০ টি গ্রাম থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিচালনা ব্যয় মেটান হত। গ্রাম গুলো হিসাবের সুবিধার্থে স্তুপ স্থাপন করা হয়েছিল।
ঐতিহাসিক সুকুমার দত্তের মতে, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে "মূলত দুটি পর্ব বিদ্যমান ছিল। প্রথমত এই বিশ্ববিদ্যালের প্রতিষ্ঠা, বিকাশলাভ ও খ্যাতি অর্জনের পর্ব। এই পর্বের সময়কাল খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দী। এই সময়টি ছিল গুপ্ত যুগের ঐতিহ্য অনুসারে প্রাপ্ত মুক্ত সাংস্কৃতিক চিন্তা ও ঐতিহ্যের পর্ব। এর পর নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে পূর্বভারতের বৌদ্ধধর্মে তান্ত্রিক রীতিনীতির আবির্ভাব ঘটলে এই মহাবিহারও ধীরে ধীরে পতনের পথে ধাবিত হয়।
প্রশাসনিক ভবনঃ
চীনের ট্যাং রাজবংশের রাজত্বকালে চৈনিক পরিব্রাজক জুয়ানঝাং ৭তম শতাব্দিতে নালন্দার বিস্তারিত বর্ণনা লিখে রেখে গেছেন।একটি প্রধান ফটক এবং সুউচ্চ দেয়ালঘেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস হিসেবে সুপরিচিত ছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি ভিন্ন ভিন্ন চত্বর এবং দশটি মন্দির ছিল; ছিল ধ্যান করার কক্ষ এবং শ্রেনীকক্ষ। প্রাঙ্গনে ছিল কতগুলো দীঘি ও উদ্যান।
রাজা কুমার গুপ্ত (৪১৫-৪৫৫) সর্ব প্রথম ছাত্রদের জন্য সেমিনার হল এবং আশ্রম স্থাপন করেন । পাশা পাশি ছিল প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা । এর পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শতাব্দী ধরে ভিন্ন ভিন্ন রাজ পুরুষ এর বিকাশ ও বর্ধনের সাথে জড়িত হন। রাজা বুদ্ধগুপ্ত (৪৫৫-৪৬৭),জটাগথ গুপ্ত (৪৬৭-৫০০),বালাদিত্য(৫০০-৫২৫) এবং বিরাজ (৫২৫) বিভিন্ন একডেমিক ভবনগুলো নির্মাণ করেন । বালাদিত্যের তৈরি আশ্রম ৩০০ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট ছিল । তার পুত্র বিরাজ ৫ম আশ্রম টি তৈরি করেন । রাজা শিলাদিত্য ষষ্ঠ আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন । খৃস্টীয় ১০ম শতাব্দীতে চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং এমনটাই লিখে গেছেন ।
কারিকুলাম ও ভর্তি প্রক্রিয়াঃ
ভাবতে অবাক লাগে কতটা সুনাম আর শ্রিংখলার সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালত হত। ইচ্ছে করলেই এখানে ভর্তি হওয়া যেতনা। সে জন্য সে যুগে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হত। আজকের ইউরোপ আমেরিকায় যেমন আই ই এল টি এস বাধ্যতামুলক , তেমনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য সংস্কৃত ভাষায় দক্ষতা ছিল বাধ্যতা মুলক ।
যেকারনে পুরব এশিয়ার দেশ জাপান, চীন , কোরিয়া থেকে আগত ছাত্ররা সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপে গিয়ে সংস্কৃত শিক্ষা নিয়ে আসত। এখানে জাত ধর্মবিশ্বাস এবং জাতীয়তার কোন বাধা ছিলনা। বিশ্ববিদ্যালয় চিল সবার জন্য উন্মুক্ত। বিদেশী ছাত্রদের ২০% এবং উপমহাদেশের নেটিভ ছাত্রদের ৩০% নাম্বার পেয়ে পাশ মান অর্জন করতে হত।
এখানে বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান অধ্যায়ন করা ছিল বাধ্যতামুলক। পাশা পাশি ১৮ টি মেজর সাবজেক্ট পড়ার সুযোগ ছিল যেমন,বিজ্ঞান, মেডিসিন, এস্ট্রলজি,সাহিত্য, চারু কলা, চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যায়নে। এছাড়া হিন্দু দর্শন এর ছটি বিষয় । বুদ্ধ ধর্মের আরও শাখা যেমন হীনযান পন্থা,থেরবাদ বানিজ্যও শিক্ষার সুযোগ ছিল । এসবের পাশি পাশি যুক্তি তর্ক এবং বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার অংশ ছিল ।
বিষয় গুলো তিব্বতি লেখা হতে পাওয়া যায় ৪ ভাবে...
১ সারবাস্তুবিদ্যা ভবিশ্যকা
২সারবস্তুবিদ্যা সুত্রান্তিকা
৩মধ্যমকা , নাগরজুনের মহাযান দর্শন বিদ্যা
৪চিত্তমাত্রা, অসঙ্গ এবং বসুবন্ধু এর মহাযান দর্শন
লাইব্রেরীঃ
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিকে বলা হত ধর্ম গঞ্জ । এটা সে সময় তিনটি আলাদা আলাদা বিল্ডিং নিয়ে বিভক্ত ছিল । সেগুলোর নামও ছিল ভিন্ন ভিন্ন। যথাক্রমে রত্ন সাগর, রত্ন দধি, রত্ন রঞ্জক । নয়তলা ভবনটিতে আলোর প্রতিসরনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল ।
লাইবেরিতে কয়েকটি শ্রেনি বিন্যাস ছিল যেখানে মহা পণ্ডিত পানিনি রচিত ব্যকরন পড়তে হত।এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ত্রিপিটক কে তিনভাগে ভাগ করা হত , যা বিনয়, সুত্র, এবং আভিধম্মা নামে পরিচিত। এছাড়াও মনিষী জীবনী ও প্রচুর লেখকের রেফ্রেন্স নিয়ে ছিল পড়ার সুবিধা। এসব যত্ন করে স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হত। ছিল কাপড় দিয়ে ঢেকে বেঁধে রাখার ব্যাবস্থা । একজন লাইব্রেরী ইন চার্জ এসব তদারকি করতেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারে পাণ্ডুলিপি তৈরি করা হত অত্যন্ত সতর্কতার সাথেধর্মের পাশাপাশি বেদ _উপনিশদ, বিতর্ক, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতিষ বিদ্যা, শিল্প কলা, চিকিৎসাশাস্ত্র সহ তৎকালীন সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থার উপযোগী পুস্তক ছিল । তৎকালীন জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখাতেই চর্চার সুযোগ থাকায় সুদূর কোরিয়া, জাপান, চীন, তিব্বত,ইন্দোনেশিয়া, পারস্য এবং তুরস্ক থেকে জ্ঞানী ও জ্ঞান পিপাসুরা এখানে ভীড় করতেন।
হর্ষধনের পরিচয়ঃ
হর্ষবর্ধন বা হর্ষ (৫৯০–৬৫৭) উত্তর ভারতের এক খ্যাতনামা সম্রাট যিনি ৬০৬ থেকে ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ (মতান্তরে ৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি মহারাজ প্রভাকর বর্ধনের সন্তান ছিলেন।
বড় ভাই থানেসারের রাজা রাজ্যবর্ধন গৌড়ের সম্রাট শশাংকের হাতে নিহত হলে ৬০৬ সালে হর্ষকে রাজা ঘোষণা করা হয়।
হর্ষবর্ধন
তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। হর্ষবর্ধন কবিতা ও নাটক লিখতেন। তিনি নাগানন্দ, প্রিয়দর্শিকা এবং রত্নাবলী নামের তিনটি সংস্কৃত নাটক লেখেন। কনৌজ শহর ছিল হর্ষবর্ধনের রাজধানী । বিখ্যাত বাণভট্ট হর্ষবর্ধনের সভাকবি ছিলেন। তিনি হর্ষচরিতের জীবনীমূলক গ্রন্থ হর্ষচরিত রচনা করেন; এটি ছিল সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রথম ঐতিহাসিক কাব্যগ্রন্থ।
তিনিই প্রথম ভারতীয় রাজা যিনি চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
সম্রাট অশোকঃ
