![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হুদা একজন পাবলিক ভাই! আমারে নিয়া লিখার মত কিছু পাইলাম না।
একটু আগে কোন একটা চ্যানেলে বধ্যভুমিগুলার খোঁজে একটা টীমের পর্ব দেখলাম। এবার তারা করসে সৈয়দপুরের উপর। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সৈয়দপুরে হিন্দুর সঙ্খ্যাই বেশি ছিলো। এবং বিহারীরা এখানে প্রচুর ছিলো। একাত্তরে বিহারীরা সুযোগ পেয়ে রাজাকারদের সাথে মিশে প্রচুর লুট, হত্যা, ধর্ষণসহ আরও যা যা করা যায় করসিলো। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, পাকিস্তানী গোলাবারুদ আর সৈন্য আনায়নের সুবিধার্থে তারা এলাকার কয়েকশো যুবকদের ধরে এনে সম্পুর্ণ এয়ারপোর্টের কন্সট্রাকশন ওয়ার্ক করাইসে, মানে চুন-সুরকি আনা, পিচ-ঢালাই সহ যা যা লাগে আরকি। তারপর তাদের মেরে ফেলসে। একজন Genocide Researcher-এর স্বাক্ষাৎকার দেখাইলো। দেখলাম। এই ঘটনার সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদেরটা সহ দুনিয়ার অন্যান্য তাবৎ যত গনহত্যা আছে অনেক মিল দেখলাম।
সৈয়দপুরের গনহত্যার বেঁচে যাওয়া মানুষদের থেকে শুনলাম জলজ্যান্ত অভিজ্ঞতা। শুনলাম সেই ঐতিহাসিক ৪০০ মানুষকে একসাথে ট্রেনে হত্যার কাহিনী।
বিহারী রাজাকাররা প্রথমেই এসে সবার কাছ থেকে বাড়ীর সব চাবি, ব্যাংকের একাউন্টের চেকবই, সোনা-অলংকার নিয়ে তারপর বলে... তোমাদের এখন ট্রেনে করে ইন্ডিয়া পৌঁছায়ে দেয়া হবে। এদেশে আর জায়গা নাই তোমাদের। তারপর ট্রেন সৈয়দপুর স্টেশন ছেড়ে খালপাড়ের ব্রীজের উপর আসলে ট্রেন থামিয়ে বিহারীরা বগিতে ঢুকে বলে, "চালো তুম লোগোকো আব জাবাই কারেগা।" সবাই বলতে লাগলো, "কেন ভাই? কি দোষ করসি আমরা?" তার উত্তরে তারা বলে, "তুম লোগ শালা পাকিস্তানকে দুশমন, মুক্তি হো, হিন্দু হো।"
এরপর তারা এক একজন করে নিয়ে তলোয়ার দিয়ে জবাই করে । শিশু, বৃদ্ধ... কেউই বাদ পড়েনি ট্রেনে।
একসময় সবাই নৃশংসতা সহ্য করতে না পেরে বলছিলো, "আমাদের গুলি করে মারছোনা কেন?"
...... উত্তর আসছিলো, "পাকিস্তান গভর্মেন্টকি গোলি ইতনা স্বাস্তা নেহি। তুম লোগোকো এইসেহি মারনা পাড়েগা।"
৪২৫ জনের মধ্যে শুধু মাত্র ২১ জন কিভাবে যেন পালাতে পারসিলো।
কতটা নৃশংস হলে এভাবে ঠান্ডা মাথায় ৪০৪ জন নর-নারীকে জবাই করা যায় সেটা ভাবতেসিলাম। যারা বলে ৩ লক্ষকে ভুল করে বঙ্গবন্ধু ৩০ লক্ষ বলসিলেন তারা মনে হয় এইসব ঘটনা জানেনা। জানলে লজ্জায় আত্মহত্যা করা উচিৎ তাদের।
শুধু তাই না, ওই হত্যাকারীদের সর্দারদের সবাই মনে রাখসে। যারা চেলা হিসেবে জবাই উৎসবে অংশগ্রহন করসিলো তারা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে জেলে ছিলো এটা এলাকাবাসী বলল। এও বলল যে ১৯৭৫ এর পর তারা ছাড়া পেয়ে যায় এবং এখন তারা সৈয়দপুরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী হিসেবে আছে। এই লোকগুলাই নাকি তখন ঘরে ঘরে ঢুকে ধর্ষন করতো, ক্যাম্পে নিয়েও আটকে রেখে ধর্ষন করতো।
ভাবতেসিলাম, বাঙ্গালী জাতি যদি একজন মহিলা হিসেবে কল্পনা করি, তাইলে আমার তো মনে হয় এই মহিলার বর্তমান চিত্র হচ্ছে এইরকম যে, তার জন্ম পরিচয় নিয়ে মানুষ নানান কথা বলে, তাকে পথে ঘাটে চোদা হয়, যে যখন যেমনে পারে,... গায়ের কাপড় তো নাই সেই কবে থেকেই, এখন তার লজ্জা এবং চোখের পানি দুইটাই গায়েব হয়ে গেসে।
------------------------------------------
এই বিহারীরা এদেশে আমাদেরই সাথে মিশে এখনো থাকে। আমার মাঝে মাঝে এদের ভাবসাব দেখে মনে হয় সময় পেলে এরা আবারো এরকম করার সুযোগ হারাবে না। তারা উদ্বাস্তু হিসেবে এদেশে থাকতে চায়না। তাদের দরকার ভিটা। আর সেটা পেতে যেকোন অজুহাতে কাউকে ভিটাছাড়া করতে এদের একটুও বাঁধেনা। আদিম প্রস্তর যুগে জাতিগুলোর মধ্যে এরকম মানসিকতা ছিলো খুবই স্বাভাবিক।
--------------------------------------------
রাজাকারদের একটা লিস্ট পাইলাম।
©somewhere in net ltd.