![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হুদা একজন পাবলিক ভাই! আমারে নিয়া লিখার মত কিছু পাইলাম না।
হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকায় গেলো সাত সকালে।
১৯৭১ এর ১৯শে নভেম্বর চট্টগ্রামের আইস ফ্যাক্টরী রোড ধরে যাচ্ছিলেন ৫ মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজুল হক, রফিক উদ্দিন, অমল মিত্র, শফিউল বশর এবং ড্রাইভার ভোলনাথ। ইস্টার্ন ব্যাংক অফ পাকিস্তানে অপারেশন চালিয়ে ফিরছিলেন তারা একটা প্রাইভেট কারে। চুনা গুদামের কাছে আসতেই পাকিস্তানী বাহিনী হামলা করে কারটিকে। দলের সবাই আত্মরক্ষা করতে পারলেও গুলিবিদ্ধ হন রফিক উদ্দিন। রফিকের রক্তে রঞ্জিত হল সে সড়কটি।
---------------------------
মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিনের স্বপ্ন সফল হইসে (একটু!) , দেশ স্বাধীন হইসে। কিন্তু কাহিনী হচ্ছে, মুক্তি যুদ্ধের পরপরই সচেতন নাগরিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে আইস ফ্যাক্টরী রোডের নাম পালটায় শহীদ রফিক উদ্দিন সড়ক হিসেবে রাখা হইসিলো। কিন্তু পৌরসভার কাছে কাগজে কলমেও সড়কটার নাম পাল্টানোর যে দাবী পাঠানো হয়েছিলো তা আর হয়নাই। পৌরসভা হয়ে গেলো সিটি কর্পোরেশন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজুল হকের মতে, অনেক মানুষ পরিচিত ফলকে শহীদ রফিক উদ্দিন সড়ক লিখলেও সিটি কর্পোরেশনের গাফিলতির কারণে নামটা আর বদলাইলো না। :-<
সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নগরের কোন সড়কের নাম মুক্তিযোদ্ধার নামে হইসে কিনা এই ব্যাপারে তেমন কোন খোঁজও নাকি রাখেনা। এলাকার দোকানদার আর ব্যবসায়ীরা বলেন সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগ নিলে তারা পরিচিত ফলকে নতুন করে নাম লিখবেন।
কলেজয়েট স্কুল আর সিটি কলেজের সামনের এই রোডটাই ইতিহাসের স্বাক্ষী।
যেকোন দেশের সড়কগুলোর নামকরণ হয় এমন সব ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে যেগুলা সেই সড়ক ধরে হেঁটে যাওয়া প্রজন্মকে তাদের গৌরবগাঁথা জানিয়ে দেবে। অথচ এদেশে দুইজন মানুষের বাইরে অন্য কারো নামকরণ করতে গলদ্ঘর্ম হয়ে যাইতে হয়।
এয়ারপোর্টের নাম পালটানো যায় যতবার খুশি ততবার, নতুন স্ট্যাডিয়াম , সেতু বানাইলে পীর-আউলিয়া, নেতা-মন্ত্রীর নামে নাম রাখতে হুমড়ি খায়া পড়ে সরকার, বিরোধীদল, অমুক-তমুক সংগঠন...
হালার পুতেরা! ছিলি তো পাকিস্তানের লাত্থি গুতা খায়া... যাদের জন্যে রাস্তাটায় বুক ফুলায়া হাঁটতেসস তাদের নাম রাখতে এত্ত আলসেমী ক্যান?
©somewhere in net ltd.