ভারতে মাত্র দুজন কে গ্রেট আখ্যা দেয়া হয় । একজন সম্রাট আকবর, অন্যজন এই সম্রাট অশোক । বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রান। নালন্দায় তিনিও একজন পৃষ্ঠ পোষক ছিলেন ।
অশোক
তিনি এখানে স্তুপ নির্মাণ করেন বলে যানা যায় । কিন্তু ধারনা করা হয় তার জীবদ্দশায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। পুরনাংগ শিক্ষাদান তার দেহ অবসানের পর শুরু হয় ।
পর্যটক হিউয়েন সাঙঃ
(৬০২ - ৬৬৪) : ছিলেন বিখ্যাত চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক। তিনি চীন এবং ভারতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারণামতে ৬৩০খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তার ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলেন লানপো বা লামখান থেকে।
লামখানকে তৎকালীন ভারতবর্ষের লোকেরা লম্পক নামে ডাকত। তিনি বালখজুমধ, গচি, বামিয়ান এবং কপিশা হয়ে এ স্থানে এসেছিলেন। মূলত লামখান থেকেই তার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সূচনা। তিনি মূলতগৌতম বুদ্ধের নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমণ শুরু করেছিলেন।
.নালন্দার পণ্ডিত ( প্রফেসর) :
নালন্দায় অনেক বিখ্যাত পণ্ডিত অধ্যাপনা করছেন । এদের মাঝে নাগারজুন, ধর্মপাল , শীলভদ্র (বাংলাদেশ) , বিরাজবধি, ধরমকিরতি,আরয দেব, সন্ত্র রক্ষিত, কমল শিলা’র নাম উল্লেখ যোগ্য ।
নাগার্জুনঃ
নাগার্জুন (আনুমানিক ১৫০-২৫০ খ্রি গৌতম বু্দ্ধের পরবর্তী সর্বাধিক প্রভাবশালী বৌদ্ধ দার্শনিকদের অন্যতম। তাঁর শিষ্য আর্যদেবের সাথে তাঁকে 'মহাযান' বৌদ্ধধর্মের 'মাধ্যমিক' শাখার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কৃতিত্ব দেয়া হয়। তাঁকে 'প্রজ্ঞা পারমিতা সুত্র' সম্পর্কিত দর্শনের উন্নয়নের কৃতিত্ব দেয়া হয় এবং কোন কোন মতানুসারে এই সম্পর্কিত পুঁথিগুলো নাগ (সাপ/ড্রাগন)দের থেকে উদ্ধার করে, বিশ্বে প্রকাশ করেছেন। ধারনা করা হয় তিনি চিকিৎসা রসায়ন শাস্ত্রের উপর কয়েকটি রচনা করেছেন এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইতিহাস
নাগার্জুনের জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তার বেশির ভাগ কাজ হারিয়ে গেছে। বর্তমানে যা কিছু পাওয়া গেছে তা নাগার্জুনের মৃত্যুর শত শত বছর পর চীনা এবং তিব্বতী ভাষায় লিখিত। ধারনা করা হয় নাগার্জুন দক্ষিণ ভারতীয়। জন্মেছিলেন অমরাবতীতে (১৫০ খ্রি: হতে ২৫০ খ্রি নাগার্জুন সাতবাহন রাজবংশের এক রাজার উপদেষ্টা ছিলেন।
চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীতে কুমারজীব অনুদিত জীবনি অনুসারে নাগার্জুনের জন্ম ব্রাহ্মন পরিবারে। নাগার্জুন পরবর্তিতে বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হন।
কিছু সূত্র মতে নাগার্জুন তার জীবনের শেষ দিকে শ্রীপর্বতের পাহাড়ে বসবাস করতেন, যার নিকটবর্তি শহর পরবর্তিতে নাগার্জুনকোন্ডা (নাগার্জুনের পাহাড়) নামে পরিচিত হয়। নাগার্জুনকোন্ডা বর্তমান ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের নালগোন্ডা/গুন্টুর জেলার কাছাকাছি অবস্থিত। তিনি মধ্য পন্থার মুল বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন, পাশা পাশি ছিলেন একজন দার্শনিক ও দক্ষ আয়ুরভেদিক চিকিৎসক ।
দিগ নাগাঃ
তামিল নাড়ুর কাঞ্চিপুরম এ জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি মহাকবি কালিদাশের সমসামিয়ক ছিলেন । দার্শনিক বাসুবন্ধুর ছাত্র ছিলেন । রাজা কুমার গুপ্তের সময় ৪৫০ খ্রিস্তাব্দে জন্ম নেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মীয় নয়না দর্শন কে বিভক্ত করেন বুদ্ধের মত অনুসারে এবং একটি নতুন শাখা অধিভুক্ত করেন। যা ব্রাহ্মণ বিদ্যার সাথে দিক থেকে সমান্তরাল ছিল ।
বুৎপত্তি গত ভাবে তার চিন্তা দর্শন পরবর্তীতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাড় করায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে তার সংস্কৃত কাজ আজ আর পাওয়া যায় না, হারিয়ে গেছে। যদিও কিছু কিছু তিব্বতি ভাষায় পাওয়া যায় । তার মুল অবদান বৌদ্ধ ধর্মের দর্শনের ভিত্তি প্রস্তর প্রতিষ্ঠা করা । তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ
১ প্রমান সমুচ্চয়য় (সঠিক জ্ঞান মানে সম্পূর্ণতা )
২ হেতু চক্র ( পুজিবাদের মুল চাকা)
ধর্মপালঃ
বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম মহান দারশনিক। তিনি জন্মেছিলেন দিন্নাগার জন্মস্থান কাঞ্চিপুরমে । খ্রিষ্টীয় ৭ম শতকে একজন মন্ত্রী পুত্র ছিলেন রাজা পল্লবের রাজত্ব কালে । অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন ছিলেন এই মনিষী । তিনি সারা ভারতবর্ষে ভ্রমন করেন । ততকালিন প্রধান হিন্দু দার্শনিক ও পণ্ডিত ব্যাক্তিদের সাথে যুক্তি তর্কে ধরাশায়ি করেন । দক্ষিন ভারতের একমাত্র পণ্ডিত যিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছিলেন ।
শীলভদ্রঃ
এক সময় এত সুবিশাল একটি বিশ্ব বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছিলেন বাংলাদেশের সন্তান শীল ভদ্র।শীলভদ্র ৫২৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন। ধর্মপালের শিস্য ছিলেন ।যিনি ছিলেন হিউয়েন সাঙ এর গুরু। প্রায় ২২ বছর হিউয়েন সাঙ তাঁর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি একশ ষোল বছর বেঁচেছিলেন । শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের চার শত বৎসর পূর্বে পৃথিবীর আদিতম বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দার সর্বাধ্যক্ষ বা আজকের দিনের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন মহাস্থবীর শীল ভদ্র। যিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানার কৈলান গ্রামের ব্রাহ্মণ রাজ পরিবারের সন্তান ছিলেন। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে গড়ে উঠেছিল বৌদ্ধ সভ্যতা। কোটবাড়ীর শালবন বিহার অন্যতম সাক্ষী।
বিরাজবধিঃ
বিরাজবধি অন্যতম খ্যাতনামা বুদ্ধিস্ট দার্শনিক যিনি দিন্নাগা ও ধরমপালের সম সামিয়ক চিলেন। দক্ষিন ভারতের ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন খ্রিস্টীয় ৬৬০ এ রাজা পল্লবের রাজত্বে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হন । তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত পণ্ডিত ধরমকিরতির কাছে শিক্ষা লাভ করেন । পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ ও ধর্ম প্রচার করেন ।
