![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসসালামু আলাইকুম, আমি সাকিব। আমি একজন ব্লগার ও ইউটিউবার। আশাকরি আমার লেখা আপনাদের ভাল লাগবে।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী, وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ- ‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দিবে এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম’ (আলে ইমরান ৩/১০৪)।
আর আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيْمَانِ- ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কোন অন্যায় হ’তে দেখলে সে যেন তা হাত দিয়ে পরিবর্তন করে। তাতে সক্ষম না হ’লে যবান দিয়ে প্রতিবাদ করবে। তাতেও সক্ষম না হ’লে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হ’ল দুর্বলতম ঈমান’।[মুসলিম হা/৪৯, মিশকাত হা/৫১৩৭।]
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ اللهَ لَيَسْأَلُ الْعَبْدَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَقُولَ مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَ الْمُنْكَرَ أَنْ تُنْكِرَهُ فَإِذَا لَقَّنَ اللهُ عَبْدًا حُجَّتَهُ قَالَ يَا رَبِّ رَجَوْتُكَ وَفَرِقْتُ مِنَ النَّاسِ ‘আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বান্দাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। এক পর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি যখন অন্যায় কাজ হ’তে দেখেছিলে তখন তোমাকে তা প্রতিহত করতে কিসে বারণ করেছিল? (সে জবাবদানে ব্যর্থ হ’লে) আল্লাহ তা‘আলা তাকে তার যথাযথ উত্তর শিখিয়ে দিবেন। তখন সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার রহমতের আশা করেছিলাম এবং মানুষের ভয়ে তা ত্যাগ করেছিলাম’ (ইবনু মাজাহ হা/৪০১৭/; আহমাদ হা/১১২৩০; ছহীহুল জামে‘ হা/১৮১৮; ইবনু হিববান হা/৭৩৪৮)।
عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ رَهْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ إِذَا رَآهُ أَوْ شَهِدَهُ أَوْ سَمِعَهُ. قَالَ: وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: وَدِدْتُ أَنِّى لَمْ أَسْمَعْهُ-
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সাবধান! মানুষের ভয় তোমাদের কাউকে যেন সত্য কথা বলতে বাধা না দেয়, যখন সে অন্যায় দেখবে, প্রত্যক্ষ করবে বা শ্রবণ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি আকাঙ্ক্ষা করছিলাম যে, যদি এ হাদীছটি না শুনতাম (তাহ’লে ভাল হ’ত)’! (আহমাদ হা/১১০৩০; ইবনু মাজাহ হা/৪০০৭; ছহীহ তারগীব হা/২৭৫১; ছহীহাহ হা/১৬৮)।
সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দিলে আল্লাহ দো‘আ কবুল করবেন না।
আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مُرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ قَبْلَ أَنْ تَدْعُوْا فَلاَ يُسْتَجَابَ لَكُمْ ‘এমন সময় আসার পূর্বেই তোমরা সৎকাজের আদেশ প্রদান কর এবং অসৎ কাজে থেকে নিষেধ করো, যখন তোমরা দো‘আ করবে, কিন্তু তোমাদের দো‘আ কবুল করা হবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৪০০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৮৬৮; ছহীহ তারগীব হা/২৩২৫)।
তিনি আরো বলেন, إِذَا عُمِلَتِ الْخَطِيئَةُ فِى الأَرْضِ كَانَ مَنْ شَهِدَهَا فَكَرِهَهَا وَقَالَ مَرَّةً: أَنْكَرَهَا، كَمَنْ غَابَ عَنْهَا وَمَنْ غَابَ عَنْهَا فَرَضِيَهَا كَانَ كَمَنْ شَهِدَهَا ‘যখন পৃথিবীতে কোন পাপকাজ সংঘটিত হবে আর সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি সে কাজকে অপসন্দ করবে (অন্য বর্ণনায় রয়েছে, সে তা ঘৃণা করবে), তাহ’লে সে অনুপস্থিত ব্যক্তির ন্যায়। আর যে ব্যক্তি অনুপস্থিত থেকে সে কাজকে সমর্থন করবে সে উপস্থিত ব্যক্তির ন্যায়’ (আবূদাঊদ হা/৪৩৪৫; ছহীহ তারগীব হা/২৩২৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৮৯; মিশকাত হা/৫১৪১।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَيَنْصُرَنَّ اللهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللهَ لَقَوِيٌّ عَزِيْزٌ- الَّذِيْنَ إِنْ مَكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوْا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ-
‘আর আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন, যে তাকে সাহায্য করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। তারা এমন যাদেরকে আমি পৃথিবীতে ক্ষমতা দান করলে তারা ছালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে, সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে’ (হজ্জ ২২/৪০-৪১)।
শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন,
وَوَلِيُّ الْأَمْرِ إنَّمَا نُصِّبَ لِيَأْمُرَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَى عَنْ الْمُنْكَرِ وَهَذَا هُوَ مَقْصُوْدُ الْوِلَايَةِ... يُوَضِّحُ ذَلِكَ: أَنَّ صَلَاحَ الْعِبَادِ بِالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوْفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ؛ فَإِنَّ صَلَاحَ الْمَعَاشِ وَالْعِبَادِ فِيْ طَاعَةِ اللهِ وَرَسُوْلِهِ، وَلَا يَتِمُّ ذَلِكَ إلَّا بِالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوْفِ وَالنَّهْيِ عَنْ الْمُنْكَرِ...
‘নেতাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব এজন্য দেওয়া হয় যে, তিনি সৎ কাজের আদেশ করবেন এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবেন। আর এটিই নেতৃত্বের মূল উদ্দেশ্য। (আস-সিয়াসিয়াতুশ শারঈয়্যাহ; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৮/৩০৬।)
কিন্তু কোথায় আজ মুসলিম নেতারা ? কোন মুসলিম নেতার কি আজ অন্যায় কাজে বাধা দেয়ার ক্ষমতা নাই ? সবাই কি একেবারে নিম্ন স্তরের মুসলিম ?
Syed Galib Arafeen এর ফেসবুক থেকে নেওয়া
©somewhere in net ltd.