![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুহক, হুমায়ন আহমেদ এর রচিত অন্যতম একটি সায়েন্স ফিকশন গল্প।
এই গল্পটির মূল চরিত্র নীশিনাথ বাবু। তাকে ঘিরেই সমস্ত ঘটনা আবর্তিত হয়। নীশিনাথ বাবু ৫৫-৬০ বছর বয়সি একজন বৃদ্ধ। তিনি তার একসময়ের ছাত্র মহসিন এর বাসায় থাকেন। মহসিন এর স্ত্রীর নাম দীপা। তার দুই মেয়ে এক ছেলে। ছোট মেয়ে আলো মূক ও বধির, কিন্তু বেশ মেধাবী।
গল্পের শুরু হয় নীশিনাথ বাবুর সাইনাসের সমস্যার জন্য এক্স-রে করাতে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে। সাইনাসের সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে তিনি মাথার এক্স-রে করান। কিন্তু তিনি এক্স-রে করানোর সময় এক্স-রে মেশিনটিতে বড় রকমের সমস্যা দেখা দেয়। যেখানে স্বাভাবিক ভাবে ২০মিলিরেম এক্স-রে তার মস্তিষ্কের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কথা। সেখানে প্রায় ১০হাজার রেম এক্স-রে তার মস্তিষ্কের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই বিশাল পরিমাণ এক্স-রে তার মস্তিষ্কের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর যেখানে তার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হওয়ার কথা সেখানে আপাতদৃষ্টিতে তার কিছুই হয় না। ওখানকার ডাক্তারসহ সকলেই এই ঘটনায় বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়।
আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হলেও ওই ঘটনার ফলে তার মস্তিষ্কের এক বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। তিনি মানুষের মস্তিষ্কের মাঝে সরাসরি প্রবেশ করে তাদের মনের কথাবার্তা জানতে পারার একরকম ক্ষমতা লাভ করেন। সেই সাথে মাত্রারিক্ত রেডিয়শেনর সমস্ত লক্ষণ তার মধ্যে ফুটে উঠতে শুরু করে। রাতারাতি তার মাথার সব চুল পড়ে যায়, তার দাঁত পড়া শুরু করে। তিনি তার এই বিস্ময়কর ক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি মহসিন এর ছোট মেয়ে আলোকে সরাসরি তার মস্তিষ্কে প্রবেশ করে লেখা পড়া শিখানোর চেষ্টা করে সফল হন। তিনি মানুষের মনের কথা বলে চমকে দিতে থাকেন। যদিও তার ছাত্র মহসিনসহ সকলেই তাকে পাগল ভাবতে শুরু করে।
তিনি মারা যাওয়ার আগে তার জীবনের সর্বশেষ কাজটি করেন তার প্রিয় ছাত্র মহসিন এর মস্তিষ্কে। তিনি সেখান থেকে সবরকম ঘৃণা দূর করে তার স্ত্রী দীপার প্রতি ভালবাসায় পূর্ণ করে দেন। সেই সঙ্গে দিয়ে যান মৃত্যু সম্পর্কে এক বিস্ময়কর ধারণা।
এরকম কি সত্যিই সম্ভব?? কে জানে!! মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে এরকম বিস্ময়কর ও বিপজ্জনক পরীক্ষা কোথাও চালানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই.........। তবে এই বইটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অন্যরকম এক কৌতুহল উপলব্ধি করবেন তার নিশ্চয়তা আমি নিসংকোচে দিতে পারি
সৌজন্যেঃ টিউনারসাকিব.ব্লগস্পট.কম
©somewhere in net ltd.