সেখান থেকে তিনি সুমাত্রা দ্বীপ( প্রাচীন শ্রী বিজয়) যান। পরবর্তীতে চীন দেশর সিটি অফ চাঙগণ এ যান ও জিয়ানফু মন্দিরে অবস্থান করেন । সে সময় তার অনেক সংস্কৃত কাজ চীনা ভাষায় অনুদিত হয় । তাকে বৌদ্ধ ধর্মের শিনগণ মতবাদের প্রবক্তা বলা হয়। তার শিস্যদের মধ্যে অমঘভারজা বিখ্যাত । যিনি রাজনৈতিক ভাবে ছিলেনা ক্ষমতা ধর, এছাড়া তার শিস্যদের মাঝে কোরিয়ার ভিক্ষু হেইচকু’র নাম জানা যায় ।
ধরমকিরতিঃ
খৃস্টীয় ৭ম শতকে জন্ম গ্রহন করেন । ভারতীয় দর্শন শাস্ত্রের অন্ত্যতম জনক । বৌদ্ধ ধরমের প্রাথমিক তত্বগুলর প্রবক্তা। নালন্দাতে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন ।
গুনপ্রভাঃ খ্রিষ্টীয় নবম শতকে জন্ম গ্রহন করেন । বাসুবন্ধুর শিস্য ছিলেন । বিনয়সুত্রের উপর তার পাণ্ডিত্য ছিল ।
শাক্য প্রভাঃ শান্ত্রক্ষিতের ১৭ জন শিস্যের মধ্যে একজন ছিলেন । ভারতীয় এবং তিব্বতীয় বৌদ্ধ মতবাদে শতাব্দী ব্যাপী তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ।
বুদ্ধ পালিত
বুদ্ধ পালিতঃ তার জীবনকাল ৪৭০ থেকে ৫৫০ পর্যন্ত ।নাগরজুনের মধ্যমকা ভাবনার একজন বিশাল প্রবক্তা ছিলেন । তিব্বতে (Prasangika-Madhyamaka)'র প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত । তিনি তার মধ্যমিকা দর্শনের জন্য তিব্বিতে বিশেষ মর্যাদা ও উপাধি লাভ করেন ।
ভব বিবেকঃ খ্রিষ্টীয় ৫০০ থেকে ৫৭৮ পর্যন্ত তার জীবনকাল ছিল বলে জানা গেছে । তিনি তিব্বতে বিখ্যাত হন Middle Way Autonomy school (Svatantrika-Madhyamak প্রতিষ্ঠা করে। এছাড়া একজন সমালোচক ছিলেন । তিনি অন্যদের মধ্যমকা ধারনার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন । বুদ্ধ পালিতের একজন সমালোচক ছিলেন ।
হরিভদ্রঃ ৭০০ থেকে ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ ।পর্যন্ত জীবিত ছিলেন । শান্ত রক্ষিতের ১৭ জনের মধ্য শেষ শিশ্য । ২১ জন ভারতীয় প্রবক্তার মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত ও ব্যবহৃত মৈত্র এবং মহাযান তত্ব গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার সম্যক ধারনা দিয়েছেন .
চন্দ্র কীর্তি ঃ ৬০০ থেকে ৬৫০ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন । বহু মধ্যমকা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিব্বত অনেক সম্মানিত, সর্বোচ্চ বৌদ্ধ দার্শনিক যিনি বাস্তবতার নিরিখে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাখ্যা হিসাবে দিয়েছেন ।
বিমুক্তিসেন ঃ ষষ্ঠ শতকে বর্তমান ছিলেন । প্রায় বিশ হাজার মুল্যবান আলোকজ্জ্বল বানী লিখে গেছেন। যা থেকে বৌদ্ধ গবেষক ও পণ্ডিত গণ উপকৃত হয়েছেন।
শান্তিদেবঃ মহাযান অনুশীলন কিভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী , গঠন প্রণালী , বধিস্বত্তের উন্নয়ন এবং ছযটি বিশুদ্ধতা অনুশীলন নিয়ে তাঁর লেখা প্রচুর এবং ব্যাপকভাবে চর্চিত হয়
নালন্দার অবদানঃ
পাল যুগে বাংলা ও মগধে একাধিক মঠ স্থাপিত হয়। তিব্বতীয় সূত্র অনুযায়ী এই সময়ের পাঁচটি প্রধান মহাবিহার হল: বিক্রমশীলা (সেযুগের প্রধান মহাবিহার), নালন্দা (সেযুগে বিগতগরিমা হলেও উজ্জ্বল), সোমপুর,ওদন্তপুরা ও জগদ্দল। যেগুল নালন্দার সহযোগিতায় পরবর্তীতে এসোসিয়েট কলেজ বা পুরনাংগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত হয়। যেমন বিক্রমশিলা । আমাদের সুপরিচিত পণ্ডিত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অতিশ দিপঙ্কর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ।
অতিশ দিপঙ্কর
আজকের অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটিও গ্রুপ অফ কলেজ, যারা অক্সফোর্ড নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতেই শিক্ষা দান করে। এই পাঁচটি মহাবিহার পরস্পর সংযুক্ত ছিল, "প্রতিটিই রাষ্ট্রীয় তদারকিতে পরিচালিত হত", এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল "এক প্রকার সহযোগিতার ব্যবস্থা... মনে করা হয়, পাল যুগে পূর্বভারতে একাধিক বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র একটি পরস্পর-সংযুক্ত গোষ্ঠীব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হত।" এই কারণেই বিশিষ্ট পণ্ডিতেরা সহজেই একটি থেকে অপরটিতে গিয়ে শিক্ষাদান করতে পারতেন।
পাল যুগে নালন্দাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। মনে করা হয়, অন্যান্য পাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সাথে নালন্দা থেকে পণ্ডিতদের নিজেদের মধ্য শিক্ষা বিনিময় ও সমন্বয় করতে হত। এর কারণ, তারা সকলে একই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ভোগ করতেন।
তিব্বতীয় বৌদ্ধ দর্শন বলে আজ যা পরিচিত তার বড় অংশ এসেছে নালন্দা থেকে। বৌদ্ধ দর্শনের অন্যান্য রূপ যেমন, মহাযান যা ভিয়েতনাম, চীন, কোরিয়া এবং জাপানে অনুসরণ করা হয়, নালন্দাতেই শুরু হয়েছিল। এখান থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান ভিয়েতনাম , চীন , কোরিয়া , জাপান সহ পুরব এশিয়ার দেশ গুলোতে ছডিয়ে পরে।
বখতিয়ার
শেষ কথাঃ
বার বার আক্রমণ আর বিভিন্ন জাতির রোষানলে পড়ে নালন্দা। শেষ ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি বখতিয়ার খিলজির আক্রমনে নালন্দা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় ।খিলজী শুধু নালন্দাকে পুড়িয়ে ছাই করেন নি, একই সাথে পুড়িয়ে ছাই করেদন একটি জাতির সভ্যতা, ইতিহাস।
বিলুপ্ত হয় সামাজিক-সাংষ্কৃতিক অবস্থা ও প্রাচীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি ।এভাবেই ৮০০ বছর ধরে গড়ে ওঠা একটি বিদ্যাপীঠ বিলুপ্ত হয় ।পরবর্তীতে উপমহাদেশের জনগণ পরিণত হয় কুপমুন্ডুক মূর্খ জাতিতে।
২০০৬ সালে ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান ও অন্যান্য কয়েকটি রাষ্ট্র যৌথভাবে এই সুপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির পুনরুজ্জীবনের প্রকল্প গ্রহণ করে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম স্থির হয়েছে নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
Appendix :
****Destruction and Demise
According to records of history, Nalanda University was destroyed three times by invaders, but only rebuilt twice. The first time was by the Huns under Mihirakula during the reign of Skandagupta (455-467 AD).
