নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাকিব হাসনাইন

নাম সাকিব। পড়ি কলেজে। প্রযুক্তিকে ভালবাসি। আমার ব্লগঃ http://tunersakib.blogspot.com/

সাকিব হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশর রহস্য (কলকাতা মুভি রিভিউ)

১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:২১



এই মুভিটি পশ্চিমবঙের বিখ্যাত লেখক সুনীল গঙোপাধ্যায় এর কাকাবাবু সিরিজের "মিশর রহস্য" এর কাহিনী অবলম্বনে তৈরী করা হয়েছে। মুভিটি ১১ই অক্টোবর ২০১৩ সালে রিলিজ পায়। কাহিনীপ্লট অনুযায়ী এর শুটিং ভারত এবং মিশর এই দুটি দেশে করা হয়েছে।

গল্পের কেন্দ্রীয় ও মূল চরিত্র হল কাকাবাবু। ভালো নাম রাজা রায়চৌধুরী। যিনি আগে দিল্লিতে ভারত সরকারের আর্কিওলজিকাল গ্রুপের বড় পোস্টে চাকরি করতেন। আফগানিস্তান এর এক অভিযানে দূর্ঘটনায় তিনি এক পা হারান। কিন্তু তার মনোবল, অজানাকে জানার প্রবল ইচ্ছা তাতে কমেনি। সময় পেলেই তার ভাইপো সন্তুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন নতুন কোন অভিযানে। সন্তুর ভালো নাম সুনন্দ রায়চৌধুরী। সে একজন কলেজের ছাত্র।

ছবির প্রথমেই আমরা মামুন সাহেবের কথা জানতে পারি। যিনি কাকাবাবুকে দিয়ে হিয়েরোগ্লাফিক্স এ লেখা কিছু কাগজপত্র নিয়ে আসেন তা অনুবাদের জন্য। ঘটনাক্রমে আমরা জানতে পারি এইসব হিয়েরোগ্লাফিক্স এর লেখক মুফতি আল মুহম্মদ। যিনি বাবা পীর নামেই অধিক পরিচিত। মামুন সাহেব বাবা পীরকে নিজের চাচা বলে উল্লেখ করেন এবং হিয়েরোগ্লাফিক্স এর লেখাগুলো অনুবাদ করে দিতে কাকাবাবুর নিকট অনুরোধ জানান। এই কাজের জন্য ২০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব জানালেও কাকাবাবু লেখাগুলোর অনুবাদ মামুন সাহেবকে জানাতে অসম্মত হন। কারণ হিসেবে তিনি জানান বাবা পীর অনুরোধ করেছেন তিনি যেন নিজে যাচাই না করে এই সমস্ত লেখা কারও কাছে প্রকাশ না করে। কিন্তু তার এই কথা মামুন সাহেব ও হানি আল কাদি বিশ্বাস করে নি। হানি আল কাদি হল মিশরের এক বিপ্লবী দলের প্রধান। বাবা পীর সন্ন্যাস গ্রহণের আগে একটি বিপ্লবি দলের প্রধান ছিলেন, তাই হানি আল কাদি ও আল মামুন এর ধারণা ওই হিয়েরগ্লাফিক্স এর মাধ্যমে বাবা পীর নিজের লুকানো অস্ত্র এবং টাকা পয়সার ভান্ডার এর সন্ধান দিয়েছেন। কিন্তু কাকাবাবু তা কাউকে না জানিয়ে নিজে হাতিয়ে চায়। কাকাবাবু কাউকে কোন প্রকার ব্যখ্যা না দিয়ে তিনি নিজে তা যাচাই করে দেখার জন্য তার ভাইপো সন্তুকে নিয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিশরে তারা পৌঁঁছানোর কিছুক্ষণের মাঝেই হানি আল কাদি কাকাবাবুকে তার লোক দিয়ে কিডন্যাপ করায়। ঘটনাক্রমে কাকাবাবু ও হানি আল কাদির মাঝে শ্রদ্ধা মেশান এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। কাকাবাবু তাকে জানায় বাবা পীর এর হিয়েরোগ্লাফিক্স এ লেখা সংকেত এর মাঝে কোন অর্থ বা অস্ত্রের সন্ধান নেই। যদি তিনি এসব কিছু পান তবে তাকে জানাবেন। ওদিকে আল মামুন বাবা পীর এর লেখার মানে জানতে মরিয়া হয়ে সন্তুকে কিডন্যাপ করে কাকাবাবু ও হানি আল কাদির উপর চাপ সৃষ্টির জন্য। অবশেষে তারা কাকাবাবুর মধ্যস্ততায় একটা সমোঝতায় আসে।

গল্পের শেষ দৃশ্য অভিনিত হয় রাণী হেটাফেরাস এর পিরামিড এর নিচে। আল মামুন বিশ্বাসঘাতকা করে। বাবা পীর এর শেষ ইচ্ছার কথা প্রকাশ পায়। কাকাবাবু তা পূরণ করেন। কিন্তু সেখানে কোন অর্থ বা অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায় না। তবে সেখানেও হিয়েরোগ্লাফিক্সে লেখা কিছু সংকেত পাওয়া যায়। যার অনুবাদ কাকাবাবু হানি আল কাদিকে দিয়ে দেয় এবং আশীর্বাদ করে বলে ওই সংকেত অনুসারে কাজ করতে। হয়তোবা অর্থ বা অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যেতেও পারে। আসলেই কি পরে কোন অর্থ বা অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল?? তা কিন্তু আর দেখানো হয় নি ছবিতে।




সৌজন্যেঃ টিউনার সাকিব.ব্লগস্পট.কম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.