The second destruction came with an assault by the Gaudas in the early 7th century. This time, the Hindu king Harshavardhana (606-648 AD) restored the Buddhist university.
The final it was violently destroyed in an Afghan attack led by Bakhtiyar Khilji in 1193.In 1193, the Nalanda University was sacked by Bakhtiyar Khilji,
-----------------------------------------------------------------------------
যোগাযোগ :
https://www.facebook.com/sajid.e1.London
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
সাজিদ এহসান বলেছেন: কোন বিষয়ে সহমত না ?
২| ১২ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৫২
মিতক্ষরা বলেছেন: সবার সব মন্তব্য দেখি মুছে ফেললেন। যা হোক, একটি মন্তব্য করছি যেটা চাইলে রাখতে পারেন। নালন্দাকে দেখে খিলজী ভেবেছিলেন এটা একটি দুর্গ। তাই একে জ্বালানোর নির্দেশ দেন।
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
সাজিদ এহসান বলেছেন: একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নালন্দা কে জানার চেষ্টা করেছি,
কে কে আক্রমণ করেছিল, তা জানা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।
৩| ১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ভাল লাগল।
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ তৌফিক জোয়ার্দার ভাই, ভাল থাকবেন ...
৪| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
নষ্ট ছেলে বলেছেন: কমেন্ট গুলা মুছলেন ক্যান?
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
সাজিদ এহসান বলেছেন: পোস্টের বিষয়ের সাথে গঠনমূলক আলোচনা প্রত্যাশা করি ,
গতকাল পোস্ট এর উদ্দেশ্য বহির্ভূত কমেন্ট ছিল ... তাই মুছে দিয়েছি।
৫| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
বিস্কুট বলেছেন: বখতিয়ার খলজী নালন্দা ধ্বংস করেছিলেন, এটির ঐতিহাসিক ভিত্তি খুবই দুর্বল।
যদি ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে দুর্বল জিনিস আঁকড়ে থাকবেন না আশা করি।
১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০
সাজিদ এহসান বলেছেন: '' বখতিয়ার খলজী নালন্দা ধ্বংস করেছিলেন, এটির ঐতিহাসিক ভিত্তি খুবই দুর্বল''
এটার ঐতিহাসিক ভিত্তি নিয়ে সন্দেহ নেই, আমার দেখা সব ওয়েব সাইটে বখতিয়ারের ধ্বংস প্রমান দেয়। এমন হাজার হাজার লিঙ্ক দেয়া যায় ,
James Blumenthal
Philosophy Department
Oregon State University
Click This Link
BY ANDREW BUNCOMBE, The Independent UK
Click This Link
answers.yahoo
Click This Link
newworldencyclopedia
Click This Link
richarddawkins
Click This Link
qna.rediff.
Click This Link
আপনি চাইলে আপনার যুক্তির স্বপক্ষে লিঙ্ক দিতে পারেন...
যাচাই করে দেখতে পারি।
৬| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
বখতিয়ার খলজি নালন্দার বিষয়টা অবশ্য আমি কোন নির্ভরযোগ্য ইতিহাস বইতে পড়ি নাই, মানে যেগুলো আমাদের রেফারেন্স বুক ছিল আরকি!
যাই হোক পোস্ট খুব চমৎকার হয়েছে, ব্রাভো সাজিদ
১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০১
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ রেজোওয়ানা আপু,
যদি পাকিস্তানের কারও সাথে পরিচয় থাকে শুনে দেখবেন তাদের ৭১ এর ইতিহাস পড়ানো হয়না।
এজন্য নতুন প্রজন্মের পাকিস্তানী ছেলে মেয়েরা জানেই না ৭১'র যুদ্ধ কি জন্য হেয়ছিল ।
আমি ওদের সাথে কথা বলে জেনেছি... বাংলাদেশে কোন গনহত্যা হয়নি, ৭১'র যুদ্ধ ছিল ভারতের ষড়যন্ত্র..
ভাল থাকবেন ।
৭| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল পোস্ট .........।
১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৪
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা , ভাল থাকেবন ...।
৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
বিস্কুট বলেছেন: ইন্টারনেট থেকে ইতিহাস শিখতে গেলে পাঁতিহাস হবেন। রেজওয়ানার কমেন্ট দ্রষ্টব্য।
১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৩
সাজিদ এহসান বলেছেন: শুধু ইন্টারনেট না, লক্ষ লক্ষ বইয়ের রেফ্রেন্স দেয়া যাবে।
যারা সত্য দেখেও দেখে না , শুনেও না শোনার ভান করে, জেনেও জানে না... আপনি সেই দলের
এরপর অপ্রাসঙ্গিক কথা বললে ব্লক করতে বাধ্য হব।
আপনার ব্লগিং লেভেল একটু দেখে আসলাম ,
***ব্লগে এইসব সাম্প্রদায়িক প্রাণীগুলো কোত্থেকে আমদানি হয়?
(একজন ব্লগার গায়ত্রী মন্ত্র নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন।
হাসরের ময়দানের ত্যাক্ত অভিজ্ঞতা ব্যানসম্ভাবী পোষ্ট)
***ইন্ডিয়ান পুরুষদের কনডমের সাইজ ছোট:বিবিসিনিউজ ১৮++
***বেনারসি শাড়ি ও জন্মনিরোধক বেলুন
কি লিখেন এই সব ?
৯| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০১
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: @রেজোওয়ানা প্রত্যেক দেশে ইতিহাস তার নিজের মতো করে লেখা হয় ,প্রয়োজনে কিছু কিছু জিনিস বর্জন করা হয় ।এই পক্রিয়া থেকে কেউই বাদ যান নি ।এই ব্লগের বিখ্যাত লেখক ইমন জুবায়ের পার্সি দের নিয়ে একটি লেখা আছে ।সেখানে দেখবেন উনি বিতর্ক এড়াবার জন্য পার্সি রা কেন ভারতে চলে আসে সেটা তিনি এড়িয়ে গেছেন ।আবার ভারতের স্কুল টেক্সট গুলো তে অশোকের প্রথম জীবনের বর্বরতা গুলো কে এড়িয়ে যাওয়া হয় ।স্থান কাল পাত্রে এভাবেই ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা করা হয় ।যাই হোক ঔরঙ্গজেব এর এক স্তুতিময় স্থুল প্রপোগান্ডা মূলক পোস্টে আপনার পসিটিভ কমেন্ট দেখে প্রথমে চমকে গিয়েছিলাম ।কারণ আপনাকে যথেষ্ট ফ্রি থিঙ্কার বলেই মনে হয় ।
লেখক আপনার পর পর পোস্ট গুলো চমত্কার ।তবে পাঠক হিসাবে আশা আরো একটু বেশী ।আরো ডিটেলস আশা করছি আপনার কাছ থেকে ।প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বরাবরই একটা আগ্রহের বিষয় আমার কাছে ।পোস্টে ভালোলাগা ।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ. ভাই, আপনার কথা গুলো ভাল লাগল । আপনি আরও ডিটেইল পড়তে চান যেনে ভাল লাগল । পাঠক বিরক্ত হতে পারে ভেবেই আমি আরও সংক্ষিপ্ত করার চেস্টা করি।
এই পোষ্টে বিতর্ক এড়াতে অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি।
ভাল থাকবেন । শুভ কামনা
১০| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
এস. এম. রায়হান বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নালন্দা কে জানার চেষ্টা করেছি, কে কে আক্রমণ করেছিল, তা জানা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।
--------------------------------------
কে কে আক্রমণ করেছিল, তা জানা এই পোস্টের উদ্দেশ্য যদি না হয় তাহলে বখতিয়ার খিলজির দ্বারা নালন্দা আক্রমণ ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ার কথা মূল পোস্টে এলো কেনো?
১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
সাজিদ এহসান বলেছেন: লেখক বলেছেন:
কে কে আক্রমণ করেছিল, তা জানা এই পোস্টের উদ্দেশ্য যদি না হয় তাহলে বখতিয়ার খিলজির দ্বারা নালন্দা আক্রমণ ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ার কথা মূল পোস্টে এলো কেনো?
................................................................................................
দেখুন এস. এম. রায়হান ভাই,
মূল পোস্ট এ বখতিয়ার খিলজির নাম আমার মন গড়া বা ইচ্ছায় আসেনি,
শেষ বার তার আক্রমণ ছিল সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেমে যায় এমন তথ্যের ভিত্তিতে লিখতে হয়েছে ।
বখতিয়ার খিলজির নাম এড়িয়ে গেলে সম্ভবত আপনি সাধুবাদ দিতেন ...
কিন্তু লক্ষ্য করবেন
এর আগেও আরও এক দু লাইন আছে, সেখানে আমি বলেছি বার বার নালন্দা আক্রমণ হয়েছে।
সে কথার প্রমান সাপেক্ষে পরিশিষ্ট দিয়েছি, তাতে লিখাও আছে নালন্দা মোট ৩ বার আক্রমণ হয় কে বা কারা কারা আক্রমণ করে তার উল্লেখ আছে।
আর আপনি হয়ত একমত হবেন, একটি লেখার মোটামুটি তিনটি পার্ট থাকে, যথা ক্রমে সূচনা , বডি (মূল অংশ) , ও উপসংহার ।
মূল বলতে যা বোঝায় তাতে বখতিয়ার খিলজির নাম আক্রমণ ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ার কথা কোথাও নেই...
বিতর্কের অবকাশ দেখি না।
১১| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২১
এস. এম. রায়হান বলেছেন: প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার প্রতীক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংস: একটি নিরপেক্ষধর্মী বিশ্লেষণ
১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
সাজিদ এহসান বলেছেন: লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ এস. এম. রায়হান ভাই ...................................................................................................
লেখাটি পড়ে দেখলাম , লেখক তার মূল পোস্টের মাঝা মাঝি বলেছেন
''নালন্দা বেশ কয়েকবার বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রমণের মুখে পড়ে। যতদূর জানা যায় সেই সংখ্যাটা মোট তিনবার। প্রথমবার স্কন্দগুপ্তের সময়ে (৪৫৫-৪৬৭ খৃষ্টাব্দে) মিহিরাকুলার নেতৃত্বে মধ্য এশিয়ার যুদ্ধবাজ হানদের দ্বারা।''
''প্রায় দেড় শতাব্দী পরে আবার ধ্বংসের মুখে পড়ে। আর তা হয় বাংলার শাসক শশাঙ্কের দ্বারা। শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার অন্তর্গত গৌড়'র রাজা।''
''তৃ্তীয়বার নালন্দা ধ্বংস হয় তূর্কী যোদ্ধা বখতিয়ার খিলজী দ্বারা ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে। বখতিয়ার খিলজীর সময়ে নালন্দার অনেক ক্ষতিসাধন হয়। অনেক ভিক্ষু নিহত হন, আর যারা বেঁচে থাকেন তাদের অধিকাংশই পালিয়ে যান।''
এখানে লেখক যাদের কথা লিখেছেন যদি এটা নিরপেক্ষ হয়,
তাহলে আমার লেখার শেষ অংশে এদের সবার ব্যাপারে উল্লেখ থাকায়
আমিও সমান নিরপেক্ষতার দাবিদার ...।
১২| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
বিস্কুট বলেছেন: যারা সত্য দেখেও দেখে না , শুনেও না শোনার ভান করে, জেনেও জানে না... আপনি সেই দলের
আপনি ভারতীয় ইতিহাসলেখকদের রেফারেন্স দিবেন। যাদের চিন্তাভাবনা মুসলিমবিদ্বেষে পরিপূর্ণ। তারা তাদের সাম্প্রদায়িক মানসিকতার তাড়নায় ইতিহাসকে বিকৃত করে থাকে। তাদের নিকট শিবাজীর মত প্রতারক দস্যুসর্দার বীর হিসেবে পূজিত হয়, বিপরীতে বাদশাহ আলমগীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ন্যায় পূণ্যবান বাদশাহকে তারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে কারণ তার আমলে ব্রিটিশমারাঠা কেউই মদ ও নারী ব্যবহার করে উনার হিমালয়সম চরিত্রকে টলাতে পারেনি। যেটা পূর্ববর্তী মুঘল বাদশাহদের ক্ষেত্রে করা গিয়েছিল।
আপনি তাদেরই বই পড়ে নিজেকে বিরাট জ্ঞানী মনে করছেন। কিন্তু শুনুন, এই ভারতবর্ষের ইতিহাস মুসলিমরাই লিখেছে। পারলে রিয়াজুস সলাতীন, তারীখে হিন্দের মত দু একটি কিতাবের নাম জানার চেষ্টা করুন। না জানলে বুঝবেন আপনি ভুল পথে হেঁটে নিজেকে জ্ঞানী মনে করছেন।
ব্লক করলে করতে পারেন। তবে সেটা আপনার জানার দৈন্যতাকেই প্রকাশ করবে।
আপনার জন্য কয়েকটি বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি। ইতিহাসের বই। আশাকরি আপনার ভুল কাটবে। কারণ এতে বহু রেফারেন্স দেয়া আছে, সেগুলো খন্ডানোর সামর্থ্য কারোরই নেই।
Click This Link
Click This Link
https://www.box.com/s/hf8ddij32ebz7wsn2j48
১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
সাজিদ এহসান বলেছেন: আপনার দেয়া রেফ্রেন্স এর ২ টি বইয়ের একটি '' পড়ে দেখলাম
চেপে রাখা ইতিহাস''
লেখক-- আল্লামা গোলাম আহমাদ মর্তোযা ...
***বইটি ইতিহাসের সাপ লুডু...আগা মাথা নাই..
১*বইটির শুরুতে ডজন খানেক পণ্ডিত ব্যাক্তির সাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে, এই জন্য যে বইটি খুব ভাল তাই নয় কি ?
২*প্রথম অধ্যায়ে ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিম মনিষীদের মতামত নিস্প্রয়োজন , ইসলামের ইতিহাস বা ইতিহাস বর্ণনার সাথে অপ্রাসঙ্গিক ...
১-২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত যতনা ইতিহাস তার চাইতে বেশি ধর্ম মহান প্রমানের চেষ্টা ।
৩* এরপর ২৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আরবের মুসলিমদের নানা বিধ আবিষ্কার নিয়ে লেখক খুব গর্বিত, মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, স্পেনের করডোভা নিয়ে অনেক গর্বিত, আরব বাগদাদ এর লাইব্রেরী সেসব কথাও আছে...অনেক অনেক কিছু...কিন্তু উনি আরব জাতির ইতিহাস নিয়ে এত গর্বিত কেন ?
তক্ষশীলা,নালন্দা , নালন্দার লাইব্রেরী , উপমহাদেশের জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, গণিত , যুদ্ধ বিদ্যা এসব একটা কিছু ছিল নাকি? নালন্দার ইতিহাস এক লাইনে শেষ ।
আমার লেখায় নালন্দার ৮০০ বছরের ইতিহাসের অনেক কথাই আছে, সেখানে বিভিন্ন পণ্ডিত মনিষী , তাদের অবদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন রুপ , শিক্ষার্থী এসব বর্ণনাই বেশী।
একবার মাত্র ''বখতিয়ার খিলজির'' নাম আছে, তাতে আপনার এত কথা !
আমি রেফ্রেন্স দিলে তা মুসলিম বিদ্বেষী ঐতিহাসিকদের , আপনি দিলে নির্ভর যোগ্য ।
তাহলে আপনার দেয়া রেফ্রেন্স দেখুন
* ৫২ পৃষ্ঠায় আছে , ''নালন্দা মহাবিহার তুর্কি আক্রমনে ধ্বংস হয়েছিল বলে জানা যায় ''
তা সেই তুর্কি বাহিনীর নাটের গুরু কে...বখতিয়ার নয়কি ? আপনারত এই পয়েন্ট নিয়েই এত কথা... আপনার আল্লামা সাহেবও সে কথাই ইঙ্গিত করেছেন ।
বিতর্কের অবকাশ দেখি না।
১৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৪
বিস্কুট বলেছেন: আমি উক্ত বইগুলোর লিঙ্ক দিয়েছি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং আপনার গোটা মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য। ঐ বইগুলো প্রথম থেকে না পড়ে বাদশাহ আকবর পার্ট থেকে পড়া শুরু করলেই বুঝবেন আপনাকে কেন এই বইয়ের লিঙ্ক দেয়া হয়েছে। আপনার মেন্টালিটিতে যদি মুসলিমবিদ্বেষী ঐতিহাসিকদের প্রভাব থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ওভারঅল দুর করার জন্যই তা দেয়া।
আর বখতিয়ার খলজী নিয়ে একটি কথা বলাই যথেষ্ট। তাহলো বখতিয়ার খলজী যদি সেনরাজাদের না পরাস্ত করতেন, বাঙালি জাতি এবং বাংলা ভাষা নামে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকত না। বাংলাভাষীদের বখতিয়ারবিদ্বেষ দূর করার জন্য নিচের নোটটাই যথেষ্ট।
Click This Link
১৪ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:২৫
সাজিদ এহসান বলেছেন: আপনার নিজের থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে...
* ৫ নাম্বার কমেন্ট এ বলেছেন ,
''বখতিয়ার খলজী নালন্দা ধ্বংস করেছিলেন, এটির ঐতিহাসিক ভিত্তি খুবই দুর্বল''
---আপনার দেয়া শক্ত রেফ্রেন্স এর ভিত্তিতেই প্রমান দিলাম ঘটনা ছিল সত্য ।
* ৮ নাম্বার কমেন্ট এ বলেছেন
''ইন্টারনেট থেকে ইতিহাস শিখতে গেলে পাঁতিহাস হবেন। রেজওয়ানার কমেন্ট দ্রষ্টব্য''
---আপনার দেয়া শক্ত রেফারেন্স দিয়ে তার ঐতিহাসিক প্রমান দিয়েছি...
*আপনার ১২ নাম্বার কমেন্ট এ বলেছেন ''আপনি ভারতীয় ইতিহাস লেখকদের রেফারেন্স দিবেন। যাদের চিন্তাভাবনা মুসলিমবিদ্বেষে পরিপূর্ণ'' !!!
---আপনাকে দেয়া আমার এক্টিও রেফারেন্স ভারতীয় কোন লেখকের ছিল না,
*আপনার ১৩ নাম্বার কমেন্ট এ বলেছেন '
'আপনার মেন্টালিটিতে যদি মুসলিমবিদ্বেষী ঐতিহাসিকদের প্রভাব থেকে থাকে'' !!!
---সেটা যে নেই তার জন্য আপনার আলোচনার পরিবেশ উন্মুক্ত রেখেছি, আপনার দেয়া রেফ্রেরেন্স দিয়ে প্রমান দিয়েছি।
***আপনি খিলজি নিয়ে কথা বলতে আসছেন...আপনি এই পর্যন্ত থাকেন,
বাদশাহ আকবর পার্ট ,সেন রাজা এসব অপ্রাসঙ্গিক এ পোস্টে ,
আপনার উদ্দেশ্য এবং মানসিকতা খিলজি আর তার উত্তরসূরি জিন্নাহ' র মত।
আয়্যুব খানের সুরে আপনি কথা বলেন ...।
যেমন তখন বলা হত রবিন্দ্র চেতনা লালন কারি হিন্দু...
তুর্কিদের নালন্দা আক্রমন সহি করা , আর এই সব তুর্কি আফগান বীর্য থেকে উৎপন্ন বেজন্মা পাকি জাতির ২৫ মার্চের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমনের মানসিকতায় আমি কোন পার্থক্য দেখিনা ।
গত কয়েকদিন আগে একজন ''আল্লামা'' বলেছেন ,'' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র ছাত্রি নাস্তিক, তাদের শিক্ষকদের দীনি শিক্ষা নাই''...কি বুঝলেন ?
পাকিস্তানের গন্ধ পাই, সুর বদলান
১৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
বিস্কুট বলেছেন: লেখক, নালন্দার মতো প্রতিষ্ঠান কখনোই সভ্যতার বিশেষ কোন নিয়ামক ছিলনা। বরং মুসলিমরাই হলো ভারতবর্ষে সভ্যতার নিয়ামক। মুসলিমরা যদি ভারতের শাসনভার না নিত, হিন্দুরা রেড ইন্ডিয়ান কিংবা অস্ট্রেলিয়ার এবরিজিনদের মতো প্রান্তিকজাতি হয়ে থাকত। যারা পরবর্তী ব্রিটিশ কলোনীতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত যেভাবে রেড ইন্ডিয়ানরা হয়েছে।
মুসলিমরা এদেশে এসেছিল বলেই হিন্দুরা গায়ে সেলাইকরা কাপড় চড়ানোর মত সভ্যতাটুকু অর্জন করতে পেরেছে।
তুর্কিদের নালন্দা আক্রমন সহি করা , আর এই সব তুর্কি আফগান বীর্য থেকে উৎপন্ন বেজন্মা পাকি জাতির ২৫ মার্চের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমনের মানসিকতায় আমি কোন পার্থক্য দেখিনা ।
তুর্কী আফগানদের রক্ত হলো বীরের রক্ত। ঈশা খাঁ, স্বাধীন সুলতান ও নবাবগণ যা বহন করতেন। বাঙালি মুসলমান যা বহন করে। লেখক নিশ্চিতভাবে হিন্দুপ্রভাবে আক্রান্ত, তা না হলে এরকম কথা তার মুখ দিয়ে বের হতো না।
বিপরীতে কলকাতানিবাসী হিন্দুদের রক্ত হলো সিফিলিস আক্রান্ত, বেশ্যার খদ্দের, জারজদের রক্ত। ব্রিটিশাধীন কলকাতার ইতিহাস দ্বারা এ বক্তব্যপ্রমাণ করা সম্ভব। মাইকেল মধুসূদনের 'একেই কি বলে সভ্যতা' নামক নাটিকা পড়লে অনেকখানি বোঝা যাবে।
তুর্কী আফগান রক্তের প্রভাবেই বাংলাভাষী মুসলমানদের স্বাধীন দেশ আছে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা আছে। বিপরীতে বাংলাভাষী হিন্দুরা হিন্দিভাষী এবং হিন্দিভাষার সামনে মাথানত করেছে কারণ তাদের গায়ে রয়েছে গোলামের রক্ত।
১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
সাজিদ এহসান বলেছেন: হিন্দু মুসলমান নিয়ে এত বাড়াবাড়ি কেন?
আপনি বার বার ঘুরে ফিরে হিন্দু মুসলিম হিন্দু মুসলিম বলতে আসেন, হিন্দু মুসলিম নিয়ে লেখা লিখেছি আমি?
যখনই যুক্তিতে পারেন না, তখন মুখোস খুলে যায় ...
আপনার চোখে মুখে জিন্নাহর ছাপ,
কথায় আইয়ুব খানের ধ্বজা , খাজা নিজামুদ্দিনের মত হাত কচলানো মানুষ ,মিরজাফরের বংশধর ,
পাকিস্তানে বাঙালি মুসলিমকে হিন্দু হেডধারী আখ্যা দেয়া হত,
আপনি আমার ক্ষত্রেও সেই একি কাজ করছেন ,আমাকে বলেন
,''লেখক নিশ্চিতভাবে হিন্দুপ্রভাবে আক্রান্ত''
চিনতে কষ্ট হয়না, আপনি কে...
আপনি একজন ঘাপটি মারা পাকিস্তানী,
নব্য রাজাকার আলবদর
আপনার পাসপোর্ট হওয়া উচিৎ এটা
১৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন পোস্ট।
অনেক সময় নিয়ে পড়লাম।
আবার আসতে হবে।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১১
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় , এমন সুন্দর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি ... ভাল থাকবেন ।
১৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
শিরিষ গাছ বলেছেন: লেখক আমি তো আপনার পোস্টের বিরুদ্ধাচারণ করে কিছু লিখিনি কমেন্টে। বরং আপনার পক্ষেই লিখেছি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে । এমন কি আমার কমেন্টে এমন অনেক কিছু ছিল যা আপনার যুক্তি কে আরো বেশি জোরালো করবে। অর্থাৎ আমি বলেছি বখতিয়ার খিলজি কাজটা ভালো করেনি। আর আপনি করলেন কি? কমেন্টই ডিলিট মারলেন। তার মানে আপনি একটি সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগছেন। আপনি হয়ত ভেবেছেন একমাত্র আপনি নিজেই ভারতের প্রচীন ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করছেন। আর কেউ ভারতের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে কিছু জানে না। আমি আমার কমেন্টের প্রথমেই উল্লেখ করেছিলাম আমি ভারতের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক পড়াশুনা করেছি। এটা বোধ হয় আপনি সহ্য করতে পারেননি। পারবেনই বা কেন। এই ব্লগে অনেককে দেখেছি এই রোগে ভুগতে। তারা মনে করে তারাই সব কিছু জানে, জানার অধিকার রাখে। তাই কেউ যুক্তিপূর্ণ আলোচনা, গঠন মূলক মন্তব্যকরলেই তারা ভেবে বসে এই পাবলিক এর কারণে বোধ হয় আমার লেখার হিট কমে যাবে। কারণ কেউ গঠন মূলক করলে মোটামুটি সবাই ওই কমেন্টকারীর ব্লগে একবার হলেও যায়। ঠিক এই ধরণের হিংসা লালন করছেন আপনি। এনি ওয়ে ভালো থাকবেন। আর হিপোক্রেসি মানুষকে ক্ষতি করে।
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
সাজিদ এহসান বলেছেন: প্রিয় শিরিষ গাছ , আপনার সেই সুন্দর আর বিশাল কমেন্ট অনিচ্ছাকৃত ভাবে ডিলিট হয়ে গেছে। অন্য কোন কিছু না।
আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
আমি নিজেও সেই কমেন্ট এর জন্য অনেক আফসোস করছি।
আপনার কমেন্ট আমার লেখার স্বপক্ষে অত্যন্ত গঠন মুলক, যুক্তিপূর্ণ আর সাপোর্ট করে ছিল । সে জন্য অসংখ্য কৃতজ্ঞতা ,
আমি জেলাস বা হিংসা লালন করছি না, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি-- আপনাকে হৃদয় থেকে স্যালুট , আপনার কমেন্ট পাওয়া আনন্দের ।
আর আমার আরেকটি লেখা 'তক্ষশীলা' র কমেন্ট পরে দেখুন , তাহলে আপনার ভুল পুরাই ভাংবে আশা করি ...
সেখানে ৪টা কমেন্টসহ পুরা লেখা ড্রাফট হয়ে যায় , ওখানে ১ আর ৩ নং কমেন্ট একটু পড়লেই বুঝতে পারবেন
Click This Link
এই নিয়ে আমাকে ভুল না বুঝলে খুশি হব, আবার আসার আমন্ত্রন ভাই ...।
১৭| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: পরিশ্রম করেছেন লিখতে, সেজন্য সাধুবাদ। তবে ইতিহাস শুধু অনুবাদ না করে পর্যালোচনামূলক হলে অনেক ভ্রান্তি এড়ানো যায়।
যেমন, বোলঙ্গা, অরধেক মিলেনিয়াম বছর পূর্বে, ... পোস্টের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে।
'সর্বাস্তিবাদ বৈভাষিক'কে লিখেছেন সারবাস্তুবিদ্যা ভবিশ্যকা; ইত্যকার আরও বড় ভুল, যা ইংরেজি থেকে বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ করতে গিয়ে সংঘটিত হয়েছে।
চৈনিক পরিব্রাজক জুয়ানঝাং আর হিউয়েন সাঙ আসলে একই ব্যক্তি, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হয়, তাঁরা বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন ব্যক্তি।
পরিশ্রমের সঙ্গে সতর্কতা থাকলেই আপনার পোস্টগুলো সুন্দর হয়ে উঠবে।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ম্যাভেরিক ভাই, অর্ধেক মিলেনিয়াম কথাটার ভাল অনুবাদ কি হতে পারত তা জানা নেই, শব্দটা ছিল ''হাফ মিলিয়ন'' ,
এই লিখার একটা সীমাবদ্ধতা ছিল , তা হচ্ছে নেট থেকে আরটিকেল সংগ্রহ করা। এবং একটি দুটি নয় অসংখ্য আর্টিকেল ঘেঁটে লিখতে গিয়েছি।
যে কারনে হিউয়েন সাং আর ঝুং যুয়াং দুই ব্যাক্তি মনে হয়, যদিও আমার অজানা নয় যে নাম ভিন্ন হলেও ব্যাক্তি এক জনই ।
ইংরেজি থেকে অনুবাদের কিছু সীমা বদ্ধতা আছে , অনেক টার্ম বা ধর্মীয় নাম সরা সরি বাংলায় হয়ত ভিন্ন হয়, সেটার জন্য আরও পরামর্শ চাইছি...
আপনি যদি আরও কিছু সংশোধনী দেখিয়ে দেন উপকৃত হব, আর হ্যা এই লেখা লিখে 'সাম হয়ার' থেকে এক রকম দূরে আছি।
কারন লিখার শুরু থেকেই অনেক বিতর্ক শুরু হয়ে যায় । যা আমার মন কে বিক্ষিপ্ত করে থাকবে। অন্য সময় পোস্ট ছেড়ে এসে এডিট অব্যহত থাকে, এবার সেটা হয়নি।
ভাল থাকবেন ।
১৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ৮০০ বছর আবার চালু হতে যাচ্ছে।
(প্রথম আলো)
Click This Link
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২১
সাজিদ এহসান বলেছেন: প্রথম আলো নিউজটি আজকে দিলেও আমার লেখায় অনেক আগেই চালু হওয়ার আভাস দিয়েছিলাম।
লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
সাজিদ এহসান বলেছেন: (প্রথম আলো)
পুনরুত্থানের পথে নালন্দা
Click This Link
১৯| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২
শাহেদ খান বলেছেন: সচিত্র এবং বিস্তারিত পোস্ট দেখছি ! অনেক পরিশ্রম করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।
শো-কেসে রাখলাম। সময় নিয়ে পড়তে আসব।
শুভেচ্ছা।
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২০
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মূূল্যবান মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা । ভাল থাকবেন ।
২০| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
মো. ইব্রাহীম হুসাইন বলেছেন: সাজিদ ভাই, কিছু লোক কখনই গোঁ ছাড়ে না। এজন্যই বলা হয়, আহাম্মকের সাথে তর্ক করলে নিজেই আহাম্মক হতে হয়।
ভাই, ব্লগের ক্যাচাল তো কাঁঠালের আঠা।
এতো সুন্দর পোস্ট পড়ে, কমেন্ট পড়তেই মন খারাপ হয়ে গেলো। বখতিয়ার খিলজির উইকি পেইজেও নালন্দা ধ্বংস কথা উল্লেখ আছে। তাছাড়া পোস্টটা তো নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে, ভারতে খিলজি বা মুসলিম শাসকের অবদান নিয়ে নয়।
ভাই, মন খারাপ না করে লেখা চালিয়ে যান। ব্লগে বর্তমানে ভালো লেখার খুব অভাব।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
সাজিদ এহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মূূল্যবান মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ।
২১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট! নালন্দা সম্পর্কে আগে তেমন কিছু জানতাম না। আমি এতদিন মনে করতাম নালন্দা বাংলাদেশেরই কোথাও ছিল।
২২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
রমিত বলেছেন: পরিশ্রম করেছেন লিখতে, সেজন্য ধন্যবাদ।
তবে বখতিয়ার খিলজির প্রসঙ্গটি পুরোপুরি সঠিক লেখা হয়নি। বখতিয়ার খিলজির দ্বারা নালন্দা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয় বলে যে দাবী করা হয় তা সঠিক নয়, নালন্দার একটি বড় অংশকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কারণ ১২৩৪ সালে তিব্বতীয় ভিক্ষু ধর্মাসভামিন নালন্দাতে যখন ভ্রমণ করেন তখন সেখানে কিছু পণ্ডিত ও ভিক্ষু মহাপাণ্ডিত রাহুলাস্রিভাদ্রার তত্ত্বাবধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। পনেরশ শতকের দিকে এটি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
মিনহাজ-উদ-দীন-এর তবক্বাত-ই-নাসিরি গ্রন্থে ইখতিয়ার-উদ-দীন মুহম্মদ খিলজীকর্তৃক দুর্গশহর বিহার অভিযানের উল্লেখ রয়েছে। বিহার অভিযানের প্রায় ৫০ বছর পর মিনহাজ-উদ-দীন ইখতিয়ারের সৈন্যবাহিনীর শামশাম-উদ-দীন নামে এক সৈনিকের সাক্ষাত লাভ করেন, যার কাছ থেকে শুনে তিনি ঘটনা বর্ণনা করেন। গ্রন্থে উল্লেখ আছে, বখতিয়ার দুর্গের ভেতরকার ব্রাহ্মণদের হত্যা করেন, তবে বই বা লাইব্রেরী পোড়ানোর কোনো উল্লেখ তাতে নেই।
সপ্তম শতাব্দী থেকে ব্রাহ্মণ রাজপূতদের ক্ষমতায় আসার পর বৌদ্ধদের প্রতি অবর্ণনীয় অত্যাচার করে। বখতিয়ার খিলজি মিসগাইডেড হয়েছিলেন। তিনি নালন্দাকে দুর্গ মনে করেছিলেন এবং সেখানকার রক্ষীদের ব্রাহ্মণ রাজপূত মনে করেছিলেন।
২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
বিষের বাঁশী বলেছেন: আমরা কেবল গ্রানাডার লাইব্রেরী পুড়িয়ে ফেলার কথা জানি, অথচ এই উপমহাদেশেও একটি জাতি ধ্বংস করে দেয়া হলো বিশ্ববিদালয় পুড়িয়ে, অবাক হলাম জেনে!
২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
শায়মা বলেছেন: নালন্দা নামে ছায়ানটে একটি স্কুল আছে। নালন্দার ছবিগুলি দেখে মহাস্থান গড় , পাহাড়পুরের কথা মনে পড়ে যায়।
অনেক ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানা হলো।
২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দারুন পোস্ট।
++++++++++++++++++
২৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা লেখা। প্রিয়তে নিলাম।
২৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৮
সৈকত মিত্র বড়ুয়া বলেছেন: সত্যিই খুব কষ্ট হয়। শেষ ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি বখতিয়ার খিলজির আক্রমনে নালন্দা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় ।খিলজী শুধু নালন্দাকে পুড়িয়ে ছাই করেন নি, একই সাথে পুড়িয়ে ছাই করেদেন একটি জাতির সভ্যতা, ইতিহাস এবং সাথে অন্ধ করে দেন আমাদেরকে।
২৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গ্রেট পোষ্ট। ধন্যবাদ বলাটাই যথেষ্ঠ মনে হচ্ছেনা। তবু, ধন্যবাদ।
২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল পোস্ট; অনেক কিছু জানলাম। পাকি বিস্কুট টাকে চাবাইয়ে খায়ে ফেলতে ইচ্ছা করতেছে; খুব খিদা লাগছে।
৩০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখা হলে কিছু মানুষের আঠার মত বকতেয়ার বন্দনা, উসিলা, সাফাই, ইত্যাদি শুরু করে দেয়।
এটাই খারাপ লাগে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: + dilam tobe puropuri sohomot na